23/08/2023
একদিন আমি আর মিয়া ভাইজান মুজাদ্দেদী(মহামান্য আলহাজ্ব হযরত খাজা মিয়া ভাইজান মুজাদ্দেদী ছাহেব) ছাহেব কেবলাজানের কদমে রাত্রী বেলা খেদমত করতেছিলাম!তখন,হুজুর কেবলাজন বল্লেন, বাবা আমি স্তম্ভীত হয়ে গেলাম আমি দেখলাম যে তোমার দাদা পীরসাহেবের দুই কোলে তোমরা দুই ভাই বইসা আছো। তোমার দাদা পীর সাহেব তোমাদেরকে এত আদর করতেছে যে, মনে হইতেছে যে সারা পৃথিবীতে আর কোন নাতী - নাত্নী নাই।তোমরা দুইজনই একমাত্র নাতী - নাত্নী।একমাত্র আদরের ধন।
আমি(মহামান্য আলহাজ্ব হযরত খাজা মেঝ ভাইজান মুজাদ্দেদী ছাহেব) তখন কেবলাজানের কদমে আরজ করলাম, বাবা হযরত খাজা মিয়া ভাইজান মুজাদ্দেদী ছাহেব জন্মগত ওলি - আল্লাহ।মাদারজাত ওলি, তেনার তো কোন কথা নাই।তিনি আদর পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু, আমিতো অভাগা,আমি তো গুনাগার, পাপী,আমাকে কেন এত আদর করে। তখন কেবলাজান হুজুর বল্লেন,বাবা সেই জ্ঞান তোমাদের হয় নাই। সেই জ্ঞান যখন হবে তখন বুঝতে পারবে কেন তোমাদের দাদা পীর সাব তোমাদের কেন এত আদর করে। আর তোমরা দুই ভাই যখন দুনিয়াতে আসছো তার আগে আল্লাহতালা তোমাদের দুই ভাইকে, তোমাদের দুই ভাইয়ের সূরত আল্লাহতালা আমাকে দেখাইছে এবং তোমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যা কিছু দুনিয়াতে করবা সমস্ত কর্মসূচি আল্লাহ তালা আমার হাতে দিয়া রাখছেন।
তারপর,কেবলাজন হুজুর অসুস্থ হইলেন, অসুস্থ হবার পরে, অসুস্থ হবার আগে ১৯৯৩ সাল,১৯৯৪ সালে অসুস্থ হবার আগে ভিতরের হুজরা শরীফে।কেবলাজানের কদমে মিয়া ভাইজান (মহামান্য আলহাজ্ব খাজা মিয়া ভাইজান মুজাদ্দেদী ছাহেব) আমি, দুই ভাবীজান আর ছোট আপা ছিলেন।
তখন, হুজুর কেবলাজান জিজ্ঞাসা করলেন যে, আমার মাহফুজের ছেলে - মেয়ে কয়জন,তখন, মেঝ ভাবীজান উত্তর দিলেন, মিয়া ভাইজানের ছেলে - মেয়ে দুই জন।কী নাম? তখন ভাবীজান নাম বল্লেন।তরপরে (হুজুর কেবলাজান) বল্লেন আমার ফয়সলের ছেলে - মেয়ে কয়জন, ভাবীজান বল্লেন দুই জন,নাম জিজ্ঞাসা করলেন ভাবীজান নাম বল্লেন। তখন (হুজুর কেবলাজন) বল্লেন আল্লাহতালার কাছে যা, চাইছিলাম আল্লাহ তালা আমাকে তা দিছে আর প্রয়োজন নাই।
এই দুই চাচা মিয়া জন্মানোর সময় আরেক ইতিহাস,বড় চাচা মিয়া যখন জন্মাইলেন তখন ভিন্ন ধরনের এক আকৃতি - প্রকৃতি দুনিয়া তৌরি হইলো এবং মনে হইলো বিপ্লব ঘটাইয়া দুনিয়াতে একজন কেউ দুনিয়াতে আসতেছে।কেবলাজান বল্লেন,আমার জামানার, আমার খানদানের তৃতীয় মুজাদ্দেদ (সংস্কারক) দুনিয়াতে আসলো। আর ছোট চাচা মিয়া যখন জন্মগ্রহন করলেন তখন কেলাজান হুজুর বল্লেন, কেবলাজন হুজু ৩ নম্বর হুজরা শরীফে বসে ছিলেন তছবি হাতে, তখন হুজুর কেবলাজন বল্লেন যখন খবর পাইলো যে,ছোট চাচা মিয়া হইছে, তখন হুজুর কেবলাজন বল্লেন, আমি আল্লাহর কাছে হাত তুলে ছিলাম, আসমানী জগতে কিছু বালা, মুছিবত ছিল।আজকে যাকে আমি পাইলাম তার ঘরের ভিতরে এত বেশী পয়গম্বরা ছিল, এত বেশী ওলি আল্লাহরা ছিল যে, আমি নিজেই সেই গরের ভিতরে ঢুকতে পারতাছিলাম না।
তার পরে এদের দুই ভাইকে বড় চাচা মিয়ার হাতে হুজুর কেবলাজান একটি তলোয়ার তুলে দিল এবং সায়েম মুজাদ্দেদী সামীকে ওর হাতে একটি তছবি উঠাইয়া দিলেন হুজুর কেবলাজন।
সেইটা বুকে নিয়া বাইচা আছি আপাতত।সবকিছুর বদলেও যদি হুজুর কেবলাজন থাকতেন তাও শান্তি পাইতাম, আন্মাজান গেলেন, কেবলাজান হুজুর চলে গেলেন,দুনিয়াতে আগুন ধরে গেল।আল্লাহর রহমতের দরজা বন্ধ হইয়া গেল। তামাম দুনিয়াতে আগুন লেগে গেল। আমরা খুদ্র পরিষরে আমার বাবার মুরিদান, জাকেরান, আশেকান, এই #জাকের_পার্টির🌹 পতাকা ধইরা আমরা বাইচা আছি।আমাদের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আমার জেন্দাবাবার এই সত্যের খেদমত কইরা যাইতে হবে।
আমার পীর না খাইয়া রইছে, আমার মুর্শীদ না খাইয়া রইছে, না ঘুমাইয়া রইছে, #আমরা_তারই_সন্তান_হয়ে__আমরা_যেন_ভোগী_না_হই, #আমরা_যেন_ত্যাগি_হই।আমরা যেন পীর কেবলাজন হুজুরের প্রেম ছাড়া অন্য কিছু না চাই,আমরা খাজাবাবাকে যেন প্রেম দেই এবং বিনিময়ে যেন প্রেম লাভ করি।এটাই হোক আজকের এই পবিত্র ক্ষনের প্রতীজ্ঞা।
পীরজাদা আলহাজ্ব খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী
মাননীয় চেয়ারম্যান,
জাকের পার্টি।