06/12/2024
টিউশনির মতো জঘন্য কাজ হয় না। টাকার বিনিময়ে মানসম্মান বিকিয়ে দেওয়া ছাড়া কিছুই না।
আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়ি। আমি আমার এক কলেজ শিক্ষকের ৩য় শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেকে পড়াতাম। স্যারের ক্লাস টেনে পড়ুয়া মেয়ে আছে। আমি মেয়েদের ব্যাপারে খুবই সেন্সেটিভ। আমি সবসময় মেয়েদের অতিরিক্ত ঢলে পড়া অপছন্দ করি। যেদিন থেকে স্যারের বাসায় পড়াতে গেছি, স্যারের মেয়ে কারণে অকারণে কথা বলার চেষ্টা করেছে। সালাম দেওয়া, হাই হ্যালো করে কথা বাড়াতে চেয়েছে। আমি তার দিকে তাকিয়েও কথা বলিনি, যাতে স্যার খারাপভাবে নিতে পারেন না। আমি সালামের উত্তর দিয়ে ভালো আছি ছাড়া, সে কেমন আছে জিজ্ঞেস পর্যন্ত করিনি। বলা যায় আমি তাকে প্রতিনিয়ত ইগনোর করেছি। সে মাঝে মাঝে ঘরোয়া পোশাকেও সামনে আসত দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, কিন্তু আমি বরাবরই তাকে প্রত্যাখ্যান করেছি।
কিছুদিন আগে, তার পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। সে বাংলায় একটু খারাপ করেছে, মানে ৩০ টা এমসিকিউতে ২৮ পেয়েছে। আমার হিসেবে এটা খারাপ বলা যায় না। যা হোক, সে তার মাকে বলেছে তার বাংলার টিচার লাগবে। বাংলার একজন স্কুল শিক্ষককে তাকে পড়ানোর জন্য ঠিক করা হয়, যিনি বাসায় এসে পড়াবেন। কিন্তু সে রাজি হয়নি, বরং সে তার মাকে বলেছে, সে ইয়ং, রানিং স্টুডেন্ট ছাড়া পড়বে না। তার মা উপায় না পেয়ে আমাকে জোর করেছিলেন পড়ানোর জন্য। বলা যায়, অনেক অনুরোধ করেছেন পড়ানোর জন্য। আমি স্যারের মেয়ের আচরণ দেখে ভেবে চিন্তে রাজি হইনি। আমি পড়াতে রাজি না হওয়ায়, ইগনোর করায় সে এটাকে ভালোভাবে নেয়নি। সে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার বাবা-মাকে বলেছে আমি নাকি তাকে চুরি করে দেখি। তার শরীরের দিকে চেয়ে থাকি, আস্তাগফিরুল্লাহ! এসব শুনে আমি পুরো কাঠ হয়ে গেছি। শুধু মনে হচ্ছে, বাবার আর্থিক সঙ্গতি থাকলে আমি কস্মিনকালেও এই টিউশনের পথে পা বাড়াতাম না। আল্লাহ সমস্ত টিউটরের আয়ে বরকত দেন এবং সম্মানের হেফাজত করুন।
সংগৃহীত পোস্ট।
সবাইকে সঠিক বুঝ দান করো।