Jashorekhabor

Jashorekhabor Jashorekhabor is An Online Bangla Newspaper from Bangladesh. # Jashorekhabor is an .

As an Online Newspaper BD, We Are Covering Exclusive News from all Over Bangladesh. Jashorekhabor is the go-to place for all things Bangla. We Keep You Informed On What is Trending And What the Best Places Are for Entertainment.

গ্রামে যাবার পথটি ছায়াস্নিগদ্ধ, বনের লতাপাতায় শ্যামল। যজ্ঞডুমুর গাছের ডালে পাখির দল ডাকছে কিচকিচ করে, জৈষ্ঠের শেষে আষাঢ়ে...
18/06/2024

গ্রামে যাবার পথটি ছায়াস্নিগদ্ধ, বনের লতাপাতায় শ্যামল। যজ্ঞডুমুর গাছের ডালে পাখির দল ডাকছে কিচকিচ করে, জৈষ্ঠের শেষে আষাঢ়ের প্রথমে এখনও ঝাড়-ঝাড় সোঁদালি ফুল মাঠের ধারে।

বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাবার জন্য সীমান্তে বাংলাদেশিদের ভীড়। সরকার ভ্রমণকর নিলেও ইমিগ্রেশনে সেবার মান বাড়েনি। যাত্রীদের চরম ...
18/06/2024

বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাবার জন্য সীমান্তে বাংলাদেশিদের ভীড়। সরকার ভ্রমণকর নিলেও ইমিগ্রেশনে সেবার মান বাড়েনি। যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ।

যশোরের বাঘারপাড়ায় উচ্চ ফলনশীল আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক রাজাকার মসিহ-উল-আযম।(বাঘারপাড়ার রাজাকারদের যে তালি...
16/06/2024

যশোরের বাঘারপাড়ায় উচ্চ ফলনশীল আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক রাজাকার মসিহ-উল-আযম।(বাঘারপাড়ার রাজাকারদের যে তালিকা তারমধ্যে মসিহ-উল-আযম-এর নাম হয়েছে ১০৭ নম্বর তালিকায়।) যতদূর জেনেছি-‘বাঘারপাড়ার রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামায়াতের নেতা ছিলেন। পরে বাঘারপাড়া রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হন। রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজের ৯৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৮ জুন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই রাজাকার মসিহ-উল-আযমকে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হচ্ছে। নেপথ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল আওয়ামীলীগ। এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি যশোরের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান।

16/06/2024

‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’ বইতে মুজফফর আহমদ লিখেছেন
‘ধুমকেতু’র জন্ম-কথা’
নজরুল 'সেবকে' কাজ করেই যাচ্ছিল। এর মধ্যে এক অদ্ভুত অপ্রত্যাশিত অবস্থায় একখানা সাপ্তাহিক কাগজ বার করার কথা একজন এসে তার নিকটে তুলল। মসউদ আহমদ নামক একজন লোকের সঙ্গে আমার সামান্য পরিচয় ছিল। তার বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম জিলায়। তিনি দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়েছিল বলে তাকে আমি খানিকটা শ্রদ্ধার চোখে দেখতাম। উত্তর প্রদেশের সাহারনপুর জিলায় দেওবন্দ মাদ্রাসায় ধার্মিক ভিত্তিতে ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী গড়ে তোলার চেষ্টা করা হতো। তবে, সেখানকার প্রত্যেক ছাত্রই যে বিপ্লবী হতো এমন কোনো কথা নেই। মসউদ আহমদকে অন্য কারণে আমি পছন্দ করতাম না। বাঙালি হয়েও বাঙালি মুসলমানদের সঙ্গেও সে উর্দতে কথা বলত। এটাই ছিল কারণ যার জন্যে তার সঙ্গে আমি কখনও ঘনিষ্ঠ হইনি। মনে আছে একদিন বিকাল বেলা আমি ধর্মতলা স্ট্রীটের ফুটপাতে দাঁড়িয়েছিলাম। কোথা থেকে মসউদ আহমদ আমার পাশে এসে দাঁড়াল এবং কেমন আছি ইত্যাদি কথা আমায় জিজ্ঞাসা করল। আমি শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলাম যে মসউদ আহমদ বাংলায় কথা বলছে, যদিও ভালো বাংলা বলার চেষ্টা করে সে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিল। সে 'সমস্যা'কে উচ্চারণ করছিল সমিস্যা'। তখন বুঝেছিলাম যে শিশ বয়স হতেই মসউদ আহমদ মাদ্রাসায় পড়েছে, বাংলা লেখা-পড়া কখনও করেনি। মাতৃভাষা ছিল চাটগাঁর বিশিষ্ট বাংলা বুলি। সে ঝুলিতে সে বাইরের লোকের সঙ্গে কথা কখনও বলত না।
মসউদ আহমদ আমার নিকটে একটি প্রস্তাব করল যে একখানা বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা সে বার করতে চায় এবং তার লেখার ও চালাবার দায়িত্ব আমাকেই নিতে হবে। কাগজখানা সম্পূর্ণরূপে রাজনীতিক কাগজ হবে একথাও সে আমায় বলল। খলিফা ওমর যে ‘সোশ্যালিজমে'র খানিকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন সে কথার উল্লেখ করতেও সে ভুলল না। সব শুনে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম টাকার কি ব্যবস্থা হবে ? সে জানাল যে আড়াইশ' টাকা সে জোগাড় করেছে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি তার প্রস্তাব নাকচ করে দিলাম। আমি তাকে বলে দিলাম যে আড়াইশ' টাকা মাত্র হাতে নিয়ে কাগজ বা'র করতে যাওয়া হঠকারিতা হবে। মনে হলো যে সে হতাশ হয়ে চলে গেল। আসলে সে কিন্তু হতাশ হয়নি। আমি তার প্রস্তাব নাকচ করার সঙ্গে সঙ্গেই সে সোজা কাজী নজরুল ইসলামের নিকট চলে গেল এবং একই প্রস্তাব তার নিকটেও করল। 'সেবক’-এ নজরুল সুখী ছিল না। কাজেই, মসউদ আহমদের প্রস্তাবে সে তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে গেল। একাজে তার যাওয়া উচিত কিনা এ পরামর্শ সে কার সঙ্গে করল না, আমার সঙ্গে তো নয়ই। কারণ, আমি মসউদ আহমদের প্রস্তাবে অসম্মতি জানিয়েছিলাম। বন্ধুদের সে শুধু জানাল যে একখানা কাগজ সে বার করতে যাচ্ছে, সকলের সাহায্য ও সহানভূতি চায়। মসউদ আহমদের প্রস্তাব ছিল সাপ্তাহিক কাগজের, কিন্তু নজরুলে ঠিক করল যে কাগজখানা সপ্তাহে দু'বার বার হবে। নজরুলেই কাগজের নাম স্থির করল 'ধূমকেতু'। আফজালুল হক সাহেব মুদ্রাকর ও প্রকাশক হিসাবে চীফ প্রেসিডেন্সী
ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত হতে ডিক্লারেশন নিলেন। তখন ডিক্লারেশন নেওয়া সহজ হয়ে গিয়েছিল। জামানত হিসাবে টাকা জমা দিতে হতো না। ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল ৩২ নম্বর কলেজ স্ট্রীট। কুমিল্লা হতে ফিরে এসে ‘সেবকে' যোগ দেওয়ার পরে নজরুল আফজাল সাহেবের সঙ্গে এ বাড়িতেই ছিল। বাণী চেয়ে কাজী নজরুল উসলাম, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ( তখন পণ্ডিচেরিতে ছিলেন) এবং আরও অনেককে পত্র লিখেছিলেন। বাণী তাঁদের নিকট হতে এসেওছিল। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের বাণীটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি কবিতায় নিম্নলিখিত কয় ছত্র পাঠিয়েছিলেন :
কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু,/ আয় চলে আয়, রে ধূমকেতু,/ আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু,/ দুর্দিনের এই দুর্গশিরে/ উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন!/ অলক্ষণের তিলক রেখা/ রাতের ভালে হোক না লেখা,/ জাগিয়ে দে রে চমক মেরে'/ আছে যারা অৰ্দ্ধ চেতন।–শ্রী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

যশোরের ঝিকরগাছার গুলবাগপুর গ্রামে একটি প্রাচীন ঈদগাহ রয়েছে। ১৮৮০ সালে তৈরি এই ঈদগাহ যশোর জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ঈদগাহ গুলো...
15/06/2024

যশোরের ঝিকরগাছার গুলবাগপুর গ্রামে একটি প্রাচীন ঈদগাহ রয়েছে। ১৮৮০ সালে তৈরি এই ঈদগাহ যশোর জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ঈদগাহ গুলোর একটি বলে ধারণা করা হয়। কারণ এত প্রাচীন ইটের গাঁথুনীর ঈদগাহ আর দেখা যায় না। সাধারণত ওই আমলে সাদা কাপড় টাঙিয়ে ঈদগাহের আদল তৈরি করা হতো। ঈদগাহটি তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামের মুসাদ্দিক বিশ্বাস ও তার বোন। তৈরি করতে যা টাকা লাগে তা সব তারা দুইজন দিয়েছিলেন। ওই গ্রামের সবচেয়ে প্রবীন ব্যক্তি আমিনুল ইসলাম(৮৩) বলেন, তিনি ছোট্টবেলা থেকে এই ঈদগাহ দেখে আসছেন। তিনি বলছেন, প্রায় ৮০ বছর আগে থেকে দেখছি ঈদগাহের ওখানে বটগাছ জন্মেছে। আমরা এখনও সেখানে নামাজ পড়ি।

আষাঢ় এলেও বর্ষা এলো না.....আষাঢ় মাস শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টির ঝুমঝুম শব্দে শীতল আবহাওয়ায় প্রকৃতি এক নতুন রূপে সাজে। কিন্তু...
15/06/2024

আষাঢ় এলেও বর্ষা এলো না.....
আষাঢ় মাস শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টির ঝুমঝুম শব্দে শীতল আবহাওয়ায় প্রকৃতি এক নতুন রূপে সাজে। কিন্তু এবার আষাঢ় এলেও বর্ষার আগমনী বার্তা নেই। বরং ভ্যাপসা গরম, রোদে প্রাণিকূল হাঁপিয়ে উঠছে। যা আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

আজ থেকে ১শ’ ৮৫ বছর আগে যশোরের উন্নয়ন নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটা প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদ প্রভাকরে ১৮৩৯ সালের ১০ আগষ্ট...
14/06/2024

আজ থেকে ১শ’ ৮৫ বছর আগে যশোরের উন্নয়ন নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটা প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদ প্রভাকরে ১৮৩৯ সালের ১০ আগষ্ট, বাংলা ১২৪৬ সালের ২৬ শ্রাবণ মাসের পত্রিকায়। কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছিল-গত ২২ জুলাই তারিখে যশোহর নিবাসি লোকেদের এক বৈঠক হয়। তাহার অভিপ্রায় যে ঐ স্থানের সৌষ্ঠব করণার্থ এবং ঐ অত্যাবশ্যক কার্য নির্ব্বাহার্থ অর্থ সংগ্রহ করণের উপায় নিশ্চয় করেন। তাহাতে শ্রীযুত শাণ্ডিস সাহেব সভাপতি হইলে এই প্রস্তাব হইল যে, জিলা যশোহরের সদর স্থানের সুপ্রতিষ্ঠা করণার্থ নীচে লিখিতব্য মহাশয়েরা কমিটি স্বরূপ নিযুক্ত হন বিশেষতঃ।
শ্ৰীযুত ই ডিডস সাহেব, শ্ৰীযুত টি সাণ্ডিস সাহেব, শ্ৰীযুত এফ লৌথ সাহেব, শ্ৰীযুত এচ সি হালকেট সাহেব, শ্ৰীযুত এ টি স্মিথ সাহেব, শ্রীযুত রাজা বরদাকণ্ঠ রায়, শ্রীযুত কালী পোদ্দার, । শ্রীযুত হরিনারায়ণ রায় ও
শ্ৰীযুত বাবু বৈদ্যনাথ সেন এবং ডাক্তর শ্রীযুত আন্দর্সন সাহেব এই কমিটির সেক্রেটরী ও শ্রীযুত টেরেনো সাহেব কোষাধ্যক্ষতা কর্ম্মে নিযুক্ত হন। আরো এই স্থির হইল যে এই সদর স্থান বা অঞ্চলে প্রস্তাবিত সৌষ্ঠব কার্য্যের ঔচিত্যানৌচিত্য বিষয় বিবেচনা করণাথ শ্রীযুত সেক্রেটারী সাহেব কমিটির সাহেবের দিগকে বৈঠকে আহ্বান করেন এবং প্রতি মাসীয় কার্য্যের বিবরণ ও তদ্বিষয়ে কত খরচ হইয়াছে ইহার সম্বাদ গ্রহণার্থ তৎপর মাসের প্রথম সোমবারে ধনদাতারদের বৈঠক হয়।
তৎ পরে নানা প্রকার সৌষ্ঠবের পাণ্ডুলেখ্য ও প্রস্তাব গ্রাহ্য হইল বিশেষতঃ এই সদর স্থানস্থিত নানা ভূম্যধিকারিরদের বাঁশ ঝাড় ও জঙ্গলাদি কাটিতে প্রবৃত্তি দেওয়া যায়। এই স্থানস্থ তাবদ্ব্যক্তির স্বাস্থ্য জনক জন প্রাপণার্থ এক স্থানে বৃহৎ পুষ্করিণী খনন করা যায়। যে স্থানে খড়ুয়া ঘর থাকাতে লোকের উৎপাত জন্মে সেই স্থান হইতে লাহা উঠিয়া লওয়া যায়৷ এই সদর স্থানে রাস্তা নর্দমাদি করণ বিশেষতঃ যে স্থানে সাধ্য হয় পাকা রাস্তা প্রস্তুত করা যায়। এবং রাজপথ সকল মেরামত ইত্যাদি হয়। এই সকল বিষয় প্রস্তাব হইলে পর হইল। আমরা দেখিয়া অতি খেদিত হইলাম যে ঐ চাঁদাতে এতদ্দেশীয় এক ব্যক্তির নামও নাই ৷ পরে যশোহরের উন্নয়নে অনেক ব্যক্তি দান করে। এরা হলেন:
শ্ৰীযুত টি সণ্ডিস সাহেব ১০০, শ্ৰীযুত এফ লোথ সাহেব ১০০, শ্ৰীযুত এচ সি হালকেট সাহেব ১০০. শ্রীযুক্ত ডাক্তার এণ্ডরসন সাহেব ৫০, শ্রীযুত জে এ টেরেনো সাহেব ২৫, শ্রীযুত জে এচ রেলি সাহেব ১০, শ্রীযুত জি হরক্লাটস সাহেব ১৫, শ্রীযুত জে এম সদরেলেন্ড সাহেব ৩২, শ্ৰীযুত ডবলিউ সি ইষ্টাফোর্ড সাহেব ১৬, শ্ৰীযুত এ টি স্মিথ সাহেব ১৫ এবং শ্ৰীযুত জি ডিডস সাহেব ১০০ টাকা দান করে।
যশোরের উন্নয়নে এরা এক সময় এসব টাকা দান করলেও আমরা তাদের কয়েক জনের পরিচয় জানি। বাকীদের নামও জানিনা।

14/06/2024

‘মায়ের প্রতি অভিমান — নজরুলের চুরুলিয়া বৰ্জন’ ‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’ বইতে মুজফফর আহমদ লিখেছেন-‘কলকাতায় ৩২, কলেজ স্ট্রীটে সাহিত্য সমিতির বাড়িতে দু'দিন থাকার পরে নজরুল ইসলাম তার জিনিস-পত্র সেখানে রেখে দিয়ে চুরুলিয়া গ্রামে তার নিজের বাড়িতে চলে যায়। আমার যতটা মনে পড়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সে সাত-আট দিন ছিল। এই সময়ে তার মায়ের সঙ্গে কিসের একটা মান-অভিমানের ব্যাপার তার ঘটে। তার পরে যতদিন মা জীবিত ছিলেন ততদিন তো সে চুরুলিয়া গ্রামে যায়ইনি, মায়ের মৃত্যুর পরে ও সম্বিৎ থাকা অবস্থায় সে আর কখনও চুরুলিয়া গ্রামে ফেরেনি। ১৯৫৬ সালের জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে নজরুল ইসলামে সম্বন্ধে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম যখন তোলা হচ্ছিল তখন তাকে একবার চুরুলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আরও একবার তাকে চুরুলিয়ায় নিযে যাওয়া হয়েছিল ১৯৬২ সালের জুলাই মাসে তার স্ত্রী প্রমীলার মৃত্যু হওয়ার পরে। কিন্তু নজরুল কি বুঝেছিল কোথায় সে এসেছে ? আমাদের দুর্ভাগ্য, আর দেশেরও দুর্ভাগ্য যে কোনও কিছু, বোঝার ক্ষমতা তখন তার আর ছিল না।

14/06/2024

বাংলার ব্রতপার্বণ(১৩)
উত্তর-পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কোন অঞ্চলে ভাঁজো ব্রত পালন করা হয় অনুন্নত বা কিছু উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে।
নারীরা এই ব্রত পালন করলেও সম্প্রতি কোনো কোনো স্থানে পুরুষরাও এতে অংশ গ্রহণ করে। এই ব্রত শুরু হয় ঈদ একাদশীর দিন সন্ধ্যাবেলায়। ব্রত চলে পরপর আট দিন সন্ধ্যাবেলা। আট দিনের দিন রাত্রিতে জাগরণ এবং নয় দিনের দিন সকালবেলা বিসর্জন হয়। এই ব্রতের নৈবেদ্য হল চিড়ে, দই, গুড়, দুধ, বাতাসা, মিষ্টি, মুড়কি, নয় রকমের ফল ইত্যাদি। পুজোর সময় প্রদীপ জ্বেলে, ধূপধুনো জ্বেলে ভাঁজোকে উঁচু স্থানে বসিয়ে গান গাওয়া হয়। সাত দিনের দিন সন্ধ্যাবেলায় ভাঁজোর ‘সাধভক্ষণ' হয়। ‘সাধভক্ষণে’র গান গাওয়া হয় ভাঁজোকে উদ্দেশ্য করে-সাধ খাও রে ভাঁজো সাধ খাও।/ সেজে গুজে বসে ভাঁজো এবার সাধ খাও ৷৷/বার হাত কাপড় তেরো হাত দসি।/ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরো কাঁকালে কলসি।।/ হাতেতে দুধের বাটি মাথায় ফুলের ডালি।/ গেলাম আমরা কুমোর ভাইয়ের বাড়ি।।/ কুমোর ভাই কুমোর ভাই বোসো নগর চাঁদে।/ ভাঁজোকে সাজিয়ে দাও যেমন ভাঁজো সাজে ৷৷/ স্যাঁকরাভাই স্যাঁকরাভাই বোসো নগর চাঁদে।/ এমন গয়না গড়িয়ে দাও যেমন ভাঁজো সাজে৷৷/ তাঁতি ভাই তাঁতি ভাই বোসো নগর চাঁদে।/ এমন শাড়ী বুনিয়ে দাও যেমন ভাঁজো সাজে।।/ সব পোরে বোসো ভাঁজো বসে সাধ খাও।/আমার ভাঁজোর সাধ খাওয়া সবে দেখে যাও।
ঈদপুজোর পর ভাঁজোর খোলা পাতা হয়। ঈদ একাদশীর দিন ছাগল বলি দেওয়া হয় কিংবা দুর্গামণ্ডপের স্থানে ইঁদুরে তোলা কিছু মাটি একটি আলপনা আঁকা সরায় রেখে তার উপর ৭/৮ রকমের ধান ছড়ানো হয়। খোলাটি ফুল ও মালা দিয়ে সাজানো হয়। এর পাশে রাখা হয় আম্রপল্লব সহ জলভর্তি ঘট। এই খোলায় শস্যদানা দেওয়ার পর তার উপর জল ছিটানো হয়, যাতে ভাঁজো খোলায় অঙ্কুর বের হয়। খোলায় অঙ্কুর দেখা না গেলে ব্রতিনীরা গান গাইতে থাকে : একদিনের ভাঁজো আমার দুদিনে দিলেন পা।/তবু আমার সোনার ভাঁজো গা তোলে না ৷৷/ গা তোলো গা তোলো খেতে দিব নুনী।/ জনম সফল কর মা বোলো শুনি।/ মা বলাটা বড় কথা, বল যাদু মুনি।/ যাদুকে দিব খেতে এবার ক্ষীর সর নুনী।/ বর্দ্ধমানের সীতাভোগ, শক্তিগড়ের ল্যাংচা।/ মানকরের কদমা দিব জামালপুরের মাখা।।/ জয়নগরের মোয়া দিব মা বোলো রে শুনি।/
আমার ভাঁজোই যাদুমুনি ৷৷
এরপর চলে ভাঁজোর বিসর্জন পর্ব। কোন কোন অঞ্চলে বিসর্জনের দিন ফল বলি দেওয়া হয়। বিসর্জনের দিনও ব্রতিনীরা গান গাইতে থাকে :
কদিনই বা থাকলে ভাঁজো এবার কাঁদিয়ে যাও।/ আবার আসিও ভাঁজো মুখের পানে চাও ৷৷/নৌকা পাঠাব আমরা আসবে হাসি মুখে।/ তোমাকে ছাড়িতে ভাঁজো দম আটকায় বুকে ৷৷
ব্রতিনীদের ধারণা এই ব্রত পালন করলে কুমারী মনের কামনা পূরণ হয় এবং ধন- সম্পত্তি ও বংশবৃদ্ধি হয়। এই ব্রত কৃষিদেবতার ব্রত। ভাঁজোর খোলা হল ধরিত্রীর প্রতীক। আর এর মধ্যে যে মাটি থাকে যাতে বীজ বপন করা হয় ও জল দেওয়া হয়, তাতে দানাগুলি থেকে অঙ্কুর বের হয় যা পরিশেষে গাছে পরিণত হয়। অঙ্কুর গাছে পরিণত হলেই এই ব্রতের সমাপ্তি ঘটে। মনে হয়, ভাঁজোর সাধভক্ষণ গর্ভবতী রমণীর সঙ্গে তুলনীয়। সুতরাং এই ব্রত প্রজননশক্তি বা উর্বরতাবাদের সঙ্গে যুক্ত।

উত্তরবঙ্গের ঘন অরণ্যভেদ করে প্রবাহিত হয়ে চলেছে মূর্তি নদী। অদম্য প্রাণশক্তিতে ভরপুর।পাথর ও নুড়ির ওপর স্ফটিক-স্বচ্ছজল এক ...
13/06/2024

উত্তরবঙ্গের ঘন অরণ্যভেদ করে প্রবাহিত হয়ে চলেছে মূর্তি নদী। অদম্য প্রাণশক্তিতে ভরপুর।পাথর ও নুড়ির ওপর স্ফটিক-স্বচ্ছজল এক রূপকথার পরিবেশ গড়ে তোলে। শীতকালেও ঠান্ডা জলে পা ডুবিয়ে বসলে সমস্ত ক্লান্তি নিমেষে উধাও হয়ে যাবে। ডলোমাইট ছড়িয়ে থাকা নদীগর্ভ এতটাই পরিষ্কার যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলেও একঘেয়ে লাগবে না। জঙ্গলের নৈঃশব্দ্য মনকে অন্যকোনও জগতে নিয়ে যাবে। যাঁরা নিরিবিলি বেড়ানোর জায়গা খুঁজছেন, যাঁর নদীর ধারে তাঁবুতে ছুটি কাটাতে চান কিংবা যাঁরা পাখি ভালোবাসেন – সবার আদর্শ গন্তব্য এই মূর্তি। রাজধনেশ এবং আরও বেশ কিছু হিমালয়ের পাখি ও নানাধরনের প্রজাপতির বাস আশেপাশের বনভূমিতে।
নদীর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ‘মূর্তি ট্যুরিজম প্রপার্টি’। প্রকৃতির মাঝখানে ছুটি কাটানোর বন্দোবস্ত তো বটেই, পাবেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ। বর্তমানে ১৫টি ইটের কটেজ, ৬টি কাঠের কটেজ, একটি রেস্তোরাঁ কাম বার এবং একটি অফ শপ চালু রয়েছে। পাশের কলকলিয়ে বয়ে যাওয়া নদী থেকে ধরা মাছ চলে আসবে খাবারের থালায়। কটেজের সাজসজ্জা এত মনোরম যে রাত্রিবেলা আপনি ঘুমের অতলে তলিয়ে যাবেন আরামে। মাঝেমাঝে কানে এসে পৌঁছবে বন্যপ্রাণীর ডাক অথবা ঝিঁঝির ঐকতান। সকালে মূর্তি হয়ে ওঠে অপরূপ। মূর্তি সেতু পার হয়ে গরুমারা বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে সাফারি করতে যেতে পারেন। লুপ্তপ্রায় একশৃঙ্গ ভারতীয় গণ্ডার, ভারতীয় গৌড়ের মতো প্রাণীদের জন্য গরুমারা বিখ্যাত। ঘন অরণ্যে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফিও জমে দারুন। কোনও একটি ওয়াচ টাওয়ারে গিয়ে দেখতে পারেন নানারকম পাখি, ময়ূর, হরিণ কিংবা হাতি। সন্ধেবেলা রঙিন আদিবাসী নৃত্যের আয়োজন করে ট্যুরিজম প্রপার্টি। ধামসা মাদলের তালে তালে পামেলাতে পারেন আপনিও। অথবা সূর্যান্তের সময় উপভোগ করুন শিল্পীদলের ঐতিহ্যময় উপস্থাপনা। কীভাবে যাবেন: মূর্তি নদীর সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন নিউ মাল জংশন। দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। চাইলে আপনি হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনে চলে যেতে পারেন। মূর্তি থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। কাছের বিমান বন্দর বাগডোগরা।
আশেপাশে কী কী দেখবেন?
• সুনতালেখোলা, সামসিং এবং রকি আইল্যান্ড : মূর্তি ট্যুরিজম প্রপার্টি থেকে ৩০ মিনিটের মতো ড্রাইভ করলেই পৌঁছে যাবেন রূপকথার সেতু এবং পাহাড়ে ঘেরা জায়গায়। সেখানে গ্রামগুলোয় সময় যেন স্থির থাকে চিরকাল।পাথুরে জলের স্রোত দেখে আপনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারবেন।
• বিন্দু এবং ঝালং : মূর্তি থেকে গাড়িতে একঘণ্টা গেলে ভারত-ভুটান সীমান্তে বিন্দু এবং ঝালংয়ের দেখা পাবেন। জলঢাকা নদীর ওপর জলঢাকা প্রকল্প খুবই আকর্ষণীয়। বিন্দুতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া সেরে নিন। দেখবেন অস্থায়ী তাঁবুতে বিদেশি চকোলেট বিক্রি করছে স্থানীয় লোকেরা।
• গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং চাপড়ামারি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য : এই দুটি অভয়ারণ্যে ফরেস্ট রাইড বুক করার জন্য মূর্তিতে একটি রিজার্ভেশন কাউন্টার রয়েছে। যাওয়ার সেরা সময় : সারাবছরই যেতে পারেন। তবে অক্টোবর থেকে মার্চ সবচেয়ে ভালো সময়।
বুকিং এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন –
West Bengal Tourism Development Corporation Ltd
DG Block, Sector-II, Salt Lake
Kolkata 700091
Phone: (033) 2358 5189, Fax: 2359 8292
Website: https://www.wbtdcl.com/
Email: [email protected], [email protected], [email protected]

13/06/2024

বাংলার ব্রতপার্বণ(১২)
মুর্শিদাবাদ জেলায় মেলেনি ব্রতের প্রচলন দেখা যায়। এই ব্রতের ব্রতিনীরা হল ছোট ছোট কুমারী মেয়ে। ব্রতিনীরা মাটি দিয়ে প্রায় ছয় ইঞ্চি উঁচু মেলেনি মূর্তি গড়ে। তাকে শুকিয়ে নিয়ে তেল হলুদ মাখায় এবং এর পর উঠোনে বা তুলসীতলায় মূর্তিটিকে স্থাপন করে। এর পাশেই এক বা দেড় ফুট গোলাকার ছোট একটা চৌবাচ্চা কাটা হয়। চৌবাচ্চায় জল ভর্তি করা হয় একে বলা হয় 'মেলেনি পুকুর'। এতে মেলেনি মূর্তিকে স্নান করানো হয়।
সারা চৈত্র মাস জুড়ে এই ব্রত অনুষ্ঠান চলে। এই ব্রত পালন ১ চৈত্র শুরু হয়, শেষ হয় চৈত্রসংক্রান্তিতে। ছোট ছোট মেয়েরা ফুল, ফল, পাতা সংগ্রহ করে সন্ধ্যেবেলা গোল হয়ে বসে মেলেনি মূর্তির সামনে। এদের মধ্যে যে মেয়েটি বয়সে বড় কিংবা আগে যে এই ব্রতটি কয়েকবার পালন করেছে সে-ই প্রথম এই ব্রতের গান শুরু করে। প্রথমে একজন গান ধরে এবং তারপর সকলে মিলে সেই গান গাইতে থাকে :
আমার মেলেনিকে/ তেল হলুদ মাখাতে মাখাতে ঘামলো রে গা।/ সোনার আঁচল দিয়ে মুছে দিব গা৷/
গাইতে গাইতে মেয়েরা মেলেনি মূর্তির গায়ে হলুদ মাখায়, স্নান করায়, গা মোছায়, কাপড় ও অলঙ্কার পরায় এবং নানাবিধ সজ্জায় তাকে সাজায়। স্নানের পরে মূর্তিটিকে কোনো উঁচু জায়গায় বসানো হয় এবং প্রদীপ ও ধূপ-ধুনো জ্বালানো হয়। নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয় আখের গুড়, কাঁচা দুধ, মিষ্টি, নানারকম ফল। আবার কোথাও কোথাও নানারকম সবজি বা আনাজও দেওয়া হয়। এছাড়া আম্রপল্লবসহ ঘট ও তার উপরে ডাব দেওয়া হয়। চাল, ডাল, আটা, চালভাজা, কলাইভাজা, এমনকি ভুট্টা-ভাজাও কোথাও কোথাও মেলেনিকে দেওয়া হয়। তবে সংক্রান্তির আগের দিন মেলেনিকে দেওয়া হয় নানারকমের শস্যকণা। এর পরেই শুরু হয় নানাবিষয়ের গানের পর গান ৷
এই ব্রতের উদ্দেশ্য দাম্পত্য মিলন অর্থাৎ সুখী সংসার। কুমারীদের বিবাহিত জীবনের সুখলাভ ও সন্তানলাভের কামনা এই ব্রত পালনের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পায়। মেলেনি যে শস্যদেবী তা তার নৈবেদ্য থেকে বোঝা যায়। তাই এই ব্রতটিকে উর্বরতাবাদের প্রতীক হিসাবে ধরা যায়।
মুর্শিদাবাদ জেলায় মারাত্মক রোগের হাত থেকে মুক্তিলাভের কামনায় পালন করা হয় ঠকঠকি ব্রত। এছাড়া এখানে মা ডুমনী ব্রত পালিত হয়।
মুর্শিদাবাদ জেলায় মৃত-বৎসা ও বন্ধ্যানারীরা সন্তানের কামনায় শনি বা মঙ্গলবার পালন করে জীয়ৎকালী ব্রত।

13/06/2024

‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’ বইতে মুজফফর আহমদ লিখেছেন
‘নবযুগে’ কাজ করার সময়ের আর একটি গল্প বলি। ১৯২০ খৃীস্টাব্দ পর্যন্ত খেতাবধারীরা (যেমন রায় সাহেব, খান সাহেব, বায় বাহাদুর, খান বাহাদর ইত্যাদি) এবং আইন সভার সভ্যরা লাইসেন্স ছাড়াও অস্ত্র কিনতে ও রাখতে পারতেন। আমার ঠিক মনে নেই, সম্ভবত অনারারি ম্যাজিস্ট্রেটরাও এই ভাবে অস্ত্র রাখার অধিকারী ছিলেন। এ. কে. ফজলুল হক সাহেব আইন সভার সভ্য ছিলেন। সেই অধিকারে তিনিও একটি রিভলবার কিনেছিলেন, কিন্তু সেটি রাখার যে-ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন তা অত্যন্ত চমৎকার। বাড়ির নীচের তলায় একটি স্টিল ট্রাঙ্কে তিনি তাঁর অস্ত্রটি রেখেছিলেন। এই ট্রাঙ্কের তালা কখনও বন্ধ করা হতো না। ১৯১৯ সালের ভারতীয় শাসন সংস্কার আইন চালু, হওয়ার পরে গবর্নমেন্ট একটি হকুম এই বলে জারী করলেন যে যাঁদের নিকট লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্র আছে তাঁদের লাইসেন্স করিয়ে নিতে হবে। এই সময়ে ফজলুল হক সাহেবের মনে পড়ল যে তাঁরও একটি রিভলবার আছে, লাইসেন্স করিয়ে নেওয়া দরকার। তালা বন্ধ-না-করা ট্রাঙ্কটির ডালা তুলে তিনি অস্ত্রটি পেলেন না। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পুলিশে খবর দিলেন। তার পরে শুরু হলো সাদা পোশাকওয়ালাদের আনাগোনা। নজরুলকে আর আমাকে দু’চার কথা তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন। কিন্তু সেটা তেমন কিছু নয়। তবুও ওই বাড়িতে তাঁদের আসা-যাওয়া কিছুতেই বন্ধ হলো না। খোলাখুলিভাবে না বললেও তাঁদের মনে সন্দেহ হয়েছিল যে নজরুল ইসলাম আর আমি অস্ত্রটি সরিয়েছি। নজরুলের ওপরেই তাঁদের সন্দেহ হয়েছিল বেশী। কারণ, পুলিশের ধারণা জন্মেছিল যে আর্মি-ফেরৎ ওই রকম একটি জওয়ান ছেলে অস্ত্রটি চুরি না করেই পারে না। ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট মুহম্মদ ইউসুফ ফজলুল হক সাহেবের সঙ্গে দেখা করার অছিলায় এসে বসেই থাকতেন। এই ভাবে অনেক দিন ঘোরাঘুরি করার পরে সাদা পোশাক-ওয়ালারা আসা বন্ধ করে দিল।
বলা বাহুল্য, ফজলুল হক সাহেবের বাড়ির নীচের তলায় ‘নবযুগে’র অফিস ছিল। প্রেস ছিল অন্য বাড়িতে। ফজলুল হক সাহেবের একটি
ছোকরা চাকর ছিল। সে বয়ঃসন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। সেই সময়ে যৌবনাগমনের কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের বাসনা তার মনে জাগা অস্বাভাবিক ছিল না। তার জন্যে টাকা চাই। ফজলুল হক সাহেবের দুই ভাগিনেয় ওয়াজির আলী সাহেব ও ইউসফ আলী সাহেবসহ আমাদের মনে সন্দেহ হয়েছিল যে ছোকরা চাকরটিই বিভলবার সরিয়েছিল। টার্নার স্ট্রীটে অনেক এংলো ইণ্ডিয়ানের বাস ছিল। তাঁদের ভিতরে কিছু লোক চোরাই অস্ত্রের ব্যবসায় করত। কাজেই, সেই ছোকরা চাকরের পক্ষে অস্ত্র বিক্রয়ে কোনো অসুবিধা ঘটেনি। এক বা একাধিক এংলো ইণ্ডিয়ানদের দ্বারা প্ররোচিত হয়েও সে এই কাজ করতে পারে। কিন্তু পুলিশ ওই দিকটাতেই ঘেষল না। সাধারণ ক্রিমিনলদের পেছনে ছোটাছটি করলে পলিটিকাল পুলিশের ইজ্জৎ থাকবে কেন ? সেই কাজের জন্যে তো আলাদা পুলিশ আছে। তা ছাড়া, সন্দেহ তো বিশেষভাবে নজরুলের ওপরেই হয়েছিল।’

আজ চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বৃহস্পতিবা...
13/06/2024

আজ চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা পরিষদ যশোর’-এর উদ্যোগে রানীয়ালি বাজারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা পরিষদ যশোর’ জেলা শাখার আহবায়ক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহন করেন। রানিয়ালী গ্রামের কৃষক কালীপদ সরকার ভিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী আক্রমন করে মারাত্বক আহত করে। ভীম যশোর সদর হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা নিয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় মামল হলেও পুলিশ আসামী ধরতে গড়িমসি করে। পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিকদের চাপে হামলাকারী একজনকে গ্রেফতার করে এবং কোর্ট থেকে জামিন নেয়ার দোহাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। কিন্ত ঐ আসামীদের একজন মাত্র জামিন পায় অন্য আসামীরা জামিনে ছিলো না, তবুও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি। আসামীরা থানা থেকে ছাড়া পেয়ে গ্রামে গিয়ে হুমকী দেয়, এই এলাকার হিন্দুরা বাঁচতে চাইলে ভরতে চলে যাবি। এর ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে ঐ ইউনিয়নে তখনকার চেয়ারম্যান শাহিনের অত্যাচারে প্রায় ১৫০ পরিবার ভরতে চলে যেতে বাধ্য হয়। স্থানীয়দের ধারনা বাজারে ভিমের কিছু জমি আছে, সে জমি দখল করার জন্যই এ আক্রমন।

১৯৭১..........
12/06/2024

১৯৭১..........

যশোরে উচ্চ ফলনশীল আওয়ামীলীগের সন্ধান....যশোর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বাদশা বাঘারপাড়ার একজন স্বীকৃ...
11/06/2024

যশোরে উচ্চ ফলনশীল আওয়ামীলীগের সন্ধান....
যশোর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বাদশা বাঘারপাড়ার একজন স্বীকৃত রাজাকারকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি গত ১০ জুন ফেসবুকে লিখেছেন-‘ আসন্ন রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা-২০২৪ অনুষ্ঠানে অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রথিতযশা প্রধান শিক্ষক জনাব মসি-উল আযম স্যারকে গুণীজন সংবর্ধনা দিতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমি সেলিম রেজা বাদশাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
যশোরে জেলায় একাত্তর সালে সবচেয়ে বেশি রাজাকার ছিল বাঘারপাড়া থানায়। আমার লেখা ‘রণাঙ্গণে যশোর’ বইতে বাঘারপাড়ার রাজাকারদের যে তালিকা রয়েছে সেখানে ১৯২ জন রাজাকারের নাম রয়েছে। এরমধ্যে ১০৭ নম্বর তালিকায় রয়েছে আজমেহেরপুরের মসিউল আযমের নাম। এছাড়া আরও অন্যান্য বইতে তার রাজাকারের তালিকায় নাম রয়েছে। হাইব্রিড আওয়ামীলীগ বলি বা উচ্চ ফলনশীল আওয়ামীলীগ বলি সেলিম রেজা বাদশা তাদের একজন। এদেরকে ঝাড়মুলে উচ্ছেদ না করলে আওয়ামীলীগের জন্য সমস্যা।

কলকাতা ঘুরতে গিয়ে সঠিক গাইড লাইনের অভাবে অনেকেই ট্যাক্সি বা ক্যাবের পিছনে অনেক টাকা খরচ করছেন। যারা ওই অতিরিক্ত খরচ কমিয়...
11/06/2024

কলকাতা ঘুরতে গিয়ে সঠিক গাইড লাইনের অভাবে অনেকেই ট্যাক্সি বা ক্যাবের পিছনে অনেক টাকা খরচ করছেন। যারা ওই অতিরিক্ত খরচ কমিয়ে সুন্দর ভাবে ঘুরতে চাচ্ছেন তাদের ভরসার অন্য নাম হতে পারে কলকাতা মেট্রো রেল। এ সম্পর্কে আপনাদের কিছু বিষয় জানাচ্ছি। মেট্রো রেল গুলো প্রতি ৪ মিনিট পর পর সকাল থেকে রাত ১০.২০ মিনিট পর্যন্ত পাওয়া যায়। আপনি যদি টাকা কে পাইলটের মত উড়াতে ভালোবাসেন তবে এই পোস্ট টি আপনাদের জন্য নয়।
অনেকেই বনগাঁ থেকে সরাসরি শিয়ালদাহ স্টেশনে চলে আসেন। এর পর ক্যাবে ১০০ - ১৫০ রুপি দিয়ে পার্ক স্ট্রিট বা মির্জা গালিব স্ট্রীটে। আপনারা সরাসরি বনগাঁ থেকে দমদম জংশনে এসে নামবেন (দমদম জংশন এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মধ্যে প্যাঁচ লাগাবেন না)। এখান থেকে মাত্র ১০ রুপি দিয়ে মেট্রো রেলে করে পার্ক স্ট্রীট চলে আসতে পারবেন।
কলকাতা মেট্রো রেলের রুট:
দমদম > বেলগাছি > শ্যাম বাজার > শোভা বাজার > গিরিশ পার্ক > M.G রোড > সেন্ট্রাল > চাঁদনী চক > স্প্লানেড > পার্ক স্ট্রীট > মায়দান > রবীন্দ্র সনদ > নেতাজী ভবন > জতীন দাস পার্ক > কালীঘাট > রবীন্দ্র সরোবর > টালীগঞ্জ > নেতাজি >মাস্টার দা সুর্যসেন > গীতাঞ্জলী > কবি নজরুল > শহীদ ক্ষুদিরাম > কবি সুভাস। ভাড়া ৫, ১০, ১৫, ২০ রুপি। আপনি যদি দমদম থেকে পার্ক স্ট্রীট আসেন তবে ভাড়া ১০ রুপি আবার পার্ক স্ট্রীট থেকে চাঁদনী চক যান তবে ভাড়া ৫ রুপির মত। চিন্তা করার কোন কারন নেই এই দ্রুত গামী মেট্রো রেলের প্রতিটি স্টেশনে সে স্টেশন থেকে যে স্টেশনে যাবেন সেখানকার ভাড়া লেখা আছে। আপনি টিকিট কেটে উপরের সাইনবোর্ড দেখে বাম বা ডান দিকের প্লাটফর্মের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবেন।
এবার আসুন আলোচনা করি কোন মেট্রো রেলওয়ে স্টেশনের পাশে কি কি আছে ।
╚►ভিক্টরিয়াল মেমোরিয়ালঃ ময়দান মেট্রো স্টেশন।
╚►গড়ের মাঠঃ ময়দান মেট্রো স্টেশন।
╚►হাওড়া ব্রিজঃ মহাত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন।
╚►ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামঃ পার্ক স্ট্রীট অথবা ময়দান মেট্রো স্টেশন।
╚►জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়িঃ গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশন।
╚►রাম মন্দিরঃ মহাত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন।
╚►মার্বেল প্লেসঃ মহাত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন।
╚►ময়দানঃ ময়দান মেট্রো স্টেশন।
╚►কালীঘাট কালী মন্দিরঃ কালীঘাট মেট্রো স্টেশন।
╚►ইডেন গার্ডেনঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►কার্জন পার্কঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►নেতাজী সুভাস স্টেডিয়ামঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►মিনেলিয়াম পার্কঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►দ্বিতীয় হুগলী ব্রিজঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►কলকাতা হাইকোর্টঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►বাবুঘাট কলকাতাঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►প্রিন্সেপ ঘাটঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►ফোর্ট উইলিয়ামঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►শহীদ মিনারঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►সেন্ট পল চার্চঃ রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন।
╚►চাঁদনী চকঃ চাঁদনী চক মেট্রো।
╚►নিউমার্কেটঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
╚►বড় বাজারঃ মহাত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন।
╚►রবীন্দ্র সরোবরঃ রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন।
╚►লায়ন সাফারি পার্কঃ রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন।
অনেকেই নিউমার্কেট এলাকায় অনেক সময় হোটেল সংকটের কারনে বেশি দামে হোটেল ভাড়া দিয়ে থাকে । আপনারা ইচ্ছে করলেই দমদম বা শোভা বাজার এদিকের হোটেলে থাকতে পারেন । সেক্ষেত্রে মাত্র ১০ বা ৫ রুপি দিয়ে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে চলে আসুন। এখান থেকে মিনিট ২ হাটলেই নিউমার্কেট এলাকা।
নোটঃ মেট্রো রেলওয়ে স্টেশন গুলো থেকে ভ্রমনের স্থান গুলো খুব বেশি হলে ১ কিঃ মিঃ এর মধ্যে অবস্থিত, যারা ট্রাভেলার তাদের জন্য এটা কিছুই না। মেট্রো রেলের স্টেশন গুলোতে ছবি তুলা নিষিদ্ধ এবং এই ট্রেন গুলোতে আপনি বড় বড় বস্তা ক্যারি করতে পারবেন না। সাধারন ব্যাগ , হ্যান্ড ব্যাগ, অফিস ব্যাগ, শপিং ব্যাগ ইত্যাদি বহন করতে পারবেন। ভালো থাকবেন।

11/06/2024

বাংলার ব্রতপার্বণ(১০)
মেদিনীপুর জেলায় বালুকা ব্রতের প্রচলন দেখা যায়। এটি কুমারী ব্রত। কুমারীরা তাদের চিরাচরিত রীতিতে এই ব্রত পালন করে অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে। সুখী দাম্পত্য জীবনের কামনায় কুমারীরা এই ব্রত পালন করে। কার্তিক মাসে শুক্লা একাদশী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত পাঁচ দিন, আবার কোথাও শুক্লা সপ্তমী থেকে একাদশী পর্যন্ত পাঁচ দিন এই ব্রত পালন করা হয়। তবে সাধারণত একাদশী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত পাঁচদিনই বেশি পালন করে কুমারীরা। নিয়ম পালনে কিছু বিধি-নিষেধ আছে। ব্ৰত পালনের পূর্বদিন নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হয়। ব্রত পালনের দিনগুলিতে সারাদিন উপোস থেকে সন্ধ্যাবেলা আলু, ওল, কাঁচকলা দিয়ে হবিষ্যি খেতে হয়। হবিষ্যি আহারে ঘি খাওয়া চলে, কিন্তু তেল খাওয়া ও মাখা নিষেধ ।
ব্রতের দিন ভোরবেলা কুমারী, মেয়েরা দল বেঁধে কোন পুকুর বা নদীর ধারে যায়। জল থেকে বালি বা কাদামাটি তোলে এবং তা দিয়ে স্তূপের মতো মূর্তি গড়ে তাতে কাঠি কিংবা আঙুল দিয়ে চোখ-মুখ এঁকে দেয়। এর পর মূর্তিকে ঘিরে সবাই গোল হয়ে বসে। ধূপ ও প্রদীপ জ্বালে, ভিজে মূর্তির সামনে মুগ বা ছোলা, কাঁচা দুধ নৈবেদ্য হিসেবে দেয় এবং এর পর শাঁখ বাজায় ও মূর্তির উপর ফুল দিয়ে সুর করে ছড়া বলে। ছড়া বলা শেষ হলে স্নান করে আবার ছড়া বলতে বলতে বাড়ি ফেরে। বিকেলে আবার সকলে পূর্বনির্দিষ্ট কোনো বাড়ির তুলসীতলায় জড়ো হয়। সেখানেও বালি অথবা কাদামাটি দিয়ে স্তূপের মতো মূর্তি গড়ে এবং সকালের মতোই নৈবেদ্য দেয়, ছড়া বলে এবং পুজো শেষ হলে যে যার বাড়ি ফিরে গিয়ে হবিষ্যি গ্রহণ করে।এমনি করে ব্রত চলে পাঁচ দিন, তবে আর জলাশয়ে যেতে হয় না, তুলসী- তলাতেই ব্রত পালন করা হয়। ছয় দিনের দিন ভোরবেলা বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের দিন বালুকাস্তুপের মূর্তিটিকে কোন শোলা বা পাটকাঠির রথে চাপিয়ে সারাপথ গান গাইতে গাইতে কোন জলাশয় বা নদীতে গিয়ে সব কিছু ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এইভাবেই বালুকা ব্রতের সমাপ্তি ঘটে। এছাড়া মেদিনীপুর জেলায় মাঘমাসের শুক্লপক্ষে একাদশীর দিন ভীমপূজা ব্রত পালন করা হয়। এই ব্রতটি সুকর্ষণ কামনায় পালিত হয়।
বাঁকুড়া জেলার আদিবাসী বা উপজাতি অধ্যুষিত নানা গ্রামে ভেঁপু ব্রত পালন করা হয়। ভেঁপুর কোনো মূর্তি নেই। তেল-সিঁদুরমাখা গোবরের ঢেলা স্থাপন করা হয়। ঘটও পাতা হয়। জলভর্তি ঘটের উপর আম্রপল্লবও বটের ডাল রাখা হয়। এই ঘট বা ঢেলা স্থাপিত হয় ঘরের ঈশান কোণে। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠা মহিলা হন এই ব্রতের ব্রতিনী।
কার্তিক মাসের শেষ ও অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে যে কৃষ্ণপক্ষ পড়ে সেই পক্ষের প্রথমে যে শনি বা মঙ্গলবার পড়ে সেদিনই ব্রত উদযাপনের দিন। ব্রতী শুদ্ধ কাপড়ে স্নান করে ব্রত পালন করে। এই ব্রতের কোন মন্ত্র নেই। এই ব্রতের উপকরণ হল : তেল-সিঁদুর, হলুদ-বাটা, মেথি-বাটা ও ফুল এবং নৈবেদ্য হল ঘি, গুড় ও চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি চাটুপিঠা। কোন কোন ব্রতিনী উপবাসী থাকে বা কেউ কেউ শুধু ভাত খায় না। ব্রতিনী পুকুর বা কুয়ো থেকে জল তুলে ঘট ভর্তি করে। এরপর ঘটের গায়ে, আম্রপল্লবে বা বটের ডালে অথবা মাটির ঢেলায় হলুদ ও মেথি মাখিয়ে তিন ফোঁটা সিঁদুর দিতে হয় এবং ঘটের মাথায় ঘি, গুড় ও চাটুপিঠেতে ফুল দিতে হয়। ব্রতিনী শাঁখ বাজান তিনবার করে ন বার। এর পর ভেঁপুর প্রসাদ ছেলে-মেয়ে ও মহিলাদের মধ্যে বিলি করা হয়। এই ব্রতানুষ্ঠান পুরুষদের দেখতে নেই এবং এর প্রসাদও পুরুষদের গ্রহণ করতে নেই।
ব্রতিনীদের বিশ্বাস ভেঁপু সন্তান বৃদ্ধির দেবতা। আবার অনেকের মতে ভেঁপু পশুরক্ষক দেবতা। বর্তমানে সম্পদবৃদ্ধি ও পশুবৃদ্ধির জন্যই ভেঁপু ব্রত পালিত হয়। এছাড়া গৃহপালিত পশু হারালেও অনেকে ঘি-খিচুড়ি মানসিক করে এই ব্রত পালন করে। তবে স্থানীয় লোকবিশ্বাস ও নামশব্দের অর্থানুসারে ভেঁপুকে প্রাচীন নারী- সমাজের প্রজনন দেবতা বলেই ধরা যায়।
বাঁকুড়া জেলায় ফসল নষ্ট না হওয়ার কামনায় পালিত হয় মাহাদনা ব্রত। মাহাদনা হলেন শস্যরক্ষাকারিণী দেবী। এই দেবী শস্য রক্ষা করবেন বলে এই আশ্বাসে ব্রতটি পালিত হয়। এছাড়া বন্যা ও অতিবৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাবার কামনায় পালিত হয় বাঘরাই ব্রত। বীরভূম জেলায় অসুস্থ রোগীর সুস্থ থাকার কামনায় পালিত হয় বাবা কুদড়ো বুড়ো ব্ৰত।

১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬%) রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ (৩৪%) রয়েছে ভা...
11/06/2024

১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬%) রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ (৩৪%) রয়েছে ভারতের মধ্যে। অথচ বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে ভারত ইতোমধ্যে সুন্দরবনের মধুর জিআই স্বত্ব পেয়েছে। আমার দাবি দ্রুত আমাদের ‘তালের রস’, ‘তালের গুড়’, সুন্দরবনের ‘গোলপাতার রস’ ও ‘ গোলপাতার রসের গুড়ের’ জিআই স্বত্ব দাবি করে আবেদন করুন। না হলে এটাও আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।

10/06/2024

বাংলার ব্রতপার্বণ(৯)
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার উত্তর সীমান্তের গ্রামাঞ্চলে ঠকঠকি ব্রতের একসময় প্রচলন ছিল, তবে তা এখন অনেকটা লুপ্তপ্রায়। ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে তিনদিন ধরে চলে এই ব্রত পালন। এই ব্রতের আবাহন করেন বয়স্কা নারীরা। সন্ধ্যাবেলা দলবেঁধে গ্রামের বয়স্কা মেয়েরা কোনো অশ্বত্থ বা বটগাছের তলায় গিয়ে সারি সারি মাটির পুতুল সাজিয়ে দিয়ে প্রদীপ জ্বালান এবং প্রণাম করেন। এরপর সমবেত কণ্ঠে ছড়া বলেন। বাড়ি ফিরে এসে দুটি দলে ভাগ হয়ে গিয়ে তাদের মধ্যে চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। গ্রামে যাতে কলেরা বা বসন্ত রোগ না হয় ও হলে তার প্রকোপ থেকে যাতে মুক্তি পাওয়া যায় সেই উদ্দেশে গ্রামাঞ্চলের বয়স্কা নারীরা এই ব্রত পালন করেন। হাওড়া জেলার একটি বিশিষ্ট ব্রত হল বেতাইচণ্ডী ব্রত। পঞ্চ ব্যঞ্জনের সঙ্গে মাছ ভোগ দিয়ে সাংসারিক মঙ্গলকামনায় এই ব্রতটি পালন করা হয়। হুগলি জেলায় পুত্র- সন্তান লাভের কামনায় পালিত হয় পতিদুর্গামাতা ব্রত। নদীয়া জেলায় সাপকে খেদানো বা তাড়ানোর উদ্দেশ্যে পালিত হয় খেদাইঠাকুর ব্রত।
মেদিনীপুর জেলায় বিরিঞ্চি ব্রতের প্রচলন দেখা যায়। পৌষ মাসের প্রথম রবিবার দিন বিরিঞ্চি দেবতার মূর্তি গড়া হয়। মাসের চারটি রবিবারই এই ব্রত পালন করা হয়। সধবা নারীরাই এই ব্রত পালন করে, তবে সধবাদের মধ্যে সন্তানবতী নারী এবং বন্ধ্যা নারী উভয়েই এই ব্রত পালনের অধিকারিণী। এই ব্রতের গান নিচে উদ্ধৃত হল :
জয় জয় জয় বাবা বিরিঞ্চি দেবতা।/ দূর কর সংসারের দুঃখ শোক ব্যথা।/ যেবা শুনে যেবা করে তাঁহার পূজন।/ দিনে দিনে বাড়ে তার পুত্র ধন জন ।।/ সত্য তুমি নিত্য তুমি তুমি নারায়ণ।/ সারা পৌষে ঘরে ঘরে তুমার পূজন।।/ কাঁচা দুধ ঢালে যেবা তুমার মাথায়।/ ইহলোকে পরলোকে সুখে সে গোঙায় ৷৷/ পৌষ মাসে পরথম যে রবিবার ভোরে।/ কড়ি দিয়ে কুঁচ দিয়ে মূর্তি তাহার গড়ে।।/ দুধ দিয়ে ফল দিয়ে ভোগ সাজাইয়া।/ একমনে পূজে তাঁরে আনন্দিত হৈয়া।/ চারি চারি রবিবারে পূজে শুদ্ধ মন।/ তার ছেলেপুলে সুখে করিবে ভরমন।/ চারি বছর করিলে হবে বন্ধ্যা দোষ দূর।/ এক মনে পূজো সবে বিরিঞ্চি ঠাকুর।/
ভক্তি ভাবে যেবা করে তাঁহার পূজন।/ দিনে দিনে বাড়ে তার সহস্র গোধন ।।/ কাঁচা দুধ ঢালে যেবা বাবার মাথায়।/
দেশে দেশে তার ছেলে সুখেতে বেড়ায়।।/
এই গানের মধ্যেই বিরিঞ্চি ব্রতের নিয়ম পালনের কথা বলা হয়েছে। এই ব্রতের প্রধান নৈবেদ্য হল কাঁচা দুধ, তবে ফল, মিষ্টান্নও দেওয়া হয়। ধনলাভ, সন্তানলাভ, সন্তানের মঙ্গল ও সাংসারিক শান্তির কামনায় এই ব্রত পালন করা হয়।
বিরিঞ্চি আসলে প্রজনন-দেবতা। এর সঙ্গে মিল পাওয়া যায় ষষ্ঠী, শিব, সূর্য, নারায়ণ, ধর্মঠাকুর এবং আরও নানা দেব-দেবীর নানা বিশ্বাসের। তাই সন্তান লাভ ও সন্তানের মঙ্গলকামনায় ‘পাকা মাথায় সিঁদুর পরে হাতে লোহা-শাঁখা' পরে সধবা নারীরা নিচের গানটি গাইতে গাইতে বিরিঞ্চি ব্রত পালন করে –দুধ ঢালো দুধ ঢালো মাথায় বাবার।/ পুত্র নিয়ে সুখে থাকো সোনার সংসার।।/ ঘরে ঘরে যারা করে বিরিঞ্চি পূজন।/ ধনে জনে বাড়ে তার সুখের জীবন।।/

10/06/2024

‘মুক্তি’ শীর্ষক কবিতাটি 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'য় ছাপা হওয়ায় খুশী হয়ে নজরুল ইসলাম তার সম্পাদককে একখানা পত্র লিখেছিল।
মুজফফর আহমদ বলছেন,-‘কি করে জানি না, লেখার বহু বছর পরে এই পত্রখানা প্রথম ঢাকা হতে কাগজে ছাপা হয়। পরে ঢাকা হতেই প্রকাশিত 'নজরুল রচনা সম্ভার' নামক পুস্তকেও (প্রকাশ কাল ২৫শে মে, ১৯৬১ সাল) তা স্থান পেয়েছে। কলকাতার ‘বিংশ শতাব্দী' মাসিক পত্রিকায়ও তা আরও অনেক পরে ছাপা হয়েছে। এই পত্রখানা 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’য় তখন ছাপেনি। পত্রিকার ‍দু'জন সম্পাদকের মধ্যে প্রথম ছাপা হতো মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবের নাম। আমার মনে হয় নজরুল ইসলাম শহীদল্লাহ সাহেবের নামেই তার পত্রখানা লিখে থাকবে। মনে হয় সেইজন্য তাঁকে তা পড়তে দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁর কাগজ-পত্রের সঙ্গে তা ঢাকায় চলে গিয়েছিল। কিংবা এও হতে পারে যে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ, কাজী ইমদাদুল হক সাহেবের সঙ্গে পত্রখানা ঢাকায় চলে যেতে পারে। সেই সময়ে তিনি কলকাতা ট্রেনিং স্কুলের (নর্মাল স্কুলের হেড় মাস্টার ছিলেন। এডুকেশনের সেক্রেটারী হয়ে তিনি ঢাকা গিয়েছিলেন। ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতি'র তিনিও একজন কর্মকর্তা ছিলেন। সাহিত্য পত্রিকার লেখাও তিনি মাঝে সম্পাদন করতেন। এদের দ'জনার কাগজ-পত্রের সঙ্গে মিশে না গেলে ঢাকা হতে এই পত্রের প্রথম ছাপা হওয়ার অন্য কোনো কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছিনে।’
নজরুলের পত্র:
From:
QAZI NAZRUL ISLAM, Battalion Quartermaster Havilder 49th Bengalis, Dated, Cantonment, Karachi The 19th August, 1919.

আদাব হাজার হাজার জানবেন !
বাদ আরজ, আমার নগণ্য লেখাটি আপনাদের সাহিত্য পত্রিকায় স্থান পেয়েছে, এতে কৃতজ্ঞ হওয়ার চেয়ে আমি আশ্চর্য হয়েছি বেশী। আমার সবচেয়ে ভয় হয়েছিল, পাছে বেচারী লেখা 'কোরকে'র কোঠায় পড়ে। অবশ্য যদিও আমি 'কোরক' ব্যতীত প্রস্ফুটিত ‍ফুল নই; আর যদিই সে-রকম হয়ে থাকি কারুর চক্ষে তবে সে বেমালুম ধুতরো ফুল। যা হোক, তার জন্যে আপনার নিকট যে কত বেশী কৃতজ্ঞ, তা প্রকাশ করার ভাষা পাচ্ছিনে। আপনার এরুপ উৎসাহ বরাবর থাকলে আমি যে একটি মস্ত জবর কবি ও লেখক হব, তা হাতে কলমে প্রমাণ করে দিব, এ একেবারে নির্ঘাৎ সত্যি কথা। কারণ, এবারে পাঠালাম একটি লম্বা চওড়া 'গাথা' আর একটি 'প্রায় দীর্ঘ' গল্প আপনাদের পরবর্তী সংখ্যা কাগজে ছাপাবার জন্যে, যদিও কার্তিক মাস এখনও অনেক দূরে। আগে থেকেই পাঠালাম, কেননা, এখন হতে এটা ভাল কবে পড়ে রাখবেন এবং চাই কি আগে হতে ছাপিয়েও রাখতে পারেন। তা ছাড়া আর একটি কথা। শেষে হয়তে৷ ভাল ভাল লেখা জমে আমার লেখাকে বিলকুল রদি করে দেবে, আর তখন হয়তো এত বেশী লেখা না পড়তেও পারেন। কারণ আমি বিশেষরুপে জানি, সম্পাদক বেচারাদের গলদঘর্ম হয়ে উঠতে হয় এই নতুন কাব্যিরোগাক্রান্ত ছোকরাদের দৌরাত্মিতে। যাক, অনেক বাজে কথা বলা গেল। আপনার সময়টাকেও খামকা টুটি চেপে রেখেছিলুম। এখন বাকি কথা কটি মেহেরবানী করে শুনুন।
যদি কোন লেখা পচ্ছন্দ না হয়, তবে ছিড়ে না ফেলে এ গরীবকে জানালেই আমি ওর নিরাপদে প্রত্যাগমনের পাথেয় পাঠিয়ে দেব। কারণ, সৈনিকের বড্ড কষ্টের জীবন। আর তার চেয়ে হাজারগুণে পরিশ্রম করে একটু, আধটু লিখি। আর কারুর কাছে ও একেবারে worthless হলেও আমার নিজের কাছে ওর দাম ভয়ানক। আর ওটা বোধ হয় সব লেখকের পক্ষেই স্বাভাবিক । আপনার পচ্ছন্দ হলো কিনা, জানবার জন্যে আমার নাম ঠিকানা লেখা একখানা stamped খামও দেওয়া গেল এর সঙ্গে৷ পড়ে মতামত জানাবেন।
আর যদি এত বেশী লেখা ছাপাবার মত জায়গা না থাকে আপনার কাগজে, তা হলে যে কোন একটা লেখা 'সওগাতে'র সম্পাদককে hand over করলে আমি বিশেষ অনুগৃহীত হব। 'সওগাতে' লেখা দিচ্ছি দু’একটা করে । যা ভাল বুঝেন জানাবেন । গল্পটি সম্বন্ধে আপনার কিছু জিজ্ঞাস্য বা বক্তব্য থাকলে জানালেই আমি ধন্যবাদের সহিত তৎক্ষণাৎ তার উত্তর দিব, কারণ, এখনও সময় রয়েছে।
আমাদের এখানে সময়ের money value. সুতরাং লেখা সর্বাঙ্গসন্দর হতেই পারে না। undisturbed time মোটেই পাই না। আমি কোন কিছুরই কপি duplicate রাখতে পারি না । সেটি সম্পূর্ণ অসম্ভব।
By the by, আপনারা যে 'ক্ষমা' বাদ দিয়ে কবিতাটির 'মুক্তি' নাম দিয়েছেন, তাতে আমি খুব সন্তুষ্ট হয়েছি। এই রকম দোষগুলি সংশোধন করে নেবেন। বড্ডো ছাপার ভুল থাকে, একট, সাবধান হওয়া যায় না কি? আমি ভাল, আপনাদের কুশল সংবাদ দিবেন। নিবেদন ইতি।
খাদেম, -নজরুল ইসলাম।

Address

73, Jail Road Jashore
Jessore
7400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jashorekhabor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jashorekhabor:

Videos

Share

‘দাদাবাবুর মত লোকই হয় না’

বিশেষ প্রতিবেদনঃ প্রয়াত ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রয়াণে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল শোকস্তব্ধ। কিন্তু স্বজনহারা বেদনা বাংলাদেশে। ময়ুরাক্ষী ও লাল মাটির ছোট্টখাট্টো মানব বিশ্বজনীন ছায়া বিস্তার করেছিলেন। মৃত্যু নিশ্চিত। তার পরে থেকে যায় কিছু কাহিনি।

প্রণববাবুর তৈরি এই কাহিনিতে মিশে থাকে বাংলাদেশ আর বাংলাভাষীদের অদম্য সংগ্রামে পাক শাসন থেকে মুক্তির কথা। জীবদ্দশায় বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, প্রয়াণের পরেও থাকবেন। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক লড়াই বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে অবস্থান পোক্ত করতে ভূমিকা নিয়েছিল।

১৯৭১ সাল জল জমির সবুজ ভূখণ্ড তখন রক্তাক্ত। চলছিল মুক্তিযুদ্ধ। আর এসব থেকে অনেক দূরে থেকে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যে কূটনৈতিক লড়াই শুরু করেছিলেন, তার সুযোগ্য সেনাপতি প্রণববাবু। এই তো গেল রাজনীতির কথা! বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণববাবুর সম্পর্ক কার্যত পারিবারিক।

প্রণববাবুর শ্বশুর বাড়ি বাংলাদেশে। বাংলাদেশের নড়াইলে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের ছোট ভাই কানাইলাল ঘোষ থাকেন সেখানে৷



You may also like