Fawjia media

Fawjia media এই পেইজে আপনারা কোরআন তেলাওয়াত, ইসলাম?

 িয়ে_পড়ার_অনুরোধ_রইলো একের অধিক বিবাহের দুনিয়াবি সুবিধাঃ১. এক স্ত্রী প্রেগন্যান্ট বা মিন্স অবস্থায় থাকলে আপনি অন্য স্ত্র...
22/06/2021

িয়ে_পড়ার_অনুরোধ_রইলো

একের অধিক বিবাহের দুনিয়াবি সুবিধাঃ

১. এক স্ত্রী প্রেগন্যান্ট বা মিন্স অবস্থায় থাকলে আপনি অন্য স্ত্রীর সাথে নিশ্চিন্তে স্ত্রী সহবাস করতে পারবেন, ফেতনায় পড়তে হবে না।

২. এক স্ত্রী অসুস্থ থাকলে অন্য স্ত্রী রান্নাবান্না সহ বাসার সব কাজ করতে পারবে তৎসঙে সুস্থ স্ত্রী অসুস্থ স্ত্রীরও সেবা করতে পারবে।

৩. স্বামী অফিস বা ব্যবসার কাজে একটু বেশি রাতে বাড়ি ফিরলে সব স্ত্রী মিলে নির্ভয়ে থাকতে পারবে। শত্রু বা তেলাপোকা/টিকটিকি বা ভুতের ভয় থেকে বেচে থাকতে পারবে।

৪. ঘরের কাজকর্ম যেমনঃ ঘর গোছানো, রানাবান্না করা এগিয়ে থাকবে মিলেমিশে সকল স্ত্রী বোনের মত থেকে বাড়িকে সাজিয়ে রাখবে। ফলে সকলের পরিশ্রম কম হবে।

৫. কোন স্ত্রী শশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে অন্য স্ত্রী কে নিয়ে সহবাস করতে পারবে ফলে তার কোন মানসিক উৎকন্ঠা বা ফিতনার ভয় থাকবেনা

৬. মহিলাদের জন্য দাওয়াতি কাজ করার সময় বেশি কাজ করা যাবে

৭. অধিক স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে নেকি ও সওয়াব ও অনেক বেশি হবে। একইভাবে অধিক সন্তান নেবার সুযোগ বেশি পাবে, উম্মাহ শক্তিশালী হবে।

৮. চারজন স্ত্রী থাকলে একেকসময় একেক স্ত্রীর শরীরের স্বাদ নিবে ফলে তার কখনো বাইরের কোন নারীর প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হবেনা। মানসিক প্রশান্তি বেশী হবে ফলে মন আত্মা তরতাজা ও সবল হবে এবং আল্লাহর রাস্তায় জীবনকে উৎসর্গ করার অদম্য স্পৃহা সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।

৯. একের অধিক স্ত্রী থাকলে প্রত্যেক স্ত্রী স্বামীকে ভালবাসার প্রতিযোগীতা করবে। একে অপরের বেশি ভালবাসায় ইর্ষান্বিত হবে এবং স্বামীকে সর্বোচ্চ উজার করে দেয়ার একটি সুস্থ প্রতিযোগীতা চলমান থাকবে।

১০. অনেকজন স্ত্রী থাকাতে ষোড়শী স্ত্রীও দুই একজন থাকতে পারে। কম বয়সের স্ত্রী থাকাতে পুরুষের যৌবণ সর্বদা টগবগে থাকবে ফলে অপেক্ষাকৃত বেশী বয়সের স্ত্রীদের সাথে যৌন সম্ভোগে কোন দূর্বলতা আসবে না, ফলে সবাই শারীরিকভাবে সুখী থাকবে।

১১. পুরুষ শারিরীক ও মানসিক ভাবে চনমনে থাকলে তার প্রতিদিনের কাজকর্মও সুন্দর হবে, ফলে চাকরি ও ব্যবসায় বরকত হবে।

১২. বর্তমান সমাজে নারীরা অবহেলিত, লান্চিত। বিয়ের সময় কনে পক্ষ হতে বর পক্ষকে যৌতুক দিতে হয়। এমনও দেখা যায় কিছু মেয়ের বাবা তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে ভিক্ষাবৃত্তি পর্যন্ত করতে বাধ্য হন। সমাজের সামর্থ্যবান পুরুষরা যদি আল্লাহর আইন মেনে একাধিক বিয়ে করেন তাহলে এই ঘৃন্যতম যৌতুক প্রথাটি সহজেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।। আপনি কিছুকাল পরে দেখবেন পুরুষেরা নগদ মহরানা দিয়ে বিয়ে করার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগেছে।। আর নারীদের সম্মান বৃদ্ধি হবে।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দু’টি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি (মহাগ্রন্থ আল-কুরআন- সূরা নিসা- আয়াত নং ৩)
অনেক নারী চারটি বিবাহকে অধিকার হরন ও জুলুম মনে করে যা কুফর এবং কুরআন বিরোধী হওয়ায় ঈমান ভঙ্গের কারন হতে পারে।
✔️এ ধরনের আরও পোষ্ট পেতে আমার আইডিতে এড বা ফলো দিন।🤝

সরকারিকৃত কলেজ গুলোর ননএমপিও শিক্ষক /কর্মচারীর মূল বেতনের আদেশ
08/06/2021

সরকারিকৃত কলেজ গুলোর ননএমপিও শিক্ষক /কর্মচারীর মূল বেতনের আদেশ

https://youtu.be/ipYEwOnFYys
06/06/2021

https://youtu.be/ipYEwOnFYys

Video linkhttps://youtu.be/ipYEwOnFYys জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত হাফেজ বশির আহমদ এর কন্ঠে শুনুন কোরআন তেলাওয়াত, সিংহগ্রাম ইত্তেহাদুল উলাম....

https://youtu.be/pjiJVofedOI
01/06/2021

https://youtu.be/pjiJVofedOI

Video linkhttps://youtu.be/pjiJVofedOI চ্যাম্পিয়ান হাফেজ বশির লেখা পড়া ও বংশ পরিচয় কেমন ছিল বিজ্ঞজন ও শিক্ষকগণের নিকট থেকে শুনুন ।

আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই ওলামায়ে কেরামদের গ্রেফতার ও রিমান্ডের ব্যাপারে যা বললেন,ওলামা ও রাজনৈতিক কর্মী...
30/05/2021

আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই ওলামায়ে কেরামদের গ্রেফতার ও রিমান্ডের ব্যাপারে যা বললেন,

ওলামা ও রাজনৈতিক কর্মীদের মামলা প্রসঙ্গ
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
আমাদের সংবিধান ও সরকারের দাবী মতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের সমালোচনা, আন্দোলন, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, উত্তপ্ত বক্তব্য অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। বরং এমনটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। গণতন্ত্রের এই চিরাচরিত নিয়ম সহিংসতায় রূপ নেয় কেবল মাত্র সরকারের আচরণের ভিত্তিতে। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরকার পক্ষ সবসময়ই নিয়মতান্ত্রিক বাদ-প্রতিবাদকে দমন-পীড়ন করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়। আর তার জের ধরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হামলা মামলা দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি করে। সরকারের ফ্যাসিবাদী এই চরিত্রের সর্বশেষ শিকার ওলামায়ে কেরাম। নরেন্দ্র মোদীর আগমনের প্রেক্ষিতে জনমনের ক্ষোভ প্রকাশ ও তাতে সরকারের দমন-পীড়নমূলক আচরণের প্রেক্ষিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে পবিত্র রমজানে যেভাবে ওলামায়ে কেরামকে আটক করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, তাতে এ দেশের মুসলমানদেরকে ১৮৫৭ এর সিপাহী বিপ্লবোত্তর ওলামাদের সাথে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের আচরণের কথাকে মনে করিয়ে দেয়।
সবাইকে মনে রাখা উচিত, ইতিহাসও সাক্ষী যে, উলামায়ে কেরাম সবচেয়ে শান্ত ও নির্ঝঞ্জাট জীবন যাপন করেন। সেই ওলামায়ে কেরামকে ঠুনকো অযুহাতের ভিত্তিতে মামলা দিয়ে জর্জরিত করা এবং গ্রেফতার করে দিনের পর দিন রিমান্ডে নেয়ার ফলে জনমনে এই সরকার ইসলাম বিরুদ্ধ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।
আমরা বিনয়ের সাথে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বাংলার জনগণ কাউকে ইসলামের বিরুদ্ধ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করলে, বাংলার রাজনীতি ও সমাজে তার ভবিষ্যৎ সংকীর্ণ হয়ে যায়। এটা ইতিহাসের শিক্ষা।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
আজকের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা আটককৃত নিরপরাধ সকল ওলামায়ে কেরাম এবং তুচ্ছ কারণে বা হয়রানীমূলক মামলায় আটককৃত অন্যান্য সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির আহ্বান করছি। অন্যথায় এই সরকার ওলামা নিপীড়ক শক্তি হিসেবে ইতিহাসে কলঙ্কিত হবে।

27/05/2021
uidসংক্রান্ত নোটিশ
25/05/2021

uidসংক্রান্ত নোটিশ

আমাদের উস্তাদ যিনি  জামিয়া কাসিমুল উলুম দরগাহ হজরত শাহজালাল রাহ সিলেট (দরগাহ মাদ্রাসার)সুনামধন্য শায়খুল হাদীস এবং জাতীয় ...
22/05/2021

আমাদের উস্তাদ যিনি জামিয়া কাসিমুল উলুম দরগাহ হজরত শাহজালাল রাহ সিলেট (দরগাহ মাদ্রাসার)সুনামধন্য শায়খুল হাদীস এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এর খতিব ছিলেন।

#খতিব উবায়দুল হক রহ.- এর বড় মেয়ে রায়হানা হক সিলেটে তার দাদীর কাছে থাকতেন। যখন তার বিয়ের কথাবার্তা চলছিলো; তখন তিনি মেয়েকে উপদেশমূলক চিঠি লিখেন। সময়টা ছিলো ১৯৭৫ সাল। নিজের মেয়েকে আচার-ব্যবহারে ভদ্রতা ও নিপুণতা অর্জনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে নভেম্বরের ১৬ তারিখে একটি পত্র লিখেছিলেন।

#আলেম, লেখক ও সাংবাদিক এহসান সিরাজ এর সৌজন্যে পাঠকের জন্য চিঠিটির আংশিক তুলে ধরা হলো।

#স্নেহের…!
#রায়হানা

#এক বছর থেকে তোমার স্কুল শিক্ষা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তুমি লেখাপড়া ছেড়ে দিবে। বরং এখন আরো বেশি বেশি পড়া উচিত। লেখার চর্চাও করা দরকার। বিশেষভাবে দীনি কিতাবাদি এবং উর্দু বেহেশতী জেওর নিয়মিত পড়বে। দৈনিক দাদিজানের কাছে বসে বেহেশতী জেওর থেকে তিনি যতটুকু বলবেন ততটুকু পড়বে। তার কাছে জিজ্ঞেস করে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবে।

কিতাব ছাড়াও আরেকটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা অত্যাধিক জরুরী। তা অর্জন করতে না পারলে ডিগ্রি অর্জন করার কোনো মূল্য থাকে না। এ জিনিসটি হচ্ছে ‘ #ছালিক্বা’ তথা আচার-ব্যবহারে ভদ্রতা ও নিপুণতা অর্জন এবং গৃহস্থ বিষয়ক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার শিক্ষা গ্রহণ। যে নারী এগুলো খেয়াল করে না, তাকে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। মানুষ তাকে ঘৃণা করে। পক্ষান্তরে যে মেয়ে এগুলো খেয়াল রাখে, লোকে তার তারিফ করে, সম্মান করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে এগুলো অর্জন হয় না, নিজের বুদ্ধি-বিবেচনার মাধ্যমেই তা শিখতে হয়।

#ছালিক্বা কাকে বলে? এর অর্থ কী? ছালিক্বা মানে—

১. প্রতিটি কাজ সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেয়া।
২. নিজ দায়িত্বে ঘরের প্রতিটি কাজ সম্পাদন করা। কারো জন্য বসে না থাকা।
৩. ঘরের ছোট বড় সবার প্রতি লক্ষ্য রাখা।
৪. ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৫. ঘরের প্রতিটি বস্তু যথাস্থানে হেফাজতে রাখা।
৬. ছোট-বড় সবার মর্জি মোতাবেক খাবার পরিবেশন করা ও তাদের অন্যান্য চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রাখা।
৭. সবার সাথে নম্র ব্যবহার করা।
৮. বড়দের সেবা ও সম্মান এবং ছোটদের স্নেহ করা।
৯. ঘরে মেহমান আসলে তাদের সমাদর করা।
১০. ঘরে যা প্রয়োজন হতে পারে আগে থেকেই খেয়াল রাখা। এক সপ্তাহ পর কিসের প্রয়োজন হতে পারে, তা এখনই স্মরণ করিয়ে দেয়া।
১১. যে কাজে একবার দোষারোপ করা হয়, সে কাজে আবার যেন দোষারোপ করতে না হয়।

মোটকথা, ছলিক্বাসমৃদ্ধ মেয়ে সবসময় সুখে থাকবে। অন্যের সন্তুষ্টি পাবে। তার ঘর বেহেশতের নমুনা হবে। এসব বই পড়ে অর্জন করা যায় না। বুদ্ধি দিয়ে শিখতে হয়, আচার ব্যবহার থেকে শিখতে হয়। যার বয়বহার ভালো, তার কাছ থেকে শিক্ষা নিবে, যার ব্যবহার মন্দ, তার অনুসরণ করবে না।

আমার এ পত্রটি বুঝে শুনে দু’তিনবার পড়বে। যা বুঝে আসবে না, দাদী অথবা মাকে জিজ্ঞেস করে বুঝে নেবে। পত্রটি হেফাজত করে রাখবে। উপরোক্ত বিষয় সামনে রেখে নিজের মধ্যে কী কী ত্রুটি আছে, তা ভেবে দেখবে। নিয়মিত নামাজ পড়বে এবং কোরআন তেলাওয়াত করবে। এতে যেন ত্রুটি না হয়। এখানে সবাই ভালো আছে।

ইতি
উবায়দুল হক
১৬/১১/১৯৭৫

সিংহ গ্রাম ইত্তেহাদুল উলামা পরিষদ,লাখাই, হবিগঞ্জ  কর্তৃক গণসংবর্ধনায় পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করছেন হাফেজ বশির আহ...
21/05/2021

সিংহ গ্রাম ইত্তেহাদুল উলামা পরিষদ,লাখাই, হবিগঞ্জ কর্তৃক গণসংবর্ধনায় পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করছেন হাফেজ বশির আহমেদ https://youtu.be/ipYEwOnFYys

Video linkhttps://youtu.be/ipYEwOnFYys জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত হাফেজ বশির আহমদ এর কন্ঠে শুনুন কোরআন তেলাওয়াত, সিংহগ্রাম ইত্তেহাদুল উলাম....

21/05/2021

পৃথিবীতে ইহুদীদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মত।
একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র – ইসরাইল।

ইসরাইলে ইহুদীর সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকাতে ৭০ লাখ, কানাডাতে ৪ লাখ আর ব্রিটেনে ৩ লাখ ইহুদী থাকে। ইহুদীরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদী! কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি। প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা যাদু শিল্পী হুডিনি ও বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ড এসেছেন একই কমিউনিটি থেকে। এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মত বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয় আর প্রফেসর নোয়াম চমস্কির মত শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে প্রদত্ত ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটিরও বেশি।

এর অন্যতম কারণ সাধারণ আমেরিকানরা যেখানে হাইস্কুল পাশকেই যথেষ্ট মনে করে সেখানে আমেরিকান ইহুদীদের ৮৫% বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদী অর্থাৎ নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচ জনের একজন ইহুদী।

আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসররা ইহুদী। হতে পারে ইহুদীরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকার রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের ১৩ জন ইহুদী।এর চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল ইহুদীদের সমর্থন ব্যতীত কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেনা, কোন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেনা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা ক্লিনটন নিজের টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। ডোনেশন এবং পার্টির টাকায় তাদের নির্বাচনী ব্যয় মিটাতে হয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফান্ড দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে – AIPAC – America Israel Public Affairs Committee.

আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদীদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদায়কে হাতে না রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জুইশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।
আমেরিকার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলতঃ কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে, এবং প্রেসিডেন্টকে সরাতে পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন ইহুদী কমিউনিটির মানুষ।

এই কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জাপানিজ কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য। প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে জুইশ আমেরিকানরা কাজ করছেন। জুইশ কমিউনিটির ক্ষমতাধর বিলিয়নিয়াররা মিলিতভাবে যে-কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারেন।

মিডিয়া জগতে যদি আপনি তাকান তাহলে দেখবেন;
CNN, AOL, HBO, Cartoon Network, New line cinema, Warner Bross, Sports illustrated, People - Gerald Levin – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
ABC, Disney Channel, ESPN, Touchstone pictures - Michael Eisner – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত। Fox Network, National Geographic, 20th century Fox Rupert Murdoch – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।

Top 4 famous Newspapers of USA & their editor

New York Times – Arthur Sulzberger
New York Post – Rupert Murdoch
Washington Post – K.M. Graham
Wall street journal – Robert Thomson

সব কয়টি খবরের কাগজই ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
আপনার প্রিয় মিডিয়া ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg পর্যন্ত একজন ইহুদী।

ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকার আগ্রাসনকে সাধারণ আমেরিকানদের কাছে বৈধ হিসেবে চিত্রায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফক্স নিউজ। বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া মুগল রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণাধীন এরকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জুইশদের সমর্থন দিয়ে এসেছে। রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সারা বিশ্বের ১৮৫ টি পত্রপত্রিকা ও অসংখ্য টিভি চ্যানেল। বলা হয় পৃথিবীর মোট তথ্য প্রবাহের ৬০% ই কোন না কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রুপার্ট মারডকের The News Corporation.
টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে এবিসি, স্পোর্টস চ্যানেল, ইএসপিএন, ইতিহাস বিষয়ক হিস্টৃ চ্যানেলসহ আমেরিকার প্রভাবশালী অধিকাংশ টিভি-ই ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।

আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন কপি। জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে দেড় হাজার পত্রিকা সেখানে প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকা যে নিউজ সার্ভিসের সাহায্য নেয় তার নাম দি এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি (AP)। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন এর ইহুদি ম্যানেজিং এডিটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল সিলভারম্যান। তিনি প্রতিদিনের খবর কী যাবে, না-যাবে তা ঠিক করেন।

আমেরিকার পত্রিকাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তিনটি পত্রিকা হলো নিউইয়র্ক টাইমস্ , ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ওয়াশিংটন পোষ্ট। এ তিনটি পত্রিকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে।

ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলো ওয়াশিংটন পোষ্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড গ্রেহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদী হিসেবে তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোষ্ট আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে আর্মিদের জন্যই করে ১১টি পত্রিকা। এই গ্রুপের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। টাইম এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম নিউজউইক।

আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস্-এর প্রকাশক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকাশক ও চেয়ারম্যান আর্থার সালজবার্গার প্রসিডেন্ট ও সিইও রাসেল টি লুইস এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল গোলডেন সবাই ইহুদি।

বিশ্বের অর্থনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। আঠার লাখেরও বেশী কপি চলা এই পত্রিকার ইহুদি প্রকাশক ও চেয়ারম্যান পিটার আর কান তেত্রিশটিরও বেশী পত্রিকা ও প্রকাশনা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন।

যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ফুটবলারের কতজন ইহুদী? কিংবা পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ক্রিকেটারের কতজন ইহুদী?
উত্তর হচ্ছে – একজনও না।

কেন??????

বছরের কিছু সময় টি টুয়েন্টি আর ফ্ল্যাশ মব, কিছু সময় আইপিএল আর চিয়ার লিডার্স, কিছু সময় ফিফা বিশ্বকাপ বা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, বাকি সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ আর স্প্যানিশ প্রিমিয়ার লীগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের মনের মধ্যে কী কখনো এই প্রশ্ন আসেনা? ক্যামনে আসবে ভাই, পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফাল্গুন, চৈত্র সংক্রান্তি, থার্টি ফার্স্ট আছেনা? এত এত কাজের ভিড়ে এই ধরণের হাইপোথিটিকাল চিন্তা মাথায় আসবে ক্যামনে?
একটা ফুটবলের ব্যাস হয়ত ২০–৩০ সে.মি. বা একটা ক্রিকেট বলের ব্যাস আরও কম হয়ত ১০–১২ সে.মি. ইহুদীরা বিশ্ববাসীকে ১০–৩০ সেন্টিমিটারের এই ফুটবল ক্রিকেটের বল নিয়ে ব্যস্ত রেখে ১২৮০০ কিলোমিটার ব্যাসের বেশ বড় একটা ফুটবল নিয়ে খেলছে – আর এই বড় ফুটবলটাই হচ্ছে পৃথিবী।

(সংগৃহীত)

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান  ২০২১
18/05/2021

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ২০২১

অধিকাংশ মানুষই জানেই না কেন মুসলমানদেরনিকট মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ?? যেখানে ইহুদিরা সমগ্র ফিলিস্তিনই দখল করে নিয়...
12/05/2021

অধিকাংশ মানুষই জানেই না কেন মুসলমানদের
নিকট মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ??
যেখানে ইহুদিরা সমগ্র ফিলিস্তিনই দখল করে নিয়েছে, সেখানে মাত্র ১৪ একর জায়গার জন্য কেনো এতো অত্যাচার নির্যাতনের পরেও ফিলিস্তিনের মুসলমানরা বারবার মসজিদের দিকে ধাবিত হচ্ছে!!

১. এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহিম এবং মূসা (আ) সহ অসংখ্য নবী রাসুলের কবর।

২. এখানেই আল্লাহর বন্ধু প্রিয় নবী রাসুল ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম সকল নবী রাসুলদের এবং ফেরেস্তাদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ছিলেন। সেই জামাতের ইমাম ছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম, এবং এই জামাতে মতান্তরে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার নবী রাসুল ছিলেন।

৩. এখান থেকেই হজরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বোরাকে করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন।

৪. এই মসজিদের নির্মাণের সাথে জড়িয়ে আছে হজরত আদম আঃ এবং সুলাইমান আঃ এর নাম।

৫. এর সাথে জড়িয়ে আছে খলিফা হজরত উমর (রা) এর সেই বিখ্যাত উটের বিরল ঘটনা।

৬. এখানের সাথেই জড়িয়ে আছে দ্যা গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর অসংখ্য স্মৃতি।

৭. এই মসজিদের পাথরের গায়ে লেখা রয়েছে সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।

৮. এই মসজিদের জন্য জ্বীনদের দ্বারা পাথর উত্তোলন করা হয়েছে সাগরের তলদেশ থেকে। যা কিনা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব!!!

৯. এই মসজিদে ২ রাকাআ'ত নামাজ আদায় করার জন্য ২৫ হাজার রাকাআ'ত নামাজের সওয়াব লিখা হবে।

১০. পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি মহান আল্লাহ এই মসজিদ নিয়ে আলোচনা করছেন।

তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখে তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়, যদি তা করতে অপারগ হয় তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয় তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ঈমানের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর। (বুখারি, হাদিস নং: ১৯৪)

আল্লাহ পাক ঘুমন্ত মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানদের বিবেককে জাগ্রত করুক,আমিন।

12/05/2021

ঈদের আগে যাকাত-ফিতরা আদায় করুন:
--------------
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে সামর্থবান সকলের প্রতি সদক্বায়ে ফিতর ও যাকাত যথাযথ প্রাপ্য গরীবদের মাঝে বিলিবণ্টন শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক কমিটির আমীর ও দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ (৯ মে) রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, রোযাকে অশ্লীল এবং অনর্থক কথাবার্তা থেকে পাকপবিত্র করার জন্য এবং দুঃস্থ-অসহায়-গরীবদের জীবিকা হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) সদকায়ে ফিতরকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। (আবুদাঊদ, মিশকাত)।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ফিতরা’র উপকারিতা হল এতে রোযা পাকপবিত্র হয়ে আল্লাহ্ তাআলার দরবারে কবুল হওয়ার উপযুক্ত হয়। ফিতরা দানের ফলে দুনিয়া ও আখেরাতের বরকত এবং কবরের আযাব ও মৃত্যুর কষ্ট হতে নাজাতের আশা করা যায়।

তিনি আরো বলেন, অপরদিকে যাকাত ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রোকন। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদত হল নামায, তার পরই যাকাত। কুরআন মাজীদের বহু স্থানে নামাযের সাথে সাথে যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং যাকাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর অনুগত মুমিনদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন- ‘তোমরা নামায কায়েম কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা দেখছেন’। (সূরা বাকারা, আয়াত ১১০)।

হেফাজত আমীর বলেন, পবিত্র কুরআন মাজীদে এত অধিক গুরুত্বের সঙ্গে নামায ও যাকাত প্রসঙ্গ এসেছে যে, এটা আদায় করা ছাড়া ঈমান ও ইসলাম পরিপূর্ণ মেনে চলার দাবি করার সুযোগ থাকে না। যাকাত শরীয়তের এমন এক অকাট্য ও স্পষ্ট বিধান, যে সম্পর্কে দলীল-প্রমাণের আলোচনারই কোন জরুরত নেই। যাকাত ফরয হওয়া সম্পর্কে কারো মাঝেই কোনোরূপ মতভেদ নেই। যাকাতের অপরিহার্যতাকে যে অস্বীকার করে, সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হাদীস শরীফে এসেছে, “যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু সে তার যাকাত দেয়নি, কিয়ামতের দিন তা বিষধর সাপরূপে উপস্থিত হবে এবং তার গলা পেঁচিয়ে ধরবে। সাপটি তার চেহারার দুই পাশে দংশন করতে করতে বলবে, আমিই তোমার ঐ অর্থকড়ি, আমিই তোমার পুঞ্জিভূত সম্পদ”। (সহীহ বুখারী)।

তিনি আরো বলেন, একদিকে রমযানে যে কোন ইবাদত-বন্দেগী ও দান-সদক্বায় অধিক নেকী এবং অফুরন্ত বরকত অর্জিত হয়। অন্যদিকে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই মাস যাবত গরীব, দিনমজুর ও শ্রমিকদের কোন আয় রোজগার নেই। অনেক দু:খ-কষ্টে পরিবার নিয়ে তারা দিনগুজরান করছেন। সুতরাং ঈদুল ফিতরের আগে আগে সদক্বায়ে ফিতর ও যাকাতের অর্থ যথাযথ প্রাপ্য হক্বদার গরীব-মিসকীনদের মাঝে বিলিবণ্টন করে দিন। এতে জিম্মাদারি মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মাহে রমজানে দান-সদক্বার যেমন ব্যাপক ফযীলত ও বরকত অর্জিত হবে, তেমনি মানবিক সংকটে সহযোগিতার কারণে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ হবে।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সাদক্বায়ে ফিতর ও যাকাতের জরুরী মাসআলা-মাসায়েল কারো জানা না থাকলে স্থানীয় অভিজ্ঞ মুফতি ও হক্কানী আলেমদের কাছ থেকে জেনে নিতে উপদেশ দেন।সংগৃহীত

11/05/2021

ইনশাআল্লাহ, এবারের রমজান মাসের ৩০ রোজা আমরা পুরা করতে পারবো আমার কাছে মনে হয় ।আমাদের সকল কে আল্লাহ ৩০ রোজা ও রোজার পুরা নেকী দান করুন।

09/05/2021

শবে কদর # ফযিলত, করণীয় ও বর্জনীয়

শব শব্দটি ফার্সি ভাষার শব্দ। এর অর্থ হলো রাত। কদর শব্দটি হলো আরবি। এর অর্থ হলো ভাগ্য বা মর্যাদা। যেহেতু এ রাতটি ইসলামি শরিয়তে অনেক মর্যাদাবান, সেহেতু তাকে লাইলাতুল কদর বলা হয়। অথবা যেহেতু এ রাতে আল্লাহ তায়ালা সমগ্র সৃষ্টির জন্য আগামি এক বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করেন, সেহেতু এ রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়।
শবে কদরের ফযিলত
ইসলামি শরিয়তে যে সকল মর্যাদাপূর্ন রাত বা দিন রয়েছে, শবে কদর সেগুলোর অন্যতম। কুরআন ও হাদিসে এ রাতের অনেক ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন- ليلة القدر خير من ألف شهر
অর্থ- লাইলাতুলকদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
এর মানে হলো এই একটি রাত প্রায় ৮৩ বছর এবং আরো প্রায় ৪ মাসের চেয়েও বেশি মর্যাদাবান। অর্থাৎ এ রাতে কোনো একটি আমল করলে ৮৩ বছর ৪ মাস আমল করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাওয়া যাবে।
পক্ষান্তরে রাসুল (স) বলেছেন- যে ব্যক্তি শবেকদর থেকে বঞ্চিত, সে যেমন নাকি সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত।
অপর এক হাদিসে রাসুল (স) বলেন- যে ব্যক্তি শবেকদর পেয়েও তার গোনাহ মাফ করাতে পারল না, তার মতো হতভাগা আর কেউ নেই।
এ থেকে বুঝা গেল, শবেকদরের ফযিলত অর্জনের জন্য আমাদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় কিছু কাজ আছে।
করণীয় কিছু কাজ :
1: যেহেতু ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ সেহেতু বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা। কারো যদি কাযা নামাজ থাকে তা আদায় করা।
2 : যেহেতু সর্বোত্তম জিকর হলো কুরআন তেলাওয়াত, সেহেতু বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা।
3 : ইবাদাতের সার হলো দোয়া, সেহেতু বেশি বেশি দোয়া করা। কোন দোয়াটি পাঠ করা উত্তম, সে বিষয়ে হযরত আয়েশা (রা) বর্ণিত যে, তিনি রাসুল (স)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি শবেকদর পেয়ে যাই, তাহলে আমি কোন দোয়াটি পড়ব? রাসুল (স) বললেন- اللهم أنك عفو تحب العفو فاعف عني দোয়াটি বেশি বেশি পড়বে।
এসব ব্যাপারে রাসুল (স) বলেন- যে ঈমান সহকারে সাওয়াবের নিয়তে কদরের রাত ইবাদাত বন্দেগীর মধ্যে কাটিয়ে দেবে, আল্লাহ তায়ালা (বান্দার হক ব্যতীত) তার সকল গোনাহ মাফ করে দেবেন।
4 : শবেকদরে যথাসাধ্য দান খায়রাত করা।
কারণ শবেকদরের একটি আমল একবার করা, সে আমলটি 83 বছর 4 মাস আমল করার সমান।
5 : মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এ কাজগুলো করার তাওফীক দান করুন।
বর্জনীয় কাজ :
1 : মনগড়া আমল বর্জন করা। মনে রাখা দরকার যে, শবেকদরের জন্য বিশেষ পদ্ধতির বিশেষ সংখ্যক (12/20) কোনো নামাজ নেই।
2 : শবেকদরে দীর্ঘ সময় ওয়াজ করার। এর মাধ্যমে অন্যান্য এবাদতকারীদের এবাদতে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়। বেশির চেয়ে বেশি এশার নামাজের পর 15/20 শবেকদরের ফযিলত, করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এর জন্য মাইক ব্যবহার করলে মসজিদে ইবাদতকারীদের ইবাদতে বিঘ্নতার পাশাপাশি নিজ নিজ বাড়ি ঘরে এবাদতকারী পুরুষ মহিলা সকলের ইবাদতের ব্যাথা সৃষ্টি করে। সুতরাং এ কাজটি অবশ্যই বর্জনীয়।
3 : কোন কোন এলাকায় উক্ত রাতকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের আনন্দ ফুর্তির অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। যারফলে তারা এবাদাত-বন্দেগী থেকে উদাসীন রয়ে যায়।
4 : কোনো কোনো এলাকায় উক্ত রাতে খুব গুরুত্বের সাথে কবর যিয়ারত করা হয়। কবর যিয়ারত জায়েয কাজ হলেও কুরআন-হাদিসে উক্ত রাতের আমল হিসেবে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না।
আল্লাহ আমাদেরকে শবেকদর পেয়ে তাতে শরিয়ত সম্মত আমল করার এবং কুসংস্কার মুক্ত হয়ে আমল করার তাওফীক দান করুন। আলোচক ঃবিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, মাওলানা হুসাইন আহমদ, সিনিয়র শিক্ষক, মিরপুর মাদ্রাসা।

শ্বশুরবাড়ি ৭ কেজি মিষ্টি আর ৩ কেজি রসমলাই নিয়ে যাওয়ার পর রাতে আমায় খেতে দিলো ৯৫টাকা কেজি দরের পাঙ্গাশ মাছের দুই টুকরো ভা...
07/05/2021

শ্বশুরবাড়ি ৭ কেজি মিষ্টি আর ৩ কেজি রসমলাই নিয়ে যাওয়ার পর রাতে আমায় খেতে দিলো ৯৫টাকা কেজি দরের পাঙ্গাশ মাছের দুই টুকরো ভাজি আর ১২০টাকা কেজি দরের পোল্ট্রি মুরগীর আলু দিয়ে রান্না করা পাতলা ঝোলের তরকারি
খাবার গুলো দেখে আমি আমার স্ত্রী সামিরার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললাম,
-- কোন সস্তা জাতীয় খাবার নেই? এত দামী খাবার আমার গলা দিয়ে নামবে না
সামিরা চোখের কোণে জমে থাকা জলটা মুছে বললো,
- বিয়ে করার সময় মনে ছিলো না বাপ-মা মরা মেয়েকে বিয়ে করলে শ্বশুরবাড়ির আদর জুটবে না? ভাইয়ের সংসারে থেকে বড় হয়েছি। এতটুকু যে পাচ্ছো এটাই অনেক
সামিরা কথা শুনে আমি আর কিছু বললাম না। বাটি থেকে তরকারি যখন প্লেটে নিবো তখন সামিরা আমায় বাঁধা দিয়ে বললো,
-যে জিনিসটা খেতে পারো না সেটা এখন খেয়ে আমায় খুশি করতে হবে না। একটু বসো আমি ডিম ভেজে নিয়ে আসছি
সামিরা ডিম ভাজতে গেলে ওর ভাবী বললো,
~ডিম ভাজি করছো কেন? রান্না কি ভালো হয় নি?
সামিরা তখন মাথা নিচু করে বললো,
- আসলে ভাবী ওর পাঙ্গাশ আর পোল্ট্রিতে এলার্জি
ভাবী তখন খোঁচা দিয়ে বললো,
~ বড়লোক জামাই তো তাই গরীবের খাবার না মুখে উঠে না
সামিরা কথাটা শুনেও না শুনার অভিনয় করে ও ওর কাজ করতে লাগলো আর আমি কথাটা হাসিমুখে চুপচাপ হজম করলাম...
পরের দিন সকালে আমার ঘুম ভাঙলো ৯টার দিকে। ঘুম থেকে উঠে দেখি সামিরা সমানে পুরো বাসা পায়চারি করছে। আমি তখন দুষ্টামি করে সামিরাকে বললাম,
-- তোমার পেটে কি গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে? ঠিকঠাক মত বাথরুম হচ্ছে না বলে এইভাবে সমানে হাটছো?
সামিরা মুখটা গোমড়া করে বললো,
- তুমি যাও ফ্রেস হয়ে আসো
আমি জানি সামিরা কেন এমন করছে
সামিরার ডাকা ডাকিতে ওর ভাই ভাবী ঘুম থেকে উঠে দরজা খুললো সাড়ে দশটার দিকে। ওর ভাই তখন বললো,
~কিরে, ছুটিরদিনে এত সকালে ডাকছিস যে?
সামিরা তখন বললো,
-- ভাইয়া সাড়েদশটা বেজে গেছে তোমাদের জামাইকে এখনো নাস্তা দেওয়া হয়নি। ডাকছিলাম ফ্রিজের চাবিটা দিতে। নাস্তার জন্য ফ্রিজ থেকে ডিম আর সবজিগুলো নিতাম আর কি
পিছন থেকে সামিরার ভাবী তখন বললো,
~আর বলো না, ফ্রিজ লক করে রাখি তোমার ভাইয়ার জন্য। তোমার ভাইয়ার ডায়বেটিস তারপরও ফ্রিজ খুলে শুধু মিষ্টি খায়। এজন্যই লক করে রাখি
সামিরা তখন বললো,
-ভাবী, রাতে আমি যখন ডিম নিলাম তখনও ফ্রিজটা লক করা ছিলো না। আর ভাইয়ার ডায়বেটিস নেই
সামিরার ভাই তখন আমতা-আমতা করে বললো,
~তোর ভাবী ঠিক বলছে রে। আমার আজকাল ডায়বেটিস দেখা দিয়েছে
সকালের নাস্তা দিতে দিতে বেজে গেলো ১১ঃ৩০। আমি নাস্তার টেবিলে বসে সামিরাকে আস্তে করে বললাম,
-- কি দরকার ছিলো নাস্তা বানানো? আরেকটু পর না হয় দুপুরের খাবারটাই একেবারে খেয়ে নিতাম
আমার কথা শুনে সামিরা যখন রাগী চোখে আমার দিকে তাকালো তখন আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ নাস্তা করে নিলাম
ভেবেছিলাম নাস্তার পর আরাম করে একটু ঘুম দিবো তার আগেই সামিরা এসে বললো,
- অনেক হয়েছে শ্বশুরবাড়ি থাকা। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও এখনি বাসায় যাবো
আমি অবাক হয়ে বললাম,
-- গতকাল বিকালে আসলাম আর আজকেই চলে যাবো? আমি তো ভেবেছিলাম কয়েকদিন শ্বশুরবাড়ি থাকবো।
সামিরা রেগে গিয়ে বললো,
- তোমার কিসের শ্বশুর বাড়ি? তোমার শ্বশুরও বেঁচে নেই শ্বাশুড়িও বেঁচে নেই। তাই তোমার কোন শ্বশুড়বাড়িও নেই
সামিরা রাগে কথাগুলো বলছিলো আর ওর দুইগাল বেয়ে অনবরত জল পড়ছিলো। মেয়েরা খুব অদ্ভুত হয়। নিজের বাড়িতে স্বামীর চুল পরিমাণ অযত্ন সহ্য করতে পারে না...
---
------
চাচাতো ভাইয়ের বিয়েতে যখন আমি মা আর সামিরা গেলাম তখন চাচী মাকে ডেকে বললো,
~আপা, ফকিন্নির বাড়িতে আমার ছেলেকে বিয়ে কারাই নি। মেয়ের বাড়ির লোকজন আমার ছেলেকে ফ্রিজ টিভি মোটরসাইকেল সবি দিয়েছে। তা আপনার ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে ছেলেকে কি দিলো?
মা হেসে বললো,
-নিজের বাড়ির মেয়েকে দিয়েছে। আর কি দিবে?
চাচী বললো,
~ফ্রিজ, টিভি, মোটরসাইকেল কিছু দেয় নি?
মা তখন বললো,
- আমার ঘরে দুইটা ফ্রিজ আছে একটা নরমাল ফ্রিজ আরেকটা ডিপ ফ্রিজ তাই আরেকটা ফ্রিজের কোন দরকার নেই। ৪২ ইঞ্চি একটা এলইডি টিভি আছে তাই টিভিরও দরকার নেই। ছেলের আমার প্রাইভেট কার আছে তাই মোটরসাইকেলের দরকার নেই। আমার ঘরে আল্লাহ রহমতে সব আছে কিন্তু ছিলো না একটা মেয়ে। ওরা আমায় মেয়ে দিয়েছে তাই আমার আর কিছু চাই না
মার কথা শুনে চাচী কিছু না বলে সামনে থেকে চলে গেলো আর সামিরা তখন কেঁদে চোখের পানি নাকের পানি এক করে ফেলছিলো
মা তখন সামিরাকে বললো,
- এই তোর সমস্যা কি? কিছু হলেই এমন করে কাঁদিস কেন? এত সুন্দর করে সেজেছিলি আর এখন কেঁদে সব নষ্ট করলি। শোন মা, ১৬ বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়েছিলো। এই ছোট বয়সে চুপচাপ সংসারের জন্য দিনরাত কেটেও কোন সম্মান পেতাম না। শ্বাশুড়ি, ননদ, দেবর সবার শুধু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতো। একসময় বুঝলাম আমার চুপ থাকাটাই আমাকে কথা শুনানোর কারণ। তারপর থেকে আর চুপ থাকি নি। সবার দোষগুলো আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি।
একটা কথা মনে রাখবি, যখনি তোর উপর অন্যায় হবে তখনি প্রতিবাদ করবি। যদি চুপচাপ থেকে সহ্য করতে যাস তাহলে কিন্তু এই চোখের জল ফেলতে হবে...
----
-------
সামিরার ভাই ভাবী আমাদের বাসায় আসবে আর এটা শুনে সামিরা আমার হাতে লম্বা একটা বাজারের লিষ্ট ধরিয়ে দিলো। এটা দেখে আমি মাকে ডেকে বললাম,
-- মা, আমি তো ভেবেছিলাম ১ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ আর দেড়কেজি ওজনের একটা পোল্ট্রি মুরগী আনবো কিন্তু তোমার বউমা যে লিষ্ট দিলো তাতে তো দেখছি পুরো বাজার মাথায় করে তুলে আনতে হবে
আমার কথা শুনে মা কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললো,
-সব সময় বউয়ের পিছনে লাগিস কেন? যা তো সামনে থেকে। যা আনতে বলেছে সেগুলো নিয়ে আয়...
৩ পদের গোশতের সাথে ৪ পদের মাছের তরকারি সেদিন রান্না করেছিলো সামিরা ওর ভাই ভাবীর জন্য। ভাবী যখন খাচ্ছিলো তখন আমি উনার কানের কাছে আস্তে করে মুচকি হেসে বললাম,
-- বড়লোক জামাইয়ের বড়লোকি খাবার গলা নিয়ে নামছে তো?
খাওয়া দাওয়া শেষে ড্রয়িংরুমে সবাই যখন বসে ছিলাম তখন সামিরার ভাই সামিরাকে বললো,
~আসলে আমি এসেছিলাম একটা দরকারে। তোর স্বামীর তো অনেক আছে। আর আমার অবস্থা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। আমি চাইছিলাম তোর নামে মা যে জমিটা লিখেদিয়েছিলো সেটা বিক্রি করে ব্যবসার কাজে লাগাতে। তুই এই জমিটার দামী ছেড়ে দে
সামিরা তখন বললো,
-আমি কেন দাবী ছাড়বো? আর এই দাবী আছে বলেই বাপের বাড়ি গিয়ে আমার জামাই আর আমি পাঙ্গাসের ভাজি আর পোল্ট্রি মুরগীর ঝোল দিয়ে চারটা ভাত খেতে পারি। এখন যদি দাবী ছেড়ে দেই তাহলে তুমি আর তোমার বউ আমাকে আর আমার স্বামীকে ফকির মিসকিন ভেবে তাড়িয়ে দিবে। তোমার অবস্থা এতটাও খারাপ হয় নি যে তোমার ছোট বোনের জামাই গেলে একবেলা ভালো কিছু খাওয়াতে পারবে না। আমার জামাই তো আর প্রতিদিন তোমার বাসায় বসে থাকে না।
সামিরা এইবার ওর ভাবীর দিকে তাকিয়ে বললো,
- আমার ভাই যখন তোমাদের বাড়ি যায় তখন কি তুমি ভাইয়াকে সকাল ৮টার নাস্তা দুপুর ১২টায় দাও নাকি? আর আমি এতটাও ছোটলোক না যে তোমাদের আড়ালে ফ্রিজ থেকে কিছু নিয়ে আমার স্বামীকে খাওয়াবো।
আমি আমার ভাগ ছাড়বো না। যখন সময় হবে তখন ঠিকিই আমি আমার ভাগ বুঝে নিবো।
সামিরার কথা শুনে ওর ভাই ভাবী আর কিছু না বলে চুপচাপ চলে গেলো...
পাথর মারলে পাথর,, ইট মারলে ইট,,,ঠিকই ফিরে আসে,,,,
গল্পটি পড়ে অবশ্যই জানাবেন কেমন হলো,
ধন্যবাদ ....

06/05/2021

তিন তরিকায় কবর দেওয়া যায়।

"কবর খনন ও দাফনের শরয়ী পদ্ধতি"

লেখক:
মুফতী মনসূরুল হক সাহেব (দাঃবাঃ)

কবর খনন ও দাফনের শরয়ী পদ্ধতি কোন মুসলমান মারা গেলে তাকে কবরে দাফন করা ইসলামের অন্যতম শিআর বা বিশেষ নিদর্শন এবং ফরযে কিফায়াহ তথা কিছু লোক এই ফরয হুকুম আদায় না করলে সকলেই গুনাহগার হবে।
আর কিছু লোক আদায় করলে সকলেই দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যাবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ হুকুম সঠিকভাবে পালন করা যেহেতু জরুরী তাই আমরা এর সাথে সম্পর্কিত কবর খনন করার এবং কবরে মায়্যেতকে দাফন করার শরয়ী পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব।
জেনে নেয়া উচিত যে, কবরের সর্বমোট গভীরতার পরিমাণ হচ্ছে মধ্যম গঠনের কোন ব্যক্তির অর্ধদেহ থেকে বুক বা পূর্ণদেহ পর্যন্ত এবং উক্ত ব্যক্তির বুক পর্যন্ত কবর গভীর হওয়া উত্তম আর পূর্ণদেহ পর্যন্ত হওয়া অধিক উত্তম, তবে পূর্ণদেহ থেকে বেশি গভীর না হওয়া উচিত।
আর কবরের সর্বাধিক প্রস্থ হচ্ছে মাইয়্যেতের অর্ধদেহ পর্যন্ত ।
আর দৈর্ঘ্য হচ্ছে মাইয়্যেতের পূর্ণদেহ পর্যন্ত।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৬, রদ্দুল মুহতার ৩/১৪১)

শরী‘আতের দৃষ্টিতে কবর দুই প্রকার
(ক) বগলী কবর (খ) সিন্দূক কবর।
যে স্থানে মাইয়্যেতকে দাফন করা হবে সে স্থানের মাটি শক্ত ও মজবূত হলে সেখানে বগলী কবর খনন করা উত্তম, পক্ষান্তরে ঐ স্থানের মাটি নরম হওয়ার দরুন বগলী কবর দেবে যাওয়ার আশংকা হলে সিন্দূক কবর খনন করা চাই। (আহকামে মাইয়্যেত পৃ.৮৩)
আমাদের দেশের মাটি নরম হওয়ার দরুন বগলী কবর খনন করা ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সাধারণত সিন্দূক কবর খনন করা হয়।

সিন্দূক কবর খনন ১ম পদ্ধতিঃ
সিন্দূক কবর খনন ও তাতে মাইয়্যেতকে দাফনের শরয়ী পদ্ধতি এই যে, কবরের পূর্ণ গভীরতার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ খনন করার পর ঠিক মাঝামাঝি মাইয়্যেতকে ডান কাতে রাখা যায় এমন প্রস্থে কবরের শেষ গভীরতা পর্যন্ত মাইয়্যেতের দৈর্ঘানুপাতে একটি গর্ত খনন করা হবে, তবে উত্তর দিকে মাথা রাখার স্থানে একটু উঁচু রাখা হবে, যাতে মাইয়্যেতকে ডানকাতে শোয়ালে শরীরের সাথে মাথা সোজা থাকে।
অতঃপর এই গর্তে মাইয়্যেতকে রাখার সময় এই দুআ পড়বে

بسم الله وعلى ملة رسول الله

এবং মাইয়্যেতকে সম্পূর্ণ ডানকাতে শোয়ানো হবে, যাতে তার চেহারা, সিনা ও পুরা শরীর কিবলামুখী হয়ে যায়, অতঃপর নীচের গর্তটি মাইয়্যেতের শরীর থেকে এক বিঘত উপরে মজবূত বাঁশ, কাঁচা ইট বা কাঠ দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে।
অতঃপর মাটি দিয়ে বাকি অংশ ভরাট করে জমিনের উপর বুক ও মাথা বরাবর স্থানটুকু কুঁজ সদৃর্শ এক বিঘত বা এর চেয়ে সামান্য বেশি পরিমাণ উঁচু করা হবে। আমাদের দেশে সম্পূর্ণ কবর যেভাবে মাটি দিয়ে উঁচু করা হয় এর কোন প্রমাণ নেই।

সিন্দূক কবর খনন ২য় পদ্ধতিঃ
সিন্দূক কবর খননের দ্বিতীয় একটি পদ্বতি এই যে, মাইয়্যেতকে রাখার গর্তটি একেবারে মাঝে খনন না করে পশ্চিম পাশে পূর্বের নিয়মে খনন করা হবে এবং মাইয়্যেতকে সুন্নত তরিকায় রাখা হবে।
অতঃপর বাঁশ বা কাঠের এক পাশ কবরের পূর্ব দেয়ালের গোঁড়ায় রাখা হবে এবং অপর পার্শ্ব কবরের পশ্চিম দেয়ালের সাথে জমিন থেকে আনুমানিক একহাত নীচে মিলিয়ে রাখা হবে।
অতঃপর মাটি দিয়ে বাকি অংশ পূর্বের নিয়মে ভরাট করা হবে।
যাতে করে শিয়াল কুকুর অন্য কোন হিংস্র প্রাণী লাশের ক্ষতি করতে না পারে।
(বজলুল মাজহূদ ৪/২০৫,
মুসনাদে আহমাদ হা.নং- ৪৯৮৯,
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৬,
আততাজরীদ ৩/১০৭২,
বাদায়েউস সানায়ে ১/৩২০,
এমদাদুল আহকাম ১/৮৩৯)

বগলী কবর খননঃ যে স্থানে মাইয়্যেতকে দাফন করা হচ্ছে সে স্থানের মাটি শক্ত হলে সেখানে বগলী কবর খনন করা উত্তম।
বগলী কবর খনন ও তাতে মাইয়্যেতকে দাফনের শরঈ পদ্ধতি এই যে, মধ্যম গঠনের কোন ব্যক্তির বুক বা পূর্ণদেহ পরিমাণ গভীর ও মাইয়্যেতের পূর্ণদেহ সমপরিমাণ দীর্ঘ ও বেশির থেকে অর্ধদেহ পরিমাণ প্রশস্ত একটি কবর খনন করা হবে।
অতঃপর ঐ কবরের নীচের জমীন বরাবর পশ্চিম দেয়ালে নীচের অংশে মাইয়্যেতের দৈর্ঘানুপাতে ও মাইয়্যেতকে ডানকাতে রাখা যায় এই পরিমাণে একটি গর্ত খনন করা হবে এবং তার মাথা ও কোমর বরাবর মাটি, পাথর বা কাঁচা ইট ইত্যাদি রাখা হবে যাতে সে চিত হয়ে না পড়ে এবং কিবলার দিক থেকে তার পুরা শরীর সরে না যায়।
অতঃপর মজবূত বাঁশ মাটিতে সোজাভাবে গেড়ে ঐ গর্ত ঢেকে দেয়া হবে এবং পুরা কবর মাটি দিয়ে পূর্বের নিয়মে ভরাট করা হবে।
(খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২৩,
গুনইয়াতুল মুতামালি পৃ.৫৯৮,
ইমদাদুল আহকাম ১/৮৩৯)

কিছু করণীয় কাজ

১। মাইয়্যেতের দাফনের কাজে উপস্থিত ব্যক্তিদের জন্য মুস্তাহার বা করণীয় এই যে, প্রত্যেকে দু’হাত দিয়ে কিছু মাটি মাইয়্যেতের মাথার দিক দিয়ে কবরে তিনবার ফেলবে
এবং প্রথমবার مِنْهَا خَلَقْنَا كم
দ্বিতীয়বার وفيها نعيد كم
ও তৃতীয়বার ومنها نخرج كم تارة اخرى পড়বে।
(মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/৭৬,
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৬)

২। দাফনের কাজ শেষ হওয়ার পর মুস্তাহাব এই যে, একজন মাইয়্যেতের মাথার নিকট সূরা বাকারার শুরু থেকে مفلحون পর্যন্ত—এবং পায়ের নিকট সূরা বাকারার শেষের দুই আয়াত তথা امن الرسول থেকে শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করবে।
(শু‘আবুল ঈমান হা.নং ৮৮৫৪,
রদ্দুল মুহতার ২/২৪৩)

কিছু বর্জনীয় কাজ

১। অনেক এলাকায় দাফনের কাজ শেষ হওয়ার পর কবরের চার কোনায় চারটি খুটি গাড়ার এবং চার ক্বূল পড়ার প্রথা আছে।
কোথাও কবরের মাঝ বরাবর খেজুরের ডাল গাড়া হয়, শরী‘আতের দৃষ্টিতে এর কোন ভিত্তি নেই।
সুতরাং এই প্রথার অনুসরণ সুন্নত বা সাওয়াবের কাজ মনে করা বিদআত বা মারাত্মক গুনাহ।
(সহীহ বুখারী হা.নং ২৬৯৭,
সহীহ মুসলিম হা.নং ১৭১৮)

২। আবার কোন কোন জায়গায় কবরে ফুল দেয়া হয় ।
শরী‘আতের দৃষ্টিতে এটাও নাজায়িয।
(নযামুল ফাতাওয়া ২/১৭৬,।
ফাতাওয়া রহীমিয়্যাহ ১/১২৩)
সংগৃহীত ও কপিকৃত

Address

Habiganj
3400

Telephone

+8801739092267

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fawjia media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Fawjia media:

Videos

Share