20/03/2024
চলুন একটা মাতালের গল্প শোনা যাক। ®
কোনো এক মাতাল মদের দোকানে মদ খাচ্ছিলো, মনের দুখে, সে মদ খাচ্ছিলো আর কান্না করছি রবের নিকট। বলছিল কেন আমাকে এ দুনিয়ায় পাঠালে, আমি এ জীবন চাই না।
আমাকে মৃত্যু দাও। এই পাপে ভরা জীবন আমি চায় না।
সে ভুলে যাচ্ছিলো তার রব সব কিছুই দেখতে পান।
তার কষ্ট, বেদনা আহাজরী, তার মন কি চায় সব কিছুই,
তো মাতাল এভাবেই চিল্লা চিল্লি করতেছিলো।
, মদের দোকান থেকে বের হয়ে ও
◑ইতো মধ্যে একজন দাড়ি ওয়ালা লোকের সাথে তার দেখা হয় সে বলে ভাই আপনার কি হয়েছে,আমি কি জানতে পারি,
মাতাল লোকটি বল্লো কে আপনি, কোথা থেকে এসেছেন। কি চান।
দাড়ি ওয়ালা লোকটি বল্লো সব কি, বলবো আপনাকে ' এখন আপনি বলেন তো ভাই কি হয়েছে আপনার।
মাতাল লোকটি বল্লো ভাই আমি মানুষের ধোকায় পড়ে,
অনেক অন্যায় পাপ কাজ করি জিনা করেছি, আমি আর এসব সহ্য করতে পারছি না।
এদুনিয়া আমাকে আরও ধ্বংস করে দিবে। আমি মুক্তি চাই ভাই আমাকে সাহায্য করবেন, আপনি।
দাড়ি ওয়ালা লোকটি বল্লো হে, অবশ্যই আমি আপনাকে সাহায্যে করবো।
?(গুরুত্বপূর্ণ) আপনি আল্লাহকে চিনেন সে কোথায় থাকে কি করেন।
©আর সে আপনাকে, আমাকে বানিয়েছেন।
সারা বিশ্বের মালিক ১৮হাজার মাখলুকাতের মালিক (সুবহানাল্লাহ)
চিনেন তাকে। মাতাল লোকটি বলে না । দাড়ি ওয়ালা লোকটি বল্লো, দূরের ঐ যে মসজিদ দেখা যায়, সেখানে গিয়ে মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন সাহেব কে আপনি, আপনার মনের সকল কষ্টের কথা বলবেন। এবং এটাও বলবেন আমি আপনাকে এখানে আসতে বলেছি।
সব কথা শেষে হুজরকে বলবেন, হুজুর আমাকে দু রাকাত নামাজ পরিয়ে দিন।
সে আপনাকে পরিয়ে দিবে।
মাতাল লোকটি কথা মতো সেই মসজিদে যায়।
মসজিদের ভিতরে কিছু লোক ছিল নামজ শেষ করে মসজিদ থেকে বাহির হচ্ছিল।
সে সময় মাতাল লোকটি ও মসজিদে ঢুকতে যাবে। মুসল্লী হন তাকে মাতাল অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে মসজিদে আর ঢুকতে দিতে চায় না।
দূর থেকে মসজিদের ইমাম সাহেব দেখে , তারাতাড়ি এসে বলে। কি হয়েছে, এখানে বলুন আমাকে, তখন মাতাল লোকটি হঠাৎ করেই বলে উঠে। আপনি কি এ মসজিদের ইমাম।
ইমাম সাহেব বলে জ্বি, আমি ইমাম বলুন কি হয়েছে।
মাতাল লোকটি তখন সকল বিষয়, ইমাম সাহেবকে বলে, এবং এটাও বলে যে দাড়ি ওয়ালা লোকটি তাকে বলছে ইমাম সাহেবকে বলবেন দু রাকাত নামাজ আদায় করিয়ে দিতে।
ইমাম সাহেব বলে মাতাল লোকটিকে চলুন আমার সাথে।
তো মাতাল লোকটি ইমামের সাথে যায়, ইমাম সাহেব তাকে অযু করিয়ে পাক পবিত্র করিয়ে।
নামাজের জন্য তৈরি করে তাকে জায়নামাজে দাড়া করিয়ে নামাজ আদায় শুরু করেন
(গুরুত্বপূর্ণ বিষয়) মাতাল লোকটি হুজুরের সাথে নামাজ আদায় করছিল।
যখন ইমামের সাথে রুকু করে সিজদায় গেল, প্রথম সিজদা দিয়ে উঠলো। কিন্তু দ্বিতীয় সিজদা দিয়ে আর উঠলো না। মাতাল লোকটি।
মাতাল লোকটি তার রবের ডাকে সাড়া দিয়ে, তার কাছে চলে গেছেন।
ইমাম সাহেব নামাজ শেষ করে কান্নায় ভেঙে পরলেন।
ইমাম সাহেব বল্লেন লোকটার ভাগ্য এতো ভালো যে। সে সিজদা অবস্থায় আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছে।
আর মুসল্লী ভাই আপনারা তাকে মসজিদে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন।
তখন মুসল্লী তারও রবের কথা ভেবে কান্না করে। তারপর ইমাম সাহেব মাসজিদের পাশে থাকা গোরস্থানে লোকটিকে কবর দেওয়া হয়।
(গল্প টা জানি না কার কাছে কেমম লাগবে। সত্যি বলতে আল্লাহকে মন থেকে চাইলে, আল্লাহ ও তার বান্দাকে চায়। মাতাল লোকটির এমন জায়গায় মৃত্যু হয়। যেটা সবার কপালে থাকে না। আল্লাহ আমাদের সকলকে সহি বুজ দান করুক।)
(লেখক:প্রীয় ভাই ও বোনেরা আয়া করি আমার কষ্টের মূল্য আমি পাবো ৩৯মি: সময় লেগেছে। আশা করি আমার কষ্টকে আপনারা বৃথা যেতপ দিবেন না। ব্রি:দ্রা: যে কোনো ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ আপনাদেরকে।