বাংলা কমেডি

বাংলা কমেডি আনলিমিটেড বিনোদন পেতে আমাদের সাথে থা?

13/10/2019

অমানবিক আউটসোর্সিং

তারা সরকারের কাজ করে; কিন্তু সরকারি কর্মচারী নয়। সরকার তাদের নিয়োগপত্র দেয় না।
সরাসরি বেতনও দেয় না। তারা বেতন পায় সরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান থেকে। সরকারি সংস্থা থেকে পাওয়া টাকা আর কর্মচারীটিকে দেওয়া টাকার পার্থক্যই হলো আউটসোর্সিং কম্পানির মালিকের লাভ। এ কারণেই আউটসোর্সিং কম্পানির নিরন্তর চেষ্টা কর্মচারীটিকে ঠকানোর।
আউটসোর্সিং কম্পানির চাকরির কোনো বিধিবিধান নেই। যেকোনো সময় মালিকের অসন্তুষ্টির কারণে তাদের চাকরি চলে যায়। এ চাকরিতে বেতন বৃদ্ধি, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, পেনশন, বোনাস—এসবের কোনো সুযোগ নেই। বেকারত্বের এ দেশে অবিশ্বাস্য কম বেতনে আউটসোর্সিং করে সরকারিভাবে মধ্যস্বত্বভোগী সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে জনবল সরবরাহকারী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লাভবান হয় আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র কর্মচারী।

আউটসোর্সিংয়ের পক্ষে সরকারের যুক্তি হচ্ছে খরচ কমানো। কর্মচারীদের প্রতিবছর বেতন বাড়াতে হয়। পাঁচ বছর পর পর দিতে হয় নতুন পে স্কেল। ৫৯ বছর বয়সে পাঠাতে হয় পিআরএলে। এর পর থেকে দিতে হয় পেনশন। সরকারি চাকরিজীবীর মৃত্যুর পরও এ পেনশন চলতে থাকে—যত দিন তাঁর স্ত্রী বেঁচে থাকেন। আউটসোর্সিংয়ে এসব ঝামেলা নেই। বছর বছর বেতন বাড়ে না। অবসরের পর পেনশন দিতে হয় না। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিম্ন শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের আরো একটি কারণ, কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ। কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কাজের সুযোগ বাড়ানো, ভালো কাজের পরিবেশ সৃষ্টি—এসব ধারণা থেকে ট্রেড ইউনিয়নের জন্ম হলেও পরে এটি অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরকার কি শুধু খরচের কথাই চিন্তা করবে? শুধু খরচের কথা চিন্তা করলে দরিদ্র মানুষকে কেন ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়া হচ্ছে? প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাসুবিধা নিশ্চিত করতে বিনা মূল্যে পাঠ্য বই দিচ্ছে। দরিদ্র মানুষকে চিকিত্সাসেবা দেওয়ার জন্য গ্রাম ও শহরে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। সাড়ে তিন কোটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কয়েক কোটি যুবককে দক্ষ শ্রমশক্তিতে পরিণত করার জন্য বিশেষ ফান্ড তৈরি করছে।

শুধু খরচের কথা ভাবলে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নত হবে না। প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, আইন, বিচারব্যবস্থা সম্পর্কিত রুটিন দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, বীমা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থানের পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। একজনের বেতন দিয়ে দুজনকে চাকরি দেওয়ার মতো নামমাত্র চাকরি নয়। আউটসোর্সিং চাকরি নামের একটি দুষ্ট ক্ষত, যা ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। আর এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক মানুষ, সরকারি চাকরির সর্বনিম্ন বেতন স্তরে তাদের প্রবেশের পথ রুদ্ধ হচ্ছে।

আউটসোর্সিংয়ের চাকরির মাধ্যমে সমাজে স্থিতিশীলতা আসবে না। কারণ যিনি এ চাকরি করছেন তিনি জানেন এ চাকরি দিয়ে তাঁর জীবন চলবে না। জীবনে স্থিতিশীলতা আনতে তিনি আরো ভালো চাকরি খুঁজবেন। আউটসোর্সিংয়ের চাকরি দিয়ে দারিদ্র্য দূর হবে না। এই চাকরিতে যে বেতন দেওয়া হয় তা দিয়ে ভরণপোষণের দিক থেকে ছয়জনের সংসার চালানো কষ্টকর। এ প্রক্রিয়ার চাকরিতে নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব নয়। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কম বেতন, চাকরির অনিশ্চয়তা ও চাকরির অন্যান্য প্রতিকূল শর্তের কারণে এ পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা সার্বক্ষণিকভাবে অভাব-অনটনের মধ্যে থাকেন। তাঁরা যেকোনো সময় চাকরি চলে যাওয়ার আতঙ্কে থাকেন। নিম্ন বেতন ও চাকরির অনিশ্চয়তার কারণে তাঁরা কাজে মনোযোগী হন না।

আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০০৮ সালে প্রথম জারি করা হয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু রুলস অব বিজনেস এবং অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী এ নীতিমালা প্রণয়নের কাজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। কারণ রুলস অব বিজনেসে বলা হয়েছে—কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম, জনবল নিয়োগ, নিয়োগবিধি, চাকরিবিধি-সংক্রান্ত কাজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালরেয়র এখতিয়ারভুক্ত। ২০০৮ সালে নীতিমালা জারির আট বছর পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের মনে হয়েছে, এ কাজটি তাদের নয়। তাই এবার আউটসোর্সিংয়ের খসড়া নীতিমালা করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে।

গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সেবাগ্রহণের ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন উন্নত দেশে এ ধরনের কার্যক্রমে তালিকাভুক্ত কম্পানির মাধ্যমে জনবল সরবরাহ করা হয়। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য এর দায়-দায়িত্ব কম্পানিকেই বহন করতে হয়। আমাদের দেশে সুষ্ঠু আউটসোর্সিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ ধরনের কম্পানিকে লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনতে হবে। জনবলের আউটসোর্সিং কার্যক্রমটি শৃঙ্খলায় আনার জন্য স্বচ্ছ নীতিমালা এবং লাইসেন্সিংয়ের আওতায় এনে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর ডাটা বেইস তৈরি করতে হবে। যে কেউ যাতে নামমাত্র প্রতিষ্ঠান খুলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল সরবরাহ করতে না পারে সে জন্য জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর রেগুলেশন ও রেজিস্ট্রেশন থাকা প্রয়োজন।

সরকারি প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সাধারণত কোনো সরকারি অফিসে নির্দিষ্ট পদে দৈনিক, মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে প্রতিযোগিতামূলক দামে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় জনবল সরবরাহের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তার প্রত্যাশিত বেতন উল্লেখ করে টেন্ডারে অংশ নেয়। সরকারি অফিসটি সর্বনিম্ন বেতন প্রস্তাবকারীকে জনবল সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেয়। সরকারি সংস্থা জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চুক্তিবদ্ধ টাকা পরিশোধ করে। এ ব্যবস্থায় তাঁরা সরকারের স্থায়ী কর্মচারী নন। এমনকি তাঁরা অস্থায়ী কর্মচারীও নন। কর্মচারীটি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। কাজ করেন অন্য কোনো সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে।

নতুন নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত : পদ শূন্য হলেই আউটসোর্সিং ;মৃত্যু, অবসর, চাকরিচ্যুতি বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হলেই এসব পদে আউটসোর্সিং থেকে লোক নিয়োগ করা হবে। অর্থাত্ একবার পদটি শূন্য হলে তা আউটসোর্সিংয়ের চক্করে চলে যাবে। তা পূরণ হবে বেসরকারি জনবল দিয়ে—আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে। ১৬ থেকে ২০তম গ্রেডের স্থায়ী ও অস্থায়ী সব পদেই এভাবে জনবল নিয়োগ দেওয়ার বিধান করে ‘আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা, ২০১৭-এর খসড়া প্রণয়ন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

১৬ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা হচ্ছে সদ্য বিলুপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সাড়ে ১২ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে তাদের সংখ্যা তিন লাখ ২৬ হাজার ৬২০টি। এর মধ্যে বর্তমানেই ৭০ হাজার ৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে। আউটসোর্সিং নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এসব শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেসব পদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও সরকারি স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সে সব পদ জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মত্তিসাপেক্ষে আউটসোর্সিংয়ের আওতা বহির্ভূত রাখা হবে।

নীতিমালায় কর্মচারীর কর্মঘণ্টার কোনো বিষয় নির্ধারণ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত কর্মঘণ্টাই কর্মচারীর কর্মঘণ্টা নির্ধারণ হবে। তবে কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় কাজ করলে চুক্তি অনুযায়ী অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হলেও আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সরবরাহকৃত জনবলের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫৯ বছর। সরকারি পদে গাড়িচালক হতে হলে অষ্টম শ্রেণি পাস হলেই চলে। কিন্তু আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় গাড়িচালককে এসএসসি পাস হতে হবে। নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষাগতযোগ্যতা হবে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস। তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ৮০ শতাংশই হরিজন সম্প্রদায়ের হতে হবে। হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে।

বি.দ্র. এক শ্রেণীর লোককে লাভবান করে অন্য শ্রেণীকে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে আর যাই হোক উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব না।

আর যদি মানুষ না হয়ে ইলিশ হতাম তবে তৎক্ষণাৎ হত্যার বিচার পেতাম।(শুধুমাত্র লিজেন্ডরাই অনুধাবন করতে পারবেন)
12/10/2019

আর যদি মানুষ না হয়ে ইলিশ হতাম তবে তৎক্ষণাৎ হত্যার বিচার পেতাম।
(শুধুমাত্র লিজেন্ডরাই অনুধাবন করতে পারবেন)

07/10/2019

আবরার হত্যার ভিডিও ফুটেজ।

03/10/2019

বাংলাদেশই বোধহয় একমাত্র দেশ যেখানে কোন বিষয়ের উপর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরও, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে, তিন বছর তদন্ত করে আরো আড়াই বছর পর তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়।
যাতে লেখা থাকে " আসামি নির্দোষ, বাদীর সব দোষ!"

01/10/2019
স্টিভ জবস যখন মারা যান তখন এ্যাপলের ব্যাংক একাউন্টে জমা ছিলো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী। টেকনোলজির এই প্রফেট বা রাজপূত্র মুম...
01/10/2019

স্টিভ জবস যখন মারা যান তখন এ্যাপলের ব্যাংক একাউন্টে জমা ছিলো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী। টেকনোলজির এই প্রফেট বা রাজপূত্র মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একেবারে অন্তিম মুহুর্তে জীবন সম্পর্কে কিছু অসাধারণ কথা বলেছিলেন-যা জাপানি, চায়নীজ, হিন্দি, উর্দু, আরবী, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, রুশ সহ প্রায় আঠারোটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। শুধু তাই নয়- শিশুদের মানসিক উৎকর্ষতা বিধান এবং তাদের সুন্দর মনন গঠনের লক্ষে একাধিক ভাষায় স্টিভ জবসের এই অমর কথাগুলো সহ উনার জীবনী বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বাণিজ্যিক দুনিয়ায় আমি সাফল্যের একেবারে সর্বোচ্চ চুড়োয় আরোহণ করেছি।যা আপনাদের কাছে সাফল্যের এক অনুপম দৃষ্টান্ত।কিন্তু,এ কথা ধ্রুব সত্য কাজের বাইরে আমার সামান্যই আনন্দ ছিলো। সম্পদের প্রলোভনে বিভোর ছিলাম সারা জীবন। আজ মৃত্যুশয্যায় শুয়ে যখন জীবনটাকে দেখি-তখন আমার মনে হয়, আমার সব সম্মান, খ্যাতি আর অর্জিত সম্পদ আসন্ন মৃত্যুর সামনে একেবারেই ম্লান, তুচ্ছ আর অর্থহীন।এ্যাপলের বিশাল সাম্রাজ্য আমার নিয়ন্ত্রনে ছিলো-কিন্তু মৃত্যু আজ আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি কবরের বিছানায় শুয়ে আছে সেটা আদৌ কোনো বড় ব্যাপার না। প্রতি রাতে নিজের বিছানায় শুয়ার আগে আমি কি করলাম -সেটাই আসল ব্যাপার। অন্ধকার রাতে জীবনরক্ষাকারী মেশিনের সবুজ বাতিগুলোর দিকে চেয়ে আমার বুকের গহীনে হাহাকার করে ওঠে। মেশিনের শব্দের ভিতরে আমি নিকটবর্তী মৃত্যু দেবতার নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারি। অনুধাবন করতে পারি-শুধু সম্পদ না, সম্পদের সাথে সম্পর্কহীন জিনিসেরও মানুষের অন্বেষণ করা উচিত।
বেকুবের মতো সম্পদ আহরণই সবকিছুই নয়- আরো অনেককিছু মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।আর তা হলো- মানুষের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করা,চিত্রকলার সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করা আর তারুণ্যে একটি সুন্দর স্বপ্ন নিজের হৃদয়ে লালন করা। শুধু সম্পদের পেছনে ছুটলেই মানুষ আমার মতো এক ভ্রান্ত মানুষে পরিণত হতে পারে। ঈশ্বর আমাদের সবার হৃদয়ে ভালবাসা অনুভব করার জ্ঞান দিয়েছেন।কেবলমাত্র এই নশ্বর দুনিয়ায় সম্পদের মোহে জড়িয়ে পড়ার জন্য নয়। এই যে মৃত্যু শয্যায় শুয়ে আছি।কই, সব সম্পদতো এই বিছানায় নিয়ে আসতে পারিনি। শুধু আজ সাথে আছে ভালোবাসা, প্রেম, মায়া, মমতার স্মৃতিগুলোকে । এগুলোই শুধু সাথে থেকে সাহস যোগাবে , আলোর পথ দেখাবে।

অপরূপ বাংলা
28/09/2019

অপরূপ বাংলা

ভাবতেই অবাক লাগে তিনি ছিলেনবাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাবেক সংসদ সদস্য!জীবনে যাকে কোনো লোভ লালসায় স্পর্শ করতে পারেনি!মুক্তি স...
28/09/2019

ভাবতেই অবাক লাগে তিনি ছিলেন
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাবেক সংসদ সদস্য!
জীবনে যাকে কোনো লোভ লালসায় স্পর্শ করতে পারেনি!
মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটিতে
এমন নীতি আদর্শের লোক হয়তো আরও আছে
তবে ছবির এই মানুষটিকে দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।
নাম জনাব মোহাম্মদ ইউসুফ।
সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য।
রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।
যিনি ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন।
সৎ ও নীতিবান এই মানুষটি আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
পাশাপাশি মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
একজন সাবেক এমপির প্রতি বর্তমান এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের কোন মনোযোগ নেই।
যা সত্যিই দূঃখজনক।
আমি সাবেক সংসদ সদস্য জনাব মোহাম্মদ ইউসুফের সুচিকিৎসার
দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সকলের সহানুভূতি কামনা করছি।

Copy- Shariful Islam Debidwar

28/09/2019

মাত্র ৪ দিনের উন্নয়ন চিত্র!!

27/09/2019

টম এন্ড জেরি

20/09/2019

বেতন কত ?
- - - - - - - - - - - - - -
আমার ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে!

আমি বললাম, আপনার ভাইয়ের বেতন কত?
গর্বে ভরা চেহারাটা মুহূর্তে ছাই হয়ে গেলো।

দোস্তো বলিস না, এই শালা ট্রাফিক পুলিশ, শালারা দুই টাকারও ঘুষ খায়!

দোস্তো, তোদের ফ্লাটে কত খরচ পড়েছে?
-এই সব মিলে ৯৭ লাখ।

তোর বাবা তো ট্যাক্সে আছে, বেতন কত? চেহারা আবারও ছাই।

ওদিকে লায়লা তার বয়ফ্রেন্ডকে বলছে, কাবিন কিন্তু ৩০ লাখ টাকা হতে হবে। (বয়ফ্রেন্ড ২৮ হাজার টাকার বেতনের চাকুরি করে!) না হলে আমার প্রেস্টিজ পাংকচার! ফেবুতে পোস্ট দিয়েছে, "যে ছেলে যৌতুক চায়, তাদের না বলুন!"

এদিকে মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলে কলেজের টিচার, আরেকজন পিডাব্লিউতে চাকুরি করে। মেয়ের বাবা পরেরজনে মত দেয়ায় মেয়ে বলছে, " বাবা তোমার পছন্দ সেরা"!

এক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। সারা জীবন সততার বুলি আউড়িয়েছেন। মেয়ের জামাই চাকুরি করেন সিটি কর্পোরেশনে। খুব গর্ব করে বলছেন, তার মেয়ে ঘরের ফার্নিচার ৪/৫ বছর পরেই পাল্টায়। মেয়ে খুব সৌখিন। ৮০ লাখ টাকায় ফ্লাট কিনে আরও ৫০ লাখ টাকা খরচ করছে ইন্টেরিয়র কাজে!

জিজ্ঞেস করলাম, ভাইজান, জামাইয়ের বেতন কতো?

অফিসে বসে আছি। একটা ছেলে সালাম দিয়ে ট্রেনের সময় জানতে চাইল। কথায় কথায় বলল তার ভাইও রেলওয়েতে জব করে।
-জিগ্যেস করলাম কোন পোস্ট?

ও বলল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা। তার ভাই নাকি ৬/৭বছরে অনেক কিছু করেছে।

জিগ্যেস করলাম,তোমার ভাইয়ের বেতন কত?
আর কোন উত্তর নাই...।

আমরা এত নষ্ট হয়েছি, এত নষ্ট হয়েছি যে, আমাদের কোন লজ্জা নেই। ঘুষ আমার অধিকার, কিন্তু কন্ডাকটর ১৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই, "এগুলা মানুষ না। এই টাকা খেয়ে এরা কিছুই করতে পারে না। মানুষের টাকা মেরে কিছুই করতে পারে না।" অথচ একটু আগেই বাসে মোবাইলে আলাপ করছিল, একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরির জন্য ৯ লাখ আর ১০ লাখের ঘুষের আলাপ!!

কন্ডাকটর গলা কাটছে। গলা কাটছে শিক্ষিত দুর্বৃত্তরাও। শিক্ষিতদের গলাকাটা বড় নির্মম, দেশটাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।
কন্ডাকটররা একটা নিদারুণ সত্যি কথা বলে,
"আফনেরা যে কলমের খোচায় কুটি কুটি টাকা মাইরা খান, হেই হিসাব তো আমরা নেই না!"

কথা সত্যি এবং নিদারুণ সত্যি।

কিছু অসভ্য শ্রমিকদের দেখলাম অ্যাম্বুলেন্সেও কালি দিচ্ছে, আটকাচ্ছে।

সেই অ্যাম্বুলেন্স দেখে মনে পড়ে গেলো এর চেয়ে ভয়াবহ অসভ্য গোষ্ঠীর কথা। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির দালালদের কথা, যারা অতি উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং যাদের পেছনে রাষ্ট্রের কোটি টাকা খরচ হয়। মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ, আইসিইউতে রেখে গলা কাটার সেই সব অমানুষদের কথা।

মানুষ হয়তো আছে। সংখ্যাটা কম।
মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তা কোথায় হলো, ছেলে কী করে?
যদি ঘুষের ডিপার্টমেন্টের হয়,
দেখবেন মেয়ের বাবা মা, ভাই বোন আর মেয়ের চেহারা খুশিতে কেমন চকচক করে!!

অথচ এই যে অরাজকতা, এই যে ভেজাল জিনিস, এই যে উচ্চমূল্য, এই যে গলাকাটা সেবা, এই যে পেনশনের টাকা তুলতে ফাইলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাওয়া, এই যে পরীক্ষায় ভালো করলেও চাকুরি না হওয়া, এই সবের মূলে তো ওই যে যেখান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে জিহবা চকচক করে, চেহারায় (নোংরা) খুশির ঢেউ উঠে, সেই দুর্নীতিবাজ শুয়োরদের কারণে।

বিখ্যাত এক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, "শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি"! এই শুয়োরের বাচ্চারা কারা?

এই লেখা পড়ে পরে যাদের চেহারায় চপেটাঘাত পড়বে, ছাই হয়ে যাবে, তারা৷" 🙂

20/09/2019

বেতন কত ?
- - - - - - - - - - - - - -
আমার ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে!

আমি বললাম, আপনার ভাইয়ের বেতন কত?
গর্বে ভরা চেহারাটা মুহূর্তে ছাই হয়ে গেলো।

দোস্তো বলিস না, এই শালা ট্রাফিক পুলিশ, শালারা দুই টাকারও ঘুষ খায়!

দোস্তো, তোদের ফ্লাটে কত খরচ পড়েছে?
-এই সব মিলে ৯৭ লাখ।

তোর বাবা তো ট্যাক্সে আছে, বেতন কত? চেহারা আবারও ছাই।

ওদিকে লায়লা তার বয়ফ্রেন্ডকে বলছে, কাবিন কিন্তু ৩০ লাখ টাকা হতে হবে। (বয়ফ্রেন্ড ২৮ হাজার টাকার বেতনের চাকুরি করে!) না হলে আমার প্রেস্টিজ পাংকচার! ফেবুতে পোস্ট দিয়েছে, "যে ছেলে যৌতুক চায়, তাদের না বলুন!"

এদিকে মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলে কলেজের টিচার, আরেকজন পিডাব্লিউতে চাকুরি করে। মেয়ের বাবা পরেরজনে মত দেয়ায় মেয়ে বলছে, " বাবা তোমার পছন্দ সেরা"!

এক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। সারা জীবন সততার বুলি আউড়িয়েছেন। মেয়ের জামাই চাকুরি করেন সিটি কর্পোরেশনে। খুব গর্ব করে বলছেন, তার মেয়ে ঘরের ফার্নিচার ৪/৫ বছর পরেই পাল্টায়। মেয়ে খুব সৌখিন। ৮০ লাখ টাকায় ফ্লাট কিনে আরও ৫০ লাখ টাকা খরচ করছে ইন্টেরিয়র কাজে!

জিজ্ঞেস করলাম, ভাইজান, জামাইয়ের বেতন কতো?

অফিসে বসে আছি। একটা ছেলে সালাম দিয়ে ট্রেনের সময় জানতে চাইল। কথায় কথায় বলল তার ভাইও রেলওয়েতে জব করে।
-জিগ্যেস করলাম কোন পোস্ট?

ও বলল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা। তার ভাই নাকি ৬/৭বছরে অনেক কিছু করেছে।

জিগ্যেস করলাম,তোমার ভাইয়ের বেতন কত?
আর কোন উত্তর নাই...।

আমরা এত নষ্ট হয়েছি, এত নষ্ট হয়েছি যে, আমাদের কোন লজ্জা নেই। ঘুষ আমার অধিকার, কিন্তু কন্ডাকটর ১৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই, "এগুলা মানুষ না। এই টাকা খেয়ে এরা কিছুই করতে পারে না। মানুষের টাকা মেরে কিছুই করতে পারে না।" অথচ একটু আগেই বাসে মোবাইলে আলাপ করছিল, একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরির জন্য ৯ লাখ আর ১০ লাখের ঘুষের আলাপ!!

কন্ডাকটর গলা কাটছে। গলা কাটছে শিক্ষিত দুর্বৃত্তরাও। শিক্ষিতদের গলাকাটা বড় নির্মম, দেশটাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।
কন্ডাকটররা একটা নিদারুণ সত্যি কথা বলে,
"আফনেরা যে কলমের খোচায় কুটি কুটি টাকা মাইরা খান, হেই হিসাব তো আমরা নেই না!"

কথা সত্যি এবং নিদারুণ সত্যি।

কিছু অসভ্য শ্রমিকদের দেখলাম অ্যাম্বুলেন্সেও কালি দিচ্ছে, আটকাচ্ছে।

সেই অ্যাম্বুলেন্স দেখে মনে পড়ে গেলো এর চেয়ে ভয়াবহ অসভ্য গোষ্ঠীর কথা। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির দালালদের কথা, যারা অতি উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং যাদের পেছনে রাষ্ট্রের কোটি টাকা খরচ হয়। মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ, আইসিইউতে রেখে গলা কাটার সেই সব অমানুষদের কথা।

মানুষ হয়তো আছে। সংখ্যাটা কম।
মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তা কোথায় হলো, ছেলে কী করে?
যদি ঘুষের ডিপার্টমেন্টের হয়,
দেখবেন মেয়ের বাবা মা, ভাই বোন আর মেয়ের চেহারা খুশিতে কেমন চকচক করে!!

অথচ এই যে অরাজকতা, এই যে ভেজাল জিনিস, এই যে উচ্চমূল্য, এই যে গলাকাটা সেবা, এই যে পেনশনের টাকা তুলতে ফাইলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাওয়া, এই যে পরীক্ষায় ভালো করলেও চাকুরি না হওয়া, এই সবের মূলে তো ওই যে যেখান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে জিহবা চকচক করে, চেহারায় (নোংরা) খুশির ঢেউ উঠে, সেই দুর্নীতিবাজ শুয়োরদের কারণে।

বিখ্যাত এক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, "শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি"! এই শুয়োরের বাচ্চারা কারা?

এই লেখা পড়ে পরে যাদের চেহারায় চপেটাঘাত পড়বে, ছাই হয়ে যাবে, তারা৷"

17/09/2019

কাউকে ছোট ভাববেন না, জীবন সর্বদাই পরিবর্তনশীল।

পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্য।
17/09/2019

পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্য।

Address

Jessore

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলা কমেডি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share