04/08/2019
বিশ্বের ১২৮টি দেশের ৩৯০ কোটি
মানুষ রয়েছে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে; বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা।
এই প্রতিবেদনটি আমাকে রাসুল (সঃ)
এর একটি হাদিসের কথা মনে করিয়ে
দেয়,যা নুয়াইম বিন হাম্মাদ তার
কিতাবুল ফিতানে বর্ণনা করেছেন। এই
হাদিসটি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য
নয়,বরং সারা পৃথিবীর মানুষদের জন্য
একটি ভয়াবহ সতর্ক বার্তা।
হাদিসটিতে বলা হয়েছে," লা ইউখরজুল
মাহদিয়্যু হাত্তা ইউক্বতালা
সুলুস,ওয়ামুতু সুলুস ওইয়াবকা সুলুস" অর্থাৎ
ইমাম আল মাহদির আত্নপ্রকাশ ঘটবে না,
যতক্ষন না পৃথিবীর মোট জন সংখ্যার এক
তৃতীয়াংশ মানুষকে হত্যা করা হবে
(যুদ্ধের মাধ্যমে),এক তৃতীয়াংশ মানুষ
মারা যাবে(মহামারি,দুর্ঘটনা,রোগ-
বালাই, ফর্মালিন যুক্ত খাদ্য ইত্যাদির
মাধ্যমে) এবং এক তৃতীয়াংশ মানুষ
অবশিষ্ট থাকবে।(কিতাব আল ফিতান)
সংস্থাটি আরো জানায়, বছরে প্রায়
৩৯ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়,
যার মধ্যে প্রায় ৫ লাখ হাসপাতালে
ভর্তি হয় এবং ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু
হয়।
এখন আসা যাক এই হাদিসের
বাস্তবতায়। বর্তমান
আমেরিকা,ইউরোপীয় কিছু রাষ্ট্র ও
ইরানের মধ্যে চলমান
উত্তেজনাপ্রতিনিয়ত তৃতীয়
বিশ্বযুদ্ধের সংকেত দিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ গতকাল আমেরিকা রাশিয়ার
সাথে ৩ জানুয়ারি, ১৯৯৩ তে করা
স্টার্ট-২ চুক্তি থেকে বেরিয়ে
যায়,যা 3rd World War কে আরো
তরান্বিত করবে বলে আমার কাছে মনে
হচ্ছে। বর্তমান ইয়াহুদী বাদী ইসরাইল
সারা পৃথিবীকে তাদের ধর্ম গ্রন্থের
ভবিষ্যৎ বাণী অনুসারে শাসন করার
স্বপ্ন দেখছে।এবং দাজ্জাল হবে
তাদের বিশ্বনেতা। তাদের ছোট ছোট
বাচ্চাদের তারা এই কথা মুখস্ত করিয়ে
দিচ্ছে যে," Our Messiah (Dajjal) is coming
within ten years "। তবে তার জন্য শর্ত হচ্ছে
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধিয়ে পৃথিবীর
অর্ধেকেরো বেশি জন সংখ্যা
নিঃশেষ করে দেয়া। তাই তারা এর
জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাজে
লাগানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে
যাচ্ছে। হাদিসের ভাষায় তৃতীয়
বিশ্বযুদ্ধকে "মালাহিম" বলা হয়েছে,
যার অর্থ হচ্ছে দেহ থেকে গোশত
আলাদা করা। আর এটা তখনি সম্ভব, যখন
পারমাণবিক যুদ্ধ সংগঠিত হবে। এই যুদ্ধে
কি পরিমাণ মানুষ মারা যাবে,তা
বুঝার জন্য মুসলিম শরীফের ৭১৭৩ নং
হাদিসটি দেখতে পারেন। এই
হাদিসটিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত এমন যুদ্ধ কেউ প্রত্যক্ষ
করেনু। এমনকি একটি পাখি উড়তে
থাকবে কিন্তু লাশের শেষসীমা
অতিক্রম করতে পারবে না।
এখন কথা হচ্ছে, আল্লাহ কখন মানুষের ওপর
এমন ভয়াবহ আজাব চাপিয়ে দেন? আসুন,
আমরা তা ইবনু মাজায় বর্ণিত একটি
হাদিস থেকে জেনে নি।
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ
হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে
পরীক্ষার সম্মুখীন হবে।তবে আমি
আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি
যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন
কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে
অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে
মহামারী আকারে প্লেগরোগের
প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির
উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে
কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি
ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন
তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন
বিপদ-মুসীবত এবং যাকাত আদায় করে
না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ
করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠি চতুস্পদ জন্তু ও
নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে
আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন
জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের
অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ
তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে
ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের
সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন
তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব
মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং
আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ
করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের
মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।(ইবনু
মাজাহঃ৪০১৯)
আরো দেখুন (সুরা ইউনুসঃ২৪,,আবু দাউদঃ
৪২৮৭,৪২৯৬,,ইবনু মাজাহঃ৩৯৫৩,৪০০৫)।
পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, যখনই
কোন জাতির মাঝে অশ্লীলতা
ব্যাপকভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তখনি
আল্লাহ ঐ জাতিকে ধ্বংস করে
দিয়েছেন। এবং বর্তমান বিশ্বসভ্যতাও
সেই ধ্বংসের দারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে
আছে। এই ধ্বংস থেকে বাঁচতে হলে
আমাদেরকে অশ্লীলতা পরিহার করতে
হবে এবং সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া সেই
ব্যক্তির মত আল্লাহর কাছে পাপ থেকে
বাঁচার আকুতি করতে হবে। যারা এটা
করবে,তারাই কেবল এই ধ্বংস থেকে
বাঁচতে পারবে বলে হাদিসে বলা
হয়েছে।
যারা শেষ জামানা বিষয়ক কুরআন ও
হাদিস সম্পর্কে খুব একটা ধারণা
রাখেন না,তাদের আমার এই লেখাটা
বুঝতে একটু কষ্ট হতে পারে। কিন্তু নির্মম
বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা এখন মৃত্যুর
মাহামারীর সামনে দাঁড়িয়ে আছি।
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।
বেশি বেশি শেয়ার করুন,চাইলে নিজ
ওয়াল থেকেও পোস্ট করতে পারেন।
লেখকঃ আনাস মাহমুদ।