BNP NewS SP

BNP NewS SP শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে

১৫টি অত্যাধুনিক পারমাণবিক কেটলি, ২টি স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ফ্লাস্ক এবং ৩টি প্লাস্টিকের টর্পেডো জগসহ মারাত্মক অস্ত্র  আটক ক...
03/07/2021

১৫টি অত্যাধুনিক পারমাণবিক কেটলি, ২টি স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ফ্লাস্ক এবং ৩টি প্লাস্টিকের টর্পেডো জগসহ মারাত্মক অস্ত্র আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ লীগ, সাব্বাশ।

25/06/2021

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ব....

   #বেগমখালেদাজিয়া    #গণতন্ত্রেরমা   #দোয়া
24/06/2021

#বেগমখালেদাজিয়া
#গণতন্ত্রেরমা
#দোয়া

24/06/2021
   #কোভিড১৯   #করোনাভাইরাসবিশ্বমহামারি    #ব্যর্থআওয়ামীসরকার
24/06/2021

#কোভিড১৯
#করোনাভাইরাসবিশ্বমহামারি
#ব্যর্থআওয়ামীসরকার

----------------------------------------------------প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যত অবদান—  মারুফ মল্লিক, রাজনৈতিক বি...
24/06/2021

----------------------------------------------------
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যত অবদান
— মারুফ মল্লিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
---------------------------------------------------
একজন গৃহবধূর পরিচিতি নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করে রাষ্ট্র ও দল একাই সামলেছেন। রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। বিএনপিকে পতনের খাদ থেকে টেনে তুলেছেন। ভাঙন রোধ করে একক ভাবমূর্তি দিয়ে নির্বাচনে জিতিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। খালেদা জিয়া একদল অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাজনৈতিক নেতার সাহচর্য পেয়েছিলেন। এই নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতিতে নিজস্ব ভাবমূর্তি গঠন করেছেন।

প্রথম মেয়াদে খালেদা জিয়া যখন দায়িত্ব নেন, তখন দেশের অর্থনীতি খুব নাজুক অবস্থায় ছিল। নাজুক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কাঠামোগত পরিবর্তন করে অর্থনৈতিক সংস্কারের সূচনা করা হয়। তাঁর প্রথম মেয়াদকে বলা হয় অর্থনৈতিক সংস্কারের শাসনামল। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে পণ্য আমদানিতে লাইসেন্স প্রথা বিলোপ করা হয় ওই সময়, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করেছিল।

খালেদা জিয়া প্রথম পর্যায়ে রাজনীতিবিদ ছিলেন না, কোনো রাজনৈতিক প্রশিক্ষণও ছিল না। রাজনীতিতে তাঁর আসার কথাও ছিল না। কিন্তু সময়ের বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি তাঁর মেধা ও দক্ষতা অনুসারে রাষ্ট্র ও দল পরিচালনা করেছেন।
২৭ ধরনের শুল্ক হ্রাস করে ৭ ধরনের আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য মূল্য সংযোজন কর প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী করা করা হয়। তৃতীয় প্রজন্মের নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানের হার ৫৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করা হয়। কাঁচামাল আমদানি সহজ করায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের নতুন পরিবেশ তৈরি হয়। ফলে রপ্তানি আয়ও বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে জিডিপির ৮৯ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। এসব কারণে নানা ধরনের রাজনৈতিক সংঘাত, অনিশ্চয়তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও ৯০–পরবর্তী সময়ে দেশে কখনোই খাদ্যসংকট সৃষ্টি হয়নি। দুর্ভিক্ষ হয়নি। অর্থনীতির উদারীকরণ ছাড়াও খালেদা জিয়ার আমলে নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা ও শিক্ষা উপবৃত্তি শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার, জুন ২৪, ২০২১, দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত মতামতে।

#বেগমখালেদাজিয়া
#গণতন্ত্রেরমা
#দোয়া

The govt. should take steps to ensure treatment of severely unwell Begum Khaleda Zia abroad as she is not only a senior ...
24/06/2021

The govt. should take steps to ensure treatment of severely unwell Begum Khaleda Zia abroad as she is not only a senior politician, but also a three-time former prime minister and chairperson of a major party who made contributions to the country’s Liberation War and played an outstanding role in restoring democracy in the country.

Mirza Alamgir
Tuesday, June 22, 2021, at a press conference at BNP Chairperson’s Gulshan office.

#বেগমখালেদাজিয়া
#গণতন্ত্রেরমা
#দোয়া

রহস্যময় ঢাকা!বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়াশিংটন-দুবাইয়ের চেয়েও ব্যয়বহুলদক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল  বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ...
24/06/2021

রহস্যময় ঢাকা!

বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়াশিংটন-দুবাইয়ের চেয়েও ব্যয়বহুল
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল
বাসযোগ্য শহরের তালিকায় তলানিতে


‘কস্ট অব লিভিং’ জরিপ, মার্সা
জুন ২০২১

অবাক শহর ঢাকা! একদিকে বিশ্বের অন্যতম অবাসযোগ্য শহর এটি অন্যদিকে বিদেশি কর্মীদের জন্য অন্যতম ব্য্যবহুল শহর। আবার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমাগত কমছে বাংলাদেশে।

ওয়াশিংটন ডিসি ও দুবাইয়ের চেয়েও ঢাকা শহর বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য বেশি ব্যয়বহুল। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে ঢাকা বিদেশি কর্মীদের জন্য বেশি ব্যয়বহুল।

নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্সার চলতি বছরের ‘কস্ট অব লিভিং’ জরিপে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিদেশি নাগরিকদের বসবাসের খরচের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪০তম।

এ বছর বিদেশিদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে জায়গা পেয়েছে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদ। এরপর শীর্ষ দশে থাকা শহরগুলো হচ্ছে যথাক্রমে- হংকং (চীন), বৈরুত (লেবানন), টোকিও (জাপান), জুরিখ (সুইজারল্যান্ড), সাংহাই (চীন), সিঙ্গাপুর, জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), বেইজিং (চীন) ও বার্ন (সুইজারল্যান্ড)।

মার্সারের জরিপ অনুযায়ী, তালিকায় ঢাকার পরে জায়গা পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (৪২), থাইল্যান্ডের ব্যাংকক (৪৬), যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি (৫১), স্পেনের মাদ্রিদ (৬৭), পর্তুগালের লিসবন (৮৩), কাতারের দোহা (১৩০) সহ বিশ্বের ১৬৯টি শহর।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ঢাকার পরে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ভারতের মুম্বাই (৭৮)। এরপরই তালিকায় আছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন (১০৪), ভারতের নয়া দিল্লি (১১৭), চেন্নাই (১৫৮), বেঙ্গালুরু (১৭০), কলকাতা (১৮১), পাকিস্তানের ইসলামাবাদ (১৯৯) ও করাচি (২০১)।

বিদেশি নাগরিকদের জীবনযাত্রার খরচের ওপর মার্সারের করা জরিপটিতে আবাসন, পরিবহন, খাদ্য ও বিনোদনসহ অন্যান্য খরচ বিবেচনায় নিয়ে ২০৯টি শহরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটিকে বেসলাইন হিসেবে ধরে তুলনামূলক এ তালিকা করেছে মার্সার।

সিএনএন জানিয়েছে, গত বছরের মার্সার জরিপের সঙ্গে চলতি বছরের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো বৈরুতের তৃতীয় স্থানে উঠে আসা। ২০২০ সালে বিদেশি কর্মীদের জন্য ৪৫তম ব্যয়বহুল শহর ছিল বৈরুত। কোভিড -১৯ মহামারি ও গত বছরের আগস্টে বৈরুত বন্দরের বিস্ফোরণের পর দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।

জরিপে বিদেশি কর্মীদের জন্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহরগুলো হলো- জর্জিয়ার তিলিসি, জাম্বিয়ার লুশাকা এবং কিরগিজস্তানের বিশিখ।

#ব্যর্থআওয়ামীসরকার

তাহলে একবার চিন্তা করুন, সাধারণ মানুষ সরকারি দপ্তরে গিয়ে ঘুষের দাবি মেটাতে কি পরিমাণ নাজেহাল হন! "পরে ফেসবুকে এক পোস্টে ...
24/06/2021

তাহলে একবার চিন্তা করুন, সাধারণ মানুষ সরকারি দপ্তরে গিয়ে ঘুষের দাবি মেটাতে কি পরিমাণ নাজেহাল হন!

"পরে ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বি এম আব্দুর রাফেল। পরে তিনি বলেন, ‘ওটা একটি সরকারি অফিস। আমি আমার পরিচয় দেওয়ার পরও তারা টাকা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই মর্মাহত।’

ঘটনাটি জানাজানির পর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও দলিল লেখকরা বৈঠক করেন। এরপর আব্দুর রাফেলকে ফোন দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং টাকা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে তিনি টাকা ফেরত না নিয়ে ঢাকা চলে আসেন।"

- ডেইলি স্টার, ২৩ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fRakU

ইন্টারনেট ভিত্তিক বাজার ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ততার জায়গা হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ খাতের সেবাদাতাদের...
24/06/2021

ইন্টারনেট ভিত্তিক বাজার ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ততার জায়গা হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ খাতের সেবাদাতাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন?

👉 http://bit.do/fRab3

ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন মানভেদে খুচরায় ২ থেকে ১০ টাকায় একটি সার্জিক্যাল মাস্ক পাওয়া যায়। দোকানিরা বলেছেন, গত বছর...
24/06/2021

ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন মানভেদে খুচরায় ২ থেকে ১০ টাকায় একটি সার্জিক্যাল মাস্ক পাওয়া যায়। দোকানিরা বলেছেন, গত বছর করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন দাম বেড়েছিল। অনেকের কাছে তখন এই মাস্ক ছিল না। কিন্তু একটি সার্জিক্যাল মাস্কের দাম ৩৫০ টাকার বেশি হবে, এমন ছিল না। তখন ২৫-৩০ টাকায় মাস্ক বিক্রি হয়েছে।

- প্রথম আলো, ২৩ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fQ92X

আন্দোলনকারী মাহাফুজ আল আমিন বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের চাকরিতে পদায়নের বিষয়টি সমাধান করবে বলে আশ্বাস পেয়ে গতকাল আমরা আন্দোলন ...
24/06/2021

আন্দোলনকারী মাহাফুজ আল আমিন বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের চাকরিতে পদায়নের বিষয়টি সমাধান করবে বলে আশ্বাস পেয়ে গতকাল আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু, আজকে তারা সিন্ডিকেট সভা করতে চাইছেন। আমরা ধারণা করছি- আজকের সিন্ডিকেট সভায় আমাদের নিয়োগ বিষয়ে প্রস্তাব তুলে বাতিল করতে পারে। আমরা চাকরিতে যোগদান করতে চাই। আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি, যোগদানের ঘোষণা না দিলে অবস্থান ছাড়ব না। আর আমরা কোনো সিন্ডিকেট সভা করতে দেব না।’

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত সোমবার তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আমরা ফাইন্যান্স কমিটির সভা এবং সিন্ডিকেট সভা করতে পারব, তারা কোনো বাঁধা দেবেন না। সে প্রেক্ষিতে আজকের সভা ডাকা হয়েছিল। এ ছাড়া, আজকের সভায় তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো এজেন্ডাও ছিল না। তবে, আজ তারা সভা শুরুর আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছেন, তাই সভা শুরু করতে পারিনি। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সভাটি স্থগিত ঘোষণা করেছি।’

- ডেইলি স্টার, ২২ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fQ9MN

এতে সাত দিনের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে...
24/06/2021

এতে সাত দিনের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

- প্রথম আলো, ২২ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fQ9FL

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ রেখে করোনা মোকাবিলার সুদূরপ্রসারী প্রভাবের লাভ-ক্ষতির বিচারে ক্ষতির অঙ্কটা সহস্রগুণ বেশি ...
24/06/2021

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ রেখে করোনা মোকাবিলার সুদূরপ্রসারী প্রভাবের লাভ-ক্ষতির বিচারে ক্ষতির অঙ্কটা সহস্রগুণ বেশি হবে, তা যুক্তিশীল কোনো মানুষের অজানা নয়।

- সৈয়দ আব্দুল হামিদ/ প্রথম আলো, ২২ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fQ9t4

স্থানীয় তেলিয়ামুড়া থানার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, রবিবার ভোররাতে একটি ভ্যানে করে গোটাপাঁচেক...
24/06/2021

স্থানীয় তেলিয়ামুড়া থানার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, রবিবার ভোররাতে একটি ভ্যানে করে গোটাপাঁচেক গরু-মোষ নিয়ে যাওয়ার সময় এই তিনজন ব্যক্তি গ্রামবাসীদের নজরে পড়ে যায়।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা গরুমোষ চুরি করে পালাচ্ছে এই সন্দেহে স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাদের গাড়িটিকে ধাওয়া করে এবং উত্তর মহারানিপুর নামে একটি গ্রামের কাছে ভ্যানটিকে ধরেও ফেলে।

গরুচোর সন্দেহে গাড়ির আরোহীদের মধ্যে দুজনকে সেখানেই নৃশংসভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।

একজন সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হলেও সে-ও প্রাণে বাঁচতে পারেনি, একটু দূরে মুঙ্গিয়াকামি নামে আর একটি গ্রামের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকেও ধরে ফেলে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

পরে ওই তিনজন যুবকের দেহ আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও জিবি পন্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকান্ডে দুটি আলাদা গণপিটুনির মামলা নথিভুক্ত করা হলেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

- বিবিসি নিউজ বাংলা, ২১ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fQ9by

 #পুলিশ জানায়, মেহজাবিন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতের একটি সিনেমা দেখে তিনি সায়ানাইড (রাসায়নিক দ্রব্য, বিষ হিসেব...
24/06/2021

#পুলিশ জানায়, মেহজাবিন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতের একটি সিনেমা দেখে তিনি সায়ানাইড (রাসায়নিক দ্রব্য, বিষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়) প্রয়োগ করে সবাইকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। ওই সিনেমায় সায়ানাইড প্রয়োগ করে একই পরিবারের ১১ জনকে খুন করতে দেখানো হয়। বিভিন্ন উৎস থেকে সায়ানাইড সংগ্রহ করারও চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটা পারেননি। এ কারণে ক্রাইম পেট্রোলে দেখা কৌশলেই খুনের পরিকল্পনা করেন।

- প্রথম আলো, ২১ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fQ8Tp

সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ২৭৬তম সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে বো...
24/06/2021

সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ২৭৬তম সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, মুদ্রাস্ম্ফীতি ও ঢাকা ওয়াসার ব্যাপক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অবদান ইত্যাদি বিবেচনা করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বেতন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পরের মিটিংয়ে মাসিক বেতন ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়।

এরপর ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ২৭৮তম বোর্ড সভায় সে প্রস্তাব পাস করা হয়। গত ২৫ মে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বেতন বৃদ্ধির দাপ্তরিক যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে অফিস আদেশ জারি করে। সেখানে বলা হয়, মে মাস থেকে এই বেতন কার্যকর হবে।

- সমকাল, ২০ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fQ8ws

খালেদা জিয়াই শেখ হাসিনাকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়ম...
24/06/2021

খালেদা জিয়াই শেখ হাসিনাকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিয়েতে যোগ দিতে বেগম জিয়া এমপি হোস্টেলে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা ব্যস্ততার কারণেই হয়তো তাকে রিসিভ করতে পারেননি। কিন্তু তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের বিয়েতে শেখ হাসিনা এলে বেগম জিয়া তাকে রিসিভ করেন। একসাথে খাবার খান। ছেলের বউ দেখাতে নিয়ে যান। জরুরি সরকারের সময় সাব-জেলে শেখ হাসিনার চোখের অসুখ বেড়ে গেলে খালেদা জিয়া কোর্টে এসে তাকে চিকিৎসা করানোর আহ্বান জানান। শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জানাতে সুধা সদনে ছুটে গিয়েছিলেন। একটিমাত্র ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ছিল। আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশান অফিসে গেলে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। অবশ্য খালেদা জিয়া তখন অচেতন ছিলেন। এ ভুলের জন্য তার কর্মকর্তারা দায়ী। এই একটিমাত্র ঘটনা ছাড়া খালেদা জিয়ার বিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি লক্ষ করা যায়নি। নারী জাগরণের নেত্রী মহীয়সী বেগম রোকেয়ার স্বপ্নের রূপকার ছিলেন বেগম জিয়া। নারী উন্নয়নে এবং মেয়েদের শিক্ষা বিস্তারে তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।


সৈয়দ আবদাল আহমদ
https://bangladeshivoices.blogspot.com/2021/06/blog-post_22.html

#বেগমখালেদাজিয়া
#গণতন্ত্রেরমা
#দোয়া

কেউ বাসা থেকে বা অফিস থেকে বেরিয়েছিলেন। কেউ বাসাতেই স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মায়ের সঙ্গে ছিলেন। কখনো সাদাপোশাকে, কখনো আইনশৃঙ্...
24/06/2021

কেউ বাসা থেকে বা অফিস থেকে বেরিয়েছিলেন। কেউ বাসাতেই স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মায়ের সঙ্গে ছিলেন। কখনো সাদাপোশাকে, কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁদের তুলে নিয়ে গেছে। পরে কারও কারও লাশ পাওয়া গেছে, কেউবা ফিরে এসেছেন। অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়ে গেছেন।

‘নিখোঁজ’ এসব ব্যক্তির নাম অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস কমিশনের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর গুম হওয়া মানুষের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। এই তালিকায় সাবেক সাংসদ, রাজনীতিক নেতা ও কর্মীদের পাশাপাশি সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুস্তক প্রকাশক, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় বক্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তা।

ইসলামী বক্তা আবু ত্ব হা মোহাম্মদ আদনান তাঁর তিন সঙ্গীসহ নিখোঁজ হয়েছিলেন গত ১০ জুন। গত ১৮ জুন তাদের পাওয়া যায় নিজ নিজ বাড়িতে। পুলিশের দাবি আবু ত্ব–হা দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। আর তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি তিনজনকে তিনি রাজি করান আত্মগোপনে থাকার সময় বিষয়টি কাউকে না জানানোর। এ সময় ওই তিনজনও নিজ নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

নিখোঁজের পর ফিরে আসলেও নিজ থেকে চার জনের কেউই কী ঘটেছিল এখন পর্যন্ত সে সম্পর্কে কিছুই বলেননি।

একই অবস্থা সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের ক্ষেত্রেও। ৫৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত বছরের ৩ মে যশোরের বেনাপোলে ভারত সীমান্তের কাছে পাওয়া যায় শফিকুলকে। উদ্ধারের এক বছর পর গত ৩ মে একস ওয়েবিনারে সাংবাদিক শফিকুল বলেন, ‘আমার এখনও এটি বলার সাহস নেই যে আমাকে কি জোর করে গুম করা হয়েছিল, নাকি আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে আমি আক্রমণের শিকার হয়েছিলাম। কিন্তু, কখনোই ভাবিনি যে আমাকে গুম করা হবে।’ ‘কীভাবে আমি ও আমার পরিবার সেই নিষ্ঠুর সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি— তা বলা সম্ভব না।’ তিনি বলেন, কখনো পরিচিতজনদের মাঝে ফিরতে পারবো, তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারব এটা ভাবিনি।

অপহরণ, গুম বা নিখোঁজ হন চট্টগ্রামের সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার জানান, গত বছর নভেম্বরের ঘটনা এটা। তিনি ওই ওয়েবিনার বলেন, কীভাবে তাকে সারাক্ষণ প্রাণভয়ে থাকতে হতো এবং এক পর্যায়ে তিনি তার চট্টগ্রামের বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন।’

ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেছিলেন, ‘এ মুহূর্তে সরোয়ারের জন্য সাংবাদিকতা করার চেয়ে বেঁচে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুয়ায়ী গত ১৩ বছরে (২০২০ সালের আগষ্ট পর্যন্ত) ৬০৪ জনের মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে৷ ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন কোনো না কোনোভাবে ফিরে এসেছেন৷ অন্যরা কোথায় আছেন, কেমন আছেন তার কোনো তথ্য নাই পরিবারের কাছে৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কোনো তথ্য দিতে পারছে না৷

সাম্প্রতিক আবু ত্ব–হার মতো ‘রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ’ বা ‘অপহরণের’ পর গত ১৩ বছরে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন অনেকেই। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে কিছু অভিন্ন ছক বা মিল লক্ষ করা যায়। অপহৃত ব্যক্তিদের একটি বড় অংশকে অপহরণের পর ‘উদ্‌ভ্রান্ত’ অবস্থায় কোনো সড়কে পাওয়া যায়। কিন্তু ফিরে আসার পর অনেকে কোনো কথা মনে করতে পারেন না। বাকিরা ফিরে এসে মুখে কুলুপ আঁটেন। আবার অনেকে বাসায় ফিরে আসেন। তাঁরাও পরে আর কোনো কথা বলেন না।

সাবেক কূটনীতিক মারফ জামান নিখোঁজ হন বছর তিনেক আগে। ফিরে আসার পর তিনিও এ নিয়ে কিছু বলেননি। কারা তুলে নিয়েছেন, কেন নিয়েছেন কিছুই বলেননি তিনি।

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বা অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা কখনো কখনো গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফিরে আসার পর নিখোঁজ ব্যক্তিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বলেছেন, চোখ বেঁধে তাঁদের মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এর বাইরে তাঁরা কেউ আর বিস্তারিত কিছু বলেননি।

নিখোঁজ ও উদ্ধারের একই ছক
***************************
১৬ এপ্রিল, ২০১৪ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন। ৩৪ ঘণ্টা পর তাঁকে চোখবাঁধা অবস্থায় কে বা কারা মিরপুরে নামিয়ে দিয়ে যায়। তাঁর পকেটে তিন শ টাকাও গুঁজে দেয় অপহরণকারীরা। তিনি চোখের বাঁধন খুলে প্রথমে রিকশায় করে মিরপুর ১০ নম্বরে, পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ধানমন্ডিতে যান। ধানমন্ডি কলাবাগান খেলার মাঠের পাশে স্টাফ কোয়ার্টারের কোনায় বসানো পুলিশ চেকপোস্ট তাঁকে আটকায়। পরিচয় জানতে পেরে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।

আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা করেন তাঁর স্ত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তবে ওই মামলার আর কোনো অগ্রগতি নেই।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বনানীতে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে সাদাপোশাকে থাকা পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী মেহের নিগার। পুলিশ সে সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে। ২১ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর তাঁকে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

১০ মার্চ ২০১৫ সালে উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ৬২ দিন পর ভারতের মেঘালয়ের শিলং থেকে উদ্ধার হন। ১২ মে তিনি মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতাল থেকে তাঁর স্ত্রী হাসিনা খানকে ফোন করেন। ভারতীয় পুলিশের বরাতে বলা হয়, মেঘালয়ের গলফ গ্রিন এলাকায় ঘোরাঘুরির সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে। সে সময় তাঁকে অপ্রকৃতিস্থ মনে হচ্ছিল।

সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নিজে ভারতে আসেননি। যারা তাঁকে অপহরণ করেছিল, তারাই তাঁকে ভারতে রেখে গেছে। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু আর বলতে চাননি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন তানভীর আহমেদ। ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ দিবাগত রাতে তিনি নিখোঁজ হন। পাঁচ দিন পর তাঁকে উদ্‌ভ্রান্ত অবস্থায় বিমানবন্দর সড়কে হাঁটতে দেখে পুলিশ বাড়ি পৌঁছে দেয়।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী পুরান ঢাকার আদালতপাড়া থেকে নিখোঁজ হন গত বছরের ৪ আগস্ট। প্রায় সাত মাস অজ্ঞাত স্থানে থাকার পর তিনি বাড়ি ফেরেন।

২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে, ৩০ নভেম্বর পাবনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ রংপুর থেকে পাবনা আসার পথে, ১ ডিসেম্বর তানভিরের বন্ধু ও একই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন পাবনার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এবং বরিশালের চাকরিপ্রার্থী তরুণ মেহেদী হাসান হাওলাদার বনানী থেকে, ৬ ডিসেম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় রাকিবুল ইসলাম রকি লক্ষ্মীপুর থেকে নিখোঁজ হন। তাঁরা সবাই পরে ফিরে আসেন।

চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদের বাবা নুরুল আলম, পাবনা মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বাবা সুরুজ্জামান ও নুরুল আলম সরকার বলেন, সন্তান ফিরে আসাতেই তাঁরা সন্তুষ্ট। তাঁরা এ নিয়ে আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করতে চান না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান, পুস্তক প্রকাশক তানভীর ইয়াসিন করিম, সাংবাদিক উৎপল দাস, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা শামীম আহমেদ, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়ও নিভোঁজ নিয়েছিলেন। মোবাশ্বের হাসান, শামীম আহমেদ ও অনিরুদ্ধ রায় ফিরে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোবাশ্বার ফিরে আসার পর নিখোঁজের দিনগুলো নিয়ে কিছুই বলেননি। এই শিক্ষক এখন বিদেশে শিক্ষকতা করছেন।

হংকংভিত্তিক এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি) ও দেশীয় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট বছর নয় মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৯৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের মধ্য থেকে ৫২ জনের লাশ পাওয়া গেছে। ফিরে এসেছেন ১৯৫ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৪৮ জন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজের সংখ্যা আরও বেশি। এর মধ্যে অনেক ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িত বলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনেরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ তুলেছেন। এর মধ্যে টাকার জন্যও মানুষ গুম ও খুনের ঘটনা আছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা এর বড় উদাহরণ।

সরকারের পক্ষ থেকে মানুষ গুম হওয়ার অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেছেন, গুম বলে কিছু নেই। অনেকে মামলার আসামি, গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ থেকে আত্মগোপন করেন। পরিবার তা গুম বলে প্রচার করে।

বড় অংশ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী
*****************************
গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একটা বড় অংশ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী। এর মধ্যে কেবল ঢাকা থেকে গুম হয়েছেন বিএনপির এমন ২৫ জন নেতা-কর্মীর নাম ২০১৭ সালের ১১ জুলাই প্রকাশ করেছে দলটি। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের দাবি, তাদের ২৯ জন নেতা-কর্মী নিখোঁজ আছেন। তালিকা না দিলও বিএনপি বলছে এই সরকারের আমলে ৪০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। তাদের অনেকেই আর ফিরে আসেননি।

এর মধ্যে বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী ও সালাউদ্দিনের ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তাঁদের আগে ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরা থেকে সাদাপোশাকে একদল লোক সিলেটের ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমেদ ও জুনেদ আহমেদকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মূলত দেশে গুমের নতুন একটি পর্বের শুরু হয় বলে দাবি করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এই দুজন গুম হওয়ার ঠিক দুই সপ্তাহ পর গুম হন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আলী। ইফতেখার আহমেদের (দিনার) বোন ও জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি তামান্না শামীম ওই সময় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, দিনার-জুনেদ ছিল গুম শুরুর মহড়ার অংশ। তারা দেখেছে প্রতিক্রিয়া কী হয়। সবাই ভয়ে চুপসে যাওয়ায় এরপর ইলিয়াস আলীকে গুম করার সাহস পায়।’

২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে, ওই বছরের ২৭ নভেম্বরের পর থেকে ২৪ দিনে গুম হয়েছিলেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৯ জন নেতা-কর্মী। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি।

এর মধ্যে লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলাম ও পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ ৩ জনকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে ধরে নেওয়া হয় ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর। তাঁদের মধ্যে সাইফুল ও হুমায়ুনকে আর পাওয়া যায়নি।

২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তেজগাঁও থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলামসহ ৬ জনকে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। একই দিন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আরও ২ জনকে।

নির্বাচনের আগে-পরে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী গুমের ঘটনা ঘটলেও গত আট বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ৬ জন গুম হন। এ ছাড়া গুম হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মোহাম্মদ আলী মহব্বত। পরে মহব্বতের খোঁজ পাওয়া যায়।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) পরিচয়ে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমানকে তাঁর স্ত্রী ও মায়ের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন মাস চার দিন পরে তাঁকে ঢাকার নিউমার্কেট থানায় একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০১৪ সালে কুমিল্লার মুন্সেফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে বাবা-মা-স্ত্রীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় যুবলীগ নেতা রকিবুল ইসলামকে। তাঁর বাবা আবদুল মতিন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেহরক্ষী ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রকিবুলের মা ছেলের শোকে এখন প্রায় মানসিক ভারসাম্যহীন।

২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেনকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয় দিয়ে একদল লোক। এখনো তাঁর সন্ধান পায়নি পরিবার।

‘নিখোঁজ’ জনপ্রতিনিধি
********************
২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৬ জন জনপ্রতিনিধি ‘নিখোঁজ’ হন। এই তালিকার শুরুতেই আছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম। তিনি ২০১০ সালের ২৫ জুন নিখোঁজ হন। এরপর যে ৪ জন জনপ্রতিনিধি নিখোঁজ হন, তাঁদের ৩ জন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা হলেন বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়র তরিকুল আলম (২০১৩ নিখোঁজ) এবং সিদ্ধিরগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম (২০১৪)। এ বছরের সেপ্টেম্বরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে নিখোঁজ মেয়র রুকনুজ্জামান রুকন ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন। দুদিন পর শ্রীমঙ্গল থেকে উদ্ধার হন তিনি।

আরও যাঁরা গুমের শিকার
**********************
চাঞ্চল্যকর খুনের তদন্ত চলাকালীন কমপক্ষে ৪ জন নিখোঁজ ছিলেন। ২০১১ সালে আহসান উল্লাহ মাস্টার খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ জামাল আহমেদ নিখোঁজ হন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুনের ঘটনায় স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষক তানভীর রহমান ২০১২ সালের ১ অক্টোবর নিখোঁজ হন। আট দিন পর জানানো হয় তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান (তনু) খুন হওয়ার সাত দিন পর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মিজানুর রহমান নামের এক তরুণকে। ওই তরুণ ছিলেন তনুর ভাই আনোয়ার হোসেনের বন্ধু। দুই সপ্তাহ পর চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম খুনের ঘটনার প্রধান আসামি কামরুল শিকদার (মুসা) নিখোঁজ আছেন। তাঁর স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, মুসাকে গুম করা হয়েছে।

এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০০৯-১৭ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গুম হয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও জঙ্গিবাদে সংশ্লিতার অভিযোগ আছেন এমন ব্যক্তিরা। তার বাইরে রাজনৈতিক নেতাদের গাড়িচালক, শ্রমিকনেতা থেকে শুরু করে পোশাকশিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যাংক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, আইনজীবী, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, এনজিও কর্মকর্তাও রয়েছেন।

- প্রথম আলো, ১৯ জুন ২০২১
👉 http://bit.do/fQ8hi

বাহ!মামুর বাড়ির আবদার,ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি! সরকারি চাকরিতে এভাবেই দিন দিন দলীয়করণ করা হচ্ছে...
23/06/2021

বাহ!মামুর বাড়ির আবদার,
ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি!
সরকারি চাকরিতে এভাবেই দিন দিন দলীয়করণ করা হচ্ছে।
জেগে ওঠো তারুণ্য ❤️

আগে কেউ জেলে গেলে বলতো মামার বাড়ি গেছিল, এখন গুম করলে বলা হচ্ছে শশুরবাড়ি গেছিল। কিয়েক্টাবস্থা !
23/06/2021

আগে কেউ জেলে গেলে বলতো মামার বাড়ি গেছিল, এখন গুম করলে বলা হচ্ছে শশুরবাড়ি গেছিল। কিয়েক্টাবস্থা !

টাকা পাচারের তথ্য খুঁজে পাচ্ছে না দুদক! কার্টুন — নিউএইজ     #আওয়ামীদুর্নীতি
23/06/2021

টাকা পাচারের তথ্য খুঁজে পাচ্ছে না দুদক!

কার্টুন — নিউএইজ

#আওয়ামীদুর্নীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠানো দাবি বিএনপিরঃখালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠানো দাবি বিএনপিরবিএনপির চেয়ারপারসন খালে...
23/06/2021

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠানো দাবি বিএনপিরঃ

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠানো দাবি বিএনপির
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি দিতে আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।

মঙ্গলবার (২১ জনু) গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। গত শনিবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটি বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, খালেদা জিয়া শুধু একজন বয়স্ক রাজনীতিবিদ নন, তিনি এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার ভূমিকা কিংবদন্তীর মতো। তিন বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। দেশে সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রয়োজন। সব প্রকার রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা এ দেশের মানুষের প্রাণের দাবি।

খালেদা জিয়ার চিকিৎকদের উদ্ধৃত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া ৫৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে করোনাভাইরাস মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনো মতেই ঝুঁকিমুক্ত নন।

খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার কিডনি এবং লিভারের সমস্যা বেশ জটিল। তিনি দীর্ঘ দিন কারাগারে থাকার কারণে কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় হার্ট, লিভার ও কিডনির সমস্যা বেশ জটিল হয়ে উঠে।

খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকাকালে দুইবার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিল বলে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলেও হাসপাতালে দীর্ঘদিন অবস্থানকালে সেই ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ আবারও হতে পারে বলে চিকিৎসকরা মনে করেন।

অন্যদিকে হাসপাতালে নন কোভিড এরিয়ায় কয়েকজন নার্স এবং চিকিৎসক ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রাখা সমিচীন মনে করেননি। সেই কারণে বাসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের আয়োজন সম্পূর্ণ করে বাসায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন- খালেদা জিয়ার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে যার সুযোগ তুলনামূলক ভাবে কম।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি দলের পক্ষ থেকে আগে বলা হয়নি কেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগে বলিনি, তার পরিবার বিদেশে পাঠানোর কথা বলেছিল। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজ্যুলেশন নিচ্ছি যে, তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এজন্য যা কিছু করা দরকার সরকারের করা উচিত ইমিডিয়েটলি। তারপর যে স্টেপগুলো আছে পরে আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

23/06/2021

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক লায়ন মোঃ আসলাম চৌধূরীর শর্তহীন মুক্তি চাই দিতে হবে।
23/06/2021

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক লায়ন মোঃ আসলাম চৌধূরীর শর্তহীন মুক্তি চাই দিতে হবে।

প্রসঙ্গ : বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগঃ----------------------------------------সৈয়দ আবদাল আহমদলেখক সাংবাদিক, ...
23/06/2021

প্রসঙ্গ : বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগঃ-
--------------------------------------
-সৈয়দ আবদাল আহমদ
লেখক সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব
--------------------------------------

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের অবসানের পর বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বিচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন বেগম খালেদা জিয়া। ‘দেশনেত্রী’ ও ‘আপসহীন’ নেত্রী বিশেষণে দেশে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। সেই তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের ইতিহাসের এটি অবিচ্ছেদ্দ অংশ, যা মুছে ফেলা যাবে না।
১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের কথা। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি নিয়ম চালু ছিল, মাসে একটি বা দু’টি ‘মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত বিশেষ সভা’ হতো। মন্ত্রণালয়ের নানা প্রকল্পের ও কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ নেয়াই ছিল সভার লক্ষ্য। এতে সিনিয়র মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত থাকতেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস শাখায় দায়িত্ব থাকায় ওই সভায় প্রায়ই উপস্থিত থাকতাম। কোনো সভায় প্রেস সচিবও থাকতেন।

একদিন এমনই একটি সভা চলছিল ত্রাণ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত। মন্ত্রী-সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে তৎকালীন একান্ত সচিব সাবিহ উদ্দিন আহমেদ এবং আমারও উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়। সভা শুরু হলো। বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন, কাবিখা, খাল খনন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। মানুষের কল্যাণের সাথে জড়িত প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই অনুমোদন করে দেয়া হলো। অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকেও দেখলাম প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়ে দ্রুত টাকা ছাড় করার কথা বলছেন। আলোচনার একপর্যায়ে তৎকালীন ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ একটি বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বললেন, “ম্যাডাম এ সময় তো ‘কামলা’ পাওয়া যায় না”। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তৎক্ষণাৎ মাইক্রোফোন অন করে বললেন, “আজাদ আপনি এটা কী শব্দ বললেন? তারা ঘাম ঝরিয়ে কাজ করেন। তাদের ‘শ্রমজীবী মানুষ’ বলতে অসুবিধাটা কোথায়? ‘কামলা’ তো গালাগাল অর্থে ব্যবহার করা হয়। প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতি দিলেন এর পর থেকে শব্দটি আর তিনি ব্যবহার করবেন না। এই হলেন খালেদা জিয়া।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে যোগ দেয়ার পর প্রেস সচিব হিসেবে তৎকালীন পিআইও আবদুস সোবহান ভাইকে পাই। তার আগে প্রেস সচিবের কক্ষে বসতেন সাংবাদিক সম্পাদক তোয়াব খান। তিনি প্রেসিডেন্ট এরশাদের প্রেস সচিব ছিলেন। সোবহান ভাই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব হিসেবে এ কক্ষে বসার পর আমরা তার টেবিলের ড্রয়ারে আগের আমলের কিছু আছে কি না দেখছিলাম। একটি ড্রয়ারে পেলাম অনেকগুলো লেখা প্যাডের কাগজ। রাষ্ট্রপতির অফিসের প্যাডের কাগজ। এতে প্রাপ্তি স্বীকার স্বাক্ষর করা। এরশাদের কাছ যারা অর্থ নিয়েছিলেন তার প্রাপ্তি স্বীকার। আমরা বেশ মজা পেলাম।


এদের মধ্যে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, শিল্পী, কবি-সাহিত্যিক এবং অন্যান্য পেশার ব্যক্তি রয়েছেন। টাকার পরিমাণ খুব একটা বেশি না। পঁচিশ, পঞ্চাশ হাজার, এক লাখের মতো। অবশ্য ১৯৯১ সালের আগে এ পরিমাণ টাকা একেবারে কমও না। যাই হোক, আমরা কাগজগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই। বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষে তাকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রগুলো দেয়ার পর তিনি এক এক করে সেগুলো দেখলেন। আমরা তার সামনে চেয়ারে বসা। দেখা শেষ হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বললেন, ‘সোবহান সাহেব, এগুলো পুড়িয়ে ফেলুন। এখনি পুড়িয়ে ফেলুন।’ আমি বললাম, ম্যাডাম প্রেসে দিলে তো মানুষ জানতে পারতেন। তিনি আমাকে অনেকটা ধমকের সুরেই বললেন, ‘এরশাদ সাহেব যে টাকা বিলাতেন সেটি তো সবাই জানেন। তা ছাড়া তার তো পতন হয়েছে, জনগণ তাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। আর প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে যাদের নাম দেখছি তারা তো আমাদের দেশের সৃজনশীল ও গুণী মানুষ। হয়তো একান্ত প্রয়োজনেই টাকা নিয়েছেন। প্রেসে গেলে তাদের সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট হবে না? কেন আমরা তা করব? এই হলেন খালেদা জিয়া।

১৯৯৬ সালের ৩১ মার্চের ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার শেষ কার্য দিবস। কিছুক্ষণ পরই তিনি বঙ্গভবনে যাবেন রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিতে। প্রধানমন্ত্রীর কক্ষ থেকে বের হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তার মনে হলো ‘রাজারবাগ-শহিদবাগ মোড়ে’ নিহত একজন পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারকে প্রতিশ্রুত অর্থ সহযোগিতা করা হয়নি। তিনি তৎকালীন সচিব ড. কামাল সিদ্দিকীকে ডাকলেন। ফাইল আনিয়ে সেই অর্থ সহযোগিতার নোটে স্বাক্ষর করে বললেন, ‘আমি বঙ্গভবনে যাওয়ার আগেই যেন নিহতের পরিবার টাকার চেক পায়।’ এই হলেন খালেদা জিয়া।

বেগম খালেদা জিয়া আজ ভীষণ অসুস্থ। তিনি ৭৫ বছর পার করে এখন বার্ধক্যে উপনীত। দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দু’বার। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কখনো হারেননি। সব সময়ই রেকর্ডসংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের মানুষ এখনো তাকে অসম্ভব ভালোবাসেন। প্রতিটি দুর্যোগে তিনি ছুটে গেছেন দুর্গত মানুষের পাশে। দুই হাতে সহযোগিতা করেছেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট তৈরিতে, শিক্ষার বিস্তারে, মানুষকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করেত হাঁস-মুরগির খামার, গরু-ছাগলের খামার, বৃক্ষরোপণ প্রভৃতিতে নিয়োজিত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নিয়ে তা অনুমোদন করে দিয়েছেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তিনি। স্বামী জিয়াউর রহমান যখন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তখন দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে একাত্তরে বন্দিশিবিরে তিনি। স্বামী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর জনগণের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই গৃহবধূ থেকে রাজনীতি আসেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেন। নব্বইয়ের স্বৈরশাসনের পতনের পর দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসে। তিনিই সংসদে বিল এনে দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করেন। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেন

Address

মিশন মোড়

5500

Telephone

+8801972020702

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BNP NewS SP posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BNP NewS SP:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share