03/06/2024
সুরা মুলকের সুমহান মর্যাদা, ফজিলত এবং নিয়মিত পাঠকারীর বিশেষ উপকারিতা
▬▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬▬
❖ সুরা মুলক কবরের আজাব থেকে বাঁচায়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘সুরা তাবারাক (মুলক) কবরের আজাব থেকে বাধা প্রদানকারী।’’ [ইমাম আবুশ শাইখ, তবাকাতুল মুহাদ্দিসিন: ১০৯৪; শায়খ আলবানি, সহিহুল জামি’: ৩৬৪৩; হাদিসটি হাসান]
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক সাহাবি একটি কবরের উপর তার তাঁবু টানান। তিনি জানতেন না যে, সেটি একটি কবর; হঠাৎ বুঝতে পারেন যে, কবরে এক ব্যক্তি সুরা মুলক পাঠ করছে। সে তা পাঠ করে সমাপ্ত করে। তারপর তিনি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি একটি কবরের উপর তাঁবু টানাই। আমি জানতাম না যে, সেটি একটি কবর। হঠাৎ বুঝতে পারি যে, এক ব্যক্তি সেখানে সুরা মুলক পাঠ করছে এবং তা সমাপ্ত করেছে।’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘‘এই সুরাটি প্রতিরোধকারী, মুক্তিদানকারী। এটি কবরের আজাব হতে তিলাওয়াতকারীকে মুক্তি দেয়।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২৮৯০; শায়খ আলবানি, সিলসিলা সহিহাহ: ১১৪০; উপরিউক্ত ঘটনাটির বর্ণনাসূত্র দুর্বল; তবে, নবিজির বক্তব্য ‘‘এই সুরাটি (কবরের আজাব থেকে) প্রতিরোধকারী’’ অংশটুকু সহিহ]
যেমন অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তাবারাকাল্লাযি বিয়াদিহিল মুলক’ (সুরা মুলক) কবরের আজাব হতে মুক্তিদানকারী। [ইমাম ইবনুল কায়্যিম, আল-মানারুল মুনিফ: ৯১; সনদ হাসান]
❖ সুরা মুলক তার তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং সেই সুপারিশে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে।
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘কুরআনে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা রয়েছে, যা তার তিলাওয়াতকারীর জন্য শাফা‘আত (সুপারিশ) করবে; শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সেটি হলো: তাবারাকাল্লাযি বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)।’’ [ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ৩৭৮৬; হাদিসটি সহিহ]
অন্যান্য বর্ণনায় আরও এসেছে, তার জন্য এই সুরা বিতর্ক করবে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। [ইমাম তাবারানি, মু‘জামুল আউসাত্ব: ৩৬৫৪; শায়খ আলবানি, সহিহুল জামি’: ২০৯২ ও ৩৬৪৪; হাদিসটি হাসান]
এই ফজিলত অর্জনের জন্য রাতে পড়া জরুরি নয়। যেকোনো সময় পড়া যাবে।
❖ প্রতি রাতে সুরা মুলক পাঠ করা সুন্নাত।