05/01/2024
প্রায় ১০ বছর পর জেল থেকে বের হয়ে আজ বাড়িতে পা রাখলাম.। সেই ১৬ বছর বয়সে আপন দোলাভাইকে খুন করার অপরাধে জেলে গিয়েছিলাম।
বাড়ির সামনে আসতেই একদম অবাক হয়ে গেছি..পুরো বাড়িটা সাজানো আছে বিভিন্ন রকমের বাতি আর ফুল দিয়ে.. গেইটের সাজানো দেখে বুঝলাম বড় কোনো অনুষ্টান আছে কিন্তু কিসের অনুষ্টান... আপু ত দুই দিন আগেই আমার সাথে দেখা করেছিল তাহলে সেদিন সে কেন বলে নাই আমাকে এই কথা...
ভিতরে যাবো কি নাহ ভাবছিলাম গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে তখন পিছন থেকে কেউ একজন আমাকে ধাক্কা দিল...
- কি মশায় কি চাই এখানে?(১৪-১৬ বছরের একটা যুবক ছেলে বলল কথাটা)
আমি- আজ এখানে কিসের অনুষ্টান?
ছেলে- আমার ছোট খালামনি নিহার বিয়ে...
ছেলেটার মুখে এমন একটা নিউজ শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম...
ছেলে- তা আপনি কে আর এখানে কি চান?
আমি- আমাকে তুমি চিনবে নাহ তোমার খালামনিকে গিয়ে বলও তার কলিজা আজ ছাড়া পেয়েছে...
ছেলে- মানে কি?
আমি- যা বলছি তাই কর....
ছেলে- আম্মু আম্মু.... নানা ভাই..
বলে চিৎকার করতে করতে বাড়ির ভিতর গেল.
মিনিট খানেক পর পরিবারের সবাই এখানে হাজির শুধু ছেলেটার খালামনি ছাড়া.
বাড়ির কর্তা মানে আমার বাবা রায়হান সাহেব আমাকে দেখতেই রেগে বলে উঠলেন
- এখানে কি চাই?
আমি- তোমাদের দেখতে এসেছি বাবা.
বাবা- আপনিকে আপনাকে ত আমি চিনলাম নাহ...
আমি- আমি এই পরিবারের সন্তান...
- এই পরিবারের সন্তান আজ থেকে দশ বছর আগে মারা গেছে, (আম্মুর মুখে এত বড় একটা কথা শুনে আমার চোখের বাধ যেন আর মানছেই নাহ)
আমি- তোমাদের সবার মনে আমার জন্য এখনও অনেক রাগ জমে আছে...
- রাগ ত তার উপর করা যায় যে বেঁচে আছে মরা মানুষের উপর আবার কিসের রাগ(কথাটা বললেন আমার বড় আপু নিলা)
আব্বু- আপনি এখন এখান থেকে যেতে পারেন, বর যাত্রী আসার সময় হয়ে গেছে, ওরা এখানে আপনার মত খুনিকে দেখলে বিয়ে ভেঙে দিবে...
আমি- জী অব্যশই চলে যাব তার আগে আমি আমার কলিজার টুকরার সাথে একবার দেখা করতে চাই...
আম্মু- কার সাথে?
আমি- নিহার সাথে দেখা করতে চাই...
নিলা আপু- সে এখন দেখা করতে পারবে নাহ...
আব্বু- আপনি এখান থেকে ভালোয় ভালোয় যাবেন না কি আমি লোক ডাকব.
আমি- ডাকতে হবে নাহ আমি নিজেই চলে যাচ্ছি...
বলে চোখের জল মোছতে মোছতে বাড়ি থেকে বের হতে লাগলাম...
বাড়ির গেইট পেরিয়ে যেতেই নিহা আসল সেখানে..
নিহা- আম্মু কে আসছিল?
আম্মু- জানি নাহ কে আসছিল...লুকিয়ে চোখের জলটা মোছে বললেন..
নিহা- কে আসছিল আপু..?
নিলা