সালাফী TV

সালাফী TV সহি আকিদা স্মম্পন্ন ইসলামিক পেজ।

23/08/2024
◾আসসালামু আলাইকুম-◾আহলে হাদীসদের বিরুদ্ধে (আহলুল বিদা'আহদের কর্তৃক প্রচারিত) কতিপয় অভিযোগ ও ভূল ধারণা; এবং সেগুলোর নিরস...
15/10/2023

◾আসসালামু আলাইকুম-
◾আহলে হাদীসদের বিরুদ্ধে (আহলুল বিদা'আহদের কর্তৃক প্রচারিত) কতিপয় অভিযোগ ও ভূল ধারণা; এবং সেগুলোর নিরসন-
•┈┈••┈┈•┈┈•⊰ ◈ ⊱•┈┈•┈┈••┈┈•
•❏ অভিযোগ ১-
•"সালাফীরা শাফেয়ী বা শাফেয়ীদের মতো।"
•জবাবঃ
•আসলে অনেক মাস'আলায় শাফেয়ীদের সাথে সালাফীদের মিল দেখে কোনো কোনো অর্বাচীন এমন কথা বলে থাকে।

❏ অভিযোগ ২-
"সালাফীরা মাযহাব মানে না।
ইমাম মানে না।"

জবাবঃ
হ্যাঁ, সালাফীরা বানাওয়াট মাযহাব মানে না। কারণ প্রসিদ্ধ মাযহাবের চার ইমাম কখনোই বলে যাননি যে, তোমরা আমাদের অন্ধানুকরণ কর। বরং তারা বলে গেছেন, কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করতে। আর কুরআন-হাদীসে মাযহাব মানার কথা বলা হয়নি।
সালাফীরাই সকল ইমামকে মান্য করে থাকেন, যেহেতু সকল ইমাম সালাফীই ছিলেন। তাঁদের কোনো নির্দিষ্ট মাযহাব ছিল না। পরন্তু সবাই বলে গিয়েছেনঃ
❝হাদীস সহীহ হলে, সেটাই আমার মযহাব❞।
সুতরাং তাদের এই নির্দেশ মান্য করে সালাফীরাই ১০০% হানাফী, ১০০% মালেকী, ১০০% শাফেয়ী এবং ১০০% হাম্বলী।

❏ অভিযোগ ৩-
"সালাফীরা দরূদ পড়ে না(!)"

জবাবঃ
হ্যাঁ, তারা কোনো নকল (হাদিস বহির্ভূত) দরূদ পড়ে না এবং কোনো বানাওয়াটি পদ্ধতিতে দরূদ পড়ে না। যেহেতু তা বিদ'আত।

❏ অভিযোগ ৪-
"সালাফীরা আওলিয়াদের সম্মান করে না।"

জবাবঃ
এটা ভূল ধারণা। অবশ্য তারা তাদেরকে সিজদা করে না, প্রণাম করে না এবং মরণের পর তাদের কবরের উপর মাযার তৈরি করে না। যেহেতু এ সকল কর্ম সম্মানে বাড়াবাড়ি ও শরীয়ত-বিরোধী।

❏ অভিযোগ ৫-
"সালাফীরা আহলে বাইতের সম্মান করে না, তাদেরকে ভালোবাসে না।"

জবাবঃ
এটাও পূর্বানুরূপ ভূল ধারণা। তবে তারা তাদের জন্ম-মৃত্যুদিন পালন করে না; মাতম করে না, তাজিয়া করে না---এ কথা ঠিক। কারণ তা শরীয়ত-পরিপন্থী।

❏ অভিযোগ ৬-
"আহলে হাদীস আয়েম্মা ও ফুক্বাহা (রাহিমাহুমুল্লাহ)দেরকে গালাগালি দেয়।"

জবাবঃ
সত্যপক্ষে আহলে হাদীস যারা, তারা কোনো দিনই তাদেরকে গালি দিতে পারে না। অবশ্য এ কথা অনস্বীকার্য যে, প্রত্যেক দলেই এক শ্রেণীর গোড়া মানুষ থাকে, তারাই পরস্পরকে গালাগালি করে। তাছাড়া আহলে হাদীসের আক্বীদা হলো, সকল ইমামই আহলে সুন্নাহ বা হাদীস ছিলেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণকে তাঁরা ওয়াজিব জানতেন এবং সবাই এতে একমত ছিলেন। তারা এ কথাও জানতেন যে, "রাসূল (ﷺ) এর কথা ছাড়া বাকী অন্য কোনো সাহাবী, তাবেঈ ইমাম বা আলেমের কথা মান্যও হতে পারে এবং অমান্যও"। কিন্তু তাঁরা মাসুম ছিলেন না, মুজতাহিদ ছিলেন। তাদের কোনো ফায়সালা ভূল হলে একটি এবং ঠিক হলে দু’টি নেকীর তারা হকদার হন। সুতরাং যারা নেকীর হকদার, তাদেরকে গালি দেওয়ার কোনো প্রসঙ্গই আসে না!
তাছাড়া মহানবী (ﷺ) কি বলেছেন,
❝মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী (আল্লাহর অবাধ্যাচরণ) এবং তার সাথে লড়াই ঝগড়া করা কুফরী।❞
[ বুখারী ৪৮; মুসলিম ২৩০ ]

❏ অভিযোগ ৭-
"আহলে হাদীসদের অনেক মাসায়েল কুরআন-হাদীস বিরোধী।"

জবাবঃ
আসলে আহলে হাদীসদের মাসায়েল কুরআন-হাদীস বিরোধী নয়, বরং মাযহাবীদের মাযহাব বিরোধী অথবা দ্বঈফ বা জালহাদিস বিরোধী। অথবা পরস্পরবিরোধী দুই হাদিসের অপ্রাধান্যপ্রাপ্ত হাদিস বিরোধী। যারা সহীহ হাদিস মেনে চলার শতভাগ চেষ্টা করে, তারা কি কুরআন-হাদিস বিরোধী সমাধান দিতে পারে?

❏ অভিযোগ ৮-
"আহলে হাদীস বুখারীর মুক্বাল্লিদ, আলবানীর মুকাল্লিদ.... ।"

জবাবঃ
আসলে তাক্বলীদের মৌলিক অর্থ এবং অন্ধ অনুকরণ ও ইত্তিবা বা অনুসরণের অর্থ না বুঝে অনেকে এই শ্রেণীর মন্তব্য করে থাকে। বলা বাহুল্য, গায়রে মুকাল্লিদ নির্দিষ্ট কারো মুকাল্লিদ নয়। গায়রে মুকাল্লিদ কুরআন-হাদীস বুঝতে ও মানতে নির্দিষ্ট কারো তাক্বলীদ করে না। বরং আহলে হাদিস সেব্যাপারে সাহাবা, তাবেঈন, আয়িম্মা ও ফুক্বাহার অনুসরণ করে। অতঃপর যেটি সহীহ দলীলের অধিক নিকটবর্তী পায়, তার অনুসরণ করে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেন,
۝﴿وَالَّذِينَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوتَ أَن يَعْبُدُوهَا وَأَنَابُوا إِلَى اللَّهِ لَهُمُ الْبُشْرَىٰ ۚ فَبَشِّرْ عِبَادِ * الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ ۚ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ﴾۝

অর্থাৎ, ❝যারা তাগুতের পূজা হতে দূরে থাকে এবং আল্লাহর অনুরাগী হয়, তাদের জন্য আছে সুসংবাদ। অতএব সুসংবাদ দাও আমার দাসদেরকে---যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে এবং যা উত্তম তার অনুসরণ করে। ওই তারা, যাদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ওরাই বুদ্ধিমান।❞
[ সূরা যুমারঃ ১৭-১৮ ]

আহলে হাদীস যে ইমাম বুখারীর মুক্বাল্লিদ নয়, সে কথা স্বীকার করে খোদ মাযহাবীরাই উদাহরণ দিয়ে থাকেন।
অনেকে এ কথাও উল্লেখ করে থাকেন যে, আহলে হাদিসরা শায়খ আলবানীর অন্ধানুকরণ করে না। যেহেতু বহু মাসায়েলে তারা তার ফতোয়ার বিপরীত মত অনুসরণ করে থাকে।

❏ অভিযোগ ৯-
"'আসহাবুল হাদীস’ মানে কেবল মুহাদ্দিসীনকে বুঝানো হয়। তথাকথিত আহলে হাদীসকে নয়।"

জবাবঃ
অর্থাৎ, যাদের কাছে হাদিসের ইলম আছে কেবল তারাই সাহায্যপ্রাপ্ত দল, কেবল তারাই ফির্কাহ নাজিয়াহ। আশা করি জ্ঞানীগণ মানবেন যে, যারা তাদের অনুসরণ করে সহীহ হাদীস ভিত্তিক আমল করে, তারাও তাদেরই দলভূক্ত। আম জনসাধারণ মুহাদ্দিসীন না হলেও তারা তাদের আদর্শ অনুসারে চলে। তাই তারাও ‘আহলে হাদীস’।
যেমন আহলে কিতাব (ইয়াহুদী-খ্রিস্টান) বলতে তাদের উলামা ও আম জনসাধারণ উভয় শ্রেণীর মানুষকে বুঝানো হয়।

❏ অভিযোগ ১০-
"সালাফীরা ইজমা মানে না।"

জবাবঃ
ভূল ধারণা। ইজমা সঠিক হলে অবশ্যই মানে; আর সঠিক ইজমা কুরআন ও সহীহ হাদিস-বিরোধী হয় না। কোনো ভূলের উপর উম্মাহর ইজমা হতে পারে না। আর কোনো বিষয়ে সঠিক ইজমা ও সর্ববাদিসম্মতি হওয়া বিশাল কঠিন ব্যাপার।

❏ অভিযোগ ১১-
"আহলে হাদিস কিয়াস মানে না।"

জবাবঃ
যে সমস্যার সমাধানে কুরআন-হাদিসের স্পষ্ট উক্তি নেই, অনেক অনভিজ্ঞ ব্যক্তি উক্ত কথা বলে, সে সমস্যার কথা উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে হাদিস পেশ করতে বলে। অথচ অভিজ্ঞ মাযহাবীরাও জানেন যে, আহলে হাদীসরাও কিয়াস মানে। তবে সহীহ হাদিসের ওপর কিয়াসকে প্রাধান্য দেয় না! পানি না পাওয়া গেলে ওযুর জায়গায় তায়াম্মুম ব্যবহার করে, কিন্তু পানি সামনে এলে তায়াম্মুম বাতিল মনে করে।

❏ অভিযোগ ১২-
"আহলে হাদীসরা নফসের ইত্তিবা করে(!)"

জবাবঃ
এটিও একটি গায়ের ঝাল-ঝাড়া অপবাদ। আহলে হাদিস নির্দিষ্ট কোনো মাযহাবের তাক্বলীদ করে না বলে, তারা সুবিধাবাদী নফসের পূজারী নয়!
একই বিষয়ে উলামাগণের বহুমত থাকলে সেই মতকেই তারা গ্রহণ করে, যা সহীহ দলীল-ভিত্তিক এবং বলিষ্ঠ।
কক্ষনোই সে মত গ্রহণ করে না, যা নিজেদের মনঃপুত ও যাতে নিজেদের স্বার্থ ও সুবিধা রক্ষা হয়। কার মত গ্রহণ করা হবে, তা নিয়েও তারা নিজেদের বিবেক-বিবেচনাকে কাজে লাগায়। কোন্ আলেম ইলম ও আমলে বড়, তা নির্বাচন করে সুস্থ মন-মস্তিষ্কের মাপকাঠিতে।
যেহেতু মহানবী (ﷺ) বলেন,
استفت نفسك وان افتاك المفتون
❝তুমি তোমার হৃদয়ের কাছে ফতোয়া নাও, যদিও মুফতীরা তোমাকে ফতোয়া দিয়েছে।❞
[ আহমাদ ১৮০০৬, দারেমী ২৫৩৩ বুখারীর তারীখ, সহীহুল জামে ৯৪৮, ২৮৮১ ]

❏ অভিযোগ ১৩-
"আহলে হাদীস উলামাদের মাঝে নানা মতভেদ কেন?"

জবাবঃ
এমন মতভেদ অস্বাভাবিক নয়। একটি মাযহাবের ভিতরেও অনেক মতভেদ পরিদৃষ্ট হয়। জেনে রাখা ভালো যে,
১᭞ আহলে হাদীস কোন ব্যক্তি বিশেষের অন্ধানুকরণের জামা'আত নয়। কেবল কুরআন ও সহীহ হাদিস-ভিত্তিক একটি মতাদর্শের নাম, যা ইসলামের মূল স্রোতধারা ও রাজপথ।
২᭞ তারমানে হাদিস সহীহ হলে সেটাই আহলে হাদিসের মযহাব হয়। যেমন সকল মুহাদ্দিসীন ও আয়েম্মায়ে কিরাম (রাহিমাহুমুল্লাহ)গণের মযহাব তাই ছিল। তারা সকলেই আহলে হাদীস ছিলেন।
৩᭞ এতত্সত্ত্বেও মতভেদের কারণ কী? কারণ পরস্পর-বিরোধী বর্ণিত হাদীস।
আহলে হাদীস তাহকীক করে যে হাদিসটি সহীহ পর্যায়ের, কেবল সেই হাদিসটির উপর আমল করে এবং দূর্বল হাদিস বর্জন করে।
পরস্পর-বিরোধী উভয় হাদিস সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে নাসেখ-মানসুখ নির্ণয় করে। তা সম্ভব না হলে উভয় হাদিসের মাঝে সমন্বয় সাধন করে আমল করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত মাস'আলাই তাদের মাযহাব হয়। তারা কোনো নির্ধারিত ব্যক্তির অন্ধানুকরণ করে তারই মাযহাবকে (সবার চেয়ে সঠিক) প্রমাণ করার মানসে দ্বঈফ হাদিসকে সহীহ করার পায়তারা করে না অথবা কোনো সহীহ হাদীসের অপব্যাখ্যা বা তা'বীল করে না।
তাছাড়া কোনো হাদীসের তাহক্বিক নিয়ে অথবা কুরআনের হাদীসের বক্তব্য বুঝা নিয়ে মতভেদ স্বাভাবিক।

❏ অভিযোগ ১৪-
"সালাফীরা রাজনীতি করে না, ইসলামে কি রাজনীতি নেই?"

জবাবঃ
হ্যাঁ, সালাফীরা রাজনীতি করে, আর তাদের রাজনীতি হল রাজনীতি না করা। আর ইসলামে আছে ইসলামী রাজনীতি, পাশ্চাত্যের রাজনীতি নয়!

❏ অভিযোগ ১৫-
"আহলে হাদীস বুখারী ছাড়া অন্য হাদীস মানে না।"

জবাবঃ
এ মন্তব্যও কোনো অর্বাচীন ব্যক্তি-বিশেষের। সবচেয়ে বেশি শুদ্ধ ও সহীহ হাদিসগ্রন্থ বুখারী। তা বলে তা আহলে হাদীসের একমাত্র হাদীসগ্রন্থ নয়! বরং অন্য গ্রন্থের হাদিস সহীহ সনদে পেলে তা গ্রহণ করে এবং বুখারীতে তার বিপরীত থাকলে পরস্পর-বিরোধী হাদিসের মাঝে সমন্বয় সাধন করে আমল করে।
হাদিসটির সনদ সহীহ, নাকি দ্বঈফ---তা নিয়ে মতভেদ থাকার ফলে যেমন ইসলামে বিভিন্ন মাযহাব সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি আহলে হাদীস উলামাগণের মাঝেও একই মাস'আলায় ভিন্ন ভিন্ন মত বর্তমান থাকা অস্বাভাবিক নয়। যেমন একই মযহাবের ভিতরে একাধিক মত বা বিভিন্ন উপ-মাযহাব সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
সুতরাং মতভেদ থাকতে পারে, থাকবে। কিন্তু তা নিয়ে কলহ-দ্বন্দ্ব বা কাদা ছুঁড়াছুঁড়ি করা মোটেই উচিৎ নয়।
উদার মানুষ যেটাকে সবচেয়ে সঠিক বলে বিশ্বাস করবে, সেটার অনুসরণ করবে এবং কোনো ব্যক্তি বিশেষের অন্ধানুকরণ করবে না। এটাই তো হিদায়াতের পথ।

মহান আল্লাহ (ﷻ) বলেছেন,
۝﴿وَالَّذِينَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوتَ أَن يَعْبُدُوهَا وَأَنَابُوا إِلَى اللَّهِ لَهُمُ الْبُشْرَىٰ ۚ فَبَشِّرْ عِبَادِ * الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ ۚ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ﴾۝

অর্থাৎ, ❝যারা তাগুতের পূজা হতে দূরে থাকে এবং আল্লাহর অনুরাগী হয়, তাদের জন্য আছে সুসংবাদ। অত'এব সুসংবাদ দাও আমার বান্দাগণকে---যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে এবং যা উত্তম তার অনুসরণ করে। ওরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ওরাই বুদ্ধিমান।
[ সুরা যুমার ১৭-১৮ ]
وصلى الله وسلم وبارك على رسول الله وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، والحمد لله رب العالمين
•┈┈••┈┈•┈┈•⊰ ◈ ⊱•┈┈•┈┈••┈┈•
•📖 : সালাফী ও সালাফিয়াত পরিচিতি।
•-- শায়খ আব্দুল হামিদ আল-ফাইযি মাদানী।

06/05/2023

➤জেনে রাখা ভাল যে,ইসলামী শরীয়তে ৪ টি স্থানে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দু‘আ করা জায়েজ যেমন:-
_______________________________________
(১).নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাত তুলে সম্মিলিত দু‘আ করেছেন,পানি চাওয়ার জন্য। (সহীহ বুখারী, হা/১০২৯, ১/১৪০ পৃ.; সহীহ মুসলিম, হা/৮৯৬, ১/২৯৩ পৃ.; মিশকাত, হা/১৪৯৮ ‘ইস্তিস্কা’ অনুচ্ছেদ),

(২).বৃষ্টি বন্ধের জন্য। (সহীহ বুখারী হা/১০১৩, ১/১৩৭ পৃ.), চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের সময় (সহীহ মুসলিম হা/৯১৩, ১/২৯৯ পৃ.;সহীহ বুখারী হা/১০৪০ ও ১০৪৩),

(৩).কুনূতে নাযেলা পাঠের সময়। (মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৪২৫; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুছ ছগীর, হা/৫৩৬, সনদ সহীহ; আবু দাঊদ, হা/১৪৪৩, সনদ হাসান; মিশকাত, হা/১২৯০),

(৪). বিতর সালাতে কুনূত পড়ার সময়।(সহীহ ইবনু খুযায়মাহ, হা/১০৯৭; আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃ. ১৮০; ফাতাওয়া আরক্বানিল ইসলাম, পৃ. ৩৫০-৩৫১, ফৎওয়া নং-২৭৭)

উপরোক্ত চারটি স্থান ছাড়া অন্য যত স্থানে সম্মিলিত মুনাজাত সমাজে প্রচলিত আছে যেমন:- ফরয সালাতের পর, মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর, বিবাহের পর, সমাবেশের পর, দুই ঈদের সালাতের পর কেউ দাওয়াত করলে সেখানে,রমজানে ইফতারের সময়, এবং টঙ্গীর মাঠে আখেরী মুনাজাতসহ বাকি যত প্রথা চালু আছে, তা নিকৃষ্ট বিদ‘আত। এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিশেষে, মহান আল্লাহ বলেন, এ পথই আমার সরল পথ, সুতরাং তোমরা এরই অনুসরণ কর। এ পথ ছাড়া অন্য কোন পথের অনুসরণ করবে না। কারণ তা তোমাদেরকে হেদায়াতের পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

আল্লাহ তোমাদের এ নিদের্শ দিলেন যেন তোমরা সতর্ক হও।[সূরা আনআম,৬/১৫৩) সুতরাং সিরাতে মুস্তাকীম হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত সহজ সরল ও সঠিক পথ। যে পথের দিকে উক্ত আয়াতে আহবান করা হয়েছে।

এটাই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত তথা জীবনাদর্শ। আর সুবুল বা বিভিন্ন রাস্তা হচ্ছে (দ্বীনের মধ্যে) মতানৈক্য ও বিদআত সৃষ্টিকারীদের পথ। উপরোক্ত আয়াতে সকল প্রকারের বিদআত সৃষ্টিকারীদের পথ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এখানে ইবনে মসউদ (রাঃ) এর একটি কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া সঙ্গত মনে করি;তিনি বলেন, “তোমরা অনুসরণ কর,নতুন কিছু রচনা করো না। কারণ তোমাদের জন্য তাই যথেষ্ট। আর তোমরা পুরাতন পন্থাই অবলম্বন কর।”(সিলসিলা যয়ীফাহ্‌ ২/১৯)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী ‘আমল করার তাওফীক দান করুন –আমীন !! (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
_____________________
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি

06/05/2023

দেওবন্দ মাদরাসা কেন তৈরি করা হয়েছে

آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى...
04/05/2023

آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ مِنْ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইযারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নীচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৮)


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৭৮৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ يَعْقُوبَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا تَحْتَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْإِزَارِ فَفِي النَّارِ»

আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লুঙ্গি ইত্যাদির যে অংশ গিরার নীচে থাকবে, তা দোজখে থাকবে।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৩৩০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، وَقَدْ كَانَ يُخْبِرُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْإِزَارِ فَفِي النَّارِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: ইযার বা লুঙ্গির যে অংশ গোড়ালির উপরিস্থ গিরার নীচে থাকবে তা দোযখে অবস্থান করবে।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৩৩১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عَقِيلٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي جَدِّي، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَا يَنْظُرُ إِلَى مُسْبِلِ الْإِزَارِ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইযার বা লুঙ্গি ইত্যাদি যে ব্যক্তি নীচে ঝুলিয়ে পরিধান করে, তার প্রতি আল্লাহ্‌তা'আলা রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৩৩২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ عَبْدِ
الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الإِسْبَالُ فِي الإِزَارِ وَالْقَمِيصِ وَالْعِمَامَةِ مَنْ جَرَّ مِنْهَا شَيْئًا خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏

সালিম ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রহ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লুঙ্গি, জামা ও পাগড়ী হেঁচড়ানো সম্পর্কে বলেন, যে ব্যক্তি অহংকারবশত এর কোনটি হেঁচড়িয়ে চলে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না। [নাসায়ী, ইবনু মাযাহ]


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৯৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ عَنِ الإِزَارِ، فَقَالَ عَلَى الْخَبِيرِ سَقَطْتَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِزْرَةُ الْمُسْلِمِ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ وَلاَ حَرَجَ - أَوْ لاَ جُنَاحَ - فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَعْبَيْنِ مَا كَانَ أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ فَهُوَ فِي النَّارِ مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَرًا لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ ‏"‏ ‏.

আল-‘আলা ইবনু ‘আব্দুর রহমান (রহ) হতে তার পিতার সুত্র থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) কে লুঙ্গি পরিধানের স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তুমি এ বিষয়ে সম্যক অবগত লোকের কাছেই এসেছো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলিমের পরিধেয় লুঙ্গি-পাজামা নলার মধ্যভাগ পর্যন্ত থাকবে, তবে টাখনুদ্বয় পর্যন্ত রাখলেও কোন গুনাহ হবে না। কিন্তু টাখনুদ্বয়ের নীচে গেলে তা জাহান্নামের আগুনে যাবে। যে অহংকারবশে নিজের লুঙ্গি হেঁচড়িয়ে চলে, আল্লাহ তার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করবেন না।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৯৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الأَعْمَشُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمَنَّانُ الَّذِي لاَ يُعْطِي شَيْئًا إِلاَّ مَنَّهُ وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْفَاجِرِ وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ ‏"‏ ‏.‏

وَحَدَّثَنِيهِ بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ‏ "‏ ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ‏"‏ ‏.

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির সাথে কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলা কথা বলবেন না। (১) যে ব্যক্তি কোন কিছু দান করে খোঁটা দেয়; (২) যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম করে দোকানদারী করে এবং (৩) যে ব্যক্তি টাখ্‌নুর নীচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করে।
বিশ্‌র ইবনু খালিদ (রাঃ) ..... শু’বাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি সুলাইমানকে এ সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ তা’আলা কথা বলেবেন না, তাদের প্রতি তাকাবেন না, তাদের (গুনাহ থেকে) পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (ই.ফা. ১৯৬; ই.সে. ২০২-২০৩)


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৯৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي فِي حُلَّةٍ تُعْجِبُه“ نَفْسُه“ مُرَجِّلٌ جُمَّتَه“ إِذْ خَسَفَ اللهُ بِه„ فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অথবা আবুল কাসিম বলেছেনঃ এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরিধান করতঃ চুল আচঁড়াতে আচঁড়াতে পথ চলছিল; হঠাৎ আল্লাহ তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেন। ক্বিয়ামত অবধি সে এভাবে ধ্বসে যেতে থাকবে। [মুসলিম ৩৭/১০, হাঃ ২০৮৮, আহমাদ ১০০৪০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬০)


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৭৮৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ أَبَاه“ حَدَّثَه“ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَيْنَا رَجُلٌ يَجُرُّ إِزَارَه“ إِذْ خُسِفَ بِه„ فَهُوَ يَتَجَلَّلُ فِي الأَرْضِ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
تَابَعَه“ يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يَرْفَعْه“ شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ.
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ أَخْبَرَنَا أَبِي عَنْ عَمِّهِ جَرِيرِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ كُنْتُ مَعَ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَلٰى بَابِ دَارِهৃ فَقَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ.

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক লোক তার লুঙ্গি পায়ের গোড়ালির নীচে ঝুলিয়ে পথ অতিক্রম করছিল। এমন সময় তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেওয়া হল। ক্বিয়ামত অবধি সে মাটির নীচে ধ্বসে যেতে থাকবে। ইউনুস, যুহরী থেকে এ হাদীস এভাবেই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ‘শুআয়ব একে মারফূ’ হিসাবে যুহরী থেকে বর্ণনা করেননি। (আ.প্র. ৫৩৬৫, ই.ফা. ৫২৬১)
জাবীর ইবনু যায়দ (রাহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমারের সঙ্গে তাঁর ঘরের দরজায় ছিলাম, তখন তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ রকমই বলতে শুনেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬২)


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৭৯০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ مُدْرِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ ثَلاَثَةٌ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَدْ خَابُوا وَخَسِرُوا فَقَالَ ‏"‏ الْمَنَّانُ وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ وَالْمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা কিয়ামাতের দিবসে তিন শ্রেণীর লোকের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না, উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি। আমরা প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল। এরা কারা? এরা তো ব্যর্থ ও ধ্বংস হল। তিনি বললেনঃ (তারা হল) উপকার করার পর তার খোঁটাদানকারী, পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় পরিধানকারী এবং নিজের পণ্যদ্রব্য মিথ্যা শপথ করে বিক্রয়কারী।

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২০৮)

ফুটনোটঃ
ইবনু মাসঊদ, আবূ হুরাইরা, আবূ উমামা ইবনু সা’লাবা, ইমরান ইবনু হুসাইন ও মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২১১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ مِهْرَانَ الْأَعْمَشَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ: الْمَنَّانُ بِمَا أَعْطَى، وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ، وَالْمُنَفِّقُ سَلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ "

আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কিয়ামতের দিন তিন প্রকার ব্যক্তির সাথে আল্লাহ্‌তা’আলা কথা বলবেন না এবং তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না, বরং তাদের জন্য থাকবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন ঐ ব্যক্তি, যে দান করে পরে খোঁটা দেয়; দ্বিতীয় ব্যক্তি, যে ইযার বা লুঙ্গি ইত্যাদি লটকিয়ে চলে; তৃতীয় ব্যক্তি যে মিথ্যা শপথ দ্বারা পণ্য চালায়।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৩৩৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
মানুষ যেসব কাজকে লঘু মনে করে অথচ আল্লাহর নিকটে সেগুলো খুবই গুরুতর, তন্মধ্যে টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা একটি। অনেকের কাপড় এত লম্বা যে, তা মাটি স্পর্শ করে। কেউবা আবার পরিধেয় বস্ত্র পিছন থেকে মাটিতে টেনে বেড়ায়। টাখনুর নিচে এভাবে কাপড় ঝুলিয়ে পরা হারাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ» قَالَ: فَقَرَأَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مِرَارًا، قَالَ أَبُو ذَرٍّ: خَابُوا وَخَسِرُوا، مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: «الْمُسْبِلُ، وَالْمَنَّانُ، وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ»

“তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। তারা হলো-টাখনুর নিচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী, খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোনো কিছু দান করে না) ও মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী”।[1]

যে বলে, ‘আমার টাখনুর নিচে কাপড় পরা অহংকারের প্রেক্ষিতে নয়’ তার এ সাফাই গাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা অহংকার বশেই হোক আর এমনিতেই হোক, শাস্তির ধমকি তাতে রয়েছেই। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَا أَسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ»

“টাখনুর নিচে কাপড়ের যেটুকু থাকবে তা জাহান্নামে যাবে”।[2]

এ হাদীসে অহংকার ও নিরহংকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয় নি। আর জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে। অবশ্য অহংকার বশে যে টাখনুর নিচে কাপড় পরবে তার শাস্তি তুলনামূলকভাবে কঠোর ও বেশি হবে। এ কথাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীতে এসেছে,

«مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ، لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ»

“যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না”।[3] বেশি শাস্তি এ জন্য হবে যে, সে এক সঙ্গে দু’টি হারাম কাজ করছে। [এক. টাখনুর নিচে কাপড় পরা। দুই. অহংকার প্রদর্শন।]

বস্তুত পরিমিত পরিমাণ থেকে নিচে ঝুলিয়ে যেকোনো বস্ত্র পরিধান করাই ‘ইসবালের আওতাভুক্ত এবং তা হারাম। ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«الْإِسْبَالُ فِي الْإِزَارِ، وَالْقَمِيصِ، وَالْعِمَامَةِ، مَنْ جَرَّ مِنْهَا شَيْئًا خُيَلَاءَ، لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»

‘লুঙ্গি, জামা ও পাগড়ীতে ইসবাল (ঝুলিয়ে পরা) রয়েছে। এগুলো থেকে যেকোনো একটিকে কোনো ব্যক্তি অহংকার বশে টেনে-ছেঁচড়ে নিয়ে বেড়ালে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তার প্রতি সদয় দৃষ্টি দিবেন না”।[4]স্ত্রীলোকদের জন্য পায়ের সতরের সুবিধার্থে এক বিঘত কিংবা এক হাত পরিমাণ ঝুলিয়ে দেবার অবকাশ আছে; কেননা বাতাস বা অন্য কোনো কারণে সতর খোলার ভয় থাকলে অতিরিক্ত কাপড়ে তা বহুলাংশে রোধ হবে। তবে সীমালংঘন করা তাদের জন্যও বৈধ হবে না। যেমন বিয়ে-শাদীতে পরিহিত বস্ত্রের ক্ষেত্রে মেয়েদের সীমালংঘন করতে দেখা যায়। সেগুলো পরিমিত পরিমাণ থেকে কয়েক বিঘত এমনকি কয়েক মিটার লম্বা হয়। অনেক সময় পেছন থেকে তা বয়ে নিয়ে যেতেও দেখা যায়।

>
[1] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৬; মিশকাত, হাদীস নং ২৭৯৫।

[2] সুনান নাসাঈ, হাদীস নং ৫৩৩০; মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২০১৮০।

[3] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৬৬৫; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৪৩১১।

[4] সুনান আবু দাউদ; সুনান নাসাঈ; মিশকাত, হাদীস নং ৪৩৩২।
عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ، وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يُزَكِّيهِمْ، وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ» قُلْتُ: مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ خَابُوا وَخَسِرُوا؟ فَأَعَادَهَا ثَلَاثًا، قُلْتُ: مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَابُوا وَخَسِرُوا؟ فَقَالَ: «الْمُسْبِلُ، وَالْمَنَّانُ، وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ – أَوِ الْفَاجِرِ

আবূ যার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তিন প্রকার লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি (রাহমাতের নজরে) দেখবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না, আর তারা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কারা? নিঃসন্দেহে এরা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একথাটা তিনবার বললেন, আর আমিও তাঁকে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কেমন লোক? এরা তো ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বললেনঃ (১) যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে রাখে; (২) যে ব্যক্তি দান করে খোঁটা দেয় এবং (৩) যে ব্যক্তি মিথ্যা বা ধোঁকাপূর্ন কসম করে পণ্য বিক্রি করে। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৮৭]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا أَسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ»

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, টাখনুর নিচের যে অংশ পায়জামা বা লুঙ্গি দ্বারা ঢাকা থাকে তা জাহান্নামে যাবে। {বুখারী, হাদীস নং-৫৭৮৭, ৫৪৫০}
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ خَابُوا وَخَسِرُوا أَعَادَهَا ثَلاَثًا ‏.‏ قُلْتُ مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَابُوا وَخَسِرُوا فَقَالَ ‏"‏ الْمُسْبِلُ وَالْمَنَّانُ وَالْمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ ‏"‏ ‏.‏ أَوِ ‏"‏ الْفَاجِرِ ‏"‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন প্রকার লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি (রহমাতের নজরে) দেখবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না, আর তারা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কারা? নিঃসন্দেহে এরা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথাটা তিন বার বললেন, আর আমিও তাঁকে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কেমন লোক? এরা তো ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি বললেনঃ(১) যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে রাখে; (২) যে ব্যক্তি দান করে খোঁটা দেয় এবং (৩) যে ব্যক্তি মিথ্যা বা ধোঁকাপূর্ণ কসম করে পণ্য বিক্রি করে।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং৪০৮৭
হাদিসের মান সহীহ্
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا سُفْيَانَ بْنَ سَهْلٍ، لَا تُسْبِلْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُسْبِلِينَ»

মুগীরা ইবনে শোবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে সুফিয়ান ইবনে সাহল! পরিধেয় বস্ত্র (গোছার নিচে) ঝুলিয়ে পরো না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা এভাবে পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে পরিধানকারীদের পছন্দ করেন না। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৫৭৪]

▌“আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান : আধুনিক বিপথগামিতার নয়া-আহ্বায়ক” সিরিজের সকল পর্বের ধারাবাহিক লিংক·বিসমিল্লাহির রহমানির রহি...
03/05/2023

▌“আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান : আধুনিক বিপথগামিতার নয়া-আহ্বায়ক” সিরিজের সকল পর্বের ধারাবাহিক লিংক

·
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। অধুনা আহলেহাদিসদের মাঝে এবং ব্যাপকভাবে বাঙালি মুসলিম সমাজে বিভ্রান্ত বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনানের ভ্রান্ত মতাদর্শ প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। মুসলিম জনসাধারণ যেন তার বক্তব্য শোনে বিপথে চলে না যান, আবু ত্বহা আদনান সাহেবও যেন ফিরে আসেন তাঁর বিভ্রান্তি থেকে, সেই লক্ষ্যে কুরআন-সুন্নাহর দলিলপ্রমাণ ও উলামায়ে সুন্নাহর উদ্ধৃতি সহকারে আমরা বক্তা আদনানের বিভ্রান্তির জবাব লিখেছি। এই সিরিজ মূলত বইয়ের আদলে বই হিসেবে লেখা হয়েছে। এতে ভূমিকা ও উপসংহার বাদে মোট দশটি অধ্যায় আছে। প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে দুই বা ততোধিক পরিচ্ছেদ। বক্তা আদনানের প্রতিটি বক্তব্যের ভিডিয়ো ডকুমেন্ট সহযোগে আমরা জবাবগুলো পোস্ট করেছি। পাঠক ভাই ও বোনেরা সবগুলো পর্ব যেন ধারাবাহিকভাবে একসাথে পেয়ে যান, সেজন্য আমরা সকল পর্বের লিংক এই নিবন্ধে জমা করে দিলাম। আল্লাহ এই সামান্য শ্রমকে কেবল তাঁরই জন্য একনিষ্ঠ করুন এবং এর মাধ্যমে আমাদের সবাইকে উপকৃত করুন। আমিন।

|| ভূমিকা ও তৎসংশ্লিষ্ট আলোচনা ||

০.১. ভূমিকার প্রথমার্ধ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1542561552881154&id=100013819720094

০.২. ভূমিকার শেষার্ধ (আবু ত্বহা আদনানের ভক্তকুলের কতিপয় অমূলক অভিযোগের জবাব) :

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1543168222820487&id=100013819720094

|| প্রথম অধ্যায় ||

১.১. খারেজি আবু ত্বহা আদনান গণহারে আরব বিশ্বের মুসলিম নেতাদের কাফির ফতোয়া দেন

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1544139706056672&id=100013819720094

১.২. আবু ত্বহা আদনানের মতে গাইরুল্লাহর আইন মানা সমস্ত লোক কাফির

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1546419832495326&id=100013819720094

১.৩. আবু ত্বহা আদনানের ফতোয়া— হারামের অনুমোদনদাতা সবাই কাফির!

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1547166249087351&id=100013819720094

১.৪. বাদশাহ ফায়সালের কৃতিত্ব ও ইসরাইল-বিদ্বেষ এবং আবু ত্বহা আদনানের খারেজিপনা

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1547681695702473&id=100013819720094

|| দ্বিতীয় অধ্যায় ||

২.১. আবু ত্বহা আদনান অনুমান করে কেয়ামতের সময়কাল নির্ধারণ করে এবং ‘স্কলারদের এমন মত প্রকাশের অধিকার আছে’ বলে মনে করে

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1548374675633175&id=100013819720094

সিরিজের বাইরে সংশ্লিষ্ট পোস্ট : পথভ্রষ্ট দায়ি আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান কেয়ামতের সময়কাল বলে দিচ্ছে এবং এরকম ভ্রান্তির জবাব দিচ্ছেন মদিনার ফাকিহ আল্লামা সুলাইমান আর-রুহাইলি হাফিযাহুল্লাহ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1540175383119771&id=100013819720094

২.২. ‘শেষ জামানা’ কথাটির অর্থ নির্ণয় এবং আদনানি অপব্যাখ্যার অপনোদন

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1548551705615472&id=100013819720094

|| তৃতীয় অধ্যায় ||

৩.১. আবু ত্বহা আদনানের বয়ানকৃত জাল হাদিস— দাজ্জাল জেরুজালেম থেকে বের হবে

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1550190972118212&id=100013819720094

৩.২. দাজ্জালের বৈশিষ্ট্যের অপব্যাখ্যা এবং এ নিয়ে বাতিল কথাবার্তা

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1550978415372801&id=100013819720094

৩.৩. দাজ্জালের অনুসারী বিষয়ে বক্তা আদনানের বাতিল কথাবার্তা

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1551704905300152&id=100013819720094

|| চতুর্থ অধ্যায় ||

৪.১. আবু ত্বহা আদনানের বক্তব্য— মালহামা হবে পারমাণবিক বোমা দিয়ে

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1552432298560746&id=100013819720094

৪.২. আবু ত্বহা আদনানের মতে মালহামা হতে যাচ্ছে আনুমানিক ৫-১০ বছরের মধ্যে

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1554664471670862&id=100013819720094

৪.৩. মালহামার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অন্যান্য অপব্যাখ্যা ও বাতিল কথার খণ্ডন

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1556122491525060&id=100013819720094

|| পঞ্চম অধ্যায় ||

৫.১. আবু ত্বহা আদনানের বলা দুর্বল হাদিস— শেষ জামানায় কোনো মানুষ সুদ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে না

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1558250311312278&id=100013819720094

৫.২. কেয়ামতের আলামত বিষয়ে আবু ত্বহা আদনানের বলা আরও কিছু বানোয়াট কথাবার্তা

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1559040261233283&id=100013819720094

|| ষষ্ঠ অধ্যায় ||

৬.১. আবু ত্বহা শেষ জামানার সমস্যার সমাধান নিয়ে যা বলেছেন ইসলামের উলামাদের বিরুদ্ধে তা বলতে না পারার ভয়াবহ অভিযোগ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1559817641155545&id=100013819720094

৬.২. মাদরাসার সিলেবাসের অযৌক্তিক সমালোচনা

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1561304711006838&id=100013819720094

|| সপ্তম অধ্যায় ||

৭.১.১. সালাফি-বিদাতি সবার নিকট থেকে শরিয়তের ইলম নিতে বলেন বক্তা আদনান [৭.১. পরিচ্ছেদের প্রথমার্ধ]

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1562023744268268&id=100013819720094

৭.১.২. সালাফি-বিদাতি সবার নিকট থেকে শরিয়তের ইলম নিতে বলেন বক্তা আদনান [৭.১. পরিচ্ছেদের শেষার্ধ]

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1562771367526839&id=100013819720094

৭.২. বিদাতিদের বিরুদ্ধে বলা থেকে নিষেধ করেন বক্তা আবু ত্বহা আদনান

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1581799825623993&id=100013819720094

৭.৩. আবু ত্বহা আদনানের মতে ঐক্যের খাতিরে বিদাতিদের বিরুদ্ধে বলা যাবে না

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1584166745387301&id=100013819720094

|| অষ্টম অধ্যায় ||

৮.১. বক্তা আদনানের অপব্যাখ্যা অনুযায়ী সিজার করাও কেয়ামতের আলামত

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1584909661979676&id=100013819720094

৮.২. অধিকাংশ নারী জাহান্নামে থাকার ভুল কারণ ব্যাখ্যা করেন বক্তা আদনান

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1585679608569348&id=100013819720094

|| নবম অধ্যায় ||

৯.১. বক্তা আদনানের দলিলবিহীন বক্তব্য— মহান আল্লাহ কেয়ামতের দিন চোরের হাত কেটে দেবেন

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1587228251747817&id=100013819720094

৯.২. ফেরেশতার বৈশিষ্ট্য নিয়ে অশুদ্ধ কিসসা বলে বেড়ান বক্তা আদনান

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1589515774852398&id=100013819720094

|| দশম অধ্যায় ||

১০.১. বক্তা আদনানের গরম ফতোয়া— সামর্থ্য থাকলে একাধিক বিয়ে করা ফরজ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1590322394771736&id=100013819720094

১০.২. বক্তা আদনানের বাতিল ফতোয়া— কাগজের টাকা হারাম!

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1591954504608525&id=100013819720094

|| উপসংহার ||

১১.০. আবু ত্বহা আদনানের খণ্ডনে লিখিত বইয়ের উপসংহার

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1593490677788241&id=100013819720094

·
সুপথপ্রাপ্তির অভিলাষী
এক গুনাহগার বান্দা—
Md Abdullah Mridha.

·
রচনাকাল—
রাত ৬টা ৩৬ মিনিট।
বৃহস্পতিবার।
১০ই রবিউল আওয়াল, ১৪৪৪ হিজরি।
২১শে আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
৬ই অক্টোবর, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।

Address

Jhenida
7351

Telephone

+8801519767676

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সালাফী TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সালাফী TV:

Videos

Share