সাইবার ৭১ -We Work To Protect Alokbali

সাইবার ৭১ -We Work To Protect Alokbali Welcome to the biggest & only active hacker's community in bangladesh,
We hack to protect Alokbali. News Service Centres

18/12/2022

Congratulations AFA - Selección Argentina 🇦🇷💙

"যেভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা"বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ।১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮ সালের এই দিনে বাংলাদেশ...
01/09/2022

"যেভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা"

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ।
১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮ সালের এই দিনে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নতুন এ দলটিকে সংগঠিত করে এর রূপকার হয়েছিলেন। তিনি ’৭৫-এর আগস্ট-পরবর্তী সংকটময় দশা থেকে দেশের রাজনীতি, সমাজ, অন্যতম প্রতিষ্ঠান সামরিক বাহিনীকে সুশৃঙ্খল করা এবং সরকার ও রাষ্ট্র প্রশাসনকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে নেওয়া এবং নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশকে একটা সুস্থ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের যথার্থ উন্নয়নের ধারায় সুস্থিতি দেওয়ার লক্ষ্যে একটা অসাধারণ উদ্ভাবনমূলক ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’-এর আদর্শ সুপ্রতিষ্ঠার টেকসই ভিত্তিভূমি তৈরি করতে তাঁর জীবনের শেষ দিনটি অবধি প্রচ- লড়াই চালিয়ে গেছেন। তাঁর সেই ভূমিকাই বিএনপিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম সেরা রাজনৈতিক দলের মর্যাদা দান করেছে।

১৯৭২-১৯৭৪ সময়ের আওয়ামী লীগ সরকার ও ১৯৭৫-এর জানুয়ারি থেকে একদলীয় বাকশাল সরকারের আমলে দেশবাসীর অর্থনৈতিক দুর্দশা চরমে পৌঁছে। ’৭৫-এর আগস্টে সেনাবাহিনীর একটা ক্ষুদ্র অংশের সমর্থনে বাকশাল সরকারের কয়েকজন নেতার চক্রান্তে যে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে সেসব ‘ব্যর্থ-রাষ্ট্র’সুলভ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বাংলাদেশকে একটা গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন তৎপরতার ব্যাপক সম্প্রসারণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার সংগ্রামে অবদান রেখেছেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই রাষ্ট্রিক ক্রিয়াকর্মের সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে তিনি এই বিএনপি সংগঠিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। ’৭১-এর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ’৭৫-এর মধ্যভাগে জাতির চরম দুর্দশার দিনে রাষ্ট্রটিকে সঠিক শৃঙ্খলার পথে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আবার হাল ধরেছিলেন দেশবাসীর সমর্থনে। সেই মুক্তিযুদ্ধ প্রারম্ভকালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে দখলদার বর্বর পাক বাহিনীর বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ ধ্বংসের লক্ষ্যে পরিচালিত বর্বর আক্রমণের বিরুদ্ধে মেজর জিয়া তাঁর অধীন প্রায় ৩০০ বাঙালি সেনার কমান্ডার-রূপে বিদ্রোহ করে দেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। সেই সামরিক অফিসার জিয়াউর রহমান কালক্রমে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী-প্রধান, প্রেসিডেন্ট এবং রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা হয়েছিলেন, একজন সফল রাষ্ট্রনায়কে পরিণত করতে পেরেছিলেন নিজেকে। বাংলাদেশের আজকের যে উন্নয়ন সাফল্য দৃশ্যমান তার আসল রূপকার সত্তর দশকের মধ্যভাগ থেকে শেষ ভাগ এবং আশির প্রথম ভাগের রাষ্ট্রনেতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

এ দেশের রাজনীতির ওয়াকিবহাল মানুষমাত্রই উপলব্ধি করে থাকবেন এবং করবেন, যত মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) প্রতিষ্ঠা করা হয়ে থাক না কেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত করে এবং সব সংবাদপত্র অবলুপ্ত করে চারটি মাত্র শতভাগ-সরকারি মালিকানাধীন দৈনিক পত্রিকা চালু রেখে যে ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল তা এ দেশে ও বহির্বিশ্বে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। সুযোগের-অপেক্ষায় থাকা বাকশাল সরকারের ক্ষমতালোভী ও চক্রান্তকারী অংশ খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে এবং সামরিক বাহিনীর একটা বিভ্রান্ত-অংশ (ছয় মেজর ও ১১ জুনিয়র অফিসারের যৌথ নেতৃত্বে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের সহায়তা-লাভের মাধ্যমে)-কে ব্যবহার করে এ অঞ্চলের একটি কুখ্যাত সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী এ ষড়যন্ত্রের পেছনে মূল মদদদাতা হিসেবে কাজ করে। তাদের পেছনে ‘বিশ্বমোড়ল’-খ্যাত একটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থন ছিল বলে যৌক্তিক তথ্য-উপাত্ত-সংবলিত অভিযোগ পাওয়া যায়।

’৭৫-এর মধ্য-আগস্ট থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অবধি নানা ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের একপর্যায়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ভোরে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্ত হন এবং নতুন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের অধীনে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত হন। বস্তুত সেনাপ্রধান ও এক নম্বর উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসকরূপে দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হন। জেনারেল জিয়া তখন থেকেই কার্যত রাষ্ট্রের প্রধান নীতিনির্ধারকে পরিণত হয়েছিলেন। বস্তুত সামরিক বাহিনীর ভিতরে এবং জনগণের মধ্যে জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে বড় নেতা হওয়ার আস্থা সৃষ্টি হয়েছিল Ñ’৭১ সাল থেকে সেই সময় অবধি তাঁর দেশপ্রেমমূলক কর্মকান্ডের বহিঃপ্রকাশ দেশ-জনতা প্রত্যক্ষ করেছিল। তারপর অচিরেই তখনকার বাস্তবতায় বিকল্পহীন পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হন এবং তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুরো সামরিক শাসনের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেন। সে প্রক্রিয়ার সময় জিয়াউর রহমান প্রথম দিকে একবার রাজনীতি না করে পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর সংগঠিত শক্তির কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি সেনাছাউনিতে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তখন দেখলেন, দেশের সামরিক বাহিনীর ক্যান্টনমেন্টগুলোয় তখনো ‘তথাকথিত বিপ্লবের নামে’ নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা ছাড়াও রাজনৈতিক পরিম-লে শক্তিশালী কোনো রাজনৈতিক দল নেই বা যারা আছে তারা দেশবাসীর আস্থা অর্জনে সক্ষম নয়।

তখন জিয়াউর রহমান বাধ্য হয়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শের রাজনীতি প্রবর্তন করেন। এর আগে ১৯৭৬ ও ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সুদীর্ঘ সময়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কর্মকান্ডে প্রকৃত গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে দেশব্যাপী একটা কর্মমুখী রাজনীতি চালুর তৎপরতার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক আলোচনা বৈঠক চালান। সেসব বৈঠকে দেশের মূল সমস্যাগুলোর অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়। তাঁর সঙ্গে তখনকার ন্যাপ (ভাসানী), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, জাতীয় দল, জাতীয় গণমুক্তি ইউনিয়ন, জাতীয় জনতা পার্টি (কোরেশী গ্রুপ), গণআজাদী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের বুদ্ধিজীবীরা অবিরাম বৈঠক করেছেন, চমৎকার মুক্ত আলোচনার সেসব সভায় দেশের নতুন রাজনীতির একটা সংগঠিত রূপদানের পক্ষে বক্তব্য প্রাধান্য পেয়েছে।

জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন ঘোষণাপত্রে দেশের গণমানুষের ইস্পাতকঠিন গণঐক্যের ওপরে গুরুত্বারোপ করে বলা হয়েছিল‘সুদৃঢ় এবং অভেদ্য জাতীয় ঐক্যবোধ এবং জাতীয় অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা না থাকলে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও নয়া-উপনিবেশবাদের গ্রাস থেকে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করা দুঃসাধ্য।’ এ ঘোষণাপত্রের মধ্যে ৩১টি দফায় রয়েছে‘ঐক্যবদ্ধ অগ্রগতির অমোঘ দাবি : উৎপাদনের রাজনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্র’, ‘জাতীয়তাবাদভিত্তিক ইস্পাতকঠিন গণঐক্য’, ‘সার্বভৌমত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার ও দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যম : স্থিতিশীল গণতন্ত্র’, ‘বিলুপ্ত মানবিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন’, ‘স্থিতিশীল গণতন্ত্রের রূপরেখা, প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার, নির্বাচিত ও সার্বভৌম আইন পরিষদের মাধ্যমে সজীব ও সক্রিয় গণঅংশীদারি কায়েম’, ‘স্থানীয় এলাকা সরকার ও বিকেন্দ্রীভূত রাজনৈতিক ক্ষমতা’, ‘সামাজিক ন্যায়বিচারের অর্থনীতি’, ‘জাতিগঠন, সমাজসেবা ও উপার্জনমুখী কার্যক্রমে যুবশক্তির সদ্ব্যবহার’, ‘জাতীয় পররাষ্ট্রনীতির উপাদান ও লক্ষ্য : স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সমৃদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক প্রীতি ও সখ্য’ ইত্যাদি। এ ঘোষণাপত্রের মধ্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বিক বিষয়াবলি স্থান পেয়েছে। বিএনপিকে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একটি শক্তিশালী জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়ে গেছেন তার শুরুতেই। তাই তো এত আঘাতের পর আঘাতেও বিএনপি টিকে আছে দেশের নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে। ভবিষ্যতেও দেশ ও দেশবাসীর সার্বিক মুক্তির লড়াইয়ে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই দল, রাষ্ট্রনায়ক জিয়ার দল প্রচ- শক্তিতে থাকবে রাজপথে। এবং গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনযুদ্ধের ময়দানে, আবার সরকার পরিচালনার জনপ্রতিনিধিত্ব করার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যেএকটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু, জনগণের প্রকৃত ভোটের নির্বাচন কায়েমের লড়াইয়ে।



খায়রুল কবির খোকন।
যুগ্ম-মহাসচিব, বিএনপি।

21/08/2022
07/07/2022

ঈদের আগে রেমিট্যান্সে ঢল
৬ দিনে এলো ৬ হাজার ৯শ কোটি টাকা।

Everyone pray for Sylhet, Bangladesh. 🇧🇩🥺🤲
18/06/2022

Everyone pray for Sylhet, Bangladesh. 🇧🇩🥺🤲

13/06/2022

Our Pride, Our Honor! Prophet Muhammad ﷺ

05/06/2022

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতাল উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে অগ্নিদগ্ধদের জন্য..
চট্টগ্রাম মেডিকেল এ না গিয়ে ওখানে আনতে পারবে,এ নিউজ ছড়িয়ে দিন দ্রুত সম্ভব....

  এর পক্ষ থেকে সকলকে জানায় ঈদ মোবারক 🥰🖤
02/05/2022

এর পক্ষ থেকে সকলকে জানায় ঈদ মোবারক 🥰🖤

12/03/2022

🤙

07/03/2022

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, সেদিনের সেই দৃঢ় কণ্ঠস্বর অনুপ্রেরণা জোগায় এখনও!

25/02/2022

চলমান কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণকল্পে মোট জনসংখ্যার ৭০% জনগোষ্ঠীকে ১ম ডোজের আওতায় আনতে আগামি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২....

16/02/2022

একটি বিশেষ ঘোষণা - আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ,২০২২ এ ২৬ সমপন্ন হবে টিকার ১ম ডোজ প্রদান কর্মসূচি। যথারীতি চলবে ২য় ও ৩য় ডোজ .....

🔴 কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরিস্থিতি তারিখ: ১১  ফেব্রুয়ারি ,২০২২
11/02/2022

🔴 কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরিস্থিতি তারিখ: ১১ ফেব্রুয়ারি ,২০২২

🔴কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরিস্থিতি তারিখ: ১১ ফেব্রুয়ারি ,২০২২ গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি শনাক্ত: ৫,২৬৮ সুস্থ: ১১,৩...

🖤
09/02/2022

🖤

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,আল্লাহু আকবার! এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের ❝আল্লাহু আকবার❞ ধ্বনিতে চূর্ণবিচূর্...

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,আল্লাহু আকবার!এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের ❝আল্লাহু আকবার❞ ধ্বনিতে চূর্ণবিচূর্ণ উগ্রবাদীদ...
09/02/2022

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,আল্লাহু আকবার!
এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের ❝আল্লাহু আকবার❞ ধ্বনিতে চূর্ণবিচূর্ণ উগ্রবাদীদের ধ্বনি!

আল্লাহু আকবার! শত শত উগ্র হিন্দুত্ববাদী সামনে একজন নারীর ঈমানদীপ্ত কন্ঠের আল্লাহু আকবার ধ্বনি।
- বোন তোমায় জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা..!❤️







.🖤

01/02/2022

যারা এখনো PUSHPA Full HD Movie দেখেন নাই তারা এখনি দেখে নিন.! Download Link For PUSHPA- https://songslyric.site/links/42527/

31/01/2022

বর্তমান সময়ে যত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ আছে তার মধ্যে ফেসবুক অন্যতম ও জনপ্রিয়। আমরা অনেকেই প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ফেসবু...

04/01/2022

মানুষ হয়েও তারা মানুষ না, কি হবে ভবিষ্যত.?
নিজের কাছেই, আলোকবালী ইউনিয়ন নিয়ে আমার শত অভিযোগ ! 😔

19/12/2021

❤️

যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল❝শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ❞১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে আমাকে নিয়োগ করা হলো জয়দেবপুরে। ইস...
19/12/2021

যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল
❝শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ❞

১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে আমাকে নিয়োগ করা হলো জয়দেবপুরে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নে আমি ছিলাম সেখানে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। অফিসার কমান্ডিং লেঃ কর্নেল আবদুল কাইয়ুম ছিল একজন সাহসী পাকিস্তানি। একদিন ময়মনসিংহের এক ভোজসভায় ধমকের সুরে সে ঘোষণা করলো- বাংলাদেশের জনগণ যদি সদাচরণ না করে তাহলে সামরিক আইনের সত্যিকার ও নির্মম বিকাশ এখানে ঘটানো হবে। আর তাতে হবে প্রচুর রক্তপাত। এই ভোজসভায় কয়েকজন বেসামরিক ভদ্রলোকও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মাঝে ছিলেন ময়মনসিংহের তদানীন্তন ডেপুটি কমিশনার জনাব মোকাম্মেল।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাইয়ুমের এই দম্ভোক্তি আমাদের বিস্মিত করলো। এর আগেও কাইয়ুম এক গুরুত্বপুর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। ইসলামাবাদে পাকিস্তানি নীতি নির্ধারকের সাথে সংযোগ ছিল তার। তার মুখে পুরানো প্রভুদের মনের কথাই ভাষা পেয়েছে কিন্তু, তাই আমি ভাবছিলাম। পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে আমি অনেকগুলো প্রশ্ন করি এবং এর কোনো কথা থেকে আমার কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে সে যা বলেছে, তা জেনেশুনেই বলেছে। উপযুক্ত সময়ে কার্যকরী করার জন্য সামরিক ব্যবস্থার এক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। আর কাইয়ুম সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমি এতে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এই সময়ে আমি একদিন চতুর্দশ ডিভিশন সদর দফতরে যাই। জিএসও-১ (গোয়েন্দা) লেঃ কর্নেল তাজ আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কয়েকজন সম্পর্কে আমার কাছে অনেক কিছু জানতে চায়। আমি তার এসব তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করি। সে আমাকে জানায় যে, তারা বাঙালি নেতাদের জীবনী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। আমি বারবার তাকে জিজ্ঞেস করি- এসব খুঁটিনাটির প্রয়োজন কি? এই প্রশ্নের জবাবে সে জানায়- ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিধারায় এগুলো কাজে লাগবে। গতিক যে বেশি সুবিধার নয়, তার সাথে আলোচনা করেই আমি তা বুঝতে পারি। সেই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে চার মাসের জন্য আমি পশ্চিম জার্মানী যাই। এ সময়ে বাংলাদেশের সর্বত্র এক রাজনৈতিক বিক্ষোভ-ঝড় বয়ে যায়। পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থানকালে আমি একদিন দেখি, সামরিক এ্যাটাচি কর্নেল জুলফিকার সে সময়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কারিগরি এ্যাটাচির সাথে কথা বলছিল। এই ব্যক্তিটি ছিল এক সরলমনা পাঠান অফিসার। তাদের সামনে ছিল করাচীর দৈনিক পত্রিকা ডন-এর একটা সংখ্যা। এতে প্রকাশিত হয়েছিল ইয়াহিয়ার ঘোষণা- ১৯৭০ সালেই নির্বাচন হবে। সরলমনা পাঠান অফিসারটি বলছিল, “নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে জয়ী হবে, আর সেখানেই পাকিস্তানের পরিসমাপ্তি।” এর জবাবে কর্নেল জুলফিকার বললো, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংখ্যাগিরষ্ঠতা লাভ করতে পারে কিন্তু কেন্দ্রে সে ক্ষমতা পাবে না। কেননা অন্যান্য দল মিলে কেন্দ্রে আওয়ামী লীগকে ছাড়িয়ে যাবে। আমি এটা জেনে বলছি। এ সম্পর্কে আমার কাছে বিশেষ খবর আছে।”

এরপর আমি বাংলাদেশে ফিরে এলাম। ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বরে আমাকে নিয়োগ করা হলো চট্টগ্রামে। এবার ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটেলিয়নের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এর কয়েকদিন পর আমাকে ঢাকা যেতে হয়। নির্বাচনের সময়টা আমি ছিলাম ক্যান্টনমেন্টে। প্রথম থেকেই পাকিস্তানী অফিসাররা মনে করতো চূড়ান্ত বিজয় তাদের হবে। কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে তাদের মুখে আমি দেখলাম হতাশার সুস্পষ্ট ছাপ। ঢাকায় অবস্থানকারী পাকিস্তানী সিনিয়র অফিসারদের মুখে দেখলাম আমি আতংকের ছবি। তাদের এ আতংকের কারণও আমার অজানা ছিল না। শিগগিরই জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পাবে, এই আশায় আমরা বাঙালি অফিসাররা তখন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিলাম।

চট্টগ্রামে আমরা ব্যস্ত ছিলাম অষ্টম ব্যাটেলিয়নকে গড়ে তোলার কাজে। এটা ছিল রেজিমেন্টের তরুণতম ব্যাটেলিয়ন। এটার ঘাঁটি ছিল ষোলশহর বাজারে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে এই ব্যাটেলিয়নকে পাকিস্তানের খারিয়ানে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর জন্য আমাদের সেখানে পাঠাতে হয়েছিল দুশ’ জওয়ানের এক দ্রুতগামী দল। অন্যরা ছিল একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের সৈনিক। আমাদের তখন যেসব অস্ত্র-শস্ত্র দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল ৩শ’ পুরানো ০০৩ রাইফেলস, চারটা এলএমজি ও দুটি তিন ইঞ্চি মর্টার। গোলাবারুদের পরিমাণও ছিল নগণ্য। আমাদের এন্টিট্যাঙ্ক বা ভারি মেশিনগান ছিল না। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশের যখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে উঠেছিল তখন আমি একদিন খবর পেলাম তৃতীয় কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সৈনিকরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিহারীদের বাড়িতে বাস করতে শুরু করেছে। খবর নিয়ে আমি আরো জানলাম কমান্ডোরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র আর গোলাবারুদ নিয়ে বিহারী বাড়িগুলোতে জমা করেছে এবং রাতের আধাঁরে বিপুল সংখ্যায় তরুণ বিহারীদের সামরিক ট্রেনিং দিচ্ছে, এসব থেকে এরা যে ভয়ানক রকমের অশুভ একটা কিছু করবে তার সুস্পষ্ট আভাসই আমি পেলাম।

তারপর এলো ১ মার্চ। এই সময়ে আমার ব্যাটেলিয়নের এনসিওরা আমাকে জানালো, “প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিংশতম বালুচ রেজিমেন্টের জওয়ানরা বেসামরিক পোশাক পরে ট্রাকে করে কোথায় যেন যায়। তারা ফিরে আসে আবার শেষ রাতের দিকে।” আমি উৎসুক হলাম, লোক লাগালাম খবর নিতে। খবর নিয়ে জানলাম প্রতি রাতেই তারা যায় কতগুলো নির্দিষ্ট বাঙালি পাড়ায়, নির্বিচারে হত্যা করে সেখানে বাঙালিদের। এই সময় প্রতিদিন ছুরিকাহত বাঙালিদের হাসপাতালে ভর্তি হতেও শোনা যায়।

এই সময়ে আমাদের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া আমার গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখার জন্যে লোক লাগায়। মাঝে মাঝেই তার লোকেরা গিয়ে আমার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে। আমরা তখন আশংকা করছিলাম, আমাদের হয়তো নিরস্ত্র করা হবে। আমি আমার মনোভাব দমন করে কাজ করে যাওয়ার সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বাঙালি হত্যা ও বাঙালি দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ক্রমেই বাড়তে থাকে।

আমাদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা হলে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো কর্নেল (তখন মেজর) শওকতও আমার কাছে তা জানতে চান। ক্যাপ্টেন শমসের মবিন এবং খালেকুজ্জামান আমাকে জানান যে, স্বাধীনতার জন্য আমি যদি অস্ত্র তুলে নেই তাহলে তারাও দেশের মুক্তির জন্য প্রাণ দিতে কুণ্ঠবোধ করবে না। ক্যাপ্টেন অলি আহমদ আমাদের মাঝে খবর আদান-প্রদান করতেন। জেসিও এবং এনসিওরাও দলে দলে বিভক্ত হয়ে আমার কাছে বিভিন্ন স্থানে জমা হতে থাকলো। তারাও আমাকে জানায় যে, কিছু একটা না হলে বাঙালি জাতি চিরদিনের জন্যে দাসে পরিণত হবে। আমি নীরবে তাদের কথা শুনতাম। কিন্তু আমি ঠিক করেছিলাম উপযুক্ত সময় এলেই আমি মুখ খুলবো। সম্ভবত ৪ মার্চে ক্যাপ্টেন অলি আহমদকে ডেকে নেই। আমাদের ছিল সেটা প্রথম বৈঠক। আমি তাকে সোজাসুজি বললাম, সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করার সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। ক্যাপ্টেন আহমদও আমার সাথে একমত হন। আমরা পরিকল্পনা করি এবং প্রতিদিন আলোচনা বৈঠকে মিলিত হতে শুরু করি।

৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবের ঘোষণা আমাদের কাছে গ্রীন সিগন্যাল বলে মনে হলো। আমাদের পরিকল্পনাকে চূড়ান্ত রূপ দিলাম। কিন্তু তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে তা জানালাম না। বাঙালি ও পাকিস্তানি সৈনিকদের মাঝেও উত্তেজনা ক্রমেই চরমে উঠছিল। ১৩ মার্চ হলো শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইয়াহিয়ার আলোচনা। আমরা সবাই ক্ষণিকের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। আশা করলাম, পাকিস্তানি নেতারা যুক্তি মানবে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানিদের সামরিক প্রস্তুতি হ্রাস না পেয়ে দিনদিনই বৃদ্ধি পেতে শুরু করলো। প্রতিদিনই পাকিস্তান থেকে সৈন্য আমদানি করা হলো। বিভিন্ন স্থানে জমা হতে থাকলো অস্ত্র-শস্ত্র আর গোলাবারুদ। সিনিয়র পাকিস্তানি সামরিক অফিসাররা সন্দেহজনকভাবে বিভিন্ন গ্যারিসনে আসা-যাওয়া শুরু করলো। চট্টগ্রামে নৌ-বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা হলো।

১৭ মার্চ স্টেডিয়াম ই বি আর সি’র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ আর চৌধুরী, আমি চূড়ান্ত যুক্ত-পরিকল্পনা গ্রহণ করলাম। লেঃ কর্নেল চৌধুরীকে অনুরোধ করলাম নেতৃত্ব দিতে।

দু’দিন পর ইপিআর-এর ক্যাপ্টেন (এখন মেজর) রফিক আমার বাসায় গেলেন এবং ইপিআর বাহিনীকে সঙ্গে নেবার প্রস্তাব দিলেন। আমরা ইপিআর বাহিনীকে আমাদের পরিকল্পনাভুক্ত করলাম।

এর মধ্যে পাকিস্তানী বাহিনীও সামরিক তৎপরতা শুরু করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করলো। ২১ মার্চ জেনারেল আবদুল হামিদ খান গেল চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্টে। চট্টগ্রামে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রণয়নই তার এই সফরের উদ্দেশ্য। সেদিন রেজিমেন্ট সেন্টারে ভোজসভায় জেনারেল হামিদ ২০তম বালুচ রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাতেমীকে বললো, “ফাতেমী, সংক্ষেপে, ক্ষিপ্রগতিতে আর যত কম সম্ভব লোকক্ষয় করে কাজ করতে হবে।” আমি এ কথাগুলো শুনেছিলাম।

২৪ মার্চ ব্রিগেডিয়ার মজুমদার ঢাকা চলে এলেন। সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনী শক্তি প্রয়োগে চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথ করে নিল। জাহাজ ‘সোয়াত’ থেকে অস্ত্র নামানোর জন্যেই বন্দরের দিকে ছিল তাদের এই অভিযান। পথে জনতার সাথে ঘটলো তাদের কয়েক দফা সংঘাত। এতে নিহত হলো বিপুল সংখ্যক বাঙালি। সশস্ত্র সংগ্রাম যে কোন মুহূর্তেই শুরু হতে পারে, এ আমরা ধরেই নিয়েছিলাম। মানসিক দিক দিয়ে আমরা ছিলাম প্রস্তুত। পরদিন আমরা পথের ব্যারিকেড অপসারণের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর এলো সেই কালোরাত ২৫ ও ২৬ মার্চের মধ্যবর্তী কালো রাত। রাত ১ টায় আমার কমান্ডিং অফিসার আমাকে নির্দেশ দিলো নৌবাহিনীর ট্রাকে করে চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে জেনারেল আনসারির কাছে রিপোর্ট করতে। আমার সাথে নৌবাহিনীর (পাকিস্তানী) প্রহরী থাকবে তাও জানানো হলো। আমি ইচ্ছা করলে আমার সাথে তিনজন অফিসারও থাকবে। অবশ্য কমান্ডিং অফিসাররের মতে, সে যাবে আমাকে গার্ড দিতে।

এ আদেশ পালন করা আমার পক্ষে ছিল অসম্ভব। আমি বন্দরে যাচ্ছি কি না তা দেখার জন্য লোক ছিল। আর বন্দরের (সশরীর) প্রতীক্ষায় ছিল জেনারেল আনসারি। হয়তো বা আমাকে চিরকালের মতোই স্বাগত জানাতে।

আমরা বন্দরের পথে বেরুলাম। আগ্রাবাদে আমাদের থামতে হলো। পথে ছিল ব্যারিকেড। সেই সময়ে সেখানে এলো মেজর খালেকুজ্জামান চৌধুরী, ক্যাপ্টেন অলি আহমদের কাছ থেকে এক বার্তা নিয়ে এসেছে। আমি রাস্তায় হাঁটছিলাম।। খালেক আমাকে একটু দূরে নিয়ে গেল। কানে কানে বললো ‘তারা ক্যান্টনমেন্ট ও শহরে সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে। বহু বাঙালিকে ওরা হত্যা করেছে।” এটা ছিল একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত সময়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমি বললাম, “আমরা বিদ্রোহ করলাম। তুমি ষোলশহর বাজারে যাও। পাকিস্তানী অফিসারদের গ্রেফতার করো। অলি আহমদকে বলো ব্যাটেলিয়ন তৈরি রাখতে, আমি আসছি।”

আমি নৌবাহিনীর ট্রাকের কাছে ফিরে এলাম। পাকিস্তানী অফিসার, নৌবাহিনীর চীফ অফিসার ও ড্রাইভারকে জানালাম যে আমাদের আর বন্দরে যাওয়ার দরকার নেই। আমি নৌবাহিনীর ট্রাকের কাছে ফিরে এলাম। এতে তাদের মনে কোনো প্রতিক্রিয়া হলো না দেখে আমি পাঞ্জাবী ড্রাইভারকে ট্রাক ঘুরাতে বলালম। ভাগ্য ভালো বলব, সে আমার আদেশ মানলো। আমরা আবার ফিরে চললাম। ষোলশহর বাজারে পৌঁছেই আমি গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে একটা রাইফেল তুলে নিলাম। পাকিস্তানী অফিসারটির দিকে তাক করে তাকে বলালম, “হাত তোল। আমি তোমাকে গ্রেফতার করলাম।”

সে আমার কথা মানলো। নৌবাহিনীর লোকেরা এতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়লো, পর মুহূর্তেই আমি নৌবাহিনীর অফিসারদের দিকে রাইফেল তাক করলাম। তারা ছিল আটজন। সবাই আমার নির্দেশ মানলো এবং অস্ত্র ফেলে দিল।

আমি কমান্ডিং অফিসারের জীপ নিয়ে তার বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। আর বাসায় পৌঁছে হাত রাখলাম কলিং বেলে। কমান্ডিং অফিসার পাজামা পরেই বেরিয়ে এলো, খুলে দিল দরজা। ক্ষিপ্রগতিতে আমি ঘরে ঢুকে পড়লাম এবং গলা শুদ্ধ তার কলার টেনে ধরলাম।

দ্রুত গতিতে আবার দরজা খুলে কর্নেলকে আমি বাইরে আনলাম। বললাম, “বন্দরে পাঠিয়ে আমাকে মারতে চেয়েছিলে? আমি তোমাকে গ্রেফতার করলাম। এখন লক্ষ্মী সোনার মতো আমার সঙ্গে এস।” সে আমার কথা মানলো, আমি তাকে ব্যাটেলিয়নে নিয়ে এলাম। অফিসারদের মেসে যাওয়ার পথে আমি কর্নেল শওকতকে (তখন মেজর) ডাকলাম। জানালাম, সমস্ত পাকিস্তানি অফিসারকে কী করে রাখা হয়েছে। আমি অফিসে গেলাম। সবচেষ্টা ব্যর্থ হলো। তারপর রিং করলাম বেসামরিক বিভাগে টেলিফোন অপারেটরকে। তাকে অনুরোধ জানালাম- ‘ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, কমিশনার, ডিআইজি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাতে যে, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটেলিয়ন বিদ্রোহ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করবে তারা। এদের সাথে আমি টেলিফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কাউকে পাইনি। তারা অনুরোধ রক্ষা করতে রাজী হলো। সময় ছিল অতি মূল্যবান। আমি ব্যাটেলিয়নের অফিসার, জেসিও আর জোয়ানদের ডাকলাম এবং তাদের নির্দেশ দিলাম সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে। তারা সর্বসম্মতিক্রমে হৃষ্টচিত্তে এ আদেশ মেনে নিলো। আমি তাদের একটা সামরিক পরিকল্পনা দিলাম।

তখন রাত ২টা বেজে ১৫ মিনিট, ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সাল। রক্তের আঁখরে বাঙালির হৃদয়ে লেখা একটি ক্ষণ। বাংলাদেশের জনগণ চিরদিন স্মরণ রাখতে ভালোবাসবে। এই ক্ষণটিকে তারা কোনদিন ভুলবে না, কোন দিন না।

© সাইবার ৭১ -We Work To Protect Alokbali

১০ ডিসেম্বর, ২০২১বেগম খালেদা জিয়া  দেশ অথবা দেশের জনগণের অধিকার নিয়ে কখনো আপোষ করেননিIn no way did Begum Khaleda Zia eve...
10/12/2021

১০ ডিসেম্বর, ২০২১
বেগম খালেদা জিয়া দেশ অথবা দেশের জনগণের অধিকার নিয়ে কখনো আপোষ করেননি
In no way did Begum Khaleda Zia ever compromise the rights of the people of Bangladesh or the country

আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে "স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি" আয়োজিত স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে "Disenfrenchisement Under the Authoritarian Regime" বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য।

ইউটিউবঃ https://youtu.be/JdHZcnefDd4

১০ ডিসেম্বর, ২০২১বেগম খালেদা জিয়া দেশ অথবা দেশের জনগণের অধিকার নিয়ে কখনো আপোষ করেননিঃ তারেক রহমানIn no way did Begum Khaleda Zia ever comp...

প্রতিবাদ বিবৃতিবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়া এবং নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচা...
06/12/2021

প্রতিবাদ বিবৃতি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়া এবং নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এর অশ্রাব্য মন্তব্যে নারীপক্ষ ক্ষুব্দ

বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান গত ১৯ অগ্রহায়ন ১৪২৮/ ৪ ডিসেম্বর ২০২১ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক জিয়া এবং নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে যে নোংরা গালাগালি করেছেন এরজন্য তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমুলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। কোনো নারীকে লুইচ্ছা বলে গালি দেয়া এবং প্রতি রাতে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের সাথে না শুইলে হয় না ধরনের নারী বিদ্বেষী ও বর্ণবাদী কথন কি করে একজন জনপ্রতিনিধি কেবল নয়, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যও বটে ,উচ্চারণ করতে পারেন এবং এর জন্য আবার গর্ব প্রকাশ করেন?!

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য উপভোগ করছিল বলে দৃশ্যমান এবং তার অঙ্গভঙ্গি ও প্রশ্ন করার ধরন প্রতিমন্ত্রীকে এহেন বক্তব্য দিতে আরো উস্কিয়ে দেয়।

বর্তমান সরকার দাবি করেন যে তারা নারীবান্ধব। নারীর প্রতি ন্যূনতম সম্মান রেখে কথা বলতে পারেন না সেই ব্যক্তি তারপরও কি করে পদে বহাল থাকেন?

আমরা এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করি।

তামান্না খান পপি
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ.

© Bangladesh Nationalist Party-BNP

11/11/2021

আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ফলাফল.

চেয়ারম্যান.
দেলোয়ার হোসেন সরকার দিপু

মেম্বার.
১ নং / মোঃ হযরত আলী,
২ নং/ মোঃ আব্দুল কাদির
৩ নং/ মোঃ আমির সরকার
৪ নং/ মোঃ কামাল উদ্দিন জামাল
৫ নং / মোঃ আবু খায়ের
৬ নং/ মোঃ আমান সরকার
৭ নং/ মোঃ নায়েব আলী
৮নং/ মোঃ সামাল মিয়া
৯ নং/ মোঃ মোস্তফা মিয়া

মহিলা মেম্বার .
১,২,৩ নং/ মোসাঃ পারুল বেগম
৪,৫,৬ নং/ মোসাঃ লিলি বেগম
৭,৮,৯ নং/ মোসাঃ খোশেদা আক্তার (খুশি)

Congratulations By 🖤

আলোকবালী ইউপিঃ নির্বাচন ৪ নং ওর্য়াড সুন্দর পরিবেশ !
11/11/2021

আলোকবালী ইউপিঃ নির্বাচন ৪ নং ওর্য়াড সুন্দর পরিবেশ !

সিপাহী জনতা ঐক্যবদ্ধ সাতই নভেম্বর,গণতন্ত্রের লড়াই শুনছি জিয়ার কণ্ঠস্বর !
07/11/2021

সিপাহী জনতা ঐক্যবদ্ধ সাতই নভেম্বর,
গণতন্ত্রের লড়াই শুনছি জিয়ার কণ্ঠস্বর !

04/11/2021

আসন্ন আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু ৩ এবং আহত ২০ সূত্র - Somoy TV.

.

04/11/2021

আলোকবালী ইউনিয়ন, নেকজানপুর গ্রামে আওয়ামীলীগের দুই মেস্বার পার্থীর সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ৪ জন গুরুতর এবং ১০-১৫ জন আহত ।

The PERFECT selfie!! 🖤🇵🇰
24/10/2021

The PERFECT selfie!! 🖤🇵🇰

Shaheen Shah Afridi!!! 🖤
24/10/2021

Shaheen Shah Afridi!!! 🖤

ভারত পাকিস্তান ম্যাচে পানি বিরতিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান নামাজ আদায় এর দৃশ্য;🇵🇰 🖤
24/10/2021

ভারত পাকিস্তান ম্যাচে পানি বিরতিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান নামাজ আদায় এর দৃশ্য;🇵🇰 🖤

HAPPY 75th BIRTHDAY , Honourable Prime Minister Sheikh Hasina Long Live the Prime Minister.                             ...
28/09/2021

HAPPY 75th BIRTHDAY , Honourable Prime Minister Sheikh Hasina
Long Live the Prime Minister.









সাইবার ৭১ -We Work To Protect Alokbali.
🖤

জরুরি ঘোষণা যারা AstraZeneca (Covishield) ভ্যাক্সিনের ১ম ডোজ গ্রহণ করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন, তারা নিকটবর্তী  কেন্দ্...
23/08/2021

জরুরি ঘোষণা

যারা AstraZeneca (Covishield) ভ্যাক্সিনের ১ম ডোজ গ্রহণ করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন, তারা নিকটবর্তী কেন্দ্রে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২য় ডোজ গ্রহণ করুন।




🖤

06/08/2021

Congratulations Bangladesh Cricket : The Tigers 💙

26/07/2021

You can tell us if you need any help !

21/07/2021

সাইবার ৭১ -We Work To Protect Alokbali এর পক্ষ থেকে
সকলকে জানাই পবিত্র ইদুল আজহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

Congratulations AFA - Selección Argentina . Congrats Leo Messi .🖤
11/07/2021

Congratulations AFA - Selección Argentina .

Congrats Leo Messi .🖤

20/06/2021

আমাদের সাথেই থাকুন!🖤

Send a message to learn more.

13/05/2021

সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক 🥀

তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম 🌙

Address

Narsingdi
1600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সাইবার ৭১ -We Work To Protect Alokbali posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সাইবার ৭১ -We Work To Protect Alokbali:

Share

Category