Diner Dishari

Diner Dishari লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

20/03/2024

আজকের বাচ্চা আগামী দিনের মুসুল্লি। তাই বাচ্চাদের মসজিদে নিয়ে আসবেন। বাচ্চারা দুস্টামি করবেই, তাই বলে তাদের বকা দিয়ে মসজিদের আসতে নিরুৎসাহিত করবেন না।

01/03/2024
24/02/2024

রাসুল (সা:) এর উপরে প্রথম ওহি কিভাবে নাজিল হয়েছিল

23/02/2024

জুম্মার খুতবা। মসজিদে উসমান, আলোরমেলা, কিশোরগঞ্জ

23/02/2024

আবুল কালাম আজাদ বাশার সাহেবের ঈমানী আলোচনা।
উত্তর পানান, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ

https://youtu.be/XI5Ciz6xb5Q
17/02/2024

https://youtu.be/XI5Ciz6xb5Q

রমজানের প্রস্তুতি, মিরাজের শিক্ষা, নারীর পর্দা নিয়ে খুবই চমৎকার আলোচনা করেছেন মুফতি মো: আলমগীর হোসেন সম্মানিত খত.....

https://www.youtube.com/watch?v=A2M8s-1PGos&t=2548s
07/02/2024

https://www.youtube.com/watch?v=A2M8s-1PGos&t=2548s

আবুল কালাম বাশার সাহেবের একটি প্রাণবন্ত আলোচনা। মুনিনের পরিচয়, মুনিন কারা, মুমিন কেন নির্যাতিত।স্থানঃ উত্তর পান....

08/12/2023

লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না!
আমি উচিৎ কথা মুখের উপর বলে দেই"!
আপনি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড!
যা মনে আসে তাই বলেন!
গালাগাল সহ সরাসরি মুখের উপর সব বলে দেন!
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত!
সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন!

ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয় ।
◾যে ব্যক্তি:-
★ সরাসরি কাউকে লাঞ্চিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
★ কাউকে তাচ্ছিল্য ভরে কোনকিছু নির্দেশ করে (আঙুল,চোখ, মাথা বা ভ্রু দ্বারা) ।
★ কারও অবস্থান বা পদবি নিয়ে তাকে ব্যাঙ্গ করে।
★ কারো বংশের নিন্দা করে বা বংশ নিয়ে কথা বলে।
★ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, অপমান করে।
★ কারও মুখের উপর তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে।
★ সরাসরি বাজে কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করে।
★ কাউকে এমন কোনো কথা বললো যাতে আরেকজন কষ্ট পাবে।
★ অসন্মান করে কথা বললো।দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে সামনে নিন্দাকারী ও পেছনে গীবতকারী।

দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে সামনে নিন্দাকারী ও পেছনে গীবতকারী
উপরোক্ত ব্যক্তিরাই মূলতঃ "লুমাযাহ" এর অন্তর্ভুক্ত।

আল্লহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন।
আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।

নবী (সাঃ) বলেছেন, "যার ভিতরে নম্রতা নেই, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত"।

আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি।
মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন।

হয়তো আমিও লুমাজার অন্তর্ভুক্ত, তবে চেষ্টা করছি নিজেকে বাঁচাতে। আল্লাহ তৌফিক দান করুন।

21/11/2023

একদিন নবী করিম (সাঃ)এর একজন সাহাবী মা*রা গেলেন
রাসূল পাক (সাঃ) উনার জানাজা পড়ালেন I তারপর একদল সাহাবী মৃ*তদেহ কবর দেয়ার জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসলেন I সবার সাথে আমাদের নবী করিমও (সাঃ)হেঁটে হেঁটে আসলেন I

দুই জন সাহাবী কবর খুঁড়তে শুরু করলেন I সবাই মৃত দেহকে ঘিরে বসে আছেন I কবর খনন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন I সবাই চুপচাপ, নীরব ও শান্ত একটি পরিস্থিতি I

নবীজি গভীর মনোযোগ দিয়ে কবর খোঁড়া দেখছিলেন একটু পর সবার দিকে তাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "তোমরা কি জানো, মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?"

সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে নবীজি কে বললেন, -ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমাদেরকে বলুন I

নবীজি একটু চুপ করে থাকলেন I সবাই উনার কাছে এসে ঘিরে বসলেন I মৃত্যুর পর আত্মার কি হয়, এই তথ্য তাঁদের জানা ছিল না I আজ সেটা নবীজির মুখে শুনবেন I কত বড় সৌভাগ্য I শুনার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে নবীজির কাছে এসে বসলেন I

তিনি একবার কবরের দিকে তাকিয়ে মাথাটা তুলে আকাশের দিকে তাকালেন তারপর তিনি গল্পের মত করে বলতে শুরু করলেনI

"শুনো, যখন মানুষ একেবারেই মৃত্যু শয্যায়, তখন সে মৃত্যুর ফেরেস্তাকে দেখে ভয় পেয়ে যায় I কিন্তু যে বিশ্বাসী ও ভালো মানুষ তাকে মৃত্যুর ফেরেস্তা হাসি মুখে সালাম দেন I তাকে অভয় দেন এবং মাথার পাশে এসে ধীরে ও যত্ন করে বসেন I তারপর মৃত প্রায় মানুষটির দিকে তাকিয়ে বলেন, -হে পবিত্র আত্মা ! তুমি তোমার পালনকর্তার ক্ষমা ও ভালোবাসা গ্রহণ করো এবং এই দেহ থেকে বের হয়ে আসোI মুমিনের আত্মা যখন বের হয়ে আসে তখন সে কোন ধরণের ব্যথা ও বেদনা অনুভব করে না I

নবী আরো একটু ভালো করে উদাহরণ দিয়ে বললেন,
-মনে করো একটা পানির জগ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর উপর থেকে এক ফোঁটা পানি যেমন নিঃশব্দে উপর থেকে নিচে নেমে আসে ঠিক তেমনি নীরবে ও কষ্ট ছাড়াই আত্মাটি তার দেহ থেকে বের হয়ে আসেI সেই সময় দুই জন অন্য ফেরেস্তা বেহেস্ত থেকে খুব সুগন্ধি মাখানো একটা নরম সুতার সাদা চাদর নিয়ে আসেন এবং তারা আত্মাটিকে সেই চাদরে আবৃত করে আকাশের দিকে নিয়ে যান I

তারা যখন আকাশে পৌঁছেন তখন অন্য ফেরেস্তারা সেই আত্মাটিকে দেখার জন্য এগিয়ে আসেনI কাছে এসে সবাই বলেন, সুবহানাল্লাহ ! কত সুন্দর আত্মা, কি সুন্দর তার ঘ্রান ! তারপর সবাই জানতে চান, এই আত্মাটি কার ?
উত্তরে আত্মা বহন কারী ফেরেস্তারা বলেন, -উনি হলেন, "ফুলান ইবনে ফুলান" (নবী আরবিতে বলেছেন, বাংলায় হলো, "অমুকের সন্তান অমুক" )
বাকি ফেরেস্তা গন তখন আত্মাটিকে সালাম দেয়, তারপর আবার জিজ্ঞেস করে, -উনি কি করেছেন ? উনার আত্মায় এতো সুঘ্রাণ কেন ?
আত্মা বহন কারী ফেরেস্তা গন তখন বলেন, -আমরা শুনেছি মানুষজন নিচে বলা-বলি করছে, উনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন, আল্লাহর ভালো বান্দা, অনেক দয়ালু, মানুষের অনেক উপকার করেছেন I

এতটুকু বলার পর নবী একটু থামলেন I

তারপর সবার দিকে ভালো করে দৃষ্টি দিয়ে, উনার কণ্ঠটা একটু বাড়িয়ে বললেন, এই কারণেই বলছি, সাবধান ! তোমরা কিন্তু মানুষের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবে না I তুমি মারা যাওয়ার পর মানুষ তোমার সম্পর্কে যা যা বলবে, এই আত্মা বহন কারী ফেরেস্তারাও আকাশে গিয়ে ঠিক একই কথা অন্যদেরকে বলবেI

এই কথা বলে তিনি আবার একটু চুপ করলেন, কবরটার দিকে দৃষ্টি দিলেন I

আবার বলতে শুরু করলেন I

এই সময় মানুষ যখন পৃথিবীতে মৃত দেহকে কবর দেয়ার জন্য গোসল দিয়ে প্রস্তুত করবে তখন আল্লাহ তা'আলা আত্মা বহন কারী ফেরেশতাদেরকে বলবেন, "যাও , এখন তোমরা আবার এই আত্মাকে তার শরীরে দিয়ে আসো, মানুষকে আমি মাটি থেকে বানিয়েছি, মাটির দেহেই তার আত্মাকে আবার রেখে আসো I সময় হলে তাকে আমি আবার পুনরায় জীবন দিবো I"

তারপর মৃতদেহকে কবরে রেখে যাওয়ার পর দুই জন ফেরেস্তা আসবেন I তাদের নাম মুনকার ও নাকির I
তারা মৃতের সৃষ্টিকর্তা, তার ধর্ম ও নবী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন I

মুনকার নাকির চলে যাওয়ার পর, আত্মাটি আবার অন্ধকার কবরে একাকী হয়ে যাবে I সে এক ধরণের অজানা আশংকায় অপেক্ষা করবে I কোথায় আছে ? কি করবে ? এক অনিশ্চয়তা এসে তাকে ঘিরে ধরবে I

এমন সময় সে দেখবে, খুব সুন্দর একজন তার কবরে তার সাথে দেখা করতে এসেছেনI তাঁকে দেখার পর আত্মাটি ভীষণ মুগ্ধ হবেI এতো মায়াবী ও সুন্দর তার চেহারা, সে জীবনে কোন দিন দেখেনিI
আত্মাটি তাকে দেখে জিজ্ঞেস করবে, -তুমি কে ?
সেই লোকটি বলবে, -আমি তোমার জন্য অনেক বড় সু- সংবাদ নিয়ে এসেছি, তুমি দুনিয়ার পরীক্ষায় উর্তীর্ণ হয়েছো, তোমার জন্য আল্লাহ তা'আলা জান্নাতের ব্যবস্থা করেছেন, তুমি কি সেটা একটু দেখতে চাও?
আত্মাটি ভীষণ খুশি হয়ে বলবে, -অবশ্যই আমি দেখতে চাই, আমাকে একটু জান্নাত দেখাও I
লোকটি বলবে, -তোমার ডান দিকে তাকাও I
আত্মাটি ডানে তাকিয়ে দেখবে কবরের দেয়ালটি সেখানে আর নেই I সেই দেয়ালের দরজা দিয়ে অনেক দূরে সুন্দর বেহেস্ত দেখা যাচ্ছে I
বেহেস্তের এই রূপ দেখে আত্মাটি অনেক মুগ্ধ হবে ও প্রশান্তি লাভ করবে I
এবং সেখানে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে লোকটিকে জিজ্ঞেস করবে,
-আমি সেখানে কখন যাবো ? কিভাবে যাবো ?
লোকটি মৃদু হেসে বলবেন,
- যখন সময় হবে, তখনই তুমি সেখানে যাবে ও থাকবেI আপাততঃ শেষ দিবস পর্যন্ত তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে I ভয় পেও নাI আমি তোমার সাথেই আছি I তোমাকে আমি সেই দিন পর্যন্ত সঙ্গ দিবো I
আত্মাটি তখন তাকে আবারো জিজ্ঞেস করবে,
-কিন্তু তুমি কে ?
তখন লোকটি বলবে,
-আমি তোমার এতদিনের আমল, পৃথিবীতে তোমার সব ভালো কাজের, তোমার সব পুণ্যের রূপ আমি, আজ তুমি আমাকে একজন সঙ্গীর মত করে দেখছো I আমাকে আল্লাহ তা'আলা তোমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্যই এখানে পাঠিয়েছেন I এই কথা বলে, লোকটি আত্মাটির উপর যত্ন করে হাত বুলিয়ে দিবেন এবং বলবেন, -হে পবিত্র আত্মা ! এখন তুমি শান্তিতে ঘুমাও I নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নাও I

এই কথা বলার পর, আত্মাটি এক নজরে বেহেস্তের দিকে তাঁকিয়ে থাকবে এবং একসময় এই তাকানো অবস্থায় গভীর প্রশান্তিতে ঘুমিয়ে পড়বে I

নবীজি এতটুকু বলে আবার একটু থামলেনI
সাহাবীরা তখন গায়ের কাপড় দিয়ে ভেজা চোখ মুছলেন I

(বুখারী ও মুসনাদের দুইটি হাদিস অবলম্বনে)

আল্লাহ আমাদের পবিত্র আত্মা হওয়ার তাওফিক দান করুন.........আমিন ❤️
.......... সংগ্রহীত

10/11/2023

** পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য **

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত নং – ২৩
আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল।

আয়াতের তফসিরঃ
আর আপনার রব আদেশ দিয়েছেন তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত না করতে (১) ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে।(২) তারা একজন বা উভয়ই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না(৩); তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বল।(৪)
১. আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বান্দাদেরকে একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
২. এ আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা পিতা-মাতার আদব, সম্মান এবং তাঁদের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে নিজের ইবাদতের সাথে একত্রিত করে ফরয করেছেন। যেমন, অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা নিজের শোকরের সাথে পিতা-মাতার শোকরকে একত্রিত করে অপরিহার্য করেছেন। বলা হয়েছেঃ “আমার শোকর কর এবং পিতা-মাতারও” [সূরা লুকমানঃ ১৪]।
এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ্ তা'আলার ইবাদতের পর পিতামাতার আনুগত্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং আল্লাহ্ তা'আলার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার ন্যায় পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়াও ওয়াজিব। হাদীসে রয়েছে, কোন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করলঃ আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কাজ কোনটি? তিনি বললেনঃ সময় হলে সালাত পড়া। সে আবার প্রশ্ন করলঃ এরপর কোন কাজটি সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেনঃ পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার। [মুসলিমঃ ৮৫]
তাছাড়া বিভিন্ন হাদীসে পিতা-মাতার আনুগত্য ও সেবাযত্ন করার অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, যেমনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “পিতা জান্নাতের মধ্যবর্তী দরজা। এখন তোমাদের ইচ্ছা, এর হেফাযত কর অথবা একে বিনষ্ট করে দাও” [তিরমিযীঃ ১৯০১]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ “আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতার সন্তুষ্টির মধ্যে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টির মধ্যে নিহিত” [তিরমিযীঃ ১৮৯৯]।
অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “সে ব্যক্তির নাক ধুলিমলিন হোক, তারপর ধুলিমলিন হোক, তারপর ধুলিমলিন হোক”, সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে কে? রাসূল বললেনঃ “যে পিতা-মাতার একজন বা উভয়কে তাদের বৃদ্ধাবস্থায় পেল তারপর জান্নাতে যেতে পারল না”। [মুসলিমঃ ২৫৫১]
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করেন, কোন আমল মহান আল্লাহর কাছে বেশী প্রিয়? রাসূল বললেনঃ সময়মত সালাত আদায় করা। তিনি বললেন, তারপর কোন কাজ? তিনি বললেন, পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। তিনি বললেন, তারপর? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। [বুখারীঃ ৫৯৭০] তবে সৃষ্টিকর্তার নাফরমানীর কাজে কোন সৃষ্ট-জীবের আনুগত্য জায়েয নয়। সে হিসেবে কোন কোন বিষয়ে পিতা-মাতার আনুগত্য ওয়াজিব তো নয়ই; বরং জায়েযও নয়। কিন্তু পিতা-মাতার সেবাযত্ন ও সদ্ব্যবহারের জন্য তাদের মুসলিম হওয়া জরুরী নয়, আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেনঃ আমার জননী মুশরিকা। তিনি আমার সাথে দেখা করতে আসেন। তাকে আদর-আপ্যায়ন করা জায়েয হবে কি? তিনি বললেন “তোমার জননীকে আদর-আপ্যায়ন কর।” [মুসলিমঃ ১০০৩] কাফের পিতা-মাতা সম্পর্কে অন্যত্র আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ আমি মানুষকে নির্দেশ দিচ্ছি তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তবে ওরা যদি তোমার উপর বল প্রয়োগ করে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করতে যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তুমি তাদেরকে মেনো না। [সূরা আল-আনকাবূতঃ ৮]
আল্লাহ আরেক জায়গায় বলেনঃ “তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সমকক্ষ দাঁড় করাতে যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তুমি তাদের কথা মেনো না, তবে পৃথিবীতে তাদের সাথে বসবাস করবে। সদভাবে”। [সূরা লুকমানঃ ১৫]
অর্থাৎ যার পিতা-মাতা কাফের এবং তাকেও কাফের হওয়ার আদেশ করে এ ব্যাপারে তাদের আদেশ পালন করা জায়েয নয়, কিন্তু দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে চলতে হবে। বলাবাহুল্য, আয়াতে ‘মারুফ’ বলে তাদের সাথে আদর-আপ্যায়নমূলক ব্যবহার বোঝানো হয়েছে। ইসলাম পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের এমনই গুরুত্ব দিয়েছে যে, যদি জিহাদ ফরযে আইন না হয়, ফরযে কেফায়ার স্তরে থাকে, তখন পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া সন্তানের জন্যে জেহাদে যোগদান করা জায়েয নেই। আবদুল্লাহ ইবনে আমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, “একলোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জিহাদের যাওয়ার অনুমতি চাইল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার পিতামাতা কি জীবিত? সে বললঃ হ্যাঁ। রাসূল বললেন, “তাহলে তুমি তাদের খেদমতে জিহাদ করো”। [মুসলিমঃ ২৫৪৯] অনুরূপভাবে পিতামাতার মৃত্যুর পরে তাদের বন্ধুদের সাথে সদ্ব্যবহার করারও নির্দেশ রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “কোন লোকের জন্য সবচেয়ে উত্তম নেককাজ হলো, পিতার মৃত্যুর পরে তার বন্ধুদের সাথে সদ্ব্যবহার করা।” [মুসলিমঃ ২৫৫২]
৩. পিতা-মাতার সেবাযত্ন ও আনুগত্য পিতা-মাতা হওয়ার দিক দিয়ে কোন সময়ও বয়সের গন্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। সর্বাবস্থায় এবং সব বয়সেই পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ওয়াজিব। কিন্তু বার্ধক্যে উপনীত হয়ে পিতা-মাতা সন্তানের সেবাযত্নের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে এবং তাদের জীবন সন্তানদের দয়া ও কৃপার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন যদি সন্তানের পক্ষ থেকে সামান্যও বিমুখতা প্ৰকাশ পায়, তবে তাদের অন্তরে তা ক্ষত হয়ে দেখা দেয়। অপরদিকে বার্ধক্যের উপসৰ্গসমূহ স্বভাবগতভাবে মানুষকে খিটখিটে করে দেয়। তদুপরি বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে যখন বুদ্ধি-বিবেচনাও অকেজো হয়ে পড়ে, তখন পিতা-মাতার বাসনা এবং দাবীদাওয়াও এমনি ধরনের হয়ে যায়, যা পূর্ণ করা সন্তানের পক্ষে কঠিন হয়। আল্লাহ তা'আলা এসব অবস্থায় পিতা-মাতার মনোতুষ্টি ও সুখ-শান্তি বিধানের আদেশ দেয়ার সাথে সাথে সন্তানকে তার শৈশবকাল স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, আজ পিতা-মাতা তোমার যতটুকু মুখাপেক্ষী, এক সময় তুমিও তদপেক্ষা বেশী তাদের মুখাপেক্ষী ছিল।
তখন তাঁরা যেমন নিজেদের আরাম-আয়েশ ও কামনাবাসনা তোমার জন্যে কোরবান করেছিলেন এবং তোমার অবুঝ কথাবার্তাকে স্নেহমমতার আবরণ দ্বারা ঢেকে নিয়েছিলেন, তেমনি মুখাপেক্ষিতার এই দুঃসময়ে বিবেক ও সৌজন্যবোধের তাগিদ এই যে, তাদের পূর্ব ঋণ শোধ করা কর্তব্য। أف বাক্যে এদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যদ্দারা বিরক্তি প্ৰকাশ পায়। এমনকি, তাদের কথা শুনে বিরক্তিবোধক দীর্ঘশ্বাস ছাড়াও এর অন্তর্ভুক্ত। মোটকথা, যে কথায় পিতা-মাতার সামান্য কষ্ট হয়, তাও নিষিদ্ধ। এরপর বলা হয়েছে, (وَلَا تَنْهَرْهُمَا) এখানে نهر শব্দের অর্থ ধমক দেয়া। এটা যে কষ্টের কারণ তা বলাই বাহুল্য।
৪. প্রথমোক্ত দুটি আদেশ ছিল নেতিবাচক তাতে পিতা-মাতার সামান্যতম কষ্ট হতে পারে, এমনসব কাজেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। [ইবন কাসীর] তৃতীয় আদেশে ইতিবাচক ভঙ্গিতে পিতা-মাতার সাথে কথা বলার আদব শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, তাদের সাথে সম্প্রীতি ও ভালবাসার সাথে নাম স্বরে কথা বলতে হবে। [ফাতহুল কাদীর]

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত নং – ২৪
আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’।
২৪. আর মমতাবশে তাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত কর(১) এবং বল, 'হে আমার রব! তাদের প্ৰতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন'।(২)
১. পাখি যেভাবে তার সন্তানদের লালন পালন করার সময় তার দু’ডানা নত করে আগলে রাখে তেমনি পিতা-মাতাকে আগলে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া পাখি যখন উড়ে তখন ডানা মেলে ধরে তারপর যখন অবতরণ করতে চায় তখন ডানা গুটিয়ে নেয়, তেমনি পিতামাতার প্রতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাখি যেভাবে নিচে নামার জন্য গুটিয়ে নিয়ে নিজেকে নিচে নামায় তেমনি তুমি নিজেকে গৰ্ব-অহংকার মুক্ত হয়ে পিতা-মাতার সাথে ব্যবহার করবে। [ফাতহুল কাদীর] উরওয়া ইবনে যুবাইর বলেন এর অর্থ, তাদের নির্দেশ মান্য করা এবং তাদের কাংখিত কোন বস্তু দিতে নিষেধ না করা। [ফাতহুল কাদীর]
২. এর সারমর্ম এই যে, পিতা-মাতার ষোল আনা সুখ-শান্তি বিধান মানুষের সাধ্যাতীত। কাজেই সাধ্যানুযায়ী চেষ্টার সাথে সাথে তাদের জন্যে আল্লাহ্ তা'আলার কাছে দোআ করবে যে, তিনি যেন করুণাবশতঃ তাদের সব মুশকিল আসান করেন এবং কষ্ট দূর করেন। বৃদ্ধ অবস্থা ও মৃত্যুর সময় তাদেরকে রহমত করেন। [ইবন কাসীর] সর্বশেষ আদেশটি অত্যন্ত ব্যাপক ও বিস্তৃত। পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও দো’আর মাধ্যমে সর্বদা পিতা-মাতার খেদমত করা যায়। পিতা-মাতা মুসলিম হলেই তাদের জন্য রহমতের দোআ করতে হবে, কিন্তু মুসলিম না হলে তাদের জীবদ্দশায় পার্থিব কষ্ট থেকে মুক্ত থাকা ও ঈমানের তওফীক লাভের জন্য করা যাবে। মৃত্যুর পর তাদের জন্যে রহমতের দোআ করা জায়েয নেই।

 #চুপথাকার ফজিলত🤫চুপ থাকা মানে দুনিয়াবী কথা থেকে চুপ থাকা।জিহ্বা সবসময় জিকির সিক্ত রাখা। রাসূল (সা.)অনেক বেশী চুপ থাকতেন...
08/11/2023

#চুপথাকার ফজিলত🤫

চুপ থাকা মানে দুনিয়াবী কথা থেকে চুপ থাকা।জিহ্বা সবসময় জিকির সিক্ত রাখা। রাসূল (সা.)অনেক বেশী চুপ থাকতেন । মুখ দিয়ে বের হওয়া কথাটা হয় সওয়াব হবে না হয় গুনাহ হবে ।

★মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার কাজে সচেতন পাহারাদার তার নিকটে রয়েছে ।
(সূরা কাহাফ : আয়াত : ১৮)

★রাসূল (সা.) বলেন, যে আল্লাহ এবং আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে তাঁর উচিত ভালো কথা বলা অথবা চুপ থাকা ।
(বুখারী শরীফ)

★রাসূল (সা.) বলেন, যে চুপ থেকেছে সে নাজাত পেয়েছে
(তিরমিজী শরীফ)

★রাসূল (সা.) বলেন, যে মানুষ তার জবান ও যৌন জীবনের জামীন হতে পারে, আমি তার জান্নাতের জামীন হব ।
(বুখারী শরীফ)

★রাসূল (সা.) বলেন, যে নিরাপদ থাকতে চায় তার চুপ থাকা অতি জরুরী ।
(মুসনাদ আবী ইয়া`লা)

★রাসূল (সা.) বলেন, জিহ্বা মানুষের অধিকাংশ পাপের মূল ।

★রাসূল (সা.) বলেন, চুপ থাকা একটি ইবাদত ।

★চুপ থাকা হলো আলেমের সৌন্দর্য আর জাহেলের পর্দা ।
(জামেউস সগীর)

★চুপ থাকা আখলাক সমূহের সরদার ।
(মুসনাদুল ফিরদাউস)

★তোমার ওপর, নেকীর কথা বলা ছাড়া (বাকি সময়ে) বেশি চুপ থাকা জরুরি করে নেও । কারণ, এটি শয়তানকে তোমার নিকট থেকে দূর করে দেবে । আর ইসলামের কাজে তোমার সহায়তাকারী হবে । (ইবনে হিব্বান)

★হিকমতের ১০টি অংশ আছে ৯টি অংশ একাকীতে আর ১টি অংশ চুপ থাকাতে আছে । (মুসনাদুল ফিরদাউস)

★হক কথা বলা ছাড়া চুপ থাক।তাহলে এর কারণে তুমি শয়তানের ওপর জয়ী হবে।

🔴রাসূল (সা.) বলেন, ৪টি বিষয় যা একজন মানুষের নিকট কমই থাকতে পারে ।

(ক) চুপ থাকা যা ইবাদতের খুঁটি ।
(খ) আল্লাহর নিকট মিনতি ।
(গ) দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ।
(ঘ) অল্পে তুষ্টি ।

★হজরত সুলায়মান (আ.) বলেন, যদি কথা বলা রুপা হয় তাহলে চুপ থাকা স্বর্ণ ।

★হজরত দাউদ (আ.) বলেন, “আমি কথা বলে অনেক বার লজ্জিত হয়েছি কিন্তু চুপ থেকে কখনো লজ্জিত হইনি ।”

★হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক বলেন, যদি আল্লাহর কাজ করার কথা বলা রুপা হয় তাহলে তাঁর নাফরমানীমূলক কথাবার্তা থেকে চুপ থাকা স্বর্ণ ।

★হজরত সুফিয়ান সওরী (রহ.) বলেন, দীর্ঘ চুপ থাকা ইবাদতের ভাণ্ডার ।

★হজরত সুফিয়ান সওরী (রহ.) বলেন, ইবাদতের শুরু; চুপ থাকা । অতঃপর ইলম হাসিল করা, এরপর তা মনে রাখা । তারপর তার ওপর আমল করা । সবশেষে তা শেয়ার করা ।

★পূর্বের যামানার নেক লোক কম কথা বলতেন ।

★নারীর সৌন্দর্য লজ্জা আর বুদ্ধিমানের সৌন্দর্য হল চুপ থাকা ।

★ চুপ থাকা নেক লোকদের দোয়া ও ভদ্রতার ভিত্তি ।

★ চুপ থাকার ছোট ফায়দা হলো ‘নিরাপদে থাকা’, আর কথা বলে মানুষের ছোট লোকসান হল ‘লজ্জিত হওয়া’ ।

🔴আদবের ৪টি ভালো দিক

(১) তওবা ।
(২) নফসের বিপরীতে কাজ করা ।
(৩) চুপ থাকা ।
(৪) একাকী থাকা ।

🔴মুমিনের ৪টি ভালো দিক

(১) চুপ থাকা ।
(২) মিথ্যা বর্জনকারী ।
(৩) পরহেজগারীতে বিশুদ্ধতা ।
(৪) রিয়া বা লোক দেখানো থেকে বেঁচে থাকা ।

★অসংযত জিহ্বা সকল ইবাদত বন্দেগী নষ্ট করে দেয় ।

★চুপ থাকা উত্তম পরহেজগারী এর কারণে গুনাহ কম হয় ।

★গীবত থেকে বেঁচে থাকার জন্য চুপ থাকা ।

★আগে পরিমাপ করো; তারপর কথা বলো এবং জবানের কৃপণতা করাই ভালো।

★সব কথার জবাব হয় না আর অপছন্দীয় কথার জবাব থেকে চুপ থাকা ।

★এক কবি বলেন, মুত্তাকী ও পরহেজগার মানুষ নিজের জবানের হেফাযত করার কারণে কথা বলা থেকে বেঁচে থাকে যদিও সে সঠিক কথা বলতে পারে ।

হে আল্লাহ উক্ত কথাগুলোর উপর সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন ।

((আমীন))

পিতা-মাতার প্রতি উত্তম ব্যবহারকারীর দু'আ কবুল হওয়াসাঈদ ইবনু আবূ মারইয়াম (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুল...
03/11/2023

পিতা-মাতার প্রতি উত্তম ব্যবহারকারীর দু'আ কবুল হওয়া

সাঈদ ইবনু আবূ মারইয়াম (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনজন লোক হেঁটে চলছিল। তাদের উপর বৃষ্টি শুরু হলে তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেয়। এমন সময় পাহাড় থেকে একটি পাথর তাদের গুহার মুখের উপর গড়িয়ে পড়ে এবং মুখ বন্ধ করে ফেলে। তাদের একজন অপরজনকে বললঃ তোমরা তোমাদের কৃত আমলের প্রতি লক্ষ্য করো, যে নেক আমল তোমরা আল্লাহর জন্য করেছ; তার ওসিলায় আল্লাহর নিকট দু’আ করো। হয়তো তিনি এটি সরিয়ে দিবেন।

তখন তাদের একজন বলল ইয়া আল্লাহ! আমার বায়োবৃদ্ধ মাতাপিতা ছিল এবং ছেটি ছোট শিশু ছিল। আমি তাদের (জীবিকার) জন্য মাঠে পশু চরাতাম। যখন সন্ধায় ফিরতাম, তখন দুধ দোহন করতাম এবং আমার সন্তানদের আগেই পিতামাতাকে পান করতে দিতাম। একদিন সেগুলো দূরে বনের মধ্যে চলে যায়। ফলে আমার ফিরতে রাত হয়। ফিরে দেখলাম তারা উভয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমি যেমন দুধ দোহন করতাম, তেমনি দোহন করলাম। তারপর দুধ নিয়ে এলাম এবং উভয়ের মাথার কাছে দাড়িয়ে রইলাম। ঘূম থেকে তাদের উভয়কে জাগানো ভাল মনে করলাম না। আর তাদের আগে শিশুদের পান করানোও অপছন্দ করলাম। আর শিশুরা আমার দু’পায়ের কাছে কান্নাকাটি করছিল। তাদের ও আমার মাঝে এ অবস্থা চলতে থাকে। অবশেষে ভোর হয়ে গেল। (ইয়া আল্লাহ) আপনি জানেন যে, আমি কেবল আপনার সন্তুষ্টির জন্যই একাজ করেছি। তাই আপনি আমাদের জন্য একটু ফাঁক করে দিন, যাতে আমরা আকাশ দেখতে পাই। তখন আল্লাহ তাদের জন্য একটু ফাঁক করে দিলেন, যাতে তারা আকাশ দেখতে পায়।

দ্বিতীয় ব্যাক্তি বললঃ ইয়া আল্লাহ! আমার একটি চাচাতো বোন ছিল। আমি তাকে এতখানি ভালবাসতাম, যতখানি একজন পুরুষ কোন নারীকে ভালবাসতে পারে। আমি তাতে একান্তভাবে পেতে চাইলাম। সে অসম্মতি জানাল, যতক্ষণ আমি তার কাছে একশ দ্বীনার উপস্থিত না করি। আমি চেষ্টা করলাম এবং একশ স্বর্ণমুদ্রা জোগাড় করলাম। এগুলো নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করলাম। যখন আমি তার দু’পায়ের মধ্যে বসলাম, তখন সে বলল, হে আবদুল্লাহ! আল্লাহকে ভয় করো; আমার কুমারিত্ত নষ্ট করো না। তখন আমি উঠে গেলাম। ইয়া আল্লাহ! আপনি জানেন যে, কেবল আপনার সন্তুষ্টির জন্যই আমি তা করেছি। তাই আমাদের জন্য এটি ফাঁক করে দিন। তখন তাদের জন্য আল্লাহ আরও কিছু ফাঁক করে দিলেন।

শেষের লোকটি বললঃ ইয়া আল্লাহ! আমি একজন মজদুরকে এক "ফারক" চাউলের বিনিময়ে কাজে নিয়োগ করেছিলাম। সে তার কাজ শেষ করে এসে বলল, আমার প্রাপ্য দিয়ে দিন। আমি তার প্রাপ্য তার সামনে উপস্থিত করলাম কিন্তু সে তা ছেড়ে দিল ও প্রত্যাখ্যান করলো। তারপর তার প্রাপ্য আমি ক্রমাগত কৃষিকাজে খাটাতে লাগলাম। তার দ্বারা অনেকগুলো গরু ও গাধা জমা করলাম। এরপর সে একদিন আমার কাছে এসে বললঃ আল্লাহকে ভয় কর, আমার উপর যুলম করো না এবং আমার প্রাপ্য দিয়ে দাও। আমি বললামঃ গরু ও রাখালের কাছে চলে যাও। সে বললঃ আল্লাহকে ভয় করো, আমরে সাথে উপহাস করো না। আমি বললাম তোমার সঙ্গে আমি উপহাস করছি না। তুমি ঐ গরুগুলো ও তার গাধা নিয়ে যাও। তারপর সে ওগুলো নিয়ে চলে গেল। (ইয়া আল্লাহ) আপনি জানেন যে, তা আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্যই করেছি, তাই আপনি অবশিষ্ট অংশ উন্মুক্ত করে দিন। তারপর আল্লাহ তাদের জন্য তা উন্মুক্ত করে দিলেন।

সহীহ বুখারী- ৫৫৪৯

১ম রোজা: ২৪শে মার্চ, শুক্রবারসেহেরি শেষ সময় ৪ঃ৩৭ মিনিট,ফজরের আজান ৪:৪৩ মিনিটফজরের জামাত: ৪ঃ৫৩ মিনিট।ইফতার ৬ঃ১৩ মিনিটমাগর...
23/03/2023

১ম রোজা: ২৪শে মার্চ, শুক্রবার
সেহেরি শেষ সময় ৪ঃ৩৭ মিনিট,
ফজরের আজান ৪:৪৩ মিনিট
ফজরের জামাত: ৪ঃ৫৩ মিনিট।
ইফতার ৬ঃ১৩ মিনিট
মাগরিবের জামাত ৬ঃ২৮ মিনিট।
বি:দ্র: এই সময় শুধুমাত্র কিশোরগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকার জন্য প্রযোজ্য।

07/01/2023

সূরা আল-হাক্কাহ (الحآقّة), আয়াত: ২৫ - ৩১

২৫. যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবেঃ হায় আমায় যদি আমার আমল নামা না দেয়া হতো।
২৬. আমি যদি না জানতাম আমার হিসাব!
২৭. হায়, আমার মৃত্যুই যদি শেষ হত।
২৮. আমার ধন-সম্পদ আমার কোন উপকারে আসল না।
২৯. আমার ক্ষমতাও বরবাদ হয়ে গেল।
৩০. ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ধর একে গলায় বেড়ি পড়িয়ে দাও,
৩১. অতঃপর নিক্ষেপ কর জাহান্নামে।

Address

Alor Mela
Kishoreganj
2300

Telephone

+8801822890528

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Diner Dishari posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Diner Dishari:

Videos

Share

Nearby media companies

  • Twin poultry Feed

    Twin poultry Feed

    Dhaka Kishoreganj Kotiadi
  • Minar Hossain

    Minar Hossain

    আব্দুল লতিফ প্লাজার পুরান থানা কিশোরগঞ্জ


You may also like