ভালোবাসার ডাকপিয়ন

ভালোবাসার ডাকপিয়ন এখানে শুধুমাত্র ভালোবাসার গল্প কবিতা পোস্ট করা হবে

Is it True??
29/11/2019

Is it True??

16/11/2019
😍😍😍
25/04/2019

😍😍😍

লেখক:- পুলকনিসঙ্গ হয়ে খুঁজেছি সঙ্গ যখন,তুমি বাড়িয়েছো দু হাত।অন্ধকার জীবনে আলো ঢেলে,করেছো আলোক পাত।শব্দহীন হাজারো বাক্যে ...
06/03/2019

লেখক:- পুলক

নিসঙ্গ হয়ে খুঁজেছি সঙ্গ যখন,
তুমি বাড়িয়েছো দু হাত।
অন্ধকার জীবনে আলো ঢেলে,
করেছো আলোক পাত।
শব্দহীন হাজারো বাক্যে তুমি,
দিয়েছো যে সুর।
নীরব রাতের একাকীত্বে আমার,
তুমি যে রোদ্দুর।
বন্ধু হয়ে ছিলে পাশে,
থাকবে সারাজীবন।
বন্ধুত্বের এই বর্ষ লগ্নে,
ভালোবাসা জানাই মন।

কবিতা: খুব মনে পড়ছেলেখক:পুলক (টিঙ্কু কবি)খুব মনে পড়ছে সে দিন গুলোর কথা,যখন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেছিলাম তোকে আর এঁকে ছিলাম স্...
23/12/2018

কবিতা: খুব মনে পড়ছে
লেখক:পুলক (টিঙ্কু কবি)

খুব মনে পড়ছে সে দিন গুলোর কথা,
যখন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেছিলাম তোকে আর এঁকে ছিলাম স্বপ্ন এ বুকেতে।
হারিয়ে ছিলাম আমাকে তোর মাঝে,
তোর চোখের নেশায় আর চুলের ভাঁজে।
দুষ্টমির চলে ছুঁয়েছি তোকে,
তোর ভেঁজা চুলের গন্ধ নিতে,যা করেছে পাগল এ আমাকে।
লাল টুকটুকে ঔ গাল দুটুতে, আলতো ছোঁয়ার হাজারো বায়নাতে,
ছুঁয়েছিলাম তোমায় ভালবাসাতে।
পড়ছে মনে আজ সেই দিন গুলো,
যখন ছুঁয়েছি তোর ঐ ঠোট গুলো,
কি নেশা জানি না তাতে,
ফেলে আসা দিন গুলো যে আমায় এখনো ডাকে।

& our page

লেখক- পুলক (টিঙ্কু কবি)মেঘলা দিন, তুই হীনথাকি কেমন করে।তুই ছাড়া একলা মন, থাকে না তো ঘরে।আসনা কাছে, ভরিয়ে দে মন,তোর ভালোব...
18/12/2018

লেখক- পুলক (টিঙ্কু কবি)

মেঘলা দিন, তুই হীন
থাকি কেমন করে।
তুই ছাড়া একলা মন, থাকে না তো ঘরে।
আসনা কাছে, ভরিয়ে দে মন,তোর ভালোবাসার মায়ায়।
জানিনা কি যাদু আছে, তোর ভালোবাসার ছোঁয়ায়।

ছেলেঃ আচ্ছা মেয়ে!স্পর্শ কি, জানিস?মেয়েঃ হুমম! কাউকে ছুঁয়ে দেখা।ছেলেঃ ছোঁয়াছুঁয়ি ছাড়া কি স্পর্শ হয় না?মেয়েঃ না!ছেলেঃ তাহল...
17/12/2018

ছেলেঃ আচ্ছা মেয়ে!
স্পর্শ কি, জানিস?
মেয়েঃ হুমম! কাউকে ছুঁয়ে দেখা।
ছেলেঃ ছোঁয়াছুঁয়ি ছাড়া কি স্পর্শ হয় না?
মেয়েঃ না!
ছেলেঃ তাহলে তোকে দেখলেই, আমার বুকের বাম পাশটাই যে অনূভূতি, সেটা?
মেয়েঃ সেটাতো অনূভূতি, স্পর্শ না।
ছেলেঃ স্পর্শ ছাড়া কি অনূভূতি হয়রে পাগলী?
মেয়েঃ জানি না!
ছেলেঃ শোন! ছোঁয়াছুঁয়ি ছাড়াও স্পর্শ হয়। দুটি হৃদয় যখন এক সাথে কম্পিতো হতে থাকে। জানিস এই স্পর্শের নাম কি??
মেয়েঃ না!
ছেলেঃ এই স্পর্শের নামই "ভালোবাসা"
-পুলক

12/12/2018

ভালোবাসায় ডায়াবেটিস হয় না, চিনি তে হয়। ;)
তাই প্রিয় মানুষ গুলোকে বেশী বেশী ভালোবাসা দিতে থাকুন।
বাণীতে- পুলক

খোলা চুলে থাকো যখন,ছুঁবো তোমায় মাতাল হাওয়ায়।ফিস ফিস করে কানের কাছে,ভালোবাসি বলবো তোমায়।          - পুলক
30/05/2018

খোলা চুলে থাকো যখন,
ছুঁবো তোমায় মাতাল হাওয়ায়।
ফিস ফিস করে কানের কাছে,ভালোবাসি বলবো তোমায়।
- পুলক

05/03/2018

* বাসে একদিন....

যুবকঃ আঙ্কেল কয়টা বাজে?
আঙ্কেলঃ বলব না!
যুবকঃ কেন?
আঙ্কেলঃ আরেকদিন যেকোন জায়গায় পেলে জিজ্ঞাসা করবে তাই!
যুবকঃ মানে!! আচ্ছা করতেই তো পারি!
আঙ্কেলঃ সে জন্যই বলব না!
যুবকঃ কারন টা কি?
আঙ্কেলঃ এই ধর এভাবে বলতে বলতে আমরা পরিচিত হব!
যুবকঃ হতেই তো পারি আঙ্কেল!
আঙ্কেলঃ হঠাৎ একদিন আমার বাসার সামনে দিয়ে যাবে!
যুবকঃ যেতেই তো পারি!
আঙ্কেলঃ চোখের সামনে পড়লে বাসায় আসতে বলব ভাতিজার খাতিরে!
যুবকঃ এটা তো যেকোন ভদ্রলোকই বলবে!
আঙ্কেলঃ বাসায় এনে বসতে দেব, তারপর চা এনে দিব! যুবকঃ মেহমানকে তো দিবেন স্বাভাবিক!
আঙ্কেলঃ তারপর তুমি বলবে চা টা দারুন হয়েছে, কে তৈরী করল?
যুবকঃ ভাল হলে বলতেই পারি!
আঙ্কেলঃ আমি বলব আমার মেয়ে! তারপর বলবে দেখি আপনার মেয়েকে, এত ভাল চা বানায়!
যুবকঃ তাকে একটা ধন্যবাদ তো জানাতেই পারি! আঙ্কেলঃ ধন্যবাদ জানালে হাই, হ্যালো এসব হবে, কিছু কথা বার্তা হবে!
যুবকঃ হতেই তো পারে!
আঙ্কেলঃ তারপর মাঝে মাঝে আমার বাসায় আসতে থাকবে!
যুবকঃ আসলে তো সমস্যা হবে না!
আঙ্কেলঃ একসময় ভাল বন্ধু হবে!
যুবকঃ হতেই তো পারি বন্ধু! এটা খারাপ কী?
আঙ্কেলঃ তোমার মিষ্টি কথায় আমার মেয়ে প্রেমে পড়তে পারে!
যুবকঃ কি যে বলেন আঙ্কেল! লজ্জ্বা লাগে! এতোটা না আবার।
আঙ্কেলঃ সেটাই স্বাভাবিক। একসময় বিয়ের জন্য প্রস্তুত হবে!
যুবকঃ প্রেম করলে তো বিয়ে করব স্বাভাবিক!
আঙ্কেলঃ আমার কাছে চাইতে আসবে....
যুবকঃ গুরুজনের ছাড়া কি হয়, অবশ্যই দোয়া চাইতে আসব!
আঙ্কেলঃ তারপর আমার মেয়ে বলবে রাজি হয়ে যাও। যুবকঃ আমাকে ভালবাসলে এটাতো বলবেই!
আঙ্কেলঃ SHUT UP ! আমি এমন ছেলের কাছে আমি আমার মেয়ে বিয়ে দেব না যে, একটা ঘড়ি কিনতে পারে না। অন্যকে টাইম জিজ্ঞেস করে।

13/12/2017

আবার যদি বৃষ্টি নামে আমিই তোমার প্রথম হবো
লেপ্টে যাওয়া শাড়ির মতো অঙ্গে তোমার জড়িয়ে রবো!

13/12/2017

তোমার গল্প অবিশ্বাসের
অামার ভীষণ বিশ্বাস,
বিশ্বাস অার অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে
অভিমানে গলা টিপে ধরে নিঃশ্বাস।

03/12/2017

আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি,
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি।
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামে নি,
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি…
চারটে দেয়াল মানেই নয়তো ঘর,
নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর।
কখন কিসের টানে মানুষ পায় খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝপসা চোখে দেখা এই শহর …
আমি অনেক ভেঙেচুরে, আবার শুরু করেছি,
আবার পাওয়ার আশায় ঘুরে মরেছি।
আমি অনেক হেরে গিয়েও হারটা স্বীকার করিনি,
শুধু তোমায় হারাবো আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি…
হারিয়ে গেছে তরতাজা সময়,
হারিয়ে যেতে করেনি আমার ভয়।
কখন কিসের টানে মানুষ পায় খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝপসা চোখে দেখা এই শহর …
আমি অনেক শ্রোতে বয়ে গিয়ে, অনেক ঠকেছি,
আমি আগুণ থেকে ঠেকে শিখে, অনেক পুড়েছি।
আমি অনেক কষ্টে অনেক কিছুই দিতে শিখেছি,
শুধু তোমায় বিদায় দিতে হবে, স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি।
#ইমু

26/09/2017


-ভুলে গেছো আমায়?
-কিছু মানুষকে চাইলেও ভুলা যায়না।
-তুমি এখনো আমায় ভালবাসো?
-কমন ডায়লগ।
-তুমার কথার ধরণ সেই আগের মতই আছে।
-হুম,শুধু মানুষটা বদলে গেছে।
-কারণটা হয়তো আমি!
-নাহ্,ভুলটা শুধু আমার।
-কি ভুল।
-বাদ দাও,পুরোনো দিনের কথা তুলে আর কষ্ট পেতে চাইনা।
-নতুন কাওকে ভালবাসনি?
-তোমাদের মতন বড়লোকের কাছে হয়তো ভালবাসা সস্তা,চাইলেই অন্য কাউকে দিয়ে দিতে পারো।কিন্তু আমাদের মতন মধ্যবিত্ত দের কাছে ভালবাসা অমূল্য।একবার কাউকে দিলে সেটা ফিরে অন্যকাউকে দিতে পারিনা।
-জিজ্ঞাসা করবানা?কেনো ফোন দিয়েছি!
-প্রয়োজন মনে করিনা।
-কিন্তু আমি জানানোটা প্রয়োজন মনেকরি।
-হুম চাইলে বলতে পারো।
-আমি আবার তোমার জিবনে ফিরে আসতে চাই।
-মধ্যবিত্তদের কাছে হারানো জিনিশ ফিরে পাওয়ার উন্মাদনাটাই অন্যরকম।
-আমায় আগের মতন করে ভালবাসবা?
-কাল লেক পাড়ে দেখা করো।
-তুমি ঢাকা থেকে এসেছো?
-বিকেল পাঁচটায় দেখা হবে।রাখি বাই...
*
চোখে যখন হাজারো স্বপ্ন তখন সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় "মধ্যবিত্ত"।
ইচ্ছে ছিলো প্রাইভেট কোনো ভার্সিটিতে পড়ে জিবনিটা অন্য ভাবে ইনজয় করবো।
কিন্তু আব্বুর স্বল্প স্যালারির কারণে সেটা আর হয়ে উঠলোনা।
উপায়হীন হয়ে ফরিদপুর ন্যাশনাল ভার্সিটিতে ভর্তি হই।
মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে,কিন্তু সেটা পূরণ হবার কথা ভাবার অধিকার নেই।
তাই সব স্বপ্ন চাপা দিয়ে নিজের মতন করে চলতে লাগলাম।
ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর নিজের লেভেলের কিছু বন্ধুও পেয়ে গেলাম।
সব মিলিয়ে ভালোই চলতে লাগলো।
কিন্তু শনি দোষে ভার্সিটি ভর্তি দুইমাস পর এক মেয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালো।
বড়লোক ঘরের কন্য,ডিমান্ড অবশ্যই বড় বড়_ই হবে,সেই ভেবে এড়িয়ে চলে গেলাম।
কিন্তু বালিকা পিছু ছাড়বার পাত্রী নয়।
ছলেবলে-কৌশলে ঠিকি বন্ধুত্ব করে ছাড়লো।
তখন থেকেই শুরু হলো ভার্সিটিতে নিজের পকেট খরচ দ্বিগুণ নেওয়া।
রূপবতী কন্যা যদি আলাদা কেয়ার করে তবে তার প্রেমে পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
আমার বেলায়ো তার বিপরীত হলোনা।
মনের কথা "মিমকে" জানাবো জানাবো করে সাহস করে একদিন জানিয়েই দিলাম।
-মিম।
-হুম।
-একটা কথা বলার ছিলো।
-বল।
-ভার্সিটিতে আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী কে জানিস?
-কে?
-তুই।
-শুধু ভার্সিটির মধ্যেই?
-নাহ্,সাড়া পৃথিবীতে।
-হিহিহি...
-আমি সেই সুন্দরীর প্রেমে পড়ে গেছি।
-কিইইইই[চোখ বড় বড় করে]
-হুম
-জানিস রফি আমিওনা একটা পাগলের প্রেমে অনেক আগেই পড়ে গেছি[উদাস মনে]
-ওওও,আগে বলবিনা[মুখে একমুঠো মিথ্যে হাসি নিয়ে]
-হুম,কিন্তু সে আজ বললো তাঁর ভালবাসার কথা।
-মানে।
-হিহিহি।
হাসির মানেটা হয়তো সেদিন বুঝেছিলাম।
তারপর থেকেই শুরু হলো আমাদের দুজনার পথ চলা।
রাত জেগে কথা বলা,এক সাথে ঘুরতে যাও,পাশাপাশি বসে গল্প করা আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুজন দুজনের এত্তগুলো কেয়ার করা সবি ছিলো আমাদের মাঝে।
কিন্তু আমার মনে রাখা উচিৎ ছিলো,আমি মধ্যবিত্ত সন্তান।
আব্বুর কষ্টের রোজগার এভাবে নষ্ট করা ঠিক নয়।
কিন্তু মিমের প্রেমে আমি পুরোটাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
সব তো তাও ভালোই চলছিলো,কিন্তু সব কিছুর মাঝে তুফান এলো যখন আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা না দিয়েই আব্বুর অনুমতিতে ঢাকা কাকার কোম্পানিতে চলে গেলাম।
ঢাকা যাবার কয়েক মাস পর থেকে মিম কেমন বদলে গেলো।
আগের মতন আর রাতে কথা হতোনা।
"শুভো সকাল" মেসেজটাও হারিয়ে গেলো।
না চাইতেও এক সন্দেহ সৃষ্টির কারণে এক বন্ধুকে খোঁজ নিতে বললাম।
অভাগা এক আমি জানতে পারলাম মিম অন্য কারো প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।
নিজের রাগকে আর সামলাতে না পেরে সরাসরি ফোন দিয়ে তাঁর কার্যকলাপের কথা বললাম।
ভেবেছিলাম হয়তো সে সরি বলে আবারো আগের মতন শুধু আমায়ি ভালবাসবে।
কিন্তু আমার সব ভাবনাকে মিম ভুল প্রমাণ করে আমায় হাজার ভাবে অপমান করে ফোন রেখে দেয়।
সব কথার মাঝে একটা কথাই মনে বেঁধে যায় "তুই আমার বাড়ির চাকরের সমতুল্য,চাকরের জায়গা পায়ের কাছে।সো নিজের স্থানে থাকতে শিখ"
কথাটা ভাবতেই নিজের ভেতরে এক জেদ তৈরী হয়।
এদিকে আমার কাজের মনোভাব দেখে কাকা আরো ভালো একটা কম্পানিতে চাকরী পাইয়ে দেয়।
তারপর নিজে থেকেই একটা কম্পানি দেই।
আর আজ দীর্ঘ তিন বছর কষ্ট সাধ্যের পর কিছুটা সফলতা পাই।
মিম হয়তো এর কিছু জানেনা।
ভেবেছিলাম মিমের বিয়ে হয়ে গিয়েছে,কিন্তু এখনো কেনো যে অবিবাহিতা সেই প্রশ্নটাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
অবশেষে প্রশ্নের উত্তরের আশায় বিকেলে লেক পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
গিয়েই দেখতে পেলাম বালিকা উদাস হয়েভবসে আছে।
তিন বছর পর তাঁর দেখা পাবার পরেও চিনতে ভুল হলোনা।
কিন্তু ভাবনা একটাই মিম কি আমায় এই নতুন রূপে চিনতে পাবে?
-মিম...
-রফি?[অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে]
-হুম,আজ দেখা করার একটাই কারণ।আমার কিছু অংক অমিল রয়ে গিয়েছে।
-হুম,বলো।এক এক করে শলভ করে দিই।
-আমার ভালবাসা কি তোমার কাছে যথেষ্ট ছিলোনা?
-আসলে আমি তোমার ভালবাসা আগে বুঝতেই পারিনি।
-হুম বুঝলাম,আমায় আবার ফিরে পেতে চাওয়ার কারণ?
-এখন তোমার ভালবাসা বুঝতে পেরেছি।
-সবচেয়ে মূল্যবান প্রশ্ন,এখনো বিয়ে করনি কেনো?
-তোমার অপেক্ষায়।
-মানে!
-তুমি ঢাকা যাবার পর হিমু নামে এক ছেলের সাথে রিলেশনে জড়াই।আড়াই বছরের রিলেশন পর ছেলেটা বিদেশ চলে যায়।আমার থেকে সম্পূর্ণ গোপন করে।পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাঁর বউ রয়েছে।নিজের প্রতি লজ্জা আর ঘৃণা হয়।পরে তোমার অপেক্ষায় থাকি।জানি তুমি ফিরিয়ে দিবেনা।কিন্তু বয়স পেড়িয়ে যেতে থাকার কারণে বাসা থেকে বিয়ের জন্য অনেক চাপ দেয়।এমনকি ছেলেও ঠিক করে ফেলে।উপায়হীন হয়ে অবশেষে তোমায়_ই ফোন দিই।
-চলো তবে কাজী অফিসে।
-সত্যি।
-হুম।
বিয়ে করে মিমকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
জানি আব্বু-আম্মু দেখে মোটেও কষ্ট পাবেনা।
কারণ তারা জানে তাদের ছেলে অনেক বদলে গেছে।
এখন যেই সিদ্ধান্তই নেক না ক্যানো অবশ্যই সেটা ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারেনা।

*
*
দুজনেই এখন বাসরঘরে বসে আছি।
যদিও ঘরটা খুব স্বল্প সময়ে সাজানো হয়েছে,তবুও দেখতে খুব একটা খারাপ হয়নি।
এখানেও হয়তো টাকার খেলা।
-মিম!
-হুম।
-৬মাস পর তোমায় ডিভোর্স দিবো।
-মানে![অবাক হয়ে তাকিয়ে]
-মানেটা খুব সোজা।আমাদের লেভেল খাটেনা।
-কিন্তু সত্যি আমি আর আমার বাবার টাকার বড়াই করবোনা।
[শুনে মুখের হাসিটা আটকাতে পারলাম না]
-বাদ দাও,এর বিপরীত দ্বিতীয় শর্ত আছে।
-কি!
-আমাদের মাঝে কোনো শারীরিক সম্পর্ক থাকবেনা।আর আমার প্রতিটা কথা মেনে চলতে হবে।যেদিন অমান্য করবা সেদিন ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
-হুম।
-বলো কোন শর্তে রাজী?
-আমি যেকোনো কিছুর মূল্যে শুধু তোমার পাশে থাকতে চাই।আমায় ডিভোর্স দিওনা প্লিজ।
-গুড চয়েস।এবার তবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পরো।
-কিন্তু পাঁ......
[আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চোখ গরম করে তাকালাম।
না চাওয়া সত্তেও চোখ বুজে ঘুমের নাটক করতে বাধ্য হলো।
১০মিনিট পর আমি ছাদে গিয়ে নিকোটিনের ধোঁয়াই ভেতরটাকে পোড়াতে লাগলাম।
পরেরদিন মিমকে নিয়ে ঢাকা ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আব্বু-আম্মু প্রথমে মানা করলেও এক মাস পর ফিরে আসার কথা শুনে তারাও রাজি হয়ে গেলো।
ঢাকা ফিরে নিজের পার্সোনাল গাড়ির ড্রাইভারকে ফোন দিলাম।
দশ মিনিটে ড্রাইভার বাস স্টান্ডে গাড়ি নিয়ে হাজির।
গাড়িতে ওঠার পর মিম শুধু জিজ্ঞাসা করেছিলো "কার গাড়ি"
উত্তরে যখ একটা হাসি পেয়েছিলো তখন আর কিছু বলেনি।
গাড়ি থেকে নামার পর গেটম্যান সালাম দিলো "মিম শুধু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো"।
ভেতরে যাবার পর মিম আর চুপ রইলোনা।
-এই একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো!
-করো।
-এত্ত বড় বাড়ি কি তোমার?
-হুম।
-ওয়াও,তবে ভাড়া দাওনা কেনো?কত্ত গুলা ফ্লাট খালি।
[কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না।হাসতে হাসতে আমি শেষ।অবশ্য সবটা না জেনে এমন প্রশ্ন কড়াটাই স্বাভাবিক]
রাতে একটা পার্টি ছিলো।
স্পেশাল ভাবে ইনভাইট কড়ায় না গিয়ে পারলাম না।
-মিম রেডি হয়ে নাও।
-আচ্ছা,কোথায় যাবো?
-পরে জানতে পারবে।আমি কাপড় এনে দিচ্ছি ওগুলো পড়ো।
-আচ্ছা।
[দেখে মনে হলো,মেয়েটা খুব খুশি হয়েছে।
কিন্তু অবাক হলো যখন কমদামী একটা শাড়ি এনে হাতে ধরিয়ে দিলাম।
দুজনে রেডি হয়ে বেড়িয়ে পরলাম।
আমার পাশে মিমকে কিছুটা বেমানাই লাগছে।
পার্টিতে গিয়ে মিমকে কিছু মেয়েদের মাঝে ছেড়ে দিয়ে দূর থেকে শুধু দেখতে লাগলাম।
কিছুক্ষণ বাদে বালিকার মুখ দেখে আর বুঝতে বাকি রইলোনা সে অপমানিত হচ্ছে।
তারপর তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম।
মিম একদম নির্বাক হয়ে গিয়েছে।
আমিওতো হয়েছিলাম যখন সে আমায় অপমানিত করেছিলাম।
বাড়ি ফিরে অনেক ক্লান্ত লাগছে।
-মিম।
-হুম।
-আমার খুব ক্লান্ত লাগছে,পা-টা একটু টিপে দাও।
-আচ্ছা।
[আমি পাশানের মতন শুয়ে আছি,আর মিম আমার পা টিপে দিচ্ছে।
জানি আমার যতটা ক্লান্ত লাগছে ততোটা ক্লান্ত মিমেরও লাগছে]
-এই একটা কথা বলবো?
-বলো।
-আব্বু-আম্মুকে এখানে নিয়ে আসোনা ক্যানো?
-বলেছিলাম আসতে।কিন্তু তারা সেখানেই থাকতে চায়।
-ও,আর একটা কথা জিজ্ঞাসা করি?
-হুম।
-তোমার এতকিছু কিকরে হলো?
-বলতেপারো এখানে তোমার অবদানটাই সবচেয়ে বেশি।
-কিকরে!
-বাদ দাও,এখন তুমি চাইলে ঘুমাতে পারো।
-আচ্ছা।
সকালে ফ্রেস হয়ে গাড়ি ছাড়াই মিমকে নিয়ে ঘুরতে বেড় হলাম।
রোদের সাথে আমার ছোট বেলার সম্পর্ক।
তাই তার থেকে আড়াল না হলেও চলে।
কিন্তু বালিকার,রোদ দেখলেই ছাতা ফোটানোর অভ্যাস।
সেখানে আজ তার রোদের মুখোমুখি হয়ে হাঁটতে হচ্ছে।
সাদা মুখটা তাপে লাল হয়ে গিয়েছে।
পুরো মুখ ঘিরে ঘাম বেয়ে পড়ছে।
হেঁটে যখন আমিও ক্লান্ত তখন একটা রিক্সা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বাড়ি ফিরে...
-মিম।
-হুম।
-রান্না করতে জানো?
-অল্প।
-ফ্রিজ থেকে মাংস বেড় করে রান্না করে নিয়ে এসো।
-আচ্ছা।
-আর শোনো।
-কি।
-চুলায় রান্না করবা,গ্যাসে একদম হাত দিবেনা।
-আচ্ছা[নরম শুরে]
১ঘন্টা পর রান্না করে নিয়ে এলো।
আমি এক টুকরো মাংস মুখে দিয়েই পুরোটা মাটিতে ছুরে ফেলে দিলাম।
পরে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করে দুজনে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম।
প্রায় মাঝরাত।
মিম ঘুমিয়ে আছে।
জাগানোর জন্য কয়েকবার ডাক দিতেই জেগে গেলো।
-ডাকলে যে।
-শোফার রুমে দেখো সিগারেটের প্যাকেট রাখ আছে নিয়ে এসো।
-আচ্ছা।
[কিছুক্ষণ পর চিল্লান দিয়ে উঠলো।
দৌড়ে গিয়ে দেখলাম মাটিতে পরে আছে।
তারমানে কাজ হয়েছে।
তবে যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে একটু বেশীই হয়ে গিছে।
শোফার ওপরে রাখা খেলনা সাপ আর পুরো ঘর জুড়ে ভুতের পোষ্টার দেখে জ্ঞান হারিয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে বেডরুমে এনে মুখে পানির ছিটা দিতেই চোখের পাতা মেললো।
সারারাত জেগে বালিকাকে পাহারা দিলাম।
*
পরেরদিন সকালে হতেই মিমকে নিয়ে বেড় হলাম।
আমার কোম্পানিটা দেখানোর উদ্দেশ্যে।
তবে সেটা মিমকে জানাইনি।
গাড়ি এসে এক বিশাল কোম্পানির সামনে থামলো।
মিমকে নিয়ে ভেতরে যেতেই অবাক হয়ে দেখতে লাগলো।
হঠাত মিম আমার ম্যানেজারকে দেখে চমকে উঠলো।
চমকানোরি কথা,কারণ এটা আবিরের বড় ভাই।
সেখান থেকে দুপুরে বেড় হলাম,রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে শুধু একজনের খাবার অর্ডার করলাম।
মিম আমার দিকে একবার তাকিয়ে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলো।
কিছুক্ষণ বাদে ওয়েটার এসে খাবার দিয়ে গেলো।
মিমকে আমার পাশে এসে বসতে বললাম।
ও মাথা নিচু করে এসে আমার পাশে বসলো।
যখন খাইয়ে দিতে গেলাম মেয়েটা কান্না করে ফেললো।
আমি খাইয়ে দিচ্ছি আর বালিকা
বৃষ্টি ভেজা চোখ নিয়ে আমার দিকে চেয়ে রইলো।
-আমায় খাইয়ে দিবেনা?
-হুম[চোখের পানি মুছে]
-একটা কথা বলবো?
-হুম।
-আমার প্রতি এখন থেকে বৌ হিসেবে তোমার সব অধিকার খাটাবা।
-তোমার মোবাইলটা এখটু দাও।
[বালিকা মোবাইল হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে-চেড়ে আমায় জড়িয়ে ধরলো।
কারণটা হয়তো গ্যালারি ভরপুর ওর সবকয়টি ছবি।
তবে যাই হোক,অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।
এখন ভালবেসে কষ্টগুলো মুছে দেবার সময়।]

:-তাকে কষ্ট দিয়েছি প্রতিশোধ নিতে নয়,
আবারো ছেড়ে যাবে কি না যাচাই করতে।
"ভালবাসায় কোনো প্রতিশোধ হয়না"

-A***n Rofi(রূপকল্প রহস্য)

02/08/2017

১টা দোয়েল পাখির দাম ২ টাকা হলে, ৩টি হরিণের দাম কত?

নো অপশন।।।।

প্রশ্ন ছোট হতে পারে কিন্তু বিসিএস এ পর্যন্ত এসেছে..😜😝

17/07/2017

✍ #জাগ্রত_প্রতিধ্বনি
"বৃষ্টি পাগলীর বিয়ে"
আজ এই দিনে প্রিয়ন্তী নামের মেয়েটিকে আমি ঘরে তুলে এনেছিলাম। হুটহাট এরেঞ্জ বিয়ে। বাবা মা দশ বাড়ি খুঁজে মেয়েটিকে পছন্দ করে আসে। সেই থেকে প্রতিনিয়ত কানের কাছে চলতো মেয়েটির রূপগুণের প্রশংসা। ছুটিতে বাড়িতে আসলেই আমার আর রেহায় নেই। মা'য়ের একটাই আবদার "চলনা মেয়েটাকে গিয়ে একবার দেখে আসি"....
মাঝেমাঝে মনে হত দ্রুত চাকুরী পেয়ে যাওয়াটা মনে হয় গুরুতর অপরাধ! সেই অপরাধের শাস্তি সরূপ সবাই বিয়ে করাতে উঠেপড়ে লেগেছে। ইচ্ছে ছিল আরাম আয়েশ করে নিজ টাকা উড়িয়ে বিন্দাস দুই একটা বছর কাটিয়ে দেব; তা আর হল না। প্রতিবার নানান অজুহাতে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও শেষমেশ প্রিয়ন্তীর দাড়প্রান্তে এসে ধরা পড়ে যাই। মেয়েটা আসলেই প্রশংসা করার মতনই একটি মেয়ে। সামনাসামনি তাকে দেখে.. না আর করতে পারি না। প্রথম দেখাতেই মনের জঙ ধরা তালাটি ভেঙে যায়! মনে মনে অজান্তেই বিয়ের স্বপ্নে হাবুডুবু খেয়ে বসি!
ছেলের সম্মতির আভাষ পেয়ে আব্বু আম্মুর আর কোনো দেরি নেই। মেয়েকে আংটি পড়িয়ে সব ঠিকঠাক করে আসে। মুরুব্বীরা কথাবার্তা এগিয়ে ফাইনাল করে দেয়... সামনের শুক্রবারেই সাদিক প্রিয়ন্তীর বিয়ে!
জাঁকজমক অনুষ্ঠানের বোঝা টানার সামর্থ্য প্রিয়ন্তীর পরিবারের নেই। কোন মতে মেয়েটিকে গুছিয়ে দিতে পারলেই যেন তারা বেঁচে যায়। অবশ্য এই নিয়ে আমার বাবা মায়ের কোনো অবজেকশন নেই, মনের মতন লক্ষী একটা বৌ পেতে যাচ্ছে, তাতেই বা কম কি?!
অবশেষে বিয়ের দিনটি চলে আসে।
সকাল থেকেই টুপটাপ বৃষ্টি। বৃষ্টি আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর। এই বৃষ্টি নিয়ে কবি সাহিত্যিকরা কেন যে এত মাতামাতি করেন আমার কিছুতেই বুঝে আসে না। ছ্যাতছ্যাতে ঘুমন্ত একটি পরিবেশ, এই নিয়ে এত মাতামাতির কি আছে!
আজ বৃষ্টি থামার কোনো নামগন্ধ নেই। মনে হচ্ছে বৃষ্টিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সব যুক্তি করে এসেছে! ঘুরেফিরে বিয়ের দিনটাকেই তারা বেছে নিয়েছে, সাদিক বাবু... এবার পালাবে কোথায়!
~~~~~~~
ঐপ্রান্তে
নববধূ সাজে বসে থাকা প্রিয়ন্তীর চোখদুটি.. খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে। জানালার পাশে বসে বৃষ্টিভেজা মাটির ঘ্রাণে ডুবে রয়েছে সে। বড্ড আফসোস, বিয়ের জন্যে আজ তার বৃষ্টিতে ভেজা হলনা। বাহিরে দিনভর বৃষ্টি হচ্ছে আর প্রিয়ন্তী হাত পা গুটিয়ে ঘরে! এমন ঘটনার ইতিহাস নাকি খুবই কম।
~~~~~~~
মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেলি। যদি কেউ প্রিয়ন্তীকে নিয়ে জিজ্ঞেস করে.. মেয়েটি কেমন?, তাহলে এককথায় উত্তর দেব হাস্যোজ্জ্বল বৃষ্টি পাগলী একটি মেয়ে! বৃষ্টির প্রতি তার যে প্রবল টান.. তা প্রথম রাতেই বুঝতে পেরেছিলাম। গাড়ির ভেতর বিদায়ের কান্না থেমে যাওয়ারপর উইন্ডো গ্লাস অর্ধেক নামিয়ে দেই। বাহিরে বাতাস.. সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এই সুযোগে মেয়েটি মেহেদী রাঙা হাতটা বাহিরে বাড়িয়ে দেয়, বৃষ্টির স্পর্শে নিজ আত্মার পিপাসা মেটায়। আমি অবাক নন্দিত চোখে তাকিয়ে মেয়েটার কান্ড দেখছি...
প্রিয়ন্তী কিছুটা লজ্জা পেয়ে হেসে দেয়.. আর বলে উঠে... "বৃষ্টি আমার অনেক অনেক অনেক ভাল লাগে! আচ্ছা আপনার বৃষ্টিতে ভিজতে কেমন লাগে?!"
তাহার প্রশ্নটা শুনে আমার মুখখান ফুটো বেলুনের মত চুপসে যায়! মনে মনে বলি... হায় রে কপাল!
আমি নিশ্চিত বাহিরে বৃষ্টিগুলো সব দল বেধে তাকিয়ে হাসছে আর বলছে... "সাদিক বাবু... এইবার কেমন লাগে??!"
~~~~~~~
এলাকায় ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা বেজে যায়। বৃষ্টিগুলো সাদিকের বিয়েতে আনন্দমিছিলে মেতে উঠেছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি রূপ পালটে ঝুমঝুম করে ঝড়তে থাকে। বাসার কাছাকাছি চলে এসেছি, এদিকে অবিরত পানি ঢুকে যাওয়ায় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। খুব সামান্য একটু পথ বাকি, বাসা দেখাই যাচ্ছে কিন্তু হাঁটার মতন সেই অবস্থাটা বর্তমানে নেই।
ইতিমধ্যে দুটো ছাতা হাজির হয়ে যায়। একে একে ছাতায় চেপে সবাই বাসার গ্যারেজে গিয়ে উঠে। এবার লাস্ট ট্রিপে.. আমি আর প্রিয়ন্তী।।
দুজনে এক ছাতার নিচে; খুব কাছাকাছি কদম মিলিয়ে হেঁটে যাচ্ছি।
উৎসুক প্রতিবেশীরা আমাদের আসার অপেক্ষায় বাড়ির গেইট থেকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। হঠাৎ করেই তীব্র আলোকছটা চোখে এসে পড়লো, খুব কাছেই প্রকট শব্দে বজ্রপাত! প্রিয়ন্তী বৃষ্টি যতটা ভালবাসে ঠিক ততটাই ভয় পায় বজ্রপাতকে। বিকট শব্দে ভয়ে আমার বাহুটা খামচে ধরে! আচমকা অচেনা নারীর স্পর্শে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যাই। ফলাফল...
পা পিছলে.. ঠাশ !!
বাতাসে ছাতাটা দুমড়েমুচড়ে কয়েক গজ পেছনে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা হৈহুল্লোর শুরু করে দেয়.... "হায় হায় সর্বনাশ! বউ ভিজে গেলো!!"
জামাই পড়ে গিয়েছে এদিকে কাউরো ভ্রুক্ষেপ নেই, বউ ভিজে গেল, এই নিয়ে সবার যত মাথাব্যথা!
এদিকে আমি অসহায় হয়ে ছাতা সামলাতে ছুটে যাই।
ততক্ষণে দুজন বৃষ্টিতে ভিজে একাকার !!
কি আর করার, দুজনে কাকভেজা হয়ে বাসার নিচে পা রাখি। দুজনের গা বেয়ে টপটপ করে পানি ঝড়ছে। সবাই আমাদেরকে দেখে হতভম্ব!
রমজান চাচ্চু এগিয়ে আসেন, বয়স উনার পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব হয়ে গেলেও রসকস একটুও কমেনি। দাঁত কেলিয়ে হেসে হেসে.. দরাজ কন্ঠে বলে উঠেন...
"সা..দি..ক....... সামান্য একটা ছাতাই সামলাতে পাড়িসনেএএ, ...বউ সামলাবি কি করে?? !!"
একেকজন হাতে তালি মেরে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। প্রিয়ন্তী অনেক কষ্টে হাসি চাপিয়ে রেখেছিল। নতুন বউদের নাকি হাসতে মানা। এটা আমাদের অলিখিত দেশীয় সংস্কৃতি। চাচার রসিকতায় সংস্কৃতিটা আর ধরে রাখতে পারলো না, মুখে হাত রেখে প্রিয়ন্তীও খিক খিক করে হেসে দেয়। আর আমি, ভ্যাবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে!
এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব চেয়ে সুখি মানুষটি হচ্ছে প্রিয়ন্তী। বৃষ্টি পাগলী মেয়েটাকে প্রকৃতিরা এমন সারপ্রাইজ গিফট দেবে, ভাবতেও পারেনি। জীবন সঙ্গীর হাত ধরে.. বৃষ্টি রাতে ভিজে ভিজে শশুড়বাড়িতে প্রথম পদার্পণ! তাও আবার এমন বৃষ্টি বিমুখ ছেলেটিকে নিয়ে! আহা... প্রকৃতির তরফ থেকে এ এক অসাধারণ সংবর্ধনা !!

বাসে উঠে একটা খালি সিট পেলাম। জানালার পাশে আমি বসলাম, আর পাশের সিটটা খালি ! একটু পরেই দেখি ১৮/২০ বয়সী একটা সুন্দরী মেয়...
20/05/2017

বাসে উঠে একটা খালি সিট পেলাম। জানালার পাশে আমি বসলাম, আর পাশের সিটটা খালি ! একটু পরেই দেখি ১৮/২০ বয়সী একটা সুন্দরী মেয়ে উঠলো। বোরকা পড়া, মাথায় হিজাব দেয়া। মেয়েটাকে এক নজর দেখলেই বোঝা যায় খুবই ভদ্র ও অবস্থা সম্পন্ন ঘরের মেয়ে। এদিক ওদিক সিট খুঁজে না পেয়ে শেষে আমার পাশে এসে বসলো। হাতে একটা মোবাইল। দেখে বোঝা যায় অনেক দামী একটা মোবাইল। কিছুদূর যাবার পর বাস আবার জ্যামে পড়লো। মেয়েটা বলে উঠলো, অসহ্য জ্যাম ! আমিও হুম বলে সম্মতি জানালাম । এরপর টুকটাক কথা হতে লাগলো । বাসও চলতে শুরু করলো ! কথায় কথায় জানলাম, মেয়েটি ইংরেজিতে অনার্স করছে। খুবই ফ্রী ভাবে কথা বলছিলাম আমরা !

এয়ারপোর্টের ওখানে গিয়ে আবারও জ্যামে পড়লো বাস। বিরক্তিকর জ্যাম ! জ্যামের মধ্যেই বাসে ঠলো সাদা শার্ট পড়া কালো চেহারার মধ্যে বয়সী একটা লোক। অনেক দিনের পুরনো বোধহয় শার্ট টা ! ময়লা হয়ে আছে। তার হাতে অনেক গুলো নামাজ শিক্ষা বই। কাধে কালো রঙের একটা ব্যাগ। লোকটা নামাজ শিক্ষা বই বিক্রি করছে ! লোকটা অনেকক্ষণ যাবৎ, বইতে কি কি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া, সূরা, মাসলা ইত্যাদি আছে তা বর্ননা করলো। কিন্তু বাসের কেউ একটা বইও কিনলো না ! আমার খুব খারাপ লাগলো। ইচ্ছে করছিল লোকটাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করি ! কিন্তু, লোকটাকে টাকা দিতে চাইলে যদি কিছু মনে করে। তাই দিলাম না ! একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, লোকটা বাসে ওঠার পর থেকে মেয়েটি আমার সাথে একটা কথাও বলেনি। মাথা নিচু করে মোবাইল টিপতেছে !

বাড়িতে নামাজ শিক্ষা বই থাকা সত্বেও শুধু মাত্র লোকটিকে সাহায্য করার ইচ্ছায় বিশ টাকা দিয়ে দুইটা বই কিনলাম। লোকটিকে পঞ্চাশ টাকার নোট দিলে সে ত্রিশ টাকা ফেরত দিল ! টাকা ফেরত দেবার পরেও দেখি সে পকেট থেকে আরও টাকা বের করছে ! একটা একশ টাকার নোট আর কয়েকটা দশ টাকার নোট ! আমার দিকে এগিয়ে ধরলো ! আমি তো অবাক। আমাকে টাকা দেবেন কেন উনি ? আমার ভুল ভাঙলো তার ডাক শুনে ! তিনি আমাকে না মেয়েটিকে টাকা দিচ্ছেন ! তিনি বললেন, ‘সোমা টাকাটা রাখো । কিছু কিনে খেয়ে নিও! তোমার মা বললো,তুমি সকালে না খেয়েই ভার্সিটিতে চলে আসছো‘। মেয়েটি লজ্জায় মরে যাচ্ছিল। সে অত্যন্ত রেগে লোকটার দিকে তাকালো !
বললো,লাগবে না ! লোকটি জোর করে টাকাটা তার হাতে দিয়ে বাস থেকে নেমে গেল !

মেয়েটার দিকে তাকানো যাচ্ছিল না ! রেগে টং হয়ে আছে ! আমি কৌতুহল সামলাতে পারলাম না। জিজ্ঞেস করলাম, আপনাকে টাকা দিল উনি কে ? মেয়েটা বললো, আমাদের বাড়ির পাশে থাকে ! আমি বললাম, কিছু মনে করবেন না। একটা কথা বলি, উনি কি আপনার বাবা ? মেয়েটি রেগে তাকালো আমার দিকে ! জবাব দিলো না ! এমন ভাব করলো যেন আমি মহা অপরাধ করে ফেলেছি ! আমি বুঝতে পারলাম তার রাগের কারন। তার বাবা একজন ভ্রাম্যমাণ হকার। বাসে বাসে ঘুরে বই বিক্রি করে। আর সে দামী পোশাক পড়ে ভার্সিটিতে যায় ! সে একজন শিক্ষিত মানুষ ! এজন্য সে বাবার পরিচয় দিতে লজ্জা পায় ! এই ময়লা শার্ট পড়া লোকটাকে বাবা বলে স্বীকার করাটাকে সে ঘৃনার চোখে দেখে !
সে চায় না দুনিয়ার কেউ জানুক এই হকার তার বাবা ! কত বড় বিবেক সম্পন্ন মানুষ সে ! যে লোকটা রাত দিন পরিশ্রম করে বাসে বাসে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বই বিক্রি করে মেয়েটাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছে। তাকে লেখাপড়া শেখাচ্ছে। নিজে কয়েক বছরের পুরনো একটা শার্ট পড়ে অথচ মেয়েটিকে দামী পোশাক, ব্যাগ, দামী মোবাইল কিনে দিয়ে তার সমস্ত চাওয়া পূরন করেছেন। সেই মানুষটাকে বাবা বলে পরিচয় দিতে লজ্জা করছে মেয়েটির ! কত বড় নির্লজ্জ ! যে মানুষটা তাকে লালন পালন করে এত বড় করলো, যারটা খেয়ে বেঁচে আছে তাকে বাবা বলে পরিচয় দিতে সমস্যা !

মেয়েটি হয়তো শিক্ষিত হচ্ছে, কিন্তু তার ভেতরে বিবেক ও মানুষত্ব তৈরি হয়নি ! হকার লোকটির প্রতি শ্রদ্ধায় মনটা ভরে উঠলো ! লোকটা হাজার কষ্টের মাঝেও পরম মমতায় নিজের মেয়েটিকে উচ্চশিক্ষিত করে তুলছেন ! আদর্শ বাবা মনে হয় একেই বলে। অন্য কেউ হলে হয়তো অনেক আগেই মেয়েটিকে কোন শ্রমিকের সাথে বিয়ে দিয়ে দিত। সেটাই বোধহয় ভাল হত! তাহলে তখন হয়তো মেয়েটি বাবার পরিচয় অস্বীকার করতো না ! যেই শিক্ষা আমাদের মধ্যে বিবেক ও মনুষত্ব তৈরী করেনা, কি লাভ সেই শিক্ষা গ্রহন করে???

- সংগ্রহীত

07/05/2017

এই মেয়ে শুনো তুমি কখনো নীল রং এর শাড়ী পড়বা না.. তুমি জাননা নীল রং আমার খুব প্রিয়, তার উপর শাড়ী..আমি কিন্তু তোমার প্রেমে পড়ে গেলে আমার দোষ দিতে পারবা না..তার উপর কত কিউট তুমি..অহ! কি আবল তাবল বকছি আমি..দেখছো মেয়ে,নীল শাড়িতে তোমায় কল্পনা করে, মাথাটাই গেল মনে হচ্ছে..বললাম না মায়ায় পড়ে যাবো তোমার।
-পুলক

05/05/2017

সে হল উত্তম ব্যাক্তি, 👌

যার দিনের শুরুটা হয় নামায দিয়ে ! 💜

জোৎস্না রাত্রিতে জানালার পাশে যখন তুমি খোলা চুলে বসো..কি জোৎস্না দেখবো আমি তোমার পাশে বসে... তোমার থেকেই তো চোখ সরাতে পা...
05/05/2017

জোৎস্না রাত্রিতে জানালার পাশে যখন তুমি খোলা চুলে বসো..কি জোৎস্না দেখবো আমি তোমার পাশে বসে... তোমার থেকেই তো চোখ সরাতে পারিনা।
-পুলক

03/05/2017

তুমি আছো, আমার স্পর্শে,আমার প্রতিটা হৃদ স্পন্দনে..
আমি বুঝি তা..আমি বুঝি, যখন তোমার কথা মনে পড়লে বুকের বাম পাশটা থেমে থেমে কেঁপে উঠে..
তুমি ছাড়া এ কাঁপন সম্ভব নয়..কারন আমি জানি,
তুমি আছো, আমার বুকের বাম পাশটাই.. হৃদয়ের খুব গভীরে... - পুলক

03/04/2017

ছেলে: কাল কলেজ আসবি?
মেয়ে: না।
ছেলে: কেন?
মেয়ে: কাল আমাকে ছেলে পক্ষ থেকে দেখতে আসবে!
ছেলে: কি?
মেয়ে: কানে কম শুনিস নাকি,কাল আমাকে ছেলে
পক্ষ থেকে দেখতে আসবে!
ছেলে: তুই বিয়ে করতেছিস?
মেয়ে: হুম।
ছেলে: তুই বিয়ে করতেছিস আমাকে আগে
বলিস নি তো!
মেয়ে: কেন তুই আমার কে,যে তোকে আগে থেকে বলতে হবে?
ছেলে: কেউ না?
মেয়ে: না।
ছেলে: কেউ না? (মন খারাপ করে!)
মেয়ে: নাহহহহ। (রেগে গিয়ে!)
ছেলে: আচ্ছা তুই কি এই বিয়ে রাজি আছিস?
মেয়ে: জানিনা!
ছেলে: তুই যে বলেছিলি তুই একজনকে ভালবাসিস?
মেয়ে: আর বাসি না!
ছেলে: এই তোর ভালবাসা?
মেয়ে: দেখ আমার ভালবাসায় কোনো কমতি
ছিলনা বুঝেছিস,শুধু মাত্র তাকে বলতে পারিনি!
আর এটাই ছিল আমার সব থেকে বড় ভুল!
ছেলে: আচ্ছা ছেলেটা কি জানত যে তুই ওকে ভালবাসিস?
মেয়ে: জানিনা!
ছেলে: যদি ওই ছেলে এখন এসে বলে I You নীলা তাহলে তুই কি করবি?
মেয়ে: আগে তো কানে নিচে কয়েকটা থাপ্পর লাগাবো তার পর কথা!
ছেলে: এই নীলা দেখ তোকে ওই ছেলেটা ডাকছে!
মেয়ে: পিছে ফিরে দেখে কেউ নাই।
তাড়াতাড়ি করে নিলয় ব্যাগ থেকে গোলাপটা বের
করে হাটু গেড়ে বসে I
Love You Nila!
নীলা কি করবে,আর কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছেনা।শুধু তার চোখ
দিয়ে পানি ঝড়ছে!
কিন্তু এই পানি দুঃখের নয়,
তার প্রিয় মানুষটাকে কাছে পাওয়ার কান্না!
আর ভালবাসার বন্ধন এটাই!

18/03/2017

❑ ভাইবোনের অদ্ভুত ভালোবাসা
_বাবা আমি না আর পারছি না, খুব ব্যথা হচ্ছে। (মুনত্বাহা)
_মা আর একটু কষ্ট কর, তোর ভাই টাকা নিয়ে আসলেই তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।
_ভাইয়া কখন যে গেলো এখনও আসছে না কেন?
_ আসবে মা, একটু কষ্ট কর। বাবা তো তোর কাছেই আছি। কথা না বলে আল্লাহকে ডাক মা।
_বাবা সত্যি আর পারছি না! মনে হয় মরেই যাবো!
_কি বলিস এসব, কিছুই হবে না তোর। আমার জীবন থাকতে তোর কিছু হতে দিবো না। তোর মাকে হারিয়েছি একমাত্র টাকার অভাবে। সেই টাকার অভাবে তোকে হারাতে পারবো না।
_ বাবা আমরা এতো গরীব কেন?
_ আল্লাহ আমাদের গরীব রাখতে পছন্দ করেছেন তাই হয়তো।
_বাবা খুব কষ্ট হচ্ছে!
মুনত্বাহার এমন আর্তনাদ দেখে তার বাবার চোখে জল চলে আসে। দুই ফোটা জল পাঞ্জাবীর পকেট বরাবর গড়িয়ে পরে। খুব দ্রুত চোখের জল মুৃছে একটা ফেইক হাসি দিয়ে মেয়েটার মাথায় হাত দিয়ে বলতে থাকে,
"মা তোর কিছুই হবে না চিন্তা করিস না।"
কিছুক্ষণ পর মুনত্বাহার বড় ভাই মিয়াদ আসে....
_কিরে তোর এতো সময় লাগলো কেন? (বাবা)
_বাবা মনু চাচার কাছে গেলাম, কিন্তু মনু চাচা নাকি চিটাগাং গেছে।(মিয়াদ)
_কি বলিস, এই ঢাকার শহরে এখন কে আমাদের টাকা দিবে? দেশী একটা মানুষ ছিল সেও চিটাগাং চলে গেলো।
_বাবা আমার একটা পরিচিত মানুষ থেকে কিছু টাকা ধার এনেছি। তিনি বলছেন লাগলে আরও টাকা দিবে।
_ কে এই লোক কে, যে তোকে টাকা দিয়েছে?
_বাবা এসব পরে বলবো, আগে মুনত্বাহাকে নিয়ে হাসপাতাল নিয়ে যাই।
মুনত্বাহা এখন হাসপাতালে.....
প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অনেক শব্দ করেই কান্না করে মুনত্বাহা। হাসপাতালের সবাই তার কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে আসে। বাট মুনত্বাহার শরীরের দিকে তাকিয়ে সবাই বুঝে মুনত্বাহা প্রেগন্যান্ট এবং সে প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে কান্না করছে।
হ্যাঁ মুনত্বাহার কিউট একটা ছেলে হয়েছে। একদম বাচ্চাটার বাবার মত দেখতে!
সিজার এবং ঔষধ সবকিছু মিলে মোট ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়। টাকাগুলো মিয়াদ খুশি মনেই দেয়। কিন্তু মিয়াদকে একটু দুর্বল মনে হচ্ছে।
_কিরে ভাইয়া তোকে এমন দুর্বল মনে হচ্ছে কেন? শ্বাসকষ্ট কি বেড়েছে নাকি? ইনহেলার সাথে আনিস নাই?(মুনত্বাহা)
_হ্যাঁরে, আজ একটু শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। আর ইনহেলারটাও সাথে নেই। তুই চিন্তা করিস না, আমি ঠিক আছি। (মিয়াদ)
_ ভাইয়া তুই মিথ্যে বলিস কেন, কি হয়েছে তোর বলবি তো?
_নারে কিছুই হয় নাই, একটু শ্বাসকষ্ট বেড়েছে।
মুনত্বাহা নবজাতক শিশুর বাবার নামের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম রাখে আরিয়ান। বাবার নাম ছিল আসিফ।
মুনত্বাহার বিয়ের ছয় মাস পর আরিয়ানের বাবার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। খুব যত্ন সহকারে তার সেবা শুশ্রূষা করা হলেও কোনো ভালো লক্ষণ দেখা যায় নি।
প্রায় তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যেতো, নিজের মাথার চুল ছিড়ে ছিড়ে মুঠো করে মুখে পুরতো। আর শুধু দেয়ালে লেখালেখি করতেন। প্রত্যেকটা লেখার শেষে নিজের নামটা খুব সুন্দর করেই লিখতেন। মাঝেমাঝে তিনি একদম সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের মতই ছিলেন।
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আসিফ। তার বাবার বিশাল ব্যবসায় বাণিজ্য। আসিফ সাহেব, তার নিজের বাবা-মা কে না জানিয়ে বিয়ে করেছিল মুনত্বাহাকে। কিন্তু কখনও বাবা-মা কে বিয়ের কথা বলা হয়নি। কারণ তিনি জানতেন তার বাবা-মা কখনও এই বিয়ে মেনে নিবে না।
সত্য কয়দিন লুকিয়ে রাখা যায়। একসময় আসিফ সাহেবের বাবা বিয়ে সম্পর্কে জেনে যায়। তখন তিনি সাথে সাথে আসিফ সাহেবকে ত্যাজ্য করে দেয়।
বাবার এরূপ আচরণ সহ্য করতে না পেরেই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
একদিন কাক ডাকা ভোরে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যায়, সেই যে গেলো আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বিন্দু মাত্র খোঁজ মেলেনি তার।
আরিয়ানের বাবা এখন কোথায় আছে তা কেউ জানে না। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে তাও জানা নেই।
হাসপাতাল থেকে মুনত্বাহা এবং তার নবজাতক শিশু আরিয়ানকে আজ বাসায় নেওয়া হয়। মুনত্বাহার বাবা আজ অনেক খুশি। কিন্তু মিয়াদ যেন একটু ব্যতিক্রম। সারাদিন শুয়ে থাকে, কারও সাথে দেখা করে না। আরিয়ানকে কোলে নেয় না। কেমন অদ্ভুত হয়ে গেছে।
যে মিয়াদ সারাদিন মুনত্বাহার সাথে দুষ্টুমি করতো আজ সে তার পাশে যায় না। মুনত্বাহার বাবা জিনিসটা লক্ষ না করলেও মুনত্বাহা ঠিকই লক্ষ করে।
পরদিন দুপুরবেলা মিয়াদ ঘুমিয়ে, মুনত্বাহা মিয়াদের রুমে যায় এবং মিয়াদের শরীরের থেকে সরে যাওয়া কম্বলটা তার শরীরে টেনে দিতে চাইল। কিন্তু ঐ মূহুর্ত মুনত্বাহার নজর পরে একটা ব্যান্ডেজ এর উপর। সাথে সাথে বাবাকে ডাক দেয় মুনত্বাহা।
_বাবা ভাইয়ার এখানে ব্যান্ডেজ কেন দেখতো!
_কি বলিস কি হয়েছে মিয়াদের?
_ এই যে দেখো কি হয়েছে?
_ব্যান্ডেজ! ব্যান্ডেজ কেন? এই মিয়াদ কি হয়েছে তোর?
_কোথায়, কি হবে?(মিয়াদ)
_তোর এখানে ব্যান্ডেজ কেন?
_আরে সামান্যা ব্যথা পেয়েছি। ঠিক হয়ে যাবে তোমরা যাও।
_তুই কি কিডনি বিক্রি করেছিস?
_হ্যাঁ বাবা তাই মনে হচ্ছে। ভাইয়া কিডনি বিক্রি করছে। আমাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কিডনি বিক্রি করেছে। ভাইয়া তুই এটা কি করলি! (মুনত্বাহা কান্না করতে করতেই কথাগুলো বললো)
_বাবা কি করবো বল? এই ঢাকার শহরে কে আছে আমাদের যে টাকা দিবে? কেউ নেই। তুমি জানো টাকার জন্য মাকে হাসপাতালে নিয়েও চিকিৎসা করাতে পারিনি। যার ফলে আমরা মাকে হারিয়েছি। এখন টাকার জন্য বোনটাকে হাসপাতালে না নিতে পারলে ওর যদি কিছু হয়ে যেতো তাহলে আমরা বেঁচে থেকে আর লাভ কি? তাই বাধ্য হয়ে কিডনি বিক্রি করে বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
কিডনি বিক্রি করেছি কিন্তু মরে তো আর যাবো না। যতদিন বাঁচি টিউশন করে টাকা কামাবো আর বোনের হাসিটা দেখে জীবন কাটাবো।
অতঃপর মুনত্বাহা মিয়াদকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয়। মিয়াদের বাবা তার দুই সন্তানের এমন ভালোবসা দেখে নিজেও কান্না করে দেয়।
ভালোবাসাগুলো খুব অদ্ভুত! একটু বেশিই অদ্ভুত! বোনের জন্য এরূপ ভালোবাসা, ত্যাগ তিতিক্ষা থেকেই আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে ভাই বোনের ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিৎ।
✎ ✍_অভি

টুনটুনি.....  :'( লেখক:-সুলতানা ইয়াসমিনএখনো মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে ভাবি,"ইশ...! তোকে যদি এখন চোখের সামনে দেখতে পেতাম...
13/03/2017

টুনটুনি..... :'(
লেখক:-
সুলতানা ইয়াসমিন

এখনো মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে ভাবি,"ইশ...! তোকে যদি এখন চোখের সামনে দেখতে পেতাম। যদি বলতে পারতাম,চল আইসক্রিম খেতে যাবো।কিংবা আগের মতো ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পুরো কলেজ চষে বেড়াবো।ফুচকাওয়ালা আঙ্কেলের কাছে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করে ফুচকা দেন আঙ্কেল।আর অমনি আঙ্কেল কিছু জিজ্ঞেস না করে ফুচকা বানাতে শুরু করে দিবে, তোর জন্য প্লেটে আর আমার জন্য কাগজের ঠোঙ্গায়।পাশাপাশি হাঁটতে ইচ্ছে করে।হাঁটার সময় তুই শক্ত করে আমার হাতটা ধরে রাখবি,যেমনটা আগে করতি।আরো, আরো কতো কি ইচ্ছে করে........!" :'(
কিন্তু না, পারিনা। কিছুই করতে পারিনা। কারণ, তুই এখন আমার কাছে থেকেও অনেক অনেক দূরে।তোকে চাইলেই হাত বাড়িয়ে ছোঁয়া যায়না,তোর গন্ধে মেশা বাতাস এখন আমি আর অনুভব করতে পারিনা....! :'(
তখন আবার ঘুমোতে যাওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করি, আবার নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করি,"ভালো আছি,আমি অনেক ভালো আছি।"
তুই ছাড়া কিভাবে ভালো থাকা যায় একা, শিখে নিচ্ছি সময়ের কাছ থেকে একটু একটু করে।
দিনশেষ হয়তো তাই মিথ্যে করে হলেও এখন বলতে পারি,"আমি ভালো আছি।সত্যি অনেক ভালো আছি।" :-)

আমি একদিন নিখোঁজ হব,উধাও হব রাত প্রহরে।সড়ক বাতির আবছা আলোয়,খুঁজবেনা কেউ এই শহরে।ভাববেনা কেউ,কাঁপবেনা কেউ,কাঁদবেনা কেউ এক...
12/03/2017

আমি একদিন নিখোঁজ হব,উধাও হব রাত প্রহরে।
সড়ক বাতির আবছা আলোয়,খুঁজবেনা কেউ এই শহরে।
ভাববেনা কেউ,কাঁপবেনা কেউ,কাঁদবেনা কেউ একলা একা।
এই শহরের দেয়ালগুলোয়,প্রেমহীনতার গল্প লেখা।

-সাদাত হোসাইন

Address

Maijdee Court , Noakhali
Noakhali Sadar Upazila

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভালোবাসার ডাকপিয়ন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category

Nearby media companies