https://www.facebook.com/422096830996886/

Samiul Haqe, Jaipur Hat (2025)

01/01/2025

সপ্তদশ শতকের কথা। চলছে অ্যালকেমির চর্চা। প্রকৃতির কোনো কিছু থেকে সোনা বানানোর চেষ্টা চলছে ব্যাপক হারে। জার্মানির হামবুর্গে বসবাসকারী ব্যবসায়ী কাম আলকেমিস্ট হেনিগ ব্র‍্যান্ডও এই চেষ্টায় শামিল হলেন। তিনি ভাবলেন, মানবদেহ থেকেও সোনা তৈরি করা যেতে পারে, সেজন্য মানবদেহের নির্গত তরল ইউরিনকে ডিস্টিল করার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই ১৬৬৯ সাল থেকে শুরু হলো তাঁর প্রচেষ্টা।
ব্র‍্যান্ড ভাবলেন যে যদি সোনা মানবদেহে তৈরি হয়, তাহলে খুব কম পরিমাণেই হবে। স্ত্রীর কাছ থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য নিয়ে তিনি মোটামুটি সাড়ে পাঁচ হাজার লিটার মূত্র সংগ্রহ করলেন। নিজের বাড়ির বেজমেন্টের ল্যাবরেটরিতে বসে বালতির পর বালতি নমুনাকে তাপ দিয়ে চললেন। পানির বাষ্প বেজমেন্টের জানালা দিয়ে বের হয়ে রাস্তাঘাট আচ্ছন্ন করে প্রতিবেশিদের বাড়িতে গিয়ে ঢোকা শুরু হলো। মূত্রকে তাপ দিয়ে পানি সরিয়ে ব্র‍্যান্ড পেলেন বেশ ঘন একধরনের পেস্ট। এরপর সেই পেস্টকে তাপ দেওয়া শুরু করলেন। কয়েকদিন উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করে পেস্ট চকচকে লাল বর্ণ ধারণ করলো। তারপর সেই পদার্থ বাতাসের সংস্পর্শে আসা মাত্রই বিস্ফোরণ ঘটালো। ব্র‍্যান্ড পদার্থটাকে পানি দিয়ে ঠাণ্ডা করলে তা সাদা বর্ণ ধারণ করলো।
এটাই ছিল প্রায় একশ বছরের মধ্যে আবিষ্কৃত নতুন মৌল। ব্র‍্যান্ড এটাকে নাম দিয়েছিলেন "আইসি নক্টিলুকা" অর্থাৎ "রাতের ঠান্ডা আলো"। কারণ পদার্থটি অনেক বেশি উজ্জ্বলভাবে জ্বলতো (এতো উজ্জ্বল বস্তু আগে কেউ কখনো দেখেনি) এবং আশেপাশের বস্তু থেকে তাপ শোষণ করে নিতো। পরে এর নাম হয় ফসফরাস (আলো আনয়নকারী)।
সোনা নয়, নিজের কাছে থাকা সমস্ত নমুনা ডিস্টিল করে ব্র‍্যান্ড ১২০ গ্রাম ফসফরাস পেয়েছিলেন। কিছুটা দিয়ে সোনা বানানোর চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে তা অসফল ছিল। শেষমেষ ব্র‍্যান্ড তার এই ফর্মুলা গোপনে বিক্রি করে দিলেন, যাতে খরচ কিছু হলেও পোষায়।
সেই সিক্রেট কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে পৌঁছেছিল, রবার্ট বয়েলের হাতে। বয়েল ফর্মুলা মডিফাই করে এককভাবে ফসফরাস উৎপাদন করলেন এবং একে কৃত্রিম আলোর উৎস হিসেবে ব্যবহারের চিন্তা করলেন। এবং আমরা পেলাম, কাঠির মাথায় ফসফরাস, তথা দিয়াশলাই!
কপি পোস্ট

24/12/2024

প্রথম লাইসেন্স প্রাপ্ত মহিলা ডাক্তার!

ফ্রী ইউজার : আপনি এই ছবিতে যে তিনজন মহিলাকে দেখছেন তারা ছিলেন ১৮৮৫ সালের সময় কার প্রথম লাইসেন্স প্রাপ্ত মহিলা ডাক্তার। যাদের মধ্যে একজন ছিলেন ভারতীয় মহিলা, একজন ছিলেন জাপানের মহিলা, আর আরেকজন সিরিয়ার।কপি পোস্ট

23/12/2024

পানির গভীরে রঙের পরিবর্তনের পেছনে কারণ হলো আলোর শোষণ ও বিচ্ছুরণ প্রক্রিয়া। পানিতে আলোর প্রবেশের পর বিভিন্ন রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিভিন্ন হারে শোষিত হয়। লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে দীর্ঘ, তাই এটি খুব দ্রুত শোষিত হয় এবং পানির গভীরে পৌঁছাতে পারে না। ৩০ ফুট গভীরতার পরে, লাল রঙের আলো আর উপস্থিত থাকে না। ফলে, যদি রক্ত ওই গভীরতায় দেখা যায়, তা লাল না হয়ে সবুজ বা কালচে রঙের মতো দেখায়। কারণ তখন আশেপাশের অন্যান্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো রক্ত থেকে প্রতিফলিত হয় এবং আমাদের চোখে ভিন্ন রঙে ধরা দেয়। মূলত লাল রঙের আলোর অনুপস্থিতি এবং পরিবেশের আলো রক্তকে সবুজ দেখানোর কারণ। কপি পোস্ট

13/12/2024

কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল ৬ থেকে ১০ হাজার বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি জেনেটিক মিউটেশন আজ পৃথিবীতে সমস্ত নীল চোখের মানুষের চোখের রঙের কারণ বলে সন্ধান পেয়েছে।
এই গবেষণায় সেলুলার এবং আণবিক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হ্যান্স আইবার্গ বলেন, "মূলত আমাদের সবার চোখের রং ছিল বাদামী"। তবে তা এক পর্যায়ে আমাদের ক্রোমোজোমে OCA2 নামক এক জিনকে প্রভাবিত করে মিউটেশনের মাধ্যম একটি "সুইচ" তৈরি হয়েছে, যা আক্ষরিক অর্থে বাদামী চোখ তৈরি করার ক্ষমতা বাধা করে দেয়। OCA2 জিন তথাকথিত P প্রোটিন মেলানিন উৎপাদনের সাথে জড়িত এবং এটি এক প্রকার রঙ্গক যা আমাদের চুল, চোখ এবং ত্বকে রঙ দেয়। আর এই OCA2-এর সংলগ্ন জিনে অবস্থিত "সুইচ" জিনটিকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে না, বরং আইরিসে মেলানিনের উৎপাদন কমাতে এর ক্রিয়াকে সীমিত করে যার ফলে কার্যকরভাবে বাদামী চোখকে নীলে বর্ণের আবরণ তৈরি করে। OCA2 এ সুইচের প্রভাব খুব নির্দিষ্ট। যদি OCA2 জিনটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মানুষ তাদের চুল, চোখ বা ত্বকের রঙে মেলানিন তৈরি করা বন্ধ করে দিবে। এই ঘটনাটি অ্যালবিনিজম নামেও পরিচিত।
আইরিসে মেলানিনের পরিমাণ তারতম্য হওয়ার দ্বারা চোখের রং বাদামি থেকে সবুজও হতে পারে। তবে নীল-চোখযুক্ত ব্যক্তিদের চোখে মেলানিনের পরিমাণে সামান্য পরিমাণ তারতম্য হয়ে থাকে। অধ্যাপক আইবার্গ বলেছেন, "এ থেকে আমরা বলতে পারি যে সমস্ত নীল চোখের ব্যক্তি একই একক পূর্বপুরুষের সাথে যুক্ত। তারা সবাই তাদের ডিএনএ-তে ঠিক একই জায়গায় একই "সুইচ" উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।" বাদামী চোখের ব্যক্তিদের বিপরীতভাবে, তাদের ডিএনএ এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্বতন্ত্র বৈচিত্র্য রয়েছে যা মেলানিন উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ করে।
নীল থেকে বাদামী চোখের মিউটেশন ইতিবাচক বা নেতিবাচক মিউটেশনের প্রতিনিধিত্ব করে না। এটি চুলের রঙ, টাক পড়া, ফ্রেকলস এবং বিউটি স্পটগুলির মতো বেশ কয়েকটি মিউটেশনের মধ্যে একটি, যা মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে বাড়ায়ও না বা হ্রাসওকরে না। প্রফেসর আইবার্গ বলেছেন, "এটি স্পষ্ট যে প্রকৃতি ক্রমাগত মানব জিনোমকে এলোমেলো করে যাচ্ছে। মানব ক্রোমোজোমের একটি জেনেটিক ককটেল তৈরি করছে এবং এটি করার সাথে সাথে বিভিন্ন পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।"
Hafsa Hossain কপি পোস্ট

10/11/2024

🌹

Samiul Haqe

01/01/2025

24/12/2024

23/12/2024

13/12/2024

10/11/2024

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category