গ্রাম অঞ্চল-Gram Oncol

গ্রাম অঞ্চল-Gram Oncol আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ও-বা-রাকাতুহু।
আমাদের পেইজে স্বাগতম🤍

৩৮ বছর বয়সে এসেও রাস্তাঘাটে ইভটিজিংয়ের স্বীকার হতে হয় প্রায়শই। তাও, আবার নিজের সন্তানের  বয়সী ছেলেপেলেদের দ্বারা। ল...
19/02/2024

৩৮ বছর বয়সে এসেও রাস্তাঘাটে ইভটিজিংয়ের স্বীকার হতে হয় প্রায়শই। তাও, আবার নিজের সন্তানের বয়সী ছেলেপেলেদের দ্বারা। লজ্জায় এসব কথা কাউকে বলিও না। কিন্তু, আজ একটু বেশি বেশিই করে ফেললো কয়েকটা ছোকড়া। যা মুখে আসছিল বলে যাচ্ছিলো।

আমি প্রথমে ধমক দিলাম। কিন্তু, শেষে মাথা নিচু করে চলে এলাম। কারন, রাস্তায় আমি একা যাচ্ছি। আর এদের মধ্যে নূন্যতম ভদ্রতাও নেই!

বাড়ি ফিরে কি মনে করে সকল লজ্জা বিসর্জন দিলাম। আমার ১৫ বছর বয়সী ছেলেকে নিজের ঘরে ডাকলাম। বললাম, ‘জানিস বাবা! রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় প্রায়ই টিজিং এর স্বিকার হই। হয়তো কোন ছেলে শিষ বাজালো, কিংবা গান গেয়ে উঠলো। অথবা তার চেয়েও খারাপ কিছু ইঙ্গিত করলো। খুব কষ্ট হয় জানিস! ওরা এমন করে কি মজা পায়?’

বলতে বলতে নিজের অজান্তেই চোখে পানি চলে এলো।
দেখলাম আমার ছেলে রাগে কাঁপছে।

আমি বললাম,
- 'রাগছিস নাকি? তুই তো মেয়ে না। এতো রাগার কি আছে?'

ও বললো,
- 'কি যে বলো মা... তোমার সাথে এমন করেছে আমার তো রাগে গা পুড়ছে। ওদের পেলে খু'ন করবো আমি।'

আমি হাসলাম। বললাম,
- 'বাবা তুইও বড় হয়েছিস। পথে ঘাটে, বাসে অনেক মেয়ে দেখবি। কখনো তারা দূর্বল দেখে, একলা দেখে সুযোগ নিয়ে অশ্লীল কথা বলবি না। মনে রাখবি তারাও কারো না কারো মা-বোন হয়। তাদের যদি তুই টিজ করিস তাহলে তুই আর আজ আমাকে যারা আজ টিজ করায় তুই রেগে গেলি তাদের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই।

কোনো মেয়ে যদি খারাপও হয় তবুও তোর কোনো রাইট নেই যে তুই তাদের খারাপ উক্তি করবি। আমাকে আজকে কথা দে যাদের ব্যবহারে তোর মা'র চোখে পানি এসেছে তুই তাদের মতো হবি না।'

আমার ছেলে বললো,
- 'মা আমি কখনোই এমনটা করবো না। তোমার কি আমাকে এতো খারাপ মনে হয়?'

----
-----------
-----------------

আমার পাশের বাসার ১ প্রতিবেশীরও আমার ছেলের বয়সী ১টা ছেলে আছে। প্রায়ই ওদের ঘর থেকে ঐ ছেলের বিশ্রী ভাষায় করা গালিগালাজ আমি শুনতে পাই। ছেলেটা গালি দেয় তার বড় বোনকে, ছোট ছোট ব্যাপারে।

একদিন আমি ঐ বাসার ভাবীকে বললাম,
- 'আপনার ছেলে বড় বোনকে গালি দেয় আর আপনি কিছু বলেন না?'

উনি পান চিবোতে চিবোতে বললো,
- 'ছোট ছেলে একটু আধটু ভুল তো করবেই ভাবী!'

কয়দিন পর শুনি সেই ছেলে আছাড় মেরে ১২ হাজার টাকা দামের ১টা ফোন ভেঙেছে। কারন, সেটা নাকি কমদামি। সে আরো দামি ফোন চায়। আর বাবা কিনে দিতে রাজি নয় বলে সে রাগ করে এই ফোনটা ভেঙেছে।

আমি এবারও ছেলের মাকে বললাম,
- 'আপনার উচিত ছিলো ওকে কষিয়ে দুটো থাপ্পর মারা।'

উনি মুখ ঝামটা দিয়ে বললেন,
- 'পুরুষ হয়ে জন্মেছে, রাগ তো থাকবেই। মেয়েদের মতো হবে নাকি?'

আমি আর কিছুই বললাম না।

পাশাপাশি বাসা হওয়ার কারণে প্রায়ই ওদের ঘরের কথা আমার কানে আসতো। সেই ছেলেকে বলতে শুনতাম, ‘ঐ আমার শার্ট ধুয়ে দিস নাই কেন?’ , ‘আমার প্যান্টটা ধুয়ে দে তো।’ , ‘মা, এখনো রান্না হয়নি? কি বা** করো ঘরে বসে? খাবারও পাইনা টাইম মতো?’

আরো অনেক অনেক কথা। সে তার মা-বোনকে চাকরের মতো এসব অর্ডার করে। আমি ভারী অবাক হতাম। এতো কিছুর পরেও ওর মা ওকে সেরকম কিছুই বলতো না।উল্টা উনি আমাকে বলতো, ‘আমি কেন আমার ছেলে কে দিয়ে ঘরের কাজ করাই?’

যাইহোক, একবার সেই ছেলের নামে বিচারও আসলো। সে তার ক্লাসের ১টা মেয়েকে আজেবাজে কথা বলেছে।
তখনও ঐ ভাবী ছেলের পক্ষেই ছিলেন। আমাকে বললেন, ‘মেয়েটা বেয়াদপ। যেই রঙ-ঢং করে ঘুরে পোলাপাইন পিছনে লাগবে না? আমার ছেলের উঠতি বয়স ওকে আর কি দোষ দিব বলেন?’

আমি অবাক হয়ে বললাম,
- 'মেয়ে যদি অভদ্র হয় তাহলে তার বাবা-মা তাকে শাসন করবে। কিন্তু, আপনার ছেলে যে এত বড় অন্যায় করলো আপনি তাকে কিছু বলবেন না?'

উনি বললো,
- 'ধুরর, আপনার সাথে আমার কথাই মিলে না। কি এমন করেছে আমার ছেলে? আপনি বেশি ই নীতি কপচান।'

উনি আমার সাথে আর কথা বলতেন না।


এভাবে দিন যায়,বছর ঘুরে‌। আমার ছেলের নামে আমি কোনোদিন এমন বিচার পাইনি যে মেয়েদের অসম্মান করেছে। আর সেই প্রতিবেশীর ছেলে ইভটিজিং থেকে শুরু করে এখন ধ'র্ষনেও চলে গেছে।

প্রথমে উনি ছেলের দোষ ঢাকলেও এখন আর ঢাকেন না। বোধহয়, বুঝেছেন, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। সেই ছেলে কবার জেলেও গিয়েছে। আরো, নানান অন্যায়ের সঙ্গেই সে জড়িত।

এখন, তার মা কপাল চাপড়ান। বাবাও ছেলেকে খুব শাসন করে। কিন্তু, এখন শাসন করে লাভ কি? ১টা মাটির পুতুল বানাতে গেলে যদি শুরুতে ভুল শেইপ হয় তাহলে কুমার সেটাকে আবার ঠিক শেইপ দেয়। কারন, মাটি তখন নরম থাকে। কিন্তু, ১বার যদি পুতুল বানিয়ে শুকানোর পর চোখে পরে আকৃতি ঠিক হয়নি, তখন তা আর ঠিক করার উপায় নেই।

ছেলের মা এখন কেঁদে কেঁদে বলে,
- 'ভাবী ১টা জানোয়ার পেটে ধরেছিলাম!'

আমি বললাম,
- 'ভাবী মানুষের পেটে কখনো জানোয়ার হয় না। মানুষ ই হয়। সেই মানুষটাকে ছোট থেকে কখনো মাত্রাতিরিক্ত আদর, কখনো মাত্রাতিরিক্ত শাসন, কখনোবা ছোট ছোট অন্যায়কে প্রশ্রয় কিংবা অধিক প্রায়োরিটি দিয়ে তার পরিবারই তাকে জানোয়ারে পরিণত করে।'

পরিবার
#লেখনীতে - শাপলা

মুখে দাড়ি নেই কিন্তু নবীর সম্মানের প্রতি ভালোবাসা ছিলো আকাশ চুম্বি। যে ভালোবাসা তাঁকে ফাঁ*সির মঞ্চে তুলেছে। বলছিলাম ১৯২...
15/02/2024

মুখে দাড়ি নেই কিন্তু নবীর সম্মানের প্রতি ভালোবাসা ছিলো আকাশ চুম্বি। যে ভালোবাসা তাঁকে ফাঁ*সির মঞ্চে তুলেছে।

বলছিলাম ১৯২৩ সালের সেই কাঠ মিস্ত্রী ইলমুদ্দিনের কথা।

বর্তমান পৃথিবীতে বড্ড প্রয়োজন কাঠ মিস্ত্রি "ইলমুদ্দিনের" মতো একজন খাঁটি আশেকে রাসুল এর। এমন আশেকে রাসূলের আজ বড়ই অভাব।

যিনি ১৯২৩ সালে প্রিয় রাসুল(সাঃ) কে নিয়ে অবমাননাকারী "রঙ্গিলা রাসুল" বই প্রকাশ করার অ*পরাধে প্রকাশক রাজপালকে হ*ত্যা করে ফাঁ*সির কাষ্ঠে উঠেছিলেন। রাস্ট্রের সকল এডভোকেটগণ তার পক্ষে, তারা বলল ইলমুদ্দীন তুমি বলবে- তখন তোমার মাথা ঠিক ছিল না। কিন্তু তিনি তা না বলে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বললেন- "আমি স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে তাকে হ*ত্যা করলাম, কারণ সে রাসূল(সাঃ) কে রঙ্গিলা রাসূল বলে অপমান করেছে 😕 এই কারনে"...

পরে যখন এডভোকেটগণ জিজ্ঞাসা করলেন- তুমি এইভাবে বলেছ কেন? তিনি বলেন- "আমাকে স্বপ্নে রাসূল(সাঃ) বলছেন, ইলমুদ্দীন তারাতারি আসো আমি তোমার জন্য অপেক্ষায় আছি"।

তাঁর জানাজার ইমামতি করেছিলেন পৃথিবী বিখ্যাত বুজুর্গ আল্লামা জাফর আলি খান, খাটিয়া বহন ও লাশ দাফন করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত কবি আল্লামা ড. ইকবাল। কবরে লা/শ শায়িত কল্পে অশ্রুস্বজল নয়নে কবি আক্ষেপ করে বলেছিলেন "এই মুৰ্খ লোকটি আজ সকল শিক্ষিতদের ছাড়িয়ে গেলো।"

© সংগৃহীত

একটি বিলে ডিমান্ড চার্জ নিচ্ছে 50/25- টাকা।মিটার ভাড়া নিচ্ছে ১০/- টাকা।ভ্যাট নিচ্ছে ৪৮/- টাকা।বিলম্ব মাশুল ৪৮/-টাকা।অর্থ...
13/02/2024

একটি বিলে ডিমান্ড চার্জ নিচ্ছে 50/25- টাকা।
মিটার ভাড়া নিচ্ছে ১০/- টাকা।
ভ্যাট নিচ্ছে ৪৮/- টাকা।
বিলম্ব মাশুল ৪৮/-টাকা।
অর্থাৎ বিলটির উপর সর্বমোট অতিরিক্ত যোগ হয়েছে ১৫৬/- টাকা।

(১) প্রশ্ন হচ্ছে কেন ডিমান্ড চার্জের নামে এই ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে?
(২) মিটার তো গ্রাহকের টাকায় কেনা। নিজের টাকায় মিটার কিনে দশ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে কেন?

এ ভাবে কত দিন মিটার ভাড়া দিতে হবে? দু'এক মাস নাকি প্রতি মাসেই ?
নাকি সারা জীবন?
গ্রাহক প্রতি দশ টাকা করে নিলে এক লক্ষ গ্রাহক থেকে মাসে কত নেওয়া হচ্ছে?
এভাবে দেশের ৪৯০ টি উপজেলার গ্রাহকদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে?
অনুরূপ ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জ কত কোটি টাকা নেওয়া হচ্ছে?

সরকার নিচ্ছে ভ্যাট!
আর পল্লীবিদ্যুত নিচ্ছে ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, বিলম্ব মাশুল ইত্যাদি।
পল্লীবিদ্যুত এভাবে আর কতদিন
মানুষকে শোষন করবে?
এই শোষন থেকে কবে মুক্তি পাবে দেশের মানুষ?!!
© collect

একেই বলে গণতন্ত্র (Democracy)কোন এক হোস্টেলে ১০০ জন ছাত্র ছিল। তাদের টিফিনে প্রতিদিন "সিঙ্গাড়া" দেওয়া হত। কিন্তু ১০০ জন...
11/02/2024

একেই বলে গণতন্ত্র (Democracy)

কোন এক হোস্টেলে ১০০ জন ছাত্র ছিল। তাদের টিফিনে প্রতিদিন "সিঙ্গাড়া" দেওয়া হত। কিন্তু ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনই প্রতিদিন এই একই খাবার খেতে চাইতো না। তারা টিফিনে অন্য কিছু খাবারের জন্য হোস্টেল সুপারের কাছে আবেদন জানালো। কিন্তু বাকি ২০ জন প্রতিদিন সিঙ্গাড়াই খেতে চাইলো।

অবশেষে হোস্টেল সুপার ভোটের ব্যবস্থা করলেন এবং বললেন, যে খাবার সর্বাধিক ভোট পাবে সেই খাবারই প্রতিদিন টিফিনে দেওয়া হবে।

ভোটে দেখা গেলো, ওই ২০ জন ছাত্র প্রতিদিন সিঙ্গাড়ার পক্ষেই ভোট দিয়েছে।

বাকি ৮০ জন ভোট দিয়েছে ঠিক এভাবে -
ডালপুরি - ১৮ জন
পরোটা ও সবজি - ১৬ জন
রুটি ও ছোলার ডাল - ১৩ জন
মাখন পাউরুটি - ১১ জন
নুডুলস্ - ১০ জন
ভেজিটেবল রোল - ৭ জন
এগটোস্ট - ৫ জন

ফলাফলে সেই সিঙ্গাড়া সর্বাধিক ভোট পাওয়ায় টিফিনে প্রতিদিন সিঙ্গাড়া দেওয়াই চলতে লাগলো..!

¤ মরাল অফ দ‍্য স্টোরী হ'ল -
যতদিন ৮০ শতাংশ মানুষ নিজেদের স্বার্থপরতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত থাকবে, ততদিন ২০ শতাংশ মানুষই তাদের শাসন করবে।
Collected

**৭ম শ্রেণির শরিফ-শরিফার গল্পটা এরকমও হতে পারতো:- ** শরিফ আর শরিফা দুই ভাই-বোন...বাবা আর মায়ের সাথে ঢাকার বনানীতে বসবাস ...
27/01/2024

**৭ম শ্রেণির শরিফ-শরিফার গল্পটা এরকমও হতে পারতো:-
** শরিফ আর শরিফা দুই ভাই-বোন...বাবা আর মায়ের সাথে ঢাকার বনানীতে বসবাস করেন। স্কুলের ছুটি পেয়ে ঢাকা থেকে দাদু বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও বেড়াতে যাচ্ছে , এটাই তাদের প্রথম ট্রেন ভ্রমণ,তাই ওরা দুজনেই খুব উৎফুল্ল,শরিফ পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে আর শরিফা চতুর্থ শ্রেণিতে,শরিফ-শরিফার বাবা জনাব আশরাফ সাহেব রাজধানীর স্বনামধন্য ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক.....

ময়মনসিংহগামী -মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়দেবপুর রেলস্টেশনে থামলে একদল হিজড়া//তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ট্রেনটিতে উঠে, ট্রেনের জানালার কাঁচ দিয়ে সে দৃশ্য দেখে শরিফ ও শরিফা,, দুই ভাই-বোনই ওদের দেখে খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে । 'মানুষগুলো মেয়েদের মত দেখতে,কিন্তু অনেক লম্বা,ঠোঁটে কড়া লিপস্টিক লাগানো,মুখেও অনেক মেকাপ,দেখতে কেমন যেন একটু অদ্ভুত লাগে। ওরা সবচেয়ে অবাক হয়,মেয়েদের মত দেখতে হলেও ওদের গলার আওয়াজ ঠিকই ছেলেদের মত...শরিফা ভয় পেয়ে মায়ের আঁচলে লুকোতে চায়...কৌতুহল জাগে শরিফের মনে...সে বাবাকে জিজ্ঞেস করে,'বাবা, কে এরা তাদের দেখতে এমন কেন ?'

আশরাফ সাহেব বলেন,'ওরা তোমার আমার মতই স্বাভাবিক মানুষ...সৃষ্টিকর্তা তোমাকে যেমন ছেলে বানিয়েছেন...তোমার ছোট্ট বোনটাকে যেমন মেয়ে বানিয়েছেন...তেমনি সৃষ্টিকর্তা ওদেরও এক বিশেষভাবে বানিয়েছেন, ওরা ছেলেও না,আবার মেয়েও না, ওদের বলা হয় থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ'

বাবা-ছেলের এই প্রশ্নোত্তর পর্ব চলতে চলতেই সেই হিজড়াদের দলের একজন ওদের কাছে আসে, কিছুটা পুরুষের মত ভাঙ্গা গলা সুরে টাকা দিয়ে সাহায্য করতে বলে শরিফের বাবাকে, ...শরিফের বাবা আশরাফ সাহেব পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট শরিফের হাতে দিয়ে বলেন,'নাও বাবা,এটা আন্টিকে দাও'...শরিফ ভয়ে ভয়ে টাকাটা হিজড়া মানুষটির দিকে বাড়িয়ে দেয়, টাকা নিয়ে মুচকি হাসি দেয় সে হিজড়া মহিলা, শরিফের গাল টেনে আদর করে দিয়ে বলে,'অনেক বড় হও বাবা'আর শরীফার দিকে চেয়ে মুচকি হেসে দিল...

এক পর্যায়ে চলে যায় হিজড়ার দল অন্য এই বগি থেকে অন্য বগিতে । কিন্তু কৌতুহল তখনও কাটেনি শরিফের,আবারও শরিফ জিজ্ঞেস করে তার বাবাকে,'আচ্ছা বাবা,ওরা যদি আমাদের মত স্বাভাবিক মানুষ হয়,তাহলে ওরা ট্রেনে ট্রেনে এভাবে ভিক্ষা করে কেন ?

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শরিফ-শরিফার বাবা সুন্দর করে তার দুই ছেলে-মেয়েকে বুঝিয়ে বলেন,'ওরা আমাদের মত স্বাভাবিক মানুষ হলেও স্বাভাবিক মানুষের মত কাজ করার সুযোগ তেমন একটা ওরা সমাজে পায় না ,ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুযোগও ওদের তেমন নেই ,, সমাজে কিছু মানুষ ওদের দূর দূর করে, বেশিরভাগ মানুষ তাদের দিকে আর চোখে তাকিয়ে থাকে। ওরা যদি সমাজে আট দশটা ছেলে মেয়ের মত সব জায়গায় সমান তালে পড়ালেখা ও চাকুরি করার সুযোগ পেত,,তাহলে ওদের ট্রেনের বগিতে, বগিতে এভাবে ভিক্ষা করার প্রয়োজন হত না। তাহলে তোমার মত বাবা-মার আদর স্নেহ পেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পারত। সমাজের কিছু মানুষের কারণে তারা আজ সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন।

এ কথা শুনে শরিফ এবং শরিফা দুঃখ প্রকাশ করে বাবা-মায়ের কাছে ওরা বলে,ওরা বড় হয়ে তৃতীয় লিঙ্গের এই অবহেলিত মানুষদের শিক্ষার ব্যবস্থা করবে আর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে, শরিফ-শরিফার বাবা-মা এই কথা শুনে খুব খুশি হয়‌ । বাবার সাথে শরীফ শরিফা হিজড়াদের নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলতে বলতে ট্রেনটি এসে গফরগাঁও স্টেশনে থেমে যাই পরে তারা ট্রেন থেকে নেমে দাদুর বাড়িতে চলে যায়।...................
বিঃদ্রঃ- আমাদের দেশে শিক্ষার চেয়ে গুজবের শক্তি বেশি, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শব্দ ও ভাষার ব্যবহারে আরও যত্নশীল হওয়া উচিত, এসবের কারণে আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে , ভবিষ্যতে যেন কেউই এই পুস্তকের ভুল ব্যাখ্যা না দিতে পারে.....

.......সাব্বির রায়হান.......
Journalist :- ATV আনন্দ টিভি

15/01/2024

#বাংলাদেশের_চলচিত্রের_বাস্তবতা #অনুপ্রেরণার

15/01/2024

কোথায় নিয়ে গেছে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রী আমাদের শিক্ষার্থীদের চলেন বিনোদনের মাধ্যমে দেখে আসি!!

ছাত্রের ফেলের খবর দেয়া শিক্ষকের সাথে ছাত্রের বাবার দারুণ কথোপকথন:-আপনি কি খালেদ আলম ?- জ্বি,  বলছি।-ফাহাদ আলম কি আপনার ছ...
10/01/2024

ছাত্রের ফেলের খবর দেয়া শিক্ষকের সাথে ছাত্রের বাবার দারুণ কথোপকথন:

-আপনি কি খালেদ আলম ?
- জ্বি, বলছি।
-ফাহাদ আলম কি আপনার ছেলে?
-জ্বি, আপনি কে বলছেন?
-আমি আপনার ছেলের ইউনিভার্সিটি থেকে বলছি। মাহবুবুল হক। হেড অফ ডিপার্টমেন্ট।

-ও, আচ্ছা। কেমন আছেন, স্যার?
- জ্বি, ভালো। আপনার ছেলে সম্পর্কে কিছু কথা বলার ছিল। ও তো কিছুদিন আগে থার্ড সেমিস্টার শেষ করেছে। সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে দুই দিন আগে। আপনার ছেলে দুই কোর্সে ফেল করেছে। আপনাকে কি বলেছে?
- জ্বি, বলেছে।

-আমাদের ইউনিভার্সিটিতে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। ফেল করলে আমরা ছাত্রদের আবারও পরীক্ষায় বসে পাস করার সুযোগ দেই। এরপরও ফেল করলে ইউনিভার্সিটিতে রাখার নিয়ম নেই।
-তা এসব আমাকে কেন বলছেন?

থতমত খেয়ে গেলেন ও প্রান্তের ব্যক্তি।
-না, মানে, আমি বলছিলাম আপনার ছেলে ফেল করেছে। আপনার কি উচিত না তার পড়াশোনার প্রতি খেয়াল রাখা?
-আমাকেই যদি তার পড়াশোনার দায়ভার নিতে হয়, তাহলে আপনি কী জন্যে আছেন?
-না, মানে আমি বলছিলাম আপনি কাউন্সেলিং করতে পারেন, বোঝাতে পারেন।
-অবশ্যই আমি তার সাথে কথা বলতে পারি। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে আপনি কি তার সাথে কথা বলেছেন?
-মানে? বুঝলাম না!
-আমি বলতে চাইছি, আমার ছেলে যে ফেল করল, গলদটা কোথায় বোঝার চেষ্টা করেছেন কি? দোষ পুরোটা কি ওর একার? আপনার কোনও দায়ভার নেই?

-কী বলতে চাইছেন আপনি?
-দেখুন, স্যার, খুব স্পষ্ট আর সহজ ভাষায় বলছি। এভাবে ছাত্রের ব্যর্থতায় সরাসরি মা-বাবাকে তলব করার আগে আপনাদের পাঁচবার ভাবা উচিত। পড়াশোনার জন্য ছেলেকে পাঠিয়েছি আপনাদের কাছে। তাকে পড়াতে না পারার, পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে না পারার, সফলতার পথ দেখাতে না পারার ব্যর্থতাটুকু পুরোপুরি আপনাদের। বাবা-মা কোনও শিক্ষক নন যে এসব পালন করবেন। এ দায়িত্বটুকু পালনের ভার আপনাদের উপরে দেয়া হয়েছে। কই, বেতন তো ঠিকই নেন। ছাত্রের সফলতারও ভাগ চান। তাহলে ব্যর্থতার ভার কেন শুধু ছাত্র আর মা-বাবার ওপরে চাপবে?

-আমি আসলে ওভাবে বুঝাতে চাইনি।
-কোনওভাবেই বোঝানোর দরকার পড়ত না, যদি যথাযথ শিক্ষকের দায়িত্ব আপনারা পালন করতে পারতেন।
-আমি রাখছি।
- দাড়ান । আপনার বাবার ফোন নম্বরটা পাঠিয়ে দেন।
-মানে? কেন?
-ব্যর্থ ছাত্রের পিতাকে ফোন করে যে দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন, ব্যর্থ শিক্ষকের বাবাকে ফোন করে আমিও একই দায়িত্ব পালন করতে চাই!

Collected

 #বুড়ো_মানুষের_মূল্য ______শিক্ষনীয় গল্প I have reached 500 followers! Thank you for your continued support. I could not...
05/01/2024

#বুড়ো_মানুষের_মূল্য ______শিক্ষনীয় গল্প

I have reached 500 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉
Menu


বুড়ো মানুষের মূল্য - #শিক্ষামূলক গল্প #অনুপ্রেরণার গল্প, শিক্ষামূলক গল্প

কোন এক দেশে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। রাজা ভাবলো, দেশের মানুষ কমাতে হবে। তবেই অভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। রাজা এক অদ্ভুত আইন জারি করলো, যে সব বুড়ো বাবা-মা কাজ করতে পারে না, কেবল শুয়ে বসে খায়, তাদেরকে বনে ফেলে আসতে হবে। কি আর করা যায়, আইন না মানলে যে প্রাণ যায়। তাই লোকজন তাদের বুড়ো বাবা-মাকে পাহাড়ের ধারে বনে ফেলে আসতো। বুড়ো- বুড়িরা সেখানে না খেয়ে মরতো, কিংবা যেতো বাঘের পেটে।

বুড়ো-বুড়িদের বনবাসে না পঠিয়ে উপায় ছিলনা। প্রহরীরা ঘুরে ঘুরে দেখতো কারা আইন অমান্য করেছে। বুড়ো- বুড়িকে বসিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে জানতে পারলেই, প্রহরীরা বাড়ির কর্তাকে ধরে নিয়ে যেতো। তার মাথাটা কেটে ফেলতো ঘ্যাচাং করে। বুড়ো-বুড়িকেতো বনবাসে পাঠাতোই।

একটি ছেলে তার বাপকে খুব ভালোবাসতো। বাপও তার ছেলেকে প্রাণের চেয়ে বেশী ভালবাসতো। তবুও রাজার ভয়ে বাপকে বনবাসে যেতে হবে। কারণ সে কাজ করতে পারেনা। গায়ে শক্তি নেই, লাঠি ভর দিয়ে হাঁটে। ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাপকে কাধে নিলো। তারপর চললো বনের দিকে। বাপের মনেও নানা চিন্তা। নিজে মরে গেলেও, ছেলে কেমন করে বেঁচে থাকবে–এই চিন্তায় তার কান্না পেলো।

ছেলে হাঁটছে বাপকে কাঁধে নিয়ে। বাপ গাছের ছোট ডাল ভেঙে পথে ফেলছে। ছেলে যাতে ঠিকভাবে বাড়ি ফিরতে পারে, বাপ তাই ভাঙ্গা ডাল ফেলে পথের চিহ্‌ রাখছে। পথেতো বাঘ ভালুকের অভাব নেই। ছেলের যদি বিপদ ঘটে | বাপ ছেলের হাতে তুলে দিলো একটি কচি ডাল। বললোঃ বাবা, আমি সারা পথে এ রকম ডাল ফেলে এসেছি। তুমি সে সব ভাঙ্গা ডাল দেখে বাড়ি যেয়ো। অন্য পথে গেলে বাঘের কবলে পড়বে।

বাপ তাকে এত ভালবাসে–এ কথা ভাবতেই ছেলের আরো কান্না পেলো। সে থমকে দাঁড়ালো। বললোঃ বাবা, আমি তোমাকে ফেলে বাড়ি যাবো না। তোমাকে নিয়েই বাড়ি যাবো। আমি রাজার আইনকে ভয় পাই না। বাপ বললোঃ বাবা, তোর যে ক্ষতি হবে। ছেলে বললোঃ বাবা, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না৷ ছেলের মনের জোর দেখে বাপ আর কিছু বলতে পরলোনা। ছেলের কাঁধে চড়ে বাড়ি ফিরে এলো।

ছেলে বাড়ির পেছনে একটা বড় গর্ত তৈরি করে বাপকে সেখানে লুকিয়ে রাখলো। পাড়ার লোকেরা যাতে জানতে না পারে, সে জন্য সে গোপনে বাপকে খাবার দিতে লাগলো। ছেলে যা রোজগার করে, সামান্যই নিজে খায়। বাপ কেমন করে সুখে থাকবে, এই তার চিন্তা। সে বাপকে কোন দিন পোলাও কোরমা, কোন দিন দুধ ছানা খেতে দিলো। কোনদিন দূরের বাজার থেকে নিয়ে এলো আপেল আঙ্গুর। খেতে দিলো বাপকে। এ ভাবে ছেলের হৃদয়ের ছোঁয়া পেয়ে গুহার মধ্যে থেকেও বাপের মনে হলো, সে স্বর্গে বাস করছে।

একদিন রাজার ঢাকীরা ঢাক পিটিয়ে ঘোষণা করলোঃ ছাই দিয়ে দড়ি বানাতে পারলে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। দেশের যত লোক শত চেষ্টা করেও ছাই দিয়ে দড়ি বানাতে পারলোনা।

ছেলে বাপের কাছে গিয়ে বললোঃ বাবা, রাজা ছাইয়ের দড়ি চেয়েছে। পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেবে। এই দড়ি কেমন করে বানানো যায়? বাপ কতক্ষণ ভাবলো। তারপর বললোঃ একটা লম্বা কাঠের এ মাথা ও মাথায় একটা দড়ি টান করে বেঁধে নাও। তারপর দড়িটা পুরে ছাই করে ফেলো। দেখবে ছাইয়ের দড়ি হয়েছে। ছেলে বাপের বুদ্ধিমত তাই করলো। সুন্দর পাকানো ছাই এর দড়ি হয়ে গেলো। ছেলে দেখালো রাজাকে। রাজা খুশী হয়ে গেলো। ছেলেকে পুরস্কার দিতে চাইলো। ছেলে বললোঃ মহারাজ, আপনার আশির্বাদই যথেষ্ট, আমি টাকা চাইনা।

কিছুদিন পর রাজার ঢাকীরা আবার ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করলোঃ রাজবাড়িতে দশ হাত লব্বা একটা কাঠ আছে। এই কাঠের কোন্টি আগা, কোনটি গোড়া যে বলতে পারবে, তাকে দেয়া হবে দশ হাজার টাকা পুরস্কার। পুরস্কারের লোভে লাখ লাখ লোক গিয়ে হাজির হলো রাজবাড়িতে। সবাই দেখলো কাঠখানা। কেউ হাত দিয়ে ওজন করে দেখলো, কেউ টোকা দিয়ে দেখলো। কেউবা দেখলো গন্ধ শুঁকে। কেউবা বললো যে এটা আগা, কেউবা বললো, ওটা গোড়া। কিন্তু.কেউ প্রমাণ দিতে পারলোনা রাজাও প্রমাণ না পেয়ে খুশী হলোনা।

ছেলে বাপকে খুলে বললো সব কথা। বাপ বললোঃ এটাতো সহজ বাবা। কাঠটা পানিতে নামিয়ে দাও। যে মাথা ডুবুডুবু দেখবে সেটাই গোড়া, যে মাথা উঁচু সেটা আগা।

বাপের বুদ্ধি নিয়ে ছেলে গেলো রাজবাড়িতে। গিয়ে দেখলো, লাখ লাখ লোক কাঠখানা নিয়ে টানাটানি করছে। কেউ বলছে, আমার কথা ঠিক, কেউবা বলছে, তোমার নয়, আমার কথা ঠিক। ছেলে রাজার লোকদের বললোঃ আসল জবাব আমি দিতে পারি। প্রমাণও দিতে পরি।

সবাই বল্‌লোঃ দেখাও দেখি কোনটা আগা, কোনটা গোড়া। ছেলে কাঠখানা নিয়ে দীঘির পানিতে ফেললো। কাঠের একদিক উঁচু, অন্যদিক নীচু দেখা গেলো। ছেলে সহজেই বলে দিলো কোনটি আগা আর কোনটি গোড়া। লাখ লাখ লোক বিশ্মিত হলো। রাজাতো মহাখুশী। রাজা ছেলেকে দশ হাজার টাকা পুরস্কার দিতে চাইলো।

ছেলে বললোঃ মহারাজ, আমি টাকা চাইনা । আপনার আশির্বাদই আমার পুরস্কার।

ছেলেটির লোভ নেই দেখে রাজা ভারী খুশী হলো। আবার একদিন ঢাকীরা ঢাক পিটিয়ে ঘোষণা করলোঃ এমন ঢোল কে বানাতে পারে, যা না বাজালেও বাজবে। যে বানাতে পারবে, তাকে বিশ হাজার টাকা পুরস্কার। মোটা পুরস্কার। মেতে উঠলো সারা দেশ। হাজার হাজার ঢোল এলো রাজবাড়িতে। ঢোল এলো মোটা, লম্বা, খাটো, ঢাউস — নানা রকমের। ঢোল যাতে বিনা বাজনায় বাজে, সে জন্যে ঢোলের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হলো নানা কলকাঠি। কিন্তু কারুর ঢোলই রাজার পছন্দ হল না। কারণ এসব ঢোল বিনা বাজনায় বাজেনা।

ছেলে বাপকে খুলে বললো সব কিছু। বাপ তাকে চামড়া কিনে আনতে বললো। গাছ থেকে মৌমাছিসহ চাক ভেঙ্গে আনতে বললো। ছেলে বাপের কথা মত কাজ করলো। বাপ মাটির ঢোল বানিয়ে তার মধ্যে হাজার হাজার মৌমাছি ঢুকিয়ে দিলো। চামড়া দিয়ে বন্ধ করে দিলো ঢোলের মুখ। ছেলে ঢোল নিয়ে ছুটে গেলো রাজবাড়িতে।

রাজার হাতে ঢোল তুলে দিয়ে বললোঃ মহারাজ, এই আমার ঢোল নিন। বাজনা ছাড়াই বাজে।

আসলে হাজার হাজার মৌমাছি গুণ্‌ গুণ করে গান গাইছিল আর ঢোলের চামড়ায় আঘাত করছিল। তাই ভেতরে কেমন একটা ঝম্‌ ঝম্‌ শব্দ হচ্ছিল। শুনে মনে হলো, বিনা বাজনায় ঢোল বাজছে। রাজা এই ঢোল দেখেতো মহাখুশী। সে ছেলকে চিনতে পারলো। ছেলেকে আগের পুরস্কারসহ চল্লিশ হাজার টাকা দিতে চাইলো। ছেলে তা নিতে চাইলোনা।

বললোঃ আমি টাকা চাইনা । আপনার আশির্বাদই আমার পুরস্কার।

রাজা ছেলেটিকে কাছে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ তুমিতো পর পর তিনটি রহস্যের সমাধান দিলে। তুমি এত বুদ্ধি কোথায় পেলে?

ছেলে বললোঃ মহারাজ, আপনি অভয় দিলে বলতে পরি।

রাজা বললোঃ তুমি নিশ্চিন্তে বলতে পারো।

ছেলে বললোঃ তিনটি রহস্যেরই সমাধান দিয়েছেন আমার বাবা। তার কাছ থেকে বুদ্ধি নিয়েই আমি সমাধানগুলো আপনার কাছে হাজির করেছি। ছেলে বাপকে বনবাসে না দিয়ে কি করে ফিরিয়ে আনলো, গুহায় রাখলো, সে কথা খুলে বললো রাজাকে। রাজা একটুও রাগ করল না। বুঝতে পারলো মানুষ বুড়ো হলে হলে জ্ঞানী হয়। অনেক বুদ্ধির অধিকারী হয়। বুড়োদের জ্ঞানবুদ্ধি সমাজের উপকারে আসে। তারা না থাকলে সমাজ অচল হয়ে পড়ে।

রাজা এবার আইন জারি করলোঃ বুড়ো বাপ-মাকে বনবাসে পাঠানো যাবে না। রাজা ছেলেকে দু’লাখ টাকা পুরস্কার দিলো। ছেলে তার বাপকে গুহা থেকে বের করে আনলো। মহা সুখে বসবাস করতে লাগলো। দেশের অন্যসব লোকও বুড়ো বাপ-মাকে নিয়ে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে লাগলো।

POPULAR POSTS

-

বুড়ো মানুষের মূল্য - শিক্ষামূলক গল্প





-
FACEBOOK

CATEGORIES
অনুবাদ গল্প
অবাক বিশ্ব
ইসলামিক গল্প
উক্তি ও বাণী
কিশোর গল্প
গোয়েন্দা গল্প
জানা অজানা
ধর্ম ও জীবন
বাণী ও কথা
ভৌতিক গল্প
মজার গল্প

রাতে বউয়ের সাথে তুমুল ঝগড়া করেছি !!😤ওকে  বলেছি "তুমি যদি মানুষের বাচ্চা হও তাহলে আমার সাথে কথা বলবে না"ব্যাস, কাজ হয়ে...
31/10/2023

রাতে বউয়ের সাথে তুমুল ঝগড়া করেছি !!😤
ওকে বলেছি "তুমি যদি মানুষের বাচ্চা হও তাহলে আমার সাথে কথা বলবে না"

ব্যাস, কাজ হয়েছে,আর কথা বলে না।খালি রাগে ফোলে। সারারাত নাক টেনে কান্না করছে...

না নিজে ঘুমাচ্ছে না আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে।🥲

সকালে খেতে বসে দেখি আজব কান্ড, আমার খাওয়ার পাশে খাতা কলম রাখা।
বললাম এগুলা কি..?🤔

বউ তার খাতায় কি জানি লিখলো
তারপর আমাকে দেখালো!

আমি পড়লাম। তাতে লেখা আছে..."আমি মানুষের বাচ্চা, তাই কোনোও কথা নাই"

আজব কাহিনি___☹️
যাই হোক...... সে আমাকে মাংস দিলো ৩ পিস, আমি খাতায় লিখলাম, "২ পিস দাও"😤🙄

খাওয়ার মাঝে লিখলাম,"পানি দাও"।

রাতে ঘুমানোর আগে আমি শুয়ে আছি,সে গুন গুন করে গান গাইছে আর চুল আঁচড়াচ্ছে।🗣️🧏

কি চমৎকার দৃশ্য আমি খাতায় খস খস করে লিখলাম "প্রিয় জানু, আগামিকাল সকাল ৮ টায় আমার অফিসে একটা জরুরী মিটিং আছে,🙂

প্লিজ সকাল ৭ টায় ডেকে দিও।🥺
চিঠি টা বউয়ের হাতে দিয়ে আমি ঘুমিয়ে গেলাম।🧖😕

ঘুম থেকে উঠে দেখি ৯টা ৩৫,😳
চিৎকার দিয়ে উঠে বসছি। এইটা কি......? 🤔

পাশ ফিরে দেখি বউ নাই।😲

বউয়ের জায়গায় একটা চিঠি,📝
তারাতাড়ি করে খুলে দেখি,বউ চিঠিতে লেখে রেখেছে-- ওগো শুনছো সকাল সাড়ে ৭টা বা"জে প্লিজ উঠো তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে!!!😂

স্বামী: বেহুশ🙄

নানাকে আটকে যেভাবে তাঁর নাতনিকে বিয়ে করেছিলেন জসীম উদ্​দীনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল্লাহ সাহেবের সঙ্গে এক দাওয়াতে...
27/10/2023

নানাকে আটকে যেভাবে তাঁর নাতনিকে বিয়ে করেছিলেন জসীম উদ্​দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল্লাহ সাহেবের সঙ্গে এক দাওয়াতে গেলেন কবি জসীমউদ্​দীন। সেখানে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়লেন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর।

কবির বয়স যেন হুট করেই কুড়ি বছর কমে গেল। হৃদয়ে আনচান শুরু হলো। এ পর্যায়ে নানাভাবে মমতাজ বেগম নামের ওই কিশোরীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেন তিনি। মমতাজের পিত্রালয় ফরিদপুর, কিন্তু তখন তিনি ঢাকায়, নানাবাড়ি থেকে পড়াশোনা করেন।

মমতাজের প্রেমে জসীমউদ্​দীন যখন দেওয়ানা, তখন কিশোরী মেয়েটি কি তা বোঝে? অগত্যা মমতাজের নানা মৌলভি ইদ্রিস মিয়াকে নানাভাবে বশে আনার চেষ্টা চালালেন কবি। বিভিন্ন অজুহাতে ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করলেন। মৌলভি সাহেব কাব্যপ্রেমী মানুষ ছিলেন। তাই তাঁর বাড়িতে কবির আনাগোনাকে স্বাভাবিকভাবেই নিলেন। এভাবে এক দিন, দুই দিন করে মমতাজের ঘর অবধি পৌঁছে গেলেন জসীমউদ্​দীন এবং তাঁকে অবাক করে দিয়ে টেবিল থেকে খাতা নিয়ে লিখলেন:

‘আমারে করিও ক্ষমা
সুন্দরী অনুপমা
তোমার শান্ত নিভৃত আলয়ে
হয়তো তোমার খেলার বাসরে
অপরাধ রবে জমা
আমারে করিও ক্ষমা।’

মমতাজ এবার কবির আকুতি বুঝতে পারলেন। নিজের অজান্তেই তাঁর প্রেমে ডুবে গেলেন। এ প্রসঙ্গে নিজের স্মৃতিকথায় বেগম মমতাজ লিখেছেন, ‘ভদ্রলোক তো আমারে দেখার পর নানা দিক থেইকা আমার নানাভাইকে হাত করার জন্য লাইগা গেল। অনেককে দিয়া সুপারিশ করতে লাগল। ওই যে আমারে দেখল, আমার রূপ তার মনে ধইরা নিল। কবি তো!’

কিছুদিন যেতে না যেতেই নানা মৌলভি ইদ্রিসের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন জসীমউদ্​দীন। এরপর মৌলভি সাহেব যখন বুঝলেন এ বিয়েতে তাঁর নাতনিও রাজি, সে সময় তাঁর রাজি না হওয়ার তো কোনো কারণই নেই, মিয়া-বিবি রাজি তো কিয়া করেগা কাজি।

কিন্তু বাদ সাধলেন মমতাজের বাবা মোহসেনউদ্দিন। তিনি কিছুতেই এই ভবঘুরে কবির কাছে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। একে তো তাঁর বয়স বেশি, তার ওপর চেহারাও কৃষ্ণবর্ণ। এ অবস্থায় দীর্ঘ এক চিঠি লিখলেন তিনি মৌলভি ইদ্রিসের কাছে, ‘আপনি কি পাগল হইয়া গেলেন! এই লোকটা (জসীমউদ্​দীন) পাগল। চরে ঘুরে বেড়ায়। গান গেয়ে বেড়ায়। ভাবের গান, আধ্যাত্মিক গান, মুর্শিদি গান। গানের মজলিশে সারা রাত কান্নাকাটি করে মাটিতে গড়াগড়ি খায়। এই রকম ছেলের সাথে বিয়া দেবেন? তার চাইতে নাতিনকে পদ্মায় ফালাইয়া দেন।’

চিঠি পাওয়ার পর উভয়সংকটে পড়লেন ইদ্রিস সাহেব। তাঁর নিজেরও কবিকে খুব পছন্দ হয়েছিল। তা ছাড়া পাত্র তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকও বটে।

অতঃপর পাত্র সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে বের হলেন ইদ্রিস সাহেব। কিন্তু নিউমার্কেট এলাকায় কবির মেসের সামনে গিয়ে ‘ধরা’ খেয়ে গেলেন তিনি, তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে খুব আপ্যায়ন করলেন জসীম। পরে বললেন, ‘আমার কাছে নাতিন বিয়া দিবেন কি না, কথা দিয়া যাইতে হইব। নইলে আইজকা আপনাকে ছাড়ুম না।’ একবেলা আটক থাকার পর নাতনি বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মুক্তি মিলল মৌলভি ইদ্রিসের।

ছাড়া পেয়ে বিয়ের বন্দোবস্ত শুরু করলেন ইদ্রিস সাহেব, ১৯৩৯ সালে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো জসীমউদ্​দীন ও বেগম মমতাজের বিয়ে। রবীন্দ্রনাথসহ সব বড় সাহিত্যিকই সেই বিয়েতে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন।

সূত্র: শতবর্ষে জসীমউদ্​দীন বইয়ে প্রকাশিত বেগম মমতাজ জসীমউদ্​দীনের লেখা ‘আমার কবি’

প্রথম আলো পত্রিকা- ২২ জুলাই ২০২২ প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করন
#সংগীত

20/10/2023

চাষার ছেলে বিদ্যা শিখে আসলো ফিরে গাঁয়
চোখের চশমা মাথায় দেওয়া ডিসকো জুতা পায়।
এমন ভাবে তার ভেতরে বিদ্যা গেছে ঢুকে
কথায় কথায় এখন শুধু ইংরেজি তার মুখে।
বিদ্যা শিখার এমন প্রভাব পড়ছে তাহার মাঝে
সবার সাথে মিশতে এখন পারে না আর লাজে।
সবার সাথে মিশতে গেলে মনে লাগে ভয়
চাষার সাথে চলবে বাবু তা কি করে হয়!
ঐ তো সেদিন বলল তারে তাহার বড় ভাই
ধান পেকেছে আয়রে ক্ষেতে ধান কাটিতে যাই।
বাবু বলে বলছ কি ভাই! ছি ছি, ছি ছি ,ছি
আমি ক্ষেতে কাজ করিলে বলবে লোকে কি!
এত পড়ে এখন যদি কাস্তে হাতে লই
তুমিই বল পড়াশোনার দাম থাকে আর কই!
ওই তো সেদিন বাবু সাহেব বাজার করতে গিয়ে
যন্ত্রণাতে পড়ল তাহার মর্যাদা মান নিয়ে।
মাঝ বাজারে এটা সেটা কিনছে যখন বাবু
দেখলো তারে ছোট্ট বেলার বন্ধু হেলাল-হাবু।
বহুদিন পর ছোট্ট বেলার সাথীর দেখা পেয়ে
হেলাল-হাবু বক্ষে চেপে ধরল তারে যেয়ে।
হেলাল-হাবু কেঁদে বলে কেমন আছিস ভাই
চল গিয়ে ঐ চা দোকানে একটু চা পান খাই।
চল গিয়ে ঐ কালো চাচার টং দোকানে বসি
ছোট্ট বেলার মত করি ঝগড়া হাসাহাসি।
বাবু বলে না রে দোস্ত তোরা দুজন যা
বুঝিস না কেন এসব এখন আমার সাজে না।
এখন যে দোস্ত কারি কারি বিদ্যা আমার ঘাড়ে
চাইলেও আমি যেথায় সেথায় বসতে পারি না রে।
শিক্ষার অহংকার
লেখক: Mannan Daily Live
#কবিতা #কবিতা

©...Copy post.

18/10/2023

আজিমপুর থেকে "বিকাশ" বাসে উঠে উত্তরায় যাচ্ছি। নিউমার্কেট থেকে একটা মেয়ে উঠে আমার পাশের সিটে বসলো। মনে মনে পুলকিত হয়ে নড়েচড়ে বসলাম। পকেট থেকে মোবাইল বের করে অনলাইনে গেলাম। বাস চলছে থেমে থেমে, কখনো জ্যাম আবার কখনো যাত্রী আশায় ইচ্ছে করে বাস থামিয়ে অপেক্ষা করছে ড্রাইভার।

অন্যসময় হলে রাগ উঠতো, কিন্তু আজ কেন জানি রাগ হচ্ছে না। দেরিতে পৌঁছাক তবুও যেন কোনো সমস্যা নেই আমার।

বিজয় সরণী পার হলাম। কন্ডাক্টর এসেছে ভাড়া নিতে। হঠাৎ করে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। আমি বললাম,

--- " একটু পরে দিচ্ছি, পিছন থেকে ঘুরে আসুন। "

মেয়েটা স্টুডেন্ট তাই হাফ ভাড়া দিয়েছে। আমি মোবাইল কানের কাছে নিয়ে মিছামিছি বলতে লাগলাম,

--- " দোস্ত একটা বিপদ হয়েছে, সম্ভবত আমার মানিব্যাগ পকেটমার হয়ে গেছে। এখন তো আমি বাসের ভিতরে আছি, কীভাবে যে ভাড়া দেবো সেটাই বুঝতে পারছি না। পাশের সিটে কোনো পুরুষ থাকলে নাহয় ৪০ টাকা ধার করে ভাড়াটা দিয়ে আসতাম। পরে ফ্লেক্সিলোড করে দিতাম। কিন্তু আমার পাশে একটা সুন্দরী মেয়ে বসে আছে। সুন্দরী মেয়ের কাছে টাকা ধার চাইবো কীভাবে বল তো? "

একা একা এরকম আরো কিছু বকবক করে মোবাইল রেখে দিলাম। কিছুক্ষণ পর পিছন থেকে কন্ডাক্টর এলো, পাশের সিটের মেয়েটা ৪০ টাকা তার হাতে দিয়ে দিলো, মানে আমার ভাড়া।

আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম,

--- ধন্যবাদ ম্যাডাম।

--- ধন্যবাদ দিতে হবে না, বাসায় গিয়েই টাকাটা ফ্লেক্সিলোড করে দিবেন।

--- হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই। আপনার নাম্বার টা?

মেয়েটা নাম্বার দিল, তারপর নাম জিজ্ঞেস করে নামও জেনে নিলাম। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়ে, ইংরেজী সাবজেক্ট। নীলক্ষেত গেছিল কিছু বই কেনার জন্য, এখন বাসায় যাচ্ছে।

খিলখেত এসে মেয়েটা নেমে গেল। যাবার সময় টাকার কথা আরেকবার মনে করে দিলো। আর ছোট্ট একটা কাগজ আমার হাতে দিয়ে গেল। আমি তো আনন্দে নাচার মতোই অবস্থা অনুভব করতে লাগলাম।

কিন্তু কাগজের দিকে তাকিয়ে সামান্য লজ্জা পেলাম। মেয়েটা লিখেছে,

--- " চোর যদি চুরি করে পালাতে না পারে তাহলে তার চুরিবিদ্যা আরো বেশি চর্চা করা দরকার। যার মানিব্যাগ চুরি হয়ে গেছে সে বনানী এসে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে ভিক্ষা দিলো কীভাবে? "

ধুরর, মনটাই খারাপ হয়ে গেল। এতক্ষণে মনে পড়লো যে বনানী এসে মানিব্যাগ বের করে ভিক্ষা দিয়েছি৷ মেয়েটা সেটা দেখে ফেলেছে।

যাইহোক, দেখার পর বাসের ভিতরে বসে যেহেতু কিছু বলে নাই। সুতরাং সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায় এতটুকু ধরেই নিলাম। আনন্দে মনটা আরেকবার পুলকিত হয়ে গেল।

বাস থেকে নেমে দোকান থেকে ফ্লেক্সিলোড করে তারপর বাসায় এসেছি। পকেট থেকে মোবাইল বের করে নাম্বারে কল দিলাম। একটু পরে রিসিভ করে একটা ছেলে বললো,

--- হ্যাঁলো কে বলছেন?

--- বললাম, এটা মারিয়ার নাম্বার না?

--- না এটা তো আমার নাম্বার।

--- তাহলে মারিয়া যে এই নাম্বার দিল?

--- আপনি কি আপার কাছ থেকে ৪০ টাকা ধার করেছেন?

--- হ্যাঁ হ্যাঁ, তিনি কি আপনার বোন?

--- জ্বি না, আমি বাসার দারোয়ান।

--- তাহলে আপনার নাম্বার কেনো দিলো আমাকে?

--- আমার আপাকে কি আপনার মাথা মোটা মনে হয় ভাইজান?

--- আরে না, তোমার আপা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ে তা আবার ইংরেজিতে। মাথা মোটা হলে কি কেউ এতো ভালো সাবজেক্টে চান্স পায়?

--- তাহলে আপনি আপার সঙ্গে চালাকি করেছেন কেনো?

--- কি করছি?

--- এই-যে নাম্বার নেবার বাহানা করে আপার কাছ থেকে টাকা ধার করলেন। আপনি কি জানেন যে আপা আপনার চালাকি ধরে ফেলেছে।

হতাশ হয়ে মোবাইল রেখে দিলাম। বিড়বিড় করে মুখ থেকে বের হয়ে গেল

--- "কামডা করলো কি?"🥹

--- সমাপ্ত ---

© কপি পোস্ট ।

18/10/2023

দুর্নাম যার নামে একবার রটে যায় সারাজীবন এমনকি মৃত্যুর পরেও মানুষ কটুবাক্য বলতে দ্বিধা করবে না।
সাদা কাপড়ে দাগ পড়লেও এক সময় পুরোপুরি না উঠলেও চোখের আড়াল হয়, কিন্তু দুর্নাম কখনো ভুলানোর মত নয়,কোন না কোন কথার প্রসঙ্গে তোমার দু*ষ্ষকর্ম গুলো বলবে আর ঘৃণার শ্লেষ চুড়ে মারবে।
আমাদের সমাজে এমন কিছু ব্যক্তি আছে যাদের কিঞ্চিৎ মানসম্মান নেই, তাদের জু*তার মালা পড়িয়ে ঘুরালেও তাদের কিছু ব্যক্তিত্বের আচড় পড়বে না, কেননা তাদের আত্মাসম্মানেই নেই । আর বর্তমান যুগে একটা পাড়া মহল্লা এভাবে ঘুরানো মানে সারা বিশ্ব ঘুরানো ।
আমরা শত টা মিথ্যা কথা বলি, মিথ্যে আহং করে বড় হওয়ার জন্য। মাছ দিয়ে যেমন শাক ডাকা যায় না ঠিক, একটা মিথ্যে কথা ডাকতে আরো কতগুলো যে মিথ্যে বলা লাগে তার হিসেব কেউ করি না। একটা কিছু হোক বা না হোক মিথ্যে কথা বলে নিজে সর্ব জ্ঞানী করার বৃথা চেষ্টা করেই চলি। এই সাত,নয়, পাঁচ যেসব লোক করে তাদের সবাই 'চোখের বালি' মনে করে।

16/10/2023

এক ভদ্রলোকের গাড়ি পার্কিং থেকে চুরি হয়ে গেলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও গাড়ির হোদিস পেলেন না।
তবে দুই দিন পর হারানো গাড়িটাকে আগের জায়গায় দেখে অবাক। হারানো বাহন ফিরে পেয়ে ভীষণ আনন্দিত হয়ে দৌড়ে গাড়ির কাছে গেলেন। ড্রাইভিং সিটে একটা মুখবদ্ধ খাম। খুলে দেখলেন ভেতরে দেওয়া চিরকূটে লেখা,“মায়ের শরীর হঠাৎ খারাপ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু একে তো রাত, তার ওপর ছুটির কারণে কোনো গাড়ি না পাওয়ায় আপনার গাড়ি ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিলাম।”

বিনীতি ভঙ্গিতে আরো লেখা রয়েছে,“আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত। গাড়িতে যতো পেট্রল ছিলো, সব আগের মতো আছে। তা ছাড়া আপনার গাড়ির খারাপ তালাটাও ঠিক করে দিয়েছি। গাড়ি ব্যবহারের বিনিময়ে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য ১০টা সিনেমার টিকিট দিলাম।

এই চিঠির খামের মধ্যেই সেগুলো পাবেন। টিকিটগুলো আগামীকালের, নাইট শো। আমি জানি, আপনার বাসার কাজের মেয়েসহ আপনারা ১০ জন। আপনাদের খাবারের জন্য রাখা আছে সিনেমা হলের ফুড কোর্টের ভাউচারও (বিল পরিশোধিত)। সিনেমা দেখার পর যা ইচ্ছা খেয়ে নেবেন।”
সব শেষে আবারো বিনীত অনুরোধ,“আমার অনন্যোপায় অপরাধের জন্য ক্ষমা করে দেবেন।”

৪০ লাখ টাকা দামী গাড়িটা ফেরত পাওয়ায় পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি। পরদিন উপহার পাওয়া টিকিট নিয়ে চলে সবাই গেলো সিনেমা দেখতে। ছবি দেখা শেষ করে মনের মতো স্পেশাল চিকেন-রাইস-কফি-আইসক্রিম খেয়ে বের হলো সবাই। কিন্তু গাড়ি তো নেই পার্কিংয়ে।

আবারো চুরি হলো গাড়িটা!!

উপায় না পেয়ে ট্যাক্সি ডেকে বাড়ি ফিরে তারা দেখলো, ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙা। ঘরের সব দামি জিনিস, আসবাবপত্র, নগদ টাকা, গয়না চুরি হয়ে গেছে। ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা।

বাইরে টেবিলে একটি খাম পড়ে আছে।

তাতে লেখা,“সিনেমা কেমন দেখলেন??"
গাড়িটা আবার চুরি করে নিয়ে গেলাম। আপনি কেনো গাড়ির লক আর চাবি বদলাতে ভুলে গেলেন??
ওদিকে বাসা একেবার ফাঁকা রেখে কেউ সিনেমা দেখতে যায়??
দেখলেন তো, এতোটুকু বোকামির জন্য কতো বড় ক্ষতি হয়ে গেলো।"

উপদেশঃ কাউকে বিশ্বাস করা ভালো। কিন্তু এতোটাও উজার করে নয়, যে শেষে আফসোস করা ছাড়া উপায় থাকে না।

゚viral ゚ ゚viralシ

Freelancer দের ১০ টি বৈশিষ্ট্যঃ১। সবকিছুর চাইতে Buyer Work বেশিগুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। ২। এরা ঘুমায় সকাল ৭-৮ টায় উঠেসকাল ...
15/10/2023

Freelancer দের ১০ টি বৈশিষ্ট্যঃ
১। সবকিছুর চাইতে Buyer Work বেশি
গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
২। এরা ঘুমায় সকাল ৭-৮ টায় উঠে
সকাল ১১-০১টায়।
৩। এদের প্রধান উক্তি, “Money Can Buy
Happiness"
৪। এরা ঘুঘুর মত একটানা 8-12 ঘন্টা
পিসির সামনে বসে থাকতে
পারবে।
৫। এরা খাবার ব্যতিত থাকতে
পারবে বাট নেট ব্যতিত ১ মিনিট
থাকতে পারবে না।
৬। কাজ করার সময় যদি এদেরকে কফি
দেওয়া হয় কফি কখন যে শরবত হয়ে
যায় এরা নিজেরাও জানে না।
৭। এরা সাধারনত শান্ত প্রকৃতির হয়।
৮। এদের মোবাইলে কখনোই চার্জ
থাকে না।
৯। এরা যখন কোন কাজ করে তখন যদি
এদের পাশে বিশ্বযুদ্ধও হয় তা বুঝতে
পারে না।
১০। যে কোন উপলক্ষ যে কোন বিশেষ
দিন সব দিনেই এরা কাজ করে।
❤️❤️❤️

© Copy post.

👉লিজেন্ডরাই বুঝবে,বাকিরা সব খুঁজবে........ 😎😎
11/10/2023

👉লিজেন্ডরাই বুঝবে,বাকিরা সব খুঁজবে........ 😎😎

InsaAllah...Save & Freedom Palestine. জু * লুমবাজদের অ/ত্যাচারীদের হাত থেকে স্বাধীন দেশের মর্যাদা দেয়া হোক।
11/10/2023

InsaAllah...
Save & Freedom Palestine.
জু * লুমবাজদের অ/ত্যাচারীদের হাত থেকে স্বাধীন দেশের মর্যাদা দেয়া হোক।

Address

Netrokona
NETRAKONA

Telephone

+8801648081232

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গ্রাম অঞ্চল-Gram Oncol posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to গ্রাম অঞ্চল-Gram Oncol:

Videos

Share


Other Digital creator in Netrokona

Show All