Raton Mistiri

Raton Mistiri জীবে দয়া নামে রুচি মানুষেতে নিষ্ঠা ইহা ছাড়া আর যত সব ক্রিয়া ভ্রষ্টা
(2)

25/12/2023

জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ সাবধানে ফেলতে হবে কারণ বহু মানুষ বসে আছে শুধু ভুল ধরার জন্য ।

সময়, বন্ধু আর সম্পর্ক এই তিনটে অমূল্য সম্পদ আমরা বিনামূল্যে পাই কিন্তু তাদের আসল মূল্য আমরা বুঝতে পারি যখন তারা আমাদের ...
25/12/2023

সময়, বন্ধু আর সম্পর্ক এই তিনটে অমূল্য সম্পদ আমরা বিনামূল্যে পাই কিন্তু তাদের আসল মূল্য আমরা বুঝতে পারি যখন তারা আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায় ।

মৃত্যুর চেয়ে কঠিন হচ্ছে জীবন। কেননা দুঃখ-কষ্ট বিপদ আপদ কেবল জীবনেই ভোগ করতে হয় মৃত্যু তা থেকে মুক্তি দেয়।
23/12/2023

মৃত্যুর চেয়ে কঠিন হচ্ছে জীবন। কেননা দুঃখ-কষ্ট বিপদ আপদ কেবল জীবনেই ভোগ করতে হয় মৃত্যু তা থেকে মুক্তি দেয়।

18/12/2023
মনেতে আকাশ হয়ে রয়েছো ছড়িয়ে,বলোনা কোথায় রাখি তোমায় লুকিয়ে।থাকি যে বিভোর হয়ে শয়নে স্বপনে।যেও না হৃদয় থেকে দূরে হারিয়ে,আমি ...
14/12/2023

মনেতে আকাশ হয়ে রয়েছো ছড়িয়ে,
বলোনা কোথায় রাখি তোমায় লুকিয়ে।
থাকি যে বিভোর হয়ে শয়নে স্বপনে।
যেও না হৃদয় থেকে দূরে হারিয়ে,
আমি যে ভালবাসি শুধুই তোমাকে

24/11/2023

যখন ছোট ছিলাম,,,,,,সব ভুলে যেতাম
সবাই বলতো,,,,,,, "মনে রাখতে শেখো "
বড় হলাম,,,,,,কিছু ভুলিনা এখন
কিন্তু দুনিয়া বলছে,,,,,"ভুলে যেতে শেখো " ।

আমার প্রিয়তমা স্ত্রী তুমি আমার সুখ দুঃখের সাথী, আঁধারে প্রদীপ আর ভাঙা হৃদয়ের ঔষধ। সারা জীবন এভাবেই পাশে থেকো আমার, বিব...
21/11/2023

আমার প্রিয়তমা স্ত্রী তুমি আমার সুখ দুঃখের সাথী, আঁধারে প্রদীপ আর ভাঙা হৃদয়ের ঔষধ। সারা জীবন এভাবেই পাশে থেকো আমার, বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা রইল।

আমার হৃদয়ের আঁধার ভেঙে কেউ একজন প্রদীপ জেলে দিয়েছিলো আজকের এই দিনে। এই বিবাহ বার্ষিকীর দিনটাতেই আমি তাকে পেয়েছিলাম।
21/11/2023

আমার হৃদয়ের আঁধার ভেঙে কেউ একজন প্রদীপ জেলে দিয়েছিলো আজকের এই দিনে। এই বিবাহ বার্ষিকীর দিনটাতেই আমি তাকে পেয়েছিলাম।

শরীয়তপুর টু ঢাকা
15/09/2023

শরীয়তপুর টু ঢাকা

28/07/2023
আড়িয়াল খাঁ ব্রিজ
05/07/2023

আড়িয়াল খাঁ ব্রিজ

22/06/2023

২১/১১/২০২২

26/05/2023

মতুয়াতত্ত্বে গুরু-শিষ্য সমাচার

গুরুগিরি শব্দটা শুনলেই সকলের মনের অজান্তে ভেসে ওঠে পৈতাধারী, টিকিযুক্ত বামুনের ছবি, যারা শিষ্যে ছুলে অশুচি হয়ে যান, শিষ্যের রান্না করা খাবার খান না, নিত্য শুদ্ধ মানুষকে যারা কিনা চির অশুদ্ধ ভাবে, যে কিনা দীক্ষা দিয়ে শিষ্যকে শোষণ করে বেঁচে থাকে। এক এককথায় মন্ত্র বেঁচে খায়। এটা হল সামাজিক প্রেক্ষাপটের কথা। এই সামাজিক প্রেক্ষাপটেই পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর বলেছেন,
“শুদ্ধাচারী, বীজমন্ত্রী, নামে জপে মালা। একা একা যেতে চায় সমুদ্রেতে ভেলা।।
গুরুরূপে ব্যবসায়ী কাণে দেয় মন্ত্র। প্রাণহীন দেহ যেন জুড়ে অঙ্গে যন্ত্র।।
এসব সামান্য কূপ সবে ডুবে যা’বে। হরিপ্রেম প্লাবনেতে জীব মুক্তি পা’বে।।” অথবা
“প্রভু বলে তোর গুরু কায়স্থের ছেলে। নমঃশুদ্র ভেবে মোরে অবজ্ঞা করিলে।।
ঘৃণা মহাপাপ স্পর্শে পালের হৃদয়। সেই পাপে অগ্নিতাপ হীনতেজ হয়।।
ব্রহ্মতেজ বিষ্ণুতেজ অগ্নিতেজ জ্বলে। সব তেজ নষ্ট হয় আমাকে নিন্দিলে।।
গুরুকে না চিনে বেটা করে গুরুগিরি। অহংকারী গুরুকার্যে নহে অধিকারী।।”

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গুরুবাদ কি তাই! না। প্রকৃত গুরুবাদের কথা তাঁরই মুখে ঈশ্বর অধিকারীর সাথে আলাপকালে উঠে এসেছে,
“প্রভু হরিচাঁদ বলে শুন হে গোঁসাই। তুমি গুরু আমি শিষ্য ভিন্ন ভেদ নাই।।”

গুরুকে সনাতন শাস্ত্রে অনেক উপরে স্থান দেয়া হয়েছে। তবে তা সাজা গুরু নয়, প্রকৃত বা সদ্‌গুরু। যেমন অশ্বিনী গোঁসাই তাঁর গানে বলেছেন, “কর্মসূত্রে হরি হলে বাম, গুরু রাখলে রাখতে পারে, যায়না পরিণাম। গুরু গোঁসাই হইলে বাম, হরিচাঁদ রাখতে পারে না।” অথবা গুরুর আত্মসমালোচনা করে তিনিই আবার লিখেছেন, “গুরুতত্ত্ব কয়ে ভারি গোঁসাই সেজেছ, গুরু কি ধন চিনলিনা মন, সে রসে তুমি নি তাই মজেছ।।”
এবার আসি মতুয়াদের গুরুবাদের কথায়। শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত, শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা, শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত বা অশ্বিনী গোঁসাই, তারক গোঁসাই রচিত গানসমূহ পর্যবেক্ষণ করলে স্পষ্টত দেখা যায় যে কোথাও গুরুবাদের বিরোধিতা করা হয়নি। যেসব বিরোধিতা দৃশ্যমান হয় তা সাজা গুরুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রকৃত বা সদ্‌গুরুর বিপক্ষে বা গুরুবাদের বিপক্ষে বলা হয়নি।
অন্যান্য যুগের চেয়ে বা অন্যান্য মতের চেয়ে মতুয়া মতে গুরুবাদ একটু ভিন্ন ধাঁচের। মতুয়াদের মধ্যে দুই ধরণের গুরুবাদ পরিলক্ষিত হয়। প্রথম ধারাটি গতানুগতিক শাস্ত্রীয় ধারা, দ্বিতীয় ধারাটি নতুন যুক্ত হয়েছে এবং যুক্ত করেছেন স্বয়ং হরিঠাকুর। অন্যান্য অবতারেরা স্বয়ং তাদের গুরুর নিকট হতে দীক্ষা/মন্ত্র প্রাপ্ত হয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণ সান্দিপনি মুনির নিকট, শ্রীগৌরাঙ্গ ভারতী গোঁসাইয়ের নিকট দীক্ষামন্ত্র নিয়েছেন। কিন্তু এই হরি অবতারে দেখালেন ভিন্ন পথ। নিজে গুরুকে স্বীকার করলেন বটে, তবে মন্ত্রদীক্ষা নিলেন না। এ প্রসঙ্গে লীলামৃতের ভাষ্য,
“কিছু অন্তরেতে রামকান্তে ল’য়ে যেত। দুই প্রভু একাসনে নির্জনে বসিত।।
রামকান্তে বলিতেন তুমি মম গুরু। যুগে যুগে তুমি মোর বাঞ্ছাকল্পতরু।।”
এই প্রকার গুরুকে অনেক মতুয়া গোঁসাই ভাব গুরু বা উপদেষ্টা গুরু বলে থাকেন। এতে দীক্ষা মন্ত্রের প্রয়োজন নাই। গুরুকে গুরুরুপে মান্য করলে তথা ভক্তিশ্রদ্ধা করলেই গুরুর কাজ হয়। যাকে এই প্রকারের শিষ্যকে উপদিষ্ট বা আদিষ্ট শিষ্য। শুধু নিজের ক্ষেত্রে নয়, ভক্তের ক্ষেত্রেও এই প্রকার দীক্ষার কথা হরিঠাকুর বলেছেন। সকলে স্মরণ করে দেখুন দশরথ পাগলকে দেয়া ঠাকুরের নির্দেশের কথা,
“তৈলকুপী আখড়ায় চলে যেও তুমি। তথা আছে লোকনাথ নামেতে গোস্বামী।।
যে ধর্ম জানায় তুমি করিবে সে ধর্ম। সেই সে পরম ধর্ম তিন প্রভু মর্ম।।”

হরিঠাকুরের পরে গুরুচাঁদ ঠাকুরও প্রকৃত গুরুবাদের পক্ষেই কথা বলেছেন। তিনি নিজে তারক গোঁসাইকে আজ্ঞা দিয়েছেন দীক্ষা দেয়ার জন্য। হরিবর ও মনোহর সরকারকে দীক্ষা দেয়ার ব্যাপারে গুরুচাঁদের নির্দেশ ছিল।
“গুরুচাঁদ আজ্ঞামতে শ্রীতারক গুরু। মহানন্দ শ্রীতারক বাঞ্ছা কল্পতরু।।”
এমনকি তারক গোঁসাই নিজেও মৃত্যুঞ্জয় গোঁসাইকে উপদেষ্টা গুরু মানতেন।
“উপদেষ্টা গুরু বলি মানিল তারক। তাহা দেখি এদেশে মাতিল বহুলোক।।”

হরিঠাকুরের এই নতুন দীক্ষাতত্ত্বকে আত্মিকরণ করে মতুয়াদের মধ্যে ‘ধরা-মরা’ ধারা গড়ে উঠেছে। এই তত্ত্বে ভক্ত ভক্তকে আশ্রয় করে হরি প্রাপ্ত হয়। যাকে ধরে হরিকে জানতে পারা যায় তাকে বলা হচ্ছে ‘ধরা’ আর এই ‘ধরা’ কে যে হরিনাম প্রাপ্ত হচ্ছে অর্থাৎ হরিনামে মরেছে বা মসগুল হয়েছে তাকে বলা হচ্ছে ‘মরা’। এই ধরা-মরা’র তত্ত্বে দীক্ষামন্ত্র দেয়ার কথা নাই।
শাস্ত্রের বিধানমতে সদ্‌গুরু দেখে দীক্ষা নিতে হবে। সাধারণ মানুষের পক্ষে সদ্‌গুরু বাছাই করা কি সম্ভব? সম্ভব নয়। তাই এই সহজ পদ্ধতি। সবশেষে ছোট একটি কাহিনী বলে শেষ করি। আমার এলাকায় এক ভক্ত আছে। সে সব কাজে ‘জয় তারক’, ‘জয় তারক’ বলে। কোথাও যেতে হলে, কোন পূজা করতে হলে, কোন মহোৎসবে গেলেও সে এই বুলি বলে। আমি তাকে একবার জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম না নিয়ে ‘জয় তারক’, ‘জয় তারক’ বল কেন? সে আমাকে বলে, আমি যে তারক গোঁসাইকে গুরু মানি, তাঁর আদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করি, তাঁর মাধ্যমেই আমি হরিকে খুঁজি, সে আমার গুরু। এই হল উপদেষ্টা-আদিষ্ট বা ধরা-মরা’র গুরুতত্ত্ব।
দীক্ষা নিবেন। সদ্‌গুরু খুঁজছেন। পাচ্ছেন না। আপনার আশেপাশের বা পূর্বের যে কোন মহাপুরুষ, যাকে আপনার আদর্শ বলে মনে হয়, তাকে গুরুরুপে বরণ করে নিন। তাঁর আদর্শে জীবনে গড়ে তুলুন। দীক্ষামন্ত্র নিতেই হবে তা নয়, মন্ত্র ছাড়াই দীক্ষা নিন। হরিনামে মেতে উঠুন। হরিই উপায় করবেন। হরিবোল

পুরাণে লেখা আছে, সৃষ্টির তিন কর্তা।এরা হলেন, ব্রক্ষা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। এদের মধ্যে ব্রক্ষা হলেন সৃষ্টিকর্তা, বিষ্ণু হলেন ...
29/03/2023

পুরাণে লেখা আছে, সৃষ্টির তিন কর্তা।

এরা হলেন, ব্রক্ষা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। এদের মধ্যে ব্রক্ষা হলেন সৃষ্টিকর্তা, বিষ্ণু হলেন পালন কর্তা আর মহেশ্বর হলেন সংহার কর্তা। স্রষ্টার সৃষ্টিকুলে যখন এই তিনটি বিষয়ে কোন সমস্যা হতে থাকে, তখন ভগবান মনুষ্যরূপে কাউকে না কাউকে এ ধরায় পাঠান। ১৮০০ খৃষ্টাব্দ পরবর্তী সময়ে ভারত উপমহাদেশে শাসক শ্রেনী হতে নিষ্পেষিত, অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে ওঠে মানবকুল। ঠিক এসময় মুক্তির বার্তা হাতে পৃথিবীতে আসেন শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর। অবহেলিত মানুবকুলকে আলোর পথ দেখাতে সকলের কাছে ‘হরিবোল’ মন্ত্রধ্বনিটি বিতরণ করেন। এই মন্ত্রটির বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এটি উচ্চারণ করতে কোন বিশেষ ব্যবস্থা বা সময়ের প্রয়োজন নাই। হরিচাঁদ ঠাকুর বলেছেন; হাতে কাজ মুখে নাম, দুইয়ে মিলে হরিনাম। মানুষ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মুক্তির পথ পেলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আসেন শ্রীহরিচাঁদ পুত্র শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর। অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতেই শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর তাঁর উপর দায়িত্ব দিয়ে যান।

এ সময়ে সমাজে ধর্মের যে গ্লানি উপস্থিত হয়েছিল, তার সংহার করতেই ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দের ১৩ মার্চ পূন্যতীর্থধাম ওড়াকান্দিতে জ্ম্মগ্রহন করেছিলেন। জম্মের সময় তার শারীরিক চিহ্ন দেখে জ্যোতিষি বলেছিলেন এ ছেলে, সামান্য নয়। বয়সের সাথে সাথে সেই অসামান্য মহিমা চারিদিকে সূর্যের কিরনের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মোহেনজেদাড়োর যোগীবেশি ও পশুপতি রূপি শিব ঋগে¦দের রুদ্রে, পুরাণের মহেশ্বরে এবং মতুয়াদের দেবতা গুরুচাঁদে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। বোধকরি ঈশ্বরের রুদ্ররূপটিই ধারন করেছিলেন শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর।

এই সময়টা হিন্দুধর্মের মুলহোতা ছিলেন পৈতাধারীদের দখলে। তাই এই শ্রেনীর মানুষের পৈতার দংশনে সমস্ত অন্ত্যজশ্রেনীর শরীর নীলবর্ন ধারনের উপক্রম প্রায়। অনেকই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ধর্মান্তরিত হতে শুরু করে। চারিদিকে তখন অত্যাচার, অরাজগতা আর ধর্মান্তরের হিড়িক চলছিল। ঠিক এ সময় পৈতার দংশনের ওষুধ হয়ে আবির্ভাব হন দলিতদের দেবতারূপি গুরুচাঁদ ঠাকুর। তিনি ছিলেন বিচক্ষন ও সুদুরপ্রসারী দার্শনিক। তাই তিনি বুঝেছিলেন দলিত শ্রেনিকে বাঁচাতে প্রয়োজন একতা ও সংঘবদ্ধতা। এই অভিপ্রায় নিয়ে তিনি সকলকে আহ্বান জানালেন মতুয়াসংঘের ‘হরিবোল’ শব্দের মাধ্যমে। আর লাল নিশান আকাশে উড়িয়ে সিঙ্গা ফুক দিয়ে জয়ডাঙ্কার ধ্বনিতে চারিদিকে জানিয়ে দিলেন অন্ত্যজশ্রেনী দলিত নয়। তারাও পারে। ওড়াকান্দি তীর্থধাম আর লালনিশানের নিশানায় যারা যোগ দিতে থাকে, তারা সবাই মতুয়া নামে পরিচিত হতে থাকে। মতুয়া মুলত জড়বাদী নয় বরং শক্তির সাধক, দুর্বার শক্তিবেগে অনাচার, অবিচারকে ধ্বংস করে অগ্রগামনি বীর মুর্তি। মতুয়া একটি শক্তির নাম। যে শক্তি প্রভুত্ব আর অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার।

তৎকালিন ব্রক্ষসমাজের আচার বিধান ছিল অত্যন্ত সময়বাহুল্য। তাই সমাজের পিছিয়ে পড়া জাতিকে সামনে অগ্রসরের জন্য গুরুচাঁদ অনেক কঠিন কাজ করেছেন। তিনি আচার সর্বস্ব না হয়ে কর্ম সর্বস্ব ধর্মের অনুসারি করেন সকলকে। এ ধর্ম মতুয়া ধর্ম। গুরুচাঁদের মতে, মতুয়া ধর্মের অনুসারিরা সবসময় কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। যোগবলে বা সাধনার বলে তিনি দেখতে পেতেন কি করলে সাধারন মানুষ কর্মযোগ আর ভক্তিযোগ একত্রে সম্পন্ন করতে পারবে। তাই তিনি নিজে নেমে পড়লেন মানুসের সেবায়। সারাদিন কর্মযোগ আর অবসরে ভক্তিযোগ করে মানুষকে কাছে টানতেন। তাদের উৎসাহ দিতেন অবহেলিত জাতিকে উদ্ধারের জন্য।

তিনি অনেক অলৌকিক কাজ করেছেন। কঠিন অসুখে রুগিকে অনেক হেয়ালী পথ্য দিয়ে সারিয়েছেন। এটা আসলে বর্তমানে আয়ুর্বেদিক বা ভেষজ গুনাগুনের কারন ছিল। সে সময়ে মানুষের এ সব সম্পর্কে ধারনা ছিলনা। তবে অলৌকিক যে কিছু ছিল না তা নয়। কারন সাধারন মানুষ আর দেবদুতের মধ্যে তফাৎটা প্রমান করতেই ঈশ্বর তাঁকে দিয়ে নানান ধরনের কাজ করিয়ে থাকেন। এভাবেই মানুষ হয়ে ওঠে ভক্তের ভগবান
Share This: Facebook

29/03/2023

শ্রীশ্রী হরিচাঁদ বন্দনা
নম নম হরিচাঁন্দ পতিত পাবন।
তব শ্রীচরণে মোর থাকে যেন মন।।
সাধনা না জানি প্রভু ভজন না জানি।
নিজ গুণে দাও তব চরণ দু’খানি।।
তুমি হরি গুণনিধি জগতের সার।
এ ভব সাগর হতে কর মোরে পার।।
তোমার গুণের সীমা বর্ণিতে কি পারি।
গুণের অতীত তুমি দয়াল শ্রীহরি।।
তোমার ইশারাতে এ জগত চলে।
তোমার মায়াতে প্রভু এ জগত ভোলে।।
সত্য যুগে ছিলে তুমি নাম রূপ ধরি।
ত্রেতা যুগে রাম রূপে জন্মিলেন হরি।।
দ্বাপর যুগেতে প্রভু কৃষ্ণ অবতার।
কলিতে গৌরাঙ্গ রূপে হইল প্রচার।।
তারপর ওড়াকান্দি হলে অবতার।
ঐ চরণে কোটি কোটি করি নমস্কার।।
নম নম শান্তি মাতা জগত জননী।
হরিচাঁদ প্রাণপ্রিয়া লোচন নন্দিনী।।
চরণ যুগলে মাগো করি নিবেদন।
দয়া করে অধমেরে দিও শ্রীচরণ।।
হরি নাম প্রচারিতে হইলে প্রকাশ।
অধমেরে কর প্রভু শ্রী চরণে দাস।।
নমঃ নমঃ যশোমন্ত ঠাকুরের পিতা।
নমঃ নমঃ অন্নপূর্ণা ঠাকুরের মাতা।।
নমঃ নমঃ কৃষ্ণদাস প্রভু জ্যেষ্ঠ ভাই।
চরণেতে কোটি কোটি প্রণাম জানাই।।
নমঃ শ্রী বৈষ্ণব দাস অংশ অবতার।
নমঃ নমঃ গৌরি দাস মহিমা অপার।।
নমঃ শ্রী স্বরূপ দাস সবার কনিষ্ঠ।
ঠাকুর চরণে যার ভক্তি একনিষ্ঠ।।
নমঃ নমঃ শ্রীসুধন্য ধীর অবতার।
নমঃ নমঃ শ্রীপতিচাঁদ তাহার কোঙর।।
নমঃ নমঃ মঞ্জুলিকা মাতা ঠাকুরাণী।
করপুটে বন্দি আমি চরণ দু’খানি।।
নমঃ শ্রী প্রমথচাঁদ তুমি গুণমণি।
নমঃ নমঃ বীণাপাণি মাতা ঠাকুরাণী।।
নমঃ নমঃ অংশুপতি নমঃ শচিপতি।
নমঃ শ্রীহিমাংশুপতি পদে করি স্তুতি।।
ঠাকুর হইতে এল ঠাকুরের অংশ।
করজোড়ে বন্দি আমি ঠাকুরর বংশ।।
অধম বিনোদ বলে দিতে নারি সীমা।
কৃপা করে অধমেরে করে দিও ক্ষমা।।

১০১ তম বারুনি স্নান ও ধর্মীয় মতুয়া মেলা ২০২৩
28/03/2023

১০১ তম বারুনি স্নান ও ধর্মীয় মতুয়া মেলা ২০২৩

এক দাদা আমাকে রিকোয়েস্ট করছেএই পেইজে পোষ্ট করতে. ...
27/03/2023

এক দাদা আমাকে রিকোয়েস্ট করছে
এই পেইজে পোষ্ট করতে. ...

Address

Patuakhali
8610

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raton Mistiri posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Raton Mistiri:

Videos

Share

Category


Other Video Creators in Patuakhali

Show All