30/04/2023
তরুণদের আইডল, সুশিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ বক্তা, ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি অল্প কয়েকদিনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে যে ক’জন ইসলামি চিন্তাবিদ রয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
জন্ম: মিজানুর রহমান ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লার মুরাদনগরের পরমতলা গ্রামে। তার বাবা একজন মাদরাসার শিক্ষক। তার পরিবারে মা-বাবা ও এক ভাই রয়েছে।
শিক্ষাজীবন: মিজানুর রহমান ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে ২০০৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে আলিম পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ করেন। ২০০৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মিসর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিসরে যান। সেখান থেকে ডিপার্টমেন্ট অব তাফসির অ্যান্ড কুরআনিক সায়েন্স থেকে ২০১২ সালে শতকরা ৮০ ভাগ সিজিপিএ নিয়ে অনার্স উত্তীর্ণ হন। মিসরে পাঁচ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করার পর ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া যান। সেখানে গার্ডেন অব নলেজ খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব কোরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ থেকে ২০১৬ সালে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করেন। মাস্টার্সে তার সিজিপিএ ছিল ৩.৮২ আউট অব ফোর।
গবেষণা: পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করে মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে এমফিল এবং পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৬ সালের মধ্যে এমফিলও শেষ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘হিউম্যান এম্ব্রায়োলজি ইন দ্য হোলি কুরআন’। তারপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। ‘হিউম্যান বিহ্যাভিয়ারেল ক্যারেক্টারইসটিক্স ইন দ্য হোলি কুরআন অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল স্টাডি’র ওপর পিএইচডি গবেষণা করছেন। তার এমফিল এবং পিএইচডির মাধ্যম ছিল ইংরেজি। এছাড়া আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ওভারঅল ৭.৫ আউট অব ৯ ব্যান্ড স্কোর এবং স্পিকিং সেকশনেও ৭.৫ ব্যান্ড স্কোর অর্জন করেন।
উপাধি: মিজানুর রহমান তার নাম। তবে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কারণে তার নামের সাথে ‘আজহারী’ উপাধি যুক্ত হয়েছে।
দাম্পত্য জীবন: মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
তরুণদের আইডল: ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলেও নিজেকে স্মার্টভাবে উপস্থাপন করা যায়, তা মিজানুর রহমান আজহারীকে দেখলেই বোঝা যায়। তাই এ সময়ের যুবকরা তাকে খুবই পছন্দ করে। তার তাফসির মাহফিলে যুবকদের স্রোত দেখা যায়। তিনিও যুবকদের খুবই পছন্দ করেন। তাফসির মাহফিলে যুবকদের ভালো পথে চলার আহ্বান জানান।