We LoV3 NaRaYaNgOnJ (BaNdAr)

We LoV3 NaRaYaNgOnJ (BaNdAr) Bandar has 9 Unions/Wards, 122 Mauzas/Mahallas, and 183 villages

22/11/2023
1978 বঙ্গবন্ধু রোড চাষাড়া, নারায়নগঞ্জ
14/06/2020

1978 বঙ্গবন্ধু রোড চাষাড়া, নারায়নগঞ্জ

‘পানিপথের যুদ্ধ দেখিনি, ডিমযুদ্ধ দেখলাম’জনপ্রিয় গান ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা…’ নতুন করে গাওয়ার সময় এসেছে। ডিম দিবসে কম মূ...
14/10/2017

‘পানিপথের যুদ্ধ দেখিনি, ডিমযুদ্ধ দেখলাম’

জনপ্রিয় গান ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা…’ নতুন করে গাওয়ার সময় এসেছে। ডিম দিবসে কম মূল্যে ডিম কিনতে গিয়ে লাঠির বাড়ি খাওয়া ডিম প্রেমীরা আয়োজকদের উদ্দেশে গাইতে পারেন, ‘আণ্ডা হই হই ডাণ্ডা খাওয়াইলা…’।


‘মাগনা পেলে আলকাতরা খায়’ কথাটা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। কবে কে মাগনা পেয়ে আলকাতরা খেয়েছিল তার স্ক্রিনশটটা আজ পর্যন্ত প্রকাশ না পেলেও মাগনা আণ্ডা (১২ টাকা হালি ডিম বর্তমান বাজারে ফ্রির মতোই) খেতে গিয়ে ডাণ্ডা খাওয়ার অনেক স্ক্রিনশট ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে।

ঘটনা হলো আজ (শুক্রবার) ছিল বিশ্ব ডিম দিবস। এ উপলক্ষে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে তিন টাকা প্রতি পিস মানে ১২ টাকা হালি ডিম বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঢাকাবাসীর বিশেষ করে ঢাকার ব্যাচেলরদের তো ডিম ছাড়া চলেই না। তিনটাকায় ডিম কিনতে ভিড় উপচে পড়তে থাকে খামারবাড়িতে। প্রায় দুই মাইল লম্বা সিরিয়াল হয়।

যেখানে তিন বাঙালি এক হলেই নানা বিষয়ে উন্মুক্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়, সেখানে পঞ্চাশ হাজার মানুষ কি লাইনে দাঁড়িয়ে দিনের বেলায় তারা গুনবে? স্বভাবতই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দেশে হরতাল অবরোধ না থাকায় আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও দীর্ঘদিন হাতের ব্যায়াম, লাঠির ব্যায়াম করতে পারছিল না। তারা হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। শুরু হয় হুড়োহুড়ি।

হুড়োহুড়িকে কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডিম বাগিয়ে নিয়েছেন। অনেকে ফিরেছেন খালিহাতে।
আমার এক বন্ধু তো ডিম না পেয়ে খুবই হতাশ। আমাকে ফোন করে বলল, ‘এইটা কেমন ফাজলামি। ডিম দিতে চেয়ে দিল না?’
আমি বললাম, ‘আরে সামান্য ডিমই তো। এত হতাশ হওয়ার কী আছে।’
বন্ধুর কণ্ঠে ঝাঁঝ। সে বলল, ‘হতাশ হবো না? কতবড় পরিকল্পনা আঁটছিলাম। তিন বন্ধু মিলে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। একেকজন ৯০ টা করে ডিম কিনবো। প্রতি পিস মাত্র তিন টাকায়। এগুলো সেদ্ধ করে বিক্রি করবো ১৫ টাকায়। ৯০টা ডিম বেচে লাভ করবো ১০৮০ টাকা। ব্যবসাটা আর হইলো না।’

আমার মাথা খুলতে শুরু করলো। বুঝলাম এত মানুষ লাইনে দাঁড়ানোর রহস্য। তাকে বললাম, ‘বাদ দাও বন্ধু। ১০৮০ টাকার ব্যবসা হাতছাড়া হওয়ায় তোমার খুব বেশি ক্ষতি হবে না।’
সে বলল, ‘বাদ দিব কেন? আয়োজকরাইতো ডিম মেরে দিল। ৫০ হাজার ডিম বিক্রির কথা বলে ১০/১৫ হাজার ডিম এনেছে। ডিম যখন দিতেই পারবে না তাহলে এত মানুষ জড়ো করার দরকার কী?’

ডিমের জন্য এই হুড়োহুড়ি দেখে একটা আইডিয়া মাথায় এলো-
সামনে নির্বাচন। নির্বাচন মানে মনোনয়ন, শো-ডাউন, মিছিল-মিটিং, সভা, সমাবেশ। কার চেয়ে কার লোকবল বেশি তার প্রদর্শন। নেতা কর্মীরা যদি ঘোষণা দেন ‘আমাদের সমাবেশস্থলে এক টাকায় ডিম বিক্রি হবে,’– ঢাকার অর্ধেক লোক তার সমাবেশে হাজির হবে নিশ্চিত।

আরেক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল, ‘দোস্ত পানিপথের যুদ্ধ দেখিনি। ডিমযুদ্ধ দেখলাম। সামান্য ডিমের জন্য মানুষ এমন লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে দিল। ভাগ্যিস মুরগী এই দৃশ্য দেখেনি। দেখলে লজ্জায় ডিম পাড়া বন্ধ করে দিত।’

ডিম নিয়ে এমন কাণ্ডের বেশকিছু কারণ আছে। বুয়া ও মেস ফ্যাক্টর তারমধ্যে অন্যতম। ঢাকার মেসে থাকা ব্যাচেলররা বুয়া রাখে রান্নার জন্য। আর এই বুয়ারা মাসের বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকে, ঠিকমতো রান্না করে না। বুয়া ছুটিতে এই কথা বলে ক্ষুধাকে তো ছুটি দেওয়া যায় না। ফলে ব্যাচেলরদের ঝুঁকতে হয় ডিমের দিকে। সুন্দরীরাও নাকি চুল ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে ডিম ব্যবহার করে। ফলে ঢাকাবাসীর প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী ডিম।

হাতি যেমন মরলেও লাখ টাকা বাঁচলেও লাখ টাকা। তেমনি ভালো ডিমের নানাবিধ ব্যবহারের পাশাপাশি পচা ডিমেরও রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। সে ক্ষেত্রে বলা যায় ভালো ডিম যেই টাকা পচা ডিমও সেই টাকা।

পচা ডিম আবার কী কাজে লাগে অনেকে সে প্রশ্ন করে বসতে পারেন। একটা গল্প বললেই সবাই বুঝতে পারবেন-
এক মোটিভেশনাল স্পিকার গৎবাঁধা, বস্তাপচা বক্তৃতা দেওয়ার ফলে কয়েকটা অনুষ্ঠানে গিয়ে পচা ডিমের শিকার হলেন। তিনি বক্তৃতা শুরু করলেই দর্শক পচা ডিম ছুঁড়তে শুরু তাকে উদ্দেশ্য করে।

এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেল। মোটিভেশনাল স্পিকারকে তো আর কেউ ডাকে না। কার এত ঠেকা পড়েছেে এই বক্তাকে ডেকে পচা ডিমের বৃষ্টিতে পড়ার?

স্পিকারও বক্তৃতা দিতে না পেরে পেটে কথা জমতে জমতে পেট ফুলে যাওয়ার দশা।

অবশেষে তার মাথায় এলো নতুন বুদ্ধি। যোগাযোগ করলেন আয়োজকদের সাথে। বললেন, ‘আমাকে মোটিভেশনাল স্পিচ দেওয়ার সুযোগ দেন। নিশ্চয়তা দিলাম কেউ ডিম ছুঁড়ে মারবে না।’ আয়োজকরা আশ্বস্ত হলেন। তাকে ডাকলেন। স্পিকার সেই একই বস্তাপচা বক্তৃতা দিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো কেউ পচা ডিম ছুড়ে মারলো না। আয়োজকদের তো বিস্ময়ের সীমা নেই। একজন ব্যাকস্টেজে স্পিকারকে বলেই বসলেন- ‘ভাই, ঘটনা কী! পচা ডিম মারল নো কেউ?’ মোটিভেশনাল স্পিকার নড়েচড়ে বসলেন। ব্যাপক ভাব নিয়ে বললেন, ‘পচা ডিম পেলে না মারবে? গতকাল এলাকার সব পচা ডিম আমি কিনে নিয়েছি ।।

17/04/2017

আমাদের সাইকিয়াট্রিতে মা সহ এক আপু এসেছে।চেহারা দেখে মনে হলো বড়জোড় ইন্টার পড়ুয়া।কিন্তু আপু বেশ সিনিয়র।এবারের বিসিএস রিটেন পরীক্ষার্থী।
একটা প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে এমবিএ করা।
চেহারা সাদাসিধে,তেমন কোন বিশেষত্ব নেই।কিন্তু এই চেহারার ভেতরে লুকিয়ে রেখেছে ভয়ংকর একটা অসুখ।
বেশ অদ্ভূত রকম অসুখ।
সে কোন রাতে ঘুমাতে পারে না।সারা রাত বসে কাটিয়ে দেয়।কোন বই পড়া না,কোন টিভি দেখা না,কারো সাথে না....স্ট্রেইট এক বসায় পুরো রাত পার হয়।
এভাবেই চলছে রাতের পর রাত।
শেষ একমাসে চার বার অজ্ঞান হওয়ার কারণে ডাক্তারের কাছে আসে।মেডিসিনের ডাক্তার দয়াবশত সাইকিয়াট্রিতে রেফার্ড করেছেন।
দয়াবশত বললাম কারণ এদেশের ডাক্তারদের মধ্যে অন্য ডিপার্টমেন্টে রেফার্ড করার টেন্ডেন্সি কম।
সব রোগী একাই খেতে চান।...স্যার আপুকে সমস্যা বলতে বললেন।
তিনি মাথা নিচু করে বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে রইল।
তারপর বেশ গুছিয়ে কথা বলা শুরু করল।
সমস্যার শুরুটা বেশ অদ্ভূত।
দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট।
পরিবারের সবাই বেড়ে উঠার বয়সে বলাবলি করত তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল থেকে কুড়িয়ে পেয়েছে।আমাদের আরো ৮-১০ টা পরিবারে বাচ্চাদের সাথে যেরকম মজা করা ঠিক সেরকমই।
অদ্ভূতভাবে এই কথাটা তার মাথায় চিরস্থায়ী হয়ে গেল।সে প্রতিটা মুহুর্তে আবিষ্কার করল তাকে অবহেলা করা হয়।কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে বলে আদর কম পাচ্ছে।
বড় হয়ে যখন সবকিছু বুঝতে পারল তখনও ব্যাপাটা মাথা থেকে বের হয়নি।কুড়িয়ে না পাওয়া ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও অনাদরের ব্যাপারটা চিরস্থায়ী প্রভাব ফেলে দিল।
এই প্রভাবটা তার জীবনে কাল হয়ে গেল।
চরম মাত্রায় এগ্রেসিভ স্বভাব গড়ে উঠল।আস্তে আস্তে ঘুম চলে গেল।
সবকিছুই ঘটল পরিবারের সদস্যদের অজান্তে।
আপু বলল,ওরা সবসময় আমার দুর্বল পয়েন্ট মানুষের কাছে তুলে ধরত।আমি স্বভাবে গাধা,কোন কাজ পারি না ইত্যাদি,ইত্যাদি।অথচ আমি মোটেই গাধা না।
আমার লেট মেন্সট্রেশন নিয়ে আত্মীয় স্বজনের সাথে টিটকারী করত।আমি তখন ইন্টারে পড়ি।আমার লজ্জার ব্যাপারটা বুঝতে চাইত না।...কথা বলার এক পর্যায়ে আপু চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে দিল।
-আমার মা আমাকে কোনদিন ভালোবাসেনি।তার সব ভালোবাসা তার বড় মেয়ের জন্য!
পাশে বসা মা চিৎকার করে পাল্টা কান্না জুড়লেন
-তুই এসব কি বলিস রে মা!তোরে আমি পেটে ধরছি না!!
স্যারকে বললেন,স্যার বিশ্বাস করেন ও সব ভুল বলছে।ওরে আমি অসম্ভব ভালোবাসি।..স্যার চুপ করে শুনছেন।আমি বেশ অস্বস্তি নিয়ে বসে আছি।স্যারের সাথে গল্প করতে গিয়ে ধরা খেলাম। এরকম অবস্থায় আর কখনো পড়িনি।
স্যার কাউন্সিলিং করলেন।
মা মেয়ে দুজনকেই বুঝালেন।দুজনেই ঘন ঘন চোখ মুছল।
ফ্যাচ ফোচ শব্দে কান্না ঘন্টাখানেক ধরে চলতে থাকল।..আপনার কাছে পুরো ব্যাপারটাকে ন্যাকামী মনে হতে পারে।সামান্য একটা ইয়ার্কির জন্য একটা মেয়ে এরকম কেন করবে সেটা ভেবে বিরক্তিবোধ করতে পারেন।
কিন্তু বাস্তবতা একটু অন্যরকম।
চাইল্ড সাইকোলজি একটা বড় বিষয়।শিশুমন খুব সেন্সেটিভ জায়গা।ঐ সময় সামান্য আনন্দ মানে সারা জীবনের আনন্দ,সামান্য কষ্ট মানে সারা জীবনের কষ্ট....ঐ সময়কার কোন ঘটনার ছাপ সারা জীবনেও তোলা সম্ভব হয়না।
শিশু বয়সের অবহেলা পরবর্তী জীবনে অনেক মানুষকে ভয়ানক এগ্রেসিভ করে তুলে।
পৃথিবীর ভয়ংকর সব মানুষদের শিশু বয়স নিয়ে স্ট্যাডী করলেই এই ব্যাপারটা বের হয়ে আসবে।...শিশুদের মানসিক অবস্থা নিয়ে আমরা কেউ ভাবিনা।
খাওয়া দাওয়া করিয়ে নাদুস নুদুস করাতেই আমাদের সব শ্রম,সব তৃপ্তি।
এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবুন।
আপনার কোন অযাচিত আচরণের দাগ সারা জীবনেও কাটবেনা।
আপনার সামান্য একটা ভুলের কারণে সারা জীবন সে আপনাকে ঘৃণা করবে।
ভুলেও একটা শিশুর দুর্বলতা বা কোন লজ্জার বিষয় তার সামনে অন্য কারো কাছে বলে মজা নিতে যাবেন না। একটা শিশু ঐ সময় আপনাকে হয়তো কিছু বলবে না,কিন্তু সারা জীবন সে আপনাকে অপছন্দ করবে।...অবহেলা ভয়ানক জিনিষ।
মানুষ সব সইতে পারে,অবহেলা সইতে পারেনা।
অবহেলা মানুষকে নষ্ট করে দেয়, অবহেলা মানুষকে ভেঙে ফেলে,অবহেলা মানুষকে এগ্রেসিভ করে।
শুরুতে করা একটু অবহেলা বাকি সারা জীবনের ভালোবাসাকে তুচ্ছ করে দেয়।
আবার সারা জীবনের ভালোবাসা তুচ্ছ হয়ে যায় শেষ সময়ের অবহেলায়।
যতবড় আপনই হোক,অবহেলার কোন ক্ষমা হয়না।
আসুন......বুঝতে শিখি।
লিখেছেনঃ-জয়নাল আবেদীন
[ShSMC]

02/03/2017
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদপর্ব :১লিখা-আরিফ আজাদ---------------------------------------------আমি রুমে ঢুকেই দেখি সাজিদ কম্পিউ...
23/02/2017

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
পর্ব :১
লিখা-আরিফ আজাদ
---------------------------------------------
আমি রুমে ঢুকেই দেখি সাজিদ কম্পিউটারের সামনে উবুঁ হয়ে বসে আছে।খটাখট কি যেন টাইপ করছে হয়তো। আমি জগ থেকে পানি ঢালতে লাগলাম। প্রচন্ড রকম তৃষ্ণার্ত।তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাবার জোগাড়।সাজিদ কম্পিউটার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,- 'কি রে, কিছু হইলো?'
আমি হতাশ গলায় বললাম,- 'নাহ।'
- 'তার মানে তোকে একবছর ড্রপ দিতেই হবে?'- সাজিদ জিজ্ঞেস করলো।
আমি বললাম,- 'কি আর করা। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।'
সাজিদ বললো,- 'তোদের এই এক দোষ,বুঝলি? দেখছিস পুওর এ্যাটেন্ডেন্সের জন্য এক বছর ড্রপ খাওয়াচ্ছে, তার মধ্যেও বলছিস, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। ভাই, এইখানে কোন ভালোটা তুই পাইলি,বলতো?'
-
সাজিদ সম্পর্কে কিছু বলে নেওয়া দরকার।আমি আর সাজিদ রুমমেট। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রো বায়োলজিতে পড়ে।প্রথম জীবনে খুব ধার্মিক ছিলো।নামাজ-কালাম করতো।বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কিভাবে কিভাবে যেন এগনোষ্টিক হয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে স্রষ্টার উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে এখন পুরোপুরি নাস্তিক হয়ে গেছে।ধর্মকে এখন সে আবর্জনা জ্ঞান করে।তার মতে পৃথিবীতে ধর্ম এনেছে মানুষ।আর 'ইশ্বর' ধারনাটাই এইরকম স্বার্থান্বেষী কোন মহলের মস্তিষ্কপ্রসূত।
সাজিদের সাথে এই মূহুর্তে তর্কে জড়াবার কোন ইচ্ছে আমার নেই। কিন্তু তাকে একদম ইগনোর করেও যাওয়া যায়না।
আমি বললাম,- 'আমার সাথে তো এর থেকেও খারাপ কিছু হতে পারতো,ঠিক না?'
- 'আরে, খারাপ হবার আর কিছু বাকি আছে কি?'
-- 'হয়তো।'
- 'যেমন?'
- 'এরকমও তো হতে পারতো,ধর, আমি সারাবছর একদমই পড়াশুনা করলাম না।পরীক্ষায় ফেইল মারলাম।এখন ফেইল করলে আমার এক বছর ড্রপ যেতো।হয়তো ফেইলের অপমানটা আমি নিতে পারতাম না।আত্মহত্যা করে বসতাম।'
সাজিদ হা হা হা হা করে হাসা শুরু করলো। বললো,- 'কি বিদঘুটে বিশ্বাস নিয়ে চলিস রে ভাই।'
এই বলে সে আবার হাসা শুরু করলো।বিদ্রুপাত্মক হাসি।
-
রাতে সাজিদের সাথে আমার আরো একদফা তর্ক হোলো।
সে বললো,- 'আচ্ছা, তোরা যে স্রষ্টায় বিশ্বাস করিস, কিসের ভিত্তিতে?'
আমি বললাম,- 'বিশ্বাস দু ধরনের। একটা হোলো, প্রমানের ভিত্তিতে বিশ্বাস।অনেকটা,শর্তারোপে বিশ্বাস বলা যায়। অন্যটি হোলো প্রমান ছাড়াই বিশ্বাস।'
সাজিদ হাসলো। সে বললো,- 'দ্বিতীয় ক্যাটাগরিকে সোজা বাঙলায় অন্ধ বিশ্বাস বলে রে আবুল,বুঝলি?'
আমি তার কথায় কান দিলাম না। বলে যেতে লাগলাম-
'প্রমানের ভিত্তিতে যে বিশ্বাস, সেটা মূলত বিশ্বাসের মধ্যে পড়েনা।পড়লেও, খুবই ট্যাম্পোরেরি। এই বিশ্বাস এতই দূর্বল যে, এটা হঠাৎ হঠাৎ পালটায়।'
সাজিদ এবার নড়েচড়ে বসলো। সে বললো,- 'কি রকম?'
আমি বললাম,- 'এই যেমন ধর,সূর্য আর পৃথিবীকে নিয়ে মানুষের একটি আদিম কৌতূহল আছে। আমরা আদিকাল থেকেই এদের নিয়ে জানতে চেয়েছি, ঠিক না?'
- 'হু, ঠিক।'
- 'আমাদের কৌতূহল মেটাতে বিজ্ঞান আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে, ঠিক?'
- 'হ্যাঁ।'
- 'আমরা একাট্টা ছিলাম। আমরা নির্ভুলভাবে জানতে চাইতাম যে, সূর্য আর পৃথিবীর রহস্যটা আসলে কি। সেই সুবাধে, পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা নানান সময়ে নানান তত্ব আমাদের সামনে এনেছেন। পৃথিবী আর সূর্য নিয়ে প্রথম ধারনা দিয়েছিলেন গ্রিক জ্যোতির বিজ্ঞানি টলেমি।টলেমি কি বলেছিলো সেটা নিশ্চয় তুই জানিস?'
সাজিদ বললো,- 'হ্যাঁ। সে বলেছিলো সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে।'
- 'একদম তাই। কিন্তু বিজ্ঞান কি আজও টলেমির থিওরিতে বসে আছে? নেই। কিন্তু কি জানিস, এই টলেমির থিওরিটা বিজ্ঞান মহলে টিকে ছিলো পুরো ২৫০ বছর। ভাবতে পারিস? ২৫০ বছর পৃথিবীর মানুষ, যাদের মধ্যে আবার বড় বড় বিজ্ঞানি, ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার ছিলো, তারাও বিশ্বাস করতো যে, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।এই ২৫০ বছরে তাদের মধ্যে যারা যারা মারা গেছে, তারা এই বিশ্বাস নিয়েই মারা গেছে যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে।'
সাজিদ সিগারেট ধরালো। সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললো,- 'তাতে কি? তখন তো আর টেলিস্কোপ ছিলো না, তাই ভুল মতবাদ দিয়েছে আর কি। পরে নিকোলাস কোপারনিকাস এসে তার থিওরিকে ভুল প্রমান করলো না?'
- 'হ্যাঁ। কিন্তু কোপারনিকাসও একটা মস্তবড় ভুল করে গেছে।'
সাজিদ প্রশ্ন করলো,- 'কি রকম?'
- 'অদ্ভুত! এটা তো তোর জানার কথা। যদিও কোপারনিকাস টলেমির থিওরির বিপরীত থিওরি দিয়ে প্রমান করে দেখিয়েছিলেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে নয়, পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘোরে।কিন্তু, তিনি এক জায়গায় ভুল করেন।এবং সেই ভুলটাও বিজ্ঞান মহলে বীরদর্পে টিকে ছিলো গোটা ৫০ বছর।'
- 'কোন ভুল?'
- 'উনি বলেছিলেন, পৃথিবীই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে, কিন্তু সূর্য ঘোরে না। সূর্য স্থির। কিন্তু আজকের বিজ্ঞান বলে, - নাহ, সূর্য স্থির নয়। সূর্যও নিজের কক্ষপথে অবিরাম ঘূর্ণনরত অবস্থায়।'
সাজিদ বললো,- 'সেটা ঠিক বলেছিস। কিন্তু বিজ্ঞানের এটাই নিয়ম যে, এটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হবে। এখানে শেষ বা ফাইনাল বলে কিছুই নেই।'
- 'একদম তাই। বিজ্ঞানে শেষ/ফাইনাল বলে কিছু নেই। একটা বৈজ্ঞানিক থিওরি ২ সেকেন্ডও টেকে না, আবার আরেকটা ২০০ বছরও টিকে যায়। তাই, প্রমান বা দলিল দিয়ে যা বিশ্বাস করা হয় তাকে আমরা বিশ্বাস বলিনা।এটাকে আমরা বড়জোর চুক্তি বলতে পারি। চুক্তিটা এরকম,- 'তোমায় ততোক্ষণ বিশ্বাস করবো, যতক্ষণ তোমার চেয়ে অথেনটিক কিছু আমাদের সামনে না আসছে।'
সাজিদ আবার নড়েচড়ে বসলো। সে কিছুটা একমত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
আমি বললাম,- 'ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার ধারনা/অস্তিত্ব হচ্ছে ঠিক এর বিপরীত। দ্যাখ, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মধ্যকার এই গূঢ় পার্থক্য আছে বলেই আমাদের ধর্মগ্রন্থের শুরুতেই বিশ্বাসের কথা বলা আছে। বলা আছে- 'এটা তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করে।' (সূরা বাকারা,০২)।
যদি বিজ্ঞানে শেষ বা ফাইনাল কিছু থাকতো, তাহলে হয়তো ধর্মগ্রন্থের শুরুতে বিশ্বাসের বদলে বিজ্ঞানের কথাই বলা হতো। হয়তো বলা হতো,- 'এটা তাদের জন্যই যারা বিজ্ঞানমনষ্ক।'
কিন্তু যে বিজ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, যে বিজ্ঞানের নিজের উপর নিজেরই বিশ্বাস নেই, তাকে কিভাবে অন্যরা বিশ্বাস করবে?'
সাজিদ বললো,- 'কিন্তু যাকে দেখিনা, যার পক্ষে কোন প্রমান নেই, তাকে কি করে আমরা বিশ্বাস করতে পারি?'
- 'সৃষ্টিকর্তার পক্ষে অনেক প্রমান আছে, কিন্তু সেটা বিজ্ঞান পুরোপুরি দিতে পারেনা।এটা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, সৃষ্টিকর্তার নয়।বিজ্ঞান অনেক কিছুরই উত্তর দিতে পারেনা। লিষ্ট করতে গেলে অনেক লম্বা একটা লিষ্ট করা যাবে।'
সাজিদ রাগি রাগি গলায় বললো,- 'ফাইজলামো করিস আমার সাথে?'
আমি হাসতে লাগলাম। বললাম,- 'আচ্ছা শোন, বলছি। তোর প্রেমিকার নাম মিতু না?'
- 'এইখানে প্রেমিকার ব্যাপার আসছে কেনো?'
- 'আরে বল না আগে।'
- 'হ্যাঁ।'
- 'কিছু মনে করিস না। কথার কথা বলছি। ধর, আমি মিতুকে ধর্ষণ করলাম। রক্তাক্ত অবস্থায় মিতু তার বেডে পড়ে আছে। আরো ধর, তুই কোনভাবে ব্যাপারটা জেনে গেছিস।'
- 'হু।'
- 'এখন বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা কর দেখি, মিতুকে ধর্ষণ করায় কেনো আমার শাস্তি হওয়া দরকার?'
সাজিদ বললো,- 'ক্রিটিক্যাল কোয়েশ্চান। এটাকে বিজ্ঞান দিয়ে কিভাবে ব্যাখ্যা করবো?'
- 'হা হা হা। আগেই বলেছি। এমন অনেক ব্যাপার আছে, যার উত্তর বিজ্ঞানে নেই।'
- 'কিন্তু এর সাথে স্রষ্টায় বিশ্বাসের সম্পর্ক কি?'
- 'সম্পর্ক আছে। স্রষ্টায় বিশ্বাসটাও এমন একটা বিষয়, যেটা আমরা, মানে মানুষেরা, আমাদের ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য প্রমানাদি দিয়ে প্রমান করতে পারবো না। স্রষ্টা কোন টেলিষ্কোপে ধরা পড়েন না।উনাকে অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়েও খুঁজে বের করা যায়না। উনাকে জাষ্ট 'বিশ্বাস করে নিতে হয়।'
সাজিদ এবার ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বেঁকে বসলো। সে বললো,- 'ধুর! কিসব বাল ছাল বুঝালি। যা দেখিনা, তাকে বিশ্বাস করে নেবো?'
আমি বললাম,- 'হ্যাঁ। পৃথিবীতে অবিশ্বাসী বলে কেউই নেই। সবাই বিশ্বাসী। সবাই এমন কিছু না কিছুতে ঠিক বিশ্বাস করে, যা তারা আদৌ দেখেনি বা দেখার কোন সুযোগও নেই।কিন্তু এটা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলে না। তারা নির্বিঘ্নে তাতে বিশ্বাস করে যায়। তুইও সেরকম।'
সাজিদ বললো,- 'আমি? পাগল হয়েছিস? আমি না দেখে কোন কিছুতেই বিশ্বাস করিনা, করবোও না।'
- 'তুই করিস।এবং, এটা নিয়ে তোর মধ্যে কোনদিন কোন প্রশ্ন জাগে নি।এবং, আজকে এই আলোচনা না করলে হয়তো জাগতোও না।'
সে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। বললাম,- 'জানতে চাস?'
- 'হু।'
- 'আবার বলছি, কিছু মনে করিস না। যুক্তির খাতিরে বলছি।'
- 'বল।'
- 'আচ্ছা, তোর বাবা-মা'র মিলনেই যে তোর জন্ম হয়েছে, সেটা তুই দেখেছিলি? বা,এই মূহুর্তে কোন এভিডেন্স আছে তোর কাছে? হতে পারে তোর মা তোর বাবা ছাড়া অন্য কারো সাথে দৈহিক সম্পর্ক করেছে তোর জন্মের আগে। হতে পারে, তুই অই ব্যক্তিরই জৈব ক্রিয়ার ফল।তুই এটা দেখিস নি। কিন্তু কোনদিনও কি তোর মা'কে এটা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলি? করিস নি। সেই ছোটবেলা থেকে যাকে বাবা হিসেবে দেখে আসছিস, এখনো তাকে বাবা ডাকছিস। যাকে ভাই হিসেবে জেনে আসছিস, তাকে ভাই।বোনকে বোন। তুই না দেখেই এসবে বিশ্বাস করিস না? কোনদিন জানতে চেয়েছিস তুই এখন যাকে বাবা ডাকছিস, তুই আসলেই তার ঔরসজাত কিনা? জানতে চাস নি। বিশ্বাস করে গেছিস।এখনো করছিস। ভবিষ্যতেও করবি। স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসটাও ঠিক এমনই রে।এটাকে প্রশ্ন করা যায়না। সন্দেহ করা যায়না। এটাকে হৃদয়ের গভীরে ধারন করতে হয়। এটার নামই বিশ্বাস।'
-
সাজিদ উঠে বাইরে চলে গেলো। ভাবলাম, সে আমার কথায় কষ্ট পেয়েছে হয়তো।
পরেরদিন ভোরে আমি যখন ফজরের নামাজের জন্য অযূ করতে যাবো, দেখলাম, আমার পাশে সাজিদ এসে দাঁড়িয়েছে।আমি তার মুখের দিকে তাকালাম।সে আমার চাহনির প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছে। সে বললো,- 'নামাজ পড়তে উঠেছি।'
Post by- শুভ্র
২য় পর্ব আগামীকাল দিব ইনশাআল্লাহ্।সাথেই থাকুন

INSPIRATIONAL POST★★★★★★★★★★★★ঢাকা গোলাপবাগ মাদ্রাসায়পড়া অবস্তায় পরিচয় হয়েছিলদু বোনের সাথে তাদের কোনমা বাবা পৃথিবিত...
05/02/2017

INSPIRATIONAL POST
★★★★★★★★★★★★
ঢাকা গোলাপবাগ মাদ্রাসায়
পড়া অবস্তায় পরিচয় হয়েছিল
দু বোনের সাথে তাদের কোন
মা বাবা পৃথিবিতে ছিল না
এক মেধাবি ভাই ছিল।।
দু বোন একসাথেই
হেফজো সনদ পেয়েছে।।
একজনের নাম ছায়মা
ছোটবোনের নাম রুমা।
গত ১৫ তারিখে তাদের
সাথে শাক্ষাত হয় অামার।।
জিজ্ঞেস করলাম তোমার
ভাগ্যবান ভাইটি কেমন
অাছে???
হাসিমুখে দুজনেই উত্তর
করল অালহামদুলিল্লাহ।।
অনেক গল্প করলাম তাদের
সাথে গল্পে গল্পে বেড়িয়ে
অাসলো তাদের সফলতার
পেছনে তার ভাই এর অবদান।।
অাপনাদের সাথে শেয়ার
করব হয়তো শিক্ষনীয়
কিছু অাপনার অামার
জীবনে কাজে অাসতে পারে।।
ছায়মা বলল
অামার ভাই একজন
মেধাবি ছাত্র ছিল
মা বাবা মারা যাবার পর
অামাদের সংসার জীবনে
নেমে অাসে গভীর অন্ধকার
অামরা দু বোন স্কুলে
লেখাপড়া নিয়ে ভাইয়া
বেশ চিন্তায় পরে যান।।
বিভিন্ন জায়গায় চাকরির
কথা বলেও চাকরি হয়না
টাকার কারনে তারপর
ভাইয়া সিদ্ধান্ত নেয়
রিকশা চালিয়ে হলেও
অামাদের পড়ালেখা করাবে।।
কিন্তু অামরা বাসায় একা থাকব
এই ভয়ে ভাইয়া অামাদের বলে
বোন তোদের দুজনকে মাদ্রাসায়
দিয়ে দিলে অামি নিশ্চিন্তে
যেখানে খুশি সেখানে কাজ
করতে পারব
প্রথমে অবশ্য রাজি ছিলাম না
পরে ভাইয়া যখন বলল
অামি যদি অটো রিক্সা চালাই
হয়তো তোদের লজ্জা লাগবে
তার চেয়ে ভাল ভাল একটা
মাদ্রাসায় পড়ে মা বাবার জন্য
দোয়া করতে পারবি ও নিজেদের
জন্য একটা নিরাপত্তা হবে।।
তারপর অামাদের এক ইমাম
সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে
চলে এলাম মাদ্রাসায়।।
শুরু হল এক সুন্দর জীবন
যেখানে রহমত অার রহমত
স্কুল জীবনের একটা উল্টো দিক
সুন্দর ও পবিত্র জীবন গড়ার
মুল লক্ষ্য হয়ে গেলো।।।।
হেফজোখানায় যেদিন সবক নিব
ভাইয়া অামাদের দেখতে এসেছিল
সে দিন ভাইয়ার চোখের কোনে
পানি দেখে বুঝতে শিখেছি
ভাইয়া যে মা বাবার অাসন ও
দখল করতে পারে তা হয়তো
অামাদের দু বোন ছাড়া কেহ
বুঝতে পারবে না।।
ভাইয়াকে বলেছিলাম
ভাইয়া তুমি তো অামাদের
যে স্থানে নিয়ে এসেছো তা
হয়তো মা বাবা নিয়ে অাসতো না
তারা বেচে থাকলে হয়তো
স্কুলের উসৃংখল জীবন বরন
করতে হতো।।
অাল্লাহ্ অামাদের এখানে
নিয়ে এসেছেন তোমার
অক্লান্ত পরিশ্রম এর কারনে।।
এ জন্য মহান অাল্লাহ্
তোমাকে উত্তম পুরস্কার
অবশ্যই দিবেন।।।
মাদ্রাসার ভিবিন্ন খরচসহ
অামাদের দু বোনের জামাকাপর
সব ঠিকমতই দিয়ে অাসছেন।।
দু বছরে অামরা দু বোন
হাফেজা হই।।।
যেদিন সনদ পাব
সেদিন ভাইয়া মা বাবার
কবরের পাশে দাড়িয়ে
অনেক কেদেছে।।
ভাইয়াকে জিগ্যাসা
করলাম ভাইয়া মা বাবার
জন্য কি দোয়া করলে
ভাইয়া কান্না জরিত কন্ঠে
বললো বোন মা বাবার
জন্য জান্নাত কামনা করেছি
অার বলেছি মা ও বাবা
তোমরা অামাকে মাদ্রাসায়
পড়াও নি তাই বলে
তোমাদের কোন দোষ
দিব না কিন্তু কাল কেয়ামতের
দিন তোমরা যাতে
অামার বিরুদ্ধে শাক্ষি দিতে
না পার অামি অামার ছোট
দু বোনের দায়িত্ব সঠিকভাবে
পালন করে দ্বীনি ইলম শিক্ষা
দিয়েছি।।।
ও মা তুমি না রাগ করে বলে
ছিলে অামাদের ঘরে
কোরঅানের কোন অালো নেই
তোমরা দেখো মা ছায়মা ও
রুমা কি সুন্দর করে
কোরঅান তেলোয়াত করে
প্রান জুরিয়ে যায়।।
জানো বাবা তুমি অামাকে
কোরঅান পড়ার জন্য কত
বকা দিয়েছিলে কিন্তু অাজ
দু বোনের কাছেই কোরঅান
পড়া শিখতেছি।।।
এভাবে যখন ভাইয়া বলতো
অামরা চোখের পানি ধরে
রাখতে পারতাম না।।
গ্রামের সবাই ভাইয়াকে
সম্মান করতো এ যেন
অাল্লাহ্ তায়ালার বিশেষ
রহমত অামাদের ঘরে বইতে
শুরু করছে।।।
একটি প্রাইভেট কম্পানিতে
অাল্লাহ্ তায়ালার অশেষ
রহমতে ভাইয়া একটি
ভাল চাকরি পেয়ে যায়
পাশাপাশি ভাল ভাবে চলার
মত বেতন ও অালহামদুলিল্লাহ।।
অাজ অামাদের জীবনটা
খুব সুন্দর সঠিক পথে চলছে।
------বোন তোমাদের কথা
শুনে অামি এই সমাজের
প্রতিটি ভাইকে বলব
শিক্ষা নিতে এবং দায়িত্ববান হতে।
অাল্লাহ্ যেন এমন করে
তোমাদের মত প্রতিটি ভাই
তার বোনের উত্তম চরিত্র গঠনে
কাজ করে এবং দুনিয়াতে যেমন
অাল্লাহ সম্মানিত করবেন তেমনি
অাখিরাতে ও।।।।।।।
সবশেষে রুমার একটি কথা
অামাকে অনেক বেশি চমকিত করেছে
----------------
জীবন যুদ্ধে ভাইয়ার রিক্সার পেডেল
এর মুল্য দিতে হয়তো পারব না
কিন্তু দুনিয়া ও অাখিরাতে ভাইয়ার
জন্য সকল কল্যান কামনা করব
ইয়া অাল্লাহ্ এমন ভাই যেন অামাদের
প্রতিটি ঘরে জন্ম নেয় ।।
এবং মা বাবাকে অাল্লাহ্ উত্তম
জাযা
দান করুন......
অাল্লাহ্ যেন এ বোনদের উদারন
হিসেবে
অামাদের জীবনে দ্বীনি শিক্ষার
বীজ বোপন করে দেয় -----অামিন ইয়া রব।।।।

26/01/2017
31/12/2016

আপু!তোর মনে আছে কিনা জানিনা, বেশকয়েকবছরআগে সম্ভবত থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনকরতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরটিএসসিতে এক মেয়ে...
31/12/2016

আপু!
তোর মনে আছে কিনা জানিনা, বেশ
কয়েকবছর
আগে সম্ভবত থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন
করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
টিএসসিতে এক মেয়ে শ্লীলতাহানীর
শিকার
হয়। রাতের ১২ টা বাজে অর্থাৎ
মধ্যরাতে তখন হাজার হাজার যুবক
যুবতী যৌবনের
আবেগে গা ডলাডলি করে মিলিত
হয়েছিল নতুন
বছরকে বরণ করে নিতে। সেই
নারী পুরুষের
অবাধ মিলনমেলার আধুনিকতার বলি হয়
সেই
মেয়েটি। তার জীবনের সবচে মূল্যবান
সম্পদে একটা পশুর ঘন কেশযুক্ত
কালো হাতের স্পর্শ লাগে।
আমি শতভাগ নিশ্চিত, কয়েক
মুহূর্তের সেই
দুঃস্বপ্নটি আজো ঘুমাতে দেয়না মেয়ে
আপু দ্যাখ! সময় বয়ে যায়, মুছে যায় স্মৃতি।
সেই দিনের
ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন
তুলেছিল। সোচ্চার হয়েছিল সবাই।
কিন্তু ঐ
যে, সময় বয়ে গেছে? আমরাও
ভুলে গেছি সে দিনের ঘটনা।
ভুলে গেছে আমাদের হাজার হাজার
লাখ লাখ বোন, যারা আগামী ৩১
তারিখ আবার মিলিত
হবে সেই আদিম মিলনমেলায়।
ছেলে মেয়ের
সীমান্তের কাঁটাতার সেদিন
উঠে যাবে।
গায়ে গা লাগিয়ে, জড়াজড়ি করে,
নেচে গেয়ে আবার নারী পুরুষ
একে অন্যতে বিলীন হবে। তারপর
ফিরে আসবে সেই কেশযুক্ত
কালো হাত।
খুঁজে বেড়াবে আমাদেরই
কারো বোনের
সবচে মূল্যবান সম্পদ। অতঃপর
ঘুমাতে দেবেনা তাকে আমৃত্যু। আপু! তুই
আমার কল্পনার বোন। আমার কোন বোন
নেই। থাকলে আমি সত্যি তাকে হাত
জোড়
করে বলতাম, আপু! তুই এইসব থেকে শত হাত
দূরে থাকিস। আমি পুরুষ।
আমি জানি আল্লাহ
আমাদের কিভাবে সৃষ্টি করেছেন।
কিন্তু তুই
জানিস না। বিশ্বাস কর! একটুও জানিস
না! পুরুষ যখন হাতের কাছে তার
সবচে কামনীয়
বিষয় পেয়ে যায়, তখন সে হায়েনার
চাইতেও
হিংস্র হয়ে ওঠে। তুই বলবি সব পুরুষই
তো এমন
না। হ্যাঁ আপু। সব পুরুষ এমন না। যারা এমন
পশু
না, তারা কখনই এমন কোথায় যাবেনা,
যেখানে নারী পুরুষের কোন ব্যবধান
থাকেনা। তারা এমন কোথাও
থাকবেনা,
যেখানে কোন মেয়ের সাথে তাদের
ছোঁয়া লেগে যায়। তারা এমন কোথাও
যাবেনা,
যেখানে মেয়েরা বেপর্দা হয়ে তাদে
গায়ের
পাশে নেচে নেচে নিজেকে “এভেইল
প্রমাণ করে। তুই তাদের একটাকেও এসব
জায়গায় পাবিনা আপু! একটাকেও না!
তারা আল্লাহকে ভয় করবে।
তারা আল্লাহকে সিজদা করবে,
নিজের
কামনাকে না। যারা মনের দিক
থেকে পশু, যাদের কামনা পাশবিক,
তাদের তুই এইসব
যায়গায় লাখে লাখে পাবি।
তারা তোকে হাত
দিয়ে না পারলেও চোখ
দিয়ে খুবলে খুবলে খাবে। বিশ্বাস কর
আপু!
তোর সাথে তারা সাধু
ব্যক্তি হয়ে কথা বলবে ঠিক! কিন্তু তোর
আড়ালে তারা তোকে নিয়ে কি ভাব
তুই মরে যেতি বোন। তুই মরে যেতি। আপু!
তুই প্লিজ এইসব থেকে শতহাত
দূরে থাকিস !
আপু! তুই আল্লাহকে ভয় করিস। [বোনহীন
এক ভাই এর পক্ষ থেকে সকল বোনের
প্রতি]
(সংগ্রহিত)

28/12/2016
11/12/2016

* মাত্র ৫ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান

* ১৬ বছর বয়সে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েন

* ১৭ বছরের মাথায় মোট ৪ বার চাকরী হারিয়েছিলেন

* ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন

* ১৯ বছর বয়সে তিনি বাবা হন

* ২০ বছর বয়সে তার স্ত্রী তাঁকে ফেলে রেখে চলে যায় আর কন্যা সন্তানটিকেও নিয়ে যায় সাথে

* সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং সেখানে ব্যর্থ হন

* ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে যোগদান করেন এবং সেখানেও সফলতার দেখা পান নি

* নিজের মেয়েকে নিজেই অপহরণ করতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেও ব্যর্থ হন

* চাকরী নিয়েছিলেন রেললাইনের কন্ডাকটর হিসেবে, সুবিধে করতে পারেন নি

* অবশেষে এক ক্যাফেতে রাধুনীর চাকুরী নেন

* ৬৫ বছর বয়সে তিনি অবসরে গিয়েছিলেন।

* অবসরে যাবার প্রথম দিন সরকারের কাছ থেকে ১০৫ ডলারের চেক পেয়েছিলেন।

* তাঁর কাছে মনে হয়েছিল জীবন তাঁর মূল্যহীন

* আত্মহত্যা করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

* এরপর একটী গাছের নিচে বসে জীবনে কি কি অর্জন করেছেন তাঁর একটা লিস্ট বানাতে শুরু করলেন।

* হঠাত তাঁর কাছে মনে হল জীবনে এখনো অনেক কিছু করবার বাকি আছে আর তিনি বাকি সবার চাইতে একটি জিনিসের ব্যাপারে বেশি জানেন- রন্ধনশিল্প

* তিনি ৮৭ ডলার ধার করলেন সেই চেকের বিপরীতে আর কিছু মুরগী কিনে এনে নিজের রেসিপি দিয়ে সেগুলো ফ্রাই করলেন।

* এরপর Kentucky তে প্রতিবেশীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেই ফ্রাইড চিকেন বিক্রি করা শুরু করলেন!

* জন্ম নিল KENTUCY FRIED CHICKEN তথা KFC র...

* ৬৫ বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন আর ৮৮ বছর বয়সে এসে Colonel Sanders বিলিওনার বনে গিয়েছিলেন।

* স্মরণীয় হয়ে আছেন KFC এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে!

-----হতাশ হবার কিছু নেই, আপনার হাতে এখনো অনেক সময় আছে বিলিওনার হবার...শুধু চেষ্টাটি প্রয়োজন!-----

( লেখাটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত )

10/11/2016

হযরত লোকমান (আ:) তার আপন
ছেলেকে দেওয়া উপদেশ___
___বেটা !তুমি এত মিষ্ট হইও
না যে,মানুষ
তোমাকে গিলিয়া ফেলে।আর এত
তিক্ত হইও
না যে মানুষ তোমাকে থুথুর
মতো ফেলিয়া দেয়___
___বেটা !যখন পেট ভরা থাকে,তখন
খাইও না।
পেট ভরা অবস্থায় খাওয়ার
চাইতে কুকুরকে দিয়া দেওয়া
ভালো___
___বেটা !নিজের খানা আল্লাহ্ভীরু
লোকদের
ব্যতীত কাহাকেও খাওয়াইও না।আর
নিজের
কাজে আলেমগনের নিকট
হইতে পরার্মশ
লইতে থাকিও___
___বেটা !মূর্খের সহিত বন্ধুত্ব
করিও না।এমন
না হয় তাহার মূর্খতাসুলভ
কথাবার্তা তোমার
ভালো লাগিত আরম্ভ করে।আর
জ্ঞানী লোকের সহিত শত্রুতা করিও
না।এমন
না হয় যে,সে তোমার দিক হইতে মুখ
ফিরাইয়া রাখে___
___বেটা !তুমি যেদিন
হইতে দুনিয়াতে আসিয়াছ,প্রতিদিন
আখেরাতের নিকটবর্তী হইতেছ___
___বেটা !কর্জ
হইতে নিজেকে হেফাজাত
রাখিও।কেননা ইহা দিনের বেলায়
অপমান
এবং রাত্রিতে দুশ্চিন্তা___
___বেটা !তুমি মোরগের
চাইতে বেশী অক্ষম
হইও না।সে তো শেষ
রাত্রিতে জাগিয়া চিৎকার শুরু
করিয়া দেয়,আর
তুমি নিজের বিছানায়
পড়িয়া ঘুমাইতে থাকো___
___বেটা ! গুরুত্ব সহকারে জানাযায়
শরীক হইও
এবং অহেতুক অনুষ্ঠানাদি শরীক
হওয়া হইতে বাঁচিয়া থাকিও___

@কিছু উত্তরহীন প্রশ্ন@-বিথী কই তুই ?রান্না করতে করতে করতে ডাকদেয় বিথীর মা ।-এই তো মা খেলছি ।-এত রাইতে কার সাথে খেলস ?-ময়...
24/10/2016

@কিছু উত্তরহীন প্রশ্ন@
-বিথী কই তুই ?
রান্না করতে করতে করতে ডাক
দেয় বিথীর মা ।
-এই তো মা খেলছি ।
-এত রাইতে কার সাথে খেলস ?
-ময়নার সাথে মা ।
-রান্ধা হইছে ,তারাতারি খাইতে আয়

-একটু পর আইতাছি মা ।
বিথী ও বিথীর মা থাকে মিরপুরের
এক বস্তিতে । তার বাবা আছে তবে সত্।
তাদের সাথে তার বাবা থাকে না ।
তার
বাবার আরেকটা বউ
আছে । ঔ খানেই থাকে তার সত্ বাবা ।
তার
মা মিরপুরের এক রাস্তায়
পিঠা বিক্রি করে ।
সাথে থাকে বিথী ।
তার মাকে সাহায্য করে ।
সকালে মা মেয়ে বের হয়ে যায় ।
ফিরে সন্ধার দিকে ।ফিরেই
রান্না করতে বসে যায় বিথীর মা । আর
বিথীর তখন অবসর ।বিজয়ের
হাসি দিয়ে মাকে বলে "মা আমি খেলতে যাইতাছি ।
রান্ধা হইলে ডাইকো ।"
খেলা শেষ করে ক্লান্ত
হয়ে ঘরে ফিরে বিথী ।চোঁখ
গুলো লাল
হয়ে গেছে ।যেন তার চোঁখে রাজ্যের
ঘুম ।
সারা গায়ে ক্লান্তি ।
চুলগুলো এলোমেলো ।
কতদিন তেল দেয়না তারও ঠিক নাই ।
বিথীর মায়ের খুব খারাপ লাগে ।
মেয়ের
জীবনটাকে সে ধংস করে দিল ।কিন্তু
কি করবে ?তার তো কিছু করার নাই ।
অনেক
শখ ছিল
মেয়েটাকে স্কুলে পড়াবে ,তা আর
হল না ।
আসলে মেয়েটার ভাগ্যটাই খারাপ ।ওর
যখন
২বছর বয়স তখন তার বাবা মারা যায় ।শুধু
মাত্র মেয়ের দিকে তাকিয়েই আবার
বিয়ে করে বিথীর মা ।
কিন্তু কথায়
আছে না অভাগা যেদিকে তাকায়
সেদিকেই
নদীর জল শুকিয়ে যায় ।তাই হল বিথীর
ক্ষেত্রে ।তার
সত্ বাবা আরেকটা বিয়ে করল ।তাদের
ছেড়ে অন্য যায়গায় চলে গেল । বিথীর
মা বিথীকে যত্ন করে খাওয়ায় ।তাও
তেমন
কিছু না ।গরীবের মাংশ ডাল আর ভাতই
থাকে তাদের খাদ্য
তালিকায় ।সারাদিন মেয়েটার
দিকে ভাল
করে তাকাতেও
পারে না তার মা ।
রাতে মা মেয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায়।
ঘুমানোর আগে বিথীর কত
কথা ।"মা আব্বা আসেনা কেন ?আমার
উপর
কি রাগ করে চলে গেছে ?আমি আর
চকলেট
চামু না ।আব্বারে ফিইরা আসতে কও
।"এইসব
কথায়
বেশি বলে ।আবার মাঝে মাঝে গল্প ও
শুনাতে বলে ।মা রাজকুমারীর
গল্পটা শুনাও
না ।"একদেশে ছিল
এক রাজকুমারী ।নাম তার
বিথী ,,,,,,,,,"গল্পটা বেশিদূর আগায় না ।
কারন
রাজকুমারী ততক্ষনে তার স্বপ্নের
রাজ্যে চলে গেছে ।
বিথী মাঝে মাঝে তার মাকে প্রশ্ন
করে মা তুমি আমার সাথে রাগ
করে বাবার
মতো দূরে চলে যাবেনাতো ?"না মা যাবো না ।
আমি তর কাছেই থাকুম ।তরে বিয়াও
দিমু
না "বিথী তখন ময়লা দাতে হাঁসে ।
বিথীর
মার
কাছে এই হাসিটার অনেক দাম ।
আসলে বেঁচে থাকাটাই তার সার্থক
মনে হয়

মিরপুরেরএকটি ব্যাস্ততম রাস্তা ।সকাল
থেকেইঅনেক গাড়ি চলা শুরু করে ।সেই
রাস্তার ফুটপাতে বসে পিঠা বানায়
বিথী আর তার মা ।আজ বিক্রি ভালই
হচ্ছিল
।পিঠা বানাতে বানাতে বিথীর
মা লক্ষ্য
করল আটা শেষ হয়ে গেছে ।তাই
সে বিথীকে বলল"এদিকে একটু
দেখতো মা ।
আমি আটা লইয়া আসি ।"বিথীর
উত্তরের
অপেক্ষা না করেই সে চলল
আটা আনতে ।
রাস্তা পার হতে যাবে এমন সময়
একটা বাস
ছুটে আসল ।একটা বিকট শব্দ ।
সেকেন্ডেরজন্য সবার দৃষ্টি সেদিকে ।
বিথীর মা বাসের
নিচে চাপা পড়েছে ।
বিথী ছুটে গিয়ে মায়ের রক্তাক্ত দেহ
মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে ।
একটা অটোতে করে তার বিথীর
মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল

সংগে গেল বিথী ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের
সামনে বসে কাঁদছে একটি ছোট্ট
মেয়ে ।
ভেতরেই তার একটি বেডে তার
মায়ের মৃত
দেহ পরে আছে ।কেউ
মেয়েটিকে সেখান
থেকে সরাতে পারছে না ।মেয়েটির
মুখে একই কথা "আমার
মায়েরে ছেড়ে আমি কই যামু ?কার
কাছে থাকমু ?কে আমারে খাওয়াইব ?
কে আমারে ঘুম পাড়ায়া দিব ?আমার
মায়ের
লাশ কই কবর দিমু ?" কারও
কাছে মেয়েটাকে বোঝানোরমতো জবাব
নাই ,,,,,,,,,,

02/10/2016

মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক গুলো
অদ্ভুত। এই সম্পর্কগুলো একবার ভেঙ্গে
গেলে আর কখনও জোড়া লাগে না।
যদি কিছুটা লাগেও, ক্ষত থেকেই যায়।
যে ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হয় বারবার।
বারবার পুরনো কষ্টের স্মৃতিগুলো মনে
পড়ে। মাঝে মাঝে সেটা প্রকাশও
পায় মুখের ভাষাতে,আচার আচরনে।
রাগ ক্ষোভ শ্লেষ মেশানো এই আচরনের
পেছনে যদিও রয়ে গেছে বিশাল
দুঃখের ইতিহাস, কিন্তু অপর মানুষটি
সেটা বুঝতে পারে না… আবার ধরে
যায় ফাটল। আবার ভাঙ্গে সম্পর্ক।
মানুষের সাথে তাঁর রবের সম্পর্কটা
আরও অদ্ভুত। এখানেও বারবার সম্পর্ক
ভাঙ্গে। কিন্তু সেটা প্রতিবারই হয়
একতরফা। মানুষই ভেঙ্গে দেয় এমন সম্পর্ক।
সেই সরে যায় তাঁর রবের কাছ থেকে।
কিন্তু রব্বে করিম সরেন না এক ইঞ্চিও।
আবার এই মানুষই ফিরে আসে। বারবার।
রহমান তাঁকে কাছে টেনে নেন।
প্রতিবার। কখনও পুরনো কথা মনে
করিয়ে খোটা দেন না তিনি। কখনও
তাঁর দরজা এই বিশ্বাসঘাতক বান্দার
জন্য বন্ধও করেন না।
——–
বড়ই অদ্ভুত বান্দার আচরণ! সে পারে এমন
দয়াময় প্রতিপালককে ভুলে যেতে, সে
পারে এমনই মধুর সম্পর্ককে ভুলে
হাজারো তিক্ততায় ঘেরা
সম্পর্কগুলোর ভেতর নিজেকে ডুবিয়ে
দিতে।
কিন্তু এই বান্দার রব! এমন অকৃতজ্ঞকেও
বারবার ডাকতে থাকেন, পরম মমতায় –
“আছে কেউ ক্ষমা প্রার্থী! আমি
তাঁকে ক্ষমা করে দিব”
লিখেছেনঃ রিযওয়ানুল কবির

ঈদ মুবারাক
12/09/2016

ঈদ মুবারাক

:v
12/09/2016

:v

জেনে নিন প্রতিদিন পরিমিত পরিমান না ঘুমালে কি হয় । বিজ্ঞানীরা চেয়েছিলেন ৫টি মানুষকে টানা একমাস জাগিয়ে রাখতে। পরিণামটি ...
16/07/2016

জেনে নিন প্রতিদিন পরিমিত পরিমান না ঘুমালে কি হয় ।

বিজ্ঞানীরা চেয়েছিলেন ৫টি মানুষকে টানা একমাস জাগিয়ে রাখতে। পরিণামটি জানলে হাড় কেঁপে উঠবে !!

মানবশরীরের সুস্থতার জন্য নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কী ঘটতে পারে, যদি কোনও মানুষ একটানা একমাস জেগে থাকে! সেটাই জানার জন্য এক সময়ে এক উদ্ভট পরীক্ষা চালিয়েছিলেন একদল বিজ্ঞানী। সেই পরীক্ষার পরিণাম যা হয়, তা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো। ঘটনাস্থল ১৯৪০ সালের রাশিয়া।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন চলছে পুরোদমে। সেই সময়েই দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ৫ বন্দির উপরে এক অদ্ভুত পরীক্ষা চালান রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি গ্যাস আবিষ্কার করা, যা মানুষের শরীর থেকে ঘুমের প্রয়োজনকে দূরীভূত করবে। প্রাথমিকভাবে যে গ্যাসটি তাঁরা তৈরি করেন, তার সাফল্য কতখানি তা পরীক্ষা করার ‘গিনিপিগ’ হিসেবে তাঁরা বেছে নেন ওই ৫ বন্দিকে। একটি প্রায় বায়ুরুদ্ধ ঘরের ভিতরে তাদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বন্দিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে যাতে বিজ্ঞানী বা রক্ষীদের আসতে না হয়, সেইজন্য ঘরের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগের জন্য রেখে দেওয়া হয় মাইক্রোফোন। এছাড়া, জেলের ভিতরে নিয়মিত খাবার দেওয়া, ও টয়লেটের বন্দোবস্তও রাখা হয়। তারপর ধীরে ধীরে সেই ঘুমরোধী গ্যাস প্রবিষ্ট করানো শুরু হয় সেই ঘরের ভিতর।

বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা ছিল এক মাসের জন্য সেই মানুষগুলিকে বন্দি রেখে পরীক্ষাটি চালানোর। বন্দিদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তারা যদি তিরিশ দিন নিরুপদ্রবভাবে তাদের বন্দিদশা মেনে নেয়, তাহলে তিরিশ দিন পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। প্রথম দিন তিনেক সব ঠিকঠাক চলল। পাঁচ দিনের পর থেকে মাইক্রোফোনে শোনা গেল, বন্দিরা তাদের অতীত জীবনে কৃত নানা অপরাধের কথা নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। তারপর শুরু হল তাদের প্রলাপ বকা, এবং কোন কাজের জন্য আজ তাদের এই বন্দিদশা— সেই নিয়ে অনুশোচনা। দিন দশেকের পর থেকে বন্দিদের আচার-আচরণে ক্রমশ উন্মাদনার লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এক বন্দি একদিন একটানা তিন ঘন্টা তারস্বরে চিৎকার করে যায়। বিজ্ঞানী ও কারারক্ষীরা মাইক্রোফোনে শুনতে পান সেই চিৎকার। তারপর আস্তে আস্তে সব শান্ত হয়ে আসতে থাকে। ১৪ নম্বর দিনে বিজ্ঞানীরা কৌতূহলী হয়ে ইন্টারকমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন বন্দিদের সঙ্গে।

বন্দিদের মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, যদি তারা এই পরীক্ষায় সহযোগিতা করে তাহলে তিরিশ দিনের মাথায় মিলবে মুক্তি। বন্দিদের তরফ থেকে মাইক্রোফোনে উত্তর ভেসে আসে— ‘‘কে চায় মু্ক্তি?’’বন্দিদের এই অস্বাভাবিক আচরণে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা পনেরো নম্বর দিনে গ্যাসের প্রয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, কী আশ্চর্য, গ্যাস বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে বন্দিরা কাকুতি-মিনতি শুরু করে গ্যাস পুনরায় চালু করার জন্য! কারারক্ষীদের পাঠানো হয় বন্দিদের জেল থেকে বের করে আনার জন্য। জেলের দরজা খুলে চোখ কপালে ওঠে রক্ষীদের। তাঁরা দেখেন, জেলের ভিতর জীবন্ত রয়েছে মাত্র চারজন বন্দি। আর এক বন্দির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। বন্দিদের জন্য দেওয়া খাবারও অভুক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু মৃতদেহটির শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে কারা যেন খুবলে খেয়েছে মাংস। এমনকী জীবন্ত চার বন্দির দেহ থেকেও মাংস খুবলে খাওয়ার চিহ্ন। বুঝতে বাকি থাকে না যে, বন্দিরা স্বাভাবিক খাবার বাদ দিয়ে একে অন্যকে খাওয়া শুরু করেছে। এই দৃশ্য দেখে সন্ত্রস্ত রক্ষীরা বন্দিদের জেল থেকে বার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হিংস্রভাবে তারা বাধা দেয়। রক্ষীদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, রক্ষীরা শেষ পর্যন্ত গুলি চালাতে বাধ্য হন।

তিন জন বন্দি গুলি লেগে মারা যায়। জীবিত চতুর্থ বন্দিটি রক্ষীদের দিকে তাকিয়ে এক অদ্ভুত হাসি হেসে বলে, ‘‘তোমরা কি ভুলে গিয়েছ, যে আমরাই তোমরা?’’ এই কথা শুনে গুলি চালিয়ে দেন রক্ষীরা। মারা যাওয়ার আগে সেই বন্দি বলে, ‘‘মুক্তির এত কাছে পৌঁছেও…।’’ নিজের কথা আর শেষ করতে পারেনি সে। ঘুমের অভাব যে মানুষের শরীর ও মনের উপর কী মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, তার এক চরম নিদর্শন হয়ে রয়েছে রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের এই পরীক্ষা। সম্প্রতি রাশিয়ার পুরোনো নথিপত্র ঘাঁটতে গিয়ে সেই দেশের বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন এই গুপ্ত পরীক্ষার কথা। তা প্রকাশ পেয়েছে সংবাদমাধ্যমেও। যাঁরা জেনেছেন এই পরীক্ষার খবর, তাঁরা শিউরে উঠেছেন ঘুম-বঞ্চিত সেই পাঁচটি মানুষের এই ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা জানতে পেরে ।।

Address

Bandar, Narayangonj, Bandar
Narayangonj
1410

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when We LoV3 NaRaYaNgOnJ (BaNdAr) posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category


Other Podcasts in Narayangonj

Show All