Gazi Agro Bd

Gazi Agro Bd কৃষি কাজ করি
আত্মনির্ভর হই
দেশ গঠনে সাহায্য করি

 #আপনারা_মিষ্টি_কুমড়া_কিভাবে_আবাদ_করবেন #মাটিঃজৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ মাটি মিষ্টিকুমড়া চাষাবাদের জন্য উত্তম তবে চরাঞ্চলে...
13/12/2024

#আপনারা_মিষ্টি_কুমড়া_কিভাবে_আবাদ_করবেন

#মাটিঃ
জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ মাটি মিষ্টিকুমড়া চাষাবাদের জন্য উত্তম তবে চরাঞ্চলে পলি ও বেলে মাটিতে মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হয়।

#জমি_নির্বাচনঃ
চরের অনাবাদি পতিত জমিতে অথবা উর্বর যে কোন একই জমিতে বারবার একই ফসল চাষ পরিহার করতে পারলে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কমানো যাবে। এদের শিকড়ের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য জমি এবং গর্ত উত্তমরুপে তৈরি করতে হবে।

#বীজ_বপনের_সময়ঃ

#রবি_মৌসুমেঃ
আশ্বিন-কার্তিক (অক্টোবর-নভেম্বর) এবং
#খরিফ_মৌসুমেঃ
ফাল্গুন-চৈত্র (ফেব্রুয়ারী-মার্চ) মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।

#জাত_নির্বাচনঃ
(ব্রাক সীডস) থাইল্যান্ড-১/থাইল্যান্ড -২
(সুপ্রিম সীডস) থান্ডার বল/ওয়ান্ডার বল/ ম্যাজিক বল/সুইট বল/
(ইউনাইটেড সীডস) কাজল/কালো মানিক/
(মালিক সীডস) বিশাল/ব্লাক_স্টোন
(ব্রাক সীডস) শাফী/সবুজ বাংলা
(লালতীর) সুইটি/সাদিয়া/মমতা
(মাসুদ সীডস) সৈনিক-৫৭/সুইট হানি/ব্লাক স্টন-১৬

#বীজহারঃ
শতক প্রতি ২-৩ গ্রাম বীজহার
বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশ) জন্য ৭০-১০০ গ্রাম

#বীজ_ভিজানোঃ
বীজ বপনের পূর্বে ১৫-২০ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বীজের অংকুরোদগম সহজ ও দ্রুত হয়।

#চারা_তৈরি_রোপণঃ
নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা তৈরি করে রোপণ করা উত্তম।
অথবা সরাসরি মাদায় বীজ রোপন করা যায়।

#চারার_বয়সঃ
চারার বয়স ১৬-২০ দিন হলে অথবা ৫-৬ পাতা বিশিষ্ট্য হলে মুল জমিতে রোপন করা যায়।

#বীজতলায়_চারার_পরিচর্যাঃ
নার্সারিতে চারার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে । শীতকালে চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজ গজানোর পূর্ব পর্যন্ত প্রতি রাতে প্লাস্টিক দিয়ে পলিব্যাগ ঢেকে রাখতে হবে এবং দিনে খোলা রাখতে হবে । চারার প্রয়োজন অনুসারে পানি দিতে হবে তবে সাবধান থাকতে হবে যাতে চারার গায়ে পানি না পড়ে । পলিব্যাগের মাটি চটা বাঁধলে তা ভেঙ্গে দিতে হবে । চারাগাছে “রেড পাম্পকিন বিটল” পোকার ব্যাপক আক্রমণ হয় । এটি দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে । চারার বয়স ১৬-১৭ দিন হলে তা মাঠে প্রস্তুত মাদায় লাগাতে হবে ।

#মাদা_তৈরিঃ
মাটির প্রকৃতি ও স্থানভেদে ১৫-২০ সেমি উঁচু, ২.৫ সেমি চওড়া এবং লম্বায় সুবিধাজনক এমন বেড তৈরী করতে হবে যাতে পানি সেচ ও নিষ্কাশনের সুবিধা হয়। দু’টি বেডের মাঝে পর্যায়ক্রমে ৬০ সেমি এবং ৩০ সেমি নালা রাখতে হবে।

#মাদার_সাইজঃ
মাদার আকার দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও গভীরতা হবে ৫০ × ৫০× ৫০ সেমি।
#মাদার_দুরত্বঃ
মাদা হতে মাদার দুরত

 #বস্তায়_আদা_চাষ পদ্ধতি: #বস্তায়_আদা_লাগানোর_সময়ঃ 👇বস্তায় আদা চাষের জন্য এপ্রিল-মে মাসে আদা রোপন করতে হয়।তবে এপ্রিল মাস...
13/12/2024

#বস্তায়_আদা_চাষ পদ্ধতি:

#বস্তায়_আদা_লাগানোর_সময়ঃ 👇
বস্তায় আদা চাষের জন্য এপ্রিল-মে মাসে আদা রোপন করতে হয়।তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে উপযুক্ত সময়।

#উপযুক্ত_মাটিঃ👇
আদা চাষের জন্য উচু জায়গা ও জৈব সার সমৃদ্ধ দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটি সবথেকে উত্তম।

#বস্তায়_আদা_লাগানোর_স্থানঃ👇
বসতবাড়িতে বা বাগানে ৩০%-৪০% ছায়াযুক্ত স্থানে আদা ভালো হয়। সম্পূর্ণ ছায়া বা আলোতে আদা ভালো হয় না৷ তাই দিনের ২/৩ ভাগ আলো আসে এরকম জায়গায় বস্তা রাখতে হবে।

#আদার_জাত_নির্বাচনঃ👇
বস্তায় চাষের জন্য জনপ্রিয় জাত
বারি আদা_১ ও
বারি আদা_২
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া থেকে আদার বীজ ক্রয় করতে পারেন।

বি.দ্র. প্রচলিত বাজার থেকে বীজ কিনে বস্তায় আদা চাষ করা উচিত না।

#আদার কন্দের সাইজ নির্বাচনঃ
মাটি তৈরি হয়ে গেলে বস্তায় রোপনের জন্যে ৪০-৫০ গ্রাম সাইজেট আদার কন্দ প্রয়োজন।

#বীজ_শোধনঃ👇
আদার কন্দ লাগানোর আগে কার্বোডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম হারে মিশিয়ে নিয়ে এক কেজি আদার কন্দ শোধন করে নিতে হবে। শোধনের পর কন্দগুলো সাথে সাথে রোপন করা যাবে না কমপক্ষে একঘণ্টা ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। রোদে শুকানো যাবে না

#মাটি_প্রস্তুতঃ👇
বস্তায় আদা চাষের জন্য আদার কন্দ রোপনের ১৫ দিন আগে মাটি ও সার প্রস্তুত করতে হবে।

#মাটি_তৈরিঃ 👇
আদা কন্দ বা রাইজোম জাতীয় মসলা ফসল তাই মাটি যত নরম ও ঝড়ঝড়ে হবে তত ভালো। এতে রাইজম সহজেই মাটির নিচে বড় হতে পারে। শক্ত মাটিতে আদার ফলন কম হয় কারণ মাটি শক্ত হওয়ায় রাইজোম বড় হতে পারে না।

#বস্তা_নির্বাচনঃ👇
বস্তায় আদা চাষের জন্য বস্তা সিমেন্টের বস্তা আদা চাষের জন্য উত্তম। ১টি সিমেন্টের ব্যাগ কেটে দুইটি করে আদার বস্তা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে বস্তার খরচ ৫০% কমে যাবে।

প্রতি বস্তার জন্য ঝুর ঝুরে পরিস্কার
#মাটি ১৫ কেজি
#পঁচা গোবর ৫-৬ কেজি
#টিএসপি ২০ গ্রাম
#এমওপি (পটাশ) ১০ গ্রাম
#জিপসাম ১০ গ্রাম
#জিংক ৫ গ্রাম
#বোরন ৫ গ্রাম
#দানাদার কীটনাশক ১০ গ্রাম
#কাঠের গুড়া ১ কেজি
ছাই ১ কেজি (সম্ভব হলে)
ভার্মিকম্পোষ্ট ১ কেজি (সম্ভব হলে)
বালু ১ কেজি (বেলে দোআঁশ মাটি হলে দরকার নেই)

#মাটি_মিশ্রণ_তৈরি_পদ্ধতিঃ👇
সমস্ত সার মাটি দানাদার কীটনাশক, কাঠের গুড়া বালু ভালোভাবে মিশিয়ে ১২-১৫ দিন কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১২-১৫ দিন পর পলিথিন উঠিয়ে মাটি উল্টাপাল্টা করে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। তার পর বস্তায় ভরে ২-৩ দিন রেখে আদার বীজ বপন করতে হবে।

বস্তায় সার মিশ্রিত মাটি ভরাটঃ👇
বস্তায় সার মিশ্রিত মাটি এমন ভাবে ভর্তি করতে হবে যাতে বস্তার উপরের অংশ ২-৩ ইঞ্চি ফাঁকা থাকে।

#বস্তা_স্থাপন_পদ্ধতিঃ👇
বৃষ্টির পানি জমাট বাধে না এমন যায়গায় সারিতে ৮-১০ ইঞ্চি পর পর পাশাপাশি ২ টি বস্তা স্থাপন করতে হবে। মাঝ খান দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা রাখতে হবে যাতে সহজে চলাফেরা করা যায় এবং আন্তপরিচর্যা করতে সুবিধা হয়।

#আদা_কন্দ_রোপনের_গভীরতাঃ👇
আদার বীজ মাটির ভিতরে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি গভীরে লাগাতে হবে। বীজ লাগানোর পর মাটি দ্বারা ঢেকে দিতে হবে।

#আগাছাঃ 👇
বস্তায় আদা চাষে তমন কোন আগাছা হয় না। যদি আগাছা দেখা যায় তাহলে হাত দিয়ে নিড়ানি দিয়ে গোড়া পরিস্কার রাখতে হবে।
#সেচ_প্রয়োগঃ👇
বৃষ্টি না হলে হালকা ছিটানো পানি দিতে হবে।

#পানি_নিষ্কাশনঃ 👇
মাটি ভরাটের আগে বস্তার নিচে, সাইডে ৪-৫ টি ফুটা করে দিতে হবে যাতে অতিবৃষ্টিতে বস্তায় পানি জমে না থাকে।

#সার_প্রয়োগ:
☞প্রথম কিস্তিঃ
আদার কন্দ রোপনের ৫০ দিন পরে বস্তা প্রতি ১০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫ গ্রাম এমওপি একত্রে প্রয়োগ করতে হবে।

☞দ্বিতীয় কিস্তিঃ
আদার কন্দ রোপনের ৮০ দিন পরে বস্তা প্রতি ইউরিয়া ৫ গ্রাম পটাশ ৫ গ্রাম হারে গাছের চারি পশে ছিটিয়ে দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।

☞তৃতীয় কিস্তিঃ
আদার কন্দ রোপনের ১১০ দিন পরে ইউরিয়া ৫ গ্রাম পটাশ সার ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে

#আদা_উত্তোলনঃ
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারী মাসে তোলা যায়। আদার পাতা হলুদ হয়ে আসলে আদার পরিপক্ক হয়ে যায়।

#ফলনঃ
উপযুক্ত পরিচর্যায় প্রতি বস্তায় ১-৩ কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যায়।

এছাড়াও রোগবালাইয়ের আক্রমণ দেখা গেলে আপনার নিকটস্থ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা /উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

© মোহাম্মদ ফরিদ ভাই

11/12/2024

কুমড়া ও লাউ চাষ,
উদ্দেশ্য পারিবারিক চাহিদা পূরণ

Gazi Agro Bd Mehedi Hasan

05/12/2024

আসসালামুয়ালাইকুম খামার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
কেমন আছেন সবাই

 #ভূট্টার কাটুই পোকা দমনে কৃষক ভাইদের করণীয়: #সম্মানিতভূট্টা চাষী কৃষক ভাইয়েরা ভূট্টার বিভিন্ন ক্ষেত পরিদর্শন করে লক্ষ্য...
26/11/2024

#ভূট্টার কাটুই পোকা দমনে কৃষক ভাইদের করণীয়:

#সম্মানিত
ভূট্টা চাষী কৃষক ভাইয়েরা ভূট্টার বিভিন্ন ক্ষেত পরিদর্শন করে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে ভূট্টার গাছের গোড়ায় পোকা কেটে দিচ্ছে। এটা কাটুই পোকার আক্রমণ।

আপনাদের ভূট্টা জমিতে কাটুই পোকার আক্রমণ দেখা দিলে/আক্রমণ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

#আক্রমণের পরে করণীয়:
#নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিতে হবেে।

#ক্লোরোপাইরিফস+সাইপারমেথ্রিন) গ্রুপের যে কোন একটি কীটনাশক যেমন
#নাইট্রো ৫০৫ ইসি (অটো ক্রপ কেয়ার)
#ক্লোরোসেল ৪৮ ইসি (হেকেম বাংলাদেশ)
#সাবসাইড ৫০৫ ইসি (এসএএম এগ্রো)
#ক্লোরোসাইরিন ৫০৫ ইসি (স্কায়ার)
#এসিমিক্স ৫০৫ ইসি (এসিআই)
#ইরাদ ৫০৫ ইসি (জেনেটিকা)
#জাহিম ৫৫ ইসি (ইনতেফা)
প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করতে হবে। #সাথে
#ল্যাম্বডাসাইহ্যালোথ্রিন গ্রুপের যে কোন একটি কীটনাশক যেমন:
#ক্যারাটে ২.৫ ইসি (সিনজেনটা)
#ফাইটার ২.৫ ইসি (এসিআই)
#রিভা ২.৫ ইসি (অটো ক্রপকেয়ার)
#জুবাস ২.৫ ইসি (ইনতেফা)
#সাইক্লোন ২.৫ ইসি (হেকেম বাংলাদেশ)
#আকিক ২.৫ ইসি (সেতু পেস্টিসাইড)
#সি থ্রিন ২.৫ ইসি (সী ট্রেড)
প্রতি লিটার পানিতে ১-১.৫ মিলি হারে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করতে হবে।

মোঃ ফরিদুল ইসলাম
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
ব্লকঃ ভোটমারী, কালীগঞ্জ , লালমনিরহাট।

26/11/2024

মাশাল্লাহ,
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁস (বয়স ৪ বছর প্রায়) উমে বসছে এবং বাচ্চা ফুটেছে,

26/11/2024

হাঁস এর খাদ্য(বয়স অনুযায়ী,বিভিন্ন জাতের),পুষ্টি ব্যবস্থাপনা ও দৈনিক কার্যক্রম সূচিঃ
admin May 13, 2020 ফিড ফরমুলেশন(কোয়েল,হাস,কবুতর) Leave a comment 17,544 Views

হাঁস এর খাদ্য(বয়স অনুযায়ী,বিভিন্ন জাতের),পুষ্টি ব্যবস্থাপনা ও দৈনিক কার্যক্রম সূচিঃ

হাঁস এর খাদ্য ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনাঃ

হাঁসের খাদ্যঃ
হাঁস প্রধানত দুই রকমের খাদ্য খায়। যেমন- প্রাকৃতিক খাদ্য ও সম্পূরক খাদ্য। পারিবারিকভাবে পালিত হাঁস জলাশয়ে এবং ক্ষেতখামারে চরে জীবন ধারন করতে পারে। কিন্তু উন্নত জাতের হাঁস পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্নবান হতে হবে। সে ক্ষেত্রে সম্পুরক খাদ্য কমপক্ষে ৩ বার দিতে হবে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক খাবার যেমন – শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, কেঁচো, শাপলা, ক্ষুদেপানা, ছোট মাছ ও নানা ধরনের কীটপতঙ্গ মুক্ত অবস্হায় জলাশয়ে পাওয়া গেলে শুধু সকাল ও বিকালে পরিমিত পরিমান দানাদার খাবার সরবরাহ করলেই চলবে। হাঁসের খাবারের সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে হয়। হাঁসকে শুস্ক খাদ্য দেয়া ঠিক নয়। এদের সবসময় ভেজা ও গুঁড়ো খাদ্য দেয়া উচিত। প্রথমে ৮ সপ্তাহ হাঁসকে ইচ্ছামত খেতে দেয়া উচিত পরবর্তীতে দিনে দু’বার খেতে দিলেই চলে ।

গ্রামে অর্ধ আবদ্ধ পালন করে সেক্ষেত্রে বর্ষাকালে বাচ্চাকে ৫০গ্রাম আর বয়স্ক হাঁসকে ৬০ গ্রাম অতিরিক্ত বাণিজ্যিক খাবার দেয়া উচিত।

শুষ্ক সময়ে ৭০-৮০ গ্রাম বাণিজ্যিক খাবার দিতে হবে।

সুষম খাদ্য তৈরিঃ
১ সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ বয়সের হাঁসদের খাবারে থাকবে আমিষ-

১৯.৫%, স্নেহপদার্থ- ৪.৫%, তাপ বা শক্তির জন্য আঁশ ওয়ালা খাবার দিতে হবে- ৪.৮%, ক্যালসিয়াম- ১.৭%, ফসপরাস- ০.৮৬% ।

তিন সপ্তাহের থেকে বড় হাঁসদের খাবারে আমিষ শতকরা ১৭ ভাগ হলে চলবে। তিল এবং বাদাম ছাড়া অন্য কোন খোসা জাতীয় খাবার হাঁসকে না দেয়াই ভাল।সুষম খাদ্য তৈরির পূর্বে প্রতিটি হাঁস পালনকারীকে খোয়াল রাখতে হবে যেন সুষম খাদ্যের প্রতিটি উপাদানই সহজলভ্য, সস্তা, টাটকা এবং পুষ্টিমান সঠিকভাবে বিদ্যমান আছে। কোনো অবস্হাতেই বাসি পঁচা বা নিম্নমানের ফাংগাসযুক্ত খাবার হাঁসকে দেয়া যাবে না। খাদ্যের প্রকৃতি, মিশ্রণ পদ্ধতি, হাঁসের জাত, ওজন, ডিম উৎপাদনের হার এবং সর্বোপরি শামুক, ঝিনুক, ধান, সবুজ শেওলা বা শৈবাল এবং শাকসবজীর প্রাপ্যতা অনুসারে খাদ্য খাওয়ানোর কর্মসূচি তৈরি করতে হবে।

নিচের ফর্মুলা অনুযায়ী ও করতে পারবেন।

১-৬ সপ্তা বয়সে প্রোটিন ১৮%,আশ ৪%,ফ্যাট ৪ ,ক্যালসিয়াম ১।ফস ফস ফরাস ০.৪৫।ক্যালরী ২৮০০

৭-১৮ সপ্তাহ প্রোটিন ১৭%,আশ ৫%,ফ্যাট ৫ ,ক্যালসিয়াম ১।ফস ফস ফরাস ০.৪৫।ক্যালরী ২৮৫০

নিচের তথ্যটি ডা মাহফুজের কাছ থেকে নেয়া

কোন বয়সে কত খাবার খাবে

বয়স জিংডিং/খাকি/দেশি বেইজিং/মাস্কোভি

১ম সপ্তা ১৫গ্রাম ১৫গ্রাম

৫ সপ্তা ৫৫গ্রাম ৬৫গ্রাম

১০ সপা ১১০গ্রাম ১২৫গ্রাম

১৫সপ্তা ১৪০গ্রাম ১৫৫গ্রাম

২০ সপ্তা ১৫০গ্রাম ১৭৫গ্রাম

২৫ সপ্তা ১৬০গ্রাম ১৯০গ্রাম

জিংডিং/খাকি/দেশি হাসের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৭-১০গ্রাম করে বাড়ে আর বেইজিং/মাস্কোভিঢ় ক্ষেত্রে ১২-১৫গ্রাম করে বাড়ে।

সপ্তাহ অনুযায়ী টোটাল খাবার

বয়স জিংডিং/খাকি/দেশি বেইজিং/মাস্কোভি

৪সপ্তাহ পর্যন্ত ৮০০গ্রাম ১কেজি

৮ সপ্তা ২.৭৫কেজি ৩.২৫কেজি

১২ সপ্তা ৬কেজি ৭কেজি

২০ সপ্তা ১৪কেজি ১৬কেজি

নিচে হাঁসের সুষম খাদ্য তৈরির খাদ্য উপাদান উল্লেখ করা হলো :

খাদ্য উপাদান—- বাচ্চার খাদ্য(গ্রাম)– পূর্ণবয়স্ক হাসের খাদ্য (গ্রাম)
ভাঙা গম———- ৪৫০—————– ৪৫০
চালের কুঁড়া——-২৭০——————৩০০
তিলের খৈল——-১৪০——————১২০
শুঁটকী মাছের গুঁড়া-১২০—————–১০০
ঝিনুক চূণ———১৫——————–২৫
লবণ—————-৫———————-৫
_______________________________________
মোট = ১০০০ গ্রাম বা ১ কেজি।

ভিটামিন মিনারেল বাচ্চার জন্য ১.৫ গ্রাম ও বয়স্ক হাসের জন্য ২.০ গ্রাম প্রতি কেজি খাবারে সংযুক্ত করা যেতে পারে।

খাবার পাত্র ও পানির পাত্রঃ
বয়স অনুযায়ী হাঁসের জন্য খাবার পাত্র ও পানির পাত্রের পরিমাণ-
বয়স —————— জায়গার পরিমাণ —– খাবার পাত্র ——- পানির পাত্র
১ দিন -৩ সপ্তাহ——–২.০ বর্গ ফুট———–২.৫ সেমি———-২.৫ সেমি
৪ সপ্তাহ – ৮ সপ্তাহ—–৩.০ —————— ৩.০ —————-৪.০
৮ সপ্তাহ – ১৬ সপ্তাহ—-৪.০——————-৪.০ —————-৫.০

খামার ব্যবস্হাপনা

বয়স অনুসারে হাসের খাবার ফর্মুলেশন

উপাদান ০-৮ সপ্তাহ ৯-২০ সপ্তাহ ২১-বিক্রি

গম /ভুট্রা ভাংগা ৪৫ ৪৩ ৪৮

চালের কুড়া ১২ ৩০ ১২

গমের ভুসি ৫ ১০ ৫

তিলের খৈল ২২ ৮ ১৬

শুটকি মাছের গুড়া ১৫ ৭ ১৩

ঝিনুকের চূন্ন ০.৫০ ১.৫০ ৫.৫০

লবন ০.২৫ ০.২৫ ০.২৫

ভিটামিন মিনারেল ০.২৫ ০.২৫ ০.২৫

টোটাল ১০০কেজি ১০০ ১০০কেজি

ডিম পাড়ার আরেক ফর্মুলেশন

গম ৩০%

ধান ভাংগা ৪০

কালো তিল খৈল ১০

সয়াবিন খোল ১০

শুটকি মাছের গুড়া ৮

ঝিনুক ভাংগা ২%

টোটাল ১০০কেজি

নিচে বিভিন্ন বয়সের হাঁসের জন্য সুষম খাদ্য তৈরির একটি ফর্মলেশনঃ
=============================================
*******টেবিল-১******

খাদ্য উপাদান (%) > > > বাচ্চা হাঁস(০-৬ সপ্তাহ) > > > বাড়ন্ত হাঁস(৭-১৯ সপ্তাহ)

গম ভাঙা ————- ৩৬.০০ ———————— ৩৮.০০
ভুট্টা ভাঙা ———— ১৮.০০ ————————- ১৮.০০
চালের কুঁড়া ———- ১৮.০০ ————————- ১৭.০০
সয়াবিন মিল ——— ২২.০০ ————————- ২৩.০০
প্রোটিন কনসেনট্রেট – ২.০০ —————————- ২.০০
ঝিনুক চূর্ণ ———— ২.০০ —————————- ২.০০
ডিসিপি ——— ——১.২৫ —————————- ১.২৫
ভিটামিন প্রিমিক্স —- ০.২৫ —————————- ০.২৫
লাইসিন ————— ০.১০ ————————— ০.১০
মিথিওনিন ———— ০.১০ ————————– ০.১০
লবণ ——————- ০.৩০ ————————- ০.৩০
———————————————————————————
মোট === ======১০০.০০ কেজি———————— ১০০.০০কেজি

নিচেরটা ও অনুসরণ করা যায়
===========================================

**********টেবিল-২*********

খাদ্য উপাদান পরিমান (%)
———————————
গম ভাঙা ৪৫
চালের কুঁড়া ২০
গমের ভুষি ১২
তিলের খৈল ১২
শুটকি মাছের গুঁড়া ১০
লবন ০.৫
ভিটামিন ০.২৫
—————————-
মোট ১০০

ডিম পাড়া শুরুর ২ সপ্তাহ আগে থেকে শেষ পর্যন্ত
বা ডিম পাড়া হাঁস(২০ সপ্তাহ থেকে তদুর্ধে) হাঁসকে খাওয়ানোর চার্টঃ

***************টেবিল-৩******************

খাদ্য উপাদান >>>> পরিমান (%)
————————————-
গম ভাঙা ৪০
চালের কুঁড়া ২৫
গমের ভুষি ৫
তিলের খৈল ১২
শুটকি মাছের গুঁড়া ১০
ঝিনুক ভাঙা ৭.২৫
লবন ০.৫
ভিটামিন ০.২৫
——————————–
মোট ১০০কেজি

অনেকগুলো ফর্মুলা দেয়া হয়েছে ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়।
খাওয়ানোর নিয়মঃ
============ বর্ষা মৌসুমে অর্ধছাড়া অবস্থায় পালনকৃত বাচ্চা হাঁসকে দৈনিক ৪০ গ্রাম এবং বয়স্কগুলোকে ৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। তবে শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমান কমে যায় বলে এসময় ছেড়ে খাওয়ানোর পাশাপাশি ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম খাদ্য সরবরাহ করা দরকার। তবে প্রাকৃতিক খাদ্য না দিতে পারলে খাকী ক্যাম্পবেল হাঁসকে দৈনিক ১৭৬ গ্রাম হারে এবং জিন্ডিং হাঁসকে দৈনিক ১৬০ গ্রাম হারে খাদ্য দিতে হবে।

ভিটামিন

ভিটামিন প্রিমিক্স ১০গ্রাম।

প্রতি কোইন্টালে ক্লোলিন ক্লোরাইড ৫০ গ্রাম।

কক্সিডিওস্টট ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত ১০০কেজিতে ৫০ গ্রাম।

বাচ্চার খাবারে ২১% প্রোটিন ,স্নেহ ৪.৫%এবং ডিম পাড়া অবস্থায় ১৮% প্রোটিন লাগবে।

তিল বা বাদাম ছাড়া অন্য কোন খৈল হাস কে না দেয়াই ভাল।

সুযোগ থাকলে শামুক বা গুগলি,ফেলনা ভাত,চাল ধোয়া জল,আনাজ খোসা,মাছের আশ কাটা দেয়া ভাল।

৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ৪-৫ কেজি খাবার খায়।

২০ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি হাসের জন্য ১২.৫ কেজি খাদ্য লাগবে এবং ফুল ডিম আসতে ১৫ কেজি খাদ্য লাগবে।

জলাশয় থেকে প্রতি হাস প্রায় ৪০-৫০ গ্রাম খাদ্য পায়।

কতবার খাবার দিতে হবে

০-৪ সপ্তাহ ৪ বার

৪-৮ সপ্তাহ ৩ বার

৮ এর বেশি ২ বার

বয়স খাবার্

১ম সপ্তাহ ১০-২০গ্রাম

২য় ২১-৩১

৩য় ৩১-৪১

৪ ৪১-৫৫গ্রাম
৫্ম সপ্তা ৫৫-৬০ গ্রাম
খাবার দিলে পানি দিতে হবে,হাস খাবার নেয়ার পর পানি নেয় তাছাড়া ঠোট ও চোখ পরিস্কার করার জন্য পানি লাগে।গ্রামে মাটির গামলায় জল দেয়া যায়।বাচ্চা ফুটাতে হলে ৫ টি হাসির জন্য ১ টি হাস দিতে হয় আর বাচ্চা না ফুটাতে চাইলে ১০-১৫ টি হাসির জন্য ১টি হাস দিলে ভাল। পানি ছাড়া হাস খাবার খেতে পারেনা।হাস মুরগির ডাবলের চেয়ে একটু কম খায়,পার্থক্য হল হাস কিছু মানে তিনের এক ভাগ বাহির থেকে খায়।
১দিন বয়সে হাসা বা হাসি নির্ণয় ঃবাচ্চার লেজের দিক টা বা হাত ধরে উলটে দিন,ডান হাতের বুড়ো আংগুল আর তরজনীর সাহায্যে জোরে মলদার টিপে ধরুন কিছুটা এগিয়ে নিন।নর হলে ছোট লিংগটা ছোট কাটার মত বেরিয়ে আসবে,নারী হলে কিছুই বের হবেনা।বড় হাসের কন্ঠসর তীক্ষ্ণ আর মদ্দার সর ফ্যাসফ্যাসে।

মর্দার লেজের পালক কোকড়ানো এবং ওপর দিকে তোলা

লাইটিংঃ

১ম সপ্তাহে ৯০ডিগ্রি ফারেনহাইট পরে প্রতি সপ্তাহে ৫ডিগ্রি ফারেনহাইট হিসাবে কমাতে হবে এবং ৫ সপ্তাহে ৭০ডিগ্রি ফারেনহাইট।

১ম সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পরে প্রতি সপ্তাহে ২ ঘণ্টা করে কমিয়ে ৪ সপ্তাহে ১২ ঘন্টা নিয়ে আসতে হবে।

পালন পদ্ধতিঃ

ক।আবদ্ধ পদ্ধতিঃরাতে ঘরের মধ্যে থাকে দিনের বেলা ঘরের সামনে ১০-১২ বর্গফুট জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।

এটা আবার ৩প্রকার

১।মেঝেতে .২।খাচায় এবং.৩।তারের জালের ফ্লোরে

খ ।অর্ধ আবদ্ধ পদ্ধতিঃ

রাত্রে ঘরে থাকে দিনের বেলা ঘরের সামনে ১০-১২ বর্গফুট জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।খাবার ঘরে বা বাহিরে দেয়া যায়।

গ।মুক্ত রেঞ্জ পদ্ধতিঃ

দিনের বেলায় হাঁস পুকুর ,খাল বিল নদীনালা থেকে খাবার খায়। রাতে ঘরে থাকে এবং অল্প খাবার দেয়া হয়।

বড় হাসে জন্য ৩ফুট এবং বাড়ন্ত হাসের জন্য ২ফুট জায়গা দিতে হয়

হার্ডিং পদ্ধতিঃ

দিনের বেলায় হাসগুলিকে বিভিন্ন জায়গায় যেখানে পর্যাপ্ত খাবার আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাতের বেলা একটা উঁচু জায়গায় আটকিয়ে রাখা হয়।

ল্যান্টিং পদ্ধতিঃ

বড় বড় বিল হাওড় ,জলাশয়ের আশপাশে ঘর তৈরি করে হাঁস পালন করা হয় যাতে রাতে হাঁস গুলো নিরাপদে থাকে।

একেক ফ্লকে ১০০-২০০ হাস থাকে।

১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত ১/২ বর্গ ফুট

৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ১বর্গফুট

৫ এর পর ২ বর্গ ফুট

দৈনিক কার্যক্রম সূচিঃ

যে কোনো ধরনের খামারই হোক না কেনো তার ব্যবস্হাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রকৃতপক্ষে খামার ব্যবস্হাপনার উপরই খামারের লাভ লোকসান এমনকি খামারের ভবিষ্যত সসপ্রসারণ নির্ভর করে ।

সকাল ৭ – ৯ টাঃ
১. জীবাণুমুক্ত অবস্হায় শেডে প্রবেশ করতে হবে এবং হাঁস-মুরগির সার্বিক অবস্হা ও আচরণ পরীক্ষা করতে হবে।
২. মৃত বাচ্চা/বাড়ন- বাচ্চা/মুরগি থাকলে তৎক্ষণাৎ অপসারণ করতে হবে।
৩. ডিম পাড়া বাসার দরজা খুলে দিতে হবে।
৪. পানির পাত্র/ খাবার পাত্র পরিস্কার করতে হবে।
৫. পাত্রে খাবার ও পানি না থাকলে তা পরিস্কার করে খাদ্য ও পানি সরবরাহ করতে হবে।
৬. লিটারের অবস্হা পরীক্ষা করতে হবে ও প্রয়োজন হলে পরিচর্যা করতে হবে।
৭. খাবার দেবার পর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আচরণ পরীক্ষা করতে হবে।
সকাল ১১- ১২ টাঃ
১. খাদ্য নাড়াচাড়া করে দিতে হবে।
২. পানি গরম ও ময়লা হলে পরিবর্তন করে পরিস্কার ও ঠান্ডা পানি দিতে হবে।
৩. ডিম সংগ্রহ করতে হবে।
বিকাল ৪ – ৫ টাঃ
১. পাত্রে খাদ্য পানি না থাকলে তা সরবরাহ করতে হবে।
২. ডিম সংগ্রহ করতে হবে।
৩. ডিম পাড়ার বাসা/বাক্সের দরজা বন্ধ করতে হবে।
৪. আচরণ পরীক্ষা করতে হবে।

সাপ্তাহিক কাজঃ
১. খাদ্য তৈরি করতে হবে।
২. বাচ্চা/ডেকী মুরগী/মুরগীর নমুনা ওজন গ্রহণ করতে হবে।
৩. ঘর পরিস্কার করতে হবে।
৪. ঘরের বাতি সপ্তাহে ২ দিন পরিস্কার করতে হবে। খাদ্য ও পানির পাত্র পরিস্কার করতে হবে এবং লিটার পরিচর্যা করতে হবে।

কালেক্টেড এবং সংকলিত

Please follow and like us:
errorfb-share-iconTweetfb-share-icon

Tags হাঁস এর খাবার

About admin

 #আপনারা_ভূট্টার_জমিতে_কখন_সেচ_দিবেন  #প্রথম_সেচঃবীজ বপনের ২০- ২৫ দিনের মধ্যে (৩-৫ পাতা পর্যায়ে) #দ্বিতীয়_সেচঃবীজ বপনের ...
25/11/2024

#আপনারা_ভূট্টার_জমিতে_কখন_সেচ_দিবেন

#প্রথম_সেচঃ
বীজ বপনের ২০- ২৫ দিনের মধ্যে (৩-৫ পাতা পর্যায়ে)

#দ্বিতীয়_সেচঃ
বীজ বপনের ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে (৮-১০ পাতা পর্যায়ে)

#তৃতীয়_সেচঃ
বীজ বপনের ৮০-৮৫ দিনের মধ্যে (পুরুষ ফুল আসার সময়)

#চতুর্থ_সেচঃ
বীজ বপনের ১০০-১১০ দিনের মধ্যে (দানা বাঁধার পর্যায়ে) সেচ দিতে হবে৷

মোঃ ফরিদুল ইসলাম
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
কালিগঞ্জ লালমনিরহাট।

20/11/2024

#ভূট্টা_আবাদে_জরুরি_পরামর্শঃ

#সারি থেকে সারি ২২" বা ৫৫ সে: মি:

#বীজ থেকে বীজ ১০" বা ২৫ সে:মি:

#ভাঙ্গা ও ছোট বীজ আলাদা করে বাদ দিতে হবে।

#জমিতে রস থাকলে বীজ ভেজানোর দরকার নেই

#জমিতে রস কম থাকলে ৬-৮ ঘন্টা বীজ ভিজিয়ে রোপন করতে পারেন।

#ভূট্টা বীজ রোপনের দিন বা পরের দিন পেন্ডামেথালিন গ্রুপের আগাছানাশক পানিডা৩৩ইসি ৩ মিলি হারে লিটারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন

#আগাছা জন্মানো ক্ষেতে ২৫ দিন বয়স হলে (এন্ট্রাজিন+মেসোট্রিন) গ্রুপের #ক্যালারিস_এক্সট্রা বা #মেসোট্রিন ৩ মিলি হারে লিটারে মিশিয়ে স্প্রে করে দিবেন

#ভূট্টা বীজ রোপনের ২৫-৩০ দিনে প্রথম সেচ দিয়ে ইউরিয়া সার ২০ কেজি ও পটাশ সার ২০ কেজি ছিটিয়ে দিবেন

মোঃ সাব্বির আহমেদ
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার, কালাই উপজেলা।

20/11/2024

ভুট্টা চাষে আগাছা দমনে আগাছা নাশকের ব্যবহার

👉আগাছা দমন ব্যবস্থা –
ভুট্টা চাষে আগাছা একটি প্রধান সমস্যা ,আগাছার কারণে প্রাক খরিফ ও খরিফ মরসুমে প্রায় ৩৫ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়। এই সময় ভুট্টা ও আগাছার মধ্যে বেড়ে ওঠার প্রতিযোগিতা চলে ফলে খাদ্য সংকট তৈরী হয় জমিতে। আগাছা দমন এর জন্য, মিমপেক্স এগ্রো ( কপটার) , প্রিজম ২৭.৫ এস সি, সিনজেনটা ( ক্যালারিস) ইত্যাদি।
ঔষধ পানির মিশিয়ে স্প্রে করে আগাছা ভালো ভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে।

ভুট্টা ক্ষেতে সাধারণত ঘাস ও চওড়া পাতা জাতীয় আগাছা যেমন; শাকনটে, কাঁটানটে, শ্যামা ইত্যাদি আগাছা জন্মে থাকে। এসব আগাছা দমনে অত্যন্ত কার্যকরী ও আধুনিক সমাধান প্রিজম ২৭.৫ এস সি।

👉কার্যকরী উপাদানঃ এট্রাজিন ২৫% + মেসোট্রিয়ন ২.৫%

👉কাজের ধরণঃ নির্বাচিত, আর্লি পোস্ট ইমারজেন্স ও সিস্টেমিক আগাছানাশক।

👉যেভাবে কাজ করেঃ এট্রাজিন মূলত আগাছার মূল দ্বারা শোষিত হয়, পাশাপাশি পাতা দ্বারাও শোষিত হয়। আবার মেসোট্রিয়ন আগাছার পাতার পাশাপাশি মূল দ্বারাও শোষিত হয়। ফলে সম্পূর্ণ গাছে এট্রাজিন ও মেসোট্রিয়ন প্রবাহিত হয়ে গাছের মেরিস্টেমেটিক টিস্যুকে নষ্ট করে ফেলে। অর্থাৎ পাতায় নেক্রোসিস হয় ও পাতা সাদা হয়ে আগাছা মারা যায়। এভাবে প্রিজমের এট্রাজিন এবং মেসোট্রিয়ন আগাছাকে ধ্বংস করে।

👉প্রয়োগের মাত্রাঃ বিঘা (৩৩ শতাংশ) প্রতি ৪০০ মি.লি.

👉প্রয়োগের সময়ঃ প্রিজম ২৭.৫ এসসি প্রতি মৌসুমে একবার সঠিকভাবে প্রয়োগই যথেষ্ট। ভুট্টার জমিতে ঘাস ও চওড়া জাতীয় আগাছার ৩-৪ পাতা হলে স্প্রে করুন। সাধারণত বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মধ্যে জমিতে জো থাকা অবস্থায় স্প্রে করা হয়।

👉প্রয়োগের পদ্ধতি ও সাবধানতাঃ

ব্যবহারের পূর্বে বোতল ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন। এরপর স্প্রে মেশিনের আয়তন অনুযায়ী অনুমোদিত মাত্রায় প্রিজম ২৭.৫ এসসি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। লক্ষ্য রাখতে হবে মিশ্রণ যেনো স্প্রে মেশিনে ভালোভাবে মিশে যায়। এরপর জমির সকল আগাছা ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করুন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে অন্য ফসলের গায়ে স্প্রে না পড়ে এবং স্প্রে মেশিন ধোয়া পানি কোন গাছের গোড়ায় না যায়। প্রিজম ২৭.৫ এস সি স্প্রে করার পর ঐ জমির ঘাস গবাদি পশুকে খাওয়ানো যাবে না।

👉ব্যবহারের সুবিধাঃ

☘️প্রিজম ২৭.৫ এস সি একটি কার্যকরী আর্লি পোস্ট ইমারজেন্স আগাছানাশক। তাই, ভুট্টার বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ, আগাছার ২-৪ পাতা হলে ইহা স্প্রে করে প্রয়োগে অত্যন্ত কার্যকরী।

🍀নির্বাচিত (সিলেক্টিভ) গুণসম্পন্ন আগাছানাশক হওয়ায় এটি ভুট্টা ক্ষেতের শাকনটে, কাঁটানটে, শ্যামা সহ বিভিন্ন ঘাস ও চওড়া পাতা জাতীয় আগাছা কার্যকরীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু ভুট্টা গাছের কোন ক্ষতি করে না।

🍀 সিস্টেমিক (অন্তর্বাহী) গুণসম্পন্ন আগাছানাশক হওয়ায় এটি আগাছার মূল, কান্ড ও পাতা দ্বারা শোষিত হয়ে আগাছাকে সফলভাবে দমন করে।

🍀সাধারণত, মৌসুমে সঠিকভাবে একবার প্রয়োগ করলেই আর আগাছা নিড়ানোর প্রয়োজন হয় না।

👉বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন,,,,,

19/11/2024

➡️পোকার বাংলা নাম: ভুট্টার কাটুই পোকা🌾
পোকার ইংরেজি নাম:Cut Worm Of Maize.
পোকার বৈজ্ঞানিক নাম: Agrotis ipsilon.
বর্গ:লেপিডোপ্টেরা।
পোকা চেনার উপায়:
১. কাটুই পোকার বেশ কতক প্রজাতি আছে। কালোকাটুই
পোকা বেশি ক্ষতিকর।
২. এরা মাঝারি আকারের নিশিজীবী মথ। উপরের পাখা ছাই ও
ধুসর রঙ্গের ছোপযুক্ত, নিচের কিনারা জালের মতো।
৩. এরা হালকা ধূসর থেকে কালচে তেলতেলা ধরণের।
ক্ষতির লক্ষণঃ
১.এ পোকা রাতের বেলা চারা মাটি বরাবর গাছ কেটে দেয়।
২. সকাল বেলা চারা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়
প্রতিকার ব্যবস্থাঃ
অর্গানিক সমাধান:
১. ভালভাবে জমি চাষ দিয়ে পোকা পাখিদের খাবার সুযোগ
করে দিন।
২. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন ।
৩. সকাল বেলা কেটে ফেলা চারার আশে পাশে মাটি খুরেপোকা বের করে মেরে ফেলুন ।
৪. কেরোসিন মিশ্রিত পানি সেচ দিন ও পাখি বসার জন্য
ডালপালা পুতে দিন।
৫. রাতে জমিতে মাঝে মাঝে আবর্জনা জড়ো করে রাখলে তার
নিচে কীড়া এসে জমলে, সকালে সেগুলোকে মেরে ফেলুন।
রাসায়নিক সমাধান:
১. ক্লোরপাইরিফস (৫০%) + সাইপারমেথ্রিন (৫ %) গ্রুপের
কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে গাছ
ভালভাবে ভিজিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
২. আক্রমন বেশী হলে ল্যামডাসাইহ্যালোথ্রিন (২.৫%) গ্রুপের
কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ মিলি হারে মিশিয়ে গাছ
ভালভাবে ভিজিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

19/11/2024

ভুট্টার মাজরা🐛পোকা দমনে কীটনাশক ১০০% কার্যকরী

🌽ভুট্টা বাংলাদেশের গুরত্বপূর্ণ খাদ্যশস্যের মধ্যে অন্যতম। তাই আজকের আর্টিকেলটি লেখা হচ্ছে “ভুট্টার মাজরা পোকা দমনে কীটনাশক ১০০% কার্যকরী” এই শিরোনামে। ভুট্টা একটি অর্থকরী ফসল। সারা বছরজুড়েই দেশের সর্বত্রই এই ফসলটি ব্যাপক হারে চাষ করা যায়।

আমরা মূলত ভুট্টার দানা খেয়ে থাকি। এই দানা সরাসরি বা প্রক্রিয়াজাত করে খাই। বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত কর্নফ্লাওয়ার এই ভুট্টা থেকেই তৈরি। এছাড়া কর্ণফ্লেক্স, পপকর্ণ, ঝলসানো ভুট্টা ইত্যাদি মজার মজার খাবার বানানো হয় ভুট্টা দিয়ে।

বর্তমানে মানুষ ছাড়াও পশুখাদ্য্য হিসেবেও ভুট্টা ব্যাপক জনপ্রিয়। শুধু এর দানাই নয়, গাছও খুবই দরকারি। গরু, ছাগল, মহিষ সহ বিভিন্ন গবাদিপশুর জন্য এই ভুট্টা গাছ অনেক উপকারি। তাই বর্তমানে ভুট্টা চাষে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু ভুট্টা চাষে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। এর অন্যতম কারণ হলো পোকার আক্রমণ। মাজরা পোকা ভুট্টার শত্রু। তাই এই পোকা দমনে কী কী কীটনাশক কার্যকরী তা নিয়েই জানাবো।

🐛ভুট্টার মাজরা পোকা কি?

ভুট্টার মাজরা পোকা অত্যন্ত ক্ষতিকর পোকা। এই পোকা ভুট্টা ক্ষেতে হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।তাই মাজরা পোকার ব্যাপারে কৃষকদের সতর্ক থাকতে হয়। ভুট্টা গাছে মাজরা পোকা ছাড়াও আরও পোকা আক্রমণ করে। আবার এক এক জাতের পোকা এক এক রকম ক্ষতি করে।

Chilo Partellus হলো ভুট্টা গাছের মাজরা পোকার বৈজ্ঞানিক নাম। এই পোকাটি Crambidae পরিবারের ও Lepidoptera বর্গের অন্তর্ভুক্ত। একটি পূর্ণবয়স্ক মাজরা পোকা ৪ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর গায়ের রং হালকা গোলাপি রঙের ও পিঠে কালো দাগ আছে। এরা পাতার নিচে মধ্যে শিরা বরাবর ডিম পাড়ে এবং ডিমগুলোকে মোমের আবরণ দিয়ে ঢেকে ফেলে। আর শূককীট বা লার্ভা ২০-২৫ মিমি লম্বা হয়।

মাজরা পোকা ডিম পাড়ার পর ২-৫ দিন লাগে ফুটতে। ডিম ফুটে শূককীট বের হয়ে বড় হতে সময় নেয় ৪-৫ সপ্তাহ। এরপর ৭-১০ দিনের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক পোকায় পরিণত হয়। এই পোকা সাধারণত ভুট্টা পাতার উল্টো দিকে মাঝখানের শিরা বরাবর সাদা রঙের ডিম পাড়ে। এরা ডিমগুলো বিশেষ কায়দায় মোমের আবরণে ঢেকে ফেলে। পরে ডিম ফুটে শূককীট বের হয়। তারপর এরা কান্ডে প্রবেশ করে এবং কান্ডের ভিতরের টিস্যু খেতে থাকে।

🐛মাজরা পোকা দ্বারা ভুট্টার গাছের ক্ষতির প্রকৃতি

মাজরা পোকা রবি এবং খরিফ উভয় মৌসুমের ভুট্টাতেই আক্রমণ করে থাকে। কান্ডের গায়ে ছিদ্র কিংবা মল দেখে খুব সহজেই গাছে পোকার উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। যদি মাজরা পোকা কান্ডের আগার দিকে আক্রমণ করে তাহলে টাসেল উৎপন্ন হয়না। যার কারনে ফলন মারাত্মক ভাবে হ্রাস পেতে থাকে। এছাড়া এরা ভুট্টার মোচায় ও আক্রমণ করে এবং মোচা খেতে থাকে। মাজরা পোকা ভুট্টার কান্ডে ছিদ্র করে ভিতরের টিস্যুগুলোকে খেয়ে ফেলে, যার ফলে কান্ড ঢলে পড়ে যায়। মাজরা পাতা তে আক্রমণ করে পাতা খেয়ে ফেলে। তবে ভুট্টার সবচেয়ে বেশী পরিমাণে ক্ষতি করে কান্ডের আগার দিকে আক্রমণ এর মাধ্যমে।

🐛মাজরা পোকা কীভাবে ভুট্টার ক্ষতি করে

ভুট্টা গাছে মাজরা পোকা নানা ভাবে ক্ষতি করে। বিশেষ করে এর লার্ভা বা শূককীটগুলো ভুট্টা গাছের কান্ডে প্রবেশ করে। তারপর কান্ডের টিস্যু খেয়ে ফেলে। এতে গাছের পাতা শুকিয়ে যায় ও কান্ড ভেঙে যায়। টান দিলে মরা ডিগ উঠে আসে।

পূর্ণবয়স্ক মাজরা পোকা বড় গাছে আক্রমণ করে কান্ড ছিদ্র করে খেয়ে ফেলে। ফলে অল্প বাতাসে বড় গাছ ভেঙে যায়। ভুট্টা গাছের মাঝখান থেকে নতুন পাতার বের হলে তা ছিদ্র করে। এতে পরাগায়ন ব্যাহত হয়।

সর্বশেষ মাজরা পোকা ভুট্টার মোচা বের হলে মোচায় আক্রমণ করে। এতে ভুট্টার দানা নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি এই পোকা ভুট্টা তোলার পরও দানা, গাছ ও মাটিতে থেকে যায়। আর পরবর্তী মৌসুমে পুনরায় আক্রমণ করে।

🐛ভুট্টার মাজরা পোকা দমনের উপায়

মাজরা পোকা ভুট্টার অন্যতম বড় শত্রু। এগুলো দমন করা না গেলে ভুট্টার ফলন ব্যাপক কমে যাবে। তাই ভুট্টার মাজরা পোকা দমনের উপায় সবাইকে জানতে ও প্রয়োগ করতে হবে। দুইভাবে ভুট্টার মাজরা পোকা দমন করা যায়। ভুট্টার মাজরা পোকা দমনে কীটনাশক ১০০% কার্যকরী পাওয়া গেলেও প্রাকৃতিক উপায়েও এই পোকা দমন করা যায়।

🐛প্রাকৃতিকভাবে ভুট্টার মাজরা পোকা দমনে উপায়

ভুট্টা গাছে মাজরা পোকা হলে এর দমনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এই পোকা দমনের উপায় জানব।

১। ভুট্টা চাষ করার সময় প্রতিরোধ হিসেবে গভীর ভাবে ভুট্টার জমি চাষ দিতে হবে। তাহলে ভুট্টার জমিতে যে পোকামাকড় গুলো আগে থেকেই থাকে সেগুলো ভুট্টার জমিতে গভীর ভাবে চাষ করার কারণে মাটির নিচে চলে যাবে। আর সেগুলো পোকা সেখানেই দমন হয়ে যাবে।

২। প্রাকৃতিক ভাবে ভুট্টা গাছের মাজরা পোকা দমনের প্রথম পদক্ষেপ হলো প্রতিরোধী জাত লাগানো।এই জাত লাগালে প্রাকৃতিকভাবেই মাজরা পোকা কম হবে। আর মৌসুমের শুরুতেই ফসল লাগাতে হবে। কারণ তখন পোকার আক্রমণ কম হয়।

৩। জমিতে বীজ বপনের কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন আগে জমি চাষ দিয়ে রেখে দিন এবং সেখানে পাখি বসার জায়গা করে দিন। তাহলে পাখি সেই পোকা গুলোকে খেয়ে ফেলবে এবং চাষাবাদের কারণে পোকার উপদ্রব কম হবে। এছাড়া শেষ চাষের সময় জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করুন।

৪। ফসল বোনার আগে জমির সমস্ত আগাছা ভালোভাবে তুলে জমির সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। এতে করে জমিতে লাগানো পূর্বের ফসল থেকে কোনও পোকার আক্রমণ হয় না। আর জমির আর্দ্রতা সঠিক রাখতে হবে।

৫। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির সেচ দিতে হবে এবং পানি দেয়ার সময়য় ভালোমানের দানাদার মাজরা পোকা দমনের কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

৬। নিয়মিত ভাবে ভুট্টার জমিতে গিয়ে মাজরা পোকার ডিমের গাদা গুলোকে নষ্ট করতে হবে। এই ভাবে মাজরা পোকার সংখ্যা এবং ক্ষতি কমানো যায়।

৭। আক্রান্ত ভুট্টা গাছ থেকে লার্ভা ও ডিম সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে।

৮। আক্রান্ত গাছগুলোকে উঠিয়ে ফেলতে হবে।

৯। লেডি বার্ড বিটল, মাকড়শা মাজরা পোকার প্রাকৃতিক শত্রু। এদেরকে জমিতে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

১০। ভুট্টা তোলার পর মাজরা পোকা আক্রান্ত অবশিষ্ট গাছ পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কারণ লার্ভা এই গাছের মধ্যে থেকে যায়।

১১। আলোর ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকা নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা এই পোকা আলো দেখলে সেখানে যায়। ফলে অন্য পোকামাকড় মাজরাকে খেয়ে ফেলে বা কৃষক নিজেও মেরে ফেলতে পারে। আর ফেরোমন ফাঁদ দিয়েও মাজরা পোকা দমন করা যায়।

🐛কৃত্রিমভাবে ভুট্টার মাজরা পোকা দমনের উপায়

কৃত্রিমভাবে ভুট্টা গাছের মাজরা পোকা দমনের উপায় হলো কীটনাশক স্প্রে করা। বাজারে নানা ধরনের কীটনাশক রয়েছে। বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল সংগ্রহের আগে পর্যন্ত এই কীটনাশক স্প্রে করা যায়।

ভুট্টা গাছে পোকার আক্রমণের পরিমাণ কতটা ও ফসলের জমির পরিমাণ কতটুকু সেসব অনুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তবে বাজারে এখন জৈব ও রাসায়নিক ২ ধরণের কীটনাশক পাওয়া যায়। ভুট্টার মাজরা পোকা দমনে এই ২ ধরণের কীটনাশক ব্যবহার করা যায়। জৈব কীটনাশক পরিবেশবান্ধব। আর রাসায়নিক কীটনাশক দ্রুত কার্যকরী।

🐛ভুট্টার মাজরা পোকা দমনে কীটনাশক

বাজারে ভুট্টার মাজরা পোকা দমনে কীটনাশক অনেক আছে। তার মধ্যে বহুল ব্যবহৃত কিছু কীটনাশকের কথা উল্লেখ করা হলো। ভুট্টার গাছের মাজরা পোকা দমন করার জন্য ২ থেকে প্রকার কীটনাশক একত্রে মিশে ব্যবহার করতে হবে এতে করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। বিকাল বেলা স্প্রে করার চেষ্টা করবেন কেননা এই পোকা গুলো রোদের সময় বের হয় না। ভুট্টার মাজরা পোকা দমনের কীটনাশক গুলো হলো:

রিলোড (১৮ এস সি)

এসিমিক্স (৫৫ ই সি)

ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি

ক্যারাটে ২.৫ ইসি

দামার ৬০ ডব্লিউডিজি

মর্টার ৪৮ ইসি (ক্লোরোপাইরিফস)

কাটাপ্পা ৪৭ ডব্লিউ ডি জি

বেল্ট এক্সপার্ট

ডেসিস ২.৫ ইসি

রিপকর্ড ১০ ইসি

মারশাল ২০ ইসি

ফিপ্রোনিল ৫০ এসসি

রিজেন্ট ৫০ এসসি

ডারসবান ২০ ইসি

পাইরিফস ২০ ইসি

ক্লাসিক ২০ ইসি

👉নিম্নে ভুট্টার মাজরা পোকা দমনের কীটনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

১. বীজ বপনের সময় প্রতিহেক্টরে ২০ কেজি কার্বোফুরান প্রয়োগ করতে হয়। কার্বোফুরান একটি দানাদার কীটনাশক। এটি প্রতিরোধক এবং প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ পোকা লাগার আগে কার্বোফুরান ব্যবহার করলে পোকা লাগবেনা এবং পোকা লাগার পর ব্যবহার করলে পোকা মারা যাবে। এটি দানাদার হওয়ায় এটি ইউরিয়া সারের সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া যায় এবং এতে বাড়তি শ্রমিক লাগে না।

২. ক্লোরপাইরিফস (ডারসবান ২০ ইসি বা পাইরিফস ২০ ইসি বা ক্লাসিক ২০ ইসি বা অন্য নামের) প্রতিলিটার পানিতে ৫ মিলি অথবা নাইট্রো ৫৫ ইসি প্রতিলিটার পানিতে ২ মিলি অথবা বীজবপনের সময়ে হেক্টর প্রতি ২০ কেজি করে কার্বোফুরান (ব্রিফার ৫জি, ফুরাডান ৫জি বা অন্য নামের) কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

৩. ভুট্টা গাছের উপর থেকে হেক্টরপ্রতি ২০ কেজি কার্বোফুরান (ফুরাডান ৫জি, ব্রিফার ৫জি বা অন্য নামের) এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যেন কীটনাশকের দানাগুলো পাতার ভেতরে আটকে যায়।

৪. রিলোড (১৮ এস সি): ৫ মি.লি. নিয়ে ১০ লিটার পানিতে মিশাতে হবে। এই পরিমাণ ৫ শতক জমির জন্য। এই মিশ্রণ স্প্রে করে প্রয়োগ করতে হবে। আর প্রতি একরে মাত্রা ১০০ মিলি।

৫. এসিমিক্স (৫৫ ই সি): ১৫-২০ মি.লি. নিয়ে ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করে প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি একরে মাত্রা ২০০ মিলি। চারা অথবা বাড়ন্ত অবস্থায় জমিতে পোকা দেখা গেলে এটি প্রয়োগ করতে হবে। আর ১০ দিন পরপর ২-৩ বার ফসলে স্প্রে করতে হবে। বিকাল বেলা স্প্রে করার চেষ্টা করুন।

৬. ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি - ভুট্টার মাজরা পোকা দমনে এই কীটনাশক অনেক কার্যকর। এটি প্রতি একর জমিতে ৩০ গ্রাম করে ব্যবহার করতে হবে। ধান গাছের ক্ষেত্রে চারা লাগানোর ১৫ দিন পর ৩০ গ্রাম ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি সামান্য পানিতে গুলিয়ে নিয়ে পরিমাণ মত ইউরিয়া সারের সঙ্গে মিশিয়ে সমস্ত জমিতে সমান ভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে।

ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি কীটনাশক এর কার্যকারীতা ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। তাই শীষ আসার পরে মাজরা পোকা যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্যে চারা লাগানোর ৪০ দিন পর ভিরতাকো একই নিয়মে ২য় বার প্রয়োগ করতে হবে। ভিরতাকো শেষ প্রয়োগ এবং ফসল তোলার মাঝে ২১ দিন ব্যবধান রাখা উচিত। এই কীটনাশক ধান এবং ভুট্টাতে একই ভাবে কাজ করে।

৭. ক্যারাটে ২.৫ ইসি: বহুমুখী গুণসম্পন্ন স্পর্শক, পাকস্থলী ও প্রবহমান ল্যামডা-সাইহ্যালোথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক। পোকার গায়ে লাগার সাথে সাথেই তাৎক্ষণিকভাবে পোকা মারা যায়। ক্যারাটে স্প্রে করার পর বা পোকা এর সংস্পর্শে আসা মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে পোকার শরীরে প্রবেশ করে বিধায় আক্রান্ত পোকা অতি দ্রুত খাদ্য গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পোকা মারা যায়। অনুমোদিত পোকার ডিম, কিড়া ও পূর্ণবয়স্ক পোকা / মথ সফলভাবে দমন করে।

গাছের বয়স ২৫-৩০ দিন হলে ১০ লিটার পানিতে ১০ এমএল ক্যারাটে মিশিয়ে সারির উপর দিয়ে গাছের গোড়া বরাবর ভালভাবে মাটি ভিজিয়ে দিন। স্প্রে শেষে গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিন।

৮. দামার ৬০ ডব্লিউডিজি: দামার ৬০ ডব্লিউডিজি বিভিন্ন ফসলের বিভিন্ন ধরনের মাজরা পোকা দমনে অত্যন্ত কার্যকর। যেমনঃ ধান, গম, আখ ও ভুট্টার মাজরা পোকা।

দামার ৬০ ডব্লিউডিজি স্পর্শক, পাকস্থলী ও গাছের ভেতর দ্রুত প্রবেশ করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রবহমান কীটনাশক। এর প্রবহমান গুণের কারণে গাছের শিকড়, পাতা ও কান্ড দ্বারা শোষিত হয়ে খুব দ্রুত জাইলেমের মাধ্যমে সমস্ত গাছে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে গাছে পোকা আক্রমণ করলে বা খেলে অল্প সময়ের মধ্যে স্নায়ুতন্ত্রের বিষক্রিয়ায় সেগুলো মারা যায়।

দামার ৬০ ডব্লিউডিজি হেক্টরে ২৫০ গ্রাম হারে প্রয়োগ করতে হবে। ধানের চারা লাগানোর ১৫-২০ দিনের মধ্যে সারের সাথে মিশিয়ে অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। আবার চারার বয়স ৪০-৪৫ দিন হলে প্রতি লিটার পানিতে ০-৫ গ্রাম মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভালোভাবে ভিজিঁয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। একই পদ্ধতিতে ভুট্টার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে। দামার ৬০ ডব্লিউডিজি স্প্রে করার ৭-১৪ দিনের মধ্যে গবাদি পশু ও পাখি ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।

৯. ভুট্টা গাছ বড় হলে প্রতিহেক্টরে ২০ কেজি কার্বোফুরান উপর থেকে প্রয়োগ করতে হয়।খেয়াল রাখতে হয় যেন দানাদার কীটনাশকগুলো পাতার ভেতর আটকে থাকে।

১০. মর্টার ৪৮ ইসি (ক্লোরোপাইরিফস): ফসলের ছিদ্রকারী পোকা দমনে কৃষকের পছন্দের শীর্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার এর মর্টার ৪৮ ইসি (ক্লোরোপাইরিফস)। ১ লিটার পানিতে ৭ মি.লি. গুলিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে স্প্রে করতে হবে। প্রতি একরে ১.৪ লিটার।

১১. কাটাপ্পা ৪৭ ডব্লিউ ডি জি: ১ লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করুন।

১২. বিরাট (২৩ ইসি): ১ লিটার পানিতে ২.৬ গ্রাম মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করুন।

১৩. আরও ভালো ফলাফল পেতে সানটাপ প্লাস / ওয়ান স্টপ/এইম গোল যে কোন একটির সাথে ক্লোরোপাইরিফস + সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের (৫৫ ইসি) মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।

১৪. বেল্ট এক্সপার্ট: ১ একরে ১০০ মি.লি. স্প্রে করতে হয়।

১৫. ডেসিস ২.৫ ইসি: প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি করে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা প্রোক্লেম প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম করে ব্যবহার করতে পারেন। এইযে ২টি কীটনাশক সম্পর্কে বললাম এগুলা একসাথে মিশ্রন করে বা ককটেল হিসেবে বানিয়ে আপনি ভুট্টার জমিতে স্প্রে করবেন।

১৬. এসিমিক্স ৫৫ ইসি অথবা রিপকর্ড ১০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি হারে ব্যবহার করবেন ভুট্টার জমিতে। এর সাথে আপনারা প্লাস হিসেবে সিয়েনা ৬ ডব্লিউ জি প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে একসাথে ব্যবহার করলে তাহলে মাজরা পোকা ভুট্টার জমিতে কখনোই থাকবে না।

১৭. মারশাল ২০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি করে ব্যবহার করতে পারেন।

১৮. অত্যধিক মাজরা পোকার আক্রমণে ম্যালাথিয়ন (ফাইফানন ৫৭ ইসি, সাইফানন ৫৭ ইসি, ম্যালাটন ৫৭ ইসি, ম্যালাটাফ ৫৭ ইসি, সুমাডি ৫৭ ইসি বা অন্য নামের) প্রতিলিটার পানিতে ১ মিলি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

১৯. অত্যধিক পরিমাণে ভুট্টার মাজরা পোকা আক্রমণে ডায়াজিনন (সেবিয়ন ৬০ ইসি, হেজিনন ৬০ ইসি, ডায়াজল ৬০ ইসি, ডায়াজন ৬০ ইসি, ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা অন্য নামের) অথবা কার্বোসালফান (মার্শাল ২০ ইসি, সানসালফান ২০ ইসি, জেনারেল ২০ ইসি বা অন্য নামের) প্রতিলিটার পানিতে ২ মিলি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

উপরোক্ত কীটনাশক গুলো ছাড়াও আপনারা এসাটাফ ৭৫ এসপি ব্যবহার করতে পারেন অথবা ট্রেসার ৪৫ এসসি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও ভুট্টার মাজরা পোকা দমনে আরও কিছু কীটনাশক আছে যেমন সিমবুশ ২৫ ইসি, সাপার ৫ ইসি, ডেসিস ২.৫ ইসি, রিজেন্ট ৫০ এসসি, ফাইফানন ৫৭ ইসি ইত্যাদি।

👉সতর্কতা

আসলে কীটনাশক মানে বিষাক্ত জিনিস। এটি যেমন পোকা ধ্বংস করে তেমনি মানুষ ও পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। তাই রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের আগে প্যাকেটের গায়ে লেখা ব্যবহার বিধি পড়তে হবে।

যিনি এই কীটনাশক স্প্রে করবেন তার পরিধানে থাকবে হ্যন্ড গ্লাভস, মুখে মাস্ক, চোখে চশমা, ফুল শার্ট ও প্যান্ট। যেন কোনও ভাবে কীটনাশক শরীরের ভেতরে প্রবেশ না করে।

কীটনাশক স্প্রে করার পর ব্যবহারকারী পরিধেয় পোশাক ছেড়ে হাত, মুখ, পা সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধোবেন। সম্ভব হলে গোসল করে নিবেন। আর কুলি করে খাবার গ্রহণ করবেন। আর কীটনাশক স্প্রে করার সময় যেন পাশে খাবার খাওয়া না হয়। অথবা রান্না করাও না হয়।

👉শেষ কথা: কৃষি বিষয়ক অন্যান্য পরামর্শ নিতে নিকটস্থ কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন।

👉 লেখাটি ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

"সংগৃহীত তথ্য "

Address

Kalapara
Patuakhali
8650

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gazi Agro Bd posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share