Fardin Zaman

Fardin Zaman ke ar hobe

15/09/2022

মোড়ানো সৃতি কথায়, কোন একদিন দেখা হয়ে যাবে আবার তোমারদের কোন এক আয়োজন, এ!

লেখা ; নিজেই

11/09/2022

সামি গাওয়ায়, লেখা " নিজেই

27/08/2022

খুলনা জেলখানায় বসে ভুবন তার শৈশবের স্মৃতিময় জীবনের কথা ভাবতে থাকলো, কেমন ছিল তার ছোটবেলার দিনগুলো, চঞ্চল অস্থির প্রকৃতির ছেলে ছিল ভুবন,গ্রাম থেকে বেড়ে উঠেছে, শৈশব ছিল সজীবতায় ভরা, সাদামাটা জীবন যাপনের গ্রামের পরিবেশ বেড়ে ওটা ছিল তার, কাঁদামাটির এই জীবন তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, শিখিয়েছে অভাব কাকে বলে, নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসার এ ছোট বেলাই মাকে হারিয়ে সে, বড় বোনের কল্যানে কিছুটা মায়ের অভাব পূরণ হইছে, তবে মায়ের একটা জায়গা শূন্যতাই থেকেই যায়, গ্রামের মেলায় ভূবন তার বাবার সাথে ভ্যানে খেলনা বিক্রি করছে, তার বড় বোন বাড়িতে শিঙাড়া বানিয়ে ফেরি করলে সেখানেও ভূবন সাহায্য করছে তাকে, জেলে নৌকায় কখন ও মাছ ধরা জেলেদের সাথে, আবার বিলে হাস নিয়ে আসলে জমির কাকার সাথে তাকে সাহায্য করা,আসমা আপা মাঠে গরু,ছাগল, ভেড়া নিয়ে আসলে তার সাথেও কাজে লেগে পড়া, এর ভিতর বন্ধুদের সাথে গোল্লাছুট, মার্বেল খেলা, কাঁদামাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র তৈরী, জসিম এর মায়ের পাটকাঠি চুরি করে কলাপাতা দিয়ে ঘর তৈরী করে চলত ভূবনের শৈশব, সারাদিন টা সে নিজেকে উজার করে দিয়ে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এসে সবার সাথে মিশতে মিশতে তার দিন চলে যেত, এইভাবেই প্রায়শই চলত তার জীবন, ভূবনদের ঘরখানা একটা, চার জন ই এক ঘরে তে বসবাস, একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ছাল ছোবড়া দিয়ে মোড়ানো ছনের ছাউনি থেকে, একটু বাতাস হলেই ঘর থেকে শুয়ে আকাশ দেখবার মত অবস্থা তৈরি হত, এই ভাবেই পার করছে ভুবন তার জীবন, পরিবার এর চারজনে মিলে মিশে যখন খেতে বসত তখন তাদের পরিবারের এক শৈশবের অন্যরকম আবরণ কিংবা আবহাওয়া সৃষ্টি হতো এক অন্যরকম মনোরম পরিবেশ কই ছিল জীবন এ, জীবনে অনেক কিছুর অভাব পড়ছে শৈশবে কিন্তু কখনো আক্ষেপের তৈরি হয়নি মনের যে প্রশান্তি এ প্রশান্তির কখনো অভাব হয় নাই কিন্তু আজ সে বড় হয়েছে সে কোন এক অপকর্মের ফলে জেলের ভিতরে তার জীবন সংগ্রাম চলছে সে ভাবছে, আজ জেল থেকে বসে ভুবনের সবকিছু মনে পড়ছে। জীবন চলতে থাকতো কখনো থেমে থাকিনি অনেক সময়ই এমনও হয়েছে, কখনো মনে হয় নাই কখনো তিনবেলা খাওয়ার জায়গায় এক বেলা আহার করেছে তবুও কখনো আত্মতৃপ্তির কমতি মনে হয় নাই যেদিকে মন চায় সেদিকে ঘুরে ঘুরে বেরিয়েছে,বশির কাকার আম গাছ থেকে আম চুরি করে খাওয়া, লিচু চুরি করা,আবার কখনো ফেনী ফুপুর বরই গাছ থেকে বরই চুরি করে জ্বালাই করে খাইত সে বন্ধুদের নিয়ে,সবেদ কাকার কলাবাগান কিংবা মোড়ল বাড়ির ভুট্টা বাগান ও বাদ যায় নাই তার থেকে, আজ সব তার মনে পড়ছে জেল থেকে বসে, তাঁর আরও মনে পড়ছে, বর্ষা আসলে অন্যের জমিতে ধান লাগানো কিংবা পাট জাগ দেয়ার মত কাজ করার কথা, তবে ভুবন এসবের ভিতরেও কিন্তু পড়ালেখা থামায় নাই,ভোরবেলা সকালে উঠে মক্তবে যেত, তারপর বাড়ি ফিরে বড় বোনের কাছে কিছুক্ষণ পড়ালেখা, ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক না কেন ভুবনের কখনো স্কুল যাওয়া কিংবা মক্তবে যাওয়া কিংবা পড়ালেখায় কখনো কোনো গাফিলতি পাই নাই এজন্য স্কুলের শিক্ষকরা ভুবনকে অনেক ভালোবাসতো এবং মন থেকে দোয়া করত, ভূবন যেন বড় হয়ে অনেক বড় কিছু হয় তাদের মুখ উজ্জ্বল করে এবং গ্রামের সকলের মুখ উজ্জ্বল করবে, আজ সব তার মনে পড়ছে জেল থেকে, আহারে জীবন, গ্রামের বৈশাখী মেলায় ভুবন যখন তার বাবার সাথে গাড়িতে খেলনা বিক্রি করতো তখন কতই না মজার কাহিনী ঘটত, একবার এক শহরে বাবুর আগমন ঘটল গ্রাম এ , সে গ্রামে এসে ভুলভাল ইংরেজিতে কথা বলতে থাকছিল, বাবুটা হয়তো ভেবেছিল গ্রামের লোকজনকে ইংরেজি বোঝেনা, কিন্তু ভুবন বাবুর ভুলভাল ইংরেজি বলা ধরে ফেলেছিল, এবং সে যখন মেলায় উপস্থিত সকলের সামনে এই ঘটনা মাইকে করে বলল তখন গ্রামের সবাই এক মজার আনন্দে মেতে উঠেছিল এবং শহরে বাবুর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিল,ভুবনের জীবন এভাবেই চলতে থাকত, আজ জেল থেকে ভুবনের সব মনে পড়ছে।ভুবনের বাবার বাজার করা হতো শেষ হাটে,গরিব মানুষ হওয়ার দরুন শেষ হাটেবাজার করলে অনেক সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সস্তায় পাওয়া যেত,মাঝে মাঝে ভুবনের আরো একটা দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়তো,পাড়ার কিছু বিত্তবানদের বাজার করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব।এর বিনিময়ে অনেক সময় কিছু টাকা কিংবা ভালো খাবারের একটা বন্দোবস্ত হয়ে যেত ভুবনের।ভুবন কখনো এই টাকা নিজের কাছে রাখে নাই কিংবা তারা যখন কোন ভালো খাবার দিত সেই খাবার তিনি ওখানে বসে না খেয়ে তার পরিবারের সকলের জন্য নিয়ে এসে একসাথে বসে সকলেই সাথে খেত,নিষ্ঠুর জেলের বন্দি দেয়াল আজ তাকে সবকিছু মনে করিয়ে দিচ্ছে।

একবার গ্রামে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছিল বৈশাখী মেলা উপলক্ষে ভুবন বড় মামাদের সাথে সেই নৌকা বাইচ অংশগ্রহণ করেছিল,ছোটদের ভিতরে শুধুমাত্র ভুবন ই ছিল আর বাকি সকলের বয়স 30 উদ্ধ,ভুবনের গামছায় কেউ একজন মরিচের গুঁড়া মাখায় দিয়েছিল এর ফলে ভুবন যখন তার গামছা দিয়ে চোখের কোণে তার মামার ঘাম মুছে দিয়েছিল তখন তার মামার চোখ জ্বলার কারণে তার মামা ঠিকমতো নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা নৌকা চালাইতে না পারার দরুন তারা এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল,তবুও যারা প্রথম স্থান অধিকার করেছিল তাদের সাথে সমানে সমান লড়াই হয়েছিল,নৌকা বাইচ শেষ হওয়ার পর ভুবন আসল কারণ জানতে পারল কেন তার মামা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সময় বা নৌকা চালানোর সময় কেন এমনটা করছিল,এই ঘটনার পর সত্যটা জানার জন্য ভুবন তাদের পিছু নেয়া শুরু করলো,ভুবনের মামার বন্ধু ছোটন কাকা এই ঘটনার সাথে নাকি সম্পৃক্ত

কিছু টাকার বিনিময়ে সে নাকি এই কাজটা করেছে,এটা শোনার পর ভুবন খুবই কান্না করেছিল, যে তার মামার এত বিশ্বস্ত বন্ধু সে কিভাবে এমন কাজটা করলো,ভুবনের মামা ভুবনকে অনেক বিশ্বাস করত এইজন্য সে ভুবনকে কিছুই বলিনি সেও মনে মনে ভাবতেছে যে ভুবন নয় এই কাজটা হয়তো বা অন্য কেউ করতে পারে, ভুবনের মামার জীবনে একটাই নেশা ছিল নৌকা বাইচ আর এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা সে যদি প্রথম স্থান অধিকার করতে না পারে, তাহলে তার মামার মাথায় কিছুই কাজ করত না,ভুবনের মামার বন্ধু এর আগেও অনেক বার ভুবনের মামার সাথে বিভিন্ন ধরনের নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছে এবং কখনও এমন কোন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি,ভুবনের মামা যখন জানতে পারে তার বন্ধু তার সাথে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তখন সে চিন্তা করতে করতে

হঠাৎ স্ট্রোক করে বসে, শহরের পথে নিতে নিতে তার মামার মৃত্যু হয়েছিল,এই ঘটনার পর গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বার সকলকে ডেকে সালিশ বৈঠকে বসেন,মৃত্যুর জন্য প্রাথমিক ভাবে দায়ী করা হয় ভুবনের মামার বন্ধুকে,গ্রাম্য সালিশের পর পুলিশ হেফাজতে থেকে ভুবনের মামার বন্ধুকে কোর্টে পাঠানো হয় এবং কোট থেকে ভুবনের মামার বন্ধুর ৩ বছরের জেল দেয়া হয়।এতে আক্রোশ কিন্তু কমে নাই কারণ ভুবনের মামতো ভাই অত্যন্ত প্রতিশোধ প্রবণতা ছেলে,ভুবনের মামাতো ভাইয়ের নাম শোভন ভুবনের থেকে মাত্র দুই বছরের বড় হবে সে, বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার আশায় দুই বছর অপেক্ষার প্রহর শেষে যখন গ্রামের মেলায় আবারো নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছিল,শোভন তার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ঐদিন তার বাবার বন্ধুর উপর শুরু থেকেই নজর রেখেছিল,এবং শেষ বেশ সেটাই করলো যেটা সে দুই বছর ধরে প্ল্যান করে রেখেছিল,

শোভনের বয়স 15 বছর হওয়ার দরুন তাকে জেলে না পাঠিয়ে কিশোর সংশোধনে কেন্দ্র যশোর পাঠানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো,তার সাজা হয়েছিল ৭ বছর এর।আজ ভুবনের সবকিছু মনে পড়ছে জেল থেকে সে আরো অনেককিছু ভাবতেছে।

ভুবনের ছোটবেলায় অনেকগুলো বন্ধু ছিল কিন্তু এর ভিতরে সবথেকে যে ভালো বন্ধু টা ছিল সেটা হচ্ছে জমিদার বাড়ির ছোট্ট সোনা মনি কলি

সেই ছোটবেলায় কলি কলকাতায় চলে গিয়েছিল আজও আর দেশে ফিরে আসে নাই,কলি ভুবনের এতোটাই কাছের বন্ধু ছিল যে কলির সাথে ভুবনের অনেক সৃতি জমে আছে একবার কলির জেদের কারণে কলির মামাবাড়ি মালদায় ভুবনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল,সেইসব স্মৃতিকথা ভুবনের এখন মনে পড়ছে এই নির্মম চারদেয়ালের মাঝ থেকেই শৈশবের সব কথা মনে পড়ছে তার।

কলির সাথে সৃতি কথা আসছে!!!

লেখা স্বাধীন

#জীবন_কোন্দলে_ভুবন ২য়

26/08/2022

নাম তার ভূবন, বাড়ি বাংলাদেশ এর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর, মা বিদায় হয়েছে অনেক আগে ওপারে, ভ্যান চালক বাবার তৃতীয় সন্তান সে, বাবার বয়স ৬০ পার হয়েছে তবে পরিবার এর জীবন জীবিকার অন্বেষনে তাঁকে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়।বড় মেয়ে নাম জবা, ডিভোর্স হয়ে গেছে তার, যশোরের একটা পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করে, মেজো বোন বাক প্রতিবন্ধী, কোন রকম এ জীবন পার করছে সে, বাবার সপ্ন ভূবন কে নিয়ে, বড় কিছু বানিয়ে, তার জীবন সংগ্রাম এর পথ সমাপ্ত ঘোষণা করবে। চলুন দেখি কতটুকু বাবার সপ্ন পূরণ এ কাজ করবে ভূবন,,,

এ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষায় ভূবন ভালো ফল করেছে, চান্স পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন বিভাগ এ, বাবার সপ্ন পূরণ এ জজ হওয়ার এক বুক আশা জাগিয়ে রংপুর থেকে খুলনা প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব পেরিয়ে এক অচেনা শহর এ প্রবেশ তার, এটা তার চির চেনা গ্রাম নয় তার শহর থেকে বহু দূরত্বের পথ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ভালো ই চলছিল তার, ভালো ছাত্র হওয়ার দরুন টিউশন পেতে কোন সমস্যা হয় নাই তার, ভরপুর আয়োজন এ এই জীবন তার পূর্বের জরাজীর্ণ তা থেকে বের করে এনে সামনে উদ্যমতায় নতুন দিনের আশা জাগিয়ে তাকে সপ্ন পূরণ করতে সাহস জুগিয়ে চলছিল। টানা দুই বছর পার হলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবন তার, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এখন ভূবন, এর ভিতর অনেক কিছু ই ঘটছে তার জীবন এ, অনেক মেয়ে এসেছে তার জীবন এ আত্মতৃপ্তির রসদ জুগিয়েছে তাদের থেকে সে , ভূবন এখন রোমান্টিক বয় হয়ে গেছে, পড়াশোনা চলছে ঠিকই কিন্তু কন্যা জুগলের শিহরন তার চায় ই চায়, নিত্যনতুন চায়ের স্বাদ নিতে যেমন আমরা অনেকই ভালোবাসি তেমনি ভূবন নারীর নেশায় মত্ত হয়ে গেছে, না করে রাজনীতি, না করে মাস্তানি, রংবাজি, চেচড়ামি, বেয়াদবি, নিপাট নম্র ভদ্র সে, খালি সমস্যা ওই জায়গায়, দিশেহারা এক নারী নয় বহু নারীর খোঁজে সে,, এই যেমন টিউশন করতে গিয়ে, ছাত্রের মায়ের সাথে সম্পর্কে জড়ানো, সেখান থেকে টাকা আত্মসাৎ, বাসায় রান্নার কাজের মেয়ের সাথে প্রেম, বন্ধুর বোন ও বাদ য়ায় নি তার থেকে, দেখতে নিপাট ভদ্র হওয়ায়, কেহই তাকে খারাপ ভাবতে পারে না,, বাসার কেহই জানে না ভূবণ এমন হয়ে গেছে, বিশ্বিবদ্যালয়ের ছোট ভাই হাসিব তার খুবই প্রিয় ব্যাক্তিত্ব । এখন আর আগের মত পড়াশোনা ভালো লাগে না তার, অনলাইন এর জগৎ এ কাজ করছে সে , আবার জমির দালালদের সাথে ও কাজ করছে সে, বিভিন্ন জায়গায় টাকা ছড়িয়ে সুদ এর ব্যাবসাও করছে ভূবন, নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্ষা, ক্লাস,কিছুই করছে না সে, এখন সে অনেক বড় ব্যাবসায়ী হতে চায়, অনেক টাকা কামাতে চায়, হাসিব কিংবা স্যার জিগাসা করলে ভূবন তার মত উত্তর শুনিয়ে দিয়ে তেজ দেখিয়ে চলে য়ায়, বলে পড়াশোনা করে কেহ বড়লোক হইছে, হইছে চাকর সব, জীবন এ কোন স্বাধীনতা নাই চাকরিতে বা অন্য কিছু তে, তাই সব কিছু বাদ দিয়ে সে এই সব ব্যাবসা করতে চায়, লাখ টাকা আয় করতে চায়, হাজার টাকা তার জীবন এ পোষাবে নয়, হাজার কোটি টাকা চায় তার জীবন এ , তাই এখন সব কিছু বাদ শুধু ব্যাবসাই চলবে, নিত্যনতুন মেয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসা এবং মাদকে মোড়ানো শরীর টুকরো নিয়ে এখন তার জীবন চলমান, বাড়িতে বাবা কিংবা বোন কেহই জানে না এসব কিছু তাদের কে বুঝতে ও দেয় না চালাক ভূবন, যত টাকা মাসে আয় করে তার থেকে বেশি খরচ হয় তার, মাস শেষে বাবা কিংবা বোন এর কষ্টে অর্জিত টাকাতেও ভাগ বসায় সে, এতটা নির্দয় হয়ে গেছে সে এখন আর তার কিছু মনে হয় না। বাবা, বোন তো তাদের সর্বোত্রো উজার করে টাকা দিচ্ছে, টাকা না জমিয়ে, ভালো পোশাক, রসদ কিংবা ভালো খাবার না খেয়ে, তারা তো ভাবছে তাদের ভাই জজ হবে, তাদের মনের আশা পূরণ হবে, তাদের সব কষ্টের পরিসমাপ্তি ঘটবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হল তার ভালো লাগে না তার, কিন্তু ক্যাম্পাস খুবই তার প্রিয়,,

এই তো কিছু দিন আগে ক্যাম্পাস মাঠে মাদক গ্রহন কালে, চোখের সামনে পড়ে য়ায় রাহী ম্যাডামের, আপমান করার ফল সরূপ সে ম্যাডামের শ্লীলতাহানি করে ছেড়ে দিয়েছিল, জুরিনিয়র পোলাপান পেলে কঠোর থেকে কঠোরতার আচরণ করে তাদের সাথে। তবে একটা ভালো দিক ইউনিভার্সিটি মেয়ে তার পছন্দ নয়, সে একদমই তাদের সাথে আচরণ তো দূরেই থাক কথাও বলে না,,

ভূবন এর বন্ধুরা এখন শেষ বর্ষে কদিন বাদেই শেষ করবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, কিন্তু ভূবন এখন ও পড়ে আছে দ্বিতীয় বর্ষে, বাড়ি থেকে জিগাসা করলে বলে চতুর্থ বর্ষে আছি, এসব দেখে সে তার বন্ধু দের গালাগাল করে বলে এরপর কি করবি, চাকর হবি, হরকি টেনে গাধার মত খাটবি, কচ্ছপের মত বেতন পাবি নিয়ম করে বউ বাচ্চার ঝাঁটা লাথি খাবি, যা দূর হ সব!

এই বেপরোয়া জীবন যাপন এর ফল সরূপ রাস্তায় একদিন গুরুতর দূর্ঘটনার ঘটে যায় তার জীবন এর, আবুনাসের হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ডাক্তার তাঁকে তিন মাস এর বেড রেস্ট দেয়, এবং সে আবার তার গ্রাম এর বাড়িতে চলে যায়, জীবন সম্পর্কে বুঝতে থাকে সে আবার, তার বাক প্রতি বন্দি বোনের সেবা তাকে আবার ভাবতে শুরু করায়, তার বড় বোন এর জমানো টাকা প্রায় শেষ, সব তার ভাই এর পেছনে ব্যায় করছে, সর্বশেষ নামমাত্র দেনমোহর এর টাকা যেটুকু ছিল তাও প্রায় শেষ এর দিকে, এসব আবার ভূবনকে ভাবাতে শুরু করে, ভাবে এইবার সব কিছু ছেড়ে নতুন উদ্যমে তার জীবন শুরু করবে।

ভূবণ এর বাবা এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়র সাথে হঠাৎ এর ই মধ্যে তার বিবাহ ঠিক হয়ে যায় , নাম তার মিন্নী সহজ সরল সাদামাঠা গ্রাম্য, মেয়েটা বেশ সুন্দরী, চাষি পরিবার, মোটামুটি ধনী পরিবার, ভূবণ তার বোন এর কথা শোনে ছোট থেকে, তার বোন এর ও পছন্দ হইছে মেয়ে কে,অবশেষে বিবাহ হল মিন্নীর সাথেই, ভূবন শপথ নিল পূর্বে যা হইছে হইছে, এখন থেকে সে মিন্নী কেই শুধু চাইবে,,,,,,

আসলেই কি ভূবন ঠিক হয়ে যাবে?, নাকি আবার আগের মত বেপরোয়া জীবন শুরু করবে??? পড়তে থাকুন।

মিন্নীর সাথে ভালোই সময় কাটছে তার, ছোট বোন এর সাথে তাল মিলিয়ে ভূবন এর সেবায় ব্যাস্ত সময় পার করছে সে ও , ভূবন ও খুশি মিন্নী কে পেয়ে, নতুন করে জীবন শুরু কারর প্রত্যয়ে, সুস্থ হয়ে আবার গ্রাম ছেড়ে খুলনার পথে রওনা হচ্ছে সে,, শশুর বাড়ি থেকে গাড়ি পাইছে, কিছু টাকা ও পাইছে, মিন্নী রা দুইভাই বোন, মিন্নীর ভাই ট্রাক ড্রাইভার, খুব বেশি দূর পড়াশোনা করেনি, তাদের ও ইচ্ছে, তাদের জামাই জজ হোউক।

মাস ছয়েক খুব ভালো ভাবেই চলল, পরিবার, মিন্নী কে নিয়েই তার সপ্ন আবার আগের মত এলোমেলো হয়ে গেল, বস্তিতে বসবাস সবজি বিক্রেতা সুলতানা আপার মেয়েকে, তার বাসায় মোটরবাইক এ নামিয়ে দিয়ে আসার কথা বলে ভুলিয়ে ভালিয়ে কৌশলে ভুবন তার বাসায় এনে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।

সুলতানা আপা থানায় মেয়েকে এনে, অভিযোগ দায়ের করে ভূবন এর বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলার, এবার এক অন্য খেলা শুরু হয়ে গেল ভূবন এর জীবন এ পুলিশ তাকে ধরে জেলে ডুকিয়ে, তার বাবাকে ফোন করল, তার বাবা হতভম্ব এর মত অবাকবস্তুু হয়ে, মিন্নীর ভাই বিল্টুকে নিয়ে খুলনা আসল, ভূবন এর পরিচিত সাংবাদিক কাকা মিজান আসল হাসিব আসল থানায়, সব অভিযোগ শুনল, পুলিশের কিছু তালবাহনা মিটিয়ে, মোটর গাড়ি ছাড়িয়ে বিল্টু রংপুর এর পথে রওনা দিল, আবার কাল আসবে বলে। মিজান কাকার মাধ্যমে উকিল ধরা হল, হাসিব, আব্বা সহ কোট এ তার সব হিসেব নিকাশ এর ফলাফল কতদূর এগোবে জানার চেষ্টা করল,।

জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হল ভূবন কে, শুরু হল তার নতুন জীবন, সে সপ্ন নিয়ে তার পথচলা শুরু হয়েছিল বেপরোয়া জীবন যাপন এর ফলে তার জীবন এখন নর্দমার আলোতে আলোকিত বা উজ্জীবিত, বৃদ্ধ বাবার চাওনির আত্মনাদ কতদূর প্রবমান হবে,,, ভুবন এর যে নারী শিশু নির্যাতন আইনের ৯ ক অনুযায়ী মৃত্যু দন্ড ও হতে পারে,,

পড়তে থাকুন দেখুন শেষ পর্যন্ত কি হয়,আহারে জীবন !!!!!!

লেখা ফারদীন জামান স্বাধীন ☺️

#জীবন_কোন্দলে_ভূবন ১ম

13/08/2022

এইটা এই জামানায় চলে না,

12/08/2022

আপনার বন্ধুত্বটা কি এর ভিতর কোন একটি কারণে নষ্ট হইছে? কমেন্ট লিখুন,,

01/08/2022

চরম এই অর্থনৈতিক মন্দায়,দেশের অর্থনিতিকে সচল করতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য, সেলুট জানাই তাদেরকে,

23/07/2022

নিজের লেখা, সূরে এই আয়োজন, হোক প্রতিবাদ, আমি ট্রেনে যাতায়াত করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করি, রনি ভাই উৎসর্গ করলাম। হোক প্রতিবাদ ✊

নিতি আছে কই,
গীতি হয়ে আজ বাতাসে বাষ্প হয়ে,
মিশে গেছে কালো সূর্য থাবার,
শীখর পরিচ্ছদে।

19/07/2022

একাকিত্বে ভোগা খুবই ভয়ানক পরিস্থিতিতে বিলীন করতে পারে আপনাকে , যা পরিবর্তন করে দিতে পারে আপনার জীবনের পুরো গতিপথ পথকেই, নিজের লক্ষ্য অর্জনের পথে, নিজেকে নিজের মত করে তৈরি করতে, বাঁধার সমস্যার সম্মুখিন এর কারণ ও হতে পারে এই একাকিত্ব, তাই নিদিষ্ট কোন কিছুর উপর নিজেকে আটকে না রেখে, মাত্রাতিরিক্ত কিছু না করে, বেড়িয়ে পড়ুন নির্মল পৃথিবীর কত কত্ত রকমের কল্পনা বিন্যাসের বাস্তবতার ছবি দেখতে আকতে, নিজেকে মিশিয়ে দিয়ে বৈচিত্র্যময় পৃথিবীর অজানা কে আপন করতে, জীবন আপনার তাই এই কালের চিত্র নাট্য কি ভাবে আঁকবেন মহাকালের জন্য, ভাবনা চিন্তাটাও আপনার, একঘেয়েমীয় তাকে চির চিঠি তে লিখে তাকে বারণ করে দিন,সে আপনার জন্য নয়, জীবন কিছু ই নয়, জীবনের দর্শনটাই সব, লিখবে জান্নাত, জাহান্নাম, আর আরাফে,

সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করুন

শুধুমাত্র তার নিয়েতিই নিজেকে পুরোপুরিভাবে উজার করুন, বাকি ক্ষেত্রগুলোতে যতটুকু প্রয়োজন তটুকুর জন্য ই নিজেকে আটকে রাখুন, মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত শুধুমাত্র তার জন্য, এ নিয়ত অন্য কারো জন্য নয়,।

নিজেকে ভালোরাখার চেষ্টায় মত্ত হয়ে উঠুন, নিজের পরিবার কে সময় দিন, পারলে সমাজ, দেশের প্রতিও রাখতে পারেন।

আপনি তো একা নয় কিসের একাকিত্ব, সময় দিন এই ভুবনের প্রতিটি অলিগলিতে, ছুটে যাবে সে, সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টির এই সুন্দর দুনিয়ায় একাকিত্বর কোন কারণ ই নাই।

18/07/2022

নিজের লেখা,সূর ও সংগীত আয়োজন এ এই অবোলা প্রানীকে উতসর্গ করলাম এই সন্ধায়, তাকে দেখলাম এই আয়োজন করলাম। আমি কোন প্রফেশনাল নই, শুধুমাত্র তার জন্য, মনে হইছে এই আর কি, কি আর হবে, কত দূর, সামনে আরো আসতেছে।✌

17/06/2022

দাম্পত্য কলহ সৃষ্টির কারণ।

24/05/2022

মামলা কোথায় করবেন,কিভাবে করবেন, কোন কোট এ করবেন,

25/04/2022

জমি সংক্রান্ত বিষয়

14/04/2022

সোনাডাঙা ও কাঁচা বাজার এর আশেপাশে আপনারা পাবেন তাকে।

04/04/2022

রোজার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ

01/04/2022

মাথা ঠান্ডা রেখে এমন পরিস্থিতি পার করতে হবে।

01/04/2022

মামলা হলে কি করবেন

ভারতের গুজরাটের একটি ৬ লেনের রাস্তা।কিন্তু মজার বিষয় হলো, গুজরাটের হাজিরা বন্দরের এক কিলোমিটার রাস্তা পরীক্ষামুলকভাবে তৈ...
30/03/2022

ভারতের গুজরাটের একটি ৬ লেনের রাস্তা।

কিন্তু মজার বিষয় হলো, গুজরাটের হাজিরা বন্দরের এক কিলোমিটার রাস্তা পরীক্ষামুলকভাবে তৈরী করা হয়েছে ইস্পাতের বর্জ্য দিয়ে।

বিশ্বের অনেক দেশেই প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে রাস্তা তৈরী হয়েছে; কিন্তু এবার ভারতে হলো কারখানাগুলোয় ব্যবহৃত ইস্পাতের বর্জ্য থেকে। ভারতে প্রতি বছর ইস্পাত কারখানাগুলি থেকে এক কোটি ৯০ লক্ষ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্যকে রাস্তা তৈরির কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে গুজরাটে।

তথ্য- তৌফিকুল ইসলাম পিয়াস

“অভিজ্ঞতা- এই জিনিসটি কেউ কাউকে শেখাতে পারে না। তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষটি পরামর্শ দিতে পারেন, কিন্তু যতক্ষণ ...
28/03/2022

“অভিজ্ঞতা- এই জিনিসটি কেউ কাউকে শেখাতে পারে না। তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষটি পরামর্শ দিতে পারেন, কিন্তু যতক্ষণ না নিজে অভিজ্ঞতাটি অর্জন করছো বিষয়টি তুমি সত্যিকার উপলব্ধি করতে পারবে না।”

25/03/2022

শেষ সব কিছু

25/03/2022

দেশটা চোরে ভরে গেছে

25/03/2022
24/03/2022

কি আর হবে

24/03/2022

নিজেকে তৈরি করুন

23/03/2022

নিজ আস্থার জায়গায় সর্বদা অটুট থেকে,ধৈর্য্য ধরে তাদের কে প্রাপ্য সম্মান টুকু জানাই।

22/03/2022

কি 😄

22/03/2022

👀 ফ্যান এর দিন চলে আইতেছে

16/03/2022

🌷

শিমুল ফুলে বসন্ত
06/03/2022

শিমুল ফুলে বসন্ত

06/03/2022

সাজ্জাদ নাকি সামদ

05/03/2022

সামাদ কি করে

05/03/2022

সামাদ কি করে!

14/02/2022

একটি ছোট গল্প: আমার বড় আপু আর আমি এখানে একসাথে কাজ করতাম। সে আমার থেকে আট বছরের বড়। গতবছর সে বিয়ে করেছে।

আমার বড় বোনের যেদিন বিয়ে হয়েছিল সেদিন কি সুন্দর লাগছিল যেন লালপরী বোনের বিয়ে দেখে আমার খুব ইচ্ছে ছিল যে বড় হয়ে বিয়ে করবো।

আমি দিনে 50 টা ইট ভাঙতে পারি। আমার মা ১৫০ টা ভাঙতে পারে। আমরা সবাই মিলে প্রতিদিন 200 টাকা ইনকাম করতে পারি। কিন্তু আমি একদম এটা করতে চাইনি এটা খুব কঠিন।

আমি স্কুলে যেতে চাই ।কিন্তু আমার মা বলেছে, আমাদের স্কুলের যাওয়ার টাকা নেই। বাচ্চারা যখন নতুন স্কুল ইউনিফর্ম পরে এভাবে স্কুলে যায়। তখন আমি তাদের দেখতে ভালোবাসি। আমি যদি তাদের সাথে স্কুলে যেতে পারতাম।

আসলেই গল্পটি বলার কারণ হচ্ছে যে,এরকম হাজারো শিশু পথশিশু তারা টাকার জন্য স্কুলে যেতে পারে না।
তাই আমরা পথশিশুদের পাশে দাঁড়াবো সব সময়।
আজকে থেকে আপনি যেখানে পথ শিশু দেখবেন তাদের সাথে কথা বলবেন এবং তাদের আশা গুলো পূরণ করার চেষ্টা করবেন।

Address

Jessore

Telephone

+8801747632146

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fardin Zaman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Fardin Zaman:

Videos

Share

Category