Ami Janty Chai

Ami Janty Chai update world & unknown knowledge
(3)

নাচের পাখি চাকদোয়েলনাচে আবার গায়ও, এমন পাখি খুব একটা দেখা যায় না। এ তেমনই এক পাখি। তবে নাচেই বেশি, গায় কম। সারা দিনই সে ...
16/09/2021

নাচের পাখি চাকদোয়েল

নাচে আবার গায়ও, এমন পাখি খুব একটা দেখা যায় না। এ তেমনই এক পাখি। তবে নাচেই বেশি, গায় কম। সারা দিনই সে নাচে। নাচছে না এমন কখনও দেখিনি তাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনবরত নাচে। নাচটাও দেখার মতো। যেন পেখম খুলে নাচে। লেজটাকে পাখার মতো ছড়িয়ে দিয়ে, এই ডাল থেকে ওই ডালে নাচতে নাচতে ঘুরে বেড়ায়। তখন মনে হয় যেন এক রূপকথার পাখি। এই কারণে ওকে অনেকেই বলে নাচুনে পাখি। ভারতে তার নাম শুনেছি শামচিরি। আর বাংলায় বলা হয় চাকদোয়েল।

চাকদোয়েলের ইংরেজি নাম "White Browed Fantail" এবং বৈজ্ঞানিক নাম "Rhipidura aureola"। লম্বায় ১৮ সেন্টিমিটার। স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে একই রকম। কালো রংয়ের এই পাখিটাকে হুট করে দেখলে ধোঁয়াটে মনে হয়। মাথা কালো। মাথার দুপাশে চোখের ঠিক উপরের অংশ থেকে দুটি সাদা সরু দাগ আছে। মাথার কালো রং নিচের দিকে আসতে আসতে ধোঁয়াটে হয়ে আছে। গলা ও ঘাড়ের দুপাশ সাদা। পেট ধূসর। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে তার লেজ। সুন্দর করে সাজিয়ে জাপানি পাখার মতো ছড়িয়ে রাখে। নাচানাচি করার সময় লেজের দু'পাশ থেকে ডালা দুটি ঝুলে থাকে। পা আর ঠোঁট কালো।

চাকদোয়েল মূলত গাছপালায় ঘেরা ছোট ছোট জঙ্গলে বসবাস করে। পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড় আর বৈচিত্র্যময় বাগান পেলে ওরা ছুটে আসবেই। সেই বাগান বা ঝোড়ঝাড় লোকালয়ের আশপাশে হলেও ক্ষতি নেই।

জোড়ায় জোড়ায় একই এলাকায় নিয়মিত ঘোরাফেরা করে। প্রায়ই দেখা যায়, দুটি পাখি মিলে এই গাছ থেকে ওই গাছে, এ পাতার আড়াল থেকে সে পাতার আড়ালে, ডানে বামে ঘুরে ঘুরে নেচে বেড়াচ্ছে। কখনও কখনও বাগানের বেড়ায় কিংবা পাঁচিলে উড়ে আসে, নাচে। আবার মাঝে মধ্যে পাতার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে ডিগবাজি দিয়ে সাবলীল ভঙ্গিতে উড়ন্ত পোকামাকড় ধরে, আবার পাতার আড়ালে চলে যায়। পোকা খাওয়ার সময় একবার ঘাড় ঝাড়া দেয়।


চাকদোয়েলের জীবনযাত্রা যেন সংগীত ও ছন্দের জালে জড়ানো। পোকা ধরার সময় দুই ঠোঁটের ঠোকরের কর্কশ ‘চাক চাক’ শব্দ শোনা যায়। কোনো কারণে বিরক্ত হলে কিংবা ভয় পেলেও এ ধরনের আওয়াজ করে ওরা। পাখিটি ছোট, তবে ভীষণ দুরন্ত আর দুর্দান্ত সাহসী। মানুষের উপস্থিতিতেও সে নির্বিকার। মনে হয় যেন কাউকে গ্রাহ্যই করে না। সে তার মতো করে নাচতে থাকে, গাইতে থাকে। লেজের পাখা ছড়িয়ে দিয়ে কখনও হাঁটে কখনও নাচে; মাতিয়ে রাখে তার নিজের জগৎ। ওরা একটু আড়ালে কিংবা আলো আঁধারিতে থাকতে পছন্দ করে সত্য, কিন্তু মানুষের উপস্থিতিতেও তার বেলে নাচ কিংবা সুরের মূর্ছনা বন্ধ হয় না।

মশা-মাছি আর এ জাতীয় ডানাওয়ালা ছোট ছোট পতঙ্গ এদের মূল খাবার। খাবারের প্রাচুর্য্য থাকলে ওদের গান যেন আর থামতেই চায় না। তাদের গানের চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন প্রয়াত অজয় হোম, “ছোট সাদা কালো পাখিটা উঁচু গাছে ঘন পাতার ডালে বসে মেম সাহেবের হাতপাখার মতো লেজ একবার খুলছিল আর গোটাচ্ছিল। পরিষ্কার শুদ্ধস্বরে ‘সা-নি-ধা’ বলে থেমে গেল। এই শুদ্ধ তিনটি পর্দা এক পাখির মুখে শুনে চমকে উঠলাম। আবার গাছের ডালে বসে পরের স্বর থেকে গাইল ‘মা-পা-গা’। খারাপ লাগছিল। হঠাৎ তিন পর্দাতেই গান থেমে যাওয়াতে। কিন্তু আরম্ভ করল ঠিক যে পর্দায় ছেড়েছিল তার পর থেকে। কখনও বা চারটে পর্দা ‘সা-নি-পা’ বা ‘সা-রে-গা’ এক সঙ্গে।”

চাকদোয়েলের ছোট্ট সুন্দর বাসার গড়ন অনেকটা মদের গ্লাসের মতো। মিহি ঘাস আর তন্তু দিয়ে বানানো বাসটি দেখার মতোও বটে। বাসার চারদিকে মাকড়সার জাল দিয়ে ঢাকা থাকে। ফটিকজল পাখির বাসার সঙ্গে এদের বাসার বেশ মিল আছে। জমি থেকে দশ কিংবা তার চেয়েও বেশি উঁচুতে এরা বাসা বাঁধে। সেই বাসায় গোলাপি আভাযুক্ত হলদে রংয়ের তিনটি ডিম পাড়ে তারা। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ১৬ থেকে ১৮ দিন সময় লাগে।

লেখকঃ রহীম শাহ।

সূর্যসূর্য, সৌরজগতের প্রাণ এবং একমাত্র নক্ষত্র। এর ব্যাসার্ধ প্রায় ১,৩৯২,০০০ কিলোমিটার (৮৬৫,০০০ মাইল) পৃথিবীর চেয়ে প্রায়...
15/09/2021

সূর্য
সূর্য, সৌরজগতের প্রাণ এবং একমাত্র নক্ষত্র। এর ব্যাসার্ধ প্রায় ১,৩৯২,০০০ কিলোমিটার (৮৬৫,০০০ মাইল) পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১০৯ গুন বেশি। এর ভর ২ এরপর ৩০ টি শুণ্য বসালে যত হবে তত কিলোগ্রাম (পৃথিবীর চাইতে ৩৩০,০০০ গুন বেশি)। সৌরজগতের মোট ভরের প্রায় ৯৯.৮% সূর্যের দখলে। সূর্য থেকে পুথিবীর দূরত্ব প্রায় ১৪.৯৬ কোটি কিলোমিটার। এই দুরত্ব অতিক্রম করতে আলোর সময় লাগে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। এর আকার প্রায় পূর্ণ গোলাকার ফুটবলের মত (মেরু অঞ্চলের ব্যাস, নিরক্ষীয় অঞ্চলের ব্যাস চেয়ে মাত্র ১০ কিঃমিঃ বেশি)।

সূর্যের গঠনঃ
কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকের অংশ গুলো হলঃ
০১) কেন্দ্র বা কোর (Core) এখানেই হাইড্রোজেন প্রতিনিয়ত হিলিয়ামে রূপান্তরিত হচ্ছে।
০২) রেডিয়েশন জোন (Radiation Zone)।
০৩) কনভেকশন জোন (Convection Zone)।
০৪) ফটোস্ফিয়ার (Photosphere) মুলতঃ সূর্যের এই অংশই আমরা টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখি।
০৫) ক্রমোস্ফিয়ার (Chromosphere) শুধুমাত্র সূর্যগ্রহনের সময় আমরা দেখতে পাই যখন চাঁদ পুরোপুরিভাবে ফটোস্ফিয়ারকে ঢেকে ফেলে।
০৬) করোনা (Corona) সবচেয়ে বাইরের অংশ যা মিলিয়ন মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত এবং দুরত্বের সাথে তা আস্তে আস্তে ক্ষীণ হয়ে যায়। তাপমাত্রা প্রায় মিলিয়ন ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি।

সূর্যের কেন্দ্র:
সূর্য ৭০ ভাগ হাইড্রোজেন আর ২৮ ভাগ হিলিয়াম এবং বাকি ২ ভাগ বিভিন্ন ধাতুর (কার্বন, নিয়ন, লোহা) সংমিশ্রণে গঠিত। সূর্য একটি গ্যাসীয় গোলক এবং এ কারনে এর বিভিন্ন অঞ্চলের ঘোরার জন্য সময়ও বিভিন্ন। সূর্যের নিরক্ষীয় অঞ্চলের একটি পূর্ণ ঘুর্ণনের জন্য ২৫.৪ দিন লাগে। আবার সূর্যের মেরুতে একটি পূর্ণ ঘুর্ণনের জন্য প্রায় ৩৩.৫ দিন লাগে। কিন্তু সূর্যের কেন্দ্র প্রায় শক্ত গোলকের মতই ঘুরতে থাকে।

সূর্যের "বায়ুমন্ডল"--সূর্য পৃষ্ঠের উপরিভাগ সংলগ্ন অঞ্চলকে এর বায়ুমন্ডল বলা হয় (যদিও কোন বাতাস নাই; পৃথিবীর সাথে তুলনামুলক আলোচনার জন্য একে "বায়ুমন্ডল" বলা হয়)। সূর্যের "বায়ুমন্ডল" সবচেয়ে ভাল দেখা যায় সূর্য গ্রহনের সময়। এসময় গ্রহণ-বলয়ের চারপাশে যে উজ্বল অঞ্চল দেখা যায় সেটাই সূর্যের "বায়ুমন্ডল"।

কিভাবে সূর্য আলো ও তাপ দেয়ঃ
সূর্যের শক্তি অবিশ্বাস্য প্রায় ৩৮৬ বিলিয়ন বিলিয়ন মেগাওয়াট! এই ক্ষমতা তৈরি হয় ফিউশনের কারনে। সূর্যের কেন্দ্রে প্রতি সেকেন্ডে ৭০০,০০০,০০০ টন হাইড্রোজেন ৬৯৫,০০০,০০০ টন হিলিয়ামে রূপান্তরিত হচ্ছে এবং বিপুল শক্তি ও গামা রশ্মি উৎপন্ন হচ্ছে। সূর্যের কেন্দ্রে (কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে ২৫% পর্যন্ত ব্যাসার্ধকে সূর্যের কেন্দ্র বলা হয়) তাপমাত্রা প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং চাপ পৃথিবীর বায়ুচাপের ২৫০ বিলিয়ন গুন বেশি!! ঘনত্ব পানির প্রায় ১৫০ গুন। ৩০% ব্যাসার্ধের পর হাইড্রোজেন-হিলিয়াম ফিউশন হয়না। কেন্দ্রে উৎপন্ন এই শক্তি সূর্যের বিভিন্ন স্তর ভেদ করে বাইরের দিকে আসতে থাকে এবং ফটোস্ফেয়ার ভেদ করে এই শক্তি গুলো তাপ হিসেবে এবং গামা রশ্মি গুলো আলো হিসেবে মহাশুন্যে ছড়িয়ে পড়ে।

সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রঃ
সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড। কিন্তু পৃষ্ঠের ঠিক উপরি ভাগে তাপমাত্রা প্রায় ১,০০০,০০০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন সূর্যের অতিব শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তাপমাত্রার এই তীব্রতার কারন। এ শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র এতই তীব্র যে তা তাপকে আকৃষ্ট করে তাপের বলয় তৈরি করে।

সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্র প্লুটো গ্রহ পর্যন্ত বিস্তৃত এবং অত্যন্ত জটিল।

সূর্যের স্যাটেলাইটঃ
সূর্যের মোট ৮টি স্যাটেলাইট (গ্রহ) এবং ১৮টি উপগ্রহ আছে। তাপ এবং আলো ছাড়াও সূর্য তার চতুর্দিকে কম ঘনত্বের চার্জড পার্টিকেল নিঃসরণ করে (বেশিরভাগই ইলেকট্রন এবং প্রোটন) যাকে সৌর বায়ু বলা হয়। এই সৌর বায়ুর নিঃসরণের গতিবেগ নিরক্ষরেখায় প্রায় ৪৫০কিঃমিঃ/সে কিন্তু মেরুতে দ্বিগুন (৭৫০কিঃমিঃ/সে)।

সূর্যের বয়স ও আয়ুষ্কালঃ
সূর্যের বয়স প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর। এই দীর্ঘ সময়ে সূর্যের কেন্দ্রের অর্ধেক হাইড্রোজেন ফুরিয়ে গেছে। কাজেই আরো প্রায় ৫ বিলিয়ন বছর সূর্য আলো এবং তাপ বিকিরণ করে যাবে। এরপর এর জ্বালানী (হাইড্রোজেন) ফুরিয়ে যাবে। এবং বলার অপেক্ষা রাখে না ধ্বংস হয়ে যাবে আমাদের সুন্দর এ ধরিত্রী।

সূর্য সম্পর্কে মজার তথ্যঃ
১। সূর্য প্রায় ১ মিলিয়ন পৃথিবীকে তার বুকে ধারন করতে পারে।
২। সূর্য তার গ্রহ, উপগ্রহ সাথে নিয়ে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সেন্টারকে কেন্দ্র করে ২৫০ মিলিয়ন বছরে একবার প্রদক্ষিন করছে।
৩। সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিনকালে পৃথিবী প্রতিদিন প্রায় ১৫ লাখ মাইল অতিক্রম করে।
৪। সূর্যের নিজস্ব গতির কারনে কোন সূর্যগ্রহণই ৭ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হতে পারে না।
৫। মাত্র ৫৫% আমেরিকান বিশ্বাস করে যে সূর্য একটি নক্ষত্র (তারা)।

লেখকঃ জর্জিস।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাটির তৈরী মসজিদআফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে "জেনি" (Djenné) শহরে মসজিদটির অবস্থান। নাম "গ্র্যান্ড মস্ক অব ডিজ...
14/09/2021

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাটির তৈরী মসজিদ

আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে "জেনি" (Djenné) শহরে মসজিদটির অবস্থান। নাম "গ্র্যান্ড মস্ক অব ডিজেনি" (Great Mosque of Djenné)। এটি পৃথিবীতে মাটির তৈরী সবচেয়ে বড় মসজিদ।

মসজিদটি প্রথম কবে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ১২০০ শতাব্দী থেকে ১৩০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী মসজিদটি নির্মাণের পক্ষে অধিকাংশ মতের সমর্থন পাওয়া যায়। জানা যায় যে, সুলতান "কুনবুরু" (Kunburu) ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার প্রাসাদটি ভেঙ্গে ফেলে সেখানে এই মসজিদটি তৈরী করেন। মসজিদের পূর্ব দিকে নিজের বসবাসের জন্য অন্য একটি প্রাসাদ তৈরী করেন। তার পরবর্তী উত্তরাধীকারী এই মসজিদের দুটি টাওয়ার নির্মাণ করেন এবং তার উত্তরাধীকারী মসজিদটির চারপাশের দেয়াল নির্মাণ করেন।

১৯১০ সালে মসজিদের আঁকা ছবি
১৮২৮ সালে ফরাসী পর্যটক রেনে কর্তৃক এই এলাকা সফরের আগ পর্যন্ত এই মসজিদটি সম্পর্কে লিখিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। রেনে তার সফর শেষে লিখেন, ডিজেনি শহরে মাটির তৈরী একটি মসজিদ আছে। এর দু'পাশে দুটি দর্শনীয় কম উচ্চতার টাওয়ার আছে। এরপর থেকে মাটির তৈরী এই মসজিদ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়।

বানি নদীর তীরে অবস্থিতইে মসজিদটি ২৪৫*২৪৫ ফুট আয়তনবিশিষ্ট ৩ ফুট উঁচু ফ্ল্যাটফরমের উপর তৈরী। বর্ষাকালে বানি নদীর প্লাবিত পানি থেকে মসজিদটিকে সুরক্ষা করে এই ফ্ল্যাটফরম। মসজিদের দেয়াল গুলো তাল গাছের কাঠ, যা স্থানীয় ভাবে "টরল" নামে পরিচিত, সেগুলো দ্বারা নকশা করা। শুধু নকশা নয়, তাল গাছের কাঠ মসজিদের দেয়ালে এমন ভাবে গেঁথে দেয়া হয়েছে যাতে মাটির দেয়াল সহজে ধ্বসে না যায়।

মধ্যযুগে আফ্রিকার এই অঞ্চলে গুরুত্ব পূর্ণ ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের প্রধান কেন্দ্র ছিল এই মসজিদটি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী তখন কুরআন শিক্ষার জন্য এই মসজিদে আসত।

প্রতি বছর স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার কাজ চলে। ২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারী মসজিদের ছাদের একটি অংশ এবং ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর এর দক্ষিণ দিকের টাওয়ার এর একটি অংশ ধ্বসে পড়লে "দি আগা খান ট্রাষ্ট কালচার" নিজস্ব খরচে এটির সংস্কার করে।

১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো এই মসজিদটি সহ এর চারপাশের ঐতিহাসিক স্থান সমূহকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকা ভূক্ত করে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো গুহাগুহা তো চেনেনই আপনারা। অনেকেই হয়তো দেশের বাইরে ঘুরতে গিয়ে নানা রকম গুহা দেখে এসেছেন। শুধু দেশের ব...
13/09/2021

পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো গুহা
গুহা তো চেনেনই আপনারা। অনেকেই হয়তো দেশের বাইরে ঘুরতে গিয়ে নানা রকম গুহা দেখে এসেছেন। শুধু দেশের বাইরে কেন, আমাদের দেশেও তো বেশ কয়েকটি গুহা আছে।

সেখানেও প্রতিবছর দলবেঁধে বেড়াতে যায় অনেকেই। এই গুহা গুলো প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়। কোনোটি হয় এতোই ছোট যে একজন মানুষ হয়তো কোনোভাবে আশ্রয় নিতে পারে সেখানে। আবার, কোনোটি হয় এতোই বড়ো যে, একটা ছোটখাটো শহর ওর ভিতরে সেঁধিয়ে যাবে

কী, বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আজকে আপনাদের এমনই একটি গুহার কথা জানাবো, যেটি কিনা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গুহা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। এতোই বড় যে, একটা ৪০ তলা বিল্ডিং খুব সহজেই সোজা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে এর মধ্যে। গুহার মধ্যে যে নদীটা আছে, সেখানে ভেসে থাকতে পারবে একটা আস্ত জাহাজ। আর গুহার শেষ মাথা? চোখেই দেখা যাবে না! এত্তো বড়ো গুহাটি কোথায় জানতে ইচ্ছা করছে তো? ভিয়েতনামের এই "সান ডং" গুহাটির গল্প শোনাবার জন্যই আজ বসেছি আপনাদের সামনে।

ভিয়েতনামের এক প্রত্যন্ত এলাকায়, একদম শেষ সীমানায়; লাওস সীমান্তের কাছে এই সান ডং গুহাটি। শুধু ভিয়েতনাম কেভ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। ইংল্যান্ড আর ভিয়েতনামের এক যৌথ প্রত্নতত্ত্ব দল এই গুহাটি সবার সামনে নিয়ে আসে। সহজে কারো নজরে পড়েনি কেন এই গুহাটি এত দিন জানেন? কারণ, গুহামুখটি ছিল জঙ্গলে ঢাকা। বছর কয়েক আগে ঐ এলাকার এক কৃষক অনেকটা ভাগ্যক্রমেই এই গুহা মুখের সন্ধান পান। তিনিই পরবর্তীতে অভিযাত্রী দলটিকে পথ দেখান। অনেক দুর্গম পথ পেরিয়ে অভিযাত্রী দলটি সান ডং গুহায় পৌঁছানোর পর বিষ্ময়ে একদম থ মেরে যায়। ওরা দেখে, একটা বিশাল বড়ো নদী ঐ গুহার মধ্যে দিয়ে ছুটে চলেছে। আর কী বিশাল বিশাল একেকটা থাম সোজা দাঁড়ানো মাটি থেকে প্রায় ছাদ পর্যন্ত! একেকটা থাম ৭০ মিটারেরও বেশি লম্বা। মানে কিনা ২০ তালারও বেশি লম্বা! ভাবা যায়!!

অভিযাত্রী দলটি সাড়ে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত হেটে হেটে যেতে পেরেছিল। বন্যার পানি থাকায় আর তারা এগুতে পারেনি। তার মানে কী দাঁড়ালো, বুঝতে পারছেন তো? মানে হচ্ছে, এই গুহা, আসলে আরো অনেকটা লম্বা! গুহাটির বেশিরভাগ অংশই ২৬২ ফুট বাই ২৬২ ফুট (৮০ বাই ৮০ মিটার) মাপের। এদিক থেকে এর আগে খুঁজে পাওয়া মালয়েশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের ডিয়ার কেভ বা "হরিণ গুহা" অনেকটাই বড়ো। ওটার মাপ হচ্ছে ৩০০ বাই ৩০০ ফুট (৯১ বাই ৯১ মিটার)। তবে কিনা, হরিণ গুহাটি মাত্র ১.৬ কিলোমিটার লম্বা। কাজেই সর্বমোট জায়গার হিসেবে সান ডং গুহাটিই হয়ে যাচ্ছে সবচেয়ে বড়ো। ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা জানিয়ে রাখি এখানে, "সান ডং" এর মোটামটি মাইল খানেক জায়গা ৪৬০ বাই ৪৬০ ফুট (৯১ বাই ৯১ মিটার) আয়তনের। তাহলে কী দাঁড়ালো, এটাই তো সবচেয়ে বড়ো গুহা হওয়ার দাবী রাখলো, তাই না?

দৈত্য আকৃতির কাঁকড়াGodzilla এর সাথে মিল রেখে এই কাঁকড়ার নাম রাখা হয়েছে "Crabzilla"। Crabzilla নামের এই কাঁকড়াটি হচ্ছে পৃ...
12/09/2021

দৈত্য আকৃতির কাঁকড়া

Godzilla এর সাথে মিল রেখে এই কাঁকড়ার নাম রাখা হয়েছে "Crabzilla"। Crabzilla নামের এই কাঁকড়াটি হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে বড় প্রজাতীর কাঁকড়া। জাপানের সমুদ্র অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া মাকড়সা প্রকৃতির কাঁকড়ার অন্তর্গত এই Crabzilla প্রজাতীর কাঁকড়াটি হচ্ছে প্রানী জগতের "arthropod" প্রজাতির অন্তর্গত সব থেকে বড় প্রানী।

ধারনা করা হয় Crabzilla প্রজাতির কাঁকড়ার পা ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পূর্ন বয়স্ক Crabzilla কাঁকড়া ধরা সম্ভব হয়নি কেননা এরা সমুদ্রের অনেক গভীরে বসবাস করে, তা প্রায় ১,০০০ ফুট গভীরে। আর উপরে যে কাঁকড়াটির ছবি দেখছেন সেটি কিন্তু বাচ্চা Crabzilla কাঁকড়া মাত্র। আর এই বাচ্চা Crabzilla কাঁকড়া লম্বায় ৫ ফুটের বেশি। মানে, পূর্ন বয়স্ক Crabzilla কাঁকড়ার পায়ের অর্ধের থেকেও ২ ফুট ছোট।

সূর্যের পিরামিডমিশরের পিরামিড সম্পর্কে তো অনেকে অনেক কিছু জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন পিরামিড শুধু মাত্র মিশরে না, মিশর ...
11/09/2021

সূর্যের পিরামিড

মিশরের পিরামিড সম্পর্কে তো অনেকে অনেক কিছু জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন পিরামিড শুধু মাত্র মিশরে না, মিশর সহ আরো অনেক শহরে আছে। যা হোক আজ আপনাদের অন্যান্য সব পিরামিড না, আজ আপনাদের জানাব ম্যাক্সিকোর পিরামিডের গল্প।

যা হোক চলুন তাহলে এবার মূল লেখায় যাওয়া যাক। আজ আপনাদের জানাবো ম্যাক্সিকোর "সূর্যের পিরামিড" (Pyramid Of The Sun) এর কথা। পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধে গড়ে ওঠা সর্ব প্রথম এবং সব থেকে বড় শহর ছিল এটি। যদিও এই শহর অনেক বড় ছিল কিন্তু এই শহর কবে এবং কে স্থাপন করেছিল তা এখন পর্যন্ত অজানা। তবে ধারনা করা হয় এই শহর গড়ে ওঠে "এজটেক" জাতীগোষ্টি আসারো হাজার বছর পূর্বে। এই এজটেক জাতীগোষ্টির ভাষার নাম ছিল "নাহহুয়াতল"। এই এজটেক জাতীগোষ্টী নির্দিষ্ট ভবে কবে এসেছিল এই অঞ্চলে তার নির্দিষ্ট প্রমান না পাওয়া গেলেও ধারনা করা হয় "টিয়েডিওয়াকেন" জাতীর পরে এই এজটেক জাতী গোষ্টির উদয় ঘটে। মানে বুঝতেই পারছেন বেশ কুয়াশাচ্ছন্ন এই অঞ্চলের ইতিহাস। আর টিয়ডয়াকেন জাতীগোষ্টি সম্ভাবত ১০০ বি.সি বিলুপ্ত হয়। যা হোক এই এজটেক জাতী গোষ্টি যে শহর গড়ে তোলে তা মেক্সিকো শহর থেকে ৫০ কিমি দূরে ৮ স্কয়ার মাইল জুড়ে অবস্থিত। আর এই শহতের জনসংখ্যা লক্ষের উপরে ছিল। এই তথ্য গুলি প্রথম তুলে ধরে Arizona State University and a National Geographic Society এর প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।

কে বানিয়েছি?
এই পিরামিডের মোটামটি বাইরের সম্পূর্ন ম্যাপ বর্তমান সময়ে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ভিতর দিকের মাত্র ৫% এখন পর্যন্ত আবিস্কার করা হয়েছে। আর বাদবাকি এখন পর্যন্ত সকলের আড়ালে রয়ে গেছে। অনেক বিজ্ঞদের মতে এই পিরামিড তৈরি করেছিল "টোলটেক" জাতী গোষ্টি। কিন্তু আবার অনেক বিজ্ঞদের মতে এই টোলটেক জাতী গোষ্টি আবার টিয়েডিওয়াকেন জাতী গোষ্টির অনেক পরে এসেছে তাই তাদের পক্ষে এটি আবিস্কার করা সম্ভব না। মানে বুঝতেই পারছেন কেনম রহস্যে ঘেরা এই পিরামিড। এখন পর্যন্ত কেউ সঠিক ভাবে বলতেই পারে নাই কে তৈরি করেছিল এই বিশাল পিরামিড।

বর্তমান সময়ে পৃথিবীর বুকে এমন একটি রহস্যে ঘেরা যায়গা থাকবে আর মানুষ সেটা জানার চেষ্টা করবে না এমন কি হতে পারে? না মোটেও না। এই কারনে "প্রফেসর সাবুরো সুজিয়ামা" যিনি জাপান ইউনিভার্সিটি থেকে এসেছেন আর "রুবেন কাবরেরা" যিনি ম্যাক্সিকান প্রত্নতত্ত্ববিদ এই দুজনে মিলে এই পিরেমিডে সর্বশেষ খোঁজাখুজি করেন আর আবিস্কার করেন অনেক নতুন নতুন তথ্য।

এই পিরামিডের ১ম তলার নিচে কাঁদা মাটি আর পাথরের স্তরের নিচে কিছু রুম পাওয়া যাওয়া যায়। আর এই রুম গুলির দেওয়াল লিখন আর ডিজাইন দেখে মনে হয় যেন তা টিয়েডিওয়াকেন জাতী গোষ্টির বানানো। কেননা এখানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে পশু ও নর বলি দেবার জায়গা রয়েছে। যা টিয়েডিওয়াকেন জাতীদের একটি ধর্মীয় দিক। মানে এক কথায় বললে বলতে হয় এখানে টিয়েডিওয়াকেনদের একটা মন্দির পাওয়া গেছে। আর এই মন্দিরে আরেকটু খোজাখুজি করার পর কি পাওয়া গেছে জানেন? স্তুপ করে রাখা মানুষের মাথার খুলি। এই সব মানুষকে বলি দেওয়া হয়েছিল দেবতাদের উদ্দেশ্যে।

কি মনে হচ্ছে টিয়েডিওয়াকেন জাতী গোষ্টি বানিয়েছিল এই পিরামিড। না এখনো তা নিঃসন্দেহে বলা সম্ভব না কেননা ঐ যে বললাম মাত্র ৫% আবিস্কার হয়েছে।

কে বানিয়েছিল আর কেন বানিয়েছিল তা অনিশ্চিত থাকলেও এটি যা মানুষের তৈরি এক অসম্ভব সুন্দর স্থাপনা তা বলার নিষচই অপেক্ষা রাখে না। যা হোক অনেক কঠিন কঠিন জাতী গোষ্টির নাম দিয়ে এই পিরামিডের কিছু তথ্য জানাতো হয়ে গেল তাহলে আসুন এবার তাহলে দেখে নেওয়া যাক এই পিরামিডের সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি।

কাঠখেকো ক্যাটফিশ ।। Wood Eating Catfishবলেন তো মাছ কি খায়?! সে তো অনেক কিছুই খেতে পারে, তাই না! পোকমাকড় থেকে শুরু করে, ঘ...
10/09/2021

কাঠখেকো ক্যাটফিশ ।। Wood Eating Catfish
বলেন তো মাছ কি খায়?! সে তো অনেক কিছুই খেতে পারে, তাই না! পোকমাকড় থেকে শুরু করে, ঘাস লতা পাতা, কী খায় না? তাই বলে মাছ যদি কাঠ খায়? বিশ্বাস হচ্ছে না? মাছ কিন্তু কাঠও খায়। অন্তত বিজ্ঞানীরা সেরকমই জানিয়েছেন। ব্যাপারটা একটু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি সত্যি আমাজন রেইন ফরেস্টে এক ধরনের ক্যাটফিশ পাওয়া গেছে যেগুলো শুধু কাঠই খায়। এদের আবার ধারালো দাঁত আছে। এই দাঁত দিয়েই তারা নাকি বড় বড় গাছ রীতিমত সাবাড় করে দেয়। চলেন তবে শুনি কাঠখেকো সেই মাছের কথা।

কাঠ পেলেই এই মাছেরা ছেড়ে কথা বলে না। দল নিয়ে হামলে পড়ে কাঠের উপরে। তারপর চলতে থাকে কাঠ দিয়ে ভুড়িভোজ। তবে সত্যিটা হলো এসব ক্যাটফিশ কেবল শখ করেই কাঠ খায়। কিন্তু তা হজম করার সামর্থ্যটুকু তাদের নেই। তবে তারা বাঁচে কিভাবে? এই মাছেরা যে কাঠ খায় তার গায়ে লেগে থাকা বিভিন্ন খাদ্যকণাই কেবল তাদের পেটে থাকে। আর পেটে যাওয়া কাঠগুলো শেষ পর্যন্ত বর্জ্য আকারে বের হয়ে আসে। এ রকম কাঠখেকো ক্যাটফিশগুলোর কোনো নাম কিন্তু এখনও বিজ্ঞানীরা জানাতে পারেননি।

প্রজাতি এক হলেও এই ক্যাটফিশগুলো আমাদের দেশের ক্যাটফিশগুলোর চেয়ে কিন্তু বেশ আলাদা। তবে পেরুর লোকজন এই মাছটাকে বেশ পছন্দই করে। তারা এই মাছের স্যুপ ও বিভিন্ন খাবার বানিয়ে খায়। এদের শরীরে শক্ত একটা খোলস থাকে। এই খোলস সরিয়ে ফেললেই মাছগুলো হয়ে যায় খাবার উপযোগী। আর তখন এদের দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন উপাদেয় খাদ্য। লম্বায় এই ক্যাটফিশগুলো নাকি আড়াই ফুট পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন এই মাছের রয়েছে চামচের মতো শক্ত ও ধারালো দাঁত। এই দাঁতের কারণেই কাঠ খেতে তাদের কোনো সমস্যা হয় না। সেই সঙ্গে আবার রয়েছে বেশ শক্ত ঠোঁট। কাজেই কাঠ খাবার বেশ ভালো রকম বন্দোবস্ত তাদের রয়েছে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো। আর কাঠ খাবার ব্যাপারে এরা বেশ পেটুকই। দলের সবাই মিলে কাঠ খেতে শুরু করলেও তাদের মধ্যে চলে পাল্লা। কে কতো বেশি খেতে পারে! ভাবেন তো একবার কাঠের মতো একটা জিনিস এভাবে পাল্লা দিয়ে খাওয়া দেখতে কেমন লাগবে?

যদি জিজ্ঞেস করেন এই মাছগুলো থাকে কোথায়! তবে শোনেন, কাঠখেকো ক্যাটফিশগুলো থাকে আমাজনের বিভিন্ন নদীর তলায়, শক্ত পাথরের নীচে। তবে যদি কাঠের দেখা মেলে তবে আর তাদের পায় কে! কাঠ আছে এমন জায়গায় তারা পাথরের নীচেই থাকে তবে এবারে তারা নরম কাদার সঙ্গে বেশ ভালো মতো কাঠের গুড়ো মিশিয়ে নিয়ে আনন্দেই থাকে।

এই ক্যাটফিশগুলোর মাথার দিকে ব্রাশের মতো পাখনা ছাড়াও একাধিক পাখনা আছে। বিপদে পড়লে এসব পাখনা ছড়িয়ে এবং দাঁত বের করে ভয় দেখাতেও ছাড়ে না এরা।

শুনলেন তো কাঠখেকো মাছেদের কথা। তবে আপনি যেনো ভুল করে কাঠ খেতে চেষ্টা করবেন না। পরে আবার দাঁত ভেঙে বিচ্ছিরি কাণ্ড ঘটে যাবে।

লেখকঃ মিন্টু।

পুরাতন আকাশচুম্বী শহর ।। The Oldest Skyscraper Cityবর্তমান সময়ে অনেকেই মনে করেন যে সুউচ্চ অট্টালিকা সমৃদ্ধ শহর বহন করে আ...
09/09/2021

পুরাতন আকাশচুম্বী শহর ।। The Oldest Skyscraper City

বর্তমান সময়ে অনেকেই মনে করেন যে সুউচ্চ অট্টালিকা সমৃদ্ধ শহর বহন করে আধুনিকতার প্রতীক। অনেক ক্ষেত্রেই এই ধারনা কিন্তু বাস্তব। কিন্তু এই সুউচ্চ অট্টালিকা বানাবার প্রথা কি চালু হয়েছে আমাদের এই আধুনিক যুগেই? যদি ভাবেন হ্যাঁ; তাহলে বলব না, আপনার ধারনা একদম ভুল। কেননা সুউচ্চ অট্টালিকা বানানো কিন্তু মোটেও আধুনিক যুগেই শুর হয়নি। আজ আপনাদের মরুভুমির এমন এক শহরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যে শহরকে বলা হয় "Manhattan Of The Desert", আপনারাতো জানেনই যে বিশ্বের সব থেকে বেশি সংখ্যক উচু বিল্ডিং আছে আমেরিকার ম্যানহাটান শহরে। চলুন তাহলে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই পৃথিবীর সব থেকে পুরাতন আকাশচুম্বী শহরের সাথে।

সারা বিশ্বের কাছে "Manhattan Of The Desert" নামে খ্যাত "ওয়াদি হ্যাড্রামউত" (Wadi Hadramout) নামে মাটির দেওয়াল দিয়ে ঘেরা এই এলাকাটি "ইয়েমেন" (Yemen) দেশটির "সিবাম" (Shibam) শহরে অবস্থিত। শহরটির সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল এই শহরটি পুরাটাই মাটির দেওয়াল দিয়ে গড়া। যেমন শহরকে ঘিরে রয়েছে মাটির দেওয়াল তেমনি এর ভিতরে গড়ে ওঠা সম্পূর্ন শহরটাই মাটির বাড়ি দিয়ে তৈরি করা। ১৯৮২ সালে, এই শহরকে "World Heritage" হিসেবে চিহ্নিত করে UNESCO। এই শহরটি গড়ে ওঠে ১৬শ শতকের দিকে, যা কিনা বিশ্বের সব থেকে পুরাতন শহর যাখানে রয়েছে মাটি দিয়ে তৈরি উচু টাওয়ারের মত বিল্ডিং। প্রায় ৪০০ বছর আগে এই শহর ছিল ব্যাবসা বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।

এই শহরটি মূলত সকলের দৃষ্টিকারে এর বাড়ি গুলির জন্য। এই শহরে মোট বাড়ির সংখ্যা ৫০০টি, আর বাড়ি গুলি ৫ থেকে ১১ তলা পর্যন্ত। প্রতিটি তলা একটি পরিবারের জন্য বানানো। বর্তমান যুগের অনেকটাই ফ্লাটের পূর্বরূপ এই বাড়ি গুলি। শহরটিকে মাটির দেওয়াল দিয়ে ঘিরে দেবার মূল কারন ছিল তৎকালীন সময়ে বেদুইন দস্যুদের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করা। আগেই বলেছি ৪০০ বছর আগে এটি ছিল ব্যাবসা বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। আর সে কারনেই এখানে যে দস্যুদের প্রাদুর্ভাব বেশি ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই শহরটি মূলত স্থাপিত হওয়া শুরু হয় প্রায় ২৫০০ বছর আগে তারপরেও পরবর্তিতে শতাব্দি গুলিতে এর বাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এ পর্যন্ত মাটির তৈরি শহর গুলির মধ্যে এই "ওয়াদি হ্যাড্রামউত" (Wadi Hadramout) শহরটির বাড়ি গুলিই সব থেকে উঁচু। বাড়ি গুলির বেশির ভাগ ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু।

এই শহরটিতে বর্তমানে প্রায় ৭,০০০ এর মত লোক বসবাস করে। আর তারা সকলেই এই বাড়িগুলির প্রতিটি তলা পেয়েছেন পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে। প্রতিটি বাড়ি মূলত তৈরি করা হয়েছিল ১০০ জন লোকের ধারন ক্ষমতা হিসাব করে। বাড়ি গুলির প্রতিটি তলা আবার তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন কাজে। নিচ তলা তৈরি করা হয় মূলত পোষা গৃহপালিত প্রানি রাখার জন্য, ২য় তলা বানানো হয়েছে ব্যাবসা বানিজ্যের দোকান বা লেনদেন করার অফিসের জন্য আর তৃতীয় তলা থেকে শুরু হয় মানুষের বসবাসের জন্য। ৩য় তলা থেকে আবার শুরু হত ভিন্ন নিয়ম। ৩য় তলা তৈরি হত অতিথিদের বসবাসের ব্যাবস্থার অনুসারে, ৪র্থ এবং ৫ম তলা তৈরি করা হত স্ত্রী এবং বাচ্চাদের থাকার ব্যাবস্থা অনুসারে আর ৬ষ্ঠ তলা তৈরি হত সাধারন রুম হিসেবে। ১ম এবং ২য় তলায় সাধারনত কোন জানালা রাখা হত না। এখানে বলে রাখি সেই সময়ে বাড়ি বানাবার এই নিয়ম মূলত ব্যাবহৃত হত একক মালিকাধীন বাড়ির ক্ষেত্রে। বর্তমানে এই ব্যাবস্থা আর নেই কেননা বংশ অনুসারে ভবিষ্যত বংশধররা প্রতিটি তলা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে। আর বর্তমানে ব্যাবসা বানিজ্য তেমন না থাকায় এই শহরকে আর বাণিজ্যিক কেন্দ্রও বলা যায় না।

এই বাড়ির গুলির নকশা কিন্তু খুব আধুনিক ছিল, মানে বর্তমান যুগের বাড়ি গুলির নকশা গুলির সাথে অনেকটাই মিলে যায়। এই বাড়ি গুলির মধ্যে সব বাড়ি কিন্তু বসবাসের জন্য ব্যাবহৃত হত না। এর মধ্যে ছিল কিছু বাড়ি যেগুলি ব্যাবহৃত হত মসজিদ হিসেবে, এমনকি কিছু কিছু বাড়ি ব্যাবহৃত হত শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে।

প্রতিটি বাড়ি তৈরি হয়েছে মাটির ইট দিয়ে। তবে এই ইট গুলি কিন্তু বর্তমান সময়ের ইটের মত আগুনে পোড়ানো হত না। এই মাটির তৈরি ইট তৈরি করার পূর্বে এর মাটির সাথে খড়কুটা এবং পানির সংমিশ্রন করা হত, এরপরে এই ইট গুলিকে নির্দিষ্ট আকৃতি দিয়ে রোদে শুকানো হত প্রায় তিন দিন। আর মরুভুমির রোদ কেমন উত্তপ্ত তা আশা করি আর বলে বুঝাতে হবে না। ব্যাস তিনদিন পরেই এই ইট গুলি তৈরি হয়ে যেত বাড়ি তৈরির জন্য।

প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির হাত থেকে বাড়ি গুলিকে বাঁচাতে এই বাড়ি গুলির বাইরের দেওয়ালে শুধু মাত্র চুনকাম করে দেওয়া হয়। ব্যাস এতটুকুই যথেষ্ট বৃষ্টির পানি থেকে বাড়ি গুলিকে বাঁচাতে। তা না হলে শত বছরের বেশি সময় ধরেও এই বাড়ি গুলি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হত না।

সিবাম (Shibam) শহরটি ১৬০ কিঃমিঃ লম্বা এবং ২ কিঃমিঃ চওড়া। শহরটি যেহেতু মরুভুমির মধ্যে অবস্থিত তাই এখানে বৃষ্টি হলেও তা খুব কম হয় আর বন্যা হওয়াটা অনেকটাই অসম্ভব। তারপরেও ১২৯৮ সালে এবং ১৫৩২ সালে এই সিবাম শহরে ভয়াবহ বন্যা হয়। যার ফলে এই শহর পুরাটাই প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। মূলত বর্তমানে যে বাড়ি গুলি রয়েছে সে বাড়ি গুলি তৈরি করা হয়েছে ৪০০ বছর আগে।

লাভা হ্রদ ।। Lava Lakeআমরা যে হ্রদটিকে দেখবো সেটি কোনো সাধারণ হ্রদ নয়। হ্রদ শুনলেই আমাদের মানস চোখে যে ছবি ফুটে উঠে লাভা...
08/09/2021

লাভা হ্রদ ।। Lava Lake
আমরা যে হ্রদটিকে দেখবো সেটি কোনো সাধারণ হ্রদ নয়। হ্রদ শুনলেই আমাদের মানস চোখে যে ছবি ফুটে উঠে লাভা হ্রদ তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। আজ আমরা দেখবো একটি লাভা হ্রদ। আফ্রিকার পাহাড়ি অঞ্চলের ঠিক কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে একটি খাদ, যার নাম Nyiragongo হ্রদ। Nyiragongo বিশেষ একটি যায়গা, কারণ এটি একটি ফুটন্ত লাভার হ্রদ। শুধু তাই নয়, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম লাভা হ্রদ। ২০১০ সালের জুনে বিজ্ঞানীদের একটি দল এই হ্রদটিতে গিয়েছিলো কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণার উদ্দেশ্যে। সেই সময়ে বিজ্ঞানীদের তোলা কিছু ছবি এখানে দেখুন।

অজানা আমাজন অরন্যছোটবেলায় তিন গোয়েন্দার "ভীষণ অরণ্য" বই পড়তে গিয়ে রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। আমাজনের জঙ্গল নিয়ে লেখা বইটি খুব চ...
07/09/2021

অজানা আমাজন অরন্য

ছোটবেলায় তিন গোয়েন্দার "ভীষণ অরণ্য" বই পড়তে গিয়ে রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। আমাজনের জঙ্গল নিয়ে লেখা বইটি খুব চমৎকার লেগেছিল। তখন থেকেই আগ্রহ ছিল আমাজনের ব্যাপারে। তাই সুযোগ পেয়ে একটা পোষ্ট দিয়ে ফেললাম আমাজনকে নিয়ে।

আমাজন বা আমাজন রেইনফরেস্ট (The Amazon rainforest) এর কথা বলতে গেলেই একটি কথা কয়েকবার বলতে হবে; তা হল "পৃথিবীর সবচে বড় ________"। যেমনঃ পৃথিবীর সবচে বড় বন এটি, পৃথিবীর সবচে বড় রিভার বেসিন (নদীর অববাহিকা) এই আমাজনে, পৃথিবীর সবচে বড় আয়তনের নদী এই অঞ্চলে ইত্যাদি।

আমাজন বন হল আমাজন বেসিনে (আমাজন নদীর অববাহিকায়) অবস্থিত পৃথিবীর সবচে বড় নিরক্ষীয় বন (আয়তন সাড়ে ৫ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার বা ৩.৪ মিলিয়ন বর্গ মাইল), যা দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তরভাগে অবস্থিত ৯টি দেশের অন্তর্ভুক্ত। দেশ গুলো হলঃ ব্রাজিল (আমাজনের মোট আয়তনের ৬০% ব্রাজিলে), পেরু (১৩%), বলিভিয়া, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, ফ্রেঞ্চ গায়ানা এবং গায়ানা। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের মোট আয়তনের ৪০% এই বনের দখলে। আমাজন বন অত্যন্ত দুর্গম। তবে দ্ক্ষ গাইড সহ নদী পথে ভ্রমন এই নিরক্ষীয় বনের প্রাকৃতিক বিস্ময় দেখার সবচে ভাল উপায়।

"ইতিহাস" যেটুকু না জানলেই নয়ঃ
প্রাচিনকাল থেকেই অভিযাত্রীরা আমাজনে যাত্রা করে মূলত স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ধন-রত্নের খোঁজে। পর্তুগীজ অভিযাত্রীরা বিশ্বাস করত, বিশাল এ বনের মধ্যেই কোথাও লুকিয়ে আছে "এলডোরাডো (Eldorado) নামক এক গুপ্ত শহর যা পুরোপুরি সোনার তৈরি। এই ভ্রান্ত ধারণাটি এসেছে গ্রীক পৌরাণিক গল্প থেকে যেখানে বলা হয়েছে যে "এলডোরাডো" নামক সোনায় মোড়ানো শহরটি পাহারা দেয় এক শ্রেণীর বিশেষ নারী যোদ্ধারা; যাদেরকে গল্পে "আমাজন" নামে অভিহিত করা হয়েছে। পর্তুগীজ, স্প্যানিশ এবং ফ্রেঞ্চ অভিযাত্রীরা প্রতিযোগীতায় নামে এই "এলডোরাডো" শহর আবিষ্কারের জন্য। কিন্তু কেউ এই কাল্পনিক শহরের সন্ধান পায়নি। শহরের সন্ধান না পেলেও স্থায়ী হয়ে যায় সেই গ্রীক নারী যোদ্ধাদের নাম। তাদের নামানুসারেই এই জঙ্গলের নাম হয় "আমাজন" জঙ্গল।

বনের আবহাওয়া, প্রাণিকুল, বৈচিত্রঃ
আমাজনকে রেইনফরেস্ট (The Amazon Rainforest) বলা হলেও এর অর্থ কিন্তু এই না যে এখানে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয়। বরং রেইনফরেস্ট বলা হয় এখানকার অত্যধিক আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত (বর্ষা মৌসুমে) এবং গরম আবহাওয়ার কারনে। প্রচন্ড গরমের কারনে এখানে বাষ্পীভবনের হার অনেক বেশি যা আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার অন্যতম কারন।

এই গরম আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতার কারনে এ বনে উদ্ভিদ ও প্রানিকুলের বৈচিত্রময় সমাহার দেখা যায়। এখানে আছে ১২০ ফুট উঁচু গাছ, ৪০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ২.৫ মিলিয়ন প্রজাতির কীট-পতঙ্গ, ১,২৯৪ প্রজাতির পাখি, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২৮ প্রজাতির উভচর এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রানিসহ হাজারো প্রজাতির অজানা জীব-অনুজীব। এখানকার প্রানিবৈচিত্র অতুলনীয়। মজার বিষয় হল হাজারো রকমের প্রানির সমাহার থাকলেও এখানকার ইকোসিস্টেম অত্যন্ত শক্তিশালী যা মিলিয়ন বছর ধরে টিকে আছে।

স্তন্যপায়ীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাগুয়ার, গোলাপি ডলফিন (একমাত্র প্রজাতির ডলফিন যা স্বাদু পানিতে বাস করে), তামানডুয়া (Tamandua), তাপির (Tapir), মানাতি (Manatee), ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, বাদুড় ইত্যাদি।

জাগুয়ার

গোলাপি ডলপিন

তামানডুয়া (Tamandua)

মানাতি (Manatee)
পাখিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঈগল (harpy eagle), টুকান (Toucan), হোয়াটজিন (Hoatzin), দ্রুতগামী হামিং বার্ড (Humming Bird) এবং আরো রঙ-বেরঙের অনেক পাখি।

টুকান (Toucan)

হোয়াটজিন (Hoatzin)

হামিং বার্ড
সরীসৃপের মধ্যে আছে বিখ্যাত সাপ বোয়া যা তার শিকারকে পেঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। তাছাড়া রয়েছে কুমির, অ্যালিগেটর, কচ্ছপ প্রভৃতি।

আয়ানাকোন্ডা

অ্যালিগেটর
উভচর প্রানির মধ্যে লাল চোখ বিশিষ্ট গেছো ব্যাঙের নাম না বললেই নয়।

লাল চোক্ষু বিশিষ্ট গেছ ব্যাঙ
মাছের মধ্যে আছে মাংসাশী লাল পিরানহা, বিপদজনক বৈদ্যুতিক মাছ (Electric Eel) এবং স্বাদু পানির অন্যতম বড় মাছ, পিরারুকু (Pirarucu); যার ওজন ১৫০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

লাল পিরানহা

পিরারুকু (Pirarucu)
এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়া, হাতের তালুর সমান বড় তেলাপোকা, রঙ-বেরঙের প্রজাপতি, শুঁয়োপোকা আর জানা অজানা হরেক রকমের পোকা-মাকড়ের বসতি এই আমাজনে।

নীল প্রজাপতি
তবে এ বন শুধু জীবজন্তু আর উদ্ভিদের জন্যই স্বর্গরাজ্য নয় বরং এখানে অনেক মনুষ্য বসতিও আছে। হাজার বছর ধরে এখানে আদি ইনডিয়ানরা বসবাস করে আসছে। বর্তমানে এখানে বসবাসরত ইনডিয়ানের সংখ্য প্রায় ২ লাখ।

বিভিন্ন জীবের পাশাপশি কিছু ক্ষতিকর প্রানিও আছে আমাজনে। তাদের মধ্যে পিরানহা, রক্তচোষা বাদুর, বিষাক্ত ব্যাঙ, বৈদ্যুতিক মাছ, রেবিস, ম্যালেরিয়া, ইয়েলো ফিভার, ডেঙ্গু ফিভারের জীবানু উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া জাগুয়ার এবং অ্যানাকোন্ডা-ও অনেক সময় বিপদের কারন হতে পারে।

আমাজন বনের কিছু বিস্ময়কর তথ্যঃ
১) বিশ্বের নিরক্ষীয় বনের অর্ধেকের বেশি অঞ্চল এই আমাজনে।
২) প্রানিকুলের সনাক্তকৃত এক দশমাংশ প্রাণী এই অঞ্চলে বাস করে।
৩) পৃথিবীর সকল পাখির এক পঞ্চমাংশ পাখি এই বনের অধিবাসী।
৪) গড়ে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৭৫,০০০ ধরনের বৃক্ষ পাওয়া যায়।
৫) বিশ্বের মোট ঔষধের ২৫% কাঁচামাল আসে এ বনের মাত্র ৪০০ প্রজাতির গাছ থেকে।
৬) পেরুর একটি মাত্র গাছে ৪৩ প্রজাতির পিঁপড়ার সন্ধান পাওয়া গেছে যা সমগ্র গ্রেট ব্রিটেনের চেয়ে বেশি।

আমাজন নদ
আমাজন বেসিনে অবস্থিত এ নদী হল আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচে বড় নদী এবং নীল নদের পরে দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এর প্রায় ১,১০০ টি উপনদী আছে যার মধ্যে ১৭ টির দৈর্ঘ্য ১০০০ মাইলের বেশি। এ নদী আমাজন অঞ্চলের প্রানবৈচিত্রের প্রধান উৎস এবং হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা এ জঙ্গলের সুতিকাগার।

এ নদীর কয়েকটি বিস্ময়কর তথ্যঃ
১) এ নদীর আয়তন আমেরিকার সবচেয়ে বড় নদী মিসিসিপির আয়তনের ১১ গুন।
২) বর্ষা মৌসুমে এ নদীর মুখ (আটলান্টিকের সাথে যেখানে মিলিত হয়) প্রায় ৩০০ মাইল চওড়া থাকে।
৩) বর্ষা মৌসুমে এ নদীর মোহনা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫,৭৮৭,০৩৭ ঘনফুট পানি আটলান্টিকে নিক্ষিপ্ত হয়।
৪) আমাজন নদী থেকে যে পরিমান পানি প্রতি দিনে আটলান্টিকে প্রবেশ করে তা দিয়ে পুরো নিউইয়র্ক শহরের ৯ বছরের পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
৫) এ নদীর পানি প্রবাহের গতি এত বেশি যে আটলান্টিকে প্রবেশের পর তা লোনা পানির সাথে মেশার আগেই সমুদ্রের বুকে ১২৫ মাইল দুরত্ব অতিক্রম করে।
৬) প্রতিদিন ১০৬ মিলিয়ন ঘনফুট পলিমাটি আমাজনের পানির সাথে আটলান্টিকে গিয়ে পড়ছে।
৭) পৃথিবীর মোট স্বাদু পানির এক পঞ্চমাংশ স্বাদু পানি আসে আমাজন নদী থেকে।

শেষকথাঃ
আমাজন হল বিশাল এবং জটিল এক জায়গা যেখানে প্রকৃতি তৈরি করেছে অদ্বিতীয় এক ভৌগলিক ও জৈবিক সমন্বয় যা পৃথিবীর অন্য কোথাও অনুপস্থিত। আমাজনের রহস্য এবং ভয় আমাদের একই সাথে জয় করতে হবে এবং সাথে সাথে জিইয়ে রাখতে হবে। নতুবা বিশ্বায়নের এই যুগে আমাজনের রহস্য নিয়ে আমরা হয়ত আর বেশিদিন গর্ব করতে পারব না।

লেখকঃ জার্জিস।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।

দ্রুতগতির উড়ুক্কুরা ।। High Speed Flyersপাখিদের তো আপনারা খুব ভালো করেই চেনো। জিজ্ঞেস করলে এক নিঃশ্বাসে ডজনখানেক পাখির ন...
06/09/2021

দ্রুতগতির উড়ুক্কুরা ।। High Speed Flyers
পাখিদের তো আপনারা খুব ভালো করেই চেনো। জিজ্ঞেস করলে এক নিঃশ্বাসে ডজনখানেক পাখির নামও বলে দিতে পারবেন। কিন্তু আপনারা কেউ কি বলতে পারবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী পাখি কোনটা? এই তো মাথা চুলকোতে শুরু করে দিলেন। চলেন, আজকে আমরা পৃথিবীর দ্রুততম পাখির সম্পর্কেই জেনে আসি।

পেরেগ্রিন ফেলকনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির পাখির নাম হচ্ছে “পেরেগ্রিন ফেলকন”। এটি শুধু পাখিদের মধ্যেই দ্রুততম নয়, বরং পৃথিবীর সকল প্রাণীদের মধ্যেই দ্রুতগামী। এই পাখি শিকার করার সময় প্রথমে মাথা নিচু করে উড়ে যায় অনেক উঁচুতে। আর তারপর যখন খাঁড়া নিচের দিকে নেমে আসে, তখন ওর গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার! কি শুনে অবাক হলেন নাকি? তা তো হওয়ারই কথা। আরো মজার ব্যাপার কী জানেন? পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণীদের তালিকায় কিন্তু এই পেরেগ্রিন ফেলকনকে রাখাই হয়নি। কেননা শুধুমাত্র শিকার করার সময়ই এই পাখি এতো দ্রুতগতিতে উড়ে। অন্য সময় এরা মোটেও দ্রুত ওড়ে না। তারচেয়েও বড়ো কথা, ওদের এই গতি উপর থেকে নিচে নামার সময়ই হয়, আকাশে প্লেনের মতো ওড়ার সময় ওরা চাইলেও এতো দ্রুতগতিতে উড়তে পারে না। উপর থেকে নিচে নামার সময় তো মহাকর্ষণ শক্তির টানে এমনিই সবকিছুর গতি বেড়ে যায় অনেক গুণ! আপনারাই বলেন, ওই গতি হিসেব করে কী ওকে সবচেয়ে দ্রুতগতির পাখি বলা ঠিক?

পৃথিবীর সব থেকে বড় ফুল "র‍্যাফেলসিয়া"পৃথিবীর সব থেকে বড় ফুলের নাম "র‍্যাফেলসিয়া আর্নল্ডি"। এই ফুলের খোঁজ পাওয়া যায় ইন্দো...
05/09/2021

পৃথিবীর সব থেকে বড় ফুল "র‍্যাফেলসিয়া"

পৃথিবীর সব থেকে বড় ফুলের নাম "র‍্যাফেলসিয়া আর্নল্ডি"। এই ফুলের খোঁজ পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার রেইন ফরেষ্টে। এই ফুলের ব্যাস ৩ ফুট পর্যন্ত হয় আর একটি ফুলের ওজন ১৫ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। এই ফুলের গাছে পরজীবি, অর্থাৎ এই ফুলের গাছ অন্য গাছের উপর জন্ম নেয় এবং সেই গাছের উপর নির্ভর করে পানি এবং খাদ্যের জন্য। এই ফুলের গাছের কোন পাতা, মূল বা কোন প্রকার কান্ড নেই বললেই চলে। যখন এই ফুল ফোটে তখন খুবই দূর্গন্ধো ছড়ায় অনেকটা মাংস পচা গন্ধো। এই গন্ধে বিভিন্ন প্রকার কীটপতঙ্গ আকৃষ্ট হয় এবং তাদের মাধমে এই ফুলের পরাগায়ন হয় এবং এরা বংশ বৃদ্ধি করে।

তাহলে এবার দেখে নেওয়া যাক এই র‍্যাফেলসিয়ার আরো কিছু ছবি,

প্রথম মোটরসাইকেলঃবিশ্বের প্রথম মোটরসাইকেলটি নির্মাণ করেছিলেন জার্মানির ব্যাড ক্যান্সটাট শহরের বিজ্ঞানী গটলিব ডিমলার ও উই...
04/09/2021

প্রথম মোটরসাইকেলঃ
বিশ্বের প্রথম মোটরসাইকেলটি নির্মাণ করেছিলেন জার্মানির ব্যাড ক্যান্সটাট শহরের বিজ্ঞানী গটলিব ডিমলার ও উইলহেলম মেব্যাচ। ১৮৮৫ সালে নির্মিত এ বাহনটিকে মোটরসাইকেল না বলে ইঞ্জিনচালিত বাইসাইকেল বললেই যেন ঠিক হবে। যদিও উদ্ভাবকরা এটিকে ‘পরিভ্রমণের গাড়ি’ নামে ডাকতেই পছন্দ করতেন।

ছবি ও বাস্তব জীবনের এক অপূর্ব মিলনযখন কল্পনার জগত আর বাস্তব জীবনের মিলন ঘটে তখন তৈরি হয় অসাধারন কিছু। আর এরকম কিছুর জন্য...
30/08/2021

ছবি ও বাস্তব জীবনের এক অপূর্ব মিলন
যখন কল্পনার জগত আর বাস্তব জীবনের মিলন ঘটে তখন তৈরি হয় অসাধারন কিছু। আর এরকম কিছুর জন্য বেশ জনপ্রিয় 'Mokhallad Habib' নামের চিত্রকর। পেশায় একজন কম্পাউন্ডার হলেও তার আঁকার হাত কিন্তু বেশ মারাত্মক। তিনি তার আঁকা ছবি আর বাস্তবতার মিলন ঘটান অনেকটা চমৎকার ভাবে আর এই ভাবে তৈরি হয় তার শিল্পকর্ম। চলুন তাহলে দেখে নেই তার তৈরি কিছু শিল্পকর্ম।

Address

Paikgacha
Paikgacha
9100

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ami Janty Chai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category