16/01/2024
পৃথিবীতে মানুষ হয় দু'ধরনের..বিবেকবান ও বিবেকহীন।
বিবেকহীন মানুষের চেয়ে সুখী আর কেউ হয় না দুনিয়ায়। কারণ তারা যত খারাপ কাজই করুক না কেন, দিন শেষে তাদের কোনো আফসোস থাকে না, ভয় থাকে না, লজ্জা থাকে না, অনুতাপবোধ থাকে না, কর্মফলের আতঙ্ক থাকে না। তাদের যা থাকে তা হলো শুধুই আত্মতুষ্টি। যেমন:
~অমুককে হারিয়ে দিয়েছি আজ নোংরা কথা দিয়ে; বেশ করেছি!
~তমুককে ঠকিয়েছি আজ, কিন্তু সে বুঝতেও পারেনি;
অমুককে ষড়যন্ত্র করে পথে বসিয়েছি - কী বিশাল এচিভমেন্ট!
~অমুকের সাথে তমুকের সম্পর্ক নষ্ট করিয়েছি, খুব ভালো করেছি।
এ ধরনের বা এর চাইতেও জঘন্য মনমানসিকতা যাদের থাকে, সত্যি বলতে তারাই বিবেকহীন মানুষ। এই মানুষগুলো কখনোই নিজের ভুলগুলো দেখতে পারে না। তারা হয় খুব স্বার্থপর নয়তো প্রতিহিংসাপরায়ণ। স্বার্থ আর প্রতিহিংসা নামের এই দুটি ভয়াবহ ব্যাধি তাদের ভেতরের সমস্ত বিবেককে গিলে খেয়ে ফেলে, করে দেয় অন্ধ। তারা শুধু একজনের কাছে জেতার আশায় ধ্বংস করতে থাকে তাদের নিজের সঠিক অস্তিত্বকে।
অপরদিকে বিবেকবান মানুষরা হয় অল্পতেই কাতর স্বভাবের। তারা পারতপক্ষে বা জেনেশুনে কোনো খারাপ কাজ করে না, কিন্তু যদি কোনোরকম খারাপ কিছু করেও ফেলে তার বিবেকবোধ তাকে কুরে খেতে থাকে ভেতর থেকে। বিবেকের তাড়নায় সে রাতে ঘুমোতে পারে না পর্যন্ত। এমনকি নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া সব খারাপ কিছুকে সে তার ভুলের শাস্তি বা কর্মফল হিসেবে ভাবতে থাকে। তার এই বিবেকবোধ তাকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিজেকে নিজেই শাস্তি দিতে থাকে নানাভাবে। যাকে আমরা বলি অনুতাপবোধ। যেকোনো খারাপ কাজ করার পর কারো মধ্যে অনুশোচনা হওয়াটা খুব জরুরি। এই অনুশোচনার কারণেই হয়ত একজন মানুষ তখন নিজেকে আরও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে নিজেই চেষ্টা করবে।
তাই শুধু চোখ, কান, নাক, মুখ থাকলেই তাকে মানুষ বলা যায় না। প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য ভেতরে থাকতে হয় 'বোধ'। যা আমাদের বিবেকবোধকে আরও শক্তিশালী করে তোলে ভেতর থেকে।