21/02/2025
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রোজ মঙ্গলবার কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের নৃশংস হামলাকে কেন্দ্র করে যে সকল মিথ্যা অপপ্রচার চলছে, তার বিপরীতে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট বিবৃতি:
প্রিন্ট ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, কুয়েট উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, গতকালকেই আমরা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছিলাম। আবারো দ্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, মাসুদ স্যারকে টেনে হিছড়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছি এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন কোন ভিডিও প্রমাণ কোথাও কেউ দেখাতে পারেনি, আমরা একটি ফুলের টোকাও মাসুদ স্যারের গায়ে লাগতে দেই নি। হামলা শুরুর তিন ঘন্টা পর অনেক অনুরোধ করার পর যখন মাসুদ স্যার আমাদের সাথে যায়, তখন অডিটরিয়ামের সামনে আসার পর মাসুদ স্যার বলে, আমি আর যাব না। তখন আমরা স্যারের হাত পা ধরে বলি, স্যার এই যে দেখেন আমাদের ভাইদের কুপিয়ে আহত করা হয়েছে, তাদের রিকশা বাইক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তখন স্যার আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, স্যার মাটিতে বসে পড়েন, তখন শিক্ষার্থীরা মাসুদ স্যারকে নিরাপদে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
আরেকটি ঘটনা যেটা ভিডিওতে দেখানো হয় যার কন্টেক্সট হচ্ছে, মাসুদ স্যার এই নৃশংস হামলার দায় নেবেন না এবং এতে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায়, তখনই শিক্ষার্থীরা হিউম্যান শিল্ড হয়ে মাসুদ স্যারকে ভেতরে নিয়ে যায় এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
প্রতিটি মুহূর্ত আমরা নিজেরা রক্তাক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের প্রতিটি শিক্ষককে হিউম্যান শিল্ড প্রদান করেছি, আমরা কোনভাবে চাই না আমাদের কোন শিক্ষকের গায়ে বিন্দুমাত্র ফুলের টোকা পড়ুক।
আশা করি এরপর থেকে আর কোন প্রিন্ট মিডিয়া এই অপপ্রচারের ফাঁদে পা দেবে না এবং সত্য ও ভেরিফাইড নিউজ প্রচার করবে।
আরেকটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
আমাদের প্রথম দাবিটি ছিল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অধীনস্থ সকলে কুয়েটের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় কুয়েটের ভিতরে বাইরে, কোন প্রকার রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না, উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য আজীবন বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল বিষয়টি স্পষ্টভাবে উক্ত অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে। আবারও বলছি, স্পষ্টভাবে অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে।
কিন্তু, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এর ৯৮ তম সিন্ডিকেট মিটিং এর প্রথম সিদ্ধান্তে, বলা হয়েছে, ৯৩তম (জরুরী) অনুযায়ী স্মারক নং- খুপ্রবি/২৫৯/৬০ তা-১১/০৮/২০২৪ ইং মোতাবেক ঘোষিত রাজনীতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ২০০৩ এর ধারা ৪৪ (৫) এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে খুব সতর্কভাবে খেয়াল করতে হবে যে, ৪৪ (৫) ধারাটি শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বলা হয়নি।
অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ শুধুমাত্র স্মারক দ্বারা স্বীকৃত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন দ্বারা স্বীকৃত না।
আমাদের দাবিটি ছিল, অধ্যাদেশের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, সকল প্রকার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিষিদ্ধ করা, যেটি সিন্ডিকেট মিটিং এর বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরকম প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত আমরা কখনো মানি না এবং মানবো না।
তদন্ত কমিটি ঘোষণা দেয়ার আগে আমাদেরকে অবহিত করা হয় নাই এবং উক্ত কমিটিতে কোন ছাত্র প্রতিনিধি নাই, এমন অবস্থায় এই তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না।
আপনারা সংবাদ মাধ্যম প্রিন্ট ও নিউজ মিডিয়াসহ সকল জায়গায় দেখে থাকবেন যে, যেদিন ১৮ তারিখ আমাদের উপর হামলা করা হয় ঐদিন সন্ধ্যা ছয়টার সময় কেবলমাত্র আমাদের ক্যাম্পাসে আর্মি পুলিশ এসে টহল দেয় এবং মাসুদ স্যারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কিন্ত এর পরে অথবা আগে অন্য কখনোই কুয়েট ক্যাম্পাসের ভিতরে অথবা বাইরে কোথাও কোন ধরনের নিরাপত্তার বাহিনী আমাদের ছাত্রদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেনি। আমরা সম্পূর্ণ অভিভাবক বিহীন এবং অরক্ষিত একটি ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি।
সারা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জানেন যে, কুয়েটে সাধারণ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপরে কিভাবে ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা বারবার আমাদের শিক্ষক এবং মাসুদ স্যারকে দাবি জানিয়েছি, প্রেস মিডিয়াতে বিবৃতি দেয়ার জন্য যে, ছাত্রদল আমাদেরকে আক্রমণ করেছে এবং কুয়েটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই ধরনের একটা বিবৃতি প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনরূপ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মাসুদ স্যার আমাদের উপর উক্ত হামলার ঘটনার কোন প্রকার দায় স্বীকার করে নাই এবং তার পদত্যাগের কোন নাম গন্ধ আমরা পাইনি।
আমরা আবারো বলতে চাই আমাদের দাবি একটি নয় দুটি নয় বরং ছয়টি, আমাদের ছয়টি দাবিই পূরণ করতে হবে।
কুয়েটের যে সকল শিক্ষক, অ্যালামনাই, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী, দেশবাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, পক্ষে কথা বলেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর যারা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের এরকম সংকটময় অবস্থায় পাশে না দাঁড়িয়ে, মিথ্যা অপপ্রচারে বিশ্বাস করে, অন্য কারো পাশে দাঁড়াচ্ছেন, আমাদের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন আমরা তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।
অত্যন্ত দুঃখের হলেও বিষয়টি সত্য যে, যেসকল উপদেষ্টারা হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, তারা আমাদের সাথে একটিবারও যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গত ১৮ তারিখের ঘটনায় কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। কিন্তু এখানে আমরা সবাই জানি মূলত কারা এই হামলাটি ঘটিয়েছে। ছবি ভিডিও ফুটেছে মাধ্যমে চিহ্নিত থাকার পরও, মামলায় সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ না করা এবং ৭৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করা এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনমূলক এবং শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আমাদের স্মারকলিপি পাঠ করেছি, আজকে সেই স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অভিভাবক ও নিরাপত্তাহীন কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চলমান করার জন্য, প্রধান উপদেষ্টাকে অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।ত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রোজ মঙ্গলবার কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের নৃশংস হামলাকে কেন্দ্র করে যে সকল মিথ্যা অপপ্রচার চলছে, তার বিপরীতে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট বিবৃতি:
প্রিন্ট ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, কুয়েট উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, গতকালকেই আমরা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছিলাম। আবারো দ্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, মাসুদ স্যারকে টেনে হিছড়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছি এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন কোন ভিডিও প্রমাণ কোথাও কেউ দেখাতে পারেনি, আমরা একটি ফুলের টোকাও মাসুদ স্যারের গায়ে লাগতে দেই নি। হামলা শুরুর তিন ঘন্টা পর অনেক অনুরোধ করার পর যখন মাসুদ স্যার আমাদের সাথে যায়, তখন অডিটরিয়ামের সামনে আসার পর মাসুদ স্যার বলে, আমি আর যাব না। তখন আমরা স্যারের হাত পা ধরে বলি, স্যার এই যে দেখেন আমাদের ভাইদের কুপিয়ে আহত করা হয়েছে, তাদের রিকশা বাইক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তখন স্যার আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, স্যার মাটিতে বসে পড়েন, তখন শিক্ষার্থীরা মাসুদ স্যারকে নিরাপদে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
আরেকটি ঘটনা যেটা ভিডিওতে দেখানো হয় যার কন্টেক্সট হচ্ছে, মাসুদ স্যার এই নৃশংস হামলার দায় নেবেন না এবং এতে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায়, তখনই শিক্ষার্থীরা হিউম্যান শিল্ড হয়ে মাসুদ স্যারকে ভেতরে নিয়ে যায় এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
প্রতিটি মুহূর্ত আমরা নিজেরা রক্তাক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের প্রতিটি শিক্ষককে হিউম্যান শিল্ড প্রদান করেছি, আমরা কোনভাবে চাই না আমাদের কোন শিক্ষকের গায়ে বিন্দুমাত্র ফুলের টোকা পড়ুক।
আশা করি এরপর থেকে আর কোন প্রিন্ট মিডিয়া এই অপপ্রচারের ফাঁদে পা দেবে না এবং সত্য ও ভেরিফাইড নিউজ প্রচার করবে।
আরেকটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
আমাদের প্রথম দাবিটি ছিল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অধীনস্থ সকলে কুয়েটের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় কুয়েটের ভিতরে বাইরে, কোন প্রকার রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না, উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য আজীবন বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল বিষয়টি স্পষ্টভাবে উক্ত অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে। আবারও বলছি, স্পষ্টভাবে অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে।
কিন্তু, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এর ৯৮ তম সিন্ডিকেট মিটিং এর প্রথম সিদ্ধান্তে, বলা হয়েছে, ৯৩তম (জরুরী) অনুযায়ী স্মারক নং- খুপ্রবি/২৫৯/৬০ তা-১১/০৮/২০২৪ ইং মোতাবেক ঘোষিত রাজনীতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ২০০৩ এর ধারা ৪৪ (৫) এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে খুব সতর্কভাবে খেয়াল করতে হবে যে, ৪৪ (৫) ধারাটি শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বলা হয়নি।
অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ শুধুমাত্র স্মারক দ্বারা স্বীকৃত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন দ্বারা স্বীকৃত না।
আমাদের দাবিটি ছিল, অধ্যাদেশের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, সকল প্রকার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিষিদ্ধ করা, যেটি সিন্ডিকেট মিটিং এর বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরকম প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত আমরা কখনো মানি না এবং মানবো না।
তদন্ত কমিটি ঘোষণা দেয়ার আগে আমাদেরকে অবহিত করা হয় নাই এবং উক্ত কমিটিতে কোন ছাত্র প্রতিনিধি নাই, এমন অবস্থায় এই তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না।
আপনারা সংবাদ মাধ্যম প্রিন্ট ও নিউজ মিডিয়াসহ সকল জায়গায় দেখে থাকবেন যে, যেদিন ১৮ তারিখ আমাদের উপর হামলা করা হয় ঐদিন সন্ধ্যা ছয়টার সময় কেবলমাত্র আমাদের ক্যাম্পাসে আর্মি পুলিশ এসে টহল দেয় এবং মাসুদ স্যারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কিন্ত এর পরে অথবা আগে অন্য কখনোই কুয়েট ক্যাম্পাসের ভিতরে অথবা বাইরে কোথাও কোন ধরনের নিরাপত্তার বাহিনী আমাদের ছাত্রদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেনি। আমরা সম্পূর্ণ অভিভাবক বিহীন এবং অরক্ষিত একটি ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি।
সারা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জানেন যে, কুয়েটে সাধারণ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপরে কিভাবে ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা বারবার আমাদের শিক্ষক এবং মাসুদ স্যারকে দাবি জানিয়েছি, প্রেস মিডিয়াতে বিবৃতি দেয়ার জন্য যে, ছাত্রদল আমাদেরকে আক্রমণ করেছে এবং কুয়েটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই ধরনের একটা বিবৃতি প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনরূপ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মাসুদ স্যার আমাদের উপর উক্ত হামলার ঘটনার কোন প্রকার দায় স্বীকার করে নাই এবং তার পদত্যাগের কোন নাম গন্ধ আমরা পাইনি।
আমরা আবারো বলতে চাই আমাদের দাবি একটি নয় দুটি নয় বরং ছয়টি, আমাদের ছয়টি দাবিই পূরণ করতে হবে।
কুয়েটের যে সকল শিক্ষক, অ্যালামনাই, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী, দেশবাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, পক্ষে কথা বলেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর যারা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের এরকম সংকটময় অবস্থায় পাশে না দাঁড়িয়ে, মিথ্যা অপপ্রচারে বিশ্বাস করে, অন্য কারো পাশে দাঁড়াচ্ছেন, আমাদের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন আমরা তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।
অত্যন্ত দুঃখের হলেও বিষয়টি সত্য যে, যেসকল উপদেষ্টারা হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, তারা আমাদের সাথে একটিবারও যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গত ১৮ তারিখের ঘটনায় কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। কিন্তু এখানে আমরা সবাই জানি মূলত কারা এই হামলাটি ঘটিয়েছে। ছবি ভিডিও ফুটেছে মাধ্যমে চিহ্নিত থাকার পরও, মামলায় সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ না করা এবং ৭৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করা এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনমূলক এবং শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আমাদের স্মারকলিপি পাঠ করেছি, আজকে সেই স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অভিভাবক ও নিরাপত্তাহীন কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চলমান করার জন্য, প্রধান উপদেষ্টাকে অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।