Unique tv news

Unique tv news news

১৭ বছরের ত্যাগী নেতা কর্মীরা ক্ষুধার্ত নয়,ক্ষুধার্ত হলো ৫ তারিখের পরে যারা নেতা হয়েছে।
24/10/2024

১৭ বছরের ত্যাগী নেতা কর্মীরা ক্ষুধার্ত নয়,
ক্ষুধার্ত হলো ৫ তারিখের পরে যারা নেতা হয়েছে।

মাশাল্লাহ,  বক্তব্যটি গভীর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ ও জাতির প্রতি এক ধরনের আন্তরিক চিন্তা প্রকাশ করছে। একটি পরিবর্তনশীল সমাজে...
22/10/2024

মাশাল্লাহ, বক্তব্যটি গভীর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ ও জাতির প্রতি এক ধরনের আন্তরিক চিন্তা প্রকাশ করছে।

একটি পরিবর্তনশীল সমাজে গণআন্দোলন সবসময় ইতিহাসকে একটি নতুন দিকে নিয়ে যেতে পারে, যেমন আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে।

আওয়ামী লীগের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুহূর্ত, যেখানে তাদের কৃতকর্ম ও নেতৃত্বের অনুশোচনা না থাকা জনগণের ক্ষোভকে আরও তীব্র করতে পারে।

নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে যদি তারা বর্তমান সংকটের সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে না পারে। দম্ভ ও অহংকার মানুষের কাছ থেকে ক্ষমার পরিবর্তে ঘৃণা ও ক্ষোভের জন্ম দেয়—এটি ইসলামের শিক্ষার বিপরীত।
কুরআনে আল্লাহ বারবার আমাদের সতর্ক করেছেন অহংকার ও অবিচারের বিপদ সম্পর্কে।

আল্লাহ যেন আমাদের দেশকে সুপথে পরিচালিত করেন এবং সকলকে সত্য ও ন্যায়ের পথে রাখেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন এবং আমাদেরকে এমন নেতাদের দান করুন যারা আল্লাহভীরু এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে।

রাস্ট্রপ্রতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন তাই কারও পদত্যাগ করার প্রয়জন নেই আমি বর্তমান রাস্ট্র প্রতির পদত্যাগ চাই তিনি শপথ ভঙ্গ করে...
21/10/2024

রাস্ট্রপ্রতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন
তাই কারও পদত্যাগ করার প্রয়জন নেই
আমি বর্তমান রাস্ট্র প্রতির পদত্যাগ চাই
তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন মিথ্যা কথা বলে

যে কোনো দলের আস্থা ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো নিজেদের সংশোধন করা। ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি বা নৈরাজ্য দ্বা...
19/10/2024

যে কোনো দলের আস্থা ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো নিজেদের সংশোধন করা। ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি বা নৈরাজ্য দ্বারা কখনোই মানুষের আস্থা ফিরে আসতে পারে না। বরং, মানুষের কাছে মাফ চেয়ে, সৎভাবে ত্রুটি স্বীকার করে এবং প্রকৃত পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে যদি দলের শুদ্ধিকরণ করা হয়, তবেই আস্থা ফিরে আসতে পারে।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন:

"তোমরা ন্যায় ও সৎকর্মে একে অপরের সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা করো না।"

— (সূরা আল-মায়েদা, ৫:২)

এমনই নীতিগত মূল্যবোধ যদি দলগুলি অনুসরণ করে, তাহলে আস্থা ফিরে পাওয়া সম্ভব।

তোমাদের জাতির পিতা ইব্রাহিম, তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম(সুরা হাজ্জ-৭৮, আল কুরআন)
18/10/2024

তোমাদের জাতির পিতা ইব্রাহিম, তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম
(সুরা হাজ্জ-৭৮, আল কুরআন)

আমলে সালেহমুসলিম আমজনতার মাইন্ড সেটআপ এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে,ইবাদত বলতে আমরা একমাত্র নামাজ,রোজা,জাকাত, হজ্ব,জিকির,মি...
18/10/2024

আমলে সালেহ
মুসলিম আমজনতার মাইন্ড সেটআপ এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে,ইবাদত বলতে আমরা একমাত্র নামাজ,রোজা,জাকাত, হজ্ব,জিকির,মিলাদ মাহফিল,ওয়াজ,বয়ান, ইফতার পার্টি ইত্যাদিকে বুঝি।
কিন্তু মূল ইবাদত কোনটা আমরা বুঝি না।
মূল ইবাদত বলতে আল্লাহর বিধি বিধান মেনে জীবন যাপনকে বুঝায়।
যেমন
ঈমান গ্রহণ করা,আল্লাহ তাআলা, রাসূলগণ,ফেরেশতাগণ,আসমানী কিতাবসমূহ,মৃত্যুর পর পুনরউত্থান, আখেরাত,তাকদিরে বিশ্বাস।
গায়েব,অদৃশ্যে বিশ্বাস করা।
বিসমিল্লাহ বলে কাজ শুরু করা।
ভবিষ্যতের কর্মের বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা।
সর্বদা,দিনেও রাতে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা,হামদ,স্মরণ,জিকির করা।
আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ তালাশ করা,দোয়া, বিনম্রভাবে রোনাজারি ও অশ্রুপাত করা।
আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা,শুকরিয়া আদায় করা।
আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করা।
তাকওয়া, খোদাভীতি,পরহেজগারী অবলম্বন করা।
কোরআন তেলাওয়াত করা ,অর্থ জানা,।
কোরআনের প্রতি সন্দেহ সংশয় পোষণ না করা,কোরআনের প্রতিটি অক্ষর,শব্দ, আদেশ-নিষেধ অকাট্যভাবে মেনে নেওয়া।
আল্লাহর দেয়া রিজিক থেকে দান করা।
সৎ কাজের আদেশ উপদেশ করা।
অসৎ কাজের নিষেধ করা।
তওবা করা।সর্বদা আল্লাহতালার ক্ষমার মুখাপেক্ষী থাকা।
সালাত আদায়, কায়েম করা।
সিয়াম পালন করা।
ঋণ পরিশোধ করা যথাসময়ে।
কখনো মিথ্যা,ধোকা,প্রতারণা,ছলচাতুরি না করা।
আমানতের হেফাজত করা।
কখনোই অন্যের সম্পদ গ্রাস না করা।
গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করা।
অপচয় না করা,সময়ের অপচয়,অর্থের অপচয়,সম্পদের অপচয় না করা।
দায়িত্বে কখনো অবহেলা না করা।অফিসের কাজে ফাঁকি না দেওয়া।
ভালো ব্যবহার, উত্তম আচরণ।
মানুষের সাথে কখনো অসদাচরণ না করা।
মাপ ও ওজনে কম না দেওয়া,নেওয়ার সময় বেশী,দেওয়ার সময় কম,এই কর্ম থেকে বিরত থাকা।
কর্জে হাসানা দেওয়া।
এতিম মিসকিনদের সাহায্য করা।
মানুষকে মন্দ নামে না ডাকা।
আল্লাহ তায়ালা কে ভালোবাসা,আল্লাহ তাআলার আনুগত্য করা।
পিতা-মাতাকে ভালোবাসা, পিতা মাতার আনুগত্য করা।
পিতামাতার সাথে সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার ও তাদের খেদমত করা।
সন্তানদের লালন পালন করা।
পরিবারের বরণ পোষণ করা।
প্রতিবেশীদের সাথে ভালো ব্যবহার করা।
আত্মীয় স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।
কৃপণতা না করা।
গরীব আত্মীয়দের দান তথা সহযোগীতা করা।
মিরাস উত্তরাধিকার সম্পত্তি যথাযথ বন্টন করা।
বিপদে আপদে ধৈর্য্য ধরা।
ওয়াদা, প্রতিশ্রুতি,অঙ্গীকার রক্ষা করা।
অন্যায় কাজে সহযোগিতা না করা।
কোরআনের মহাসত্য বুঝার দাওয়াত দেওয়া।
পর্দা ফরজ।চক্ষু সংযত রাখা, লজ্জাস্থানের হেফাজত করা, লজ্জাশীল হওয়া।
হারাম সম্পর্কে লিপ্ত না হওয়া।
সুদ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা।
স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করা।
হালাল খাবার খাওয়া,হালাল ইনকাম করা।
হারাম থেকে বিরত থাকা।
শিরক না করা।
অন্যের দোষ ত্রুটি না খোঁজা।
বিনা অনুমতিতে অন্যের ঘরে প্রবেশ না করা,
অপরকে অগ্রাধিকার দেয়া।
কুফরী থেকে বেঁচে থাকা।
খুন,রাহাজানি,ফিতনা,ফাসাদ,হানাহানি, মারামারি,দলাদলি,কোন্দল,উপদল থেকে বেঁচে থাকা।
প্রতারণা,ধোকা,চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি না করা।
অন্যের ক্ষতি না করা।
সর্বদা অপরের উপকার করা।
গরিব,অসহায়,নিঃস্ব,পথিক,অভাবীদের সাহায্য করা।
অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা না বলা।
হকের পক্ষে,নীতি ও ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নেওয়া।
জালেম ,ফাসিক না হওয়া ও জালিম, ফাসিকের পক্ষে অবস্থান না নেওয়া
বিনয় ,নম্রতা,ভদ্রতা,সহনশীলতা অবলম্বন করা।
জাল ,জালিয়াতি,টাকা পাচার, শিশু পাচার, মানব পাচার,নারী পাচার,মানি লন্ডারিং না করা।
উগ্রতা পরিহার করা,মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা।
ইত্যাদি.

জাতীয় পার্টির ইতিহাসে এর রাজনৈতিক পরিচয়ের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই বেশ পরিলক্ষিত। প্রথমদিক...
09/10/2024

জাতীয় পার্টির ইতিহাসে এর রাজনৈতিক পরিচয়ের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই বেশ পরিলক্ষিত। প্রথমদিকে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে অনেকেই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার প্রতীক হিসেবে দেখেছিল, কারণ এরশাদের ক্ষমতায় আসার পদ্ধতি এবং তার শাসনামলে গৃহীত কিছু পদক্ষেপ স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ বলে বিবেচিত হয়েছিল।

এর পরবর্তী সময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টি অন্য দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে বা সহায়তা দিয়ে ক্ষমতার অংশীদার হয়ে উঠেছিল। তখন দলটিকে অনেকে "স্বৈরাচারের দালাল" হিসেবে উল্লেখ করেছেন, অর্থাৎ তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য অন্য শক্তির প্রতি অনুগত থেকেছে।

সবশেষে, দলটির কিছু অংশকে আবার "স্বৈরাচারের পেতাত্বা" হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছে, যা বোঝায় তারা পুরোপুরি অন্য কোনো রাজনৈতিক শক্তির আধিপত্যের নীচে চলে গিয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে তাদের নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারেনি।

এই ধরনের পরিবর্তন ও মন্তব্যগুলো রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন যা জনগণের মতামত ও সময়ের সাথে পাল্টে গেছে।

রিসেট বাটন আসলে এমন একটি প্রতীকী ধারণা, যা প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বোঝায়। একটি...
08/10/2024

রিসেট বাটন আসলে এমন একটি প্রতীকী ধারণা, যা প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বোঝায়।

একটি ডিভাইসে যেমন রিসেট করার মাধ্যমে তাকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা হয়, তেমনি রাজনীতিতেও রিসেট বাটন চাপ দিয়ে অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বোঝায়।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা বায়ান্নের ঐতিহ্য অস্বীকার নয় বরং এই রিসেট বাটন হচ্ছে অতীতের ভুলগুলোকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নতুন সূচনা।

যারা এই রিসেট বাটনের ধারণাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে, তারা আসলে নিজেরাই বিভ্রান্ত।

রাজনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় কখনো কখনো আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাই।

সত্যিকারের দেশপ্রেমিকরা কখনোই ইতিহাসকে ভুলে যায় না, বরং তারা সেই ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করে।

ইসলাম ও গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করার সময় প্রথমেই বুঝতে হবে যে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক...
08/10/2024

ইসলাম ও গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করার সময় প্রথমেই বুঝতে হবে যে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক দিকগুলো সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়েছে। গণতন্ত্রের মূলনীতি হলো, জনগণের শাসনব্যবস্থা, যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসন পরিচালনা করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইসলাম ও গণতন্ত্রের মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে, এবং এ দু'টি ধারণা কি একে অপরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?

ইসলামের শাসনব্যবস্থা ও নীতি:
ইসলামের রাজনৈতিক নীতি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের উপর ভিত্তি করে। ইসলামে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর এবং তিনি কুরআনের মাধ্যমে মানুষের জন্য বিধান প্রণয়ন করেছেন। ইসলামীক শাসনব্যবস্থার মূল কাঠামো হলো "শুরা" বা পরামর্শ, যার মাধ্যমে শাসক ও শাসিতরা একে অপরের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

আল কুরআনে শুরার নির্দেশ এসেছে:

"আর তাদের ব্যাপারে পরামর্শ করো" (সূরা আল-ইমরান, ৩:১৫৯)
"আর তারা তাদের কাজ পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পাদন করে" (সূরা আশ-শুরা, ৪২:৩৮)
এই শুরা ব্যবস্থার মাধ্যমে নেতৃত্ব, বিচার, এবং প্রশাসন পরিচালিত হয়।

গণতন্ত্রের মূলনীতি:
গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো জনগণের ইচ্ছার প্রাধান্য। মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে, এবং সেই প্রতিনিধি জনগণের পক্ষে শাসন করে। জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়, এবং সাধারণভাবে আইনের উৎস মানবসৃষ্ট বিধান।

ইসলাম ও গণতন্ত্রের সাদৃশ্য:
পরামর্শ ও অংশগ্রহণ: ইসলাম যেমন শুরা ব্যবস্থায় পরামর্শকে প্রাধান্য দেয়, তেমনি গণতন্ত্রেও জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। শাসকগোষ্ঠী জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে, এটি ইসলাম ও গণতন্ত্রের মিলিত একটি দিক।
জবাবদিহিতা: গণতন্ত্রের মতোই ইসলামেও শাসকগণকে জবাবদিহির আওতায় থাকতে হবে। খলিফা উমর (রা.)-এর আমলে এই জবাবদিহির চমৎকার উদাহরণ পাওয়া যায়, যেখানে সাধারণ জনগণ তাকে কঠোরভাবে জবাবদিহির আওতায় আনতে সক্ষম ছিলেন।
মৌলিক পার্থক্য:
তবে ইসলাম ও গণতন্ত্রের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:

আইনের উৎস: ইসলামে আইন প্রণয়নের একমাত্র ক্ষমতা আল্লাহর, এবং কুরআন ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন করতে হয়। গণতন্ত্রে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে, এবং মানুষের ইচ্ছার ভিত্তিতেই আইন তৈরি হয়।
সার্বভৌমত্ব: ইসলামে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অটুট, এবং মানুষের তৈরি কোনো আইন আল্লাহর বিধানের বাইরে যেতে পারে না। গণতন্ত্রে সার্বভৌমত্বের ধারণা থাকে মানুষের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
ইসলামী গণতন্ত্রের ধারণা:
অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশে "ইসলামী গণতন্ত্র" এর একটি ধারণা বিকশিত হয়েছে, যেখানে ইসলামের নৈতিক নীতিমালা এবং গণতন্ত্রের কিছু কাঠামো একসাথে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের ব্যবস্থায়:

আইনের উৎস কুরআন : ইসলামী মূল্যবোধ ও নীতির উপর ভিত্তি করে আইন প্রণীত হয়।
নির্বাচনী ব্যবস্থা ও পরামর্শ: গণতন্ত্রের মতো নির্বাচন করা হয়, তবে তা শুরার নিয়ম মেনে।
শাসক ও জনগণের দায়িত্ব: শাসক জনগণের সেবক হবে এবং আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা থাকবে।
উপসংহার:
ইসলাম এবং গণতন্ত্রের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য থাকলেও, তাদের মৌলিক পার্থক্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামী শাসনব্যবস্থা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও শরীয়াহর ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, যেখানে গণতন্ত্রে মানুষের ইচ্ছার প্রাধান্য থাকে। তবে ইসলামের নৈতিক মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রের কিছু কাঠামো একত্রিত করে অনেক মুসলিম দেশ নিজেদের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করছে।

ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে স...
06/10/2024

ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রভাবে সংখ্যালঘুদের, বিশেষত মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের, উপর বিভিন্ন চাপ এবং বৈষম্যের অভিযোগ সামনে এসেছে।

সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপত্তা:
ভারতে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো ঐতিহাসিকভাবে একটি বহুজাতিক সমাজের অংশ হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ধর্মীয় সহিংসতা, গো-রক্ষার নামে লিঞ্চিং, এবং রাজনৈতিক মেরুকরণকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনায় সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা ও বৈষম্যের ঘটনা বেড়েছে, যা তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে প্রভাব ফেলছে।

সংখ্যালঘু রাজনীতি:
ভারতে সংখ্যালঘু রাজনীতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুসলিম ভোটকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ কিছু না করেও তাদের ভোটকে কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করেছে। এর ফলে, মুসলিমরা রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক হয়ে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। ভারতের কিছু অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকলেও, সামগ্রিকভাবে তারা একটি অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।

ভারত কি হিন্দু রাষ্ট্র?
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলোর শক্তিশালী অবস্থানের কারণে, "হিন্দু রাষ্ট্র" ধারণাটি আলোচনায় এসেছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা চলছে। তবে এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্যের বিরোধী বলে অনেকে মনে করেন এবং এ নিয়ে দেশে ব্যাপক বিতর্কও রয়েছে।

হিন্দু রাষ্ট্রে হিন্দুরা নিরাপদ?
যদি ভারতে হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে অনেকের মতে হিন্দুদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও, এটি সামগ্রিকভাবে একটি সংখ্যালঘু বিরোধী অবস্থায় পৌঁছাতে পারে। যদিও হিন্দুদের মধ্যে কিছু লোক মনে করে তারা সুরক্ষিত হবে, কিন্তু এটি ধর্মীয় মেরুকরণ ও বিভাজনের কারণে দেশের অভ্যন্তরে আরো বড় ধরনের সামাজিক সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।

সর্বশেষে, ভারতে সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপত্তা ও শান্তি নির্ভর করছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সামাজিক ঐক্য, এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের উপর। সংবিধান অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হলে সব সম্প্রদায়ের মানুষই নিরাপদ থাকবে, তা না হলে সংখ্যালঘুরা আরও বেশি বিপদের মুখে পড়তে পারে।

05/10/2024
05/10/2024
05/10/2024
05/10/2024

hokar

Address

Tarabo
Narayanganj
1360

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Unique tv news posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share