17/09/2022
বিশ্বকর্মা প্রনাম মন্ত্র🙏
দেবশিল্পিন্ মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধক।
বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টফলপ্রদ॥
সবাইকে জানাই বিশ্বকর্মা পূজোর অনেক অনেক শুভেচ্ছা 🌸
রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পূজো (Viswakarma Puja)। তাই ব্যস্ততার শেষ নেই কলকারখানা, ওয়ার্কশপ আর বিভিন্ন অফিস-কাছারিতে। কাজের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর কাজেও হাত লাগাবেন কর্মচারীরা। আগামীকাল সকলে মেতে উঠবেন ভগবান বিশ্বকর্মার (Lord Viswakarma) আরাধনায়।
বিশ্বকর্মাকে মূলত দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়। ঋক বেদে উল্লেখ্য দেবতাদের মধ্যে একজন হলেন বিশ্বকর্মা। লক্ষ্য করা যায়, প্রায় প্রতি বছরই বিশ্বকর্মা পুজো বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে হয়ে থাকে। কারণ, মনে করা হয়, কন্যা সংক্রান্তির দিনেই (আসলে এই দিনেই সূর্য অবস্থান বদলে কন্যা রাশি বা ভার্গো সাইনে চলে যায়) এসেছিলেন বিশ্বকর্মা। এবার চলে আসা যাক, চলতি বছরের বিশ্বকর্মা পুজোর দিন, ক্ষণ এবং তাৎপর্য প্রসঙ্গে।
ভগবান বিশ্বকর্মার পরিচয়:
সাধারণত ইঞ্জিনিয়র, ছুতোর, স্থপতি এবং কারিগরদের দেবতা হিসেবে পূজিত হন তিনি। পৌরাণিক মতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা গড়ে দিয়েছিলেন কারিগরদের দেবতা বিশ্বকর্মাই। প্রচলিত রয়েছে, পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরও বিশ্বকর্মার হাতে গড়া হয়েছিল। এ ছাড়াও তালিকা দীর্ঘ। বলা হয়, ভগবান শিবের ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, রাবণের পুষ্পক বিমান এবং দেবরাজ ইন্দ্রের বজ্র- এ সবই বিশ্বকর্মারই গড়া।
ছবিতে বিশ্বকর্মা:
ভগবান বিশ্বকর্মার ছবি আমরা যে ভাবে দেখে আসছি, তাতে দেখা যায়, বিশ্বকর্মা সুপুরুষ। তিনি শ্মশ্রুগুম্ফশোভিত এবং চোখে জ্ঞানের গভীরতা। তিনি চতুর্ভুজ। অর্থাৎ, চারটি হাত তাঁর। জেনে নেওয়া যাক, তাঁর এই চার হাতে কী কী থাকে। উপরের ডান এবং বাম হাতে থাকে যথাক্রমে একটি মাপের ফিতে এবং একটি স্কেল। আর নিচের ডান এবং বাম হাতে যথাক্রমে থাকে একটি বই এবং একটি পাত্র।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন:
চলতি বছর বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হবে ১৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।
বিশ্বকর্মা পুজো সংক্রান্তির সময়:
এই বছরের বিশ্বকর্মা পুজোর সংক্রান্তির সময় রাত ১টা বেজে ২৯ মিনিট।
বিশ্বকর্মা পুজোর তাৎপর্য:
১. পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকে এই পুজো সাড়ম্বরে পালন করা হয়।
২. কলকারখানা এবং বিভিন্ন কারিগর, শিল্পী, ছুতোর, স্থপতিদের ওয়ার্কশপেও বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। শুধু তা-ই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কাজের উন্নতি ও সাফল্যের আশায় প্রার্থনা করা হয় ভগবান বিশ্বকর্মার কাছে।
৩. পুজোর দিনে কলকারখানা ও ওয়ার্কশপে ভগবান বিশ্বকর্মার মূর্তির পুজোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন যন্ত্রপাতিরও পুজো করা হয়।
৪. কর্মক্ষেত্রে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না-ঘটে, সেই বিষয়েও প্রার্থনা করা হয় বিশ্বকর্মার কাছে।
৫. প্রতি বছর পুজোর দিনে কাজের জায়গা থেকে নেতিবাচকতা বা অপশক্তির বিনাশ করতে ভগবান বিশ্বকর্মার পুজো সাড়ম্বরে পালন করা হয়।
৬. পুজোর দিনে কর্মচারীরা শুধু সাফল্যের প্রার্থনাই করেন না, সেই সঙ্গে মেতে ওঠেন আনন্দে। যাতে আবার পরের দিন থেকে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারেন।
🙌🙌জয় জয় শ্রী বিশ্বকর্মার জয়🙌🙌