08/07/2021
জেলা
পাঁচবিবিতে অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্নপত্র আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ২
প্রতিনিধিজয়পুরহাট
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২১, ২১: ৪৯
অ+
অ-
ধর্ষণ।
ধর্ষণ।প্রতীকী ছবি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্নপত্র আনতে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থের বিনিময়ে আপসরফা করতে বাধ্য করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য (৩৫) ও এক কৃষক লীগ নেতা। এ অভিযোগ ওই ছাত্রীর পরিবারের দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি ওই দপ্তরি মেহেদী হাসান (৩০) ও ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার অপর আসামি পাঁচবিবি উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলীমুজ্জামান ওরফে বাবুল (৪৫) পলাতক। গ্রেপ্তার দুজনকে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী তাদের বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী মেহেদী হাসানের বাড়িতে অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আনতে যায়। এ সময় দপ্তরি মেহেদীর বাড়িতে তাঁর মা-বাবা কেউ ছিলেন না। এ সুযোগে দপ্তরি মেহেদী ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। পরে ওই ছাত্রীর মা-বাবা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে বিচার দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষক লীগ নেতা আলীমুজ্জামান বাবুল ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারকে চাপ দিয়ে টাকার বিনিময়ে আপসরফা করতে বাধ্য করেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষক লীগ নেতা আলীমুজ্জামান বাবুল অভিযুক্ত দপ্তরি মেহেদীর কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারকে চাপ দিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে আপসরফা করতে বাধ্য করেন। তাঁরা ভুক্তভোগী পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত মেহেদীর কাছ থেকে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রেখে দেন। ওই ছাত্রীর পরিবার কোনো টাকাপয়সা পায়নি। এ ঘটনায় সোমবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব প্রথম আলোকে বলেন, নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। পরে ইউপি সদস্যসহ অন্যরা ঘটনাটি আপসরফার জন্য চাপ দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। পুলিশ প্রধান আসামি নৈশপ্রহরী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ADVERTISEMENT
জেলা থেকে আরও পড়ুন
পাঁচবিবিজয়পুরহাটশিশু ধর্ষণরাজশাহী বিভাগধর্ষণ
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
ধর্ষণের বিচারে নারীর ‘চরিত্র’
ধুনটে ধর্ষণ মামলার বাদীপক্ষকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ১
ধর্ষণ মামলা মীমাংসার অভিযোগ, মারধরে ভুক্তভোগীসহ আহত ৪
শ্রীপুরে তরুণী ধর্ষণ মামলার আরও এক আসামি গ্রেপ্তার
sun
বাংলাদেশ
খাদ্যসহায়তার চালে দুর্গন্ধ, পোকায় ভরা
প্রতিনিধিলক্ষ্মীপুর
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ০০: ৩৮
অ+
অ-
খাদ্যসহায়তার চালে দুর্গন্ধ, পোকায় ভরা
করোনার কারণে অসহায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে ১০ কেজি চাল, ডালসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছিল। কিন্তু এ চাল পেয়ে হতাশ হয়েছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
তাঁদের অভিযোগ, চালগুলোতে দুর্গন্ধ, পোকায় ভরা। বুধবার রায়পুর পৌরসভা কার্যালয়ে এসব চালসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী পারুল আক্তার বলেন, লকডাউনে তাঁদের কাজ নেই। আট সদস্যের পরিবার তাঁর। সাত-আট দিন ধরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। পৌর কর্তৃপক্ষ চাল দেওয়ার খবরে ভীষণ খুশি হন। কিন্তু দুর্গন্ধ আর পোকায় ভরা চাল পেয়ে হতাশ হয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. মহসিন বলেন, পৌরসভায় সরবরাহ করা চালগুলো আগের ছিল। এর মধ্যে অল্প কিছু চাল পোকা-দুর্গন্ধ হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘চালে দুর্গন্ধ-পোকা থাকার বিষয়টি কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জেনেছি অল্প কিছু চালে সমস্যা ছিল। খাদ্যগুদাম থেকে এ ধরনের চাল সরবরাহ করা ঠিক হয়নি।’
পৌরসভা কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনার কারণে জেলা প্রশাসক রায়পুর পৌরসভায় সাড়ে চার মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। এসব বরাদ্দ ৬০০ অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে থাকবে ১০ কেজি চাল এবং এক কেজি করে ডাল, তেল, চিনি ও মুড়ি। গতকাল শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সাংসদ নুরউদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ থেকে আরও পড়ুন
রায়পুরলক্ষ্মীপুরচট্টগ্রাম বিভাগখাদ্যদ্রব্য
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
খাদ্য সহায়তা পেয়েছে হতদরিদ্র মানুষ
বদলে যাচ্ছে আগামী দিনের চকলেট
ঈদে ১০ কেজি করে চাল পাবে এক কোটির বেশি দুস্থ পরিবার
আকুপ্রেশার করে লিভারকে ভালো রাখুন
sun
জেলা
কুমিল্লায় এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৯৩ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৭
নিজস্ব প্রতিবেদককুমিল্লা
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২১, ২২: ৪২
অ+
অ-
কুমিল্লা জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক ৩৯৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাতজন। আজ বুধবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহাদাত হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলায় ৮৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৪ জন গ্রামের ও ৩ জন সিটি করপোরেশন এলাকার। এঁদের মধ্যে ৪ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ।
বিজ্ঞাপন
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন শনাক্ত হওয়া ৩৯৩ জনের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ১৮০, বুড়িচং উপজেলার ৩১ জন, আদর্শ সদর ও চৌদ্দগ্রামের ২৮ জন করে, লাকসাম উপজেলার ২২ জন, চান্দিনার ১৯ জন, মুরাদনগরের ১৮ জন ও বরুড়ার ১২ জন এবং বাকি ১০ উপজেলার ৫৫ জন।
বিজ্ঞাপন
করোনায় বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৯ বছরের এক পুরুষ, ৬৩ বছরের এক নারী ও ৬৫ বছরের এক পুরুষ মারা গেছেন। শহরের বাইরে মুরাদনগর উপজেলায় ৬৫ বছরের এক নারী ও ৮০ বছরের এক পুরুষ ও বুড়িচং উপজেলায় দুই নারী মারা গেছেন। বুড়িচংয়ের দুই নারীর প্রত্যেকের বয়স ৬৫ বছর। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৫ জন।
জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, ‘কুমিল্লায় করোনার সংক্রমণ ও করোনায় মৃতের হার বাড়ছে। আমরা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন
কুমিল্লায় ১৭০ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ২
জেলা থেকে আরও পড়ুন
করোনাভাইরাসকরোনা প্রতিরোধচট্টগ্রাম বিভাগকুমিল্লা
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, রদবদলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সরালেন মোদি
গ্রেপ্তার হওয়া বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ
কেন তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাসের মারাত্মক ধরন?
বাবার মৃত্যুর খবর শোনার পর মারা গেলেন ছেলে
sun
জেলা
বাবার লাশ উঠানে ফেলে রেখে জমি ভাগাভাগি নিয়ে সন্তানদের ঝগড়া
প্রতিনিধিগোয়ালন্দ, রাজবাড়ী
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২১, ২২: ৩৩
অ+
অ-
বাবা মারা গেছেন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে। চলছিল রাতের মধ্যে লাশ দাফনের প্রস্তুতি। এর মধ্যে পাঁচ সন্তানের মধ্যে জমি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া লাগে। দিন পেরিয়ে সারা রাত চলে পরিবারের ঝগড়া। এমন চিত্র দেখে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন। চেয়ারম্যান আজ বুধবার সকালে এসে সালিস বসিয়ে সন্তানদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত বাড়ির উঠানেই পড়ে থাকে লাশ। সালিসে সমঝোতা না হলে চেয়ারম্যান হস্তক্ষেপ করে দুপুরে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এর মধ্যে বড় ছেলের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে লাশ রাজবাড়ী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনাটি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁচুরিয়া অম্বলপুর গ্রামের। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল বেলা তিনটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন অম্বলপুর গ্রামের কৃষক ইয়াছিন মোল্লা (৮৮)। ইয়াছিন মোল্লার দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে বাবলু মোল্লা, ফুলবড়ু, রাবেয়া ও মমতাজের সঙ্গে ছোট ছেলে রহমান মোল্লার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে পাঁচ সন্তান সারা দিনরাত জমি ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া করে বাবার লাশ দাফনে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
বাবলু মোল্লা, ফুলবড়ু, রাবেয়া ও মমতাজ অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন বাবা তাঁদের ছোট ভাই রহমান মোল্লার কাছে থাকতেন। এ সুযোগে তাঁর সব সম্পত্তি রহমান নিজের নামে লিখে নেন। এ নিয়ে রাজবাড়ীর আদালতে তাঁরা চার ভাইবোন একটি মামলা করেছেন। মামলায় গত সোমবার বাবাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিলেও অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। অসুস্থতার খবরে তাঁরা বাবাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে বললেও ছোট ভাই স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করান। তাঁদের ধারণা, রহমান ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাবাকে মেরে ফেলেছেন।
সালিসেও সমঝোতা না হলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী পাঠায়। জমি নিয়ে সন্তানদের বিরোধে প্রায় ২৭ ঘণ্টা বাবার লাশ দাফন নিয়ে কালক্ষেপণ চলে।
ইয়াছিন মোল্লার ছোট ছেলে রহমান মোল্লা বলেন, ‘আমি বাবাকে দেখভাল করতাম। গত শুক্রবার হঠাৎ বাবা অসুস্থ হলে গোয়ালন্দে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাই। এ সময় ডাক্তার কিছু টেস্ট ও ওষুধ লিখে দেন। বাবাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাতে বলেন। তাই বাসায় রেখে চিকিৎসা করাই। মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে বাবা আরও বেশি অসুস্থ হলে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
বিজ্ঞাপন
দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, পরিবারের প্রায় ৬০ শতক জমি নিয়ে সন্তানদের মধ্যে বিরোধ চলছে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ইয়াছিন মোল্লা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকছিলেন। গতকাল বিকেলে তিনি মারা গেলে তাঁর লাশ বড় ছেলে ও অন্যান্য বোন বাড়িতে তুলতে দেননি বলে ছোট ছেলে রহমান অভিযোগ করেন। আজ সকালে বাড়িতে গিয়ে লকডাউনের পর জমির সমস্যা সমাধান করা হবে মর্মে স্ট্যাম্পে তাঁদের উভয় পক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে ইয়াছিন মোল্লার দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী পাঠায়। জমি নিয়ে সন্তানদের বিরোধে প্রায় ২৭ ঘণ্টা দাফন নিয়ে কালক্ষেপণ চলে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের কারণে প্রায় এক বছর ধরে ইয়াছিন মোল্লা ও তাঁর ছোট ছেলে রহমান মোল্লা বাড়িছাড়া। এখানে অন্য ছেলেমেয়েরা অভিযোগ করে আসছিলেন, কৌশলে রহমান জমি লিখে নিতেই বাবাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকছেন। পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যাওয়ার পর ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যা সাতটায় নিজ বাড়িতে আনা হলে বাড়ির আঙিনায় দাফন সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে একটি সাধারণ ডায়েরি মূলে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী হাসপাতালের মর্গে পাঠান তিনি।
জেলা থেকে আরও পড়ুন
গোয়ালন্দরাজবাড়ীমৃত্যুঢাকা বিভাগ
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
পদ্মার পানি বৃদ্ধি, দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাট বন্ধ
দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যান ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে
আট মাস পর দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট চালু
ফেরিঘাট ফাঁকা, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
sun
করোনাভাইরাস
বাবার মৃত্যুর খবর শোনার পর মারা গেলেন ছেলে
নিজস্ব প্রতিবেদককুষ্টিয়া
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২১, ২২: ৩০
অ+
অ-
করোনায় বাবার মৃত্যু। এমন খবর শুনে কিছুক্ষণ পর মারা গেলেন ছেলে। কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ায় এমন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পারিবারিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৩ জুলাই আবদুল আজিজ শেখ ও তাঁর স্ত্রী আলেয়া বেগমের (৭৫) করোনা শনাক্ত হয়। ওই দিনই তাঁরা দুজন কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিকে এর আগের দিন তাঁদের ছেলে মতিয়ার রহমান হৃদ্রোগের সমস্যা নিয়ে শহরের তোফাজ্জেল হেলথ ক্লিনিকে ভর্তি হন।
কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতাল সূত্র জানায়, আবদুল আজিজ ও তাঁর স্ত্রী আলেয়া বেগম করোনা ১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের দুজনের শরীরেই অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল। এরপর আজ বেলা সোয়া একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজ মারা যান। তাঁর স্ত্রীর আলেয়ার এখনো চিকিৎসা চলছে।
বিজ্ঞাপন
তোফাজ্জেল হেলথ ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী চিকিৎসক আমিনুল হক বলেন, মতিয়ার হার্টের সমস্যা নিয়ে এখানে ভর্তি ছিলেন। বাবার মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই তাঁর কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই পরিবারের আত্মীয় শিউলি রহমান জানান, দুজনের লাশই সন্ধ্যায় স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। একসঙ্গে বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
করোনাভাইরাস থেকে আরও পড়ুন
মৃত্যুকুষ্টিয়া সদরকরোনাভাইরাসখুলনা বিভাগকুষ্টিয়া
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, রদবদলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সরালেন মোদি
গ্রেপ্তার হওয়া বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ
কেন তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাসের মারাত্মক ধরন?
কুমিল্লায় এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৯৩ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৭
জেলা
বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দেখেন কান্নার রোল
প্রতিনিধিফেনী
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২১, ২২: ২৪
অ+
অ-
‘হ্যালো অক্সিজেন’ দলের স্বেচ্ছাসেবকেরা সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেখেন কান্নার রোল। মাত্র ৫ মিনিট আগে মারা গেছেন তিনি। হয়তো আর ১০ মিনিট আগে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পৌঁছাতে পারলেও তাঁকে বাঁচানো যেত। পরিবারের সদস্যদের শোক ছুঁয়ে যায় স্বেচ্ছাসেবকদেরও। গতকাল মঙ্গলবার ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম নাম গিয়াস উদ্দিন (৩৫)। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। আজ বুধবার সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরশুরাম উপজেলায় দাফন কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকেরা লাশ দাফন করেন। গিয়াস উদ্দিন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর কোলাপাড়া গ্রামের বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর ছেলে। তিনি এক ছেলে রেখে গেছেন। চার দিন আগে গত শুক্রবার তাঁর বাবা বেলায়েত হোসেন চৌধুরীও মারা যান। তাঁর বাবারও জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ ছিল।
এলাকাবাসী ও স্বজনেরা জানান, বেশ কিছুদিন থেকে সত্তরোর্ধ্ব বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গে ভুগছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে গিয়াস উদ্দিনও অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনা পরীক্ষার জন্য গত রোববার পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন। মঙ্গলবার পাঠানো প্রতিবেদনে তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।
পরিবার সূত্র জানায়, করোনা পজিটিভ নিশ্চিত হয়েও তিনি নিজের বাড়িতেই ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে শ্বাসকষ্ট অনুভূত হলে স্বজনেরা অক্সিজেনের জন্য পরশুরাম উপজেলা সদরে ‘হ্যালো অক্সিজেন’ সেবায় খবর দেন। হ্যালো অক্সিজেনের স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রধান ইয়াছিন শরীফ মজুমদার ও তাঁর সহযোগীরা সিলিন্ডার নিয়ে রাত ১০টার দিকে গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছান। ততক্ষণে মরদেহের পাশে পরিবারের সদস্যদের কান্নার রোল পড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
ইয়াছিন শরীফ মজুমদার বলেন, আরও অন্তত ১০ মিনিট আগে পৌঁছাতে পারলেও হয়তো এমন দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হতো না।
পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল খালেক বলেন, হঠাৎ করে রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়াস উদ্দিন মারা যান। ফলে চিকিৎসা দেওয়ারও আর সুযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
বিজ্ঞাপন
পরশুরাম উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩২৯ জনের শারীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৭ জন। ২১২ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ছাড়া ১০৪ জন রোগী হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।