17/01/2024
সাবাশ জামিয়া ফরিদাবাদ!
সাকরাইন উৎসব উদযাপনের নামে পুরান ঢাকায় নেমে আসা 'একদিনের কেয়ামত' থামিয়ে দিয়েছে জামিয়ার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। আসলে এটা উদযাপনের সামাজিক ভয়াবহতা পুরান ঢাকার বাসিন্দা না হলে বুঝা মুশকিল। আমরা ফরিদাবাদ পড়াকালীন সময়ে এটা প্রতিরোধে উদ্যোগি হতাম। কিন্তু উস্তাদরা দাওয়াতি কার্যক্রমের বাইরে কিছু করার ইজাজত দিতেন না। মুফতি আব্দুস সালাম সাহেব হুজুরের নেগরানিতে আমাদের জামাতের সাথিরা জালালাইনের সময় থেকেই খুসুসি গাশত শুরু করি। ছোট ছোট জামাত করে বাড়ির মালিকদের কাছে যেতাম। দুনিয়াবি-আখেরাতি ক্ষতির কথা কথা বলে বলে তাদের ওয়াদা করিয়ে আসতাম তাঁর বাসার ছাদে যেন অন্তত তিনি এসব করতে না দেন। পরের বছর হুজুরের পরামর্শে বিশেষ চিঠি তৈরি করি। সাকরাইনের ক'দিন আগ থেকেই বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া, আশপাশের মসজিদের ইমামদের কাছে চিঠি পৌঁছাই। আগের দিন বিকেলে গাশত করি। কথা দেন- আর করতে দিবেন না। সাকারাইনের দিন দেখি কিছুটা প্রভাব পরে। কিন্তু নতুন নতুন বাসার ছাদে শুরু হয় আবার। আমরা আবার জামাত করে করে বেরিয়ে পড়ি। এবার আরেকটু শক্ত হই। একেবারে ছাঁদে উঠে যাই। সব ছেলেপেলেদের জড়ো করে দরদ নিয়ে বুঝাই, ওরা সোরি-টোরি বলে। গানের শব্দ কমিয়ে দেয়। সামনের বার থেকে আর আয়োজন করবে না- ওয়াদা দেয়। কিন্তু আয়োজন থামেনি। প্রত্যেকবার জিম্মাদারির সূত্রে আমি এ কার্যক্রমের সাথে ছিলাম বলে - এর নানান বাস্তবতা আমি জানি। এসব পার্টি -উৎসবগুলো পাওয়ারের সাথে সম্পৃক্ত। মেয়র -কাউন্সিলররা এই অসুস্থ উদযাপনে ডোনেশন করে। এরা ওদের পাওয়ার দেয়। সাধারণ বাসিন্দারা একেবারে নিরুপায় হয়ে সহ্য করে। ফরিদাবাদের ছাত্রদের আজকের এই প্রতিক্রিয়ায় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে পুরান ঢাকার বাসিন্দারা কিযে খুশি হচ্ছে মানুষের সাথে আলাপ করলেই টের পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ জামিয়ার শিক্ষার্থীদের!
সেদিন শুনলাম, গেন্ডারিয়া ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ - গেণ্ডারিয়া থানা শাখা'র ছেলেরা জনপ্রতিরোধ তৈরির লক্ষ্যে লিফলেট,চিঠি বিতরণ করেছে এলাকায়। এখানে এদেরও ধন্যবাদ জানিয়ে রাখছি।
সাকরাইন শুধু মাত্র ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব হিসেবে থাকলে শরয়ি দৃষ্টিতে বা সামাজিকভাবে এটা জায়েজ -না জায়েজের আলাপ আসতো না। কিন্তু এই নির্দোষ আয়োজনটি দুয়ার খুলে দিয়েছে নানা হাবিজাবি সংস্কৃতি প্রবেশের। যেমন এটার সাথে পুরান ঢাকাইয়া হিন্দুরা পৌষ সংক্রান্তিকে মিলিয়ে ফেলেছে। যার পুরোটাই ভারতীয় হিন্দু মকরদ