অবহেলা =ignore

অবহেলা =ignore Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from অবহেলা =ignore, Digital creator, Mymensingh.

"ভাবী ভাত রান্না করোনি?"ভাবী বসে টিভি দেখছিলো। আমার কথায় চোখ মুখ কালো করলেও, তা প্রকাশ না করে বললো,"আসলে মেঘ ফ্রিজে অনেক...
08/08/2023

"ভাবী ভাত রান্না করোনি?"

ভাবী বসে টিভি দেখছিলো। আমার কথায় চোখ মুখ কালো করলেও, তা প্রকাশ না করে বললো,

"আসলে মেঘ ফ্রিজে অনেক ভাত তাই ভাত বেশি রাঁধিনি। তোমার ভাই খেয়ে গেছে আর অল্প ভাত ছিলো সেইটা আমি খেয়ে নিয়েছি। তুমি বরং ফ্রিজের থেকে ভাত নামিয়ে গরম করে খেয়ে নাও।"

আমি হেসে বললাম,

" ঠিকি করেছো ভাবী। এতো ভাত ফ্রিজে রেখে অল্প ভাত রান্না করাতে ভালোই হয়েছে। নয়তো নষ্ট হতো।"

ফ্রিজ থেকে ভাত বের করেছি। ভাতগুলোতে পানি জমে গেছে। অনেকদিন আগের ভাত। তাও গরম করে কষ্ট করে খেয়ে নিয়েছি। যদিও নষ্ট ছিলো ভাতগুলো। তবে পেট কি আর শূন্যতা মানে?

ভাইয়া অফিস থেকে আসতেই ভাইয়ার কাছে গেলাম। বললাম,

"ভাইয়া স্যার বলেছে কলেজের বেতন দিতে।"

ভাইয়া চারিদিকে তাড়াতাড়ি চোখ বুলিয়ে আমার হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে বললো,

" নে মেঘ তোর বেতন। তাড়াতাড়ি যাহ। গিয়ে পড়তে বস।"

"আমার থেকে লুকিয়ে বোনকে বেতন দাও তাইনা? আমি একটা জিনিস চাইলে টাকা নেই, এই নেই,সেই নেই। এখন এতো টাকা কোত্থেকে আসে শুনি?"

"আস্তে কথা বলো রাই। মেঘ শুনতে পাবে।"

" শুনলে শুনুক। বলেছিলাম তোমায় ভালো বিয়ে আসছে..বিয়ে দিয়ে দাও। কিন্তু তুমি! আমার কথা শুনতেই চাচ্ছোনা।"

"মেঘ পড়াশোনা করতে চাই রায়। আমার একটাইতো বোন..."

আর শুনতে পারলাম না। ভাবীদের রুমের বাইরে থেকে চলে এলাম নিজের রুমে। চোখে পানি টলমল করছে। গিয়েছিলাম পানি আনতে। ভাবীর ঘর পেরিয়ে যেতে হয়। আসার সময় এইসব শুনবো কল্পনাও করিনি। মা-বাবা ভাইয়ার কাছে আমাকে দিয়ে মুক্ত হয়ে গেলো কিন্তু আমিতো ভালো নেই..একদম ভালো নেই। চোখের পানিটুকু মুছে বললাম,

" ব্যাপার না..আমার সাথে এ আর নতুন কি?!"

অনুগল্প
ভাবীর_সংসার
C

আমার বিয়ের ১বছর ৩মাস চলে।বিয়ের পর পরই একবার কন্সিভ করি।কত খুশি ছিলাম মা হবো প্রথম বাচ্চা।হাজবেন্ডও খুশি।যা খাইতে মন চাইত...
08/08/2023

আমার বিয়ের ১বছর ৩মাস চলে।বিয়ের পর পরই একবার কন্সিভ করি।কত খুশি ছিলাম মা হবো প্রথম বাচ্চা।হাজবেন্ডও খুশি।যা খাইতে মন চাইতো এনে দিতো।

আনতো ঠিকই কিন্তু আমি আর খাইতে পারতাম না।আমার শাশুড়ি সব নিজের ঘরে নিয়ে রাখতো। আর পাড়ায় গল্প করে আমি কেজি কেজি ফল খাই ডিম খাই তাদের দেই না।🙂

এসব শুনে হাজবেন্ড লুকিয়ে আনতো। দিনের বেলায় আমি ঘুমালে আমার ঘর খুঁজতো।৩বেলা শুধু যতটুকু পারছি ভাত সবজি এসব খাইছি।ফল কেমন ৪মাসের পর আর চোখে দেখি নাই।🙂

ঘর ঝাড়ু দেওয়া, উঠান ঝাড়ু দেওয়া, থালাবাটি ধোয়া,রান্না করা সব করছি।ধানের সময় ধান মাড়ায়,উড়ানো,ভেজানো, সিদ্ধ করা,শুকানো সবই করছি।সাথে শাশুড়ি ছিলেন।

এরপর আসে পেঁয়াজের সময়। পেট উপরে।আমি বসতে পারিনা দাড়াতে পারিনা।তাও যতটুকু পারি করেছি।তার জন্যও শশুড় বলেছে জমিদারের বাচ্চা কোনো কাজ পারেনা খালি খাই আর ঘুমায়।🙂

পেঁয়াজের সময় আমার শাশুড়ি আমারে ৮মাসের প্রেগন্যান্ট অবস্থায় রেখে মেয়ের বাড়ি গিয়ে মেয়ের পেঁয়াজ কেটে দিয়ে আসছে।🙂

আমি সমস্ত কাজ একা করছি আর কা'ন্না করছি।গরুর ঘাস পর্যন্ত আমার শশুর আমারে দিয়ে কাটাইছে।৯মাস পর্যন্ত তাদের বাড়িতেই ছিলাম তারা আসতে দিবে না।পরে আমার আব্বু ইদের ১০দিন আগে গিয়ে জোর করে নিয়ে আসে।

খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো না হওয়ায় আমার বাবুর ওজন আসে দেড় কেজি।মায়ের কাছে এসে এই ১মাসে ১কেজি বাড়ে।গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে পেইন উঠে।ব্যা'থা আস্তে ছিলো পরে ভোর ৪টা থেকে বেশি হয়।আব্বু জেলা শহরে নিয়ে যায়।হাজবেন্ড আর তার মা আসে।তার মা কিছুতেই সিজার করতে দিবে না।বলে বাচ্চা ছোট নরমালে হবে।হাসপাতালের নার্সরাও আর জোর না করে নরমালে চেষ্টা করতে থাকে। দুপুর ২টার দিকে আমার আব্বু সিজার করতে বললে আমার হাজবেন্ড বলে সিজার করলে কাজ করতে পারবেনা।নরমালে চেষ্টা করেন।🙂

আমার শাশুড়ী আমি মৃ'ত্যু পথযাত্রী তখনও মানুষের সাথে তুলনা করে যে অমুকের ৩দিন পর নরমালে হয়েছে তমুকের ৫দিন পর হয়েছে ওরো হবে। এরকম করতে করতে আমার বাবুটা পেটের ভিতরেই পায়খানা করে দেয়।তার পরে মা'রাও যায়।যখন ব্লা'ড ভাঙা শুরু হয় তখন সিজারের জন্য ওটিতে নেয়।ওটিতে যাওয়ার পর পরই বাচ্চা নরমালে হয়ে যায়।কিন্তু আমার সাইড ছিঁড়ে যায়।সেলাই লাগে।😭😭

আমি তখনও জানিনা আমার বাবু আর দুনিয়াতে নেই।বেডে দেওয়ার পর আমার মা যখন বললো আল্লাহ তোমারে আবার বাবু দেবেন শক্ত হও তখন জানলাম আমার মেয়েটা নেই।আমি আমার বাবুরে একটা নজর দেখতেও পারলাম না।

মেয়েটির বাচ্চা হয়না বলে..মেয়েটির স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে ঘরে আনে দ্বিতীয় স্ত্রী।💔 মেয়েটি ভেঙ্গে পড়ে। বাবার বাড়িতে অবস্থ...
08/08/2023

মেয়েটির বাচ্চা হয়না বলে..মেয়েটির স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে ঘরে আনে দ্বিতীয় স্ত্রী।💔
মেয়েটি ভেঙ্গে পড়ে। বাবার বাড়িতে অবস্থান নেয়। দিন শেষে বাবার বাড়িতেও অবহেলা। মেয়েটি সবে মাত্র বয়স ২০ এ পা রাখে। মেয়েটি কাতর গলায় বলে, 'বাবা আমি পড়াশোনা করতে চায়। বাবা তখন ককর্শ গলায় বলে, "এতো টাকা নেয় যে তোকে পড়াবো।
😊😊
সবতো খেলি এইবার আমার সংসারটাকেও খেতে এসেছিস। এরইমধ্যে মেয়েটার অনেক বিয়ের সম্বন্ধ আসে। ফর্সা গায়ের রং তার। চোখদুটো যেনো হরিণের চোখের টানা টানা আকৃতি। মেয়েটিকে দেখতে আসলো। ছেলেটির ভালো লেগে গেছে মেয়েটিকে। এতো সুন্দরী তার বউ হবে! কিন্তু মেয়েটি বিয়ের আগেই ছেলেটির কাছে আবদার করে বসে, আপনি আমাকে আরও ২ টা বছর সময় দিবেন? পড়াশোনাটা..মেয়েটির পুরো কথা শেষ না হতেই ছেলেটি বুঝে ফেলে৷ 💛
হেসে বলে, " ঠিক আছে আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো। ২ বছর মেয়েটি কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ভালো একটা রেজাল্ট করে। কিন্তু তার রুপ আগের মতো নেই। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পড়ে গেছে রাত জাগার কারণে। মুখ ভর্তি ব্রণ।😞 ছেলেটিও আগের মতো কথা বলেনা মেয়েটির সাথে। মেয়েটির পরিবার ধরেই নিলো মেয়েটির বিয়ে হবেনা। খোঁচা শুরু হলো পরিবারের। মানসিক ভাবে আঘাত পেতে লাগলো মেয়েটি। অভিশাপ পেলো "মরতে পারিসনা?" অতঃপর একদিন হঠাৎই মেয়েটি সেলিংফ্যানে ঝুলে পড়লো। হারিয়ে গেলো তার সত্তা। 🥲
💔💔
অনুগল্প
নিয়তি সুন্দর
নিয়মিত গল্প পেতে পেজ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন...
গল্প কথা
©️

গল্পঃঃএকটি_রাতের_গল্পপর্বঃ১ " আমার সাথে সে/ক্স করবি পল্লব? বড় বোনের এই কথাটা রাখবি প্লিজ? "শিমুল আপুর কথা শুনে মাথায় যেন...
08/08/2023

গল্পঃঃএকটি_রাতের_গল্প
পর্বঃ১

" আমার সাথে সে/ক্স করবি পল্লব? বড় বোনের এই কথাটা রাখবি প্লিজ? "

শিমুল আপুর কথা শুনে মাথায় যেনো আসমান ভেঙ্গে পড়লো আমার।শিমুল আপু আমার থেকে পাঁচ বছরের বড়ো।ওর সাতাশ,আর আমার সবে বাইশ।আমাদের ভেতরে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই।বয়সের ব্যবধান থাকলো একে অপরের বন্ধুর মতো মেলামেশা ছিলো দুজনের।ওর বিয়ে হয়েছে চার বছর হয়ে গেছে।স্বামী কোনো একটা ব্যাংকে চাকরি করে।আমি যতোদূর জানি সবকিছু ঠিকঠাক আছে ওদের ভেতরে তাহলে এই কথাটা বললো কেনো হঠাৎ বুঝতে পারছি না।

----আপু তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে,কি বলছিস এগুলা!ভেবে চিন্তে বলছিস তো?

---হ্যাঁ,ভেবে চিন্তেই বলছি।দেখ এই ব্যপারটা তোর আর আমার ভেতরেই থাকবে কেউ কিচ্ছু জানবে না।

---কোন ব্যপারের কথা বলছো তুমি?

---বাচ্চার ব্যপারের!বল তুই আমায় এই শেষ সাহায্যটুকু করবি।

👉(18+ alert,সবাই নিজ দ্বায়িত্বে পড়বেন!কারো খারাপ লাগলে ইগনোর করুন।অযথা বাজে মন্তব্য করবেন না।)

ওর কথা শুনে লজ্জায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না আমি‌।জানি না শিমুল আপু কিভাবে বলছে কথাগুলো।নিজের কানকে যেনো নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না এই মূহুর্তে।

---কি হলো চুপ করে আছিস কেনো কিছু বল?

---কি বলবো আমি জানি না কিছু।

---তোর কিছু জানতে হবে না।শুধু বল আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে তুই রাজি কিনা।তুই রাজি না হলে আমার ম'রা ছাড়া উপায় থাকবে না।

শিমুল আপু আমার কথা শুনে কান্না শুরু করে দিলো।আমি লক্ষ্য করলাম ওর চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় জল গড়িয়ে পড়ছে।হয়তো আমার কথায় মনে কষ্ট পেয়েছে।ওর সত্যিই হয়তো আমার সাহায্যের প্রয়োজন সেটা না হলে এইরকম একটা প্রস্তাব কেনো দেবে আমাকে শুধু শুধু।কোনো সাংঘাতিক কারণ তো নিশ্চয়ই আছে।সেটা না হলে ও কিছুতেই নিজের সমস্ত লাজ লজ্জা বিসর্জন দিয়ে আমার কাছে ছুটে আসতো না‌।একদিকে ওর চোখের জল সহ্য করতে পারছি না আমি,অন্যদিকে বিবেকের দংশনে মরে যাচ্ছি।কি করবো বুঝতে পারছি না।একটু ভেবে আমি শিমুল আপুর দিকে এগিয়ে গেলাম।ওর হাতে হাতটা রাখলাম।

----বল কবে আর কোথায় যেতে হবে আমায়?

আমায় রাজি হতে দেখে শিমুল আপুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো।আমাকে বললো-

---কোথায় যেতে হবে না,আমি আজ রাতেই তোর ঘরে আসবো।তুই রেডি থাকিস!

---কিন্তু আমি তো এসব করিনি কখনো।

---সমস্যা নেই,আমি বুঝিয়ে দেবো।তুই শুধু নিজেকে তৈরী রাখিস।

---আচ্ছা আর একটা কথা বলি,

---হ্যাঁ,বল।

---যদি প্রথমবারেই কাজ না হয় তখন কি হবে?মানে

" তোর স্ত্রী তো মেডিকেলে চান্স পেলো। কিছুদিন পর দেখবি ডাক্তারের সাথে প'রকীয়ায় জড়িয়েছে  "গ্যারেজ থেকে বাড়ি ফিরতে লোকজনের ...
08/08/2023

" তোর স্ত্রী তো মেডিকেলে চান্স পেলো। কিছুদিন পর দেখবি ডাক্তারের সাথে প'রকীয়ায় জড়িয়েছে "

গ্যারেজ থেকে বাড়ি ফিরতে লোকজনের মুখে এমন কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে বাড়িতে গেলাম। আমার স্ত্রী সীতুকে বললাম

" তুমি মেডিকেলে চান্স পাইছো? "

সীতু আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো " হ্যা।ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাইছি "

সেই রাতে আমাদের আনন্দের বাঁধ রইলো না।সারারাত বাড়িতে দু'জন মিলে নাচগান করে কাটালাম।

আমার বাসা রংপুরে।সীতুকে ঢাকায় রেখে আসতে আমার ভিষণ কষ্ট হতে লাগলো।কিন্তু উপায় নেই! সীতুকে পড়াশোনার জন্য সেখানেই থাকতে হবে।বাড়ি ফিরতেই লোকজন বলাবলি শুরু করলো

" বউকে একা ঢাকা শহরে রেখে এলি? ওই বউয়ের আশা আর নাই। মেয়ে মানুষের উপর বিশ্বাস নাই "

লোকজনের এমন কথায় আমি বিন্দুমাত্র কান দিলাম না। সীতুকে আমি বিশ্বাস করি,ভালোবাসি। ও কখনো আমাকে কষ্ট দিবে না এটা আমি মনপ্রাণে বিশ্বাস করি।

সমস্যাটা হলো কিছুদিন পরে।সীতু আমার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিলো। আমি ফোন করলে বলে ব্যস্ত আছি।আমার মনের ভেতরটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে।

তার তিন-চারদিনের মাথায় সীতু ফোন করে বললো

" এই কয়েকদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম গো।কয়েকটা টিউশনি জোগাড় করেছি। এতে আমাদের সংসার চলে যাবে।আমাদের বিয়ের জন্য তো তুমি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সংসার সামলাতে শুরু করলে। তুমি ঢাকায় চলে আসো।টিউশনি করিয়ে আমি সংসারের টাকা জোগাড় করতে পারবো।তুমি আবার পড়াশোনা শুরু করো।এতোদিন তুমি আমার পড়াশোনা চালিয়েছো এবার আমি তোমার পড়াশোনার খরচ চালাবো "

আমি চোখের জল মুছে বললাম " পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে তোমাকে বিয়ে করাটা ছিলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ এক সিদ্ধান্ত।অনেক ভালোবাসি পিচ্চি বউ "

সীতু মুচকি হেসে বললো " আমি এখন বড় হয়ে গেছি,হুহ "
C

আপনার কি প্রিয় মানুষেরও প্রিয় মানুষ আছে?হ্যা হলে লাইক দিন আর না হলে কমেন্ট করুন।
08/08/2023

আপনার কি প্রিয় মানুষেরও প্রিয় মানুষ আছে?
হ্যা হলে লাইক দিন আর না হলে কমেন্ট করুন।

আমার বিবাহিত স্ত্রীর কাছে তার প্রাক্তন প্রেমিক যেদিন পুনরায় ফোন দেয়, সেদিন আমার বাচ্চাটার বয়স ছিল মাত্র দু দিন।ছোট বাচ্চ...
08/08/2023

আমার বিবাহিত স্ত্রীর কাছে তার প্রাক্তন প্রেমিক যেদিন পুনরায় ফোন দেয়, সেদিন আমার বাচ্চাটার বয়স ছিল মাত্র দু দিন।
ছোট বাচ্চার যত্ন করতে গিয়ে রাতের ঘুম একেবারেই হা/রাম হয়ে যায় বাবা মায়ের। উক্ত রাতেও আমরা দুজন জেগে ছিলাম।
বাচ্চার নাম কি রাখবো এটা নিয়ে রিতীমত ঝ*গড়া চলছিলো আমাদের দুজনার মাঝে। এ ধরণের ঝ"গড়ার ভেতরে অন্যরকম এক আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু ঐ আনন্দটুকু মা*টি করে দিলো
হুট করে আসা একটা ফোন কল। কিছুক্ষন মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থেকে, আমার সাথে ঝগড়া ব"ন্ধ করে উঠে বারান্দায় চলে গেলো সাবিহা। ফিরলো ঠিক আধাঘন্টা পরে।
ফিরে এসে আমার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর চাহনি দিয়ে জানালো, সে তার কন্যা সন্তানের নাম রাখতে চায় সাফা।
বেশ অবাক হলাম।কিন্তু কথা বাড়ানোর শক্তিটুকু আমার মাঝে ছিলো না৷ আমি জানতাম সাবিহার প্রাক্তনের নাম ফারহান।
চোখে মুখে একগাদা অভিমান নিয়ে বেডের একপাশে শুয়ে পড়লাম। দেয়ালের দিকে ফিরে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম এই একটু পর হয়ত পেছন থেকে সাবিহা আমাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করবে "জান, তুমি কি আমার সাথে রা/গ করেছ?"
তখন আমার অভিযোগের ঝাঁপি খুলে ওকে বলবো "প্রাক্তনের নামের সাথে মিলিয়ে তুমি আমার রাজকন্যার নাম কেন রাখলে? "
আরো দু একটা শক্ত কথা শুনাবো৷ আরো বেশি অভিমান করে উঠে বারান্দায় চলে যাব।আমার রাগ ভাংগাতে আমার পেছন পেছন যাবে সাবিহাও।
শুয়ে শুয়ে কত কিছু ভেবে ফেলছি, কিন্তু সব সময়ের মত সাবিহা আর আমাকে সেদিন জড়িয়ে ধরেনি। জানতে চায়নি আমার অভিমানের কারণ। বন্ধ করা চোখ দিয়ে দু-ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো নিচে। নিজেকে অনেক একা লাগছে। অপেক্ষা করতে করতে কিছুক্ষন পরে নিজেই নিজেকে বুঝ দিলাম, হয়ত মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে বা ও আমাকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা। আমি বেশি রেগে আছি বুঝতে পেরে হয়ত ভয়ে কাছে আসতে পারছে না। আমার এত বেশি একা লাগছিলো যে সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি নিজেই ওকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে অনুনয়ের সুরে বলবো, তুমি কিভাবে পারলে তোমার প্রাক্তনের সাথে মিলিয়ে আমার রাজকন্যার নাম রাখার কথা বলতে? আমি কি তোমাকে কম ভালোবাসি? বলো আরো কত ভালোবাসা লাগবে তোমার! এটা বলে ওকে অনেক অনেক আদর দিব। আমার ভালোবাসার পুরুটুকু উজাড় করে দিয়ে ওকে বলবো তুমি শুধু আমার।
মনে মনে এসব প্লান করে আমি উলটো দিক থেকে ঘুরে ওর দিকে ফিরি। দেখতে পাই সাবিহা কার সাথে যেন চ্যাটিং এ ব্যস্ত। টপাটপ কী-বোর্ড প্রেস করে মেসেজ লিখে যাচ্ছে৷ আমি যে ওর দিকে

মা আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছেন।  মেয়ে শিক্ষিত হওয়া চলবে না কারণ শিক্ষিত মেয়েদের পেটে অনেক প্যাচ থাকে যার ফলে সংসারে অশান...
08/08/2023

মা আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছেন। মেয়ে শিক্ষিত হওয়া চলবে না কারণ শিক্ষিত মেয়েদের পেটে অনেক প্যাচ থাকে যার ফলে সংসারে অশান্তি হয়। তাই মেয়ে এসএসসি ফেল হলেও চলবে কিন্তু ইন্টার পাশ হওয়া চলবে না।
বড়লোক পরিবারের মেয়ে হলে চলবে না কারণ বড় লোকের মেয়েরা সংসারের কোন কাজকর্ম করে না। তাছাড়া বিয়ের পর এইসব বড়লোকের মেয়েরা শ্বাশুড়ির কাঁধে পা তুলে খায় তাই মেয়ে হতে হবে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের।
মেয়ে খুব বেশি সুন্দরী হওয়া চলবে না কারণ সুন্দরী মেয়েরা স্বামীকে রূপের জাদুতে বশ করে ফেলে। যার ফলে ছেলে শুধু বউয়ের কথায় উঠে-বসে আর মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।

এইসব থিওরি মা আমাকে ২ঘন্টা ধরে বুঝালেন। মা'র এইসব কথা শুনে প্রচন্ডরকম মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেলো। আমি নিজের মাথার চুল নিজে টানতে টানতে বললাম,
--মা, তুমি যে মেয়েকে বিয়ে করতে বলবে আমি চোখ বন্ধ করে সেই মেয়েকেই বিয়ে করবো। এখন মা আমি ঘুমাতে গেলাম সকালে আমার অফিস আছে
মা মুচিকে হেসে আমায় বললো,
-আচ্ছা যা তাহলে

ঘুমে যখন চোখটা লেগে আসছে তখনি আমার ফোনের স্ক্রিনের আলোটা জ্বলে উঠলো। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখি রফিক ভাইয়ের নাম ভাসছে। আমি ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা রিসিভ করে কথা বলতে লাগলাম...
|
|

পরদিন সকালে আমি একমনে খবরের কাগজ পড়ছি আর নাস্তা করছি। হঠাৎ আমি একটা খবর দেখে চিৎকার করে বললাম, সর্বনাশ!
আমার চিৎকার শুনে মা রান্নাঘর থেকে দৌড়ে এসে বললো,
- কি হয়েছে?
আমি মাকে বললাম,
-- পুত্রবধূর ভুল-ভাল ঔষধ খাওয়ানোর ফলে শ্বাশুড়ির মৃত্যু
মা পাশের চেয়ারে বসতে বসতে অবাক হয়ে বললো,
- মানে!
আমি তখন নিউজটা পড়তে শুরু করলাম,
-- নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া গ্রামের সালমা বেগম তার একমাত্র ছেলেকে পাশের গ্রামের হাসেম বেপারির মেজো কন্যার সাথে বিয়ে করান। গতকাল দুপুরে সালমা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে ছেলের বউ উনাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। হাসপাতালে চিকিৎসারত ডাক্তার কিছু ঔষধ দিয়ে সালমার পুত্রবধূকে বললেন, সঠিক ভাবে নিয়মিত ঔষধ গুলো খাওয়াতে। পুত্রবধূ কম শিক্ষিত থাকার কারণে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের লেখা বুঝতে না পেরে শ্বাশুড়িকে ভূল-ভাল ঔষধ খাওয়ান। যার ফলে শ্বাশুড়ির মৃত্যু হয়

মা অবাক হয়ে বললো,
- ছেলে কোথায় ছিলো?
আমি তখন বললাম,
-- হয়তো বাহিরে ছিলো। পুরুষ মানুষতো আর সারাক্ষণ বাসায় থাকে না
আমার কথা শুনে মা কপালে হাত দিয়ে কি যেন ভাবতে লাগলেন। আমি তখন বললা

এক বাবা দেখলেন তার ১১ বছরের ছেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। বাবা তার মাথায় হাত দিয়ে  তাকে জিজ্ঞেস করলেন-"কি ব্যাপার, বাছা?"...
08/08/2023

এক বাবা দেখলেন তার ১১ বছরের ছেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। বাবা তার মাথায় হাত দিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন-

"কি ব্যাপার, বাছা?"

ছেলেটা উত্তর দিল-
"আমার ধনী সহপাঠীরা কথায় কথায় আমাকে উপহাস করে। আমাকে মালীর ছেলে বলে ডাকে। ওরা বলে যে আমার বাবা মানুষের জন্য গাছপালা জল দেওয়া এবং ফুল ফুটিয়ে উপার্জিত টাকা দিয়েই বেঁচে থাকে।"

বাবা এক মুহূর্ত থেমে গেলেন, তারপর বললেন-

"আমার সাথে এসো,বাবা, কিছু ফুল গাছ লাগাই। এতে হয়তো তোমার মনের দুঃখ কাটবে। এটা তোমাকে আনন্দিত করবে।"

তিনি ছেলেটির হাত ধরে তাকে বাগানে নিয়ে গেলেন, তারপর দুটি ফুলের চারা বের করলেন এবং বললেন-

"এসো,একটা পরীক্ষা করা যাক। আমরা আলাদাভাবে দুটি ফুল চারা লাগাব। আমি একটির যত্ন নেব, আর তুমি অন্যটির যত্ন নেবে। আমি লেকের পরিষ্কার জল দিয়ে খানিক জল দেব কিন্তু তুমি পুকুরের নোংরা জল দিয়ে চারা গাছে জল দেবে। আমরা আগামী সপ্তাহগুলিতে ফলাফল দেখতে পাব"

ফুলের চারা রোপণে বাবার সাথে যোগ দেওয়ায় ছেলে ও আনন্দিত হল। তারা যথাক্রমে তাদের যত্ন নিয়েছে এবং তাদের বেড়ে উঠতে দেখেছে।তবে ছেলেটি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।

পরে বাবা তার ছেলেকে বাগানে নিয়ে এসে বললেন।

"দুটি ফুলের দিকে তাকাও এবং আমাকে তোমার পর্যবেক্ষণ বলো"।

ছেলেটি সাড়া দিল।
"আমার ফুল তোমার চেয়ে ভাল এবং স্বাস্থ্যকর দেখাচ্ছে।তুমি পরিষ্কার জল ব্যবহার করলেও তোমার ফুলের চারাটি তেমন বড় হয়নি বা ফুলগুলোও সুন্দর নয়। এটা কিভাবে সম্ভব?"

বাবা হাসলেন, তারপর বললেন-

"এর কারণ হল নোংরা জল একটি গাছের বৃদ্ধি বন্ধ করে না, বরং এটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করার জন্য এটি জৈব সার হিসাবে কাজ করে।দেখো বাবা, কিছু মানুষ আছে যারা তোমাকে জীবনে নামিয়ে দেয়, তোমার স্বপ্ন নিয়ে উপহাস করে, তোমার গায়ে ময়লা ফেলে।
সর্বদা মনে রাখবে যে দরিদ্র ঘরে জন্মানোটা কোন অপরাধ নয়।বরং রসদ ও সুযোগ সুবিধা পেলে দরিদ্র ঘর থেকে ও সফল ছেলে মেয়ে তৈরী হতে পারে।

সুতরাং, লোকেদের কঠোর,নির্মম শব্দগুলিকে একেবারেই পাত্তা দেবেনা বরং নিজের গতিতে নিজের কাজ করে যাবে। আর তা করলে হাজারো নেতিবাচক কথা এবং কঠোর,নির্দয় কথার মত নোংরা তোমার বৃদ্ধি আটকে রাখতে পারবে না বরং তুমি গাছের মতোই বড় এবং বলিষ্ঠ হয়ে উঠব

08/08/2023

Address

Mymensingh

Telephone

+8801888282025

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অবহেলা =ignore posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অবহেলা =ignore:

Videos

Share