22/02/2023
নারী! সত্যিই আপনি রানী।
১৭৬ আয়াত বিশিষ্ট একটি বড় সূরা আছে শুধু নারীর নামে, সূরা নিসা!
হ্যা, পৃথিবীর সকল নবী ছিলেন পুরুষ। কিন্তু সকল নবীর মা-ই তো নারী।
বাবা ছাড়া যে নবী জন্মেছেন, তিনিও কিন্তু মা ছাড়া জন্মাননি!
পৃথিবীর প্রথম পুরুষ আদম। তিনি গন্ধযুক্ত কর্দমাক্ত মাটি থেকে তৈরি। আর প্রথম নারী হাওয়া৷ তিনি সৃষ্ট হলেন পূতপবিত্র নবীর দেহ থেকে। পাজড়ের হাড় থেকে। [ বুখারী ৫১৮৫]
নারী!
আপনার ব্যাপারে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক নিজেই পুরুষদের আদেশ করছেন, "তোমরা নারীদের সাথে কোমল আচরণ করো।"
লোকে বলবে, কেন? তাদের সাথে কোমল আচরণ করব কেন? তাদের তো এই সমস্যা, ঐ সমস্যা! প্রভু নারীদের পক্ষ হয়ে বলছেন, "তাদের কোনো দিক তোমাদের খারাপ লাগলে সবুর করো। ধৈর্য ধরো। দেখবে অতি দ্রুতই এর উত্তম প্রতিদান পেয়ে যাবে।" [সূরা নিসা ১৯]
প্রিয় নবীরও একই ভাষ্য। "কোনো মুমিন পুরুষ কোনো মুমিনা নারীকে ঘৃণা করতে পারে না। তাদের চরিত্রের কোনো দিক তোমাদের কষ্ট দিলেও এমন কিছু দিকও তো আছে, যা তোমাদের অনেক সুখ দেয়?"
[ মুসলিম ১৪৬৯]
"যে ঘরে প্রথম সন্তান কন্যা হয়, সে ঘরে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।"
[ আল মাকাসিদুল হাসানাহ ১/৬৭৭]
যখন একেএকে একটি, দুইটি, তিনটি ছেলে জন্ম নেয়, তখনো কোনো সুসংবাদ নেই। কিন্তু যখন কারো দুইটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, তখন ফেরেস্তাগণ বলেন, তাদের পিতার জন্য দুইটি জান্নাত৷ যখন তিনটি কন্যা হয়, তখন তারা বলে তিনটি জান্নাত! [ তিরমিযি ১৯১৬]
সুবহানাল্লাহ! নারী! সত্যিই আপনি প্রতিটি পিতার কাছে জান্নাত৷ দুনিয়াতেও জান্নাত৷ আখেরাতেও জান্নাত৷
পুরুষ কামাই করে। সংসারের ঘানি টানে। সন্তানদের তিলতিল করে গড়ে তোলে। এসবই কেবল সাদাকাহ। কিন্তু এক মা যখন একটি সন্তান যাস্ট জন্ম দেয়- নবী বলেন, "তোমার পদতলে তার জান্নাত।" [ মুখতাসারুল মাকাসিদঃ ৩৪৮, সহিহ]
সাহাবী এসে বলছেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কাকে বেশি গুরুত্ব দিব?
প্রিয় নবীঃ তোমার মাকে।
সাহাবীঃ তারপর কার সাথে?
প্রিয় নবীঃ তোমার মাকে।
সাহাবীঃ তারপর?
প্রিয় নবীঃ তোমার মাকে।
সাহাবীঃ তারপর?
প্রিয় নবীঃ হুম। এবার তোমার বাবাকে।"
[ তিরমিযি ১৮৯৭]
এখানেও নারী পুরুষের উপরে৷ তিনগুন উপরে!
জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে কারা থাকবে জানেন! সে-ই থাকবে যার চরিত্র সবচে ভালো। কে চরিত্রবান, এটার স্বীকৃতি দিবে কে? নারী? হ্যা, নারী। নবীজি ﷺ বলেছেন, "সে-ই সর্বত্তোম চরিত্রের অধিকারী, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম