27/05/2024
আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। অন্যদিকে আমরা সাধারণ জনগণ টাকা হরিলুট করায় ব্যস্ত। সমাজ উন্নয়ন হোক আর নাই হোক- টাকা পেলে ঘন্ডমূর্খ, অযোগ্য, অসৎ ব্যক্তি কে ভোট দিতে প্রস্তুত।
নির্বাচনের প্রচারণার সময় তাঁদের বক্তব্যে বুঝা যায়- প্রার্থীরা “ধোয়া তুলসী পাতা”। হাত নাড়িয়ে সমর্থক দের অভিবাদন জানানোর সময় দেখা যায়- প্রার্থীদের পাঁচটি আঙুল। নির্বাচন শেষে আর চারটি আঙুল দেখা যায় না, দেখা যায় বৃদ্ধা আঙুল।
টাকার বিনিময়ে যারা নির্বাচিত হন, তারা প্রথমে যত টাকা খরচ করে নির্বাচন করেছেন- ঐ টাকা পাঁচ বছরে আমাদের উন্নয়নের টাকা থেকে তাদের নির্বাচনী খরচের মূল পুজি তুলে নেন। এর পর লাভ।
এখনো সময় আছে, আমাদের বুঝার। আল্লাহ পাক আমাদের জ্ঞান দিয়েছেন, বুদ্ধি দিয়েছেন। ভালো মন্দ বুঝার তৌফিক দিয়েছেন। অন্ধের মতো পবিত্র আনামত “ভোট” অযোগ্য প্রার্থী কে দিবেন না। সামান্য ৫০০/১০০০ টাকার জন্য নিজে বিক্রি হবেন না। ঐ টাকায় আপনি/ আমি কয় দিন খেতে পারবো? বড়জোর তিন দিন, পাঁচ দিন- এর পরে কী করবেন? পাঁচ বছর তো নিজে পরিশ্রম করে খেতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে। নাকি নির্বাচিত ঐ জনপ্রতিনিধি আপনাকে আমাকে খাওয়াবেন? গাড়ি বাড়ি দিবেন? টাকার বিনিময়ে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করলে- ঐ জনপ্রতিনিধির কাছে পাঁচ বছর লাঞ্ছিত হবেন, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবেন, কোন দিন ঐ জনপ্রতিনিধির কাছে সম্মান পাবেন না। ব্যক্তিগত কোন সমস্যায় পরলে সাহায্য পাবেন না। আরো অনেক কিছু।
শুধু এক বার টাকা ছাড়া সৎ ব্যক্তি কে ভোট দিয়ে দেখুন কী তৃপ্তি পাওয়া যায়। আপনার/ আমার কতটুকু কাজে লাগেন। ঐ জনপ্রতিনিধির অফিসে গিয়ে বড় গলায় কথা বলতে পারবেন। আপনাকে/ আমাকে সম্মানের সাথে চা নাস্তা খাওয়াবেন। অধিকার আদায় করতে পারবেন। সমাজের উন্নয়ন করাতে পাবেন। এসব কেন পাবেন বলতে পারেন? বিনা টাকায় সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি কে ভোট দেওয়ার ফলে।