B.m.o tv সত্যের সন্ধানে

B.m.o tv সত্যের সন্ধানে বি.এম.ও টিবি সত্যের সন্ধানে

27/11/2022
সবাইকে দ্বীনি দাওয়াত রইলো সবাই বেশি বেশি শেয়ার করুন।
15/09/2022

সবাইকে দ্বীনি দাওয়াত রইলো সবাই বেশি বেশি শেয়ার করুন।

জাহান্নাম!নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জিবরাঈল (আ.)-কে বললেন,আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন, ততোবার-ই আপনার...
15/09/2022

জাহান্নাম!

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জিবরাঈল (আ.)-কে বললেন,
আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন,
ততোবার-ই আপনার কপালে শোক ও
দুশ্চিন্তার ছাপ ছিলো......এর কারণ কী ?

জিবরাঈল (আ.) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম - এর প্রশ্নের জবাবে বললেন,
‘ জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে
আমার ঠোঁটে কখনো হাসি ফুটেনি।

জাহান্নাম কেমন হবে?

১।জাহান্নামের গভীরতা এমন যে,
এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে
জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে।
বিচারের দিন জাহান্নাম কে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে যার প্রত্যেক শিকল
৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন।

২।জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।

৩।জাহান্নামবাসীদের শরীরের চামড়া
১২৬ ফুট পুরো করে দেওয়া হবে
যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ হয়,
তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল
যার এক একটি উহুদ পাহাড়ের সমান।

৪।প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে।

৫।জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটা যুক্ত গাছ আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি,পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল।এরপরও জাহান্নাম বাসীর পিপাসা এতো বেশী হবে যে তারা এই পানীয় পান করতে থাকবে।

৬।জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে,
জাহান্নাম বাসীরা এক পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে।
এই জন্যই বলছি ভাই / বোন
আসুন আমরা দীনের পথে চলি
ইসলাম মেনে চলি, আমাদের কখন কি হবে আমরা কিন্তু কেউ জানি না,কেউ আমার সঙ্গে যাবে না,আমার হিসাব আমাকেই দিতে হবে, দুনিয়া টা একটা দুখা, লালসাময়,
তাই আসুন জাহান্নাম থেকে আমরা বাচিঁ আমাদের পরিবার কে বাচাঁই
হে আল্লাহ,
আমাদেরকে আপনি জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন।

আমিন।। (সংগৃহীত)

29/08/2022

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ أَبُو ذَرٍّ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ فُرِجَ عَنْ سَقْفِ بَيْتِي وَأَنَا بِمَكَّةَ، فَنَزَلَ جِبْرِيلُ فَفَرَجَ صَدْرِي، ثُمَّ غَسَلَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ جَاءَ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُمْتَلِئٍ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، فَأَفْرَغَهُ فِي صَدْرِي ثُمَّ أَطْبَقَهُ، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَعَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، فَلَمَّا جِئْتُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا قَالَ جِبْرِيلُ لِخَازِنِ السَّمَاءِ افْتَحْ‏.‏ قَالَ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا جِبْرِيلُ‏.‏ قَالَ هَلْ مَعَكَ أَحَدٌ قَالَ نَعَمْ مَعِي مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم‏.‏ فَقَالَ أُرْسِلَ إِلَيْهِ قَالَ نَعَمْ‏.‏ فَلَمَّا فَتَحَ عَلَوْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا، فَإِذَا رَجُلٌ قَاعِدٌ عَلَى يَمِينِهِ أَسْوِدَةٌ وَعَلَى يَسَارِهِ أَسْوِدَةٌ، إِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَسَارِهِ بَكَى، فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالاِبْنِ الصَّالِحِ‏.‏ قُلْتُ لِجِبْرِيلَ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا آدَمُ‏.‏ وَهَذِهِ الأَسْوِدَةُ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ نَسَمُ بَنِيهِ، فَأَهْلُ الْيَمِينِ مِنْهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ، وَالأَسْوِدَةُ الَّتِي عَنْ شِمَالِهِ أَهْلُ النَّارِ، فَإِذَا نَظَرَ عَنْ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى، حَتَّى عَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ فَقَالَ لِخَازِنِهَا افْتَحْ‏.‏ فَقَالَ لَهُ خَازِنُهَا مِثْلَ مَا قَالَ الأَوَّلُ فَفَتَحَ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَنَسٌ فَذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ فِي السَّمَوَاتِ آدَمَ وَإِدْرِيسَ وَمُوسَى وَعِيسَى وَإِبْرَاهِيمَ ـ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ ـ وَلَمْ يُثْبِتْ كَيْفَ مَنَازِلُهُمْ، غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ آدَمَ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا، وَإِبْرَاهِيمَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا مَرَّ جِبْرِيلُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِإِدْرِيسَ قَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ‏.‏ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا إِدْرِيسُ‏.‏ ثُمَّ مَرَرْتُ بِمُوسَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ‏.‏ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا مُوسَى‏.‏ ثُمَّ مَرَرْتُ بِعِيسَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ‏.‏ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا عِيسَى‏.‏ ثُمَّ مَرَرْتُ بِإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالاِبْنِ الصَّالِحِ‏.‏ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا إِبْرَاهِيمُ صلى الله عليه وسلم ‏"‏‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ حَزْمٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ وَأَبَا حَبَّةَ الأَنْصَارِيَّ كَانَا يَقُولاَنِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ثُمَّ عُرِجَ بِي حَتَّى ظَهَرْتُ لِمُسْتَوًى أَسْمَعُ فِيهِ صَرِيفَ الأَقْلاَمِ ‏"‏‏.‏ قَالَ ابْنُ حَزْمٍ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَفَرَضَ اللَّهُ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلاَةً، فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ حَتَّى مَرَرْتُ عَلَى مُوسَى فَقَالَ مَا فَرَضَ اللَّهُ لَكَ عَلَى أُمَّتِكَ قُلْتُ فَرَضَ خَمْسِينَ صَلاَةً‏.‏ قَالَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ‏.‏ فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى قُلْتُ وَضَعَ شَطْرَهَا‏.‏ فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ، فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُهُ‏.‏ فَقَالَ هِيَ خَمْسٌ وَهْىَ خَمْسُونَ، لاَ يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَىَّ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ‏.‏ فَقُلْتُ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي‏.‏ ثُمَّ انْطَلَقَ بِي حَتَّى انْتَهَى بِي إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى، وَغَشِيَهَا أَلْوَانٌ لاَ أَدْرِي مَا هِيَ، ثُمَّ أُدْخِلْتُ الْجَنَّةَ، فَإِذَا فِيهَا حَبَايِلُ اللُّؤْلُؤِ، وَإِذَا تُرَابُهَا الْمِسْكُ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ আবূ যার (রাঃ) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি মক্কায় থাকা অবস্থায় আমার গৃহের ছাদ উন্মুক্ত করা হ’ল। অতঃপর জিব্‌রীল (‘আঃ) অবতীর্ণ হয়ে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা যমযমের পানি দ্বারা ধৌত করলেন। অতঃপর হিকমাত ও ঈমানে ভর্তি একটি সোনার পাত্র নিয়ে আসলেন এবং তা আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। অতঃপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আকাশের দিকে নিয়ে চললেন। পরে যখন দুনিয়ার আকাশে আসলাম জিব্‌রীল (‘আঃ) আসমানের রক্ষককে বললেনঃ দরজা খোল। আসমানের রক্ষক বললেনঃ কে আপনি? জিব্‌রীল (‘আঃ) বললেনঃ আমি জিব্‌রীল (‘আঃ)। (আকাশের রক্ষক) বললেনঃ আপনার সঙ্গে কেউ রয়েছেন কি? জিব্‌রীল বললেনঃ হাঁ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রয়েছেন। অতঃপর রক্ষক বললেনঃ তাকে কি ডাকা হয়েছে? জিব্‌রীল বললেনঃ হাঁ। অতঃপর যখন আমাদের জন্য দুনিয়ার আসমানকে খুলে দেয়া হল আর আমরা দুনিয়ার আসমানে প্রবেশ করলাম তখন দেখি সেখানে এমন এক ব্যক্তি উপবিষ্ট রয়েছেন যার ডান পাশে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি রয়েছে আর বাম পাশে রয়েছে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি। যখন তিনি ডান দিকে তাকাচ্ছেন হেসে উঠছেন আর যখন বাম দিকে তাকাচ্ছেন কাঁদছেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ স্বাগতম ওহে সৎ নবী ও সৎ সন্তান। আমি (রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) জিব্‌রীল (‘আঃ)-কে বললামঃ কে এই ব্যক্তি? তিনি জবাব দিলেনঃ ইনি হচ্ছেন আদম (‘আঃ)। আর তাঁর ডানে বামে রয়েছে তাঁর সন্তানদের রূহ। তার মধ্যে ডান দিকের লোকেরা জান্নাতী আর বাম দিকের লোকেরা জাহান্নামী। ফলে তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন আর যখন বাম দিকে তাকান তখন কাঁদেন। অতঃপর জিব্‌রীল (‘আঃ) আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। অতঃপর তার রক্ষককে বললেনঃ দরজা খোল। তখন এর রক্ষক প্রথম রক্ষকের মতই প্রশ্ন করলেন। পরে দরজা খুলে দেয়া হল। আনাস (রাঃ) বলেনঃ আবূ যার (রাঃ) উল্লেখ করেন যে, তিনি [রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] আসমানসমূহে আদম, ইদরীস, মূসা, ‘ঈসা এবং ইব্‌রাহীম (‘আলাইহিমুস সালাম)-কে পান। কিন্তু আবূ যার (রাঃ) তাদের স্থানসমূহ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তবে এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, তিনি আদম (‘আঃ)-কে দুনিয়ার আকাশে এবং ইব্‌রাহীম (‘আঃ)-কে ষষ্ঠ আসমানে পান।
আনাস (রাঃ) বলেনঃ জিব্‌রীল (‘আঃ) যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিয়ে ইদরীস (‘আঃ) নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তখন ইদরীস (‘আঃ) বলেনঃ মারহাবা ওহে সৎ ভাই ও পুণ্যবান নবী। আমি (রসূলুল্লাহ্‌) বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল বললেনঃ ইনি হচ্ছেন ইদরীস (‘আঃ)। অতঃপর আমি মূসা (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি বলেনঃ মারহাবা হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল বললেনঃ ইনি মূসা (‘আঃ)। অতঃপর আমি ‘ঈসা (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি বলেনঃ মারহাবা হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল বললেনঃ ইনি হচ্ছেন ‘ঈসা (‘আঃ)। অতঃপর আমি ইব্‌রাহীম (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলে তিনি বলেনঃ মারহাবা হে পুণ্যবান নবী ও নেক সন্তান। আমি বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল (‘আঃ) বললেনঃ ইনি হচ্ছেন ইব্‌রাহীম (‘আঃ)। ইব্‌নু শিহাব বলেনঃ ইব্‌নু হায্‌ম (রহঃ) আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, ইব্‌নু ‘আব্বাস ও আবূ হাব্বা আল-আনসারী উভয়ে বলতেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতঃপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল অতঃপর এমন এক সমতল স্থানে এসে আমি উপনীত হই যেখানে আমি লেখার শব্দ শুনতে পাই। ইব্‌নু হায্‌ম ও আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতঃপর আল্লাহ আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করে দেন। অতঃপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মূসা (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করি তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা আপনার উম্মাতের উপর কি ফরয করেছেন? আমি বললামঃ পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তিনি বললেনঃ আপনি আপনার পালনকর্তার নিকট ফিরে যান, কেননা আপনার উম্মাত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ তা’আলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা (‘আঃ)-এর নিকট পুনরায় গেলাম আর বললামঃ কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ আপনি পুনরায় আপনার রবের নিকট ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মাত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেয়া হল। আবারো মূসা (‘আঃ)-এর নিকট গেলাম, এবারো তিনি বললেনঃ আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের নিকট যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বললেনঃ এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোন রদবদল হয় না। আমি পুনরায় মূসা (‘আঃ)-এর নিকট আসলে তিনি আমাকে আবারও বললেনঃ আপনার প্রতিপালকের নিকট পুনরায় যান। আমি বললামঃ পুনরায় আমার প্রতিপালকের নিকট যেতে আমি লজ্জাবোধ করছি। অতঃপর জিব্‌রীল (‘আঃ) আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা [১] পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আর তখন তা বিভিন্ন রঙে আবৃত ছিল, যার তাৎপর্য আমি অবগত ছিলাম না। অতঃপর আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হলে আমি দেখতে পেলাম যে, তাতে রয়েছে মুক্তোমালা আর তার মাটি হচ্ছে কস্তুরী। (১৬৩৬, ৩৩৪২; মুসলিম ১/৭৪, হাঃ ১৬৩,

19/08/2022

আন্তর্জাতিক আলেমদের দোয়া।

কে দিয়েছে নারির মর্যাদা, আব্দুল্লাহ ও আমাতুল্লাহ।নব দম্পতি। সীমাহীন ভালোবাসা। এক মুহুর্তের বিচ্ছেদ যেন অসহ‍্য।কেউ কাউকে ...
17/08/2022

কে দিয়েছে নারির মর্যাদা,

আব্দুল্লাহ ও আমাতুল্লাহ।নব দম্পতি। সীমাহীন ভালোবাসা। এক মুহুর্তের বিচ্ছেদ যেন অসহ‍্য।কেউ কাউকে ছাড়া কোথাও যায় না।একে যেন অপরের প্রাণ। অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মক্কা নগরীতে যেন তাদের প্রেমের প্রবাদ শুরু হয়ে যাবে অচিরেই। প্রায় বিশ দিন হয়ে গেলো তাদের বিয়ের। সন্ধ্যে হয়েছে। পূর্বের চোখ ঝলসানো সূর্যটা কুসুম বর্ণের রুপ নিয়েছে। এক্ষুনি রক্তিম আভা ছড়িয়ে হারিয়ে যাবে পশ্চিম দিগন্তে। আব্দুল্লাহ সারাদিন তপ্তমরুতে উট চালিয়ে অবসন্ন দেহে ঘরে ফিরেছে।
স্বীয় প্রাণ, জীবনের চালিকাশক্তিকে সে ঘরে রেখে গিয়েছিলো। বাড়ি পৌঁছার আগথেকেই মনটা ব‍্যাকুল হয়ে আছে।জান কেমন আছে?সে কি করছে? কোন কষ্ট হয়নিতো একা একা বসে থেকে?
হাজারটা প্রশ্ন যেনো তাঁকে বারবার ঘিরে ধরছিলো।
বাহিরের গেটটা সে মাড়িয়ে এসেছে। কিন্তু তখনো ভেতর থেকে কোন আওয়াজ মিলছিলো না।অন‍্যদিনের মতো দু'হাত বাড়িয়ে ছুটে আসেনি তাঁর হৃদস্পন্দন। বহুদুশ্চিন্তা ঘিরে ধরছে তাঁকে। বারকয়েক ডাকলো সে, স্বীয় অর্ধাঙ্গিনীকে। কিছুক্ষণপর ঠিকি বেরিয়ে এসেছে সে, কিন্তু, আগেরমতো নয়। তাঁর চাঁদমুখো চেহারাটা যেন নিস্প্রভ হয়ে আছে। কিছু হারানোর ভয় যেন মুক্তোরাঙা চেহারায় ফুটে উঠেছে।মুখ থেকে তাঁর কথা সরছে না।উভয়ি একে অপরের দিকে নিষ্পলক,নির্বাক তাকিয়ে আছে। আব্দুল্লাহ কথা বলতে শুরু করলো।কি হয়েছে জানু?
আজ অমন করছো কেনো?
আমু নিরব।
কি বলবে ও? আশার কোন বাণীযে সে শুনাতে পারবেনা। তবুও সে নিজেকে কিছুটা সংযত করতে চেষ্টা করলো। ধর্মীয় নিয়ম,সে যে মানতেই হবে।বলতে শুরু করেছে সে।
আমার পিরিয়ড শুরু হয়েছে।
আমরা আর একসাথে থাকতে পারবো না। তাঁরা জানে।আজ থেকে তাদের বিছানা পৃথক।ঘর ভিন্ন।
আজ থেকে সে অস্পৃশ্য।
এতদিন সে যাকে ছাড়া ঘুমুতে পারতো না।আজ সে তার, কাছেও যেতে পারবে না।সে অশুচি। তাঁকে ভিন্ন ঘরে আলাদা করে রাখা হবে। খাবারের প্লেটটাও কেউ তাঁর হাতে উঠিয়ে দিতে পারবেনা।রেখে আসতে হবে দূর থেকেই।বাড়ির কেউই তার সাথে কথা বলবে না।নারী হয়ে জন্মানোই যেনো ছিলো তাঁর জীবনের সব'চে বড় ভুল।
কিন্তু কিইবা করার আছে? ধর্মের আদেশ।

নির্ঘুম, অস্থির রাত কাটছে উভয়ের। দু'দিন কেটে গেলো।আর তর সইছে না। তৃতীয়দিন।
রাতে ,সংগোপনে তাঁরা সাক্ষাৎ করলো।তবে কিছুক্ষণ পরি তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে।
ভোর না হতেই তাঁরা ছুটে চলেছে ঠাকুরজীর ঘর পানে।
সকালের মৃদু হাওয়া তাদের শরীরে আছড়ে পড়ছে। হৃদয়রাজ্যেও যেনো তাঁরা তার আলতো পরশ অনুভব করছে। কিন্তু কি যেনো তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাদের মৃদু সমীরণের সুপ্ত অনুভূতিকে গলে চেপে ধরেছে। আনমনে হাঁটছিলো দুটো মানব মানবী।
তাঁরা ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছে গেছে।ঠাকুরমশায় আগরম বাগরম বলে বলে কি যেনো জপছিলো।আর বাড়ির চতুর্পাশে ঘুরছিলো। আব্দুল্লাহর কুর্নিশে তাঁর ঘোর কাটলো।হুবাল হুবাল বলে সে কথা শুরু করলো। তাদের কথা শুনে,প্রথমি সে তাদের ফায়সালা শুনালো।ছ'মাস কেউ কারো কাছে যেতে পারবে না।তবেই হবে তোমাদের এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত।বহু কাকুতি মিনতি করেছে তাঁরা।বলেছে, দু'দিন আমরা থাকতে পারিনি সেখানে ছ'মাস ?
এটা কিভাবে সম্ভব?
কিন্তু ঠাকুরজীর একটাই কথা। অপরাধ করেছো, এখন এর প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করতেই হবে। তাদের কোন কথার পাত্তাই দিচ্ছে না সে। অগত্যা তাঁরা বাড়ি ফিরে এসেছে।
এ বিরহের জ্বালা তাঁরা সহ‍্য করতে পারছিলো না।
ভিন্ন ভিন্ন ঘরে বসে আছে দু'জন। চিন্তার রেখা যেনো উভয়ের ভালে প্রস্ফুটিত। পুরো ঘরে সুনসান নীরবতা।

আব্দুর রহমান এসেছে।সে আব্দুল্লাহর ছোটো ভাই। নতুন এক সংবাদ নিয়ে এসেছে সে।হাশেমী বংশের বিশ্বস্ত ভালো মানুষটি নাকি নবুওয়াতের দাবি করেছেন। তিনি নাকি মানুষের মাঝে শান্তির বাণী শুনাচ্ছেন।ভ্রাতৃদ্বন্দ্ব দূর করছেন। মানুষ মানুষে ভেদাভেদ মিটিয়ে দিচ্ছেন।

আব্দুল্লাহ আর দেরী করলো না। ছুটে চললো সে কাবা ঘর পানে।
ইসলামের অমিয় বাণী শুনে সে মুগ্ধ হলো।
পিরিয়ডের বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে সে ভুললো না।সে যথাযথ উত্তর পেলো।
কোন মানুষ অশুচি হতে পারে না।আর মহিলারাও তো মানুষ।তাই তাদের সাথে উঠা বসা ইত‍্যাদি সব করতে পারবে। তবে পিরিয়ড একটা কষ্টদায়ক জিনিস,তাই সে সময়টায় তোমরা সহবাস থেকে বিরত থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেন:وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ তাঁরা আপনাকে পিরিয়ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে?
আপনি বলুন, সেটা একটা কষ্টদায়ক বিষয়। সুতরাং তখন তোমরা নারীদের(সহবাস) থেকে বিরত থাকো। সূরা আল বাকারা, আয়াত নং:২২২.

ইসলামের এ যুগোপযোগী সমাধান শুনে তাঁরা আর দেরি করতে পারলো না। প্রবেশ করলো ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে।

আমাতুল্লাহর মুখ ফসকে অজান্তেই বেরিয়ে এলো, ইসলামই দিয়েছে নারীদের একমাত্র সম্মানের অধিকার। ইসলামই হলো একমাত্র মানবাধিকারের ধর্ম।

14/08/2022

ওরা শিক্ষত শয়তান বাহির ভালো ভিতর কালো।

09/08/2022

Sobohan Allah
Al hamdulillah
Allah ho akbar

09/08/2022

ALLAH
SOBOHAN
ALLAH
MOHIYAN

সৃষ্টি যার আইন তার।
04/11/2021

সৃষ্টি যার আইন তার।

02/11/2021

এক অন্ধ ইমামের জীবন কাহিনি।

31/10/2021

এদেশের আকাশে একদিন কালিমার পতাকা উরবে ইনশাআল্লাহ।

এদেশের আকাশে একদিন কালিমার পতাকা উরবে ইনশাআল্লাহ।
31/10/2021

এদেশের আকাশে একদিন কালিমার পতাকা উরবে ইনশাআল্লাহ।

https://youtu.be/mHG6wYtmmP8
27/10/2021

https://youtu.be/mHG6wYtmmP8

আমাদের এই চ্যানেলটি যারা দেখছেন অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে করে নিন পরবর্তী ভিডিও পাবার জন্য।

মালোয়াদের বিচার চাই।
14/10/2021

মালোয়াদের বিচার চাই।

সকল মুসলমানদের দাবি.
01/10/2021

সকল মুসলমানদের দাবি.

30/09/2021

মাঝে মাঝেই এক সমুদ্র কষ্ট আসে, কষ্ট পাওয়া স্মৃতি গুলো চোখে ভাসে, বিষাক্ত ছোবল মারে মনের ক্যানভাসে। তবুও মানুষ কষ্টকে কেন ভালোবাসে ?

https://youtu.be/5aJTpThfFO0
20/09/2021

https://youtu.be/5aJTpThfFO0

এই ভিডিওটি যাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে একনই একটি লাইক দিয়ে শেয়ার করে আর চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিন পরবর্তী ভিড.....

Address

Kishoreganj
NO

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when B.m.o tv সত্যের সন্ধানে posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to B.m.o tv সত্যের সন্ধানে:

Videos

Share