Bangladesh Express

Bangladesh Express দেশ ও জনতার কথা।

পাকিস্তানের পতাকা অবমাননা ইস্যুতেনিন্দা জানানো ইসূ করে জামায়াতের ইসলামীর দুই গ্রুপে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।পাকিস্তানের...
09/12/2025

পাকিস্তানের পতাকা অবমাননা ইস্যুতেনিন্দা জানানো ইসূ করে জামায়াতের ইসলামীর দুই গ্রুপে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা অবমাননাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরে নতুন করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দলটির দুই প্রধান অংশ—বর্তমান জামায়াতে আমির শফিকুর রহমানের গ্রুপ এবং মানবতা বিরোধী মামলায় সাজা প্রাপ্তির পর অপিলে মুক্তি পাওয়া এটিএম আজহারুল ইসলামের গ্রুপ! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে দাঁড়িয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের এক এমপি প্রার্থী জানিয়েছেন, “দল আমাদের স্পষ্ট কোনো অবস্থান দিচ্ছে না। ফলে দুই গ্রুপ নিজেদের মতো অবস্থান নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছে।”

আজহার গ্রুপ মনে করে, পতাকা অবমাননার মতো ঘটনা একটি স্বাধীন দেশের জন্য কূটনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর এবং রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাদের দাবি, এই ধরনের ইস্যুতে নিন্দা জানানোই দায়িত্বশীল আচরণ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ ধরনের ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে এবং সরকারের প্রতিও নেতিবাচক বার্তা যেতে পারে—এই বিবেচনায় তারা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার পক্ষে।

অন্যদিকে শফিকুর রহমানের নেত্রিত্বে একটি গ্রুপের মনে করে, ঘটনাটি যে নিন্দনীয় তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, তবে নির্বাচন সামনে রেখে এই ইস্যু নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাদের উদ্বেগ—এ ধরনের বক্তব্য এখনই দিলে ভোটের মাঠে এর বিরূপ প্রভাব পরতে পারে এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তিগুলো এটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এই অংশ মনে করছে, নির্বাচনের সংবেদনশীল সময় বেছে নিয়ে এমন বিতর্ক সামনে আনা দলীয় কৌশলের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।

উল্লেখ্য যে জামায়াতের এই দুই অংশ বিভিন্ন ইসূতে ভিন্ন মত থাকলেও তা দিনদিন অভ্যান্তরিন কোন্দলে পরিনত হচ্ছে। বিশেষ করে জামায়াতে আমির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন্দল সামনে চলে আসে বলে অনেকে জানিয়েছে।

যদিও মূল নেত্রীত্বের অনেকেই আমির শফিকুর রহমাবের সথে আছে বলে সকলেই মনে করেন। অন্য দিকে এটিএম আজহার সাহেব দীর্ঘ সময় মূল নেত্রীত্বের বাইরে থাকা এবং দীর্ঘ সময় জেলে থাকার ফলে এই সিন্ডিকেট দুর্বল এবং দলে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পরেছে।

fb.me

চাঁদপুর মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিল্লাল হোসেন মিয়াজী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমাদের বাঁকা...
08/12/2025

চাঁদপুর মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিল্লাল হোসেন মিয়াজী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমাদের বাঁকা চোখে দেখবেন না। কারণ আমি একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম।”

তবে সাধারণ জনগনের মতে, জামায়াতের বিতর্কিত ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকার প্রেক্ষাপটে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া নিজেদের অবস্থান শক্ত দেখানোর প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। একটি দল যাদের অতীত নিয়ে এখনো প্রশ্ন ও ক্ষোভ রয়ে গেছে—তাদের নেতা যখন ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয় সামনে এনে সাবধান করেন, তখন তা অনেকের কাছে আরও অসঙ্গত এবং রাজনৈতিক প্রতিরক্ষার অংশ বলে মনে হয়।

বিশিষ্টজনের মতে—
“জামায়াত অতীতের দায় এড়াতে চায়, অথচ সুযোগ পেলেই হুঁশিয়ারি দিয়ে নিজেদের শক্তি দেখাতে চেষ্টা করে। বাস্তবে তাদের ভূমিকা নিয়ে জনগণের যে প্রশ্ন, তা এ ধরনের বক্তব্যে মুছে যায় না।”

বগুড়ায় হি*ন্দু পাড়ায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়া*ত কর্মীবগুড়া সদরের একটি হি*ন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বয়স্ক ও বিধবা ভা...
08/12/2025

বগুড়ায় হি*ন্দু পাড়ায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়া*ত কর্মী

বগুড়া সদরের একটি হি*ন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নাম করে টাকা গ্রহণ এবং আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়ি*পাল্লা প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তা*র করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তা*র ব্যক্তির নাম মো. মোকসেদ আলী, তিনি ফাঁপোর ইউনিয়নের ইসলামপুর হরিগাড়ী উত্তর পাড়ার বাসিন্দা।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে মোকসেদ হিন্দু পল্লীতে গিয়ে বয়স্ক ও বিধবা নারীদের সরকারি ভাতা কার্ড পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জনপ্রতি ৫০০ টাকা নেন। পাশাপাশি তিনি জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা*য় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আদায় করার চেষ্টা করেন।

শনিবার তিনি আবার এলাকাটিতে গেলে ক্ষুব্ধ জনতা তাকে ঘিরে ধরে। এ সময় তিনি কিছু অনলাইন আবেদনের কপি ফেরত দেন। পরে ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশের মিডিয়া শাখা মোকসেদকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং তাকে “টাউট” হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে জেলা জামায়াতে*র সেক্রেটারি আ. মালেক দাবি করেন, মোকসেদ তাদের দলের কেউ নন।

এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা বলেন, “মোকসেদকে আমরা বহুদিন ধরে জামায়াতে*র রাজনীতি করতে দেখেছি। এখন দল তাকে কর্মী হিসেবে অস্বীকার করছে—এটা তার জন্য বেদনাদায়ক হলেও আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়।”

তারা আরও বলেন, “আমরা এই প্রতারক জামায়া*ত কর্মীর দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”

সুস্থ হয়ে উঠেন বেগম জিয়া।দেশের স্বার্থে এক আপোষহীন নেএী।❤️❤️
28/11/2025

সুস্থ হয়ে উঠেন বেগম জিয়া।দেশের স্বার্থে এক আপোষহীন নেএী।❤️❤️

27/11/2025

আমাদের উপমহাদেশের মানুষ স্বভাব গত আবেগী। এটা কি মানুষের দোষ? ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক কারনেই মানুষের চরিত্র এভাবেই তৈরি হয়।

আমি বেশি আবেগ থাকাকে যেমন দোষের মনে করি তার চেয়ে বেশি দোষের মনে করি অন্যের আবেগ কে কাজে লাগিয়ে নিজের ফায়দা হাসিল করা।

আমাদের দেশের অতি সুশিলদের মাঝে মাঝেই বলতে শুনি এদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় জ্ঞানের চেয়ে আবেগ বেশি। একটা দেশে ৯০ ভাগ মুসলমানের বাস, সেদেশে ধর্মীয় আবেগ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি আমাদের আবেগ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন না। হ্যা আপনি প্রশ্ন করতে পারতেন যদি আমাদের আবেগ আপনাদের ক্ষতির কারন হতো।

এদেশে আবার অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের বয়ান তৈরি করতে গিয়ে বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষতার বয়ান দেন। এদেশ নাকি ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে স্বাধীন হয়ছিলো! আসলেই কি তাই? তাদের যুক্তির একটা কারন দেখায় পাকিস্তান একটি মুসলিম দেশ, আর আমরা যেহেতু পাকিস্তানের মতো মুসলিম দেশের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করছি সুতরাং এদেশ ধর্মীয় আবরন থেকে বের হয়ে গেছে।

অথচ পাকিস্তানকে মুসলীম দেশে দাবী করা এদেশের সেকুলাররা এবং পাকিস্তান পন্থীরা একই যায়গাই ভুল করে। অথচ তারা জানে না ৭১ সালে পাকিস্তানী সেনারা এদেশে যা করছে তার ৯৯ ভাগই ইসলাম বিরোধী। খু/ন, ধর্ষন, সাধারন মানুষের সম্পদ লুট, নারী ও শিশু হ/ত্যা এমন কোন অপরাধ নাই যা তারা করে নাই।

অথচ একটা চরম সত্য কেও বলতে চায় না যে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া ব্যাক্তিদের মাঝে ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলমান। এবং যারা শহীদ হয়েছে তাদেরও ৯৯ ভাগ মুসলমান। সুতরাং কোন পক্ষেরই উচিৎ হবে ৭১ সালে ইসলাম পন্থীদের পরাজয় বা স্যাকুলারা দের বিজয় বলে ট্রিট করা।

সুতরাং লড়াইটা কোন ধর্মীয় সুবিধা বা বঞ্চনার কারনে নয়। বরং আমাদের পর্ব পুরুষরা লড়াই করেছিলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের জন্য। সামাজিক মর্যাদার জন্য। মাথা উচু করে বাচার জন্য। এখানে ধর্ম কোন ফ্যাক্টই ছিলো না, আবার ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে ধর্ম বিরোধীদের উথানের লক্ষেও না।

দেশটা স্বাধীন হয়ছে সকল ধর্মের লোক সহবস্থানে থাকাবে বলে। সকল ধর্ম বর্নের মাবুষ নিরাপদে থাকবে এই আশায়। এদেশে মসজিদে আজান হবে মুন্দিরে ঘন্টা বাজবে, গির্জা থেকে ভায়োলিনের সুর আসবে। যে যার মতো নিজের ধর্ম পালন করবে বাস! কেও কারও উপর হস্তক্ষেপ করবে না।

আপনি নাস্তিক হোন আমার আপত্তি নাই। আপনি মনে চরম ইসলাম বিদ্ধেষ লালন করেন তাতেও আমার আপত্তি নাই। আপনার প্রতি আমার সম্মানও আছে থাকবে। কিন্তু আমার আপত্তি থাকবে যখন আপনি আমার ধর্মকে কটাক্ষ করবেন। আপনার ইসলাম বিদ্বেষ আমার আবেগে আঘাত করবে। আমার চরম আপত্তি থাকবে যখন আপনি আপনি আমার ধর্মীয় অনুভুতিতে আক্রমন করবেন। সেখানে আমাদের জীবনের চেয়ে আবেগের মূল্য বেশি।

বাংলাদেশে রিসেন্টলি ঘটে যাওয়া বাউল কান্ডে অনেকেই অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছেন বয়ান তৈরি করেছেন। পক্ষে বিপক্ষে বহু আলোচনা। আমি বলছি না বাউলের গায়ে হাত তুলা সঠিক। কিন্তু হাত তুলা পর্যন্ত যাওয়ার আগে যদি সঠিক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতো তাহলে এই পর্যন্ত যেতো না।

আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই। আমরা আইন অনুযায়ী বিচার চাই। এমন দৃষ্টান্ত মূলক চাস্তি চাই যা দেখে পরবর্তীতে কেও আর এমন সাহস দেখাতে না পরে। যারা ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে আমার ধর্মকে আঘাত করবে তাদের জন্য এদেশের মুক্ত বাতাস হারাম হবে এটাই সত্য।

⭕"কা'বা ঘরে"  দুঃস্বপ্নের '২০শে নভেম্বর'‼️🔴 মাত্র ৪৬ বছর পূর্বে এদিনে স্থম্ভিত হয়ে গিয়েছিল মুসলিম জাহান। পুরো দু'সপ্তাহ ...
27/11/2025

⭕"কা'বা ঘরে" দুঃস্বপ্নের '২০শে নভেম্বর'‼️

🔴 মাত্র ৪৬ বছর পূর্বে এদিনে স্থম্ভিত হয়ে গিয়েছিল মুসলিম জাহান। পুরো দু'সপ্তাহ বেদখল অবস্থায় ছিল সবার 'পবিত্র কাবাঘর'। ২০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর ক্বাবাঘরে তাওয়াফ হয়নি, মসজিদুল হারামে আজান ও জামা'আতে ছালাত আদায় পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
২০ নভেম্বর ১৯৭৯ তারিখ, ১ মুহাররম, হিজরি ১৪০০ সাল। জিল-হজ্জ মাসের হজ্জ শেষ হয়ে গেলেও তখনও অনেক হাজী মক্কায় রয়ে গেছেন। মসজিদুল হারামে জামা'ত অনেক বড় হচ্ছিল। ফজরের জামা'আতে প্রায় এক লক্ষ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন জামা'আত শুরুর একটু আগে কয়েকটি লাশ নিয়ে আসা হলো। প্রতিদিনই লাশ আসত; তবে, ঐদিন একটু বেশিই এলো। এটা নিয়ে কেউ অবশ্য সন্দিহান হন নি। ফরজ নামাজের পরে জানাজা হবে।
ইমামতি করতে এগিয়ে গিয়েছেন শায়খ মোহাম্মাদ আল-সুবাইল। কিন্তু লাশ বহনকারীরা এসে তাঁকে সরিয়ে দিল, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র বের করে শূন্যে গুলি ছুঁড়লো। একজন চিৎকার করে উঠলো, “ইমাম মাহদি আবির্ভূত হয়েছেন”। অস্ত্রধারীরা কফিনের ঢাকনা খুলে ফেলল। দেখা গেল- লাশ নয়, সেখানে ভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র।
লাশবাহীরা অস্ত্র নিয়ে হেরেম শরিফের বিভিন্ন অংশেই অবস্থান নিলো। তারা গেটগুলো শিকল দিয়ে আটকে দিলো। এতে বাধা দিতে গিয়ে নিরস্ত্র দুজন সৌদী পুলিশ গুলিতে নিহত হলেন। হতবিহ্বল মুসল্লিরা কিছু বুঝে উঠতে পারার আগেই জিম্মি হয়ে গেলেন!
ক্বাবার সামনে দাঁড়িয়ে জুহাইমান আল ওতাইবি ভাষণ দিলেন। একপর্যায়ে তিনি নিজ ভগ্নিপতিকে “ইমাম মাহ্‌দি” হিসেবে উপস্থাপন করলেন এবং সকলের সামনে তার কাছে বায়াত গ্রহণ করলেন। এরপর অস্ত্রধারীরা সমবেতভাবে তার কাছে বায়াত গ্রহন করলো এবং মুসল্লিদেরকে যোগ দিতে আহ্‌বান জানালো।
দখলদাররা হেরেম শরিফের মাইক ব্যবহার করে তাদের বক্তব্য ও দাবী দাওয়া পেশ করতে থাকে। “যেহেতু ইমাম মেহেদী আবির্ভূত হয়েছে, তাই সৌদ বংশের রাজত্ব শেষ।” মাহদীর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সৌদদের চলে যেতে হবে।
হাদিসে ইমাম মাহ্‌দির যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা ঐ ব্যক্তির সাথে মিলে গিয়েছিল। তার নাম ও পিতার নাম এবং নবী (সঃ) এর নাম ও পিতার নামে ছিল। এছাড়া, প্রতি শতাব্দির শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ আবির্ভূত হবেন বলে বর্ণনা রয়েছে; সেই দিনটাও ছিল, হিজরি নতুন শতাব্দী শুরুর দিন!
ক্বাবা ঘর কেউ অস্ত্রের জোরে দখল করবে- এটা তখন কেউ ভাবেনি। আবার, হারাম শরীফে অস্ত্র বহন করা নিষেধ, তাই নিয়োজিত পুলিশরাও অস্ত্র ছাড়া ডিউটি করেন। মাইকে দখলকারীদের ঘোষণা শুনে পুলিশের বড় একটি দল দখলমুক্ত করতে যান, কিন্তু দখলকারীদের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের তোপে তা ছিন্নভিন্ন হয়ে যান।
মক্কা থেকে সবাইকে সরিয়ে দেয়া হয়, ইন্টারন্যাশনাল টেলিফোন সার্কিট অফ করে দেয়া হয় এবং ঘটনা গোপন রেখে উদ্ধার অভিযান শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সকালেই ওয়াশিংটন থেকে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে এই ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়! সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের দেশে দেশে মুসলিমরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
সন্দেহের তীর ছুটে যায় আমেরিকার দিকে। ইরানের সদ্য সফল ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ্‌ খামেনি তাৎক্ষণিক রেডিও ভাষণে আমেরিকাকে সরাসরি দায়ী করেন। পাকিস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস আগুনে পুড়িয়ে, ভাঙচুর করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হয়। লিবিয়াতেও আমেরিকার দুতাবাস পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এদিকে হারাম শরীফে রক্তপাত যেহেতু নিষিদ্ধ, উদ্ধার অভিযানে নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। সৌদী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের জন্যে আলেমদের শরণাপন্ন হন। সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আলেমদের বেগ পেতে হয়। একটি কারণ ছিল, জুহাইমান আল ওতাইবি নিজে অনেক বড় মাপের আলেম ছিলেন। তিনি ভয়ঙ্কর অন্যায় করে ফেলেছেন বটে, কিন্তু এতবড় একজন আলেম একদম না বুঝে কিছু করার কথা নয়- এই চিন্তায় সিদ্ধান্ত দিতে আলেমরা বিচলিত ছিলেন।
আলেমরা সিদ্ধান্ত দিলেন- সামরিক বিশেষজ্ঞরা অন্য উপায় বের করতে না পারলে দখলদারদেরকে আত্মসমর্পনের জন্য যথেষ্ট আহ্‌বান জানাতে হবে। তাতে কাজ না হলে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাবহার করে রক্তপাতের ঝুঁকি নেয়া যেতে পারে। তবে, কত রক্তপাতে কাজটি সারা যায়- সেদিকে জোর দিতে হবে।
তবে, সৌদী সরকারে অন্য একটি কাজ করেছিল। তাড়াহুড়া না করে সময়ক্ষেপণের করে ওদেরকে ক্ষুধায় কাতর করার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু দেখা গেল- তারা ব্যাপক পরিমাণ খেজুর নিয়ে প্রবেশ করেছিল এবং জমজম কূপ তাদের দখলেই ছিল। ফলে, এই প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়েছিল।
সৌদী বাহিনী কয়েকটি অভিযানও চালিয়েছিল; কিন্তু দখলকারীদের সুবিধাজনক অবস্থান, বিশেষত মিনারগুলো থেকে স্নাইপার আক্রমণে সেসব অভিযান ব্যার্থ হয়ে যায়। তাদের সুবিধা ছিল- একমাত্র গেটের ভিতরে অসংখ্য জিম্মি নিয়ে তারা অবস্থান করছিল। ফলে, তাদের উপর কনভেনশনাল অ্যাটাক করা ছিল অসম্ভব।
সরকার অতি গোপনে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছে কৌশলগত সহযোগিতা চাইল। ফ্রান্সের জিআইজিএন কমান্ডো এগিয়ে এলো। কিন্তু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা অভিযান চালানো থেকে বিরত থাকল। তারা সুইসাইডাল কমান্ডো দিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে মর্মে পরামর্শ দিল, যেটা তারা নিজেরা করতে পারবে না।
বিশ্বের এতগুলো মুসলিম থাকতে ক্বাবা উদ্ধারে "মরার জন্য প্রস্তুত" কমান্ডো হাজির করল একমাত্র পাকিস্থান! তারা দমকলের সাহায্যে ভিতরে প্রচুর পানি নিক্ষেপ করল এবং তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অনেককে হতাহত করে ফেলল। এরপর হারাম শরীফের অভ্যান্তরে চেতনানাশক গ্যাস ছুঁড়ে দিল। যদিও সন্ত্রাসীরা গ্যাস মাস্ক নিয়ে প্রবেশ করেছিল, তবে এতে অনেক লোক অচেতন হয়ে গেল। এরপর পাক এসএসজি কমান্ডোরা অভিযান চালিয়ে মসজিদুল হারাম দখলমুক্ত করে। ঐ কমান্ডো দলের একজন ছিলেন মেজর (পরবর্তী জেনারেল) পারভেজ মুশাররফ।
অভিযানে দখলদার মারা যায় ২৫৫ জন, আর আহত হয় ৫৬০ জন। মিলিটারি থেকে মারা যান ১২৭ জন, আর আহত হন ৪৫১ জন। কথিত ইমাম মাহদি গুলিতে নিহত হয়। মাস্টারমাইন্ড জুহাইমান ৬৭ জন ফলোয়ারসহ আরেস্ট হয়। তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
ঘটনাটি এত ছোট ও সহজ ছিল না। এত বড় ঘটনা দানা বেঁধে উঠতে অনেক কিছু ব্যাপার ছিল। আগ্রহীরা নিজ দায়িত্বে বিস্তারিত সংগ্রহ করে পড়ে নিতে পারেন‼️

তথ্যসূত্র সম্পাদনা
"Attack on Kaba Complete Video"। YouTube। ২৩ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৩।
Da Lage, Olivier (২০০৬)। Géopolitique de l'Arabie Saoudite (French ভাষায়)। Complexe। পৃষ্ঠা 34। আইএসবিএন 2804801217।
Riyadh (১০ জানুয়ারি ১৯৮০)। "63 Zealots beheaded for seizing Mosque"। Pittsburgh Post-Gazette। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১০।
"কিভাবে মক্কার মসজিদ দখল আল-কায়েদাকে অনুপ্রাণিত করেছিল?"। ২০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৭।
Miller, Flagg (২০১৫)। The Audacious Ascetic: What the Bin Laden Tapes Reveal About Al-Qa'ida। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 9780190613396। সেই দশ শতাব্দী থেকে ইসলামের পবিত্র ভূমি এমন কোন দুর্ধর্ষ বাহিনী দ্বারা দখল হয়নি। আর এটা পুনর্দখলের জন্য ফ্রেঞ্চ কমান্ডোদের সহযোগিতাতেও সৌদি বিশেষ বাহিনীর দুই সপ্তাহ লেগে যায়।
Benjamin, The Age of Sacred Terror (2002) p. 90
Wright, Sacred Rage, (2001), p. 155
Benjamin, The Age of Sacred Terror, (2002) p. 90
Mecca – 1979 Juhaiman ibn Muhammad ibn Saif al Otaibi, Global Security
Lacey, Robert (২০০৯)। Inside the Kingdom : Kings, Clerics, Modernists, Terrorists, and the Struggle for Saudi Arabia। Viking। পৃষ্ঠা 31।
On This Day, 21 November, BBC
"Khomeini Accuses U.S. and Israel of Attempt to Take Over Mosques", by John Kifner, New York Times, 25 November 1979
Wright, Robin B., 1948. Sacred Rage: The Wrath of Militant Islam. Simon & Schuster, c 2001, p. 149
EMBASSY OF THE U.S. IN LIBYA IS STORMED BY A CROWD OF 2,000; Fires Damage the Building but All Americans Escape – Attack Draws a Strong Protest Relations Have Been Cool Escaped without Harm 2,000 Libyan Demonstrators Storm the U.S. Embassy Stringent Security Measures Official Involvement Uncertain, New York Times, 3 December 1979
Mackey, p. 234.
"Saudis behead zealots"। The Victoria Advocate। AP। ১০ জানুয়ারি ১৯৮০। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১২।

Address

Meradia

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladesh Express posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share