10/10/2024
সরকারের পরতে পরতে সাবেক ছাত্রলীগ
বর্তমান প্রশাসনের বাটন হাসিনার দোসর ঊর্মিদের হাতেই!
👇
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পরও আওয়ামী লীগের পরিচিতি যোগ্যতায় সরকারি চাকরি পাওয়া হাজার হাজার কর্মকর্তা ঘাপটি মেরে বর্তমান প্রশাসনে রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রশাসনের কিছু জায়গায় আমলাদের মধ্যে ব্যালেন্স করার চেষ্টা হচ্ছে। আর সে ব্যালেন্স করতে গিয়ে জামায়াত অনুসারীদের সেখানে নেয়া হচ্ছে। বিএনপি চেতনাধারী নাম শুনলেই তার বিপক্ষে নানা অজুহাত তোলা হচ্ছে।
প্রতিটি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিগত ১৫ বছর নিয়োগের যোগ্যতা ছিল রাজনৈতিক পরিচয়। লেখাপড়ার সময় ছাত্রলীগ করেছে কিনা, পরিবারের মধ্যে আওয়ামী লীগ আছে কিনা সে সব দেখে নিয়োগ দেয়া হতো।
ছাত্রলীগের কেউ রিটার্নে পাস করলেই বিসিএস চাকরি নিশ্চিত হওয়ায় প্রশাসনের এ টু জেড হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ ঘরানার। পতিত হাসিনাও সরকারি কর্মকর্তাদের পদ-পদবিতে যোগ্যতা-অভিজ্ঞতার চেয়ে ‘মুজিববাদী’ চেতনাকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। হাসিনা রেজিমে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা একাকার হয়ে গিয়েছিলেন। সে জন্য বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় শেখ হাসিনা সচিব ও ডিসিদের দিয়ে সারাদেশে কিছু মানুষের কাছে প্রণোদনা বিতরণ করেছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারী অথচ আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে মিছিল নিয়ে হাজির হওয়া রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল। রাজনৈতিক দলীয় সেøাগান দিয়ে সরকারি চাকরি করলে প্রমোশন, পয়সার খনিতে পদায়নে সুবিধা হয়। ফলে চাকরির শৃংখলা ভঙ্গ করায় প্রশাসনে সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিদের (আওয়ামী তাবেদার) সংখ্যা বেড়েছে। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হাজার হাজার তাপসীরা (সাবেক ছাত্রলীগ) কাজ করছেন। বলা যায় ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও এখনো প্রশাসন পরিচালনার বাটন তাদের হাতেই।
বলা যায় ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও এখনো প্রশাসন পরিচালনার বাটন তাদের হাসিনার দোসরদের হাতেই।
শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাদের কেউ পালিয়েছেন, কেউ গ্রেফতার হয়েছেন। কেউ রিমান্ডে হাহুতাশ করছেন, কেউ কেউ পালানোর লক্ষ্যে সীমান্তের জেলাগুলোতে মানুষের বাসাবাড়ির গর্তে লুকিয়ে রয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনে তাপসীদের (আওয়ামী চেতনাধারী) সংখ্যা কমেনি। তিনটি নির্বাচনের নামে সার্কাস করে ক্ষমতায় আনার হাসিনা তাদের বৈধ-অবৈধ সুবিধা দেন। ওই বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা ও আমলা শত শত কোটি টাকা লুট করে গণহত্যার পর পালিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের পরিচিতি যোগ্যতায় সরকারি চাকরি পাওয়া হাজার হাজার কর্মকর্তা ঘাপটি মেরে বসে আছেন।