06/11/2024
ইসলামবিদ্বেষী প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হকের জঘন্য কাজ গুলো দেখুন।
সমস্ত অস্তিত্বের একচ্ছত্র অধিপতি মহান আল্লাহ তার গ্রন্থ আল কুর'আন শুরু করেছেন এভাবে-
"সমস্ত প্রশংসা জগতের প্রতিপালক আল্লাহর"
এই বাক্যটা কুর'আন না হলেও কুরানের ক্লাসিক বাংলা অনুবাদ। একই টোন ও ভাবভঙ্গিতে পুরো কুর'আন অনুদিত হয়ে আসছে বেশ কয়েক যুগ ধরে। মুসলিমদের কাছে খুবই পরিচিত টোন।
এই আয়াতের অনুবাদ ও বাক্যভঙ্গি বিকৃত করে বিতর্কিত পত্রিকা প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক তার "ছহি রাজাকারনামা" বইয়ে লিখেছে-
‘সমস্ত প্রশংসা রাজাকারগণের’
মহান আল্লাহ ও তার গ্রন্থের প্রথম আয়াতেরই বিদ্রুপ করতে হলে কী পরিমান দুঃসাহস থাকতে হয় সেটা নিয়ে ভাবছি। বলতে পারেন এটা কোইনসিডেন্স। ওয়েল, প্রথম সুরার চতুর্থ আয়াতের অনুবাদ-
''আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই''
[তরজমা, সুরা ফাতিহা-৪]
এই আয়াত বিকৃত ও ব্যাঙ্গ করে এই বুড়ো শুয়োরটা লিখেছে-
‘'আর তোমরা রাজাকারের প্রশংসা করো, আর রাজাকারদের সাহায্য প্রার্থনা করো''
একটা দুইটা না, পুরো বইজুড়ে সে কুরানের অনুবাদের ঢং, উপমা, দৃষ্টান্ত ও ভাষাশৈলীকে বিদ্রুপ ও ব্যাঙ্গ করেই গেছে।
বেয়াদবীর সব সীমা অতিক্রম করেছে সুরা নাবার অনুবাদ বিকৃত করতে গিয়ে। মহান আল্লাহ বলেন-
‘অপরদিকে পরহেজগার লোকদের জন্য রয়েছে চরম সাফল্য। (তা হচ্ছে) বাগবাগিচা, আঙ্গুর (ফলের সমারোহ), (আরো আছে) পূর্ণ যৌবনা সমবয়সী সুন্দরী তরুণী।’ [তরজমা, সুরা নাবা-৩৩/৩৪]
জান্নাতের অতুলনীয় বর্ণনা এত নিকৃষ্টভাবে এই খবিসটা বিকৃত করেছে পোস্টে উল্লেখ করতেও রুচিতে বাধছে। তবুও যাতে মুসলিমরা এদের আসল চেহারা বুঝতে পারেন তাই তুলে দিচ্ছি-
''আর তাহাদের জন্য সুসংবাদ। তাহাদের জন্য অপেক্ষা করিতেছে রাষ্ট্রের শীর্ষপদ আর অনন্ত যৌবনা নারী আর অনন্ত যৌবন তরুণ। কে আছে, যে উত্তম সন্দেশ, মসৃণ তলদেশ ও তৈলাক্ত গুহ্যদেশ পছন্দ করে না।’
লা হাওলা ওয়ালা ক্কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগে সে এসব বিদ্রুপ করেছে মুসলিমদের প্রধান গ্রন্থ নিয়ে। সে কি আজ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছে?
আমি ক্ষমা চাইতে বলবও না, আমাদের উচিত ছিল তাকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া।আমরা এতে ব্যার্থ।
শুধু মুসলিমদের বলব এক ও অদ্বিতীয়, অপ্রতিরোধ্য, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর গ্রন্থের এই বিদ্রুপকারীকে চিনে রাখুন। যারা আমাদের বাঙালীয়ানা শিখায়, সহনশীল, উদার হতে শিখায় এদের আসল চেহারা চিনে রাখুন।
আরও জেনে রাখুন, এই মুসলিমবঙ্গে রাজাকার হলে নুন্যতম মানবতাবোধটুকুও দেখানো ভারি অন্যায়। আর মুক্তিযুদ্বের স্বপক্ষের শক্তি হলে মাস্তানি শুধু মানুষের সাথে না, অবমাননা পর্যন্ত করা যায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থকেও..
পুরো রচনাটি পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন,
এখানে পুরো রচনাটি দিয়ে দিলাম।
ছহি রাজাকারনামা:
১৯৯১ সালের ৩০ নভেম্বর 'পূর্বাভাস' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল আনিসুল হকের এই বিদ্রূপ রচনাটি। আজ প্রায় ৩০ বছর পরেও লেখাটি নিয়ে কোন প্রতিবাদ হয়নি এবং সেও ক্ষমা চায় নি।
ছহি রাজাকারনামা
আনিসুল হক
আর তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যে রাজাকার। নিশ্চয়ই রাজাকারগণের জন্যে অতীতের চাইতে ভবিষ্যতকে উত্তম করিয়া সৃজন করা হইয়াছে। অতএব তোমরা তোমাদের প্রভু পাকিস্তানের প্রশংসা করো; নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু পাকিস্তানীরা ক্ষমাশীল।
যখন তোমাদিগকে বলা হইবে নেতা নির্বাচন করো, তখন তোমরা সেই ব্যক্তিকেই নির্বাচন করিবে, যাহার রাজাকারগিরি প্রমাণিত। আর তাহার মতো মূর্খ কে আছে, যে রাজাকার চিনিয়াও তাহাকে সম্মানিত না করিলো, আখেরে ইহারাই হইবে অভিশপ্ত। ইহাদের জন্যে সুকঠিন দারিদ্র্য অপেক্ষা করিতেছে। আর যে ব্যক্তি রাজাকার চিনিলো, এবং তাহাকে সম্মান করিলো, এবং তাহার পদাঙ্ক অনুসরণ করিলো, ইহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে সুমিষ্ট ফল, সুন্দরী রমণী আর সুদর্শন পুরুষ।
অনন্তর তোমাদের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর সৃষ্টি হইবে যাহারা রাজাকারী রজ্জু উত্তমরূপে ধারণ করিবে, আর যাহারা রাজাকারী তরিকা আদমদিগের মধ্যে উত্তমরূপে প্রচার করিবে। যাহারা রাজাকার হিসাবে বাহির হয়, তাহারা শান-শওকতের পথে চলে।
সেই ব্যক্তিই উত্তম রাজাকার, যে বিবাহ করিবে একটি, দুইটি, তিনটি, চারটি, যেরূপ সে ইচ্ছা করে আর তাহার জন্যে বৈধ করা হইয়াছে ডান হাতের অধিকারভূক্ত দাসীদের, আর তাহারা ভোগ করিতে পারিবে বাঙ্গালী রমণীগণকে, অপিচ তাহাদের সহিত আদল করিবার দরকার হইবে না। স্মরণ রাখিও, মালেগণিমতগণের মহিত মিলিত হইবার পথে কোনরূপ বাধা থাকিলো না।
আর মনে রাখিবে, যে রাজাকারী পথে বাহির হয়, সে একা নহে, সৌদি-মার্কিনীরা তাহার সঙ্গে রহিয়াছে। সেই ব্যক্তি হতভাগ্য, যে রাজাকার হইতে সাহস করিলো না এবং মনে মনে বলিলো যে, আমি রাজাকার হইবো না, কেননা পশ্চাতে লোকে আমাকে গালি দিবে। আর প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার একেকটি আঙুলের জন্যে রহিয়াছে দশ দশটা পুরস্কার, আর যে ব্যক্তি একজন মুক্তিযোদ্ধার ডানপাঞ্জা কাটিতে সক্ষম হইলো, তাহার বরাতে ৭০ গুণ বেশি পেট্রোডলার লেখা হইলো। নিশ্চয়ই তোমাদের জন্যে রাজাকারী কাজের জন্যে পুরস্কার রহিয়াছে।
আর তোমরা কি অতীত হইতে শিক্ষাগ্রহণ করিবে না? গ্যালিলিও নামের এক পাপিষ্ঠ অতীতে সত্য অস্বীকার করিয়াছিল, এবং সে কি প্রাপ্ত হয় নাই চরম শাস্তি? আর রাজাকারগণ যাহাকে শাস্তি দিতে ইচ্ছা করেন, তাহাকে নিজ হস্তে শাস্তি দেন। আঙুল কাটিয়া ফেলা হইতে শুরু করিয়া মুণ্ডু কাটিয়া ফেলা - বিপথগামীদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে ভয়ঙ্কর শাস্তি। আর তোমরা কি সেই গোষ্ঠীর বংশধর নহ, যাহারা অতীতে তিরিশ লক্ষ বেদ্বীনকে কতল করিয়াছে? নিশ্চয়ই আমগাছ হইতে আম এবং রাজাকার গোষ্ঠী হইতে রাজাকার উৎপন্ন হয়।
অচিরেই দেশে নিখিল পাকিস্তান রাজাকার সংসদ গঠিত হইবে। আর রাজাকার কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে সকল লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছাড়িয়া দেওয়া হইবে। আর রাজাকার প্রার্থীদের জন্যে চাকুরির বয়সসীমা আটত্রিশ বছর করা হইবে। এবং অবস্থা অচিরেই এইরূপ হইবে যে, রাজাকার সার্টিফিকেট নকল করিয়া লোকে রাজাকার সাজিতে থাকিবে। তখন সুন্দরী রমণীগণ সেনাকর্তাদের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইহবার বদলে রাজাকার বরের স্বপ্নে ঘামিতে থাকিবে। কন্যাবৃন্দের মাতাগণ রাজাকার জামাতার গর্বে পাড়া মাতাইবে।
(1/2)
দ্রুত আল-কোরআনকে বিকৃতিকারীর শা*স্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাথে দেশ বিরোধী ষ*ড়*য*ন্ত্রের জন্য প্রথম আলো নি*ষি*দ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
Courtesy by Welcome Bangladesh