F a k eツ

F a k eツ ° আপনাদেরকে Fakeツ পেইজে স্বাগতম

31/12/2024

আত্ম-অন্বেষণ:

মানুষের জীবন এক অনন্ত রহস্যময় যাত্রা। এই যাত্রার শুরু জন্ম থেকে, কিন্তু গন্তব্য কোথায়? অনেকেই ভাবে, সফলতা, খ্যাতি কিংবা সুখই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। কিন্তু জীবনের গভীরতা বুঝতে হলে মানুষকে খুঁজতে হয় নিজের ভেতরের সেই অপরিচিত স্বত্তাকে, যে প্রশ্ন তোলে— "আমি কে? কেন আমি এখানে? আমার উদ্দেশ্য কী?" এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার যে প্রয়াস, সেটাই আত্ম-অন্বেষণ।
আত্ম-অন্বেষণ মানে শুধু নিজের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবা নয়। এটি হলো নিজের সত্তার প্রতিটি স্তর উন্মোচন করা, যেখানে আলো আর অন্ধকার পাশাপাশি বাস করে। এই যাত্রা শুরু হয় নির্জনতার এক গভীর মুহূর্তে। যখন মানুষের চারপাশের কোলাহল স্তব্ধ হয়ে যায়, তখনই আত্মার কান্না শোনা যায়। সেই কান্নায় লুকিয়ে থাকে এক অদম্য তৃষ্ণা—জীবনের সত্যকে জানার।
প্রকৃতি মানুষের আত্ম-অন্বেষণের এক শ্রেষ্ঠ মঞ্চ। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে অথবা নির্জন সমুদ্রতীরে বসে মানুষ বুঝতে পারে তার ক্ষুদ্রতা। আকাশের অসীম নীলিমা যেন মানুষকে প্রশ্ন করে, “তুমি কতটুকু জানো নিজেকে?” সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মানুষ গভীর অন্তর্দৃষ্টি লাভ করে। প্রকৃতির নির্জনতা তাকে তার নিজের নীরবতার সঙ্গে পরিচিত করায়।
আত্ম-অন্বেষণ কখনো সহজ হয় না। এটি এক কঠিন সংগ্রামের নাম। এই সংগ্রামে মানুষকে তার ভ্রান্তি, দুর্বলতা, এবং ব্যর্থতার সঙ্গে মুখোমুখি হতে হয়। ভেতরের অন্ধকার যখন তাকে গ্রাস করতে চায়, তখনই আলো খোঁজার প্রয়াস শুরু হয়। এই আলো কোনো বাইরের জিনিস নয়, বরং মানুষের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে। নিজেকে জানার মাধ্যমে সেই আলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।
এই ভ্রমণ একাকীত্বের এক অপরিহার্য অংশ। নিজেকে বোঝার জন্য, নিজের সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর প্রয়োজন। অনেক সময় মানুষের চারপাশে অনেক লোক থাকলেও সে ভেতরে একা অনুভব করে। সেই একাকীত্বে নিজের সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয়। তখনই মানুষ উপলব্ধি করে যে, নিজের সত্তার গভীরে প্রবেশ করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আত্ম-অন্বেষণ মানুষকে এক গভীর ত্যাগের পথে নিয়ে যায়। জীবনের সহজ আনন্দগুলো ত্যাগ করতে হয়, এমনকি কখনো নিজের অহংকেও বিসর্জন দিতে হয়। কারণ আত্ম-অন্বেষণের পথ হলো সত্যের পথে যাত্রা, যেখানে মিথ্যা বা ভ্রান্তির কোনো স্থান নেই।
এই যাত্রায় মানুষ নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো বুঝতে পারে। সে উপলব্ধি করে, তার শক্তি আর দুর্বলতা পাশাপাশি রয়েছে। এই উপলব্ধি তাকে আরও উদার ও সংবেদনশীল করে তোলে। আত্ম-অন্বেষণের ফলে মানুষ কেবল নিজের সত্তাকে নয়, অন্যদেরও নতুন করে চিনতে শেখে। সে বুঝতে পারে, পৃথিবীর প্রতিটি জীব তার মতোই একটি রহস্যময় যাত্রায় রয়েছে।
আত্ম-অন্বেষণের সবচেয়ে সুন্দর দিক হলো এটি কোনো চূড়ান্ত গন্তব্যে শেষ হয় না। এটি এক অনন্ত পথ, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত নতুন উপলব্ধির জন্ম দেয়। প্রতিটি দিন, প্রতিটি অভিজ্ঞতা, প্রতিটি সুখ-দুঃখ মানুষকে নতুন কিছু শেখায়। নিজের ভেতরে এই শেখার প্রক্রিয়া কখনো থামে না।
তবু কি আত্ম-অন্বেষণ শেষ হয়? হয়তো নয়। এটি জীবনের অনন্ত ভ্রমণ। এই যাত্রায় প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ নিজের সত্তাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে। এই আবিষ্কারের আনন্দই মানুষকে জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে শেখায়। আত্ম-অন্বেষণ সেই আলোকবর্তিকা, যা মানুষের পথকে আলোকিত করে, তাকে তার প্রকৃত সত্তার মুখোমুখি দাঁড় করায়।
আত্ম-অন্বেষণ তাই শুধু নিজের ভেতর প্রবেশ নয়, বরং নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়া। মানুষ যখন নিজের ভেতরের আলোকে চিনতে পারে, তখন সেই আলো দিয়ে সে অন্যদের জীবনও আলোকিত করতে পারে। জীবন তখন শুধু ব্যক্তিগত হয় না; এটি হয়ে ওঠে একটি বৃহত্তর সত্তার অংশ, যেখানে প্রতিটি জীবের সঙ্গে একটি গভীর সংযোগ অনুভূত হয়।
এইভাবে আত্ম-অন্বেষণ আমাদের দেখায় যে জীবন এক অনন্ত কবিতা। প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি ছন্দ, প্রতিটি বিরতি আমাদের নিজের গল্প। আমাদের দায়িত্ব শুধু সেই গল্পটি আবিষ্কার করা।

31/12/2024

কখনো কি হৃদয়ের আর্তচিৎকার অন্যের কান অব্দি পৌঁছায়? নাকি তা একা একা ভেসে বেড়ায় অন্তহীন শূন্যতায়? এই কৃত্রিম আধারের অপেক্ষমাণ রাত কি কখনো কারো চোখে পড়ে, নাকি অদৃশ্য আলোয় ঢেকে যায় তার সব অনুরণন? হয়তো সেই আর্তনাদ একদিন কারো হৃদয়ের দেয়ালে ধাক্কা দেবে, কিংবা অপেক্ষমাণ রাতের এক কোণে কোনো নিঃশব্দ প্রতিধ্বনি হয়ে বেঁচে থাকবে।

কখনো কি হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা এই আর্তচিৎকার অন্যের হৃদয় অব্দি পৌঁছায়? নাকি তা অসীম শূন্যতায় মিলিয়ে যায়, যেমন একাকী বাতাসে হারিয়ে যায় পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ? সেই আর্তচিৎকার কোনো এক অজানা আঘাতের সাক্ষী, যা ভাষাহীন, অথচ প্রবল।

এই কৃত্রিম আলোর ভিড়ে রাত কি সত্যিই অপেক্ষা করে কারো জন্য? হয়তো না। হয়তো এই রাত, এই নির্জন সময়, আমাদের অন্তর্গত বেদনার একান্ত সহচর। তবুও, এমন অনেক রাত আসে, যখন অদেখা কেউ সেই একাকীত্বের সাক্ষী হয়ে ওঠে, যখন অন্ধকারের মধ্যেও কারো চোখ বুঝতে পারে অন্য এক হৃদয়ের অনির্বচনীয় আকুতি।

হৃদয়ের সেই ডাকে লুকানো থাকে বেঁচে থাকার আকুলতা, ভালোবাসার এক চিরন্তন অনুসন্ধান। হয়তো তা পৌঁছে যাবে, হয়তো নয়—তবুও সেই আর্তচিৎকার থামে না, কারণ এটাই তার একমাত্র ভাষা।

হৃদয়ের আর্তচিৎকার তো সহজে ধরা দেয় না; তা কেবল পৌঁছায় সেই অব্যক্ত অনুভবের কাছে, যে হৃদয় শুনতে জানে। হয়তো সেই আর্তনাদ কোনো এক দুঃস্বপ্নের মধ্যে জীবন্ত হয়, কিংবা কোনো অস্পষ্ট সুর হয়ে প্রতিধ্বনিত হয় নিঃসঙ্গ রাতের গহীনে।

তবুও, এই চিৎকার থামে না, এই রাত থেমে থাকে না। কারণ প্রতিটি হৃদয়ের গভীরে আছে এক অমর বাসনা—শোনা যাওয়ার, বোঝা হওয়ার, ছুঁয়ে যাওয়ার। তাই হয়তো কোনো একদিন, কোনো এক অনন্ত ক্ষণে, এই আর্তনাদ পৌঁছাবে সেই ঠিকানায়, যে তাকে সত্যিকারের মর্মে ধারণ করতে পারবে। ততক্ষণ পর্যন্ত, হৃদয় শুধু অপেক্ষায় থাকে—শুধু অপেক্ষায়।

28/12/2024

আমি স্বপ্ন দেখেনি বরং দেখেছি তোমায়,
আমি কিচ্ছুই শুনে নি বরং পুড়েয়েছি আমায়।
আমি ছুটে চলছি-ত চলছিই দিগন্তের শেষ প্রান্তের দিকে দিক-বেদিক।
আমাকে ধরো শক্ত করে ধরো, হাত দিয়ে ধরা নয় বরং হৃদয় দিয়ে ধরো। আমি খুব অসুস্থ, যেমন তেমন অসুখ নয় নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি পরছে, শীতের রাতে আমার পোশাক কেটে নিয়ে এক লোক বলছে সুখি মানুষের কাপড় থাকতে নেই, দাঊ দাঊ করে জ্বলছে আগুন কাপড়ের কি প্রয়োজন?
উপস্!! যে কথা তোমায় বলার কথা—সে কথা বলছি বিলবোর্ডের সঙ্গে। যে চিঠি তোমায় দেওয়ার কথা সে চিঠি পাঠাচ্ছি বেনামি ঠিকানায়। তুমি আছো ঠিকেই, তবুও তোমায় দেখি না বিলবোর্ড দেখি, খুলা ম্যানহুল দেখি, তোমায় কিছু লেখি না বিলবোর্ডে লেখি। মিথ্যা শান্তনা ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না জ্বর শ্বাসকষ্ট।

সময় এবং যাপিত গানিতিক জীবন ছাড়িয়ে তুমি চলে যাচ্ছো আরো বহুদূর এগিয়ে, আমার লেখা শব্দ গুলোও যেনো আহত হিংস্রের মতো পরে আছে জীবন ছাড়িয়ে। আরো কৃত্রিম আধারে আটকে আছে পুরনো লাইনগুলো।
না ভাবলে কারোই কিছু আসে যায় না, মনে হয় তারছেঁড়া মস্তিষ্কের উদ্ভট সব কার্যকলাপ।

26/12/2024

"অশান্ত মন"

অশান্ত মন মানুষের জীবনের এক অদ্ভুত সঙ্গী। কখনো এটি আমাদের ভেতরে অজানা ভয়ের সৃষ্টি করে, আবার কখনো এটি কষ্টের পাহাড় হয়ে দাঁড়ায়। মন যখন অশান্ত হয়, তখন চারপাশের সুন্দর মুহূর্তগুলোও যেন বিবর্ণ হয়ে যায়।

অশান্তির কারণ হতে পারে অনেক কিছু—প্রিয়জনদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি, জীবনের কোনো অপ্রাপ্তি, কিংবা ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা। এই অশান্তি আমাদের ভেতরে এক ধরনের শূন্যতা এনে দেয়। তখন মনে হয়, সবকিছু যেন অর্থহীন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অশান্তি জীবনেরই একটি অংশ। এটি আমাদের শেখায় কীভাবে নিজেকে শক্ত রাখতে হয় এবং শান্তির মূল্য বুঝতে হয়।

অশান্ত মনকে শান্ত করার জন্য প্রয়োজন নিজের প্রতি ভালোবাসা এবং ধৈর্য। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা, প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলা, কিংবা সৃষ্টিশীল কোনো কাজে ব্যস্ত থাকা—এগুলো অশান্তি কমাতে সহায়ক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, মনকে বোঝানো যে কোনো অন্ধকার চিরকাল স্থায়ী নয়।

অশান্ত মন আমাদের ভেতরে লুকিয়ে থাকা দুর্বলতাকে চিনতে শেখায়। সেই দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করতে পারলেই আমরা জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে এগিয়ে যেতে পারি। অশান্তি শুধু একটি অধ্যায়, পুরো গল্প নয়। শান্তির আলো ঠিকই একদিন এই অন্ধকার দূর করবে "ইনশাআল্লাহ"।

26/12/2024

# # # দিনলিপি: একটি স্বপ্নময় দিন

**ভোর:**
সূর্য ধীরে ধীরে পূর্ব আকাশে উঠছে। পাখিদের মিষ্টি ডাক যেন এক স্বর্গীয় গান। জানালার ফাঁক দিয়ে আসা আলো হৃদয়কে উজ্জ্বল করে। চায়ের কাপ হাতে নতুন দিনের পরিকল্পনা শুরু।

**সকাল:**
কাজের ব্যস্ততা শুরু হলো। চারপাশে ছোটাছুটি, তবুও মনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। বন্ধুদের সঙ্গে কথা, কিছু হাসি, কিছু মজার মুহূর্ত।

**দুপুর:**
উত্তপ্ত রোদে শহর কোলাহলমুখর। দুপুরের খাবার সময় জীবনের ছোট ছোট সুখ অনুভব। কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ নিজের জন্য সময়—অন্যরকম প্রশান্তি।

**বিকেল:**
হালকা বাতাস বইছে। আকাশে মৃদু রঙের খেলা। প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করার মুহূর্ত। চায়ের আড্ডা, কিছু গল্প আর স্মৃতির খাতা উল্টানো।

**সন্ধ্যা:**
হালকা ঠাণ্ডা হাওয়া। শহরের আলো ঝলমলে। মনের ভেতর প্রশান্তি, দিনের কাজের পর শান্তির সন্ধ্যা। সৃজনশীল কিছু করতে ইচ্ছে করে।

**রাত:**
তারাভরা আকাশ। দিনের ক্লান্তি শরীরে, তবু মনে শান্তি। বিছানায় শুয়ে প্রিয় বই পড়া বা কোনো ভালো মুভি দেখা। অবশেষে ঘুম এসে শান্তির আলিঙ্গন দেয়।

**শেষ কথা:**
প্রত্যেক দিন এমন কিছু মুহূর্ত থাকে, যা জীবনের মানে বুঝিয়ে দেয়। দিনলিপি শুধু সময়ের হিসাব নয়; এটি আমাদের বেঁচে থাকার গল্প।

06/11/2024

অপ্রকাশিত অনুভূতি, যেন এক নিরব কাব্যের মতো। ভিতরে ভিতরে ঝড় ওঠে, কিন্তু শব্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। মনে হয়, যদি বলা যেত, যদি প্রকাশ করা যেত, তবে হয়তো মনের ভারটা একটু কমে যেত। কিন্তু কিছু অনুভূতি এমনই — তারা শুধু নিজের ভেতরেই বন্দি থাকে, দোলা দেয় হৃদয়ের গহীনে, ধীর লয়ে বয়ে চলে অদৃশ্য স্রোতের মতো।
- তোমার অনুপস্থিতি আমার দীর্ঘশ্বাস,
- আমার সারা অস্তিত্ব যেন শুধু অপেক্ষায় থাকা এক শূন্যতা।
কাউকে বোঝানোর ভাষা নেই, নেই কোন শব্দ, শুধু অনুভব। তাই হয়তো এই অনুভূতিগুলো অপ্রকাশিত থাকাই ভালো, সুরক্ষিত একান্ত নিজস্বতা।

23/10/2024

তোমার রক্তিম উষ্ণ উপস্থিতির পরশে চুকে যাক আমার শতক বৎসরের বিষন্নতা। 🖤

10/10/2024

একজন বলছে তোমার দুঃখের কারন কতগুলো?
আমি বললাম আকাশের তারা যতগুলো!!

চলো গুনে দেখি কতগুলো-
হঠাৎ কয়েকটা বৃষ্টির ফোঁটা পরলো গালে,হাতে।
না মুটেও অবাক হচ্ছি না, যখন তখন বৃষ্টি হতেই পারে!
কিছুক্ষণ পর-
ঝির ঝির বৃষ্টি পরছে-ত পরছেই,
মনে হচ্ছে আকাশেরও যেনো দুঃখ গুলো কষে কষে পরছে।

09/10/2024

যে আসে, সে যায় ফিরে ধূলায়,
তোমার!
মায়ার জালেতে কে'ই-বা পায় ঠাঁই?

স্মৃতির বাঁধনে জরিয়ে সব মন,
কে বা ছুটেছে, কে পায় জনম?

ধন-দৌলত, কেবল-এই নামের খেলা,
সবই যেন শুধু ক্ষণিকের মেলা।

24/09/2024

বুঝেছিলাম তোমার সকাল ভালো লাগে,
আমি ভোরের কাক হয়ে গেলাম।
আমি বুঝেছিলাম তোমার স্নিগ্ধ বিকাল ভালো লাগে,
আমি মৃদু হাওয়া হয়ে গেলাম।
বুঝেছিলাম নিস্তব্ধ রাত ভালো লাগে,
আমি জোছনা হয়ে গেলাম।
বুঝেছিলাম তোমার মেঘলা দিন ভালো লাগে,
আমি বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরলাম।
বুঝেছিলাম শীত ভালো লাগে,
কুয়াশার চাদরে ডেকে গেলাম।
আমি বুঝেছিলাম তোমার ফুল ভালো লাগে,
আমি সুগন্ধী হয়ে ছড়িয়ে পড়লাম।

বলো তোমার আর কি ভালো লাগে,
কখনো আমায় ভালো লাগে না, কখনোই না?

18/09/2024
15/09/2024

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিন, যা **মীলাদুন নবী** বা **মওলিদ** নামে পরিচিত, পালন করা নিয়ে কিছু কথা । কেউ কেউ এটিকে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ মনে করেন, আবার অনেকে এটিকে বিদআত বা ধর্মে নতুন প্রবর্তন বলে মনে করেন। এই বিষয়ে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে আলোচনা করা যাক।

# # # ১. **বিদআত (ধর্মে নতুন প্রবর্তন)**:
অনেক স্কলার মনে করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিন পালন বিদআত হিসেবে গণ্য হতে পারে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ), তাঁর সাহাবী এবং প্রথম তিন প্রজন্ম (সালাফ) কখনও মীলাদুন নবী পালন করেননি। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
> "যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করে যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।"
(সহিহ বুখারি: ২৬৯৭, সহিহ মুসলিম: ১৭১৮)

এখানে বলা হয়েছে যে ইসলামে নতুন কিছু যোগ করা উচিত নয়, যা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে করেননি বা অনুমোদন দেননি। সুতরাং, অনেক স্কলার মীলাদুন নবীকে বিদআত বলে মনে করেন।

# # # ২. **অমুসলিমদের অনুকরণ**:
হাদিসে বলা হয়েছে যে, অমুসলিমদের সংস্কৃতি বা তাদের অনুসরণ করা উচিত নয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন:
> "যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুকরণ করবে, সে তাদের মধ্যেই গণ্য হবে।"
(আবু দাউদ: ৪০৩১)

# # # ৩. **ইসলামের প্রাথমিক যুগে অনুপস্থিত**:
ইসলামের প্রথম যুগে, বিশেষ করে সাহাবা, তাবেঈন এবং তাবে-তাবেঈনদের যুগে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিন পালনের কোনো উদাহরণ নেই। যদি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রথা হতো, তাহলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ঘনিষ্ঠ অনুসারীরা অবশ্যই এটি পালন করতেন।

# # # ৪. **কোরআনের সাধারণ নির্দেশনা**:
কিছু স্কলার মনে করেন, কোরআনে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের নির্দেশনা রয়েছে, যেমন:
> "নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করেন, হে মুমিনগণ, তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করো।"
(কোরআন ৩৩:৫৬)

তাদের মতে, মীলাদুন নবী উদযাপন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের একটি উপায় হতে পারে, যদিও এটি নবী (সাঃ) এর সময়ে বা সাহাবাদের সময়ে প্রচলিত ছিল না।

# # # ৫. **ধর্মীয় উদযাপন সীমাবদ্ধ**:
অন্যদিকে, কিছু স্কলার মনে করেন, ইসলামে ধর্মীয় উদযাপনের দিন হিসেবে শুধুমাত্র দুইটি ঈদ নির্ধারিত হয়েছে: ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন:
> "আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দুই দিনকে আরো উত্তম দুই দিন দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছেন: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।"

03/08/2024

সমন্বয়কদের ভাতের হোটেলে খাওয়া দাওয়া করাইয়াও লাভ হইলো না।

ভরা পেটে এখন স্লোগান মারতাছে,
"এক দফা
এক দাবি "।

Address

Netrakona

Telephone

+8801927313897

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when F a k eツ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share