KUET Radio - Bulletin

KUET Radio - Bulletin KUET Radio - Bulletin is the official news wing of KUET Radio, bringing every campus update to the entire nation.

"কুয়েট প্রশাসনের নির্দেশ: আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগ করতে হবে।"
25/02/2025

"কুয়েট প্রশাসনের নির্দেশ: আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগ করতে হবে।"

" ভিসির পদত্যাগ চাওয়ার আগে তো কিছু পরিবেশ তৈরী হতে হবে, যে ভিসির ব্যর্থতা হয়েছে।আমরা তো দেখছি সে সারাদিন কাজ করে যাচ্ছ...
25/02/2025

" ভিসির পদত্যাগ চাওয়ার আগে তো কিছু পরিবেশ তৈরী হতে হবে, যে ভিসির ব্যর্থতা হয়েছে।আমরা তো দেখছি সে সারাদিন কাজ করে যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়ে যাচ্ছে, প্রত্যেকটা সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে। "

- অধ্যাপক আশরাফুল গণি ভুঁইয়া।
EEE বিভাগ

📌 (কমেন্টে বিস্তারিত ভিডিও ফুটেজ)

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - এ কুয়েট ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের দ্বারা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের উপর চাপাতি, ...
24/02/2025

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - এ কুয়েট ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের দ্বারা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের উপর চাপাতি, রামদা, পিস্তল দিয়ে নৃশংস হামলা চালানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা, কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীরা, ৬ দফা দাবি উত্থাপন করি। আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের সকল দাবি না পূরণ করায়, শিক্ষার্থীদের সাথে বারংবার মিথ্যাচার ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ভিসিকে বর্জন করে।
যেহেতু কুয়েটের সকল শিক্ষার্থী বর্তমান প্রশাসনকে বর্জন করেছে, সেহেতু এই বর্জনকৃত প্রশাসনের অধীনে গঠিত তদন্ত কমিটিকে কেউ গ্রহণ করবে না। এই তদন্ত কমিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এবং এই কমিটির অধীনে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমরা কখনোই মেনে নেব না। আমরা নতুন অভিভাবকের অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য অপেক্ষা করছি।

সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আমাদের উপর হামলার প্রথম দিন কুয়েটে বহিরাগতদের আক্রমণের মুখে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারেনাই। বাইরের সোর্স থেকে নিউজ করায় বৈষম্য...
23/02/2025

আমাদের উপর হামলার প্রথম দিন কুয়েটে বহিরাগতদের আক্রমণের মুখে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারেনাই। বাইরের সোর্স থেকে নিউজ করায় বৈষম্য, শিবির ট্যাগ দিসিল। কিন্তু গত পাঁচদিন টানা আমাদের সাথে আন্দোলনে দিনরাত থেকে তারা নিউজ করে গেসে। আজ ক্যাম্পাস ছেড়ে আসার সময় জড়ায়া ধরে বলে, ভাই আপনারা অনেক করসেন, আশা করি সফল হবেন, পারবেন। আমরা পারবো।

-আবদুল্লাহ আল সৈকত

"আমরা, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য ঢাকায় আসছি। আমাদের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা...
23/02/2025

"আমরা, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য ঢাকায় আসছি।

আমাদের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় স্মারকলিপি হস্তান্তরের জন্য যাচ্ছে। বাকি শিক্ষার্থীরা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাদের জন্য অপেক্ষা করবে।

প্রতিনিধি দল হস্তান্তর করে ফিরে আসার পর কুয়েট শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং করবে।"
- কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ

22/02/2025

গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী ছাত্রদল, যুবদলের হামলার আরেকটি ভিডিও সামনে এলো। এবার সরাসরি গুলি করার প্রমাণ পাওয়া গেল।

22/02/2025

১৮ তারিখে কুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর স্বসস্ত্র হামলাকারী ৫ জনকে ঐদিন সন্ধ্যা ৬টায় মেইনগেটের পাশের ক্লিনিকে অবরুদ্ধ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা।
হামলার নেপথ্যে মদদদাতা স্থানীয় নেতাকর্মীদের নাম, পরিচয়, ঠিকানা নৌবাহিনী সদস্যদের কাছে ভিডিও স্টেটমেন্ট দেয় উক্ত ৫ হামলাকারী। হামলাকারীদের নাম, ঠিকানা, পেশা সংবলিত পোস্টের কমেন্টে দিয়ে দেয়া হলো। এই লিখিত স্টেটমেন্ট থেকে প্রাপ্ত হামলাকারীদের নামঃ আকাশ, ইয়াসিন, আরাফাত,আনোয়ার হোসেন, শফিকুল, সামাদ, রফিকুল, আমিন, রাহাত, সিয়াম, আরাফাত, এনামুল, নাবিল, Unnamed..

এই হামলাকারী ও তাদের মদদদাতাদের সুষ্ঠু বিচার এর আওতায় আনার জোরদার দাবি জানাচ্ছে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আপনারা সবাই জানেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের ক্যাম্পাসে কুয়েট ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের দ্বারা সাধারণ শ...
22/02/2025

আপনারা সবাই জানেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের ক্যাম্পাসে কুয়েট ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ছাত্র সংগঠনের ক্যাডার ও টোকাইদের দ্বারা এরকম নৃসংস হামলা চালানো হয়নি। এমনকি জুলাই আন্দোলনের শুরুতে ১৫ জুলাই যখন ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে হামলা চালায়, তখনও তারা রামদা এবং চাপাতির মতো ধারালো অস্ত্র ব্যবহারের সাহস দেখায় নি। কিন্তু ১৮ই ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বিএনপির সন্ত্রাসীদের দ্বারা কুয়েটে হামলায় রামদা ও চাপাতির মত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যার তথ্য প্রমাণ আপনারা বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে দেখেছেন। এত বড় একটি নৃশংস হামলার পরও যদি কুয়েট একটি ন্যাশনাল ইস্যু না হয় তাহলে আর কখন হবে? আমাদের কি জীবন দেওয়া পর্যন্ত আপনারা অপেক্ষা করে থাকবেন?

আমাদের ক্যাম্পাসে বর্তমানে কোন অভিভাবক নেই। আমাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার মত কেউ নেই। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপদ নই। ক্যাম্পাসের বাইরে যে সকল শিক্ষার্থীরা মেস থেকে সন্ত্রাসীদের ভিডিও করেছিল তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য বর্তমানে বাড়িওয়ালাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এত পরিমাণ ছবি ও ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কুয়েট প্রশাসন ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে।
এই অজ্ঞাতনামা মামলা শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না। হামলার ৯৩ ঘণ্টা পরও চিহ্নিত সন্ত্রাসী কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এখন পর্যন্ত বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, এমনকি পিস্তল দেখিয়ে, "মেশিন প্রস্তুত" বলে হুমকি দিচ্ছে।

সাম্প্রতিক একটি ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ১৮ তারিখ দুপুরেও সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর পিস্তল দিয়ে হামলা চালিয়েছিল, যেই ভিডিওটি আমরা এখনই সব মিডিয়াতে দিয়ে দিচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, এখনই এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে। আমরা ক্যাম্পাসে কেউ সেইফ না, এভাবে চলতে থাকলে আমাদের উপর যেকোনো সময় যে কোন হামলা চালানো হতে পারে।

জুলাই বিপ্লবের আমাদের কুয়েট শিক্ষার্থীরা ঢাকা শাহবাগে আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছি, খুলনায় রক্তাক্ত হয়েছি, থানায় গ্রেপ্তার হয়েছি। যেই অন্তবর্তী কালীন সরকার আমাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, সেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ আমাদের রক্তের দাম দিচ্ছে না। আজ ৪ দিন পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন উপদেষ্টা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি,যেটি আমাদের রক্তের সাথে বেইমানি, এটি আমরা শিক্ষার্থীরা কখনোই মেনে নিব না।

দেশের প্রথম সারির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এত বড় হামলার পরেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল বিষয়ে একটি নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আমাদের স্মারকলিপি প্রেরণ করেছি। অভিভাবকহিন ও নিরাপত্তাহীন কুয়েট ক্যাম্পাসে আমাদের নিরাপত্তার জন্য এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য, প্রধান উপদেষ্টাকে অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ।
22/02/2025

উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ।

21/02/2025

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রোজ মঙ্গলবার কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের নৃশংস হামলাকে কেন্দ্র করে যে সকল মিথ্যা অপপ্রচার চলছে, তার বিপরীতে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট বিবৃতি:
প্রিন্ট ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, কুয়েট উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, গতকালকেই আমরা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছিলাম। আবারো দ্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, মাসুদ স্যারকে টেনে হিছড়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছি এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন কোন ভিডিও প্রমাণ কোথাও কেউ দেখাতে পারেনি, আমরা একটি ফুলের টোকাও মাসুদ স্যারের গায়ে লাগতে দেই নি। হামলা শুরুর তিন ঘন্টা পর অনেক অনুরোধ করার পর যখন মাসুদ স্যার আমাদের সাথে যায়, তখন অডিটরিয়ামের সামনে আসার পর মাসুদ স্যার বলে, আমি আর যাব না। তখন আমরা স্যারের হাত পা ধরে বলি, স্যার এই যে দেখেন আমাদের ভাইদের কুপিয়ে আহত করা হয়েছে, তাদের রিকশা বাইক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তখন স্যার আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, স্যার মাটিতে বসে পড়েন, তখন শিক্ষার্থীরা মাসুদ স্যারকে নিরাপদে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
আরেকটি ঘটনা যেটা ভিডিওতে দেখানো হয় যার কন্টেক্সট হচ্ছে, মাসুদ স্যার এই নৃশংস হামলার দায় নেবেন না এবং এতে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায়, তখনই শিক্ষার্থীরা হিউম্যান শিল্ড হয়ে মাসুদ স্যারকে ভেতরে নিয়ে যায় এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
প্রতিটি মুহূর্ত আমরা নিজেরা রক্তাক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের প্রতিটি শিক্ষককে হিউম্যান শিল্ড প্রদান করেছি, আমরা কোনভাবে চাই না আমাদের কোন শিক্ষকের গায়ে বিন্দুমাত্র ফুলের টোকা পড়ুক।
আশা করি এরপর থেকে আর কোন প্রিন্ট মিডিয়া এই অপপ্রচারের ফাঁদে পা দেবে না এবং সত্য ও ভেরিফাইড নিউজ প্রচার করবে।
আরেকটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
আমাদের প্রথম দাবিটি ছিল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অধীনস্থ সকলে কুয়েটের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় কুয়েটের ভিতরে বাইরে, কোন প্রকার রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না, উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য আজীবন বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল বিষয়টি স্পষ্টভাবে উক্ত অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে। আবারও বলছি, স্পষ্টভাবে অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে।
কিন্তু, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এর ৯৮ তম সিন্ডিকেট মিটিং এর প্রথম সিদ্ধান্তে, বলা হয়েছে, ৯৩তম (জরুরী) অনুযায়ী স্মারক নং- খুপ্রবি/২৫৯/৬০ তা-১১/০৮/২০২৪ ইং মোতাবেক ঘোষিত রাজনীতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ২০০৩ এর ধারা ৪৪ (৫) এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে খুব সতর্কভাবে খেয়াল করতে হবে যে, ৪৪ (৫) ধারাটি শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বলা হয়নি।
অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ শুধুমাত্র স্মারক দ্বারা স্বীকৃত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন দ্বারা স্বীকৃত না।
আমাদের দাবিটি ছিল, অধ্যাদেশের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, সকল প্রকার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিষিদ্ধ করা, যেটি সিন্ডিকেট মিটিং এর বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরকম প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত আমরা কখনো মানি না এবং মানবো না।
তদন্ত কমিটি ঘোষণা দেয়ার আগে আমাদেরকে অবহিত করা হয় নাই এবং উক্ত কমিটিতে কোন ছাত্র প্রতিনিধি নাই, এমন অবস্থায় এই তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না।
আপনারা সংবাদ মাধ্যম প্রিন্ট ও নিউজ মিডিয়াসহ সকল জায়গায় দেখে থাকবেন যে, যেদিন ১৮ তারিখ আমাদের উপর হামলা করা হয় ঐদিন সন্ধ্যা ছয়টার সময় কেবলমাত্র আমাদের ক্যাম্পাসে আর্মি পুলিশ এসে টহল দেয় এবং মাসুদ স্যারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কিন্ত এর পরে অথবা আগে অন্য কখনোই কুয়েট ক্যাম্পাসের ভিতরে অথবা বাইরে কোথাও কোন ধরনের নিরাপত্তার বাহিনী আমাদের ছাত্রদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেনি। আমরা সম্পূর্ণ অভিভাবক বিহীন এবং অরক্ষিত একটি ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি।
সারা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জানেন যে, কুয়েটে সাধারণ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপরে কিভাবে ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা বারবার আমাদের শিক্ষক এবং মাসুদ স্যারকে দাবি জানিয়েছি, প্রেস মিডিয়াতে বিবৃতি দেয়ার জন্য যে, ছাত্রদল আমাদেরকে আক্রমণ করেছে এবং কুয়েটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই ধরনের একটা বিবৃতি প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনরূপ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মাসুদ স্যার আমাদের উপর উক্ত হামলার ঘটনার কোন প্রকার দায় স্বীকার করে নাই এবং তার পদত্যাগের কোন নাম গন্ধ আমরা পাইনি।
আমরা আবারো বলতে চাই আমাদের দাবি একটি নয় দুটি নয় বরং ছয়টি, আমাদের ছয়টি দাবিই পূরণ করতে হবে।
কুয়েটের যে সকল শিক্ষক, অ্যালামনাই, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী, দেশবাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, পক্ষে কথা বলেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর যারা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের এরকম সংকটময় অবস্থায় পাশে না দাঁড়িয়ে, মিথ্যা অপপ্রচারে বিশ্বাস করে, অন্য কারো পাশে দাঁড়াচ্ছেন, আমাদের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন আমরা তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।
অত্যন্ত দুঃখের হলেও বিষয়টি সত্য যে, যেসকল উপদেষ্টারা হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, তারা আমাদের সাথে একটিবারও যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গত ১৮ তারিখের ঘটনায় কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। কিন্তু এখানে আমরা সবাই জানি মূলত কারা এই হামলাটি ঘটিয়েছে। ছবি ভিডিও ফুটেছে মাধ্যমে চিহ্নিত থাকার পরও, মামলায় সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ না করা এবং ৭৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করা এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনমূলক এবং শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আমাদের স্মারকলিপি পাঠ করেছি, আজকে সেই স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অভিভাবক ও নিরাপত্তাহীন কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চলমান করার জন্য, প্রধান উপদেষ্টাকে অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।ত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রোজ মঙ্গলবার কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের নৃশংস হামলাকে কেন্দ্র করে যে সকল মিথ্যা অপপ্রচার চলছে, তার বিপরীতে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট বিবৃতি:
প্রিন্ট ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, কুয়েট উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, গতকালকেই আমরা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছিলাম। আবারো দ্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, মাসুদ স্যারকে টেনে হিছড়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছি এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন কোন ভিডিও প্রমাণ কোথাও কেউ দেখাতে পারেনি, আমরা একটি ফুলের টোকাও মাসুদ স্যারের গায়ে লাগতে দেই নি। হামলা শুরুর তিন ঘন্টা পর অনেক অনুরোধ করার পর যখন মাসুদ স্যার আমাদের সাথে যায়, তখন অডিটরিয়ামের সামনে আসার পর মাসুদ স্যার বলে, আমি আর যাব না। তখন আমরা স্যারের হাত পা ধরে বলি, স্যার এই যে দেখেন আমাদের ভাইদের কুপিয়ে আহত করা হয়েছে, তাদের রিকশা বাইক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তখন স্যার আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, স্যার মাটিতে বসে পড়েন, তখন শিক্ষার্থীরা মাসুদ স্যারকে নিরাপদে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
আরেকটি ঘটনা যেটা ভিডিওতে দেখানো হয় যার কন্টেক্সট হচ্ছে, মাসুদ স্যার এই নৃশংস হামলার দায় নেবেন না এবং এতে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায়, তখনই শিক্ষার্থীরা হিউম্যান শিল্ড হয়ে মাসুদ স্যারকে ভেতরে নিয়ে যায় এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
প্রতিটি মুহূর্ত আমরা নিজেরা রক্তাক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের প্রতিটি শিক্ষককে হিউম্যান শিল্ড প্রদান করেছি, আমরা কোনভাবে চাই না আমাদের কোন শিক্ষকের গায়ে বিন্দুমাত্র ফুলের টোকা পড়ুক।
আশা করি এরপর থেকে আর কোন প্রিন্ট মিডিয়া এই অপপ্রচারের ফাঁদে পা দেবে না এবং সত্য ও ভেরিফাইড নিউজ প্রচার করবে।
আরেকটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
আমাদের প্রথম দাবিটি ছিল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অধীনস্থ সকলে কুয়েটের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় কুয়েটের ভিতরে বাইরে, কোন প্রকার রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না, উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য আজীবন বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল বিষয়টি স্পষ্টভাবে উক্ত অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে। আবারও বলছি, স্পষ্টভাবে অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে।
কিন্তু, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এর ৯৮ তম সিন্ডিকেট মিটিং এর প্রথম সিদ্ধান্তে, বলা হয়েছে, ৯৩তম (জরুরী) অনুযায়ী স্মারক নং- খুপ্রবি/২৫৯/৬০ তা-১১/০৮/২০২৪ ইং মোতাবেক ঘোষিত রাজনীতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ২০০৩ এর ধারা ৪৪ (৫) এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে খুব সতর্কভাবে খেয়াল করতে হবে যে, ৪৪ (৫) ধারাটি শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বলা হয়নি।
অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ শুধুমাত্র স্মারক দ্বারা স্বীকৃত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন দ্বারা স্বীকৃত না।
আমাদের দাবিটি ছিল, অধ্যাদেশের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, সকল প্রকার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিষিদ্ধ করা, যেটি সিন্ডিকেট মিটিং এর বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরকম প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত আমরা কখনো মানি না এবং মানবো না।
তদন্ত কমিটি ঘোষণা দেয়ার আগে আমাদেরকে অবহিত করা হয় নাই এবং উক্ত কমিটিতে কোন ছাত্র প্রতিনিধি নাই, এমন অবস্থায় এই তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না।
আপনারা সংবাদ মাধ্যম প্রিন্ট ও নিউজ মিডিয়াসহ সকল জায়গায় দেখে থাকবেন যে, যেদিন ১৮ তারিখ আমাদের উপর হামলা করা হয় ঐদিন সন্ধ্যা ছয়টার সময় কেবলমাত্র আমাদের ক্যাম্পাসে আর্মি পুলিশ এসে টহল দেয় এবং মাসুদ স্যারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কিন্ত এর পরে অথবা আগে অন্য কখনোই কুয়েট ক্যাম্পাসের ভিতরে অথবা বাইরে কোথাও কোন ধরনের নিরাপত্তার বাহিনী আমাদের ছাত্রদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেনি। আমরা সম্পূর্ণ অভিভাবক বিহীন এবং অরক্ষিত একটি ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি।
সারা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জানেন যে, কুয়েটে সাধারণ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপরে কিভাবে ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা বারবার আমাদের শিক্ষক এবং মাসুদ স্যারকে দাবি জানিয়েছি, প্রেস মিডিয়াতে বিবৃতি দেয়ার জন্য যে, ছাত্রদল আমাদেরকে আক্রমণ করেছে এবং কুয়েটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই ধরনের একটা বিবৃতি প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনরূপ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মাসুদ স্যার আমাদের উপর উক্ত হামলার ঘটনার কোন প্রকার দায় স্বীকার করে নাই এবং তার পদত্যাগের কোন নাম গন্ধ আমরা পাইনি।
আমরা আবারো বলতে চাই আমাদের দাবি একটি নয় দুটি নয় বরং ছয়টি, আমাদের ছয়টি দাবিই পূরণ করতে হবে।
কুয়েটের যে সকল শিক্ষক, অ্যালামনাই, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী, দেশবাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, পক্ষে কথা বলেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর যারা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের এরকম সংকটময় অবস্থায় পাশে না দাঁড়িয়ে, মিথ্যা অপপ্রচারে বিশ্বাস করে, অন্য কারো পাশে দাঁড়াচ্ছেন, আমাদের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন আমরা তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।
অত্যন্ত দুঃখের হলেও বিষয়টি সত্য যে, যেসকল উপদেষ্টারা হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, তারা আমাদের সাথে একটিবারও যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গত ১৮ তারিখের ঘটনায় কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। কিন্তু এখানে আমরা সবাই জানি মূলত কারা এই হামলাটি ঘটিয়েছে। ছবি ভিডিও ফুটেছে মাধ্যমে চিহ্নিত থাকার পরও, মামলায় সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ না করা এবং ৭৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করা এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনমূলক এবং শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আমাদের স্মারকলিপি পাঠ করেছি, আজকে সেই স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অভিভাবক ও নিরাপত্তাহীন কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চলমান করার জন্য, প্রধান উপদেষ্টাকে অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রোজ মঙ্গলবার কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের ন...
21/02/2025

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রোজ মঙ্গলবার কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের নৃশংস হামলাকে কেন্দ্র করে যে সকল মিথ্যা অপপ্রচার চলছে, তার বিপরীতে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট বিবৃতি:

প্রিন্ট ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, কুয়েট উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, গতকালকেই আমরা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছিলাম। আবারো দ্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, মাসুদ স্যারকে টেনে হিছড়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছি এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন কোন ভিডিও প্রমাণ কোথাও কেউ দেখাতে পারেনি, আমরা একটি ফুলের টোকাও মাসুদ স্যারের গায়ে লাগতে দেই নি। হামলা শুরুর তিন ঘন্টা পর অনেক অনুরোধ করার পর যখন মাসুদ স্যার আমাদের সাথে যায়, তখন অডিটরিয়ামের সামনে আসার পর মাসুদ স্যার বলে, আমি আর যাব না। তখন আমরা স্যারের হাত পা ধরে বলি, স্যার এই যে দেখেন আমাদের ভাইদের কুপিয়ে আহত করা হয়েছে, তাদের রিকশা বাইক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তখন স্যার আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, স্যার মাটিতে বসে পড়েন, তখন শিক্ষার্থীরা মাসুদ স্যারকে নিরাপদে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।

আরেকটি ঘটনা যেটা ভিডিওতে দেখানো হয় যার কন্টেক্সট হচ্ছে, মাসুদ স্যার এই নৃশংস হামলার দায় নেবেন না এবং এতে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায়, তখনই শিক্ষার্থীরা হিউম্যান শিল্ড হয়ে মাসুদ স্যারকে ভেতরে নিয়ে যায় এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

প্রতিটি মুহূর্ত আমরা নিজেরা রক্তাক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের প্রতিটি শিক্ষককে হিউম্যান শিল্ড প্রদান করেছি, আমরা কোনভাবে চাই না আমাদের কোন শিক্ষকের গায়ে বিন্দুমাত্র ফুলের টোকা পড়ুক।

আশা করি এরপর থেকে আর কোন প্রিন্ট মিডিয়া এই অপপ্রচারের ফাঁদে পা দেবে না এবং সত্য ও ভেরিফাইড নিউজ প্রচার করবে।

আরেকটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।

আমাদের প্রথম দাবিটি ছিল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অধীনস্থ সকলে কুয়েটের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় কুয়েটের ভিতরে বাইরে, কোন প্রকার রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না, উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য আজীবন বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল বিষয়টি স্পষ্টভাবে উক্ত অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে। আবারও বলছি, স্পষ্টভাবে অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে।

কিন্তু, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এর ৯৮ তম সিন্ডিকেট মিটিং এর প্রথম সিদ্ধান্তে, বলা হয়েছে, ৯৩তম (জরুরী) অনুযায়ী স্মারক নং- খুপ্রবি/২৫৯/৬০ তা-১১/০৮/২০২৪ ইং মোতাবেক ঘোষিত রাজনীতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ২০০৩ এর ধারা ৪৪ (৫) এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে খুব সতর্কভাবে খেয়াল করতে হবে যে, ৪৪ (৫) ধারাটি শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বলা হয়নি।
অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ শুধুমাত্র স্মারক দ্বারা স্বীকৃত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন দ্বারা স্বীকৃত না।
আমাদের দাবিটি ছিল, অধ্যাদেশের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, সকল প্রকার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিষিদ্ধ করা, যেটি সিন্ডিকেট মিটিং এর বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরকম প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত আমরা কখনো মানি না এবং মানবো না।

তদন্ত কমিটি ঘোষণা দেয়ার আগে আমাদেরকে অবহিত করা হয় নাই এবং উক্ত কমিটিতে কোন ছাত্র প্রতিনিধি নাই, এমন অবস্থায় এই তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না।

আপনারা সংবাদ মাধ্যম প্রিন্ট ও নিউজ মিডিয়াসহ সকল জায়গায় দেখে থাকবেন যে, যেদিন ১৮ তারিখ আমাদের উপর হামলা করা হয় ঐদিন সন্ধ্যা ছয়টার সময় কেবলমাত্র আমাদের ক্যাম্পাসে আর্মি পুলিশ এসে টহল দেয় এবং মাসুদ স্যারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কিন্ত এর পরে অথবা আগে অন্য কখনোই কুয়েট ক্যাম্পাসের ভিতরে অথবা বাইরে কোথাও কোন ধরনের নিরাপত্তার বাহিনী আমাদের ছাত্রদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেনি। আমরা সম্পূর্ণ অভিভাবক বিহীন এবং অরক্ষিত একটি ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি।

সারা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জানেন যে, কুয়েটে সাধারণ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপরে কিভাবে ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা বারবার আমাদের শিক্ষক এবং মাসুদ স্যারকে দাবি জানিয়েছি, প্রেস মিডিয়াতে বিবৃতি দেয়ার জন্য যে, ছাত্রদল আমাদেরকে আক্রমণ করেছে এবং কুয়েটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই ধরনের একটা বিবৃতি প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনরূপ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

মাসুদ স্যার আমাদের উপর উক্ত হামলার ঘটনার কোন প্রকার দায় স্বীকার করে নাই এবং তার পদত্যাগের কোন নাম গন্ধ আমরা পাইনি।

আমরা আবারো বলতে চাই আমাদের দাবি একটি নয় দুটি নয় বরং ছয়টি, আমাদের ছয়টি দাবিই পূরণ করতে হবে।

কুয়েটের যে সকল শিক্ষক, অ্যালামনাই, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী, দেশবাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, পক্ষে কথা বলেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর যারা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের এরকম সংকটময় অবস্থায় পাশে না দাঁড়িয়ে, মিথ্যা অপপ্রচারে বিশ্বাস করে, অন্য কারো পাশে দাঁড়াচ্ছেন, আমাদের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন আমরা তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।

অত্যন্ত দুঃখের হলেও বিষয়টি সত্য যে, যেসকল উপদেষ্টারা হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, তারা আমাদের সাথে একটিবারও যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

গত ১৮ তারিখের ঘটনায় কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। কিন্তু এখানে আমরা সবাই জানি মূলত কারা এই হামলাটি ঘটিয়েছে। ছবি ভিডিও ফুটেছে মাধ্যমে চিহ্নিত থাকার পরও, মামলায় সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ না করা এবং ৭৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করা এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনমূলক এবং শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আমাদের স্মারকলিপি পাঠ করেছি, আজকে সেই স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অভিভাবক ও নিরাপত্তাহীন কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চলমান করার জন্য, প্রধান উপদেষ্টাকে অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের কর্মসূচি পালিত, আহতদের স্মরণে ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ভিসির বাসভ...
21/02/2025

কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের কর্মসূচি পালিত, আহতদের স্মরণে ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ভিসির বাসভবনে তালা দিল শিক্ষার্থীরা।

জ্ঞান, গৌরব ও অনুপ্রেরণার কণ্ঠস্বর—কুয়েট রেডিও-বুলেটিন! ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্পন্দন, প্রতিটি অর্জন ও প্রতিটি গুরুত্বপূর...
21/02/2025

জ্ঞান, গৌরব ও অনুপ্রেরণার কণ্ঠস্বর—কুয়েট রেডিও-বুলেটিন! ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্পন্দন, প্রতিটি অর্জন ও প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এখন এক ঠিকানায়। একাডেমিক, প্রশাসনিক, গবেষণা, প্রযুক্তি ও ক্যাম্পাস জীবনের প্রতিটি দিকের নির্ভরযোগ্য খবরাখবর পাবেন এখানে। সত্য ও তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎসে সংযুক্ত থাকুন, কুয়েটকে জানুন আরও গভীরভাবে!

21/02/2025

কুয়েটে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের কর্মসূচি চলমান।

Address

Khulna
9203

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when KUET Radio - Bulletin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share