16/10/2022
একজীবনের অক্লান্ত চাওয়া ছিল শৈশবের দিনগুলো শেষ করেই ধাম প্রস্থান...
কি মায়া,কি মোহ!
কিসের কারণে এই ছুটেচলা,যেখানে মৃত্যু এক বিপুল প্রমাণিত ধ্রুব সত্য।
শৈশব ছিল কত নিরহংকার,এখন ঝগড়া এই এখনই আবার ছুটে চলা।
শৈশবের দিনগুলো ছিল সদ্য বাণের জল নেমে যাওয়া নদীর উর্বর চর।
কি সুজলা চাষাবাদ ছিল মধুর শৈশবে।
মায়ের আচল ব্যাতিত কখনো কোথাও খাওয়ার পর হাত মুছা হয়েছে কিনা স্মরণ নেই।
শৈশব সকাল শুরু হতো মক্তবের মাধ্যমে,ইস্কুল শেষ করে বাকি বেলা খেলাধুলায় কাটতো।
দেশীয় ফলের গাছ প্রায় বিলুপ্ত,যা আছে তা বাগান আকারে!
একেক পাড়ায় এক বাড়িতে একেকটা'র জন্য আমাদের নজর থাকতো,কোথাও বড়ই,কোথাও পেয়ারা,কোথাও,ডেফল,কোথা গাব,কোথাও কামরাঙা,কোথাও আম,জলপাই,কাঁঠাল,আতা,জাম,ডাব,পেপে,তাল,বকুল ফল ইত্যাদি।
আমাদের দল খুঁজে বেড়াতো কোথায় কি আছে-
পিঁপড়ের মত কি করে যেনো খবর পেয়ে যেতাম।
এলাকার যত্ত চিপাচাপা আর জঙ্গল গুলোতে বেশিরভাগ গাব গাছ ছিল।
কিন্তু আমরা কেমন যেনো সেবয়সে বেশ নির্ভীক ছিলাম।
ভয় বুঝলে তো ভিতু হতাম তাইনা?
সময় সুযোগ মিলিয়ে গৃহ মালিকের অজান্তেই আধুনিক বা শুদ্ধ অর্থাৎ প্রচলিত বাংলায় চুরি যাকে বলে আরকি!
শুরু করে দিতাম মিশন,আর কতবার যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে তা হিসাব বহির্ভূত।
কি ছিল শৈশব!
কি কাটিয়েছি-
কি দিনগুলো গত হয়েছে,
মায়ের,বাবার,ভাইয়ের,বোনের কিংবা খেলার সাথী যেভাবেই হউক মাইর খাওয়া বাদ যায়নি কোনোদিন।
চোখের কোণে প্রতিদিন'ই আবেগী অশ্রুর ফোঁটা থাকতো'ই।
কি মায়ার শৈশব ছিল!
যন্ত্রণার,ছটফটের,পরিকল্পনার,পেয়ে বেশির,তীব্র নিদ্রার,অলসতার,নির্বুদ্ধিতার,দুরন্তপনার।
কি শৈশবই না ছিল-
আহা শৈশব!
আহারে!খুব বেশিই ফিরে যেতে ইচ্ছে করে।
পৃথিবীর বুক থেকে বিলুপ্তির আগে এমন অনুভূতি হয় আমার ঠিক কি সময়টা চলছে জানিনা।
তবে নিরহংকারী শৈশবের স্মৃতি বড্ড টানে-
খুব বেশিই টানে-
___মো. এমদাদ ইমন।
শৈশবের ভাবাবেগ
পর্বঃ-১।