Dr.Sajjad Rumon

18/12/2024

🙂বিশ্বাস করেন এই যে বাচ্চার পিছে পিছে খাবারের বাটি নিয়ে দৌড়াচ্ছেন, এটা খুবই হাস্যকর। ক্ষেত্রবিশেষে বাচ্চার জন্য ট্রমাটিকও।

বাচ্চা খায় না— এই যে একটা জাতীয় ডায়লগ, এটা বন্ধ করেন। বাচ্চাও মানুষ। ওরও শরীরের ক্ষুধা তৃষ্ণা লাগে। ওকে ক্ষুধা লাগার সময় দিতে হবে এবং খাবারের প্রতি আগ্রহ হয় এমন পরিবেশ দিতে হবে।

বাচ্চাকে নিজের হাতে খাবার খেতে দিন। আঁতকে উঠবেন না। এটার যে কী দারুণ সুবিধা এটা বাচ্চাকে প্র্যাকটিস করালে তার কয়েকমাস পর থেকে বুঝবেন। শুরুটা খুবই কঠিন।

আমার মেয়ে হাতে ভাত নিয়ে সেটা আকাশে-বাতাসে ঝেড়ে ঝেড়ে ফেলত শুরুতে। তখন আমার মনে হত কান্না করতে বসে যাই। কিভাবে এসব পরিষ্কার করব ভেবে দিশেহারা হতাম। কিন্তু কয়েকটা মাস কষ্ট করার পর আলহামদুলিল্লাহ বাচ্চা এত ঝামেলা আর করেনা।

সারাক্ষণ জোর করে ধরে খাবার দিলে বাচ্চার কাছে খাওয়া বিষয়টাই ভয়ের হয়ে যায়। তখন আর খেতে চায়না কিছুতেই।

তার চেয়ে বরং ওর খাওয়ার দায়িত্ব ওর কাছে ছেড়ে দিন। একটা দুইটা ভাত টিপে টিপে খাবে। তিনঘন্টা ধরে একমুঠ ভাত খাক। সমস্যা কী, ও ব্যস্ত থাকছে এতটা সময়, খাওয়াও কিন্তু হয়।

আপনার মনের মতো করে পেট ভরে টপাটপ না খেলেই যে ওর খাওয়া পূর্ণ হয়না, এটা ভুল ধারণা। বরং বাচ্চা যখন হাতে নিয়ে দেখে অনুভব করে নিজে একটা দানা মুখে দেয়, তখন সে খাবারটা আরো মনোযোগ দিয়ে খাচ্ছে। নতুন জিনিসের সাথে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। এটা ওর বিকাশেও দারুণ ভুমিকা রাখে।

আপনারা মনে করতে পারেন, আমার মেয়ে এত সহজে খায় তাই বকবক করছি। এত সহজ না আপুরা, ওর জন্য আমি একবেলার ভাতও শান্তিতে খেতে পারিনা। কারণ আমরা দুজন এক প্লেটে ভাত খাই। আমি যখন খাই, তখন সে খেতে চায়, তাও আবার আমার প্লেটে নিজের হাত দিয়ে খাবে। আমার মাছটাও ও খাবে। আমার ভাতটুকু নিয়ে নেড়ে নেচে ছ্যাড়াব্যাড়া করবে।

আমি তখন কী করি! আমার মতো আমি খেয়ে উঠে যাই। ও আরেক পাশ থেকে ঘন্টা ধরে খেতেই থাকে।

তো অনেক রকম ঝামেলা থাকবেই। তবুও এরমধ্যে বাচ্চাকে নিজের হাতে খেতে দিলে ওর কাছে জিনিসটা এনজয় করার মত হবে।

বাচ্চাদের ফিডিং চেয়ার পাওয়া যায়, সেগুলোতেও দিতে পারেন। বা মেঝেতে রেক্সিন বিছিয়ে সেখানে ও বাচ্চাকে খাবার দিতে পারেন। আমি শুরুতে এভাবেই দিতাম রেক্সিনে। এখন আর আলাদা খেতে চায়না তাই একসাথেই বেশি খাওয়া হয়।

বাচ্চার না খাওয়া নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না।
মাঝেমধ্যে বাচ্চা সকল সমীকরণ বাদ দিয়ে মুখ বন্ধ করে দু-তিনদিন না খেয়ে থাকবে। এটা ওর ইচ্ছে।
মূলত বাচ্চার দাঁত ওটার প্রসেস, পেট ভালো না হলে, গ্রোথ স্পার্ট এর কারণে বা অন্য কোন কারণে ( যেটা বাচ্চার শারীরিক চাহিদা, স্বাস্থ্য অনুযায়ী লজিক্যাল ব্যাপার) বাচ্চা এক একদিন কিছুই খেতে চাইবে না।

এই সময়টায় পানি, ব্রেস্টমিল্ক, হালকা কিছু ফল— যেটুকুই খায় শুধু তা'ই দিন। আপনি স্বাভাবিক থাকলে, জোর না করলে ও আবার দুদিন পর ঠিকই খাবে ইনশাআল্লাহ।

আর অবশ্যই বাচ্চার জন্য প্রশস্ত রিজিকের দুআ করতে ভুলবেন না।

(বাচ্চাকে মোবাইল দেখতে দিয়ে খাবার দেয়া কোন অপশনই না।একটা চলতি ট্রেন্ড, বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি 🙏তাই এটা পোস্টে কোথাও নেই)
______________
|| বাচ্চা খায় না ||
ডা. রুবাইয়া বিনতে রশীদ

13/12/2024

জ্বর,শরীর আর কোমর ব্যাথা নিয়ে একজন রোগী আসলেন তাকে জিজ্ঞেস করলাম কিছুদিনের মধ্যে ঢাকা গিয়েছিলেন?
তার উত্তর:ঢাকাত যামু ক্যা,ঢাকাত কেউ আছে নাকি!
তার সাথে থাকা আরেকজন তাকে বলতেছে,আরে মানুষ যায়না ঢাকায়,কেউ থাকলেই খালি যায়?
তখন রোগী বলতেছে,হ খায়া কাম নাই এই কুয়াশার মদে মানুষ ঢাকাত যাবি!
😄😄😄

09/12/2024

থাইরয়েড অপারেশন করতে গিয়ে এক্সিডেন্টালি উনার প্যারাথাইরয়েড গ্ল্যান্ড কেটে গিয়েছে।
১০ বছর ধরে উনার তাই থাইরক্সিন এর সাথে নিয়মিত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট লাগে।
বিরক্ত হয়ে উনি ক্যালসিয়াম খাওয়া বাদ দেয়ায় টিটানিতে আক্রান্ত হন।
হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে আল্লাহর রহমতে এখন ভাল আছেন।
থাইরয়েড অপারেশনের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যারা অনেক অভিজ্ঞ এই অপারেশনে তার কাছে করাবেন।
আর এক্সিডেন্টালি যদি প্যারাথাইরয়েড কেটেও যায় যতদিন বেঁচে থাকবেন ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতেই হবে।সাথে সাথে নিয়মিত ডাক্তারের ফলো আপ অত্যন্ত জরুরী।

07/12/2024

02/12/2024

এখানেই শান্তি ❤️

24/11/2024

Kingdom Of Peace ❤️

22/11/2024

গোলাভরা ধান না থাকলেও পাথার ভরা ধান আছে(কৃষকদের)
পুকুর ভরা মাছ না থাকলেও বাজার ভরা মাছ আছে(জেলেদের)

15/11/2024

ক্ষমতার চেয়ে বেশি ভার বহন করাকে বেশি কাজ করা বলা যায়না।
এতে মুখ থুবড়ে পরার সম্ভাবনাই বেশি।

13/11/2024

আপনি যখন জীবন নিয়ে খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেশনে পরে যাবেন,
প্রকৃতির সান্নিধ্যে চলে যান,এটা মহৌষধ ❤️

03/11/2024

কখনো কি জেলখানার কয়েদীদের চোখের দিকে তাকিয়েছেন বিশেষ করে যারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত?

এক আকাশ লজ্জা,ভয় আর সংশয় নিয়ে তারা জেলের বাইরের মানুষের মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

তারা হয়তো প্রতি মুহুর্তে নিজেকে ধিক্কার দেয় নিজের কৃত কর্মের জন্য।

আর ভাবে ইশশ কেন যে ঐ অপরাধটা করেছিলাম! ঐ সময় যদি আমার মাথা ঠান্ডা থাকতো, যদি বিবেক জাগ্রত থাকতো!

তাই প্রতি মুহুর্তে নিজের বিবেক জাগ্রত রাখা উচিৎ।

এ কারনেই বোধ হয় ইসলাম ধর্মের একটা বাণী আছে
"নফসের জি/হাদ হল সবচেয়ে বড় জি/হাদ"

02/11/2024

বিজি ডাক্তারকে কেন দেখাবেন না

30/10/2024

Royal Enfield টা নিয়েই নিলাম 😎

21/10/2024

ডাক্তারকে বললাম আমি ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেছি তারপরও আবার করতে দিল কেন?