Al-Ahrar

19/11/2022

06/07/2022

🍁 আজকাল স্রষ্ঠার সন্তুষ্টির কথা ভুলে যাচ্ছে মানুষ।

28/06/2022

দুধের সাথে মধু খাওয়ার উপকারিতা

হাড়ের জন্য ভালো: দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত করে। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেন।

অন্যদিকে মধুর মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী উপাদান। তাই দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হাড় শক্তিশালী হয় এবং ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।

28/06/2022

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: দুধের সর ত্বক উজ্জ্বল করতে কার্যকর। এর ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায় ও প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল করে। এছাড়াও ত্বকের সার্বিক সুস্থতা রক্ষায় দুধের সর উপকারী। কালো দাগ দূর করে: ত্বকের কালো দাগ সহজে দূর হতে চায় না।

28/06/2022

হযরত মুহাম্মদ [সঃ] কে একবার আবু জাহেল বলেছিলঃ

" মুহাম্মদ তুই বড় কুৎসিত। "
হযরত মুহাম্মদ [সঃ] উওরে বলেনঃ

"তুমি ঠিক বলেছ। "

হযরত উমর [রাঃ] প্রতিবাদ করে বলেনঃ
"হুজুর আপনি পূনিমার চাঁদের চেয়েও সুন্দর। "

হযরত মুহাম্মদ এবার ও উওরে বলেনঃ
"তুমি ঠিক বলেছ"

হযরত আবু বকর [রাঃ]অবাক হয়ে বলেনঃ
"হুজুর আপনি দূ'জনকেই বললেনঃ
(ঠিক বলেছ) এর অর্থ কী?
হযরত মুহাম্মদ [সঃ] বলেনঃ

" মানুষ যখন কিছু দেখে তখন তার মধ্যে সে তার নিজেকে দেখতে পায়।"
অথ্যাৎ

"সুন্দয মানুষের অন্তরে বসবাস করে।"
"সে নিজে যত সুন্দর সে অন্যকে ততো সুন্দর করে দেখতে পায়।"
" " সুবহানআল্লাহ " "

[শিক্ষাঃকেউ আপনাকে খারাপ বললে কখনই মন খারাপ করবেন না, আসলে যার রুচি যেমন সে অন্যকে তেমনই দেখতে পায়।]

28/06/2022

দাড়ি রাখার মাধ্যমে পুরুষের মুখের প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। দাড়ি শুধু পুরুষের বীরত্বের পরিচয়ই বহন করে না বরং ইহা আল্লাহর ভয়ের অন্যতম নিদর্শনও বটে। দাড়ি রাখা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি বিশেষ সুন্নাত। দাড়ি রাখা ব্যক্তিদের যে কেউ চাইলেই খারাপ কোনো কাজে লিপ্ত হতে পারে না।

27/06/2022

ঈদুল আজহার নামায

Y

যিলহজ্জ চাঁদের ১০ তারিখে বিশ্ব মুসলিমদের জন্য আরেকটি খুশীর দিন উপস্থিত হয় তাহা ঈদুল আজহা নামে অভিহিত। 'আজহা' শব্দের অর্থ কুরবানী। সারা জাহানের ধনী মুসলমানেরা এই দিনে উট-গরু, ভেড়া-বক্রী-দুম্বা ইত্যাদি পত আল্লাহর নামে কুরবানী এবং এই উপলক্ষে আনন্দ উদযাপন করিয়া থাকে। তাই, ইহার নাম ঈদুল আজহা বা কুরবানীর উৎসব। আল্লাহর রাস্তায় পশু কুরবানীর তাৎপর্য ও ফজিলত অপরিসীম। তাই এই দিনের ফজিলতও অপরিসীম।

27/06/2022

ঈদের দিনের সুন্নাত ও মুস্তাহাবসমূহ

১। অতি প্রত্যুষে শয্যাত্যাগ করা।

২। মেসওয়াক করা এবং গোসল করা।

৩। নিজের সাধ্য অনুযায়ী উৎকৃষ্ট পোষাক পরিধান করা।

৪ । আতর ইত্যাদি কোন খোশবু ব্যবহার করা।

৫। সাধ্য পরিমাণ খাওয়া-দাওয়ায় ধুমধাম করা।

৬। ঈদের নামাযে যাইতে অযথা বিলম্ব না করা।

৭। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে কিছু মিষ্টান্ন খাওয়া, আর ঈদুল আজহার নামাযের পূর্বে কিছু না খাইয়া নামাযের পর যথাশীঘ্র সম্ভব পশু কুরবানী

করতঃ কুরবানীর গোশ্ত দ্বারা আহার করা।

৮। ঈদগাহে গমণের পূর্বেই 'ছদকায়ে ফিত্র' আদায় করা।

৯। ঈদগাহে এক পথে যাওয়া আর ফিরিবার সময় অন্য পথে আসা।

১০। অসুবিধা না থাকিলে পায়ে হাটিয়া ঈদগাহে যাওয়া।

১১। ঈদের নামায কোনও ময়দানে পড়া।

27/06/2022

ঈদুল আযহা নামাযের নিয়ত

نوبت ان اصلى لله تعالى ركعتي صلوة عيد الأضحى مع ت تكبيرات واحـب الله تعالى التدين بهذا الامام * تتوجها إلى جهة الكعبة الشريفـة الله أكبر

উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উছাল্লিইয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই ছালাতি ঈদিল আযহা মায়া সিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইত্‌ বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা নিয়তঃ “আমি ঈদুল আযহার দুই রাকআত ওয়াজিব নামায হয় তাকবীরের সাথে কিবলামুখী হয়ে এই ইমামের পিছনে আদায় করছি আল্লাহু আকবার ।”

27/06/2022

ঈদের নামায শুরু হয়ে গেলে করণীয়

প্রথম রাকয়াতের অতিরিক্ত তাকবীর আদায় করা আরম্ভ হইয়া গিয়াছে, এমতাবস্থায় কেহ ঈদের জামায়াতে শরীক হইলে, ইমামের সঙ্গে যে কয়েকটি তাক্বীর পাওয়া যায় তাহা আদায় করিয়া তাহারপর যে কয়েকটি বাদ পড়িয়াছে, তাহা নিজে একাকী আদায় করিবে। যদি প্রথম রাকয়াতের অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলা শেষ হওয়ার পর জামায়াতে শরীক হয়, তবে নিজে নিয়ত বাঁধার পরক্ষণেই একাকী অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলিয়া তাহারপর চুপ হইয়া কেরাত শুনিবে।

কোন ব্যক্তি ঈদের নামাযে এমন সময়ে শামিল হইল যখন ইমাম প্রথম রাকাতের রুকুতে চলিয়া গিয়াছে, এই অবস্থায় সে ভাবিয়া দেখিবে যে, নিজে প্রথমে তিন তকবীর শেষ করিয়া ইমামকে রুকুতে ধরিতে পারিবে কি না? যদি রুকুতে ইমামের সঙ্গে শামিল হইতে পারিবে বলিয়া দৃঢ় ধারণা হয়, তবে নিজে দাঁড়ান থাকিয়া তিন তাকবীর বলিয়া তাহারপর 'আল্লাহু আকবার' বলিয়া রুকুতে শামিল হইবে। আর যদি ধারণা হয় যে, অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলিতে গেলে ইমাম রুকু হইতে দাঁড়াইয়া যাইবেন, তাহা হইলে সে-ও তাড়াতাড়ি রুকুতে শামিল হইবে এবং রুকুর হালতে থাকিয়া "সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম” পড়ার পরিবর্তে তিনবার আল্লাহু আকবার বলিবে। তখন হাত হাঁটুতেই থাকিবে, উপরে উঠাইতে হইবে না। যদি সে রুকুতে যাইয়া দুই-একটি তাকবীর বলিতে বলিতে ইমাম রুকু হইতে উঠিয়া পড়েন, তবে সেও ইমামের অনুসরণ করিবে। এই ক্ষেত্রে তাহার ছুট যাওয়া তাকবীর মাফ' হইয়া যাইবে।

কোন ব্যক্তি ঈদের জামায়াতে ইমামকে দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে পাইল। এই অবস্থায় সে উপরোক্ত মাসয়ালা অনুযায়ী তাকবীর বলিবে এবং ইমামের সাথে রুকু-সেজদা ও বৈঠক করিবে। ইমাম সালাম ফিরাইবার পর সে দাঁড়াইয়া নিজের ছুট্ যাওয়া প্রথম রাকয়াত পড়িবে। সেই রাকাতে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়িবে, তাহারপর অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলিয়া রুকুতে যাইবে।

যদি কোন ব্যক্তি ঈদের জামায়াতে ইমামের দ্বিতীয় রাকাতের রুকু শেষ হইয়া যাওয়ার পর শামিল হয়, তাহা হইলে ইমামের সালাম ফিরানোর পর সে দাঁড়াইয়া স্বাভাবিক নিয়মে অর্থাৎ প্রথম রাকাতে সূরা-কেরাতের পূর্বে তিন তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা- কেরাতের পর তিন তাক্বীর বলিবে।

যথারীতি নামায শেষ করিবে। কোন ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে ঈদের নামাযের কিছু অংশ পাইল আর বাকী অংশ নিজে পড়িল । যে অংশ নিজে একাকী পড়িল, তাহাতে কোন ওয়াজিব তরক হইলে তজ্জন্য সহু সেজদা দিতে হইবে। -(আলমগিরী)

27/06/2022

কুরবানির রাতের ফজিলত ও ইবাদতের বর্ণনা

শবে নাহার কুরবানির দিনের পূর্ব রাত্রিকে বলা হয়। এ রাত্রির ফজিলত সম্পর্কে নবী করীম (সা.)-এর কতিপয় হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন। যে ব্যক্তি শবে নাহারে দু' দু' রাকআতের নিয়তে ১২ রাকআত নামাজ আদায় করবে, যার প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহার পরে ১৫ বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে, তবে আল্লাহ তা'আলা তার সমস্ত গুনাহ্ মাফ করে দেবেন এবং তার আমলনামায় ৭০ বছরের ইবাদতের পুণ্য লেখে দেবেন।

রাসূলে করীম (সা.) বলেছেন। যে ব্যক্তি কুরবানির পূর্বের রাত্রে চার রাকআত নফল নামাজ পড়ে, প্রত্যেক রাকআতে সূরায়ে ফাতিহার পর একবার সূরা ফালাক, একবার সূরা নাস পাঠ করবে, এরূপে নামাজ শেষ করে সালামান্তে ৭০ বার পড়বে।


উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুওয়া হাইয়্যুন লা-ইয়ামূত্‌ বিইয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুওয়া 'আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

তারপর দরুদ শরীফ ৭০ বার পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের পূর্বে নিম্নোক্ত দোয়া একশত বার পাঠ করে, তাহলে সে এই পরিমাণ ছওয়াব পাবে যে, তার সমান আর কেউ পাবে না।

27/06/2022

আরাফাত (আরবি: عرفة‎‎) (আরাফাতের ময়দান বলেও পরিচিত) মক্কা থেকে ২০ কিমি দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত একটি সমতল অঞ্চল।

বছরের অধিকাংশ সময় এই স্থানে লোক সমাগম হয় না। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হজের দিন হজযাত্রীরা মিনা থেকে এখানে উপস্থিত হন।

আরাফাতে অবস্থান হজের অন্যতম ফরজ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

27/06/2022

আরাফার রাত্রির ফজিলত ও ইবাদতের বর্ণনা

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি আরাফার রাত্রিতে ১০০ রাকআত নামাজ আদায় করবে, যার প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহার পরে তিনবার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে, তবে তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দেবেন এবং তার জন্য বেহেশতে লাল বর্ণের ইয়াকুত পাথরের একটি বালাখানা নির্মাণ করে দেবেন।

27/06/2022

আরাফার দিবসের ফজিলত ও ইবাদতের বর্ণনা

উচ্চারণঃ ওয়া 'আন আবী হুরায়রাতা (রা.) কা-লা কা-লা রাসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা আকরিমূ ইয়াওমাল 'আরাফাতি ফাইন্নাহু 'ইনদাল্লাহি তা'আলা কারামাতুন।

অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, হযরত নবী করীম (সা.) বলেছেনঃ তোমরা আরাফার দিনকে বুজুর্গ জানো। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলার নিকট তা অতি বুজুর্গ।

আরফার দিন হযরত ইব্রাহীম (আ.) হযরত ইসমাঈল (আ.)-কে কুরবানি করার জন্য মিনাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তা ছিল জিলহজ মাসের নয় তারিখ।

হযরত (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি আরফার দিন জোহর ও আসরের মধ্য সময় চার রাকআত নফল নামাজ পড়বে, প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর পঞ্চাশ বার সূরা ইখলাস পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তাকে মাফ করে দেবেন এবং সে যে দোয়া প্রার্থনা করবে তাই কবুল হবে।

নবী করীম (সা.) বলেছেন। আরফার দিনে সমস্ত কথার মধ্যে উত্তম কথা হলো

এই যে, বালে

উচ্চারণ ঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুওয়া হাইয়্যুন লা-ইয়ামৃ বিইয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুওয়া 'আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

তাহলে তার জন্য বেহেশত ওয়াজিব হয়ে যাবে এবং দোজখ হারাম হয়ে যাবে।

রাসূলে করীম (সা.) বলেছেন। আরাফার দিবসে যে কোনো বান্দা আল্লাহ তা'আলার নিকট যা প্রার্থনা করবে, তিনি তা কবুল করবেন এবং প্রার্থনাকারীর জন্য ৭০টি রহমতের দরজা খুলে দেবেন।

অন্য এক হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন। যে ব্যক্তি আরাফা

দিবসে সূর্যাস্তের সময় নিম্নের এ দোয়াটি পাঠ করবে, আল্লাহ তা'আল ফেরেশতাগণকে হুকুম দেবেন ব্যক্তিকে যেন আদর-যত্ন সহকারে বেহেশতে প্রবেশ করানো হয়।

দোয়াটি হলো এই بسم الله ماشاء الله لا حول ولاقوة إلا بالله العلي

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি মা-শা-আল্লাহু লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্ল বিল্লা-হিন্ 'আলিয়্যিল 'আযীম।

05/04/2022

তারাবীহ নামাযের বিবরণ

তারাবীহ অর্থ হচ্ছে ক্ষণিক বিশ্রাম। রমযান মাসে ইশার নামাযের পর তারাবীহ নামাযের প্রতি চার রাকআতের পরে আল্লাহর রাসূল (সঃ) কিছু সময় বিশ্রাম নিতেন। তাই ফকীহগণ এ নামাযের নামকরণ করেছেন তারাবীহ অর্থাৎ ক্ষণিক বিশ্রাম।

হাদীসে সালাতুত তারাবীহ বলে কোন শব্দ নেই। বরং হাদীসে বলা হয়েছে, মান কামা রামাদানা ঈমানান ওয়া ইতিসাবান গুফিরা লাহু মা তাকাদ্দামা মিন জামবিহি অর্থাৎ যে ব্যক্তি রমযান মাসে ঈমান ও ইখলাসের সাথে কিয়াম করবে, তার পূর্বকৃত সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত নব্বী (রহঃ) মুসলিম শরীফের শরায় লিখেছেন, কিয়াম শব্দটি দ্বারা মূলত সালাতুত তারাবীহকে বুঝানো হয়েছে। কেননা তারাবীহ নামায রমযানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

05/04/2022

তারাবীহ নামাযের ফযীলত

হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, হযরত রাসূলে করীম (সঃ) রমযান মাসের নামায কায়েম করার জন্য উৎসাহ প্রদান করতেন। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে খুব তাগিদ করতেন না বরং এরূপ বলতেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাসের সাথে রমযান মাসে কিয়াম করবে (অর্থাৎ তারাবীহ নামায আদায় করবে) তার পূর্ববর্তী (সগীরা) গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যাবে।

অপর হাদীসে মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহ পাক তোমাদের উপর রমযান মাসে দিনের বেলায় রোযা ফরয করেছেন এবং রাতের বেলায় (তারাবীহ) নামায সুন্নত করেছেন। অতএব, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাসের সাথে এ মাসে দিনের বেলায় রোযা রাখবে এবং রাতে কিয়াম করবে (অর্থাৎ তারাবীহ নামায আদায় করবে) তার পূর্বকৃত সমস্ত (সগীরা) গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

05/04/2022

তারাবীহ নামাযের জামাআত

নবী করীম (সঃ) নিয়মিত তারাবীহ নামায জামাআতের সাথে আদায় করতেন না। তিনি কয়েকদিন জামাআতের সাথে তারাবীহ নামায আদায় করেছিলেন, এ ছাড়া ঘরে তিনি একাকীও তা আদায় করতেন।

মহানবী (সঃ) রমযান মাসের কয়েক রাতে বের হন এবং লোকদেরকে সাথে নিয়ে তারাবীহ নামায আদায় করেন। (বুখারী ও মুসলিম)

রাসূলুল্লাহ (সঃ) নিয়মিত তারাবীহ নামায জামাআতের সাথে আদায় না করার কারণ ব্যক্ত করে বলেছেন, আমি নামাযের প্রতি এবং তা আমার সাথে জামাআতের সাথে আদায় করার প্রতি তোমাদের প্রচন্ড আগ্রহ লক্ষ্য করেছি, তবুও অন্যান্য রাতের মত আমি বের হই নি। আমার আশংকা হয় যে, তা তোমাদের প্রতি ফরয করে দেয়া হবে, আর ফরয করে দেয়া হলে তোমরা তা যথাযথভাবে দায় করতে পারবে না। (মিশকাত)

পরবর্তীতে মহানবী (সঃ)-এর ওফাতের পর হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর খেলাফতের সময় এবং হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফতের প্রথম দিকে লোকেরা রমযান মাসের রাতে একাকী এবং মসজিদে সমবেত হয়ে জামআতের সাথে তারাবীহ নামায আদায় করতেন। অতঃপর হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাঁদের জন্য একজনকে ইমাম নির্ধারিত করে সকলকে এক জামাআতের সাথে তারাবীহ নামায আদায় করার ব্যবস্থা করে দিলেন। সে হতে সকলে এক জামাআতের সাথে বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন। এ ঘটনা ছিল সকল সাহাবীর উপস্থিতিতে। কেউই এতে অসম্মতি প্রকাশ করেন নি। পরবর্তী যুগের তাবিয়ীগণ, তাবে-তাবিয়ীগণ, মুজতাহিদ ও ইমামগণসহ সকলেই তারাবীহ নামাযের এই পদ্ধতি মেনে নিয়েছেন এবং তদনুযায়ী আমল করেছেন। যেহেতু উম্মতের উপর ফরয হবার আশংকা আর নেই, তাই খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তারাবীহ নামায জামাআতের সাথে আদায় করার ব্যবস্থা করে দেন। সুতরাং এটা মহানবী (সঃ)-এর সুন্নতের পরিপন্থী নয়।

ইমামে আজম হযরত আবু হানিফা (রহঃ) এবং ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) প্রমুখ ইমামদের নিকট তারাবীহ নামায ঘরে একাকী আদায় করা জায়েয আছে। তবে জামাআতের সাথে আদায় করা উত্তম। হানাফী মতে তারাবীহ নামায জামাআতের সাথে আদায় করা সুন্নতে মুআক্কাদাহ

ইমাম আবূ ইউসুফ (রহঃ) তাঁর উস্তাদ ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ)-কে তারাবীহ নামায এবং এ সম্পর্কে হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কর্তৃক প্রবর্তিত ব্যবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বললেন, তারাবীহ নামায সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তারাবীহ নামায সম্পর্কে নিজের মনগড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি এবং তিনি বেদআতীও ছিলেন না অর্থাৎ দ্বীনের ব্যাপারে তিনি নতুন কোন কিছু আবিষ্কার করেন নি। তিনি দলীলের ভিত্তিতে এবং মহানবী (সঃ)-এর নিকট হতে শিক্ষার প্রেক্ষিতেই তারাবীহ নামাযের জন্য এই জামাআতের ব্যবস্থা করেছিলেন।

05/04/2022

তারাবীহ নামাযের রাকআতের সংখ্যা

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এর মতে তারাবীহ নামায ২০ রাকআত। ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)-ও ইহা গ্রহণ করেছেন।

হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) তাঁদেরকে সাথে নিয়ে তারাবীহ নামায ৮ রাকআত আদায় করেছিলেন।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) তারাবীহ নামায ২০ রাকআত আদায় করেছিলেন। অবশ্য কোন কোন মুহাদ্দিস এ হাদীসকে সনদগত দিক দিয়ে যয়ীফ বলেছেন; কিন্তু এর মর্ম সহীহ । কেননা ইমাম বায়হাকী (রহঃ)-এর এক সহীহ বর্ণনায় আছে, হযরত ওমর ফারুক (রাঃ), হযরত উসমান (রাঃ) এবং হযরত আলী (রাঃ)-এর যুগে তারাবীহ নামায ২০ রাকআত আদায় করা হতো। মহানবী (সঃ) যদি তারাবীহ নামায ২০ রাকআত না-ই আদায় করতেন

তাহলে তাঁরা ২০ রাকআত আদায় করতে কোন অবস্থাতেই সাহস করতেন না এবং অপর সাহাবীরাও অবশ্যই এর প্রতিবাদ করতেন। সুতরাং বুঝা যায়, মহানবী (সঃ) প্রথম দিকে তারাবীহ নামায ৮ রাকআত আদায় করতেন এবং শেষের দিকে ২০ রাকআত আদায় করেছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) শেষ অবস্থাটিই গ্রহণ করেছেন।

সুতরাং তারাবীহ নামায ২০ রাকআত হওয়ার ব্যাপারে সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) এবং সর্বযুগের মুসলিম উম্মাহ ও মুজতাহিদ ইমামগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন।

তারাবীহ নামাযের ওয়াক্ত

তারাবীহ নামাযের সময় ইশার নামাযের পর হতে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। বিতের নামাযের পূর্বে ও পরে তারাবীহ নামাষ আদায় করা যায়। তবে বিতেরের পূর্বে আদায় করাই উত্তম।

05/04/2022

তারাবীহ নামাযের নিয়ত

نويت أن أصلى لله تعالى ركعتي صلوة التراويم من سته رسول الله تعالى متوجها إلى جهة الكعبة الشريفة الله أكبر

উচ্চারণঃ নাওয়াইতুআন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআ'লা রাকাআ তাই সালাতিত তারাবীহ সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্লাহু আকবার। বাংলা নিয়ত ঃ আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তারাবীহর দুই

রাকআত সুন্নাত নামাযের নিয়াত করছি। আল্লাহু আকবার।

05/04/2022

তারাবীহ নামায আদায় করার নিয়ম

ইশার নামায আদায় করার পর অর্থাৎ ইশার চার রাকআত ফরয, তারপর দু'রাকআত সুন্নত নামায আদায় করার পর তারাবীহ নামায দু'রাকআত করে আদায় করতে হয়। এভাবে মোট বিশ রাকআত নামায আদায় হবে। একাকী দু'রাকআত সুন্নত নামায আদায় করার যে নিয়ম রয়েছে, তারাবীহ নামাযও একই নিয়মে আদায় করতে হয়। শুধু কারণবশতঃ তারাবীহ নামাযের নিয়ত করতে হবে। একাকী নামায আদায় করার ক্ষেত্রে দু'রাকআতের নিয়ত করার পর প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহাসহ অন্য একটি করে সূরা পাঠ করতে হবে। আর জামাআতে নামায আদায় করার ক্ষেত্রে ইমাম সাহেবের পিছনে কোন সূরা কিরাত পাঠ করতে হবে না। মনোযোগের সাথে ইমাম সাহেবের কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণ করতে হবে।

দু'রাকআত শেষ করে বেেস আত্তাহিয়্যাতু, দরূদ শরীফ এবং দোয়া মাসূরা পাঠ করে দু'দিকে সালাম ফিরায়ে পুনরায় দু'রাকআতের নিয়ত করতে হবে। চার রাকআত নামায আদায় করা হলে কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিবে। বিশ্রাম নেয়া মুস্তাহাব।

বিশ্রাম নেয়ার সময় উপরোক্ত দোয়া বা অন্য যে কোন দোয়া বা তাসবীহ পাঠ করা যায়। তবে এ দোয়া পাঠ করতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। চুপচাপ বসে থাকলেও কোন গুনাহ বা নামাযের কোন ক্ষতি হবে না। আমাদের দেশে অনেকেই আছেন যারা উক্ত দোয়া জানেন না বলে নামায আদায় করতে চান না। এটা অত্যন্ত ভুল এবং অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছু নয়। এ সব দোয়া ও মুনাজাত নামাযের কোন অংশ নয়। প্রতি চার রাকআত নামাযের পর সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা যায়। আবার বিশ রাকআত শেষ করে বিতির নামাযের পূর্বে মুনাজাত করাই উত্তম।

05/04/2022

চার রাকআত তারাবীহ নামাযের পর দোয়া

প্রতি চারি রাকআত শেষে বসে নিম্নের দোআটি পড়া যায়। না পড়লেও দোষের কিছু নেই; বরং পড়তেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ করা ঠিক হবে না।

উচ্চারণ ঃ সোবহানা যিলমুলকি ওয়াল মালাকুতি, সোবহানা যিল্‌ইয্যাতি ওয়াল আযমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়া-য়ি ওয়াল জাবারূতি, সোবহানাল্ মালিকিল হাইয়্যিল্লাযী লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামৃতু আবাদান আবাদান, সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়াররূহ।

প্রতি চার রাকআত শেষে উল্লেখিত দোআ পড়ার পর কোন প্রকার বাধ্যবাধকতা ছাড়া নিম্নের মোনাজাত করা যায়। বিশ রাকআত শেষে একত্রেও করা যায়। না করলেও দোষের কিছু নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন জামাআতে উপস্থিত লোকজনের কষ্ট না হয়।

05/04/2022

তারাবীহ নামাযের মোনাজাত

إنا نستد اللـهـم إن سئلك الجنة ونعوذ بك من النار ياخالـق الجنة والنار برحمتك يا عزيز ياغفاریاکریم یا ستاریا رحیم یا جبار با يا مجير خالق يا بار اللهم أجرنا من النار يا مجيريا برحمتك يا ارحم الراحمين .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউযু বিকা মিনান নারি, ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়াননারি, বিরাহমাতিকা ইয়া আযীযু ইয়া গাফ্ফারু ইয়া কারীমু ইয়া সাত্তারু ইয়া রাহীমু ইয়া জাব্বারু ইয়া খালিকু ইয়া বা রু, আল্লাহুম্মা অজিরনা মিনান্নারি ইয়া মুজীরু ইয়া মুজীরু ইয়া মুজীরু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রা হিমীন।

অর্থাৎ ॥ইয়া আল্লাহ্! আমরা তোমার নিকট বেহেশত প্রার্থনা করি এবং দোষ হইতে তোমার আশ্রয় চাহিতেছি। হে বেহেশত ও দোযখের সৃষ্টিকর্তা! তোমারই কৃপা দ্বারা, হে সর্বজয়ী! হে অতি ক্ষমাশীল! হে মহান দয়ালু! হে বৃহৎ দোষ-আচ্ছাদনকারী! হে কৃপাময়! হে মহৎ শক্তিধর! হে মহান সৃষ্টিকর্তা! হে উপকারী! হে আল্লাহ! আমাদিগকে দোযখ হইতে রক্ষা কর। হে মুক্তিদাতা! হে ত্রাণকর্তা! হে রক্ষাকারী! হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু! তোমারই আপন অনুগ্রহে আমাদিগকে জাহান্নামের আগুন হইতে রক্ষা কর।

05/04/2022

তারাবীহ নামাযের দোআ ও মুনাজাত জানা না থাকলে করণীয় এ দোয়া কোন ছহীহ্ হাদীসে উল্লেখ নেই। আবার এমন কিছু লোক আছে, যারা এই দোয়া না জানার কারণে তারাবীহর নামাযই আদায় করে না। এ সকল লোকদেরকে বুঝিয়ে দেয়া দরকার যে, এ দোয়া পাঠ না করলে নামাযের কোন ক্ষতি হয় না। নামায হয়ে যাবে। যদি পারে তাহলে শুধু ঃ

(সুবহানাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লা-হিল আযীম)

পাঠ করবে। কিছু পাঠ না করে চুপ করে বসে থাকলেও নামাযের কোন ক্ষতি নেই ।

প্রতি চার রাক'আত পর মুনাজাত করা দুরস্ত আছে, কিন্তু বিশ রাক'আতের পর বেত্র নামাযের পূর্বে মুনাজাত করাই উত্তম।

04/04/2022

আফগানিস্তান হেরাত প্রদেশের
কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে
তারাবী নামাজ আদায়রত মুসল্লীরা।

31/03/2022

ঠকেছেন আফসোস করবেন না। 😢 সৃষ্টিকর্তার ফয়সালার অপেক্ষায় থাকুন। ☝️

25/03/2022

বিশেষ কিছু আমল ও দু'আ

23/03/2022

“তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম। ”

23/03/2022

রমজানে কারো পরিবর্তন
দেখে ঠাট্টা করবেন না,

রমজান আসেই মানুষকে পরিবর্তন করার জন্য।

23/03/2022

নেই কোনো সপ্ন !😥

নেই কোনো জীবনের ভবিষ্যত্ ও পরিকল্পনা!😔
শুধু এক-মুঠো ভাত হলে তৃপ্তিময় জীবন!

আল্লাহ্ আপনি উত্তম রিযিক দান করুন।

#আমিন

16/03/2022

শবে বরাতের নামায

শবে বরাতে যে ব্যক্তি বেশি বেশি নফল নামায আদায় করে সে ব্যক্তি নামাযের মাধ্যমে তার পালনকর্তার অতি ঘনিষ্ঠতা লাভ করে।

শবে বরাতের নফল নামাযের বাধাধরা কোন নিয়ম নেই। যত রাকআত ইচ্ছা এবং যে কোন সূরা দ্বারা এ নামায আদায় করতে পারবে। তবে বুযুর্গানে দ্বীনের মতে অন্ততঃ ১২ রাকআত নফল নামায আদায় করার কথা বর্ণিত আছে। দুই দুই রাকআতের নিয়ত করে এ নামায আদায় করতে হয়।

এশার ফরয ও সুন্নত নামাযের পর বিতর নামায বাকী রেখে শবে বরাতের নফল নামাযসমূহ আদায় করতে হয়। কত রাকআত নামায আদায় করবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যত বেশী নামায আদায় করা যায় ততই উত্তম। শবে বরাতের নামায আদায় করার নিয়ম প্রসঙ্গে বহু রেওয়ায়েত দেখা যায়। তবে দুই দুই রাকআতের নিয়ত করে এ নামায আদায় করতে হয়। উভয় রাকআতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা এখলাস দশবার, একুশবার, সাতাইশবার, একত্রিশবার, তেত্রিশবার, পঞ্চাশবার, এমনকি একশতবার পর্যন্ত পাঠ করার কথাও কিতাবাদিতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অনেকের মতে এত বেশী সংখ্যায় না পড়াই উত্তম।

এ বরকতময় রাতে শুধু নফল নামাযই আদায় করতে হবে এমন কোন কথা নেই। নফল নামাযের সাথে অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগী করা যায়। যেমন কোরআন পাক তেলাওয়াত করা, দোয়া-দরূদ পাঠ করা, তসবীহ-তাহলীল পাঠ করা, যিকির-আযকার করা ইত্যাদিতেও অশেষ সওয়ার লাভ হয়। যে কোন ইবাদত-বন্দেগী করে রাত অতিবাহিত করাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য।

এ পবিত্র রাতে মিষ্টান্ন বা অন্য যে কোন ধরণের সুখাদ্যের ব্যবস্থা করা দোষণীয় নয়। তবে বাধ্যবাধকতার সাথে করলে বেদআত বলে গণ্য হবে।

16/03/2022

শবে বরাতের নামাযের নিয়ত

نوبت ان أصلى لله تعالى ركعتى صلوة النـفـل مـتـوجها

إلى جهة الكعبة الشريفة الله

উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই সালাতিন নাফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা নিয়ত ঃ আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলামুখী হইয়া দুই রাকাআত নফল নামায আদায়ের নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবার।

16/03/2022

শবে বরাতের দোয়া

أعوذ بعفوك مـن عـقـابـك وأعوذ برضاك من سخطك واعـوذيـك مـنـك جـل وجـهـد لا أحصي ثناء عليك أنت كما

أثنيت على نفسك *

আউয্ বিআফবিকা মিন ইক্কাবিকা ওয়া আউযু বিরিদ্বাকা মিন সাখাতিকা ওয়া আউযুবিকা মিনকা জাল্লা ওয়াজহিকা লা-উহছী ছানাআন আলাইকা আনতা কামা আছনাইতা আ'লা নাফসিকা।

৩৯

হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শাবান মাসের ১৫ই রাতে নামাযে এ দোয়া পাঠ করতে শুনেছি। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার ক্ষমার নিকট তোমার শাস্তি হতে পানাহ চাই

এবং তোমার সন্তুষ্টির কাছে তোমার নারাজী হতে পানাহ চাই এবং (তোমার আযাব হতে) তোমারই আশ্রয় চাই।

পুরোপুরি প্রশংসা করার সাধ্য আমার নেই, তুমিতো তেমনই, যেমন তুমি নিজের প্রশংসা করেছ।