World Politics Discuss

World Politics Discuss Welcome to our page www.wpd.int

Permanently closed.
ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় চার বছর পর, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে শনিবার ভোট দিয়েছে, পাকিস্তানের সংসদের ...
09/04/2022

ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় চার বছর পর, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে শনিবার ভোট দিয়েছে, পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ, জাতীয় পরিষদ।

স্পিকার কায়সার একজন সিনিয়র বিরোধী আইন প্রণেতা, আয়াজ সাদিককে ৩৪২-সদস্যের হাউজের বিশেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য "বিদেশী ষড়যন্ত্রে" অংশ নিতে পারবেন না।

এর মাধ্যমে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা প্রমাণ হলো।।
তাই আমেরিকা ও তার মিত্ররা খানকে এক প্রকার গায়ের জোরে ক্ষমতাচ্যুত করলো।।

রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ অনেক দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করবে।।।।

Source:TRT World

08/03/2022
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইমরান খানের ভাষণ। 🇵🇰ইমরান খান বলেন, পৃথিবীব্যাপি ছড়িয়ে পড়া ইসলামোফোবিয়া তথা 'মুসলিম বিদ্বেষ' স...
26/09/2021

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইমরান খানের ভাষণ। 🇵🇰

ইমরান খান বলেন, পৃথিবীব্যাপি ছড়িয়ে পড়া ইসলামোফোবিয়া তথা 'মুসলিম বিদ্বেষ' সর্বনাশা হিসেবে কাজ করছে যা বন্ধে সম্মিলিত সংগ্রাম প্রয়োজন।৯/১১ এর ঘটনার পর সন্ত্রাসকে ইসলামের সাথে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।আমি জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলকে বলব ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় 'গ্লোবাল ডাইলগ' এর ব্যাবস্থা করুন।বিজেপি;আর এস এস শাসিত হিন্দুত্ববাদী ভারতে ইসলামোফোবিয়া খুব খারাপভাবে বেড়েছে। ভারতে মুসলিম বিদ্বেষী আইন পাস, সেখানকার মসজিদ ধ্বংস, মুসলমানদের ইতিহাস,ঐতিহ্য মুছে ফেলার চেষ্টা যার বহিঃপ্রকাশ।

কাশ্মীরঃ ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে অধিকৃত কাশ্মিরে যা চলছে তা নিশ্চিত যুদ্ধপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ।বিশেষকরে ১৫ আগস্ট ২০১৯ এরপর কাশ্মিরের সিনিয়র নেতাদের জেলে ঢুকানো হয়েছে,মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের উপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে,শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিংস্রভাবে দমানো হয়েছে, ১৩ হাজার তরুণ কাশ্মীরি মুসলিম অপহরণের শিকার হয়েছে,বিচারের নামে অবৈধভাবে হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য কাশ্মীরিদের।বিশ্ববাসী ভারতের সর্বশেষ হিংস্র আচরণ দেখেছে বিখ্যাত কাশ্মীরি নেতা সৈয়দ আলী গিলানির পরিবারের সাথে যা হয়েছে তার মাধ্যমে। তবে দুঃখের বিষয় বিশ্ববাসী এ ব্যাপারে একেবারে চুপ হয়ে আছে যেহেতু ভারতে তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ জড়িত।

আফগানিস্তানঃআমেরিকা,ইউরোপ কর্তৃক পাকিস্তানকে ব্লেইম করা হয় আফগান সমস্যার জন্য। আমি তাদের জানিয়ে দিতে চাই,আফগানিস্তান সমস্যার জন্য যে দেশ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে তার নাম কিন্তু পাকিস্তান। আমেরিকার নেতৃত্বে 'ওয়ার অন টেরর' এ যোগ দিয়ে পাকিস্তান ৮০ হাজার মানুষ হারিয়েছে,১৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে,অসংখ্য বার ড্রোন আক্রমণে প্রকম্পিত হয়েছে। আজ লক্ষ লক্ষ শরনার্থী দিয়ে পাকিস্তান জর্জরিত।

এবার বর্তমান প্রসঙ্গে আসি, আফগানকে যদি এই চরম সংকটের মুহুর্তে অবহেলা করা হয় তাহলে 'জাতিসংঘের হিসাব মতে' আগামী বছরের মধ্যে ৯০% মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে।এই মানবিক সংকটের যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে তা শুধু আফগানিস্তানের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতেই আঘাত হানবে না অধিকন্তু সর্বত্র এর প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।এই ভূমি যদি আবারো অস্থিতিশীল হয় তাহলে তা আবারো সন্ত্রাসীদের নিরাপদ স্বর্গে পরিণত হবে।সুতরাং এসব সমস্যা সমাধানের শুধু একটাই পথ, আর তা হলো;বর্তমান তা লে বা ন সরকারকে শক্তিশালী করে সামনে অগ্রসর হওয়া।জনগণের মঙ্গলের জন্য হলেও বর্তমান সরকারকে স্থিতিশীল করা প্রয়োজন।আর তা লি বা ন সরকার তো বলেই দিয়েছে
১) মানবাধিকার সংরক্ষণ করা হবে
২) সকল দলের অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করবে
৩) আফগানিস্তান কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের জন্য ব্যাবহৃত হবে না।
তাছাড়াও তারা তা লে বা ন বিরোধীসহ সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে।

সুতরাং বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিৎ তাদেরকে এসবে আরো উৎসাহিত করা।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান করছি অতিদ্রুত আফগান জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করুন।

উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা ভ্যাক্সিনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কথা বলেছেন ইমরান খান।

২০২১ সালটি যেন মধ্য প্রাচ্যকে নতুন করে সাজাচ্ছে। বিশেষ করে উপসাগরীয় অঞ্চলে গত দশ বছরের মেরুকরণ ভেঙে এখন আবার নতুন নতুন স...
09/09/2021

২০২১ সালটি যেন মধ্য প্রাচ্যকে নতুন করে সাজাচ্ছে। বিশেষ করে উপসাগরীয় অঞ্চলে গত দশ বছরের মেরুকরণ ভেঙে এখন আবার নতুন নতুন সম্পর্ক গড়ছে পুরোপুরি বিপরীত মেরুর দেশগুলো।

ঘনিষ্ঠ মিত্র থেকে এখন প্রায় শত্রুর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
২০২১ সালটি যেন মধ্য প্রাচ্যকে নতুন করে সাজাচ্ছে। ওখানকার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার অভূতপূর্ব পরিবর্তন শুরু হয়েছে এ বছরের শুরু থেকেই। সে পরিবর্তনগুলো আস্তে আস্তে আরও দৃশ্যমান হচ্ছে। বিশেষ করে উপসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক সম্পর্ক নতুন করে সাজানো হচ্ছে। গত দশ বছরের মেরুকরণ ভেঙে এখন আবার নতুন নতুন সম্পর্ক গড়ছে পুরোপুরি বিপরীত মেরুর দেশগুলো। ওই অঞ্চলের দেশগুলোর আগামী কয়েক দশকের গতিপথ নির্ধারণ হচ্ছে এবং এ গতিপত পুরপুরি স্পষ্ট হবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে। এ নিয়ে কয়েকটি ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তবে আমাদের আজকের বিষয় তুরস্ক এবং আরব আমিরাতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

প্রায় দশ বছরের বৈরী সম্পর্কের পরে তুরস্ক ও আরব আমিরাত আবারও নতুন করে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন দু দেশের নেতৃবৃন্দ। সম্পর্ক বৃদ্ধির কথা বলছেন তারা। অনেকেই এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ দেখছেন সন্দেহের চোখে । অনেকে বলছেন আরব আমিরাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সব সমস্যার মূল। তাই এই দেশটিকে বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। তাদের মতে আরব আমিরাত যদি তুরস্কের খুব কাছে আসতে চায় তাহলে এর পিছনে নিশ্চয়ই অন্য কোন ফন্দি থাকতে পারে।

তবে আমরা যদি সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার দিকে লক্ষ্য করি এবং পরিবর্তনগুলোকে মূল্যায়ন করি তাহলে দেখতে পাব যে গত এক বছর আগেও ওখানকার এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্ক যা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে তার প্রায় পুরোটাই ইউটার্ন করেছে।

যেমন এক সময়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান এবং আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেক মধুর ছিল। যদিও তাদের বয়সের পার্থক্য প্রায় ২৫ বছর, কিন্তু এ পার্থক্য তখন তাদের বন্ধুত্বে কোন বাধা হতে পারেনি। এই দুই যুবরাজই কার্যত তাদের দেশ শাসন করেন এবং তাদের লক্ষ্যও উচ্চাকাঙ্ক্ষী। অনেক বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত বিষয়ে গভীর সহযোগিতা ছিল।

এমনও মনে করা হয়েছিল যে, তারা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবেন। কিন্তু আস্তে আস্তে সে সম্পর্কে ঘুণ ধরতে শুরু করে। ঘনিষ্ঠ মিত্র থেকে এখন প্রায় শত্রুর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন তারা। তাদের বর্তমানের এই বৈরী সম্পর্ক আবারো প্রমাণ করলো যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্ধুত্ব স্বার্থে আঘাত লাগা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকার হাত গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তে ওই অঞ্চলের সব দেশ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে তাদের দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে। নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে তাদের শত্রু এবং মিত্রদের। সবাই এখন নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, মিশর, জর্ডান, ইরাক, ইরান, সিরিয়াসহ প্রায় সবাই এখন নতুন করে ভাবছে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এতদিন আমেরিকার কোলে বসে যারা নাচত আর অন্যের নাচন দেখতো তাদেরও সে তাসের ঘর ভেঙে গেছে।

সুতরাং এখানে তুরস্ক এবং আরব আমিরাতের সম্পর্ককে যদি শুধুমাত্র এই দুটি দেশকে নিয়ে মূল্যায়ন করি তাহলে হয়তো অনেক কিছুই বোঝা সম্ভব হবে না। এই সম্পর্ককে মূল্যায়ন করতে হবে পুরো অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সবগুলো দেশের সম্পর্ককে সামনে রেখে।

২০১১ সালের সেই তথাকথিত আরব বসন্তের ছোঁয়ায় যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছিল, তখন তুরস্ক এবং কাতার ওইসব দেশে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সাপোর্ট দেয়। গণতন্ত্রের বাণী শোনায়। কিন্তু এগুলো অনেক দেশের শাসকদের মসনদ ধরে টান দেয়। শেষপর্যন্ত দুটো বলয় তৈরি হয়। তুরস্ক-কাতার-মুসলিম ব্রাদারহুড বলয়। আর আরব আমিরাত-সৌদি আরব-মুসলিম ব্রাদারহুড বিরোধী বলয়।

আস্তে আস্তে এই মেরুকরণ আরও স্পস্ট ও প্রশস্ত হয়। একদিকে থাকে আমিরাত-সৌদি-মিসর-বাহরাইন এবং ইসরাইল। অন্যদিকে থাকে তুরস্ক-কাতার এবং ইরান।

সৌদি-আমিরাত বলয় আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাতে যোগ দেয়, ভারত, গ্রীস, সাইপ্রাস, ফ্রান্স, ইরাক, সিরিয়া। আর তুর্কি কাতার বলয়ে যোগ দেয় আজারবাইজান এবং পাকিস্তান।

উভয় মেরুই একে অপরের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়। তবে তুরস্ক-কাতার বলয়কে সরাসরি আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। যেমন- কাতারের বিরুদ্ধে বয়কট, তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান ইত্যাদি। এই দেশগুলোকে পড়তে হয় চতুর্মুখি আক্রমণের মুখে। তাদেরকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে ধ্বংসের প্রচেষ্টা চলতে থাকে। অন্যদিকে সৌদি-আমিরাত বলয় মুসলিম ব্রাদারহুডের কারণে অস্বস্তিতে থাকে। সঙ্গে যোগ হয় জামাল খাসোগীর হত্যা এবং ইয়েমেন যুদ্ধ আর আমেরিকার অবহেলা।

উভয় মেরুই মূলত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হতে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে হয়ে পরে কোনঠাসা ।

তুরস্ককে বাঁচাতে ছুটে আসে কাতারের অর্থ, আর সৌদি-জোটের অবরোধ থেকে কাতারকে বাঁচাতে যায় তুরস্ক এবং ইরানের পণ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুরস্ক-কাতার-ইরান বলয় শত ঝড়ঝাপটা সত্ত্বেও টিকে থাকতে সক্ষম হয়। যদিও অর্থনীতি একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে।তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আস্তে আস্তে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। পশ্চিমারা কিছুটা কাতারের দিকে ঝুঁকতে থাকে। বিশেষ করে আফগানিস্তান বিষয়ে আমেরিকা এবং তালেবানের মধ্যস্থতায় কাতার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলে যায় এক নতুন উচ্চতায়। এই বলয়ের বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়। অর্থনীতির চেয়ে সামরিক এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে আরও বেশি সাপোর্ট দেয়।

অন্যদিকে সৌদি আরব-আমিরাত জোটও অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পরে। তেলের মূল্যহ্রাস, করোনার আক্রমণ এবং ইয়েমেনের যুদ্ধের কারণে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। আস্তে আস্তে ওই বলয়ে ভাঙন ধরে। সৌদির সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ হয়। আমিরাত-সৌদি সম্পর্কেও শুরু হয় টানাপড়েন। মিশর বেঁছে নেয় নিজের পথ।

ওই জোটের সবাই আবার নতুন করে সম্পর্ক গড়া শুরু করে এই তুরস্ক-কাতার-ইরান জোটের সঙ্গে। কাতারের ওপর থেকে অবরোধ উঠিয়ে নেয় সৌদি জোট। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব সম্পর্ক গড়তে শুরু করেছে। মিসরের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আলোচনা চলছে। কাতারের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক প্রায় আগের জায়গায় চলে গেছে। তুরস্কের সঙ্গেও সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইচ্ছুক।

অন্যদিকে তুরস্ক এবং কাতারও মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি তাদের সমর্থন কমিয়ে আনছে। এই দুই দেশের সমর্থিত মুসলিম ব্রাদারহুড পরিচালিত গণমাধ্যমগুলোকে মিশর, আমিরাত এবং সৌদি আরবের বিরুদ্ধে নেতিবাচক খবর প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

সব কিছু মিলিয়ে মধ্য প্রাচ্যে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হচ্ছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আবার সেই ২০১১ সালের আগে ফিরে যাওয়ার অনেক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে মিশর এবং সৌদি আরবের সম্পর্ক গড়ার কাজ ধীর গতিতে আগাচ্ছে। কিন্তু আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। এর অবশ্য কয়েকটি কারণও আছে।

সৌদি আরব এবং মিশরের সঙ্গে তুরস্কের বড় দুটো সমস্যা আছে যেগুলো আরব আমিরাতের সঙ্গে নেই। যেমন- সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসগজির মৃত্যুর সব দলিল দস্তাবেজ তুরস্কের হাতে আছে যা ভবিষ্যতে সৌদি প্রিন্সের মাথাব্যাথার কারণ। এ কারণে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ভবিষ্যৎ খুব একটা মসৃণ হবে না। তার বাদশা হওয়ার স্বপ্নে সব সময়ই পথের কাঁটা হয়ে থাকবে এই খাসগজি হত্যা ঘটনা।

আর মিশরের শাসক আব্দুল ফেত্তাহ আল সিসি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা। তার গদি অতোটা শক্তিশালী না। পশ্চিমারা নাড়াচাড়া দিলে যেকোনো সময় পরে যেতে পারে। আর তুরস্কও তাকে সরাসরি আক্রমণ করেছে। তুরস্কের এই সামরিক জান্তা বিরোধী অবস্থান সহজে পরিবর্তন হওয়ার নয়। উপরে উপরে পরিবর্তন হলেও তুরস্ক সবসময় সামরিক জান্তা বিরোধী অবস্থানে থাকবে। তাই সৌদি আরব এবং মিশর এই দুই বিষয় নিয়ে তুরস্ককে বিশ্বাস করতে পারছে না। এবং তুরস্ক এখানে শক্তিশালী ভূমিকায় আছে।

অন্যদিকে, তুরস্ক আরব আমিরাতের কাছে অনেক দিক দিয়ে একরকম আটকা আছে। যেমন ভু মধ্যসাগরে, ইরাকে, সিরিয়ায়, লিবিয়ায়, আফ্রিকার আরও অনেক দেশে তুরস্কের মুখোমুখি আমিরাতের প্রক্সিরা। একটু ঝামেলা হলেই তাদের দিয়ে হামলা চালাবে তুরস্কের স্বার্থের উপর। তাই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কে ভবিষ্যতে আমিরাতের উপরে চাপ আসার সম্ভবনা কম। অর্থাৎ- আমিরাত তুরস্ক সম্পর্কে, আরব আমিরাত শক্ত অবস্থানে। তাই তুরস্ক একটু নমনীয় হওয়ায় আমিরাত দৌড়ে আসছে সম্পর্ক গড়তে।

আসলে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি-আমিরাতি জোট তাদের কিছু কৃত্রিম কমন শত্রু তৈরি করে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক শক্ত করেছিল। অর্থাৎ- তারা তাদের চারিদিকে এমন কিছু কমন সমস্যার সৃষ্টি করেছে যার আল্টিমেট ফলাফল দাঁড়ায় শত্রুর বিরুদ্ধে ঐক্য। যেমনটি হয়েছে, ইয়েমেন যুদ্ধের শুরুতে, কাতারের বিরুদ্ধে, তুরস্কের বিরুদ্ধে, মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে। এগুলোতে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এগুলোর বেশিরভাগই ছিল সৌদির তৈরি সমস্যা। এক্ষেত্রে আসলে আরব আমিরাত মূলত সৌদি আরবের পাশে দাঁড়ায়। যেমন ইয়েমেনের যুদ্ধ মূলত ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের যুদ্ধ।২০১৫ সালে সৌদি এবং আবু ধাবির যুবরাজরা মিলে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথিদের দমন করতে একটি আরব সামরিক জোট গঠন করে। ২০১৭ সালে কাতারের বিরুদ্ধে যে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাও মূলত সৌদি আরবের স্বার্থেই করা একটা অযৌক্তিক অবরোধ।

কিন্তু এসব লড়াইয়ে সৌদি বলয়ে থাকায় আমিরাত আসলে তেমন কিছুই পায়নি। যেমন ইয়েমেন যুদ্ধে কোন সফলতা নেই। ফলে ২০১৯ সালে আমিরাত তাদের সৈন্যদের একটা বড় অংশ তুলে নিয়ে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হয় সৌদি আরব। আমিরাত সেখানে সৌদি বিরোধী একটা গ্রুপকে সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে, এবছরের জানুয়ারিতে কাতারের উপর থেকে নিসেধাজ্ঞ তুলে নেয় সৌদি আরব তাতে ক্ষুব্ধ হয় আরব আমিরাত। আবার গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করলে সৌদি আরব নাখোশ হয়।

এছাড়াও বহুমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের নিয়ে আসেন নতুন এক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা যা ভিশন-২০৩০ নামে পরিচত। এই পরিকল্পনা নিয়েও বিপাকে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ের আদলে সৌদিকে একটি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চাইছেন এমবিএস। এরই অংশ হিসেবে সৌদি আরব গত ফেব্রুয়ারি মাসে বহুজাতিক সংস্থাগুলোকে উপসাগরীয় এলাকায় তাদের আঞ্চলিক সদরদপ্তরগুলো ২০২৪ সালের ভেতর সৌদি আরবে স্থানান্তর করার আল্টিমেটাম দেয়। তা না করলে সৌদি সরকার ওই কোম্পানি গুলোর সঙ্গে কোন চুক্তি করবে না বলেও জানায়।

ওই এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র দুবাই এই হুমকি ভাল চোখে দেখেনি। তারা এটাকে আমিরাতের ওপর পরোক্ষ একটা হামলা বলেই বিবেচনা করেছে।

সৌদি-আমিরাতের দ্বন্দ্ব যেভাবে প্রকাশ্যে আসে

আমিরাত এবং সৌদি আরবের মধ্যে এই বিবাদ আরও প্রকাশ্যে আসে ওপেক প্লাসের সর্বশেষ বৈঠকে। জুলাইয়ের শুরুতে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই বৈঠকে, ওপেক প্লাসের নেতা সৌদি আরব এবং রাশিয়া তেল উৎপাদনের মাত্রা কমিয়ে রাখার প্রস্তাব দিলে সংযুক্ত আরব আমিরাত তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে তাদের আলোচনা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সৌদি আরব তার পর্যটকদের আমিরাতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে। সেখানে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও সৌদি আরব তাদের পণ্য আমদানি নিয়ে নতুন আইন জারি করে যাতে মূলত আমিরাতি পণ্য সৌদি আরবে ঢোকার পথ সঙ্কীর্ণ করা হয়।

এই সব কিছুই ওই অঞ্চলের ভূ- রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে।যে আমিরাত-সৌদির স্বার্থে তার জোরজুলুমকে সমর্থন দিয়েছে কাতার এবং ইয়েমেনে, সেই আমিরাতকেই এখন ওই অঞ্চলে একঘরে করে রাখার পাঁয়তারা চলছে। সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের, ইরানের এবং তুরস্কের সম্পর্ক উন্নয়নের যে চেষ্টা চলছে তাতে আমিরাত এক ঘরে হয়ে পড়েছে এবং এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যাতে আমিরাতকেই উপসাগরীয় অঞ্চলের সব সমস্যার মূল হিসেবে দেখানো হয়। মধ্য প্রাচ্যের সব ঝামেলার মূলেই যেন এই দেশটি। যদিও কথাটি অনেকাংশে সঠিক কিন্তু পুরোপুরি দায় আমিরাতের না। কারণ বেশিরভাগ সমস্যায় সৌদি যুবরাজের অতি বেশি ক্ষমতার প্রভাব এবং উচ্চাভিলাষী সিদ্ধান্ত অনেকাংশেই দায়ী।

তবে এই সৌদি-আমিরাত-মিশর জোটের মধ্যে তুরস্কবিরোধী অবস্থানের একেবারে শীর্ষে ছিল আমিরাত। তাদের মিডিয়া এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সরাসরি আক্রমণ করতো তুরস্ককে, তুরস্কের নেতৃবৃন্দকে এবং অটোম্যান সুলতানদেরকেও।

এমনকি গত কয়েকমাস আগে দুবাইতে বসে তুর্কি মাফিয়া ডন সেদাত পেকের এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনামূলক অনেকগুলো ভিডিও ছাড়েন ইউটিউবে। সেগুলো পরে আমিরাতি মিডিয়াও ফলাও করে প্রচার করে। এবং এমন বার্তা দেয় যেন এরদোগানের পতন শুরু হয়েছে। পরবর্তিতে দু'দেশের গোয়েন্দা সংস্থা যোগাযোগ করে। সেদাত পেকেরের মুখ বন্ধ করে। তখনই ধারণা করা হয়েছিল যে দু দেশের সম্পর্কে নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে।

আসলে সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতনের পরে। তখন থেকেই আরব আমিরাত মূলত কাতার এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থান শিথিল করতে থাকে। আমিরাতের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ একসময় তার কট্টর তুরস্ক বিরোধী অবস্থান থেকে সরে এসে আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলেন সেই ৪-৫ মাস আগে। তার পরে চলতে থাকে গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক যোগাযোগ। এপ্রিল মাসে দু দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা ফনালাপ করেন। রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এক মাস পরে তুরস্ক আরব আমিরাতে তার রাষ্ট্রদূত প্রেরণ করে। আমিরাতও তুরস্কের ব্যবসায়ীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। উভয় দেশের মধ্যে দৈনিক বিমান চলাচল শুরু হয়।

সর্বশেষ গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে আমিরাতের প্রধান নিরাপত্তা উপদেস্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান তুরস্ক সফরে আসেন। এরদোগানের সঙ্গে দেখা করেন। সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে কথা বলেন।তিনি গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তার চেয়ে বরং অর্থনৈতিক এবং বাবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে বেশি আলোচনা করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্কে খুব বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ করবে বলেও জানানো হয় সেই বৈঠকের পরে। এর কয়েকদিন পরে তিনি সফর করেন কাতার সেখান থেকেও আসে অনেক ইতিবাচক বার্তা। তার এই সফরগুলো ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ঊর্ধ্বগতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তিনি হলেন আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্সের ছোট ভাই এবং রাজ পরিবারের ব্যবসাবাণিজ্যের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের দেখভাল করেন। আরব আমিরাতের সুপ্রিম কাউন্সিল ফর ফাইনান্স এন্ড একনমিক অ্যাফেয়ার্সেরও বোর্ড সদস্য। Abu Dhabi Developmental Holding Company'র চেয়ারম্যান, First Abu Dhabi ব্যাংকের চেয়ারম্যান, AbuDhabi'র Royal Group এরও চেয়ারম্যান সহ অনেক বড় বড় কোম্পানির প্রধান পদটি তার দখলে।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করছেন তুরস্কে আরব আমিরাতের এই বিশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হবে কোথায় এবং কোন সেক্টরে। খুব সম্ভবত রিয়াল এস্টেট এবং পর্যটন খাতে হবে এই বিনিয়োগ। তাদের বিনিয়োগ আরও হতে পারে ক্যানাল ইস্তানবুল বা অন্য কোন মেগা প্রজেক্টে। হয়তো কাতারের সঙ্গে একত্রে ক্যানাল ইস্তানবুলে বিনিয়োগ করতে পারে আমিরাত। এছাড়াও ছোট ছোট বিনিয়োগ তো আছেই।

আমিরাতের নিরাপত্তা উপদেষ্টার এ সফরের কয়েকদিন দিন পরে এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপ হয় আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে। তারাও ব্যাবসায়িক সম্পর্কের প্রতি জোর দেন। এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।

আসলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্ক-কাতার-ইরান জোটের অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার কারণে ওই অঞ্চলের অনেকেই এখন এদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চাচ্ছে। অন্যদিকে তুরস্কও তাদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে নমনীয় হচ্ছে এবং বিগত অনেক নীতি থেকেও সরে আসছে। এখন ইরাইল এবং সিরিয়ার বাসার আল আসাদের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ার জন্য অনেক তোরজোড় চলছে। গোয়েন্দা বিভাগুলো এ নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। হয়তো কিছু দিনের মধ্যে অফিসিয়াল ঘোষণা আসতে পারে।

যাহোক, এখন প্রশ্ন হচ্ছে তুরস্ক-আমিরাতের এই সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন দেশ কি ধরণের ছাড় দিবে? অথবা কার কি লাভ হবে? এক নম্বর কথা হচ্ছে ঝগড়া বিবাদ বা সম্পর্কচ্ছেদে কারো তেমন বড় কোন লাভ হয় না। তাই সম্পর্ক উন্নয়ন মানেই লাভ। দু'দেশেরই উপকার হয় এতে। এখন এই সম্পর্ক উন্নয়নে কে কতটুকু ছাড় দিবে?

তুরস্ক মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি তার সমর্থন কমিয়ে দিবে। তুরস্ক থেকে মুসলিম ব্রাদারহুড পরিচালিত কিছু কিছু মিডিয়া বন্ধ করে দিবে অথবা তাদেরকে আরও নমনীয় সম্প্রচারে বাধ্য করবে। ইতিমধ্যে এধরনের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে আঙ্কারা। আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদ্যসদ্যের জেল, ফাঁসি বা নির্যাতন নিয়ে তেমন কোন উচ্চবাচ্য করবে না তুরস্ক। আরব দেশেগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকবে না হয়তো তবে তার প্রভাব কমিয়ে আনবে।

অন্যদিকে আরব আমিরাত, তুরস্ক বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালানো বন্ধ করবে। আমিরাতের টাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালিত মিডিয়ায় তুর্কি বিরোধী মিথ্যা খবর প্রচার বন্ধ হবে। তুরস্কে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করবে।

২০১১ সালের থকে তুরস্ক এবং আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। সেটা ২০১৮ সালে অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসে। তখন এই বাণিজ্যের পরিমাণ হয় ৭ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে আট বিলিয়ন ডলারে। যেখানে তুরস্কের রপতানি ৩ বিলিয়ন ডলার আর আরব আমিরাতের রপ্তানি সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। গত কয়েক বছর তুরস্ক যে সব দেশে সবচেয়ে বেশি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে আরব আমিরাত তাদের মধ্যে অন্যতম।

অর্থাৎ রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব খারাপ হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক কিন্তু চলতেই ছিল। হয়তোবা কিছুটা মন্তর গতিতে। তাই এই বাণিজ্যের পরিমাণ খুব দ্রুত আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে চাইবে আঙ্কারা এবং আবু ধাবি।

তবে যে বিষয়গুলোর এখনো সমাধান হয়নি তা হলোঃ লিবিয়া এবং সিরিয়াতে দুই দেশের বিপরীত মেরুতে অবস্থানের কী হবে। তারা কি তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে? নাকি এভাবেই চলতে থাকবে? আরব আমিরাত কি ভূমধ্যসাগরে তুর্কি বিরোধী জোট অর্থাৎ গ্রীস, সাইপ্রাস এবং ফ্রান্সের সঙ্গে একই বলয়ে তুরস্কের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে নাকি সেখান থেকে সরে আসবে। তুরস্ক কি আসলেই মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিবে নাকি এখন শুধুমাত্র চোখ দেখানো কিছু পদক্ষেপ নিবে? আরব দেশ গুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে কতদিন বসে থাকবে তুরস্ক?

এগুলো হয়তো খুব শীঘ্রই স্পষ্ট হবে না। তবে একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট তা হলো মধ্যপ্রাচ্যে খেলার গুটিগুলো নতুন করে আবার সাজাতে শুরু করেছে সবাই। আমেরিকার এই অঞ্চল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ায় সবাই নিজের মত করে আবার ভাবতে শুরু করেছে। আর যে সব ইঙ্গিত আসছে তাতে মনে হচ্ছে এই অঞ্চলে পুরোপুরি শান্তি ফিরে না আসলেও হয়তো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, কূটনৈতিক বৈরিতা এবং অর্থনৈতিক যুদ্ধ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।

আসলে তুরস্কের আগামী নির্বাচনে এরদোগানের জয়লাভ করতে হলে দেশটির অর্থনীতিকে দ্রুত ঠিক করতে হবে। তা না হলে আগামীর নির্বাচন তার জন্য বয়ে নিয়ে আসতে পারে মহা বিপর্যয়। তাই আরব দেশগুলো এবং ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ছাড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্ভব না।

© সরোয়ার আলম
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক ও চিফ রিপোর্টার আনাদুলু এজেন্সি, তুরষ্ক।

৭ সেপ্টেম্বর১৮৭৬ সালের আজকের এই দিনে মুসলিম বিশ্বের ভেঙে পরা সম্রাজ্যের মসনদে আরোহন করেছিলেন, উম্মাহদরদি মুসলিম সাসক,৩৪ ...
07/09/2021

৭ সেপ্টেম্বর
১৮৭৬ সালের আজকের এই দিনে মুসলিম বিশ্বের ভেঙে পরা সম্রাজ্যের মসনদে আরোহন করেছিলেন, উম্মাহদরদি মুসলিম সাসক,৩৪ তম অটোমান সুলতান- আমিরুল মুনিনিন খলিফা আব্দুল হামিদা রঃ।

প্রখ্যাত ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানী আর্লন্ড টয়েনবি লিখেন,“ সুলতান আব্দুল হামিদের ইসলামি রাজনীতির উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের মুসলমানদের এক পতাকার নিচে একত্রিত করা। নিঃসন্দেহে যা ছিল মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের ঐপনিবেশিক শক্তিগুলোর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক পাল্টা শক্তিশালী প্রতিরোধী পদক্ষেপ।” তাকে নিয়ে ইউরোপিয়রা এত বেশি পরিমাণে লিখেছে যে, সমকালীন ইতিহাসে তো বটেই, সুদীর্ঘ সাড়ে চৌদ্দশত বছরের ইতিহাসে অন্য কোন মুসলিম শাসককে নিয়ে তারা ততটা লেখেনি। যার গুটিকয়েকটি ছাড়া সবগুলোই অপবাদ মিথ্যাচার ও প্রপাগাণ্ডায় পূর্ণ। এক সময় সিংহাসনে বসেছিলেন,যখন অটোমান সম্রাজ্য ঋন এ জর্জরিত ছিলো,তখন ইহুদিরা ফিলিস্তিন এর জায়গার বিনিময়ে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে চেয়েছিলো, কিন্তু উম্মাহদরদি এই খলিফা মুসলিমদের এক চুল জমিও ছেরে দিতে রাজি হন নি।
তিনি ছিলেন মুসলিম বিস্বের সর্বশেষ দুর্গ।তার পতনের পরেই মুসলিমরা নিজেদের পরাক্রম হারিয়ে ফেলে।এবং পতন হয় ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা খেলাফত এর।

আমাদের সুলতান এতটা ই দূরদর্শী ছিলেন যে, তিনি সবকিছু আগে থেকেই অনুমান করতে পারতেন। সুলতান বুঝতে পারেন তার সাম্রাজ্য সামরিক, অর্থনৈতিক সব দিক থেকে পিছিয়ে আছে। তিনি সংস্কার শুরু করেন। দ্রুত সেনা চলাচল ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ব্যাপকভাবে রেল - লাইন নির্মাণ শুরু করেন। অবশেষে ১৮৯৭ সালে অটোমানরা গ্রীসের সাথে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে।

তিনি ব্রিটিশদের শোষনে থাকা আমাদের ভারতীয় মুসলিমদের কে ও অনেক সাহায্য করেছেন। পুর্ব আফ্রিকায় ফ্রান্স এর দখলে থাকা মুসলিম ভুখন্ডের মুসলিমদের কে সহায়তা করেছেন ফরাসিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।
তিনি যখন মসনদে বসেন খিলাফত বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণের ভারে জর্জরিত ছিল। ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি আলাদা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ৩৩ বছরের শাসনামলে ঋণ প্রায় পরিশোধের পর্যায়ে নিয়ে আসেন। তার সময়ে খিলাফত উল্লেখযোগ্য কোন বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করেনি। তার ক্ষমতার কালটি ছিল খিলাফতের জন্য চরম দুর্দিনের। একদিকে তুর্কি জাতিয়তাবাদী আন্দোলন। যা প্রায় শত বৎসর কাল যাবত খিলাফতেকে প্রাণশূণ্য করে ফেলছিল। অপরদিকে খিলাফতের ইউরোপিয় অংশের খৃস্টানদেরকে পশ্চিমারা সবসময় উস্কানি দিয়েই চলছিল। তৃতীয় বিপদটা ছিল বিশ্ব ইহুদিবাদীদের পক্ষ থেকে। তারা যে কোন মূল্যে ফিলিস্তিনে তাদের জাতীয় ভূমি স্থাপনে মরিয়া ছিল। সেক্ষেত্রে সুলতান আব্দুল হামিদই ছিলেন তাদের প্রধান বাধা। ইহুদিরা ফিলিস্তিনে তাদের জাতীয় নিবাস স্থাপনের শর্তে খিলাফতের সকল ঋণ পরিশোধের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সুলতান তা অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এমন চতুর্মুখি চক্রান্ত নির্মূল করার জন্য তিনি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকেন। বিদ্রোহীরা তখন পালিয়ে গিয়ে ইউরোপে সঙ্ঘবদ্ধ হতে থাকে। খলিফা বুঝতে পেরেছিলেন ইউরোপিয় শক্তিবর্গ খিলাফতকে যত দূর্বল করতে পারবে মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে তাদের ঐপনিবেশ স্থাপনের পথ ততই সুগম হবে। তাই তিনি প্যান ইসলামিজম বা বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রচেষ্টা শুরু করেন। বিভিন্ন অঞ্চলের ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও প্রায় চল্লিশ হাজার সুফী সাহেবকে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য চেতনা জাগ্রত করানোর বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ করেন। যাতে রাজনৈতিকভাবে না হলেও যাতে অভিন্ন চেতনায় পুরো মুসলিম বিশ্বের একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়। উত্তর আফ্রিকায় ফ্রান্সের দখদারিত্বের বিরুদ্ধে জিহাদকারীদেরকেও এই অভিন্ন চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি হেজাজ রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার সমুদয় অর্থ মুসলমানদের চাঁদা ও হেজাজ ডাকটিকেট বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। প্রখ্যাত লেখক ও দামেশক বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাঈদ আফগানি (রাহঃ) বলেন:“আল্লাহ সুলতান আব্দুল হামিদের উপর রহম করুন। তার সমস্তরের কোন উজির ও সাহায্যকারী তিনি পাননি। তার যুগ গত হয়ে গেছে। অসাধারণ যোগ্যতা ও বিপুল কর্মশক্তি এবং রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও সুগভীর কূটনৈতিক প্রজ্ঞার বদৌলতে প্রায় একক প্রচেষ্টায় তিন দশক কাল তিনি খেলাফতের পতন ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। যদি যোগ্য সঙ্গি ও উপযুক্ত সাহায্যকারী পেতেন, তবে খেলাফতকে আবার প্রথম যুগের প্রতাপও শক্তিময় অবস্থার উপর প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন।”

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় এরদোয়ান,উদ্বোধন করলেন ঐতিহাসিক মসজিদ। 🇹🇷ইউরোপের বলাকান অঞ্চলের দেশ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা যেটি সুল...
28/08/2021

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় এরদোয়ান,উদ্বোধন করলেন ঐতিহাসিক মসজিদ। 🇹🇷

ইউরোপের বলাকান অঞ্চলের দেশ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা যেটি সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহের নেতৃত্বে মুসলমানদের করতলগত হয়েছিল।পরবর্তীতে উসমানীয় সাম্রাজ্য দূর্বল হয়ে পড়লে সেখানকার মুসলমানরাও নির্যাতনের শিকার হতে থাকে।এমনকি নির্যাতন আর হামলা থেকে রক্ষা পেতো না মুসলমানদের মসজিদ।বসনিয়ার রাজধানী সারায়াভোতে অবস্থিত ঠিক তেমনই একটি মসজিদের নাম বাসারসিজা মসজিদ যেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে।প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মসজিদটি বারবার আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে, ক্ষতবিক্ষত হয়েছে!হয়েছে নৃশংস ইতিহাসের সাক্ষী!
এরদোয়ান রাষ্ট্রীয় সফরে বসনিয়ায় পৌঁছেছেন এবং উদ্বোধন করলেন ঐতিহাসিক এই মসজিদ।

মসজিদে দাঁড়িয়ে তুর্কী প্রেসিডেন্ট বলেন, "জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়া এই মসজিদ পুনরুদ্ধারে ছয় বছর পূর্বে আমরা কার্যক্রম শুরু করি।ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তাঁদের প্রতি যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মসজিদের শোভাবর্ধন করেছেন।
এরদোয়ান তাঁর বক্তৃতায় বলেন,আমি মুসলমানদের আহবান করবো আপনারা সন্তানদের বিশেষ করে কন্যাদেরকেও মসজিদে নিয়ে আসবেন। কারণ এই পবিত্র স্থান হলো জ্ঞান, প্রজ্ঞা, উপদেশ আর শিক্ষার কেন্দ্রভূমি!

নন-মুসলিমদেরও আশ্বস্ত করতে চাই , আপনারাও মসজিদে আসতে পারবেন মনে শান্তি নিয়ে, কোন ধরনের দ্বিধা ছাড়াই"।

মসজিদ উদ্বোধনের সময় এরদোয়ান একজন ছোট বাচ্চাকেও সাথে রাখলেন!ফিতা কাটলেন যুগপৎভাবে! হয়তো বলতে চাচ্ছেন, হে নতুন প্রজন্ম তোমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে, সম্মুখ পানে ছুটে চলতে হবে,নেতৃত্ব দিতে হবে আগামীর বিশ্বকে।

বাংলাদেশের সেনা প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং তার সফর সঙ্গীরা তুরস্কের ডেপুটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মুহসিন দেরে ...
20/08/2021

বাংলাদেশের সেনা প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং তার সফর সঙ্গীরা তুরস্কের ডেপুটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মুহসিন দেরে এবং তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণকারী কোম্পানি ASFAT এর প্রধান এসাত আকগুন এক বৈঠকে মিলিত হন।

উল্লেখ্য এই ASFAT কোম্পানিটিই হল তুরস্কের বিখ্যাত মিলগেম যুদ্ধ জাহাজ প্রকল্পের প্রধান কনট্রাক্টর। আর এই প্রজেক্টের অধীনে ৪টি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর জন্য।

© সরোয়ার আলম
চিফ রিপোর্টার, আনাদুলু এজেন্সি।

নতুন আফগানের ব্যাপারে তুরষ্কের মনোভাব কেমন হবে?অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন বর্তমান আফগানের ব্যাপারে...
17/08/2021

নতুন আফগানের ব্যাপারে তুরষ্কের মনোভাব কেমন হবে?

অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন বর্তমান আফগানের ব্যাপারে তুরষ্কের মনোভাব সম্পর্কে।

👉 আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে,আফগান সৈনিক কর্তৃক কাবুল দখলের দিন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি দীর্ঘ ৪ ঘন্টার বৈঠকে বসেছিলেন।আফগান বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। এরদোয়ান তখন বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, আফগানিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় পাকিস্তানের ভূমিকা অপরিসীম। আর আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা রক্ষায় তুরষ্ক পাকিস্তানের সাথেই কাজ করবে।

👉 সৈনিকদের কাবুল জয়ে যখন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পশ্চিমা দেশগুলো দূতাবাস বন্ধ করছিলো তখন তুরষ্ক ঘোষণা দেয় তাদের আফগান দূতাবাস খোলা থাকছে।

👉 আফগানিস্তানের ব্যাপারে তুরষ্কের সর্বশেষ বক্তব্যও খুবই ইতিবাচক। তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওলু বলেন, আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তুরষ্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

👉 এরদোয়ান বারবার বলছিলেন, সৈনিকদের সাথে সমঝোতা ছাড়া তুর্কী সেনা সেখানে থাকবে না। এরপরেও যারা তুরষ্ক- সৈনিক যুদ্ধ দেখতে চেয়েছিলেন,ফেইসবুকে জিহাদ করেছিলেন তাদের জন্য সমবেদনা।।

তালেবান সরকাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে তুরস্ক, পাকিস্তান, চীন ও রাশিয়াআগস্ট ১৬, ২০২১আফগানিস্তানআফগানিস্তানে ইসলামী ইমারাত বা তাল...
17/08/2021

তালেবান সরকাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে তুরস্ক, পাকিস্তান, চীন ও রাশিয়া
আগস্ট ১৬, ২০২১
আফগানিস্তান

আফগানিস্তানে ইসলামী ইমারাত বা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ তালিকায় চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলো ছাড়াও রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও তুরস্কের নাম।

জানা গেছে, এই দেশগুলো এরইমধ্যে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে পারে।

রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, কাবুল থেকে রাশিয়ার দূতাবাস সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।

রাশিয়ার সরকারি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, তালেবানের পক্ষ থেকে রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনের কর্মীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন সংবাদমাধ্যম এপি-কে বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে তার দলের সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাশিয়াসহ অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি তালেবানের নীতির মধ্যেই পড়ে।

পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক অনেক পুরনো। রবিবার কাবুলের মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, দাসত্বের শেকল ভেঙেছে আফগানিস্তান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, তার দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করবে। এ ব্যাপারে যথাসাধ্য সবকিছুই করা হবে।

আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা তুরস্কের জন্যও জরুরি বলে মন্তব্য করেন এরদোগান। কেননা, কাবুলের অস্থিরতার ফলে বিপুল সংখ্যক আফগান নাগরিক ইরান হয়ে তুরস্কে পাড়ি জমাচ্ছে। শরণার্থীদের এমন ঢেউ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় আরোহনের পরঃতুর্কি পাকিস্তান ব্লকটা এশিয়ায় তাদের অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করলো। ভারতের এশিয়ার...
16/08/2021

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় আরোহনের পরঃ
তুর্কি পাকিস্তান ব্লকটা এশিয়ায় তাদের অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করলো।
ভারতের এশিয়ার পরাশক্তি হয়ে উঠা ও এশিয়ার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার স্বপ্ন ধূলোয় মিশে গেল।সেই সাথে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রকল্পে করা ভারতের মিলিয়ন, মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট জলে গেল।

কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের স্বাধীনতার স্বপ্ন আরো জোড়ালো হলো। (মোদি সরকার তালেবানের উত্থান দেখে এই বিষয় টা আগেই আচ করতে পেরে কাশ্মীরের নেতাকর্মীদের ডেকে তাদের রাজ্য ক্ষমতা ফিরিয়ে দেন)।

ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর আমেরিকার গালে কষে আরো একটা চপেটাঘাত পড়লো। সেই সাথে আফগানিস্তানে সালাফিবাদের ও কবর রচনা হলো।

কাবুল বিজয় হওয়ার দুইদিন আগে তুর্কী প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পাকিস্তান সফর ও কাবুল বিজয়ের দিন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টের তুরস্ক সফর কিসের ইঙ্গিত দেয়?আমার তো মনে হয় তুরস্ক আর পাকিস্তান মিলে আফগানিস্তানে আমেরিকা ও ভারত কে খেলে দিয়েছে,তাই এখন রিলাক্স মুডে আছে।

ন্যাটো জোটের সদস্য হিসেবে তুরস্কের আফগানিস্তানে থেকে যাওয়া নিয়ে একটু দৃশ্যমান দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল তালেবান আর তুরস্কের মাঝে এটা যে একটা নিতান্তই পলিটিক্স ছিল তা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

দিন শেষে এতটুকুই বলবো তালেবান মুসলিম বিশ্বের সহযোগিতা নিয়ে আফগানিস্তানে একটি স্থায়ী ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে সেই আশাই ব্যাক্ত করি।সেই সাথে টিটিপির করা সহিংসতা পাকিস্তানে পুরোপুরি বন্ধ করবে।আফগান যুদ্ধের কারণে সবথেকে ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের।

তালেবানের ঘোষণা; নাগরিকদের জীবন, সম্পত্তি ও ইজ্জতের কোনো ক্ষতি হবে নাআগস্ট ১৫, ২০২১আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ ক...
15/08/2021

তালেবানের ঘোষণা; নাগরিকদের জীবন, সম্পত্তি ও ইজ্জতের কোনো ক্ষতি হবে না
আগস্ট ১৫, ২০২১
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে তালেবান। এদিকে তালেবানের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে নাগরিকদের জীবন, সম্পত্তি ও ইজ্জতের কোনো ক্ষতি করা হবে না। আর তারা জোরালভাবে জানিয়েছে, কাবুল তারা শক্তি প্রয়োগ করে দখল করবে না।

আজ রোববার এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে তালেবান।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জীনব, সম্পত্তি ইজ্জত রক্ষা এবং কাবুলিদের জীবনের সাথে কোনো ধরনের আপস ছাড়াই যাতে পরিবর্তন নিশ্চিত ও নিরাপদ হয়, সেজন্য আলোচনা চলছে।

এদিকে তালেবানের এক মুখপাত্র বলেন, ইসলামি আমিরাত তার সকল বাহিনীকে কাবুলের ফটকগুলোতে অবস্থান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে, তবে নগরীতে প্রবেশ না করতে বলেছে।

তবে কোনো কোনো অধিবাসী বলেন, তালেবান যোদ্ধারা কোনো কোনো এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রবেশ করছে।
তালেবান বাহিনী সকল দিক থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করছে বলে কাবুল সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে রাজধানীর কালাকান, কারাবাগ ও পাগমান এলাকায় ইতোমধ্যেই তালেবান প্রবেশ করেছে।

সূত্র : আল জাজিরা

ভয়াবহ দাবানলের পর যখন রহমতের বৃষ্টি আসলো তখনই অনেকে নামাজে দাঁড়িয়ে রবের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। 🇹🇷
09/08/2021

ভয়াবহ দাবানলের পর যখন রহমতের বৃষ্টি আসলো তখনই অনেকে নামাজে দাঁড়িয়ে রবের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। 🇹🇷

ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসি।তেহরানের পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে  শপথ নেন তিনি।source: TRT...
05/08/2021

ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসি।তেহরানের পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন তিনি।

source: TRT World

The Prophet Idris, the second prophet mentioned in the Quran, was the founder of numerous sciences. It is believed that ...
04/08/2021

The Prophet Idris, the second prophet mentioned in the Quran, was the founder of numerous sciences. It is believed that he was called "Idris," which derives from Arabic "dars," meaning "to study," for this reason. He was the first to write with a pencil, thus effectively inventing writing.

In historical Islamic sources, it is written that he lived in Babylon before Noah's flood. Upon the enmity from the people, he migrated to Egypt with a small number of believers. He reigned there and was given three great blessings, namely that of prophethood, wisdom and sovereignty. That is why he was known as "Müselles bin Ni'ma," meaning "he who has been given three blessings."

According to the narration of Islamic scholars, the Prophet Idris was raised to the sky while he was alive. He remained in the seventh heaven for 30 years and returned to earth. He shared with people what he had witnessed in the heavens, teaching them the science of "nücum," or astrology.

He foretold in great detail the great flood that would occur after him, during the time of the Prophet Noah. It is believed that he inscribed certain sciences with hieroglyphs on two stone pillars and thus protected this knowledge from the flood. There are also those who say that he had a pyramid built and had the inside surface of the stones inscribed with this knowledge.

The ruins of the Temple of Bacchus, the Roman god of wine, can be seen in Roman Heliopolis, Baalbek, Lebanon, Jan. 23, 2019. (Shutterstock Photo)
The ruins of the Temple of Bacchus, the Roman god of wine, can be seen in Roman Heliopolis, Baalbek, Lebanon, Jan. 23, 2019. (Shutterstock Photo)
It is said in Islamic sources that the Prophet Idris also relayed the sciences of mysticism and ledün (divine secrets) to his distinguished believers.

He preached that the soul was a beautiful and luminous being, that it passed through the heavens and entered the dark body, and that if a person indulged in bodily and worldly pleasures, he would be inferior even to animals.

However, if he used his mind and controlled his nafs (mostly referred to as the "ego") in the body, his spirit would rise to heaven again, and he would become a perfect human being.

He himself retired to khalwa, a solitary retreat or seclusion. He was then involved in dhikr (remembrance), which are devotional acts where phrases and prayers are repeated, riyazet (asceticism) and mücahede (struggle, usually against nafs).

It is said that he would remember Allah every time he stabbed his needle into fabric while sewing.

The Prophet Idris divided the inhabited places of the earth into four parts. He left Egypt after appointing a deputy for each of them. On the day of Ashura, he was raised to the fourth heaven, or the realm of the sun. According to some scholars, he was lifted to heaven before he died, just like the Prophet Isa (Jesus).

In pre-Islamic sources, it is written that while being raised to the sky, he turned into a flame and a peal of thunder was heard.

A sunken relief depicts the sacred bull of Egypt at at Habu Temple, Luxor, Egypt. (Shutterstock Photo)
A sunken relief depicts the sacred bull of Egypt at at Habu Temple, Luxor, Egypt. (Shutterstock Photo)
The Golden Calf
The famous Islamic scholar Ahmad Sirhindi, widely known as Imam Rabbani, writes that Allah's blessings come to everyone, good or bad, but that bad people can't benefit from them. Indeed, the sun shines upon both the man who is washing the clothes and the clothes themselves in the same way. However, it darkens the man's face while it whitens the clothes.

So, if a person is blind, there is no fault in the sun.

When the legacy of the Prophet Idris fell into the hands of people who were not competent in esoteric sciences, it was misunderstood and falsified. This, throughout history, has given rise to heterodox sects.

After the Prophet Idris was taken to the sky, the Egyptians called him Thoth and deified him.

Members of some sects located in an ancient Egyptian city known as Heliopolis (City of the Sun) by the Greeks, began to worship the sun god, whom they named Ra. At sunrise and sunset, they turned toward the sun and worshiped it with their arms crossed on their chests.

A sculpture of the icon Hittite Sun stands at the Sıhhiye Square in Ankara, Turkey, March 25, 2014. (Shhutterstock Photo)
A sculpture of the icon Hittite Sun stands at the Sıhhiye Square in Ankara, Turkey, March 25, 2014. (Shhutterstock Photo)
The sultans of Egypt, the pharaohs, also declared themselves gods, claiming to be descendants of Ra.

The sects in the City of the Sun regarded the bull as the representative of the sun on earth. They made prophecies according to its actions. They began to worship statues of bulls who were carrying a sun disc between their horns. They called these idols "Apis."

The Prophet Muhammad said, “the sun rises (and sets) between the horns of Satan, and at that time the unbelievers bow down to it,” and he forbade praying at sunrise and sunset.

The Egyptian cult of the sun spread throughout the world, from the fire of the Zoroastrians in Persia to the veneration of the cow in India, to the sun-colored clothing of the Buddhists.

The Hittites, who were allies and neighbors of Egypt, were also under the influence of this belief. The horned Hittite sun, which used to be the emblem of the Ankara Municipality, also represents Apis.

A fresco depicts the Prophet Moses descend from Mount Sinai with the Ten Commandments in the Church of Saint Maurice al Monastero Maggiore, Milan, Italy, July 25, 2017. (Shutterstock Photo)
A fresco depicts the Prophet Moses descend from Mount Sinai with the Ten Commandments in the Church of Saint Maurice al Monastero Maggiore, Milan, Italy, July 25, 2017. (Shutterstock Photo)
The children of the Prophet Yaqub (Jacob), namely Israelites, settled in Egypt with the Prophet Yusuf (Joseph).

The Jews knew the Prophet Idris by the name of Enoch, or Akhnukh in Arabic. Although it was reported that anyone who worshiped the sun would be stoned to death, the cult of the sun was also popular among the Jews.

While the Prophet Moses, or Musa, was taking the Jews from Egypt to Palestine, a Jew named Samiri melted gold jewelry and made an Apis when the prophet ascended Mount Sinai. He had some of the Jews worship it. When the Prophet Moses returned, he expelled Samiri.

An aerial view shows the city of Alexandria with the Citadel of Qaitbay shining in the sun, Alexandria, Egypt. (Shutterstock Photo)
An aerial view shows the city of Alexandria with the Citadel of Qaitbay shining in the sun, Alexandria, Egypt. (Shutterstock Photo)
Alexandria
The Greeks called the Prophet Idris "Hermes," which means scholar. His nickname, Müselles bin Ni'ma, meanwhile was translated as Trismegistus. So, he was called Hermes Trismegistus (Hermes the Thrice-Greatest).

The distorted sciences attributed to him were called Hermeticism. Philosophers such as Pythagoras and Plato stayed in Egypt for many years and took lessons from the sects there. Thus, Greek philosophy was born. The mathematics of the Pythagoreans, Plato's ethics and theology, and Aristotle's understanding of physics are all based on Hermeticism.

Alexandria, one of the largest cities in the world before Rome, was founded by Alexander the Great. After Memphis, it became the new center of Egypt. A temple of Serapis was built in the city. The order of Serapis was the Greek version of the order of Apis. Epistles on Hermeticism, called Hermetica, were written by the members of the sect.

The facade of Baron Empain Palace, a historic mansion inspired by the Cambodian Hindu temple of Angkor Wat, can be seen in the Heliopolis district, Cairo, Egypt, July 30, 2020. (Shutterstock Photo)
The facade of Baron Empain Palace, a historic mansion inspired by the Cambodian Hindu temple of Angkor Wat, can be seen in the Heliopolis district, Cairo, Egypt, July 30, 2020. (Shutterstock Photo)
Because the Prophet Jesus was on Earth for a short time and attracted a few faithful believers, the religion he preached could not be known in exact detail. After the ascension of the Prophet Jesus, Christianity mixed with Hermeticism. Due to this, a completely different religion emerged under the name of Christianity.

For example, every luminary (the five inner planets and the sun and moon) has a day dedicated to it. The day of the sun is Sunday, which comes from "dies Solis," literally "day" and "sun." Therefore, Sunday was considered a holy day in Christianity.

The trinity in Hermeticism also passed to Christianity, in the form of the father, the son and the holy spirit. December 25, when the day becomes longer than the night, was accepted as the date of the birth of the Prophet Jesus.

The paintings of Egyptian god Ra and Maat can be seen in the tomb KV 14, the tomb of Twosret and Setnakhte in the Valley of the Kings, Luxor, Egypt, Oct. 21, 2018. (Shutterstock Photo)
The paintings of Egyptian god Ra and Maat can be seen in the tomb KV 14, the tomb of Twosret and Setnakhte in the Valley of the Kings, Luxor, Egypt, Oct. 21, 2018. (Shutterstock Photo)
The Ancient Philosophy
In the Islamic era, philosophers such as al-Kindi, al-Farabi, Ibn Sina and Ibn Rushd, often Latinized as Averroes, were under the influence of Hermeticism.

Yazidis, who stand before the sun every day and pray to a deity named Melek Taus (Peacock Angel), also follow this belief.

Hermeticism led to the emergence of esoteric sects such as Isma'ilism in Islamic lands. Batiniyya (esoterics) called the wisdom contained in Hermeticism the eternal wisdom, that is, the ancient philosophy. However, they saw it not as divine wisdom based on revelation but as an ancient philosophy dating back to prehistoric times.

They believed that the prophets founded their religions on this philosophy. So, the esoteric part of religions was essential and foundational, whereas Shariah, religious laws, consisted of rules applied according to the times.

Struggles took place between Hermetics and Sunni Sufi orders which were subject to the Shariah of the Prophet Muhammad, just like they did between these orders and the Order of Assassins. However, the Hermetics infiltrated some of these sects and lodges over time and distorted them.

A historical mosaic depicts the baptism of the Prophet Jesus by Saint John the Baptist, Medjugorje, Bosnia-Herzegovina, June 5, 2016. (Shutterstock Photo)
A historical mosaic depicts the baptism of the Prophet Jesus by Saint John the Baptist, Medjugorje, Bosnia-Herzegovina, June 5, 2016. (Shutterstock Photo)
John the Baptist
The Prophet Ilyas (one of the prophets sent to the Israelites) preached in Baalbek, now located in modern-day Lebanon. The Greeks called this city Heliopolis too because its people worshiped the idol of Apis, which they called Ba'al.

In pre-Islamic sources, it is written that the Prophet Ilyas was taken to the sky, like the Prophet Idris, while riding a horse of flames.

The Jewish and Christian Hermetics believe that the Prophet Ilyas, whom they call Elijah, is the Prophet Yahya (John), that is, John the Baptist. According to them, the Prophet John was actually the Prophet Idris. So, the Prophet Idris had descended to Earth in the form of John the Baptist, also known as Elijah, and the baptism symbolized his rebirth.

The Prophet John was also seen as the last prophet by the Sabians (or Mandaeans), an ethnoreligious group following the monotheistic Gnostic religion of Mandaeism, who lived around Iraq and Iran. According to them, being baptized was considered the highest form of worship. They honored the sun. It is narrated that these were heterodox Jews who fled Palestine, that is, the followers of Samiri.

The Saint James the Greater predella depicts the beheading of Saint John the Baptist, on the external wall of Orsanmichele Church in Florence, Tuscany, Italy, Jan. 9, 2019. (Shutterstock Photo)
The Saint James the Greater predella depicts the beheading of Saint John the Baptist, on the external wall of Orsanmichele Church in Florence, Tuscany, Italy, Jan. 9, 2019. (Shutterstock Photo)
The Knights Templar, who settled in Islamic lands with the Crusades, were also Hermetics. They founded many churches in the name of John the Baptist. When their sect was banned, their property was passed to the Knights of Saint John in Jerusalem.

The order of Saint John was founded in Jerusalem in the name of John the Baptist. These knights, who continued the beliefs of the Templars and struggled against the Ottoman Empire, first fled to Cyprus, then to Rhodes and finally to Malta.

The order still continues today as the Knights of Malta, or the Knights Hospitaller.

Evliya Çelebi, the 17th-century Ottoman explorer, says that the Crusaders took the body of the Prophet John from a village near Nablus and took it to Rhodes and then to Malta. However, he writes, his blessed head remains in a golden bowl under the Umayyad Mosque in Damascus.

The Flag of the Republic of Venice, commonly known as the Standard of Saint Mark due to the Lion of Saint Mark on the flag, waves in the wind. (Shutterstock Photo)
The Flag of the Republic of Venice, commonly known as the Standard of Saint Mark due to the Lion of Saint Mark on the flag, waves in the wind. (Shutterstock Photo)
The Winged Lion
The sun is depicted in hieroglyphs as a circle with a dot in its center, because the sun is the pole of the seven heavens. Since this shape could be drawn with a compass, the compass became the symbol of European Hermetics.

The sun is sometimes depicted as a lion in the pyramids because the zodiac sign Leo is associated with fire and ruled by the sun.

After the Muslims recaptured Jerusalem, Venice became the Templars' new headquarters. The winged lion was chosen as the flag of the country. The tower of San Pietro, the home of the Venetian bishop, was also built in the shape of the lighthouse of Alexandria.

A flag of the Knights Hospitaller waves at the Casa dei Cavalieri di Rodi (House of the Knights of Rhodes), in the ruins of the Forum of Augustus, Rome, Italy, Aug. 10, 2018. (Shutterstock Photo)
A flag of the Knights Hospitaller waves at the Casa dei Cavalieri di Rodi (House of the Knights of Rhodes), in the ruins of the Forum of Augustus, Rome, Italy, Aug. 10, 2018. (Shutterstock Photo)
A monk who came to Florence in 1460 brought with him the corpus of Hermetica. It was published in Venice in 1463, together with the translation of Plato by Cosimo de Medici. Thus, the Renaissance period and the humanism movement began in Italy.

Obelisks dedicated to the sun god in ancient Egypt were used as symbols of Hermeticism during the Renaissance period.

During this period, the struggle between Hermeticism and the Catholic Church began. European Hermetics established sects such as the Alumbrados (Illuminati) in Spain and the Spirituali in Italy. They succeeded in infiltrating the Church and even in removing the Pope.

In the Vatican, in the Appartamento Borgia (the Borgia Apartments) of Pope Paul III, the bull, the symbol of the Borgia family, was depicted as Apis and still stands today.

A historical re-enactment of the military parade of the Order of the Knights of Saint John, or the Knights Hospitaller, can be seen in Valletta, Malta, June 25, 2017. (Shutterstock Photo)
A historical re-enactment of the military parade of the Order of the Knights of Saint John, or the Knights Hospitaller, can be seen in Valletta, Malta, June 25, 2017. (Shutterstock Photo)
The Enlightenment
At that time, there was a geocentric understanding of the universe in Europe. Copernicus, a Hermetic studying at the University of Padua in Venice, objected to this notion. He claimed that the sun was at the center.

Renaissance historian Frances Yates writes of this: "The discovery of Copernicus came to light with a citation from that famous work of Hermes Trismegistos, where Hermes explains the Egyptians worshiping the Sun in their magical religion."

Hermetic Newton's theory of gravity centered on the massive sun, also strengthened Copernicus' claim. Thus, modern "science" was born.

In the 16th century, the Hermetics founded a secret society called "Giovanni," which is the Italian equivalent of "John," in the house of Venetian aristocrat Morosini. The origins of the Young Turks, a political reform movement in the early 20th century, can also be traced back to this society.

A monument of great Renaissance astronomer Nicolaus Copernicus can be seen in Torun, Poland. (Shutterstock Photo)
A statue of Giordano Bruno, Italian Dominican philosopher, cosmological theorist and Hermetic occultist, stands at Campo de
The spokesperson of the society was an atheist priest named Paolo Sarpi. The team included the philosopher Giordano Bruno, as well as Galileo, who followed in the footsteps of Copernicus.

Bruno is touted as a "martyr of science" today because he was killed by the church. But in fact, his supporters were caught preparing a revolution to establish a republic in Calabria called the City of the Sun, and Bruno was executed for this reason.

Venice, which wanted to reform the Catholic Church from within, established the Catholic-seeming Hermetic Jesuit order, also known as the Society of Jesus. On the other hand, it created anti-Church "Enlightenment" sects such as Freemasonry.

Sun dawns upon the three iconic monuments of Washington, Lincoln Memorial, Washington Monument and the Capitol Building, Washington, U.S. (Shutterstock Photo)
A letter is sealed with the Masonic Square and Compasses with the letter 'G,' one of the most identifiable masonic symbols. (Shutterstock Photo)
The House of the Temple, a Masonic temple, can be seen in Washington, U.S. (Shutterstock Photo)
The Obelisk of Montecitorio, an ancient Egyptian obelisk of Psamtik II from Heliopolis, can be seen in Rome, Italy, Oct. 13, 2019. (Shutterstock Photo)
In Freemasonry, which was filled with Egyptian symbols, John the Baptist was considered the founding saint. The masons called themselves "John's men." They celebrated June 24, which is considered the date of his birth, as a festival.

With the revolutions that overthrew the monarchies, the Hermetics dominated the whole world. The obelisks found in London and New York were brought from the City of the Sun in Egypt. The Lighthouse of Alexandria can be seen everywhere today, from the Masonic monuments of Washington to the business towers in New York.

Today, the Hermetics strive for a single world religion based on the New World Order and ancient philosophy.

Source:Daily Sabah..

Address

Rajapur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when World Politics Discuss posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to World Politics Discuss:

Share

Category


Other Newspapers in Rajapur

Show All