Alhamdulillah Agro

Alhamdulillah  Agro একটি নিঃস্বার্থ দারিদ্র মানব সেবায় নিয়োজিত ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ছাত্র,যুব ও সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন, লোহানীপাড়া, বদরগঞ্জ,রংপুর.

(একটি নিঃস্বার্থ দারিদ্র মানব সেবায় নিয়োজিত ও অরাজনৈতিক এ আই সংগঠন)

*আপনার ক্ষুদ্র সহযোগিতা হাসি ফোটাতে পারে একটি পরিবারের।
*যে যেখানে থাকুন দেশে-প্রবাসে, আসুন আমরা সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।
*অসহায়দের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের অঙ্গিকার।
*জেগে উঠুক মানবতা ,সেবাই আমাদের মূল
*অসহায় ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও মেধাবীদের সংবর্ধণা প্রদান।
*ইদে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে

ইদ উপহার তুলে দেওয়া।
*অসহায় দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করার লক্ষে যাকাত ফান্ড গঠন।
*শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা।
* মহামারী, বন্যা, নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলাকায় ত্রাণ-ও পূর্ণবাসন কমসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন!

গরুর খামার ঘর (সেড) তৈরিঃ এমন করেই যে দিতে হবে তা কোন কথা নয় কিন্তু এমন করে দিলে ভালো হয় (বিস্তারিত বর্ণনা)গরুর খামারে ম...
30/12/2024

গরুর খামার ঘর (সেড) তৈরিঃ এমন করেই যে দিতে হবে তা কোন কথা নয় কিন্তু এমন করে দিলে ভালো হয়
(বিস্তারিত বর্ণনা)

গরুর খামারে মুনাফার ৪টি শর্তের একটি হল গরুর জন্য আরামদায়ক ঘরের ব্যবস্থা করা।

গরুর খামার ঘর তৈরি করতে জানা অর্থ কিভাবে আপনি নিজের নির্দিষ্ট টাকা ও জায়গা দিয়ে গরুর জন্য সর্বোচ্চ আরামদায়ক সেডের ব্যবস্থা করবেন। এর জন্য আপনাকে গরুর ঘরের বিভিন্ন অংশের মাপ এবং এই মাপগুলো কম-বেশি করলে কি সুবিধা-অসুবিধা তা জানতে হবে।

গরুর ঘর তৈরির নিয়ম
প্রথমে আমরা ঠিক করব খামারে দুই সারিতে নাকি এক সারিতে গরু পালব। দুই সারির নিয়ম বুঝলে এক সারি সহজেই বোঝা যাবে। দুই সারি করে হিসাব করলে ১০ টি গরুর জন্য প্রতি সারিতে ৫ টি করে গরু থাকে। আর মাঝে হাটার জন্য একটি রাস্তা। সুতরাং এক সারি গরু ও মাঝের রাস্তার জায়গার হিসাব করলেই ঘরের জায়গার হিসাব বেড়িয়ে যাবে ইংশাল্লাহ।

গরুর খামার তৈরির নকশা
প্রথমে ঘরের চওরা। একটি গরুর জন্য মাথা থেকে পেছন পর্যন্ত ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত জায়গা দিতে হবে। আমরা ধরে নিলাম এটি ৭ ফুট(জায়গা বেশি থাকলে ৮ ফুট করা ভাল) । গরুর সামনে খাবার পাত্রের জন্য ২.৫ ফুট জায়গা আর পেছনে ড্রেনের জন্য 0.৫ ফুট জায়গা রাখা হল।
সুতরাং এক সারি গরুর জন্য টোটাল ৭ + ২.৫ + 0.৫ = ১০ ফুট জায়গা দরকার। এবং দুই সারির জন্যে চওরায় ২০ ফুট।

গরুর খামার তৈরির নকশা
মাঝের রাস্তা মিনিমাম ৪ থেকে ১০ ফুট রাখতে হয়। আমরা এখানে ৪ ফুট ধরলাম। সুতরাং ঘরের চওড়া টোটাল ২০ + ৪ = ২৪ ফুট।

একটি গরুর জন্য তার সামনে ৪ ফুট( জায়গা বেশি থাকলে সাড়ে ৪ ফুট) জায়গা দিতে হবে, অর্থাৎ গরু থেকে গরুর দুরত্ব হবে ৪ ফুট। তাহলে ৫ টি গরুর জন্য ২০ ফুট। সাথে গেটের জন্য ৪ ফুট লাগবে।
সুতরাং মোট লম্বা ২৪ ফুট, গেট মাঝ রাস্তা দিয়ে হলে ২০ ফুট।

আমাদের দেশের শেডের উচ্চতা নরমালি ১০/১৩ বা ১২ / ১৫ ফিট বা ১২ / ১৪ ইত্যাদি হয়ে থাকে। শেড যত উচু হবে তত ভালো। আধুনিক বড় খামারগুলোতে ৪০-৫০ ফিট শেড উচু করতে হয়।

হেড টু হেড / টেল টু টেল
হেড টু হেডঅর্থ হল গরু গুলো ভেতরে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে গোবর বাইরে পড়বে।
টেল টু টেল অর্থ গরুগুলো পরস্পরের বিপরীতে দাঁড়াবে, গোবর ভেতরে পড়বে।

দুটো সিস্টেমেরই সুবিধা – অসুবিধা আছে। নিচে তুলে ধরা হল-

হেড টু হেডের সুবিধাঃ
১। খাবার দিতে সুবিধাঃ হেড টু হেডের ক্ষেত্রে গরুগুলো মুখোমুখি দাড়াবার কারনে দ্রুত ও ভালোভাবে খাবার দেওয়া যায়।
২। গ্যাসের সমস্যা কমঃ গোবর – প্রসাব বাইরের দিকে পড়ার কারনে ভেতরে গ্যাসের সমস্যা কম হয়।
৩। গরুর গুতোর বিপদ নেইঃ গরু গুলো খাবার পাত্রের অপর পাশে থাকার কারনে গুতো খাবার বিপদ কম।
৪। ছেড়ে গরু পালনের জন্য সুবিধাঃ গরুর পেছনে খালি মাঠ বা জায়গা থাকে। ফলে এক্ষেত্রে হেড টু হেড সিস্টেম একমাত্র উপায়।

টেল টু টেলের সুবিধাঃ
👉১। পর্যাপ্ত আলো বাতাসঃ গরুর মুখ বাহিরের দিকে থাকার কারনে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায়।
👉২। দ্রুত গোবর-মূত্র পরিস্কার করা যায়ঃ দুই সারির গোবর এক দিকে পরার কারনে সহজে ও দ্রুত পরিস্কার করা যায়।
👉৩। দুধ দোয়ানোতে সুবিধাঃ ভেতরের দিকে থাকার কারনে দুই সারি গাভি থেকে সহজে দুধ নেওয়া যায়।
👉৪। শ্বাসজনিত রোগ সহ অন্যান্য রোগ ছড়াবার সম্ভাবনা কমঃ প্রায় সব রোগ মুখের শ্বাস, লালা, নাকের মিউকাস ইত্যাদি দিয়ে ছড়ায়। গরুগুলো একে অপরের বিপরীত দিকে থাকার কারনে এটির সম্ভাবনা কম।
👉৫। একটি ড্রেনই যথেস্টঃ পাশে একটু বেশি জায়গা দিয়ে মাঝে একটি ড্রেন দিয়েই সমস্ত ময়লা দূর করা যায়।
👉৬। গোসলে সুবিধাঃ দ্রুত ও সহজে গোসল দেওয়া যায়।
এবার আলোচনা করা যাক কোনটি ভালো। দেখা যাচ্ছে টেল টু টেলের সুবিধা অনেক বেশি। কিন্তু হেড টু হেডের সুবিধাগুলো কি আসলেই সুবিধা কিনা, কিংবা সেগুলোর গুরুত্ব কতটুকু সেটা একটু দেখা যাক।
👉প্রথমত, খাবার দেবার সুবিধার কথা যদি ভাবা হয় তাহলে অন্য দিকে গোবর পরিস্কার, গোসল, দুধ দোয়ানো সহ অনেক কাজে অসুবিধা বেশি। কাজেই এ পয়েন্টটি টিকছে না। দ্বিতীয়ত, গোবরের গ্যাসের কথা ভাবতে গিয়ে গরু যদি আলো বাতাস কম পায় তাহলে সেটা তেমন কাজে দিবে না।
এদিকে গাভির ক্ষেত্রে গুতোর তেমন সম্ভাবনা নেই। ফ্যাটেনিং এর ক্ষেত্রে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। তবে টেল টু টেলে যদি খাবার বাইরে থেকে দেওয়া যায় তাহলে এ সমস্যাটা থাকছে না।
তবে ছেড়ে গরু পালার ক্ষেত্রে হেড টু হেডের বিকল্প নেই। আমাদের দেশে এখন অনেক আধুনিক খামার গড়ে উঠছে যেগুলোতে গরু ছেড়ে পালার সিস্টেম থাকে। এসব ক্ষেত্রে হেড টু হেড সবচেয়ে ভালো। অন্যথায় টেল টু টেল সিস্টেম হেড টু হেডের চেয়ে অনেক গুনে ভালো।
👉আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে যে শেড বানাবার সময় বেশিরভাগ খামারি নিজের সুবিধার কথা ভাবে, গরুর সুবিধা না (অবশ্য বর্তমানে অনেক শিক্ষিত খামারির সংখ্যা বাড়ছে) । হেড টু হেড হলে সে সহজেই খাবার পানি দিতে পারবে। অথচ খামারে লাভ করার সূত্রের ৪ নাম্বার শর্ত ছিল গরুকে আরামদায়ক পরিবেশ দেওয়া।
👉তবে অনেক খামারির পক্ষে আসলে হেড টু হেড ছাড়া উপায় থাকে না। আলাদা ঘর না থাকার কারনে চোরের উপদ্রপের ভয়ে বাহিরের দেয়াল উচা বা টিন দিয়ে ঘেরাও করে ফেলতে হয়। ফলে গরুকে হেড টূ হেড রাখতে হয়। আবার জায়গার স্বল্পতার কারনে অনেকের বাহিরে গিয়ে খাবার দেবার উপায় থাকে না।
কিন্তু একটু বুদ্ধি করে টিনের মাঝে জানালার মত করে ফাকা করে রাখলে বাহির থেকে খাবার দেওয়া যায়। আবার রাতে বন্ধ করে রাখা যায়। কিন্তু ওই যে বললাম, বেশিরভাগ খামারি এই কস্ট টুকু করতে চায় না।
👉ঘরের মেঝে কেমন হবে
উদ্দেশ্য হল যাতে সহজের পরিস্কার করা যায় এবং গরুর জন্য কোন সমস্যার না হয়।
ফ্লোর বা মেঝে দুই ভাবে বানানো যায় –
১। ইট দিয়ে সলিং
২। ঢালাই
👉১। ইট দিয়ে সলিংঃ বালু দিয়ে তার উপর ইটের সলিং পেতে সিমেন্ট বালুর মশলা তৈরি করে দুইটি ইটের সংযোগ স্থলে মশলা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।
এটি খুব ভালো ভাবে করতে হবে। অন্যথায় কদিন পর পর ইট উঠানোর ঝামেলা আছে। এমনকি এখন না হলেও ৪/৫ বছর পর ইট উঠে যায় এবং উচু নিচু হয়ে যায়। ফাকা জায়গা দিয়ে গরুর প্রসাব ও গাসলের পানি কাদা তৈরি হয়।
👉২। ঢালাইঃ সিমেন্ট মশলা দিয়ে একেবারে ঢালাই দেওয়া হয়। ভালভাবে না দিলে এখানেও কদিন পর পর ঢালাই উঠে যায়।
ঢালাইতে পিছলে গরু পরে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই সাবধান থাকতে হবে।
👉খামারে ঘরের মেঝে ঢালু দিতে হবে যাতে গোবর ময়লা সহজেই ড্রেনে চলে যায়। মাঝের রাস্তার স্লোপ বা ঢালু মাঝখান থেকে দুই দিকে যাবে। এতে পানি দু দিকে চলে যাবে। মেঝের ঢাল সামনে থেকে ড্রেনের দিকে গাভীর ক্ষেত্রে প্রতি ফিট এর জন্য ০.২৫ ইঞ্চি এবং ষাড় গরুর জন্য ০.৫০ ইঞ্চি করে দিতে হবে। ফলে ৮ ইঞ্চির জন্য গাভির ক্ষেত্রে ২-৩ ইঞ্চি এবং ষাড় গরুর ক্ষেত্রে ৪-৫ ইঞ্চি ঢাল দিতে হবে।
গাভির চেয়ে ষাড় গরুতে ঢাল বেশি দেবার যুক্তি হিসেবে বলা হয় যে পেছনে বেশি ঢালু থাকলে পেছনে মাংস তারাতারি বাড়ে। কিন্তু এটি সাইন্টিফিক কিনা জানি না।
👉গরুর খাবার ও পানির হাউস ( চারি )
অনেকে ভাবেন খাবার হাউস যত উচু হবে তত ভালো, গরু সহজে খেতে পারবে। ব্যাপারটাকে তারা অনেকটা ডাইনিং টেবিলের মত বানিয়ে ফেলেছেন। মানুষের যেমন ডাইনিং টেবিলে খেতে সুবিধা হয়, গরুর ক্ষেত্রেও তেমনটা ভাবা হচ্ছে।

কেন ডাইনিং টেবিল নয় ?
👉গরু স্বাভাবিক ভাবে মাঠে নিচে থেকে ঘাস খায়। এটাই তার স্বভাব। তাই খাবার জায়গা উচা করে দেওয়া অর্থ তার স্বভাবের বিরুদ্ধে কাজ করা।
এছাড়া মুখ নিচের দিকে থাকার কারনে মুখ দিয়ে যথেস্ট লালা আসে যা খাবারের হজমে সহায়ক। অথচ খাবার স্থান উচা করে দিলে যথেস্ট পরিমান লালা আসে না।
আলাদা খাবার ও পানির পাত্র করতে ব্যাপক পরিমান খরচ হয়, অথচ এই খরচের কোন প্রয়োজন ছিল না।
👉তাই গরুর সামনে সামান্য উচু দেওয়াল করে লোহার পাইপ বা বাশ টেনে দিতে হবে (নিচের ছবির মত)। এর সামনে ফ্লোরেই খাবার রাখতে হবে। পানি আলাদা একটি পাত্র বা কাটা ড্রামে দেওয়া যেতে পারে কিংবা জায়গা থাকলে পানির জন্য আলাদা লাইন করতে হবে।
👉কিন্তু কিছু পুরোনো গরুর খামার ভিসিট করলে অনেকের মনে নিচের প্রশ্নগুলো আসবে ?
👉পুরোনো খামারে তো খাবার হাউজ উচু করে দেওয়া আছে। তাদের তো লস হচ্ছে না।
পাত্র উচু করে দেওয়ার জন্য গরু খাচ্ছে না বা অসুস্থ হয়েছে এমন তো কোন প্রমান নেই।
এভাবে ফ্লোরে খাবার দিলে খাবার নস্ট হয়।
হ্যা, পুরোনো পদ্ধতিতে খাবার দিলে আপনার লস হবে তা নয়, কারন গরু তো এর জন্য খাওয়া বন্ধ রাখবে না। তবে
👉এটি গরুর জন্য আরামদায়ক বা স্বাভাবিক হবে না।
হাউজ উচু করতে অতিরিক্ত খরচ হবে।
প্রযুক্তি সর্বদাই পরিবর্তন হয়। টিকে থাকে তারাই যারা প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
আর ফ্লোরে খাবার নস্ট দূর করার জন্য উপরের ব্যাপারটিকে ঠিক রেখেই আমরা একটি ব্যবস্থা নিতে পারি। সেটা হল খাবারের হাউস বানানো হবে কিন্ত তার গভীরতা হবে একেবারে ফ্লোরের কাছাকাছি, উচ্চতা গরুর সামনে ১২ ইঞ্চি এবং বাইরের দিকে ১৮ ইঞ্চি।
👉প্রাচীর থেকে নালা দিকে খাবার ও পানির হাউজের জন্য ২.৫ ফিট। প্রতি গরুর জন্য সামনে ৪ ফিট। সুতরাং দুই গরু তে ৮ ফিট। তাহলে মাঝে একটা ২ ফিট পানির হাউজ বানিয়ে বাকি ৬ ফিট অর্থাৎ ৩ ফিট করে প্রতি গরুতে একটা খাবার হাউজ হবে। পানির হাউজ একত্রে বানাবার কারনে জায়গা কম লাগবে, ওদিকে খাবার হাউজে বেশি জায়গা দেওয়া যাবে। এছাড়া আলাদা ভাবে বানালে ৪ ফিটের মধ্যে খাবার হাউজে ২.৫ ফিট এবং পানির হাউজে ১.৫ ফিট করে নিতে হবে। আলাদা রাখার সুবিধা হল এক গরুর রোগ হলে পাশের গরু সহজে সেই রোগে আক্রান্ত হবে না। এছাড়া বোঝা যাবে কোন গরুটি কেমন পানি খাচ্ছে।
👉ঘরের চাল কেমন হবে ?
কয়েক ধরনের আছে। যেমন –
১। ঢালাইঃ খরচ বেশি, কিন্তু গরমে তাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। গরুর প্রধান সমস্যা হয় গরমে, শীতে না।
২। টিনের চালঃ খরচ কম, কিন্তু গরম বেশি কিন্তু শীতে ঘর অনেক ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে গরম কমাতে চালের নিচে ইন্সুলেসন দেওয়া যেতে পারে।
৩। প্লাস্টিকের চাল = মরিচা ধরে না, রোদের তাপে গরম হয় না, দিনের বেলা আলো পৌছায়।
👉শেডের চারপাসে ওয়াল কিভাবে দিতে হবে ?
ওয়াল ২.৫ ফুট সবচেয়ে ভালো। তবে চোরের ভয় থাকলে ৩ ফুট পর্যন্ত করে এর উপরে জানালাসহ টিন দেওয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় নেট দিয়ে ঘিরে দিলে। অনেকে ভাবেন শীতে ঠান্ডা লাগবে। কিন্তু আমাদের দেশে গরুর জন্য শীত নয়, প্রধান সমস্যা হয় গরমে।
👉গরুগুলোকে কি পাইপ /বাশ দিয়ে আলাদা করে দিতে হবে ?
সেডে গরুগুলোকে পাইপ বা বাশ দিয়ে আলাদা করে দিলে এক গরু অন্য গরুর দিকে পায়খানা করতে পারবে না, পেছনের দিকে করবে, ফলে পরিস্কারের সময় সুবিধা হবে। কিন্তু পায়খানা করবে সে গরু বসলে সেটির অপর বসবে, আর গাভি হলে টিট দিয়ে জীবাণু ঢুকে যাবে।
👉ড্রেনের মাপ কেমন হবে ?
প্রসাব ও গোবর যাবার ড্রেনের জন্য – ড্রেন ০.৫ থেকে ১.৫ ফিট লম্বা এবং ১ থেকে ২.৫ ফিট গভীর হতে হবে। তবে ড্রেনের ওপর খোলা থাকলে গভীরতা যাতে বেশি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। গরুর পা পড়ে এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবন রয়েছে।
👉শেড কি পূর্ব পশ্চিম নাকি উত্তর দক্ষিন ?
পূর্ব – পশ্চিমে শেড করার ব্যাপারটি পোল্ট্রিতে যত গুরুত্বপূর্ণ, গরুর খামারের ক্ষেত্রে তত নয়। কারন পোল্ট্রিতে এমোনিয়া গ্যাস জমলে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়ে মুরগি মারা যায়, যেমন, ঠান্ডা বিশেষ করে মাইকোপ্লাসমা দ্বারা এবং পরবর্তীতে ঠান্ডার কারনে আরো অনেক রোগের আগমন। কিন্তু গরুর ক্ষেত্রে প্রোডাকসনে প্রবলেম নিয়ে আসে তা নয়। তবে চেস্টা করতে হবে পূর্ব পশ্চিমে করার।
👉 শীতকালে আমাদের দেশে বায়ু সাধারণত উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে ভূ-পৃষ্ঠের প্রচন্ড উত্তাপে ভারতের পশ্চিম-কেন্দ্রভাগ জুড়ে একটি নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে বঙ্গোপসাগর থেকে একটি উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুস্রোত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উল্লিখিত নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়। কাজেই সেড পূর্ব পশ্চিম বরাবর লম্বা করলে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারবে।.
আরো একটি সুবিধা হল যে সূর্যের আলো তখন গরুর পেছনে অর্থাৎ প্রসাব ও গোবরের ওপর পরে, ফলে ন্যাচারালি কিছুটা জীবানুমুক্ত হয়। কিন্তু সেড উত্তর দক্ষিনে লম্বা করলে সূর্যের আলো সরাসরি গরুর মুখে পড়বে।
শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন ধন্যবাদ ❤️🐄

ছাগলের আদর্শ সুষম দানাদার খাদ্য তালিকাঃ♦️---------------------------------------------------♦️ছাগলের জন্য 100 কেজি আদর্শ...
30/12/2024

ছাগলের আদর্শ সুষম দানাদার খাদ্য তালিকাঃ
♦️---------------------------------------------------♦️
ছাগলের জন্য 100 কেজি আদর্শ সুষম দানাদার খাদ্য তৈরির রেশন ফর্মূলেশন করব ইনশাআল্লাহ্।

খাদ্য উপাদানের নাম ও পরিমাণঃ

1) গমের ভুষি 42 কেজি
2) ভুট্টা ভাঙ্গা 35 কেজি
3) সয়াবিন মিল 10 কেজি
4) সরিষা/তিলের খৈল 10 কেজি
5) ডিসিপি 1 কেজি
6) ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স 1 কেজি
7) খাবার লবন 1 কেজি

মোট পরিমাণঃ 100 কেজি।

উপরোক্ত উপাদানের সমন্বয়ে খাদ্য তৈরি করলে এর পুষ্টিমান হবে নিম্নরূপঃ

প্রোটিনঃ 18.59% বিপাকীয় শক্তিঃ 2556 কিলো ক্যালরী। এবং উল্লেক্ষিত খাদ্য আপনার ছাগলকে খাওয়ালে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মোটাতাজা হবে ইনশাআল্লাহ্!!
👉শেয়ার করে রেখে দিন অনেকের উপকারে আসবে ।
কৃষি ও খামার

💥💥আলহামদুলিল্লাহ!!! মাত্র ""৬৭"" দিনে আমাদের উত্তরের এই প্রচন্ড শীতেও গরু পরিপূর্ণ মোটাতাজা হলো। 💥💥♻️এগুলো গরু দ্রুত মোট...
14/12/2024

💥💥আলহামদুলিল্লাহ!!! মাত্র ""৬৭"" দিনে আমাদের উত্তরের এই প্রচন্ড শীতেও গরু পরিপূর্ণ মোটাতাজা হলো। 💥💥

♻️এগুলো গরু দ্রুত মোটাতাজাকরণ ইনজেকশন প্রয়োগও খাদ্য তৈরী নিয়ে বেশ কিছু ভিডিও দেখেছেন।
এরপরেও যারা আমার সাথে নুতুন যুক্ত আছেন তারা বিশেষকরে খাদ্য তালিকা বিষয়ে জানতে চান,

♻️তাঁদের জন্য খাদ্য তালিকা নিম্নে দিচ্ছি (বর্তমান বাজার মূল্য সহ) , আমরা যেভাবে খাদ্য তৈরী করে গরুকে সাধারণভাবেই দ্রুত মোটাতাজাকরণ করে থাকি।

♻️ এছাড়াও শীতে দ্রুত মোটাতাজাকরণ নিয়ে কিছু বাড়তি পরিচর্চার বিষয় তুলে ধরতেছি। ♻️

_____=______=______=______=______=_____=____

💥খাদ্যর মূল উপকরণ সমূহ 💥

1. ভুট্টা গুড়া - ১২০ কেজি =৪০৮০ টাকা
2.সয়ামিল খৈল - ১০ কেজি = ৬২০ টাকা
3. সরিষার খৈল - ১৫ কেজি = ৭৫০ টাকা
4. লাইমস্টন - ৬ কেজি = ৭২ টাকা
এমাইনোপ্রোট- ৩ কেজি = ৩৯০ টাকা
ধান গুঁড়া / ব্রান - ১৫ কেজি = ৪৫০ টাকা
7. লবন - ৩ কেজি = ১২০ টাকা
8. ধানের কুড়া - ৩৫ কেজি = ৫২৫ টাকা
9.মেডিসিন(২৩ প্রকার)- ৬ কেজি= ২১১৩ টাকা ____________________________________________
মোট ওজন ২১৩ কেজি ✴️মোট মূল্য ৯১২০ টাকা ।

{প্রতি কেজি খাদ্য তৈরিতে খরজ হলো (৯১২০÷২১৩)টাকা } =✴️ ৪২ টাকা ৮০ পয়সা ✴️

💥ভুট্টার দাম বর্তমানে কমতেছে ইনশাআল্লাহ কিছু দিন পর এভাবে খাদ্য তৈরি করলে কেজি প্রতি ৩৬ হতে ৩৭ টাকা খরজ হবে। 💥

✴️💥৯ নং এর ২৩ প্রকার মেডিসিন 💥💥..............//...............//...............//............//.........
1.লাইসিন - ৪০০গ্রাম = ১০৪ টাকা
2.মিথিওনিন - ৪০০ গ্রাম = ১৫২ টাকা
3. টক্সইন - ৩০০গ্রাম = ৯০ টাকা
4. জাইম - ২০০ গ্রাম = ১০০ টাকা
5. ক্যালসিয়াম - ১০০গ্রাম = ৫০টাকা
6. সোডিয়াম - ২০০ গ্রাম = ১৪ টাকা
7.রুমেন ই - ১০০ গ্রাম = ৫৫ টাকা
8. মিনারেল- ৪০০গ্রাম = ১৬০ টাকা
9. ম্যাগনিসিয়াম - ৩০০গ্রাম= ১২০টাকা
10. হাই ভিটামিন প্রিমিক্স-৫০০গ্রাম = ১৪০ টাকা
11 . এম সি পি - ৫০০গ্রাম= ১০০ টাকা
12. ফাইটেস - ৩০০গ্রাম = ৩৯টাকা
13. অক্সি - ১০০গ্রাম = ৬০টাকা
14. মুল - ১০০গ্রাম = ৬০টাকা
15. আর হ্যাল - ৬০গ্রাম = ৪৮ টাকা
16. গ্রোথফর্মুলা - ২০oগ্রাম = ৮০ টাকা
17. ডি জি টন - ২০০গ্রাম = ৫০ টাকা
18. জেডএম (a)- ২০০গ্রাম = ৯৬ টাকা
19.গ্রোয়ার - ৫০০গ্রাম= ৯০ টাকা
20 ফ্যাটি. জি - ৩০০গ্রাম = ৭৫ টাকা
21.ফ্যাট - ৫০০গ্রাম = ২০০টাকা
22.হেফাসেট - ১০০গ্রাম = ৮০ টাকা
23. প্রফিড- ১০০গ্রাম = ১৫০টাকা
___________________________________________
মোট ওজন ৬০৫০ গ্রাম ✴️ মোট মূল্য ২১১৩ টাকা

________=_________=_________=_________=______

💥 শীতকালে গরুর বাড়তি পরিচর্চা 💥

♻️১। গরুর ঘরে যেন কোনো বাতাস বা শীত প্রবেশ করতে না পারে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

♻️২। প্রয়োজনে খামারে বাতাস প্রবেশের জায়গায় কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া।

♻️৩। গরুর গা ঢেকে রাখা (বস্তা দিয়ে)।

♻️৪। গরু থাকার মেঝে বা সেট পানি দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার না করা। নিম্নে ৭-১০ দিন পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। বাকি দিন গুলো গরুর গোবর তুলে ফেলে বাঁশের ঝাড়ু দিয়ে সর্বোচ্চ পরিমান সেট পরিষ্কার করা ।

♻️৫। গরুকে প্রতিনিয়ত গোসল করা থেকে বিরত থাকা ।

♻️৬। গরুর ঘর গরম রাখার জন্য বেশি ভোল্ট এর বাল্ব ব্যবহার করা।

_____=______=_______=______=_______=_____=__
❇️খাদ্য যেভাবে গরুকে প্রয়োগ পরিমান ❇️

♻️ হাড্ডিসার গরুকে মূলত অন্য সব গরুর মত লাইভওয়েড অনুযায়ী খাদ্য প্রয়োগ করা যায় না। এখানে খাদ্য প্রয়োগ করতে হয়, একটি গরুতে কী পরিমান মাংস ধরতে পারে মোটাতাজা হলে, এই পরিমান এর উপরে আন্দাজ করে। আমরা যেভাবে খাদ্য দেই গরুকে,,,

♻️যে গরু মোটাতাজা হলে মাংস ধরে ২ মন এর মত, সেই গরুকে খাদ্য দেই দিনে ৩ কেজি মত

♻️যে গরু মোটাতাজা হলে মাংস ধরে ৩ মন এর মত, সেই গরুকে খাদ্য দেই দিনে ৪ কেজি এর মত

♻️যে গরু মোটাতাজা হলে মাংস ধরে ৪ মন এর মত, সেই গরুকে খাদ্য দেই দিনে ৫ কেজি এর মত

✴️এভাবেই মূলত আমরা আমাদের খামারের গরুকে খাদ্য প্রয়োগ করে ২ মাসে পরিপূর্ণ মোটাতাজা করি।

____=________=__________=________==________
❇️ বি : দ্রঃ ❇️

♻️অনেক জনের মনে প্রশ্ন আসছে হয়ত এত পরিমান ভুট্টা কিভাবে শোষণ করতে পারবে ? ভুট্টাকে শোষণ উপযোগী করে তুলার জন্য আমরা ভুট্টা কে একবারে মিহি আটা করে নেই এছাড়াও মেডিসিন তালিকায় ভুট্টাকে শোষণ করার জন্য একদম ভালো মানের " জাইম " ব্যবহার করি ও ফাইটেস ব্যবহার করি ,এছাড়াও সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ব্যবহার করি। যার ফলে এই বেশি পরিমান ভুট্টা আমাদের গরুর মধ্যে নরমালি শোষণ হয়ে থাকে। আলহামদুলিল্লাহ কখনো এর জন্য সমস্যায় পতিত হই নি আল্লাহর রহমতে।

💥💥
💥বি:দ্রঃ প্রয়োজনে আপনার নিকটস্থ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বা প্রাণী চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে এগুলো বিষয়ে আরো ভালো তথ্য গ্রহণ করতে পারেন।

✴️ আজকের বিষয়টি প্রয়োজনীয় মনে হলে, শেয়ার দিয়ে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন। এবং কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।

সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। 🥰
🥰 যাজাকাল্লাহ খাইরুন। Alhamdulillah Agro

যেসব ব্যক্তিদের খামার করা উচিত এবং যেসব ব্যক্তিদের খামার করা উচিত নয় আজকে এ বিষয় নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধ...
28/11/2024

যেসব ব্যক্তিদের খামার করা উচিত এবং যেসব ব্যক্তিদের খামার করা উচিত নয় আজকে এ বিষয় নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরবো...🤔

বর্তমান সময়ে পুরাতন খামারীদের অবস্থা কঠিন হুমকির মুখে সেখানে নতুন খামারিরা তো বিলাসিতা মাত্র.......
➡️ফার্ম করার শুরুতে'ই আমরা কিন্তু পই পই করে হিসাব করি.....
২৫/৩০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করব, বছরে দানাদার খাবার মেডিসিন ও লেবার খরচ সহ ১০/১১ লাখ টাকা খরচ করব,
বছর শেষে ১০/১২ লক্ষ টাকা লাভ হবে।

এভাবে কিন্তু আমরা সবাই হিসাব করি। কিন্তু সেট নির্মাণ করা শুরু থেকে গরু ক্রয় করে ফার্মে তোলার আগেই কিন্তু আমাদের বড় একটা এমাউন্ট চলে যায়, সেই সাথে আমরা ধৈর্য হারা হয়ে যাই এবং মাথার মধ্যে সারাক্ষণ চিন্তা বাড়তেই থাকে।

এরপরে গরু ফার্মে তোলার সময় হাট বাজার থেকে গুরু ক্রয় করা অনেক কষ্ট এখানে চিটার বাটপারের অভাব নেই। এখান থেকে কিন্তু আমরা বড় বড় বাঁশ খেতে খেতে সামান্য কিছু শিখতে পারি।
গরু ফার্মে তোলার পর খাবার ম্যানেজমেন্ট, নিজস্ব ঘাসের জমি না থাকায় দানাদার খাবার কিনতে কিন্তু অতিষ্ঠ, এবং রাখালের দুর্ব্যবহার, গবাদি পশুর L*D ও FMD সহ বিভিন্ন রোগবালাই তো আছেই। এক বছর লালন পালন করার পর গরু বিক্রি করার সময় দেখবেন আপনার কোন প্রফিট নাই। উল্টো আরো ২-৪ লক্ষ টাকা লস হয়েছে।

➡️সেজন্য বলতেছি যেসব ব্যক্তিদের খামার করা উচিত নয়:------
১. আপনি যদি কোন ভালো পজিশনে কর্মরত থাকেন হতে পারে সেটা কোম্পানির অথবা সরকারি কোন চাকুরি করেন তাহলে ভুলেও খামার করার চিন্তা ভাবনা করবেন না।

২. যদি আপনি প্রবাসী হন কিংবা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকেন। অনেকেই কিন্তু দীর্ঘদিন প্রবাসী থাকার ফলে তার আয় রোজগার অনেক বৃদ্ধি পায় এবং ভালো পজিশনে কর্মরত থাকে কিংবা কোন ব্যবসা-বাণিজ্য থাকে তাহলে সেই সমস্ত প্রবাসী ভাইদের বারতি টেনশন নেওয়া উচিত নয়।

৩. ধরুন আপনি লেখাপড়া শেষ করছেন কিন্তু এখনো বেকার তাই আপনার ইচ্ছা হচ্ছে ফার্ম করার কিন্তু আপনার কাজ করার কোন সামর্থ্য নাই। আপনি পশুপাখি অত্যন্ত ভালবাসেন কিন্তু আপনি কাজ করতে পারবেন না। এখানে শুধু ভালোবাসা দেখলে চলবে না। এই সেক্টরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক কাজকর্ম এবং পরিচর্যা করতে হয়।

৪. অনেকের ফ্যামিলিতে বাড়তি কোন লোক নেই ছোট ভাই অথবা বাবা কিংবা পরিবারের অন্যান্য লোকজন যার কারণে নিজেই সমস্ত কাজকর্ম এবং প্রাথমিক চিকিৎসা খাবার ম্যানেজমেন্ট সবকিছু নিজেকেই করতে হয় কিন্তু আপনার ফার্মের গরু ২০/২৫ টি তাহলে আপনার দাঁড়াও ফার্ম টিকিয়ে রাখা সম্ভব না।

৫. অনেকে প্রবাসী থাকা অবস্থায় কিংবা বিভিন্ন কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ইউটিউবে অথবা ফেসবুকে সফলতার গল্প দেখে ফার্ম করার প্রবল ইচ্ছা এবং আগ্রহ জাগে, তাই তারা শুধুমাত্র রাখালের উপর নির্ভর করে ফার্ম শুরু করে। কিন্তু এই সমস্ত লোকেরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৬. আবেগ দিয়ে নয় বিবেক দিয়ে কাজ করতে হবে তার জন্য খামার শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে কোথাও থেকে ট্রেনিং নিতে হবে অথবা পুরাতন খামারীদের সাথে দীর্ঘদিন পরামর্শ এবং বিভিন্ন খামার পরিদর্শন করতে হবে, তা না হলে আপনি এখান থেকে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
তাই বলতেছি এখন দেশে প্রতিদিন শত শত ফার্ম তৈরি হইতেছে এবং অনেক ফার্ম কিন্তু বন্ধ হইতেছে
এরকম ব্যবসায় রিক্স নিয়ে কোন লাভ হবে না যে ব্যবসার আপনার নূন্যতম ধারনা নেই।

✅➡️ যেসব ব্যক্তিরা খামার করে অল্পতেই ভালো প্রফিট অর্জন করতে পারবে। তাদের বিষয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো:--

১. যারা শুরুতেই ৫/১০ গরু দিয়ে শুরু করছেন। সারাদিন গরুর পিছনে অনেক শ্রম দিয়েছেন। গবাদি পশুর ভালো মন্দ বিচার করার এবং গরুর দিকে তাকালেই তার অনুভূতি বুঝতে পারেন ইনশাল্লাহ খেয়াল করুন আপনারা আসে পাশে তারা কিন্তু অল্পতেই ভালো একটা প্রফিট অর্জন করছে।
কারণ প্রতিদিন ফার্মে শ্রম দিলে যে জ্ঞান অর্জন হবে সেটা কিন্তু দীর্ঘদিন ট্রেনিং করার পরেও হবে না।
২. খামার টিকিয়ে রাখার জন্য ঘাসের কোন বিকল্প নাই। ঘাস হচ্ছে ফার্মের মেরুদন্ড, তাই যারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘাস চাষ করে এবং যাদের নিজস্ব জমি আছে তাদের ফার্মে লাভবান হওয়ার আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

৩. ধরুন আপনি প্রবাসে আছেন অথবা কোন জায়গায় কর্ম অবস্থায় আছেন, পাশাপাশি আপনার পরিবারের ছোট ভাই অথবা অন্যান্য লোকজন দিয়ে খামার পরিচালনা করতেছেন। এবং প্রতিমাসে সেখান থেকে আপনার কিছু খরচের টাকা এবং লেবার কস্টিং খরচ আপনার ওখান থেকে পরিবহন করতেছেন। তাহলে আপনার জন্য অনেক ভালো একটা দিক। এভাবে অন্য দিক থেকে সাপোর্ট দিলে ফার্মে সফল হওয়া চান্স বেড়ে যায়।

৪. আপনার কাজ করার সামর্থ্য আছে তাই আপনি ছোট আকারে শুরু করুন, নিজে যে কয়টা গুরু লালন পালন করার সামর্থ্য আছে সেই কয়েকটা লালন পালন করুন। ইনশাআল্লাহ বছর শেষে দশ টাকা প্রফিট হলেও সেটা শুধু আপনারই থাকবে।

৫. প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজকর্ম, এবং গবাদিপশু বেচাকেনা সবকিছু নিজেরই করতে হবে তাহলে এখানে ঠকে যাওয়ার কোন চান্স নাই।

আশা করি এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে আমরা সহজেই বুঝতে পারবো আমাদের কি করা উচিত। আমরা অনেকেই কিন্তু মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। আমাদের যদি সারা জীবন বসে খাওয়ার ওইরকম অর্থ থাকতো তাহলে কিন্তু আমরা এই Cattle সেক্টরে আসতাম না।
লেখাগুলো নিয়ে সবার মতামত আশা করছি, দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো ভালো থাকুক সকল খামারীরা💟
শেয়ার করে অবশ্যই অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন.....💟😇🙏
ধন্যবাদ সবাইকে.....

27/11/2024

আলহামদুলিল্লাহ এখন নিয়মিত কৃষিভিত্তিক ভিডিও আপলোড করা হবে

ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশ...👇১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুত...
19/08/2024

ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশ...👇

১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।
২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।
৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখোনা। নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।
৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা পেতে পারে।
৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা করো বেশি । মনে রেখো, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।
৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কোথায় আছে।
১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।
১১. কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।
১২. কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করো না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।
১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করো।
১৪. শ্বশুর কিংবা শাশুড়িকে এতটা সম্মান দিও, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে দাও। এবং তাদের প্রতি এমন আচরন করো, যাতে করে তাদের মেয়েকে তোমার বাড়ি পাঠানোর জন্য উতলা থাকে।
১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলো এবং কথা বলো। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ করোনা।©️

Address

Lohanipara
Rājshāhi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alhamdulillah Agro posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share