Naima's World

Naima's World This is my world Will help you to express your style having all kind off dress & makeup accessories ....for more details inbox us

আমি এখনো এরকম উচ্ছিষ্ট খাওয়া মা হতে পারিনি, ইনফ্যাক্ট হতে চাইওনা কখনো। আমার ছেলে যখন অনেক ছোট ছিল সাধারনত আমি আগে খেয়ে ...
04/10/2023

আমি এখনো এরকম উচ্ছিষ্ট খাওয়া মা হতে পারিনি, ইনফ্যাক্ট হতে চাইওনা কখনো। আমার ছেলে যখন অনেক ছোট ছিল সাধারনত আমি আগে খেয়ে তারপর ওকে খাওয়াতাম। কারন আমাকে সারাদিন অফিস করে, ক্লাশ করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরতে হতো। ছেলে মুখে খাবার নিয়ে অনেক সময় বসে থাকত। গিলতে চাইত না। তাই আমি খেয়ে ফুল এনার্জি নিয়ে ধীরেসুস্হে ওকে খাওয়াতাম। তাড়াহুড়ো করতাম না। বকতাম না । কারন আমার পেট ভরা থাকত বলে মাথাটাও ঠান্ডা থাকত। মনে মনে বলতাম -- রাখ মুখে ভাত যতোখন, আমার কি, আমি খেয়ে নিয়েছি 😋।

ছবির পোস্টটা পড়ে হাসি পেয়েছে আমার। দেখুন আপুরা, যে নিজেরে ভাল রাখতে জানে না, যে নিজে নিজের মূল্যায়ন করে না তারে কেউ গোনে না, এইটা জীবনে বহুবার দেখেছি আমি।

এসব এঁটো-ঝুঁটা খেয়ে অল্প বয়সেই আমাদের মেয়েদের গিটে গিটে বাত, ইউরিন ইনফেকশন, প্রেসার লো, ঘুমের সমস্যা, মেজাজ গরম , dysfunctional sexual life
চলতেই থাকে। এদের জামাই অন্য মহিলার আঁচলে আশ্রয় খুঁজতে থাকে।

এদের বয়স চল্লিশ হলেই দেখা যায় জীবন নিয়ে হাতাশা। না পাওয়ার হিসেব মিলাতে গিয়ে সংসারে যুদ্ধ। শরীরের বয়স চল্লিশ হলেও দেখায় আরো বয়ষ্ক। মেজাজ সব সময়ই তিরিক্ষি থাকছে।

আর এই মায়েরাই ছেলের বউ এলে তার সাথে করবে কঠিন ব্যবহার। তাকেও এঁটো খেতে দিবে। মানে আশা করবে
এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বংশ পরম্পরায়.......
বারবার বলবে "কত কষ্ট করে ছেলে মানুষ করেছি। নিজে না খেয়ে ছেলেকে খাইয়েছি। আর তুমি আজকে এসেই ছেলেকে দখল করতে চাও?"

আপুরা ,

এক টুকরো মাছ/মাংস, এক গ্লাস দুধ আপনি না খেলে আপনার পরিবার কোটিপতি হয়ে যাবে না। বরং আপনার শরীরটা ভালো থাকবে। এটা জরুরী আপনার পরিবারের জন্য।

মা মানেই নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়া না। মা নিজেও একজন আলাদা আইডেন্টি, একজন মানুষ। এটা মনে রাখা দরকার। নিজের খাবার নিজে খাবেন। বাচ্চার খাবার বাচ্চা খাবে। আদ্যিকালের থিওরি এই যুগে অচল। আদ্যিকালে দশজন সন্তান থাকতো। দশটার এটো খাবার সুযোগ ছিল। ঐ সময়ে ব্রেন ওয়ার্ক কজন নারী করত? এখন 90% নারী করে। এটা করার জন্য পুষ্টিকর খাবারের দরকার আছে।

সন্তানকে ভালোবাসলে বরং নিজে মা হিসেবে ফিট থাকুন শারীরিক,মানসিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে। এটাই হবে বেষ্ট গিফট সন্তানের জন্য।

লেখাও ছবিঃ~ সংগৃহীত

03/10/2023

কারো গুনের কথা বলার মতো সৎ সাহস যদি আপনার না থাকে ! তাহলে খুচিয়ে খুচিয়ে, হেসে হেসে, রসিয়ে রসিয়ে তার দোষের কথা বলার দুঃসাহস দেখাতে যাবেন না ! দয়া করে মনে রাখবেন আপনি কোনো mr/mrs perfect ব্যক্তি না 😁 ( পরে যতই আপনি বলেন না কেনো আপনি মজা করে বলেছেন অপর পাশে থাকা ব্যক্তি মুখে না বললে ও তার কাছে আপনি শ্রেফ হনু ) 😅

খুব সুন্দরী সফল ক্যারিয়ারের নারীকে দেখেছি ডিভোর্সি হয়ে যেতে।অতি সুখী দম্পতিকে দেখেছি নিঃসন্তান থেকে যেতে শত চেষ্টার পরেও...
29/08/2023

খুব সুন্দরী সফল ক্যারিয়ারের নারীকে দেখেছি ডিভোর্সি হয়ে যেতে।
অতি সুখী দম্পতিকে দেখেছি নিঃসন্তান থেকে যেতে শত চেষ্টার পরেও।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সফল পেশায় থাকা মানুষটিকে দেখেছি সুইসাইড করতে।

অনেক ফ্যামিলির উচ্চশিক্ষিত সুন্দরী তরুনীকে দেখেছি বয়স ৪০ এর কোটায় চলে গেলেও পার্টনার না খুঁজে পেতে।
আবার অতি কুৎসিত মেয়েটির ও দেখেছি অত্যন্ত ভাল পার্টনার এসেছে জীবনে।

একদম ফার্স্ট গার্ল মেয়েটাকে দেখেছি একদম হাউজ ওয়াইফ হয়ে থাকার ডিপ্রেশন বুকে নিয়ে বেড়াতে।
আবার অতি ব্যাক বেঞ্চার মানুষটিকেও অনেক সময় দেখেছি সাফল্যের চুড়ায় উঠতে।

আসলে মানুষ এর জীবনে সুখ,সফলতা,ভাল পার্টনার, এসব কিছু কিন্তু সৌন্দর্য্য,মেধা,ভাল ক্যারিয়ার এসবের উপর নির্ভর করেনা।

একসময় সবচেয়ে পিছিয়ে যাওয়া মানুষটিও এগিয়ে যেতে পারে।
আবার সবচেয়ে এগিয়ে থাকা মানুষটিও দিন শেষে ব্যর্থ হতে পারে।

বিসিএস হয়ে যাওয়া মানেই এইনা সেই সবচেয়ে সফল ব্যাক্তি,
সবচেয়ে সুন্দরী হওয়া মানেই এইনা সেই সবচেয়ে ভাল পার্টনার পাবে।
ফার্স্ট স্টুডেন্ট থাকা মানে এইনা সেই সবচেয়ে ভাল চাকরী পাবে।

জীবনের এই প্যারামিটারগুলো আমরা ফিক্সড করতে চাই।
কিন্তু আমরা জানিনা এই ফিক্সড করার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই।

কারন আল্লাহপাকই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।

✍️সংগৃহীত

কন্যার স্বামীকে বাবা বলেছিলেন:প্রথম যে পুরুষটি ওকে ছুঁয়েছিলো- সে, তুমি নও, আমি।প্রথম যে পুরুষটি ওকে চুমু দিয়েছিলো-সে, তু...
25/08/2023

কন্যার স্বামীকে বাবা বলেছিলেন:

প্রথম যে পুরুষটি ওকে ছুঁয়েছিলো- সে, তুমি নও, আমি।
প্রথম যে পুরুষটি ওকে চুমু দিয়েছিলো-সে, তুমি নও,আমি।
প্রথম যে পুরুষটি ওকে ভালোবেসেছিলো-সে, তুমি নও, আমি।

যাইহোক, যে-পুরুষটি ওকে সারাটি জীবন যত্নে রাখতে পারবে, আমি আশা করি সে, আমি নই, তুমি।

কিন্তু, যদি কোনদিন ওকে আর ভালোবাসতে না পারো, ওকে জানিয়ো না, আমাকে জানিয়ো; আবার নিয়ে আসবো আমার কাছে।

বাবার ভালোবাসা 💙
(ভালো থাক পৃথিবীর সব বাবার মেয়েরা)

লেখা ও ছবি সংগৃহীত

24/08/2023

আট দশ পদের রান্না করেছিলাম সেদিন, সব গুলো রান্না অমৃত হলেও একটাতে লবণ কম হওয়াতে শ্বাশুড়ী যখন মুখ বেকিয়ে বলল,
- লবণ দেওয়ার সময় মন কোথায় থাকে?

আমি বলেছিলাম, এত গুলো রান্নার মধ্যে একটা তো এদিক ওদিক হবে৷ আমি তো আর রোবট না।

উনি পাত থেকে সে তরকারি ফেলে দিতে দিতে বলেছিলেন, বউ হতে গেলে রোবটের চেয়ে বেশি হতে হয়।

ঘর ভর্তি গেস্টের সামনে আমি পানি দিয়ে ভাত আর রাগ দুইটায় গিলে খেয়েছিলাম।সবাই চুপ ছিলো কেউ কোন উত্তর দেয় নি আমার হয়ে।

রাতের বেলা, শুধু সে তরকারির লবণ ঠিক রেখে অন্য সব তরকারির লবণ বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।

সবাই বুঝে আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছিলো, যেন আমি একটা আতংক। আমি নির্বিকারে যে তরকারির জন্য সকালে কথা শুনানো হয়েছিলো সেটা দিয়ে খেয়ে নিলাম।
পরে সবাই বলেছিলো,
-সকালে সব ভালোই ছিলো৷ শুধু শুধু রাগালে মেয়েটাকে, কষ্ট করে রান্না করেছিলো।

কিন্তু সকালে কেউ আমার হয়ে একটা কথা বলে নি।

এরপর থেকে কেউ আমাকে এইভাবে বলার সাহস পেত না৷
এমন না যে আমি সমালোচনা শুনতে ভয় পাই। ব্যাপার টা হলো মূল্যায়নের। আমি যে এত কষ্ট করে এত রান্না করেছি, সেটার মূল্যায়ন তারা করে নি৷ নয় টা রান্নার গুন যখন একটাকে ছাপিয়ে যায় নি, সেখানে আমার মূল্যায়ন হয় নি। আমার কষ্টের মূল্যায়ন হয় নি।
পরবর্তীতে এইরকম কিছু বলার আগে তারা ভেবেছে। এবং ভাববে৷

প্রতিদিন বিকালে নানা রকম নাস্তা বানাই আমি, ঘরের এক সদস্য বলেছিলো, তার খেতে ইচ্ছে না। তবে সে খেত সব। তার যে ইচ্ছে করে না তা সে বাড়িয়ে চড়িয়ে বলত।

পরবর্তীতে আমি তার জন্য ছাড়া সবার জন্য নাস্তা বানিয়েছে৷ বেশ ভালো পদের৷ শুধু তাকেই দেওয়া হলো না।

এক গাল হেসে বলেছিলাম,
- ভালো লাগে না যখন, কষ্ট করে কেন খাবেন রোজ? আপনার ও কষ্ট কমল। আমার ও।

সে এমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো, যেন কোন শব্দেই খুঁজে পাচ্ছে না। তার বিরক্তি প্রকাশ করার জন্য।

এমন না যে আমি তাকে অপছন্দ করি বা খাওয়াতে চাই না। কিন্তু সে আমার যত্ন টা দেখতো না। আমি রোজ নাস্তা বানাচ্ছি যত্ন করে নানা বাহারী সাজে, সেটার মূল্য দিতো না। আমার মূল্যায়ন সে করে নি। তাই আমি তাকে বুঝিয়েছি, কেউ যখন আপনার জন্য করছে তার মূল্যায়ন অবশ্যই দরকার৷

ভোর বেলা কেউ বের হচ্ছে, আমি রাতের র্নিঘুমতার শর্তেও ঘুম ঘুম চোখে উঠে কারো জন্য রুটি বানালাম, সে দেখল আমি বানাচ্ছি, নিষেধ করল না৷ সময় সুযোগ থাকার শর্তেও সে না খেয়ে চলে গেল৷
এরপরের বার থেকে আমি ঘুম থেকেই উঠি নি। যতই আমাকে ডাকা হোক।

এমন না যে আমি উঠতে পারব না কারো জন্য। কিন্তু তার জন্য আমার উঠাটা তাকে মূল্যায়ন করতে হবে।

আমার স্বামীর জন্য রাত অবধি ভাত নিয়ে বসে থাকার পর সে যখন আমি রান্না ঘর থেকে আসার আগেই খাওয়া শুরু দিতো, আমি খেয়েছি কিনা দেখতো ও না।

পরের বার থেকে আমি আগেই ভালো পিস টা দিয়ে খেয়ে বসে থাকতাম।

এমন না আমার অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে, কিন্তু যে আমার অপেক্ষার মূল্যায়ন করবে না। তার জন্য আমি কেন বসে থাকবো?

তার হাজার দোষ থাকার শর্তেও সে যখন আত্মীয় স্বজনের সামনে আমার ছোট্ট ভুলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে।
আমি তার হাজার খানিক দোষ রসিয়ে রসিয়ে শুনিয়েছি সবাইকে।
এমন না যে আমি প্রতিশোধ প্রবণ। কিন্তু তাকে বুঝিয়েছি, প্রিয় মানুষ টার সম্মান রাখা নিজেরেই দায়িত্ব।
আমাকেও মূল্যায়ন করতে হবে, সে আমার একটা দোষ জানলে আমি তার হাজার টা জানি, আমি যখন কাউকে বলছি না সে কেন তা নিয়ে অন্য দের সাথে হাসাহাসি করবে?

এক আত্মীয়ের জন্য স্বেচ্চায় নিজেকে ছোট করেছিলাম, কিন্তু সে আড়ালেও আমাকে একটা ধন্যবাদ দেয় নি, এরপর থেকে আমি তার হাজার ডাকেও ফিরে তাকাই নি।

কারণ সে আমার সম্মানের মূল্যায়ন করে নি। আমার ছোট হওয়াটা তার কাছে কিছুই ছিল না।

যে বন্ধুটার মন খারাপে আমি রাত জেগে ছিলাম, কিন্তু ব্যস্ততার অজুহাতে যখন সে আমার মেসেজ সিন করে ফেলে রেখেছিলো, যখন আমার কাউকে দরকার ছিলো, আমি আবার তার মন খারাপের রাতে অনলাইন থেকেও তার কল রিসিভ করি নি৷

কারণ সে আমাকে ব্যবহার করেছে, মূল্যায়ন না৷

ঘরে হোক বা বাইরে যেকোন কাজে মূল্যায়ন দরকার। সেটা সংসার হোক বা কর্মক্ষেত্র।
আপনি যখন অফিসের র্নিদিষ্ট কাজের বাইরে অন্য কাজ করবেন। যার জন্য আর্থিক মূল্য দেওয়া হবে না। তখন আপনার মূল্যায়ন দরকার।

ঘরে সবাইকে খুশি আপনি করতে পারবেন না৷ কিন্তু যখন আপনি চেষ্টা করছেন তখন থেকেই যদি আপনার মূল্যায়ন না হয় মনে রাখবেন আপনার মূল্যায়ন কখনো হবে না। কোন দিনেই না।

সংসার এইটা এমন একটা জায়গা যেখানে অন্যদের জন্য যখন করবেন তখন চাহিদা, প্রত্যাশা শুধু বাড়বেই। কখনো কমবে না।

আপনি সব ঠিকঠাক করতে করতে সবাই এমন ভাব করবে যেন আপনি মানুষেই নয়, হয় ঈশ্বর নয় কোন যন্ত্র। কিন্তু ঈশ্বরের মূল্য ও আপনাকে দেওয়া হবে না।
অকথ্য ভাষা বলতে দুইবার ভাববে না। সত্যি ভাববে না। বিশ্বাস করুন।
তাই নিজেকে অত টা বিলিয়ে দেবেন না প্লিজ যেখানে সবাই মাড়িয়ে যাবে আর একটা শব্দ ও করবেন না।

এতে যদি আপনি ঝগড়াটে বা বেয়াদব আখ্যা পান, মেনে নেবেন। বিশ্বাস করুন অনেক ফ্রেশ মাইন্ডে থাকবেন। এইসব মানসিক যন্ত্রনা থেকে দূরে থাকবেন৷

বেশি করে কথা শোনার চাইতে, কম করে দেখবেন বেশি সুনাম পাবেন যদি মূল্যায়ন টা দাঁড় করাতে পারেন।
অনেক পরিবারে দেখবেন কিছু মানুষ কে যা ইচ্ছে শোনানো যায়, কারণ তারা আবার ঠিক তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে। আবার কিছু মানুষ কে অন্যরা ভয় পায় কারণ তার মুখে কিছু আটকায় না। বললে রাগ করে ফেলে। ভুলেও কিছু বলে ফেললে রেশ থাকে অনেক দিন।
এরা কিন্তু কম পরিশ্রমে বেশি সুনাম পায়।

মূল্যায়ন চাওয়া মানে আপনাকে ঝামেলা করতে হবে না এমন না৷ স্রেফ নিজেও যে একটা আলাদা মানুষ। ভুল হবে, দোষ থাকবে, আবার ভালোও হবে সেটা বুঝাবেন হেসে৷ সড়ে গিয়ে, চুপ থেকে৷ কিংবা আমার মতো লবণ ঢেলে দিয়ে।
কারণ মূল্যায়ন ব্যাপার টা কেউ এসে এইটা আপনাকে হাতে ধরিয়ে দিয়ে যাবে না। নিজেকেই করতে হবে সে জায়গা। সে মূল্যায়নের মনোভাব।

তাই নিজেকে মাঝেমধ্যে স্বার্থপর ও বানান যাতে আপনি যে স্বার্থপর না সেটা অন্যরা বুঝে। 🙂 (collected)

20/06/2023

Why we need to dig past when ppl are happy in their present?!!😌let's always pray for a better future!🙂let the past go🙃

19/06/2023

জীবনে যেকোন শখ বা আহ্লাদ পূরণের সুনির্দিষ্ট একটা সময় আছে। সঠিক সময়টা একবার পেরিয়ে গেলে শখ হয়তো পূরণ হয় ঠিকই, তবে তৃপ্তিটা ঠিক পাওয়া যায় না।

১৭ বছর বয়সে যেই বার্গারটা, বিরিয়ানিটা খেতে অমৃতের মত লাগে, ২৭ বছর বয়সে এসে সেটা ভালো নাও লাগতে পারে।

১৮ বছর বয়সে এসে সমবয়সী কারো সাথে শাড়ি পাঞ্জাবী পরে রিকশায় ঘুরতে ভালো লাগতে পারে, ২৮ এ যে একই কাজ করতে ভালো লাগবে, তার কোন গ্যারান্টি নাই।

১৯ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ইয়ারে বন্ধুবান্ধব নিয়ে বান্দরবান ট্যুর দিলে যেই আনন্দ পাওয়া যাবে, ২৯ বছর বয়সে সেই আনন্দ নাও পাওয়া যেতে পারে।

একদিন নিজের ছাদে বাগান করবো, এই আশায় বসে থেকে যেই মানুষটা নিজের বারান্দায় টবে কোন গোলাপ এর চারা লাগালো না, ছাদ হওয়ার পর দেখা গেলো সেই মানুষটার আর বাগান করার সময়ই নাই।

একদিন চাকরি করে বাবা মাকে দামী দামী শাড়ি পাঞ্জাবী কিনে দেয়ার স্বপ্ন দেখা মানুষটা চাকরি করে টাকা কামাবে ঠিকই, কিন্তু ততদিনে বাবা মা হয়ে যেতে পারে আল্লাহর মেহমান।

জীবনের ছোটখাট সাধ আহ্লাদ খুব দামী জিনিস। এইসব জিনিসই একটা মানুষের হৃদয়কে জীবিত রাখে, সতেজ রাখে, প্রাণবন্ত রাখে। মানুষের হৃদয় একটু একটু করে মরে যায়, কাঠখোট্টা হয়ে যায় শখ পূরণের অভাবের হাহাকারে। এজন্য সময় থাকতেই এসব শখ পূরণ করে ফেলতে হয়।

অনেক টাকা জমলে একদিন খাবো, এই চিন্তা না করে অল্প কিছু টাকা জমিয়ে এখনি খেয়ে আসুন চিলক্সের বার্গারটা, কিংবা নাজিরাবাজারের কাচ্চিটা। ট্রাস্ট মি, জীবনের সেরা তৃপ্তিটা পাবেন।

দেরী না করে পছন্দের মানুষটাকে আজকেই রিক্সা ডেটের অফারটা দিয়ে দেখুন। রাজী হলে শাড়ি পাঞ্জাবি পরে হুডখোলা রিক্সায় বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ঢাকা শহর ঘুরে বেড়ান।

পকেটে কিছু টাকা হলেই বন্ধুর ঘাড়ে হাত রেখে বলে বসুন, "চল ব্যাটা, বান্দরবান যাবো। আজকেই যাবো, এক্ষণি যাবো। ব্যাগ গুছা, চিটাগাং এর ট্রেইন ধরতে হবে।"

নিজের ছাদে বাগান হবে, এই আশায় বসে না থেকে ভাড়া বাসার বারান্দার টবেই লাগিয়ে ফেলুন পছন্দের গোলাপের চারাটা। টিউশানির টাকায় কম দামেই কিনে ফেলুন বাবা মায়ের জন্য শাড়ি পাঞ্জাবিটা, হোক না সুতি, শখ পূরণটাই বড় কথা!!

মনে রাখবেন, একদিন সব হবে, এই আশায় যে নিজেকে বঞ্চিত করে, তার জীবনে কিছুই হয় না। তার জীবন কাটে বিষন্নতা আর অতৃপ্তিতে, শেষ হয় আফসোস আর হাহাকারে।

আর যা- ই করেন, এই ভুলটা করবেন না।

(Collected)

19/06/2023

এক তরুণী তার বাবাকে সাথে নিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করছিলো।
কিছুক্ষণ পর আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো এবং তুমুল ঝড় এবং বৃষ্টি শুরু হলো।
তরুণী টি ভয় পেয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করলো,বাবা কি করবো!
পাশের সিট থেকে বাবা মেয়েকে সাহস যোগালেন,
''তুমি ড্রাইভ করতে থাকো। থেমো না"।
তরুণীটি গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো,কিন্তু ঝড়ের প্রচন্ডতা আরো বেড়ে যাওয়াতে গাড়ি ড্রাইভ করা কঠিন হয়ে পড়ছিলো।
কিছুক্ষণ পর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠলো।
তরুণীটি আবারো তার বাবার কাছে জানতে চাইলো থামবে কিনা।
বাবা আগের মতই ড্রাইভ করতে বললেন।
কিছুদুর ড্রাইভ করার পরে তরুণী লক্ষ্য করলো তার পথের
কিছুসামনে ষোলো চাকার একটা লরি রাস্তার পাশে সাইড করে থেমে যাচ্ছে।
তারসামনে আরো কিছু গাড়ি রাস্তার একপাশে পার্ক করে থেমে আছে।
দৃশ্যটি দেখে তরুণী টি বাবাকে বললো,
"বাবা এবার আমাদের থামতেই হবে। আশেপাশের সবাই দেখো গাড়ি ড্রাইভ করা বন্ধ করে পথের পাশে থেমে যাচ্ছে"।
কিন্তু বাবা সেই আগের মতই তার সিদ্ধান্তে অটল। হাল ছেড়োনা।
তুমি আস্তে আস্তে ড্রাইভ করতে থাকো।
বাবারকথা শুনে মেয়েটি সাহস পেলো এবং প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যেও আস্তে আস্তে সামনের দিকে আগাতে লাগলো। এভাবে কয়েক মাইল যাবার পরে তরুণীটি আবিস্কার করলো,
ঝড় থেমে গেছে এবং সূর্য্য উঠে গেছে।
এবার বাবা বললেন,
'এবার গাড়ি থামিয়ে বাইরে বেরোতে পারো।'
তরুণী টি অবাকহয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করলো, এখন কেন বলছো?
বাবা বললেনঃ
"এখন এজন্যই বের হতে বলছি যাতে তুমি পেছনের দিকে তাকাতে পারো এবং সেই সব মানুষদের দেখতে পারো যারা হাল ছেড়ে দিয়েছিলো
এবং থেমে গিয়েছিলো।ওঁরা এখনো ঝড়ের মধ্যেই আছে।
কিন্তু তুমি হাল ছাড়োনি এবং থেমে যাওনি,
তাই তোমার ঝড় এখন শেষ!..."

জীবনের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য।
জীবনে চলার পথে আমরা অর্থনৈতিক, আবেগিক,পারিবারিক, সামাজিক ক্ষেত্রে নানা ধরণের ঝড়ের মুখোমুখি হই এবং ভয় পেয়ে থেমে যাই।
থেমে থাকার ফলে সেই ঝড়ে আমাদের জীবনগাড়ি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যা আত্নবিশ্বাসে ঘাটতি এনে দেয়।
জীবনের রাস্তা রেসিং ড্রাইভের মত মসৃণ নয়। জীবনের পথ বড়বন্ধুর। চলার পথে নানা ধরণের বাধা-বিপত্তিই আসবেই,
কিন্তুথেমে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ ই শুধু বাড়বে। কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে আশেপাশের মানুষগুলো কিংবা সবচেয়ে কঠিন লোকটিও হালছেড়ে দিয়েছে বলেই যে আপনাকেও হাল ছাড়তে হবে এমন নয়। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন,ধীরে-ধীরে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকুন।
আল্লাহ কে স্মরন করুন,ধৈর্য ধরুন,পূর্ণতা আসবেই জীবনে দেখবেন সাফল্যের ঝলমলে সূর্য্যটা আবারো আপনার মাথার উপর হেসে উঠবে।🙂😇 (collected)

19/06/2023

O karigor doyar sagor ogo doyamoy chadni posor raite jeno amar moron hoyও কারিগর দয়ার সাগর ওগো দয়াময় চাঁদনী পসর

Address

959, East Barandi Road
Mollapara
7400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Naima's World posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Digital creator in Mollapara

Show All

You may also like