01/07/2022
হাদীস শরীফে এসেছেঃ যে ব্যক্তি নামাযের ব্যাপারে অবহেলা প্রদর্শন করে। আল্লাহ তায়া’লা তাকে চৌদ্দ প্রকার শাস্তি প্রদান করেন।
পাঁচ প্রকার শাস্তি দুনিয়াতে -৫
তিন প্রকার মৃত্যুর সময়ে -৩
তিন প্রকার শাস্তি কবরে -৩
তিন প্রকার কিয়ামতের দিন -৩
মোট ১৪ প্রকার শাস্তি
দুনিয়ায় পাঁচ প্রকার শাস্তিঃ
১. তার জীবন ও জীবিকার বরকত কেড়ে নেয়া হবে।
২. তার চেহারা হতে নেক্কার লোকদের নূর মুছে ফেলা হবে।
৩. সে যেকোন নেক আমল করুক আল্লাহ তায়া’লা তাতে কোন ছওয়াব দান করেন না।
৪. তার কোন দো’য়াই কবুল হয়না।
৫. নেককারদের দো’য়ায় তার কোন অংশ থাকে না। অর্থাৎ উক্ত দো’য়ার বরকত হতে বঞ্চিত থাকে।
মৃত্যু কালিন তিন প্রকার শাস্তিঃ
১. অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করবে।
৩. চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে। যদি সমস্ত পৃথিবীর সাগরের পানিও তাকে পান করান হয়, তবুও তার তৃষ্ণা নিবৃত্ত হবেনা।
কবরের তিন প্রকার শাস্তিঃ
১. তার কবর এত সংকীর্ণ করা হবে যে, তার এক পাঁজরের হাড় অন্য পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যায়।
২. তার কবরে আগুন জ্বালানো হয়, সে উহার শিখার উপর দিনরাত উলট-পালট অবস্থায় দগ্ধ হতে থাকে।
৩. তার কবরে একটি ভয়ংকর বিষধর অজগর নিয়োগ করা হবে। যার চোখ দু’টি আগুনের এবং নখরগুলি লোহার তৈরী হবে। অজগরটি বজ্রের ন্যায় আওয়াজ দিবে এবং মৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টা রাতদিন কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে।
কিয়ামতের তিন প্রকার শাস্তিঃ
১. অত্যন্ত কড়াকড়ি ভাবে বে নামাযীর হিসাব নেয়া হবে।
২. তার উপর আল্লাহর কহরের শাস্তি হবে।
৩. অত্যন্ত অপমানের সাথে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অপর এক বর্ণনায় এসেছেঃ
কিয়ামতের দিন বে-নামাযীর কপালে তিনটি লাইন লিখা অবস্থায় উঠবে।
“হে আল্লাহর হক বিনষ্ট কারী। হে আল্লাহর গজবের পাত্র। দুনিয়াতে তুমি যেভাবে আল্লাহর হক নষ্ট করেছ, সে রূপ আজ তুমি আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত”। [জাওয়াজেরে ইবনে হাজর মককী]