Mohammed Al Amin Elahee

Mohammed Al Amin Elahee Welcome to My Official page.

রাজধানীর কচুক্ষেতে পোষাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন!!খুব নিকট সময়ের ভিতরেই গোপালগঞ্জের পর ঢাকার...
31/10/2024

রাজধানীর কচুক্ষেতে পোষাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন!!

খুব নিকট সময়ের ভিতরেই গোপালগঞ্জের পর ঢাকার কচুক্ষেতে এই ঘটনা ঘটলো। শ্রমিকদের যদি কোন ন্যায্য দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাধান করবেন এটাই তাদের কর্তব্য। কিন্তু বিক্ষোভকালে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এটা যদি বিশেষ কোন উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে হয়ে থাকে, দেশ এবং অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার কোন ছক থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি হালকাভাবে দেখার কোনই সুযোগ নেই।

Dr. Shafiqur Rahman
আমীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

31/10/2024
Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!Hafij Khan, Jhantu Bapari, Shatsi Parvin, Md Osman B
30/10/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

Hafij Khan, Jhantu Bapari, Shatsi Parvin, Md Osman B

আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনাদের এই সমস্ত কোরবানি বাংলার এই জমিনে দ্বীনের বিজয়ের...
03/05/2024

আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনাদের এই সমস্ত কোরবানি বাংলার এই জমিনে দ্বীনের বিজয়ের জন্য কবুল করুন

'আসমানের অধিপতি যদি সন্তুষ্ট হয়ে যান, তাহলে জমিনের লোকগুলো অসন্তুষ্ট হলে কী এসে যায়....
05/04/2024

'আসমানের অধিপতি যদি সন্তুষ্ট হয়ে যান,
তাহলে জমিনের লোকগুলো অসন্তুষ্ট হলে কী এসে যায়....

প্রিয় মুফাসসিরে কুরআন প্রখ্যাত আলেমে দীন ও দায়ী ইলাল্লাহ মাওলানা লুৎফুর রহমান সাহেব ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ই...
03/03/2024

প্রিয় মুফাসসিরে কুরআন প্রখ্যাত আলেমে দীন ও দায়ী ইলাল্লাহ মাওলানা লুৎফুর রহমান সাহেব ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহ তাঁর নেক আমলগুলো কবুল করে নিন, ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। তাঁর পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দিন, আমিন।

প্রভু হে! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালবাসো, আমাদের ক্ষমা করো।
25/02/2024

প্রভু হে! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালবাসো, আমাদের ক্ষমা করো।

20/10/2023

I have reached 200 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কুরআন, বিশ্ব-বরেণ্য আলেমে দ্বীন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আল্লামা  লুৎফর রহমান...
17/08/2023

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কুরআন, বিশ্ব-বরেণ্য আলেমে দ্বীন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আল্লামা লুৎফর রহমান "মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা" এর আমন্ত্রণে গতরাত (১৫/৮/২৩) ৯:১৫ মিনিটে আমেরিকার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন । ১৮-২০ আগস্ট আমেরিকার পেনসিলভিনিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য "মুনা কনভেনশন ২০২৩" এ বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখবেন। এক মাসের এ দীর্ঘ সফরে আমেরিকার মুসলিম কমিউনিটির উদ্যোগে বিভিন্ন স্ট্যাটে ও মাসজিদে অনুষ্ঠিতব্য তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি তাফসীর পেশ করবেন ।
আমেরিকার সফর শেষে কাতারের বাংলাদেশ কমিউনিটির আমন্ত্রণে ১৭ সেপ্টেম্বর ক্ষণজন্মা এই ইসলামিক স্কলার কাতার সফর করবেন। কাতারের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ শেষে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি দেশে ফিরে আসবেন ইন্ শা আল্লাহ। তিনি দেশ/বিদেশের সকল শুভাকাঙ্খীদের নিকট আন্তরিকভাবে দু'আ চেয়েছেন।

মহান আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের প্রিয় দা'ঈ আল্লামাকে পরিপূর্ণ সুস্থতাসহ হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুন - আমীন ইয়া রাব্বাল আ'লামীন।

15/08/2023

বিদায়! হে প্রিয় রাহবার || আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

সোনার পাখিরা, একে একে উড়ে যায়
ভেঙ্গে ভেঙ্গে হৃদয়ের, সকল বাঁধন

14/08/2023

বুকটা ফেটে যাচ্ছে সত্যি কুরআনের পাখির বিদায় 😭😭 ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন

নবী সাঃ এর মেয়ে ফাতেমা রাঃ আমাদের মা নয়...❗সুন্নী আলেমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...! আপনারা ফাতেমা [রাঃ] কে মা ফাতেমা বলে ডা...
05/08/2022

নবী সাঃ এর মেয়ে ফাতেমা রাঃ আমাদের মা নয়...❗

সুন্নী আলেমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...! আপনারা ফাতেমা [রাঃ] কে মা ফাতেমা বলে ডাকেন এটা স্পষ্ট হারাম।

রাসূল(সাঃ) এর কন্যাদেরকে কি মা বলে ডাকা যাবে...❓

নবিজীর মেয়ে ফাতেমা (রাঃ) কে কি 'মা ফাতেমা' বলে ডাকা যাবে...❓

এর উত্তর হচ্ছে >না!
তাকে 'মা ফাতেমা' বলে ডাকা শোভনীয় নয়। এব্যাপারে মহান আল্লাহ নিজেই বলেনঃ
وَأَزْوَٰجُهُۥٓ أُمَّهَٰتُهُمْۗ
আর তাঁর (নবীর) স্ত্রীগণ তোমাদের মা।

[সুরা আল আহযাব, আয়াত ০৬]

মা মেয়ে কে এক সাথে মা বলে ডাকা যায় কি করে তুমার তো সামান্যতম জ্ঞান থাকা উচিত।

মা ফাতেমা [রাঃ] এবং মা আয়েশা [রাঃ] দুইজনেই আমাদের মা হয় কিভাবে...?

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কন্যা সন্তানও আমাদের মা, আবার তাঁর স্ত্রীও আমাদের মা, কিভাবে সম্ভব....❓

মা খাদিজা [রাঃ] আমাদের মা, আবার তার গর্ভজাত সন্তান ফাতেমাও [রাঃ] আমাদের মা!! এটা কোনোভাবেই সঠিক হওয়া যৌক্তিক নয়...।

পবিত্র কুরআনের সূরা আল আহযাবের 6 নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীগণ হলেন তার উম্মতের মা।

অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীগণের একজন খাদিজা [রাঃ] হলেন আমাদের মা এবং তাঁর গর্ভজাত কন্যা সন্তান ফাতেমা [রাঃ] হলেন আমাদের বোন সমতুল্য । কাজেই বোনকে মা ডাকা অনুচিত বলে আমি মনে করছি।

তাছাড়া নবীদের স্ত্রীদের মুমিনদের জন্য বিয়ে করা হারাম করা হয়েছে...। কারন নবীদের স্ত্রীরা হচ্ছে মুমিনদের জন্য মা।

আর মা বিয়ে করা হারাম এটা সকলেই জানে....! তাই যদি হতো..ফাতেমা মুমিনদের মা তাহলে তো আলী রাঃ ফাতেমাকে বিয়ে করতে পারতো না। কারন তাহলে সেটা হারাম হয়ে যেতো....।

কারন ফাতেমা নবী সাঃ এর মেয়ে...তাই নবী সাঃ এর মেয়েদের মা বলে ডাকা যাবে না...। কারন নবীদের স্ত্রীগন হচ্ছে আমাদের মা..তাই নবীদের স্ত্রীদের মুমিনদের বিয়ে করা হারাম ছিলো..।

তার মেয়েদেরকে নয়.....।

একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চারটি কন্যা ছিলেন । তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র ফাতেমা (রাঃ) কেই কেনো মা বলা হয়? আসলে এটা হল শিয়াদের থেকে আমদানীকৃত একটি ভ্রান্ত আকিদা, যারা হযরত আলী (রাঃ) কে বাবা বলে ডাকেন, আর ফাতেমা (রাঃ) কে মা বলে ডাকেন এবং এই বাবা-মা এর পূজা করেন ।

আর আপনি যদি হাদীসের গ্রন্থগুলি পড়েন তাহলে দেখবেন যে, নবিজীর স্ত্রীগণ যেসকল হাদীসগুলি বর্ণনা করেছেন, সেখানে বলা হয়েছে যে উম্মুল মুমিনিন...(অর্থাৎ মুমিনদের মা) অমুক থেকে বর্ণিত! যা পবিত্র কুর'আনের উল্লেখিত আয়াতটির (৩৩:৬) সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ!!
কিন্তু ফাতেমা (রা:) থেকে বর্ণিত অনেক সহীহ হাদীস আছে, যার কোনো একটি হাদীসেও এটা বলা হয়নি যে, 'মা ফাতেমা' (রা:) থেকে বর্ণিত।

জ্ঞাতব্য

আর তিনি নবিজীর কন্যা ফাতেমা রাদিঃ শুধুমাত্র ঈমাম হাসান ও হুসাইন (রা:) এঁদের মা! এছাড়া আমরা মুমিন মুসলমানরা তাকে শুধুমাত্র ফাতেমা রাদি'আল্লাহু তা'আলা আনহা বলেই সম্মান প্রদর্শন করবো।
*মা* ফাতেমা বলে নয়।

কাজেই ফাতেমা রদিয়াল্লাহু আনহা বলে সম্বোধন করাই সর্বোত্তম। এবং যা কুরআন সুন্নাহ সাংঘর্ষিক নয়।

😇তবে যে বাড়াবাড়ি করে এরপর মন্দ কর্মের পরিবর্তে সৎকর্ম করে। নিশ্চয় আমি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সূরাঃ নমল, আয়াতঃ ১১)

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বিষয়টা বুঝার তৌফিক দান করুন,আমিন।

08/03/2022

এমন কাউকে বিয়ে করো যে তোমাকে উৎসাহিত করবে, তোমার ইমান উন্নত করবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, আল্লাহর নিকটবর্তী করবে

 #মুসলিমরাই সর্বপ্রথম পৃথীবিকে আধুনিক সভ্য করেছে।। মুসলমানদের সেই সোনালী দিনগুলো আজ কোথায়?'"দুনিয়া কাঁপানো মুসলিম আবিষ্ক...
28/01/2022

#মুসলিমরাই সর্বপ্রথম পৃথীবিকে আধুনিক সভ্য করেছে।।

মুসলমানদের সেই সোনালী দিনগুলো আজ কোথায়?

'"দুনিয়া কাঁপানো মুসলিম আবিষ্কারক"'

মুসলিম সভ্যতার ক্রমবিকাশে মুসলিম মনীষীদের অবদান অবিস্মরণীয়। যুগ যুগ ধরে গবেষণা ও সৃষ্টিশীল কাজে তাঁদের একাগ্রতা প্রমাণিত। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা সভ্যতার বিকাশকে করেছে আরও গতিশীল। রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসা, জ্যোতির্র্বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস সর্বত্র ছিল তাঁদের অগ্রণী পদচারণা। বহু মুসলিম বিজ্ঞানী দিগন্ত উন্মোচনকারী আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। সেসব আবিষ্কার ও গবেষণার আধুনিকীকরণ ঘটেছে, তার সুফল ভোগ করছে আজকের বিশ্ববাসী। দুনিয়া কাঁপানো মুসলিম আবিষ্কারকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনকে নিয়ে আজকের রকমারি-

#জাবির_ইবনে_হাইয়ানঃ

মুসলিম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান আল-আজদি আস সুফি আল-ওমাবি। আরবের দক্ষিণাংশের বাসিন্দা আজদি গোত্রের হাইয়ান ছিলেন তাঁর পিতা। চিকিৎসক পিতার সন্তান হলেও সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে উমাইয়া খলিফা তাঁর পিতাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করলে বাল্যকালে তিনি চরম দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হন। শৈশবে কুফায় বসবাস করলেও পিতার মৃত্যুর পর তিনি দক্ষিণ আরবে স্বগোত্রে ফিরে আসেন। কুফায় বসবাসের সময় তিনি রসায়ন শাস্ত্র গবেষণায় বিশেষ মনোযোগী হন। ওই পরিপ্রেক্ষিতে কুফায় একটি রসায়ন গবেষণাগারও প্রতিষ্ঠা করেন। মুসলিম ঐতিহাসিকরা ওই গবেষণাগারকে পৃথিবীর প্রথম রসায়নাগার বলে অভিহিত করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই প্রথম বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে রসায়নের প্রাথমিক প্রক্রিয়াগুলো চর্চা করার উপায় উদ্ভাবন করেন। রসায়ন শাস্ত্রের পাশাপাশি তিনি চিকিৎসা, খনিজ পদার্থ বিশেষত পাথর, দর্শন, যুদ্ধবিদ্যা, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে অবদান রাখেন। তিনি প্রায় ২ হাজার বই রচনা করেন। এর মধ্যে চিকিৎসা বিষয়ে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৫০০।

িরুনিঃ

পারস্যের মুসলিম মনীষী আবু রায়হান আল বিরুনি। তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কাটিয়েছেন মধ্য এশিয়ায়। ২০ বছর বয়সে তিনি জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ শুরু করেন। তিন বছর ধরে তিনি গোটা পারস্য চষে বেড়ান এবং বিভিন্ন পন্ডিতের অধীনে পড়ালেখা করে নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। ৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি জুরজানে (বর্তমানে ‘গুরগান’, উত্তর ইরানের একটি শহর) স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। জীবনের পরবর্তী ১০ বছর তিনি উত্তর ইরানের এই ছোট্ট শহরেই বসবাস করেন। নিজের গবেষণা চালিয়ে যান, বই লিখেন এবং জ্ঞানার্জনে রত থাকেন। আল-বিরুনি ভূবিদ্যার একজন পথিকৃৎ। তিনি শতাধিক বিভিন্ন ধরনের ধাতু এবং রতœপাথর সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা করেন। একাদশ শতাব্দীতে আল বিরুনি তাঁর বর্ণময় কর্ম এবং বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণায় নতুন ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেন। তিনি আবিষ্কার করেন কীভাবে পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান।

স্থিতিবিদ্যা এবং গতিবিদ্যাকে একীভূত করে বলবিদ্যা নামক গবেষণার নতুন ক্ষেত্রের প্রবর্তন করেন।

#ইবনে_সিনাঃ

৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বোখারা শহরে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও দার্শনিক আবু আলি সিনা। বোখারা শহরটি সে সময় ছিল ইরানের অন্তর্ভুক্ত। ইবনে সিনা তাঁর দর্শন চর্চা করেছেন, বিজ্ঞান চর্চা করেছেন, জোতির্বিজ্ঞান থেকে শুরু করে যুক্তিবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, অঙ্ক ইত্যাদি সব জ্ঞান চর্চা করেছেন। তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে সমকালীন জ্ঞানী-গুণী, চিকিৎসক এবং মনীষীদের পড়িয়েছেন। ফলে সহজেই বোঝা যায় তিনি ছিলেন সে সময়কার সবচেয়ে বড় চিকিৎসক। কথিত আছে, ইবনে সিনা যখন ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়তেন তখন অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো তাঁর মানসপটে স্বপ্নের মতো ভাসত। তাঁর জ্ঞানের দরজা খুলে যেত। ঘুম থেকে উঠে তিনি সমস্যার সমাধান করে ফেলতেন! একজন বিখ্যাত চিকিৎসক হিসেবে সর্বত্র তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি আল মুজমুয়া নামে একটি বিশ্বকোষ রচনা করেন। এর মধ্যে গণিত ছাড়া সব বিষয় লিপিবদ্ধ করেন। ইবনে সিনা পদার্থবিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, জ্যামিতি, গণিত, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ে পৃথিবীর সেরা চিকিৎসক।

ৈয়ামঃ

অনেক ইতিহাসবিদের মতে, সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর কিছু আগে ওমর খৈয়াম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ওমর খৈয়ামের শৈশবের কিছু সময় কেটেছে অধুনা আফগানিস্তানের বলখ শহরে। সেখানে তিনি খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফেফক নিশাপুরীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। দিনে জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় মালিক-শাহর দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি জালালি বর্ষপঞ্জি সংশোধন সবটাতে তাঁর নিষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না। জীবদ্দশায় ওমরের খ্যাতি ছিল গণিতবিদ হিসেবে। তিনি প্রথম উপবৃত্ত ও বৃত্তের ছেদকের সাহায্যে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান করেন। ওমরের আর একটি বড় অবদান হলো ইউক্লিডের সমান্তরাল স্বীকার্যের সমালোচনা যা পরবর্তী সময়ে অ-ইউক্লিডীয় জ্যামিতির সূচনা করে। ১০৭০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পুস্তক মাকালাত ফি আল জার্ব আল মুকাবিলা প্রকাশিত হয়। এই পুস্তকে তিনি ঘাত হিসেবে সমীকরণের শ্রেণিকরণ করেন এবং দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধানের নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ করেন। ওমর খৈয়াম জ্যোতির্বিদ হিসেবেও সমধিক পরিচিত ছিলেন।

ারাবিঃ

মুসলিম বিজ্ঞানী ও দার্শনিক আল ফারাবির আসল নাম আবু নাসের মোহাম্মদ ইবনে ফারাখ আল ফারাবি। আল ফারাবির পিতা ছিলেন উচ্চশিক্ষিত এবং সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাঁর পূর্বপুরুষরা ছিলেন পারস্যের অধিবাসী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও রাজনৈতিক কারণে তাঁর পূর্বপুরুষরা পারস্য ত্যাগ করে তুর্কিস্তানে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফারাবায়। সেখানে কয়েক বছর শিক্ষালাভের পর অধিকতর শিক্ষার উদ্দেশ্যে চলে যান বোখারায়।

এরপর উচ্চ শিক্ষালাভের জন্য তিনি গমন করেন বাগদাদে। সেখানে তিনি সুদীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর অধ্যয়ন ও গবেষণা করেন। জ্ঞানের অন্বেষণে তিনি ছুটে গেছেন দামেস্ক, মিসর এবং দেশ-বিদেশের আরও বহু স্থানে। পদার্থবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভৃতিতে তাঁর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে বিজ্ঞান ও দর্শনে তাঁর অবদান ছিল সর্বাধিক। পদার্থবিজ্ঞানে তিনিই ‘শূন্যতার’ অবস্থান প্রমাণ করেছিলেন। দার্শনিক হিসেবে ছিলেন নিয় প্লেটনিস্টদের পর্যায়ে বিবেচিত।

াত্তানিঃ

৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত বাত্তান নামক স্থানে আল বাত্তানি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অঙ্কশাস্ত্রবিদ এবং একজন জ্যোতির্বিদ। তিনিই সর্বপ্রথম নির্ভুল পরিমাপ করে দেখিয়েছিলেন যে, এক সৌর বছর ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে হয়। তিনি প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, সূর্যের আপাত ব্যাসার্ধ বাড়ে ও কমে। সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ সম্বন্ধেও তাঁর বক্তব্য ছিল সুস্পষ্ট। আল বাত্তানি তাঁর নিজস্ব উদ্ভাবিত যন্ত্র দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন যে, সূর্য তার নিজস্ব কক্ষপথে গতিশীল। এই মহান মনীষী ৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ৭২ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।

আল বাত্তানি ছিলেন একজন মশহুর জ্যোতির্বিদ এবং গণিতজ্ঞ। তিনি জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার জন্য নিজস্ব মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বহু বছর ধরে জ্যোতির্বিদ্যায় প্রচলিত ভুলগুলো সংশোধন করে এই শাখার অনেক সংস্কার ও উন্নতিসাধন করেন। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাঁকে উল্লেখ করেছেন ‘আল বাতেজনিয়াজ’, ‘আল বাতেজনি’, ‘আল বাতেনিয়াজ’ ইত্যাদি নামে। তাই তাঁর পরিচয় অনেকটাই ইতিহাসে হারিয়ে যেতে বসেছে।

#মুসা_আল_খাওয়ারিজমিঃ

তাঁর পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমি। সোভিয়েত রাশিয়ার আরব সাগরে পতিত আমু দরিয়ার কাছে একটি দ্বীপে আনুমানিক ৭৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাটিগণিত, বীজগণিত, ভূগোল, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যামিতিতে প্রভূত ভূমিকা রাখেন। তবে মূলত বীজগণিতের জন্যই তিনি সবচেয়ে আলোচিত হন। তাঁর ‘আল জিবর ওয়াল মুকাবিলা’ বই থেকে জানা যায়, তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। খলিফা মামুনের বিশাল লাইব্রেরিতে আল খাওয়ারিজমি চাকরি গ্রহণ করেন। এখানেই সম্ভবত তিনি বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। অসীম ধৈর্যসহকারে অধ্যয়ন করে তিনি বিজ্ঞানের যাবতীয় বিষয়ের সঙ্গে পরিচিতি লাভ করেন।

তিনি ছিলেন একজন জগদ্বিখ্যাত গণিতবিদ। তাঁর সময়ের গণিতের জ্ঞানকে তিনি এক অভাবনীয় সমৃদ্ধতর পর্যায়ে নিয়ে যান।

গণিতবিদ হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন উল্লেখযোগ্য জ্যোতির্বিদ। ভূগোল বিষয়ে তাঁর প্রজ্ঞা উৎকর্ষতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। তিনি ছিলেন বীজগণিত তথা অ্যালজেবরার জনক। তিনি প্রথম তাঁর একটি বইয়ে অ্যালজেবরার নাম উল্লেখ করেন। বইটির নাম হলো ‘আল জাবর ওয়াল মুকাবিলা’।

তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক বহু গ্রিক ও ভারতীয় গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদ করেন। পাটিগণিত বিষয়ে তিনি একটি বই রচনা করেন, যা পরে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়। তাঁর হাতেই বীজগণিত পরবর্তী সময়ে আরও সমৃদ্ধতর হয়। বর্তমান যুগ পর্যন্ত গণিত বিদ্যায় যে উন্নয়ন এবং এর সহায়তায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যে উন্নতি ও আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে তার মূলে রয়েছে আল খাওয়ারিজমির উদ্ভাবিত গণিত বিষয়ক নীতিমালারই বেশি অবদান। তাঁর রচিত বই ‘কিতাব আল জিবর ওয়াল মুকাবিলা’ থেকে বীজগণিতের ইংরেজি নাম অ্যালজেবরা উৎপত্তি লাভ করে।

বিজ্ঞানের সব শাখায় তাঁদের বিচরণ

িঃ

মুসলিম জোতির্বিদদের অগ্রগতি ছিল প্রশ্নাতীত। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই মুসলিম জোতির্বিদদের সাফল্যের খোঁজ মিলেছিল। তাঁদেরই একজন জাফর ইবনে মুহম্মদ আবু মাশার আল বলখি। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত পার্সিয়ান জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক, গণিতবিদ। তিনি আল ফালাকি, আবুল মাসার, ইবনে বলখি নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর কাজ এখনো প্রশংসনীয়।

িন্দিঃ

আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দি ছিলেন কোরআন শরিফ, হাদিস শরিফ, ফিকাহশাস্ত্র, ইতিহাস, দর্শন, ভাষাতত্ত্ব, রাজনীতি, গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা প্রভৃতি নানা বিষয়ে বিশারদ। তিনি ছিলেন গ্রিক, হিব্র“, ইরানি, সিরিয়াক এমনকি আরবি ভাষাতেও ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন। তিনি নানা বিষয়ে ২৬৫ খানা গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর বইগুলো এখনো বহুল পঠিত।

াইগঃ

প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ, যুক্তিবিদ, দার্শনিক, পদার্থবিদ, মনোবিজ্ঞানী, কবি এবং বিজ্ঞানী আবু বকর মুহম্মদ ইবনে ইয়াহিয়া ইবনে আল সাইগ।

তবে তিনি ইবনে বাজ্জাহ নামে বেশি পরিচিত। তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। উদ্ভিদবিদ হিসেবেও তাঁর সুনাম ছিল। আল সাইগের কবিতাগুলোও প্রশংসাযোগ্য। তাঁর বিখ্যাত বই ‘কিতাব আল নবত’।

#ইবনে_হাইছামঃ

প্রখ্যাত পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিদ, প্রকৌশলী, গণিতবিদ, চিকিৎসাবিদ, দার্শনিক, মনোবিজ্ঞানী আবু আলী আল হাছান ইবনে আল হাছান আল ইবনে হাইছাম। তিনি বসরায় জন্মগ্রহণ করায় আল বসরি নামেও পরিচিত।

আলোকবিজ্ঞানে অসামান্য সংযোজন ‘কিতাবুল মানাজির’-এর ১৫-১৬ অধ্যায়ে জ্যোতির্বিদ্যার আলোচনা রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁর ‘মিযান আল-হিকমাহ’ এবং ‘মাক্বাল ফি দ্য আল-ক্বামার’ গ্রন্থদ্বয়ে তিনি সর্বপ্রথম গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যার সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চালান।

#আল-রাযিঃ

আবু বকর মোহাম্মদ ইবন যাকারিয়া আল রাযি বা আল-রাযি। তিনি ৮৪১ খ্রিস্টাব্দে ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। রাযি ছিলেন একজন দক্ষ পার্সিয়ান চিকিৎসক এবং দার্শনিক। তিনি চিকিৎসাবিদ্যা, আল-কেমি, পদার্থবিদ্যা এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর ১৮৪ টিরও বেশি বই লিখেছেন। তিনি সালফিউরিক অ্যাসিড আবিষ্কার করেন।

তিনি ইথানল উৎপাদন, বিশোধন ও চিকিৎসায় এর ব্যবহার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন। তিনি একজন বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ছিলেন। তিনি বহু দেশ ভ্রমণ করেন।

#বানু_মুসাঃ

বানু মুসাকে বলা হয় জোতির্বিদদের মধ্যে বিস্ময়কর একজন। কারণ আর কিছুই নয়, তাঁর সময়ে তিনি যে উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন তা এককথায় অবিশ্বাস্য। নবম শতকে বাগদাদের তিন মনীষীর একজন ছিলেন তিনি। এই তিনজনকে একত্রে বলা হতো মেশিনারি জগতের বিস্ময়। তাঁরা পরিমাপক যন্ত্রের উৎকর্ষ সাধন করেছিলেন। ভিত্তি স্থাপনেও আধুনিকায়ন করেন তাঁরা।

#ইবনুন_নাফিসঃ

চিকিৎসাবিজ্ঞান ও আইনশাস্ত্রে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। ইবনুন নাফিস মানবদেহে রক্তসঞ্চালন পদ্ধতি, ফুসফুসের সঠিক গঠন পদ্ধতি, শ্বাসনালি, হৃৎপিন্ড, শরীরের শিরা-উপশিরায় বায়ু ও রক্তের প্রবাহ ইত্যাদি সম্পর্কে বিশ্বের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেন। তিনি মানবদেহে রক্ত চলাচল সম্পর্কে গ্যালেনের মতবাদের ভুল ধরেছিলেন এবং এ সম্পর্কে নিজের মতবাদ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন।

েতরুগিঃ

নুর আদ-দীন ইবনে ইসহাক আল বেতরুগি। তিনি ইসলামী স্বর্ণযুগে মরক্কোয় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনী খুব বেশি জানা যায়নি। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তিনি ‘স্লেশিয়াল মোশন’ নিয়ে যুগান্তকারী মতবাদ দিয়েছিলেন। তাঁর সীমাবদ্ধতা থাকার পরও তিনি প্লেনটারি মোশন নিয়ে নিজস্ব থিউরি প্রদান করেছিলেন, যা এখন ঠিক।

সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর।১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পত...
06/11/2021

সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর।

১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে।

২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে।

৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে।

৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর।

৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর।

৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর।

৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর।

৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।

৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।

১০. প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷

১১. প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে নাও।

১২. প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।

১৩. প্রশ্নঃ কেয়ামত দিবসে আলোতে থাকতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।

১৪. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-অনুগ্রহ কর।

১৫. প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।

১৬. প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যিনা (ব্যভিচার) থেকে বেঁচে থাকো।

১৭. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নিকট প্রিয় হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।

১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায় কর।

১৯. প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদনকারী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।

২০. প্রশ্নঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন,
ক) কান্না। (আল্লাহর নিকট, কৃত গুনাহের জন্য)
খ) বিনয়।
গ) অসুস্থতা।

২১. প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।

২২. প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, গোপন দান এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।

২৩. প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুশ্চরিত্র এবং কৃপণতা।

২৪. প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সচ্চরিত্র, বিনয় এবং ধৈর্য্য।

২৫. প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত হওয়া পরিহার কর।

আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন…।

Lecture 1: 🔴আমরা সকলেই পাপ করি। পাপ করার পর প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের খারাপ লাগে। কিন্তু একটা সময় পাপ করলেও আর খারাপ লাগ...
06/11/2021

Lecture 1:

🔴আমরা সকলেই পাপ করি। পাপ করার পর প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের খারাপ লাগে। কিন্তু একটা সময় পাপ করলেও আর খারাপ লাগে না। সেটা কেন?

🔴 ভালো হতে চাই। কিন্তু গাইডলাইন কী?

🔴 জন্মের পর আমাদের হৃদয় পরিশুদ্ধ ছিল কিন্তু সেটা সময়ের সাথে সাথে কলুষিত হয় কেন?

আমাদের আত্মিক স্বাস্থ্য আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলো আল্লাহের সাথে আমাদের সম্পর্ক। তাই আমাদের তাওবাহ করার ব্যাপারটা কখনো দেরি করা উচিত নয়। গুনাহ করে ফেললে সাথে সাথে আন্তরিক ভাবে তাওবাহ করে ফেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

পরিশুদ্ধির সুন্নাহ পদ্ধতি হলো বদ অভ্যাসগুলোকে ভাল অভ্যাসে পরিবর্তন করে ফেলা।

আমাদের এই কোর্স টা ৪ টা মডিউলে ভাগ করা।

Module 1:- basic concepts:
# What is your role?
# Knowing your enemy

আজকের লেকচার এ আমাদের আলোচ্য এই দুইটা টপিক ইনশা আল্লাহ্। এছাড়াও module 2,3,4 এ পর্যায়ক্রমে আমরা অবগত হবো ইনশা আল্লাহ্।

What is your role:

"তাযকিয়াহ" একটা আরবী শব্দ। এর অর্থ purification or spiritual purification তথা পরিশুদ্ধি বা আত্মিক পরিশুদ্ধি।

সুরাহ শামস থেকে আমরা জানতে পারি আমাদের তাজকিয়াহর দায়িত্ব মূলত আমাদের উপর। কিন্তু আমরা আমাদের তাজকিয়াহর জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করবো। সুরাহ আ'লাতে আল্লাহ্ বলছেন তারাই সফলকাম যারা নিজেদের পবিত্র করে। সুতরাং এটি একটি ধারাবাহিক পদ্ধতি এবং আল্লাহ এর জন্য পুরষ্কৃত করেন।

একইরকম আরেকটা শব্দ "যাকাত", একই মূল শব্দ থেকে আগত। যেটার অর্থ purification and growth তথা পরিশুদ্ধি এবং বৃদ্ধি।

আমরা জানি যাকাত দিলে আমাদের সম্পদ পরিশুদ্ধ হবে এবং আমাদের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।

তাক্বওয়া- অর্থ সতর্ক থাকা এবং " আমরা যেখানেই যাই আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন"- এই বোধটি ধারণ করা।

তাক্বওয়া ছাড়া তাজকিয়া অসম্ভব।

কেউ যদি ইহসানের লেভেল এ পৌঁছাতে চায় তাকে তাক্বওয়া অর্জন করতেই হবে।

গুনাহ ছেড়ে দেওয়া হল "তাক্বওয়া";
আরো ভালো কাজ করা হল " ইহসান"।
এবং দুনিয়ার জীবনেই শুধু তাযকিয়াহ প্রয়োজন হয়। মৃত্যুর পর কোনো তাযকিয়াহ নাই।

একজন কি নিজেই নিজের তাযকিয়াহ করতে সক্ষম? উত্তর হলো - না।

এর জন্য পরীক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা নিজেরা নিজেদের পরীক্ষা নিতে আমরা পারি না।

মানুষ যদি গুনাহ করে তাহলে তা পুড়িয়ে ফেলার দরকার হয়। তিনটা উপায়ে সেটা করা যায়।যেমন-
১. কষ্টের মাধ্যমে
২. জাহান্নাম
৩. সৎকাজ দ্বারা

এই লেকচারে আমরা বেশ কিছু টার্ম সম্পর্কে জানলাম। এরকম আরেকটা টার্ম হলো "ফিতনা"।

আমরা ফিতনার মধ্যে পড়তে চাইবো না। ফিতনার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবো। কিন্তু যদি কখনো ফিতনা আমাদের উপর এসে পড়ে তাহলে "তাযকিয়াতুন নাফস" এর পদ্ধতির মধ্যে না থাকলে এরকম ফিতনায় ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যেমন বিপদ আসলে যদি প্রশ্ন করা হয়, "আমার সাথেই কেন হচ্ছে?", তাহলে এটা ফিতনার কাছে হেরে যাওয়া হয়।

দুনিয়ার কিছু মানুষ হবে আহলুল আফিয়াহ ( তারা দুনিয়ায় নিরাপদ ও শান্তিতে ছিল)

আর কিছু মানুষ থাকবে আহলুল বালা ( তারা দুনিয়ায় কষ্টের মধ্যে থেকেছিল)

আহলুল বালা যদি ফিতনার সময় তাযকিয়াতুন নাফস এর মধ্যে থাকে এবং পরীক্ষায় পাশ করে, তাদের জন্য আছে অকল্পনীয় পুরষ্কার ইন শা আল্লাহ।

আরেকটি টার্ম হল তারবিয়া, যার অর্থ কোনো কিছুকে যথাযথভাবে বড় করা।

কেউ যদি ইখলাসের পর্যায়ে পৌঁছেও যায়, তারবিয়ার অভাবে সেই স্থান থেকে তার পদস্খলন ঘটে। এবং একবার সেই লেভেল থেকে নেমে গেলে, সেখানে আবার উঠাটা বেশ কষ্টসাধ্য তবে অসম্ভব নয়।

মডিউল ১ এ আমরা basic concepts শিখবো। আর এর প্রথম টপিক "what is your role?" আমরা জানলাম। আর জানলাম যে roleটা মূলত আমাদেরকেই play করতে হবে আমাদের অন্তরের পরিশুদ্ধির জন্য।

মুজাহাদাতুন নাফস - নফসের জিহাদ
রিয়াদাতুন নাফস - নাফস কে সঠিক ভাবে পরিচালনার পদ্ধতি।

এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমাদের তাযকিয়াতুন নাফসের পথে role play করতে হবে।

এখন সেকেন্ড টপিক হলো

Knowing your enemy

Real enemy তথা আসল শত্রু কিন্তু শয়তান না, আমাদের নিজেদের নাফসই। তাই নিজেকে পরাজিত করা শিখতে হবে। নিজের খারাপ ইচ্ছা গুলোকে কন্ট্রোল করার এক্সারসাইজ করতে হবে। আমি আমার নাফসকে যতটুকু ছাড় দিবো সেই রাস্তাতেই শয়তান জোর খাটানোর চেষ্টা করবে।

শয়তান আমাদের মাঝে থাকা দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে এবং সেই অনুযায়ী মার্কেটিং করে। ঠিক যেমন beauty product গুলো সেল করার সময় মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আমরা দেখি যে আপনার রং কালো এই ক্রিম ব্যবহার করুন আপনি সুন্দর হয়ে যাবেন ইত্যাদি। আমাদের মাঝের কালো হবার বা আল্লাহ্ প্রদত্ত চেহারা নিয়ে যে ইন্সিকিউরিটি, সেটাকে পুঁজি করে চলে রং ফর্সা করার ক্রিমের মার্কেটিং, যা আবার আমাদের প্রভাবিতও করে।

মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আমাদের প্রায়োরিটি হয়ে যায় আর সমস্যাটা সেখানেই। কারো ভালোবাসা পাওয়ার আশায় এরকম নিয়ত রাখলেও তা দোষনীয় কারণ ভালোবাসাও আমাদের রিযিক। যা আল্লাহ্ নির্ধারণ করেছেন আমরা ততটুকুই পাবো।আর আল্লাহের নির্ধারণ না থাকলে বিশ্বসুন্দরী হলেও পাবো না।

আমরা যখন কোনো কিছু মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার আশায় চেষ্টা করি তখন আমাদের সেই দুর্বলতাকে পুঁজি করেই চলে শয়তানের মার্কেটিং আর আমাদের ইনফ্লুয়েন্স করা।

সুতরাং প্রথমেই আসছে নিজের নাফসকে কন্ট্রোল করার যুদ্ধ। সেটা করতে পারলেই আমরা শয়তানের কুমন্ত্রণাকে পাত্তা না দিয়ে থাকতে পারবো। গুনাহ ছাড়তে পারবো যা তাক্বওয়ার প্র্যাক্টিস এবং ভাল কাজ করতে পারবো যা ইহসানের প্র্যাক্টিস ইনশা আল্লাহ্।

#রৌদ্রময়ী_স্কুল

🙏সবাইকে পড়ার অনুরোধ করা হলো🙏আজান দিলে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক...কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কেন- জ্ঞানী অমুসলিমে...
04/11/2021

🙏সবাইকে পড়ার অনুরোধ করা হলো🙏

আজান দিলে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক...
কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কেন- জ্ঞানী অমুসলিমের জন্য জানার অনেক কিছু রয়েছে ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম তার প্রমান বহন করে।
কিছু নিষিদ্ধ কাজ:-
(১) উপুর হয়ে বুকের উপরে ভর দিয়ে শোয়া নিষিদ্ধ, কারণ এইভাবে শয়তান শোয়। সহীহ বুখারী।
(২) বাম হাতে খাওয়া বা পান করা নিষিদ্ধ, কারণ বাঁ হাতে শয়তান খায়। রিয়াদুস সালেহীন।
(৩) পশুর হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা নিষিদ্ধ, কারণ আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা প্রাণীর হাড়গুলো যা মানুষেরা ফেলে দেয়, তা মুসলিম জিনদের খাবার। সহীহ বুখারী।
(৪) সন্ধ্যা সময় বাচ্চাদের বাইরে বের হতে দিতে রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন এবং ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখতে বলেছেন, কারণ তখন জিনেরা বাইরে বের হয়।
(৫) আযান দিলে শয়তান জিনেরা বায়ু ছাড়তে ছাড়তে লোকালয় থেকে পলায়ন করে। আর কুকুর ও গাধা শয়তান জিনদেরকে দেখতে পেলে চিৎকার করে।
একারণে, অনেক সময় ইশা বা ফযরের আযান দিলে কুকুরেরা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। কারণ তখন কুকুরেরা আযান শুনে পলায়নরত শয়তান জিনদের দেখতে পায়। উল্লেখ্য, রাতের বেলা কুকুর ও গাধার ডাক শুনলে”আউযুবিল্লাহি….রাজীম”
এই দুয়া পড়ে শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাইতে হয়।
সহীহ বুখারী, হিসনুল মুসলিম।
(৬) মোরগ আল্লাহর রহমতের ফেরেশতাদেরকে দেখতে পায়, একারণে মোরগের ডাক শুনে “আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আসুকা মিং ফাযলিকা” এই দুয়া পড়ে আল্লাহর অনুগ্রহ চাইতে হয়। হিসনুল মুসলিম।
(৭) গোসলখানায় প্রসাব করা যাবে না।।
________ আল হাদিস (ইবনে মাজাহঃ ৩০৪)
(৮) কেবলামুখি বা তার উল্টো হয়ে
প্রসাব, পায়খানা করা যাবে না।।
_________ সহিহ বুখারিঃ ৩৯৫
(৯) গুলি বা তীরের নিশানা প্রশিহ্মণের জন্য প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না।।
_________ মুসলিমঃ ৫১৬৭
(১০) ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুশরিক কাউকে বিয়ে করা যাবে না।।
_________ আল কোরআন।
(১১) স্বামী ব্যাতিত অন্য কারোর জন্য সাজা হারাম।
_________ আল কোরআন,(আহজাবঃ ৩৩)
(১২) মুর্তি কেনা, বেঁচা, পাহারা দেওয়া হারাম।।
_________ আল কোরআন (মাইদাহঃ ৯০, ইবরাহীমঃ ৩৫)
(১৩) কারো মুখমণ্ডলে আঘাত করা যাবে না।।
________ মুসলিমঃ ৬৮২১
(১৪) কাপড় পরিধাণ থাকা সত্তেও কারো গোপন অঙ্গের জায়গার দিকে দৃষ্টিপাত করা যাবে না।।
________ মুসলিম ৭৯৪
(১৫) আল্লাহ ব্যাতিত কারো নামে কসম করা যাবে না। বাপ দাদার নাম,কারো হায়াত, মসজিদ বা কোরআন এর নামে কসম করা, মাথায় নিয়ে সত্যতা প্রকাশ করা যাবে না।।
__________ আবু দাউদ৩২৫০ নাসায়ীঃ ৩৭৭৮।
১৬) কোন প্রাণীকে আগুনে পুড়িয়ে মারা যাবে না।।
_________ আবু দাউদ ২৬৭৭
(১৭) হাশরের দিন শেষ বিচারের পরে আল্লাহ জান্নাতীদেরকে জান্নাতে দেবেন আর, জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে দেবেন।
তখন আল্লাহ জান্নাতী ও জাহান্নামীদেরকে ডাক দিয়ে বলবেন, তোমরা এই দিকে দেখো।
তখন জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে একটা সাদা দুম্বাকে দেখিয়ে আল্লাহ বলবেন, এই দুম্বাটা হচ্ছে মরণ। তখন সেই দুম্বাকে জবাই করে ফেলা হবে।
এইভাবে দুম্বারূপী মরণকে জবাই করে আল্লাহ মৃত্যুকে হত্যা করে ফেলবেন। তখন তিনি বলবেন, আজকের পর থেকে আর কোন মরণ থাকবেনা।
সুতরাং, যারা জান্নাতে যাবে তারা চিরকাল জান্নাতে আনন্দ- উল্লাসের মাঝে থাকবে। আর যারা জাহান্নামে যাবে তারা চিরকাল আযাব- গজব আর দুঃখ-কষ্টের মাঝে থাকবে।
কারণ জাহান্নামে যতই আগুনে পুড়ুক বা যতই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি ভোগ করুক, তার ফলে কোনদিন তারা মরবেনা। অনন্তকাল কঠিন শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করুক।।

আমিন💙

Address

Puran Bogra
5800

Telephone

+8801710225513

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammed Al Amin Elahee posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mohammed Al Amin Elahee:

Videos

Share

Category