13/04/2021
মাহে রমজানেৱ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মধুখালী থেকে মোঃ শাওন শেখ ৷
পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে,
নতুনকে সু-স্বাগতম জানিয়ে,
রমজান কে আলিঙ্গন করতে হবে।
এই শ্লোগানকে সাথে নিয়েই যেন
এসে গেল, বাঙালির সবচেয়ে বড় আনন্দোৎসবের দিন পহেলা বৈশাখ ও রমজানের ঘনঘটা আনন্দ।
তবে এবার উৎসব হবে সামাজিক দূরত্ব মেনে, ‘ঘরোয়া’ পরিসরে৷
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় নববর্ষ উদযাপনের সকল আয়োজন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল চীন৷ ধীরে ধীরে করোনা ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশে৷ আনন্দ-বিনোদনের সব আয়োজন যেন গুটিয়ে ঘরবন্দি হয়েছে সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষ৷ করোনাকে এড়িয়ে জীবনরক্ষার এটাই যে সবচেয়ে কার্যকর উপায়!
বাংলাদেশেও বড় আতঙ্ক হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস৷ আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন৷ জীবনকে সামাজিক দূরত্বের শৃঙ্খলে আরো কঠোরভাবে আবদ্ধ করা এখন আরো দরকার৷
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন থেকে শুরু করে , তিন দফায় বেড়েছে ছুটি, মসজিদ-মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ে না গিয়ে সরকারি নির্দেশ মেনে ঘরেই উপাসনা শুরু করেছে ধর্মানুরাগী মানুষ৷ ১৪২৭ সালকে সেই নিয়ম মেনেই বরণ করতে চলেছে বাঙালি৷
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের উদ্যোগে রমনার বটমূলে ‘‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো” গেয়ে শুরু হবে না নববর্ষ উদযাপন৷ চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাও বের হবে না এবার৷ শহর-গ্রামের নানা প্রান্তে বসবে না বৈশাখী মেলা৷
বরং অতি উৎসাহী কেউ যাতে নববর্ষ উদযাপনে বেরিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷
এমন এমন পহেলা বৈশাখ কখনোই দেখেনি বাংলাদেশে৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে, ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণও গেছে বহু মানুষের, তবু এতদিন প্রতি পহেলা বৈশাখে প্রাণের টানে নববর্ষ উদযাপনে বেরিয়ে পড়েছে মানুষ৷
করোনা–সংকটে সারা বিশ্ব এখন উৎসবহীন৷ বাংলাদেশেও থাকছে না আয়োজনের ঘনঘটা৷ তবে ঘরে বসে যেভাবে অফিসের কাজ চলছে, উপাসনা চলেছে, সেভাবে উৎসব উদযাপনে কোনো বাধা নেই৷ বাধা নেই দূর থেকে বাঙালির সংস্কৃতি আর মানুষকে ভালোবাসাতেও৷
সারা দেশসহ আমার ইউনিয়নের সকল জনগনের সাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান করেছি।সাথে সাথে সে তার নিজের জন্য ও দোয়া চেয়েছেন।