
20/10/2024
#প্রচুর_সংক্রমণ_বেড়ে_গেছে_এই_রোগের
#স্বাস্থ
স্বাস্থ্য সতর্কতাঃ
ইদানিং হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া জ্বরের সাথে হাতে পায়ে ফোস্কার মতো র্যাশ হওয়া রোগটা চিকেন পক্স নয়, এর নাম হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ ( HFMD), কক্সাকি বা এন্টারো ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয়ে থাকে।
কাদের হয়?
সাধারণত ছোঁয়াচে এই রোগটা ৫ বছরের নিচে বাচ্চাদের হয়ে থাকে তবে অনেক সময় ১০ এর নিচে বা বড়দেরও হতে পারে।
কি হয়?
এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৩-৬ দিনের মধ্যে জ্বর দেখা দেয় এবং ৬/৭ দিন লাগে ভালো হতে । জ্বরের ১ বা ২দিন পর মুখের ভিতর ঘা, হাতে ও পায়ে তালুসহ নিতম্বেও ফোস্কার মতো র্যাশ দেখা যায়। চুলকানি হয় না, তবে ব্যথার জন্য খাবার গিলতে কষ্ট হওয়ার, অরুচি, অস্থিরতা দেখা যায়। ৭দিন পর এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।
ক্ষতিকর দিকঃ
এটা তেমন মারাত্মক ইনফেকশন নয় তবে এর ফলে পানি শূন্যতা হতে পারে ভয়ের কারণ। এছাড়া ছোঁয়াচে হওয়ায় সহজেই স্পর্শ, হাঁচি কাশির মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। খুবই কম সম্ভাবণা, খিচুনি বা অজ্ঞান হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রতিকারের উপায়ঃ
এই রোগের কোনো পরীক্ষা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা নাই। জ্বরের চিকিৎসার পাশাপাশি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, প্রচুর পানি ও তরল খাবার খাওয়ানো, গোসল দেয়া, উপসর্গ অনুযায়ী ঔষধ দেয়াই এর চিকিৎসা। বলা হয়, বার বার হাত ধোয়া ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করলে এই রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচা যায়।