Freelancing Help BD

Freelancing Help BD Informations de contact, plan et itinéraire, formulaire de contact, heures d'ouverture, services, évaluations, photos, vidéos et annonces de Freelancing Help BD, Social Media Agency, Netrakona, Democratic Republic of the.

03/06/2023

তিন তলা থেকে আমাকে যখন ধাক্কা মে'রে ফেলে দেয়া হয় তখন স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম আমার স্বামী আবিরের মুখটা। আমাকে ফেলে দিয়ে মনে হলো আনন্দ পেয়েছে। পৈশাচিক আনন্দ। আমার নিজের জন্য খারাপ লাগলো না। খারাপ লাগলো আমার ভেতরে থাকা আরো একটি অস্তিত্বের জন্য। বাচ্চাটা এখনো বেঁচে আছে, একটু পরেই হয়তো আমার সাথে সাথে বাচ্চাটাও মা'রা যাবে।

আমি নিচে পড়ার আগেই চোখ থেকে দু’ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো নিচে। আবিরকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলাম। আবিরের জন্য ২০ বছরের বাবা-মায়ের পবিত্র সম্পর্ক ছিন্ন করে এসেছিলাম। শাশুড়ী মা নেহাৎ ভালো ছিল বলেই আমাদের সম্পর্কটা মেনে নিয়েছিল। তবে তার সুপুত্র যখন জানতে পারলো সে বাবা হতে চলেছে বিষয়টা ঠিক হজম করতে পারলো না। কয়েকবার বাচ্চাটা ন'ষ্ট করার কথাও বলেছিল আমাকে। রাজি হইনি, বরং অবাক হয়েছিলাম তার এই পরিবর্তন দেখে।

শেষে আজ সারপ্রাইজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে এলো ছাঁদে। "তোমাকে আমার ভালো লাগতো। এই আবেগের বশেই হয়তো বিয়েটা করেছিলাম। তবে এখন বুঝতে পারছি সেটা ভালোবাসা ছিল না। আমি এতো তাড়াতাড়ি বাচ্চা-কাচ্চার বাবা হয়ে বুড়ো হয়ে যেতে পারবো না। কি করবো বলো? তোমাকে ম'রতে হবে।"-বলেই ধাক্কা দিলো।

ঠিক রাত ১২ টার পরে আমি নিচে পড়লাম। ধপ করে আওয়াজ হলো। প্রথমেই পেটে চাপ লাগার কারনে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। তবে চিৎকারটা শেষ না হতেই মাথায় আঘাত লাগলো। তারপর.. তারপর নিস্তব্ধ চারদিক। ঠান্ডা বাতাস বইছে, বাতাসে তাজা রক্তগুলো জমাট বাঁধতে আরম্ভ করেছে। রাতের পোকা গুলো জানান দিচ্ছে আমার মৃ'ত্যুবানী। শেষ একবার আবিরকে দেখার বড্ড সাধ জাগলো। মাথা ঘুরিয়ে উপরে তাকালাম। আবির তাকিয়ে আছে নিচের দিকে। চোখ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছে আমি বেঁচে আছি কিনা। আমি বেঁচে আছি, বেঁচে ছিলাম। তাও বাঁচতে দেয়নি ওরা।

সকাল অব্দি আমি ঠিকই বেঁচে ছিলাম। সকালে লোক জানিয়ে পুলিশ আসলো। তদন্ত করলো, তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিলো আমি আ'ত্মহ'ত্যা করেছি। আবির স্যারদের কাছে রিকুয়েষ্ট করলো আমার যেন পোস্টম'র্টেম না হয়। এতে করে অবশ্য আবিরের প্রতি পুলিশের সন্দেহ একেবারেই হয়নি৷ প্রচন্ড র'ক্তক্ষরন হওয়ায় এবং সারারাত বাইরে থাকার কারনে আমার শরীর ঠান্ডা হতে শুরু করলো। তাই এক মুহুর্তে সবাই ভেবেই নিয়েছিল আমি মা'রা গেছি।

দুপুর নাগাদ পুলিশ চলে যায়। সারিতে সারিতে লোকজন আসতে থাকে লা'শ দেখতে। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আ'ত্মহ'ত্যা কেন করেছি সেটা নিয়ে কিছু কিছু মহিলারা হায় আফসোস করছে। বাড়ির কাজের লোক বিনী খালা যে কখনো আমাকে দেখতেই পারেনি সেও এসে ম'রা কান্না জুড়ে দিলো।
আমাকে গোসল করানো হলো, তবে জ্ঞান ফিরলো না। মনে মনে বাচ্চার জন্য খুব কষ্ট হলো। আমি যে জীবিত সেটা কাউকে বুঝাতে পারছি না। দাফন-কাফন সব হলো, শুধু মাত্র আমি যে বেঁচে আছি সেটা জানা হলোনা কারো। আসর বাদে কবরও দেয়া হলো। তখনও জ্ঞান ফিরলো না আমার। মাটি চা'পা দিয়ে যখন যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেলো তখন কবরের পাশে দাঁড়িয়ে একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো আবির। হয়তো এতোদিনের অভ্যাস একসাথে থাকা। আর আজ আমি কবরে আর আবির তার আরাম আয়েশের জীবনে এই জন্যই দীর্ঘশ্বাস ছাড়া।

আবির চলে যায় বাড়িতে। সেদিন রাত ঠিক ১২ টায় আমার জ্ঞান ফেরে। মাথা এবং পেটে প্রচন্ড ব্যথার উপস্থিতি টের পেলাম। হাত পায়ের কিছু অংশেও ব্যথায় টনটন করছে। হয়তো হাড় ভে'ঙেছে। পেটে ব্যথার সামনে মাথা ব্যথাটা হার মানলো। পেটে হাত দিতে গিয়ে দেখি আপাদমস্তক সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে আছি আমি। এমন ভাবে মোড়ানো হয়েছে যে হাত এদিক ওদিক করতে পারছি না। বুঝতে পারছি না কোথায় আছি। গতরাতের দূ'র্ঘটনার কথা মনে পড়তেই আত্মা কেঁপে উঠলো। দূ'র্ঘটনা বললে ভুল হবে, ইচ্ছেকৃত ভাবে ঘটানো ঘটনা। সোজা কথায় বলতে গেলে মা'র্ডার। যদিও এখনো মা'রা যাইনি৷

চিৎকার দিয়ে শাশুড়ী মাকে ডাকলাম। সাড়া পেলাম না, হয়তো ডাক বাইরে পৌঁছায়নি। পরবর্তীতে দেখলাম আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। প্রচন্ড কষ্ট। সবটা দেখে বুঝতে পারলাম আমি স্বাভাবিক কোনো স্থানে নেই। আমি আছি কবরে। মাটির স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ এসে ঠেকলো নাকে। মনে মনে প্রার্থনা করেছিলাম এখান থেকে বের হওয়ার। তবে প্রার্থনা কবুল হলো না। আমার সাথেই কেন আল্লাহ এই অবিচার করলো সেটাও বুঝতে পারছি না। পেটের বাচ্চাটার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে না আসার জন্য খুশিও হলাম। আবিরের বেঈমানীর কথা মনে পড়লেই বুক ভে'ঙে কান্না এলো।

কবরের জীবনটাও দীর্ঘস্থায়ী হলো না। ৪৫ মিনিটের মাথায় প্রচন্ড অক্সিজেনের অভাবে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছি আমি। গলা কা'টা মুরগির মতো ছটফট করেছিলাম একটু অক্সিজেন পাওয়ার আশায়। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম আমি আসবো। নিশ্চয়ই আসবো, প্রত্যেককে নিজের হাতে আত্মহ'ত্যা করাতে।

---------------------------------

আবিরের বিয়ে আজ। খুব ঘটা করেই বিয়ের আয়োজন চলছে। আমার বিয়েটা এতো ঘটা করে পালন করা হয়নি। শাশুড়ী মা'কে দেখে বোঝা যাচ্ছে সে খুব খুশি। ছিপছিপে গড়নের মহিলার সাজগোজের ইচ্ছেটা ছিল বরাবরই বেশি। আজও তার হেরফের হলো না। একদম কনের মতোই সেজেছেন। অথচ তার আদরের বউমা কয়েকদিন আগেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন সেটা নিয়ে একদমই মাথা ব্যথা নেই।

আমি খুব আয়েশ করে চেয়ারে বসে আছি। গরুর মাংসের ঘ্রান ভেসে আসছে বাতাসে৷ বেঁচে থাকতে খুব প্রিয় ছিল। খেতে মন চাইলো, তবে খাওয়ার জোঁ নেই। আমি বসে আছি সব মেহমানদেের সামনে। তবে কেউ আমাকে দেখতে পাচ্ছে না। বিয়েটা কিভাবে ভাঙা যায় সেটাই ভাবছি বসে বসে৷ এখন আপাতত আয়েশ করছি, কিছুক্ষন পরেই খেল দেখানো শুরু হবে। একটা মোটা মহিলা এসে আমি যেই চেয়ারে বসে আছি সেখানে বসে পড়লো। মাগোমা, কি শরীর রে বাবা। কষ্ট করে তার শরীরের নিচ থেকে বের হয়ে পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। শত হলেও আমার বাড়ির অতিথি কিনা।

আবির বর সাজছে, পাগড়ি মাথায় দিয়ে দেখছে তাকে কেমন লাগছে। আমি আবিরের মাথার পাগড়িটা ফেলে দিলাম। মজা করতে ইচ্ছে করলো কিছু টা। তবে ওর প্রতি যে রাগ জমে আছে তাতে এখনি জীবন ও'ষ্ঠাগত করে দিতে মন চাইলো। কিন্তু তা করলাম না। ওকে মা'রবো তিলে তিলে। প্রতিটি কষ্টের জবাব আবিরকে দিতে হবে। আমার বাচ্চাটাকে পৃথিবীর আলো দেখতে না দেওয়ার য'ন্ত্রণা ভুগতে হবে ওকে।

আমি আয়নায় বড় বড় করে র'ক্ত দিয়ে লিখে দিলাম "বিয়ে করতে যাচ্ছো? গিয়ে অন্তত হাসির পাত্র হইয়ো না। আমি ফিরে এসেছি।" লেখাটা দেখে ভরকে গেলো আবির। এদিক ওদিক তাকিয়ে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট মুছে লেখাটা ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করলো। ততক্ষণে লেখাটা মুছে গেছে। নিতান্তই মনের ভুল ভেবে খুশি মনে বিয়ে করতে বেরিয়ে গেলো। মনে মনে ভাবলাম "নিজেই যখন খাল কে'টে কুমির নিয়ে আসে!"

আমি গেলাম যেই মেয়েকে বিয়ে করছে সেই মেয়ের কাছে। মেয়েটা বড্ড সুন্দরী। যে কোনো মেয়ে এই মেয়ের কাছে হার মেনে যাবে সেটা হলফ করে বলতে পারি। মেয়েটাকে আগে কোথাও দেখেছি। তবে মনে করতে পারছি না। বিয়েটা ভাঙতেও খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই। আত্মা হয়েও মনমানসিকতা এতো ভালো করার মানে হয়না কোনো। আমাকে আরো কঠিন হতে হবে।

মেয়েটার ডায়েরির পাতাগুলো অস্বাভাবিক ভাবে উল্টিয়ে লিখে দিলাম "বিয়েটা করো না, পস্তাবে। ছাঁদে এসো তোমার সাথে কথা আছে। তোমাকে কিছু বলতে চাই বিয়ে সম্পর্কে।"

চলবে?...
#গল্প_ভুতুড়ে_আত্মহ_ত্যা



গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, আশা করি ভয়ানক ভাবে উপস্থাপন করতে পারবো। কেমন হলো সেটা জানানো আপনাদের দায়িত্ব। হ্যাপি রিডিং!

03/06/2023

#সে
পর্ব-১

-আমার ঘেন্না পাওয়ারও যোগ্যতাও তোর নেই আর তো ভালোবাসা।কথাটা বলেই তূর্য অন্তীকে ধাক্কামেরে বিছানায় ফেলে দেয়
-তূর্য ভাইয়া কি করছো আমার লাগছে আমি কিন্তু ফুপ্পি কে বলে দিবো
তূর্য কোনো কথা না বলেই অন্তীর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়....তারপর একরকম জোড় করেই......

বিছানার এক পাশে গুটি শুটি মেরে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে অন্তী।ঠিক তার পাশেই উবু হয়ে শুয়ে আছে তূর্য।অন্তী একবার তূর্যর দিকে তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নেয়।স্বভাবিক ভাবেই অন্তীর নখের দাগ তূর্যর পিঠে স্পস্ট দেখা যাচ্ছে। অন্তী এক নজরে তাকিয়ে আছে বিছানার চাদরের লাল দাগের দিকে।এগুলো তো রক্তের দাগ.........সাদা চাদরে রক্তের দাগ গুলো স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

আজই অন্তী আর তূর্যর পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয়েছে।তূর্য অন্তির ফুপাতো ভাই।ফুপু এই বিয়েতে রাজি না থাকলেও অন্তীর দাদীর জেদের বসেয় অন্তীর আর তূর্যর বিয়েটা তরিঘরি করে দিয়ে দেওয়া হয়।

অন্তীরা চার বোন।তাদের মধ্যে অন্তীই সবার বড়।অন্তী সবে মাত্র ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে উঠেছে।এরই মধ্যে অন্তীর বাবার একটা রোড অ্যাক্সিডেন্টে ডান পাশটা প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
ব্যাস অন্তীর বাবার চাকরিটাও আর নেই।অন্তীদের পরিবারের এখন একরকম হা-ভাত দশা।

এদিকে তূর্য বিদেশ থেকে পিএইচডি করে সবে মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসরের পদে নিয়োগ প্রাপ্ত।

এমন সোনারটুকরো ছেলেকে এরকম একটা পরিবারে বিয়ে দিতে একেবারে নারাজ তূর্যর মা।যতই ভাইয়ের মেয়ে হোক তবুও এমন উচ্চ শিক্ষিত ছেলেকে কোনো উচ্চ পরিবারেই বিয়ে দেওয়া যায়।ভাই যদি সুস্থ থাকতো চাকরি বাকরি করতো তাও হতো কিন্তু এখন পরিবারের এই দশা গোটা পরিবারটাই তো ছেলের ঘারে এসে পড়বে।এরকম পরিবারে আত্মীয়তা করতে চায় না সে।

কিন্তু বৃদ্ধ মা যখন অন্তীকে তার ঘরের বউ করার জন্য কাকুতিমিনতি করলো তা আর সে ফেলতে পারলো না।যদিও তার ধারনা ছিলো তূর্য অন্তীকে একদম পছন্দ করে না।অতএব তূর্য নিজেই নানী কে এই বিয়েতে না করে দিবে।

মনের মধ্যে একরাশ কালো মেঘ রেখেই এই বিয়েতে মত দিয়ে দিলো অন্তীর ফুপু তমসা বেগম।

তূর্য দুদিন হলো এদেশে ফিরেছে।বিয়ে নিয়ে আপাতোতো তার কোনো পরিকল্পনায় ছিলো না।হটাৎ করেই নানুমুনির বিয়ে নিয়ে মাতামাতি আনুনয় বিনুনয় দেখে তূর্য আর কোনো কথা বলে নি।
বলতে গেলে কোনো কথায় সে বলে নি না বলেছে হ্যা, না বলেছে না।
মৌনতা সম্মতির লক্ষন ভেবে সবাই তড়িঘড়ি করেই বিয়ের যোগাড় করা শুরু করে দেয়।

অন্তী সবে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরেছে। অন্তী বাড়ি ফিরতে দেখেই দীদা আর মা তার গায়ে একটু হলুদ ছুঁয়ে দেয়।
অন্তী অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকাতেই তারা জানিয়ে কোনো উওর না দিয়ে অন্তীকে একটা লাল বেনারসি সাড়ি বার করে দেয়।
অন্তী অবাক হয়ে তাকায় মায়ের দিকে
-এটা তো তোমার বিয়ের শাড়ি।এটা দিয়ে আমি কি করবো আমাকে কেন দিচ্ছো

অন্তীর মা আচঁল দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না জুড়ে দেয়।
-এখন আমাদের অবস্থা তো জানিসই এর চেয়ে বেশি দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।।তোকে একটু গয়না গড়িয়ে দিবো সেই সামর্থও আল্লাহ আমাদের দেয় নি।

অন্তী অবাক চোখে তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে।অন্তীর মা আর দাদী মিলে অন্তীকে সাজিয়ে গুছিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেয়।
অন্তী শুধু অবাক হয়ে তাদের কর্ম কান্ড গুলো দেখছে।
এরই মধ্যে তূর্যকে নিয়ে তূর্য ছোট ভাই বড় ভাই, বড় ভাবি আর বাবা চলে এসেছে।এই বিয়েতে মায়ের আপত্তি থাকলেও তূর্যর বাবার কোনো আপত্তি নেই।কারন তূর্যর বাবা আর অন্তীর বাবা সেই ছেলে কালের বন্ধু।

অন্তী একা একা চুপচাপ বসে আছে।হটাৎ করেই অন্তীর ছোট বোন অন্তীর কানে কানে এসে বলে
-আপু আজ তোর বিয়ে
অন্তি একবার চোখ তুলে তাকায় অর্নার দিকে
-আমি কিছুটা আন্দাজ করেছিলাম।
-শুনবি না কার সাথে বিয়ে??
-শুনে কি লাভ।বিয়েটা তো হবেই আমি না চাইলেও হবে।
-হ্যা তা হবে।জানিস আপু তোর কার সাথে বিয়ে হচ্ছে??
-না জানি না।কি করে জানবো আমাকে তো কেউ কিছু বলে নি না মা না দীদুন
- তোর বিয়েটা তূর্য ভাইয়ার সাথে হচ্ছে।

নামটা শোনা মাত্রই অর্নীর বুকের ভেতরটা ধক করে উঠে।চোখ দুটো ভিজে উঠে
-এই লোকটা কি কোনো দিনও আমাকে শান্তুি দিবে না আবার আমাকে সেই আগের মতো.........(মনে মনে)

অর্না অন্তীর দিকে তাকিয়ে এক গাল হেসে হাত দুটো বাড়িয়ে দেয়
-দেখ আপু তূর্য ভাইয়া আমাদের সবার জন্য কতো চকোলেট আমাদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর গিফট ও এনেছে এগুলো গত কালই দিয়ে গেছিলো শুধু তোর জন্য আনে নি আবার তোকে কিছু দিতে মানাও করে গেছে।

কথাগুলো বলেই অর্না বাহিরে চলে যায়।
বর যে চলে এসেছে।

বেশ ঘরোয়া ভাবেই অন্তীর সাথে তূর্যর বিয়েটা হয়ে যায়।সব নিয়ম শেষে কবুল বলার পরপরই হটাৎ তূর্য উঠে দাড়ায়।

সবাই অবাক হয়ে তাকায় তূর্যর দিকে
-কি হয়েছে বাবা(অন্তীর মা)
-(....)
-দাদু ভাই কি হলো তুমি উঠে দাড়ালে কেন?(দাদী)
-নানুমুনি আশা করি এখানে আমার প্রয়োজন শেষ আমি আসছি।
-মানে কি বাবা.... কোথায় যাচ্ছো তুমি??(বাবা)
-তোমরা অন্তী নিয়ে বাড়ি এসো আমি যাচ্ছি....

কথাগুলো বলেই তূর্য সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।সবাই তো অবাক।অনেক ডাকাডাকির পরও তূর্য পেছন ফিরে তাকায় না।
অর্নীর গাল বেয়ে কয়েকফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে।অর্নীর অন্তর আত্না বলে উঠে
"এই তো সবে শুরু হয়তো সামনে আরো অনেক অবহেলা অপেক্ষা করছে"

অবশেষে তূর্যর পরিবারের লোকেরাই অন্তীকে বাড়িতে এনে তোলে।

সবাই অন্তীকে ড্রইং রুমে রেখেই যে যার ঘরে চলে যায়।অন্তী সিড়ির কাছে দাড়িয়ে আছে।কোন দিকে যাবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না।বেশ কিছু সময় দাড়িয়ে থেকেও কারো হুদিশ মিল্লো না।
এদিকে তমসা বেগমেরও কোনো হুদিশ নেই।সে তো ঘরের দরজা এটে বসে আসে।
"তার মাথায় একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তূর্য কেন অন্তীকে বিয়ে করতে রাজী হলো"

এতোক্ষন দাড়িয়ে দাড়িয়ে অন্তীর পা ব্যাথ্যা হয়ে গেছে অন্তী সবে মাত্র কাউকে একটা ডাকতে যাবে তখনই তাকিয়ে দেখে তূর্যর ছোট ভাই তিয়াশ উপর থেকে সিড়ি বেয়ে নামছে....
অন্তী তিয়াশ কে দেখে একটু এগিয়ে গিয়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে পড়ে....
-ভাইয়া কোন দিকে যাবো?আমি তো এই নতুন বাড়িতে কখনো আসি নাই!!
-ওফ আমার ভুল হয়ে গেছে তোমাকে তোমার ঘর পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া উচিৎ ছিলো।আসলে আমি ভেবেছিলাম বড় ভাবী হয়তো...আচ্ছা বাদ দাও চলো আমার সাথে.....

তিয়াশ অন্তীকে ঘরে রেখে বেরিয়ে আসে।অন্তী গোটা ঘরটা ঘুরে ঘুরে দেখছে।ঘরটা দেখে বোঝাউ যাচ্ছে না এটা কোনো বাসর ঘর।ঘরটা স্বাভাবিক ভাবেই বেশ ছিমছাম পরিপাটি করে গুছানো।
"তূর্য ভাইয়া তো আগে এতো গুছানো ছিলো না বাবাহ্ বিদেশ গিয়ে তূর্য ভাইয়ার বেশ উন্নতি হয়েছে"
কথাটা বলে পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে তূর্য একদম অন্তীর মুখোমুখি দাড়িয়ে আছে।
তূর্যকে দেখে অন্তী ভীত দেখার মতো চমকে উঠে।
-আসলে ভাইয়া না মানে.....
তূর্য অন্তীকে পাশ কাটিয়ে কাবাডের দিকে এগিয়ে যায়।কাবাড থেকে একটা ধবধবে সাদা বেড কাভার বের করে অন্তীকে ধরিয়ে দেয়।
-নে....
-এটা দিয়ে আমি কি করবো??
-পড়বি!!
-কিহ্??এটা তো বিছানার চাদর জামা না এটা তো পড়া ও যায় না
-বাহ্ চিন্তেই তো পাড়লি এটা বেড কভার তাহলে বেড কভার যা করে তাই করবি!!
-কিন্তু বিছানায় তো একটা চাদর বিছানো আছে
-যা বলেছি তাই কর এতো বেশি কথা বলিশ কেন?

অন্তী মাথা নিচু করে খুব যত্ন সহকারে বেড কভারটা বিছানা বিছিয়ে দেয়।
-তূর্য ভাইয়া তুমি কি এখনো আমার উপর রাগ করে আছো??

অন্তী কথাটা বলে পেছন ফিরতেই তূর্য অন্তীকে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দেয়।তারপর তূর্য অন্তীকে বিছানায় চেপে ধরে
-আমার ঘেন্না পাওয়ারও যোগ্যতা তোর নেই আর তো!!
-তূর্য ভাইয়া কি করছো আমার লাগছে আমি কিন্তু ফুপ্পি কে বলে দিবো

তূর্য কোনো কথা না বলেই অন্তীর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়....

চলবে.....
(ভালো লাগলে জানাবেন নেক্সট লিখবো।আর ইনশাআল্লাহ প্রতিদিনই গল্প পাবেন)

Adresse

Netrakona
Democratic Republic Of The

Site Web

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque Freelancing Help BD publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Vidéos

Partager