মদিনার কামলিওয়ালা

মদিনার কামলিওয়ালা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দামী।আমলে সালেহ করে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করতে হবে। সফলতা আসবে।

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহ্ পাক আমাকে ঈমানের মতো সম্পদ দান করেছেন । এজন্য লক্ষ লক্ষ শুকরিয়া আদায় করছি।
যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।

তালিমে  বসার আদব ~ ওযু করে নেয়া, সম্ভব হলে খুশবু লাগানো, গোলাকার হয়ে গায়ে গায়ে লেগে বসা, আত্তাহিয়াতুর সুরতে বসা, আমালের ...
17/12/2023

তালিমে বসার আদব ~ ওযু করে নেয়া, সম্ভব হলে খুশবু লাগানো, গোলাকার হয়ে গায়ে গায়ে লেগে বসা, আত্তাহিয়াতুর সুরতে বসা, আমালের নিয়তে বসা, মোজাহাদার সঙ্গে বসা, দিলকে খালী করে বসা, জরুরতকে দাবিয়ে বসা।

16/12/2023
রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হ...
14/12/2023

রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।
(আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১০৪৭)।

নিজের এসলাহের জন্য ৮টি জিনিসের উপর মেহেনত করতে হবে—ক) কালেমার মেহেনত দ্বারা শিরিক দূর হবে ।খ) নামাজের মেহেনত দ্বারা আল্র...
08/12/2023

নিজের এসলাহের জন্য ৮টি জিনিসের উপর মেহেনত করতে হবে—
ক) কালেমার মেহেনত দ্বারা শিরিক দূর হবে ।
খ) নামাজের মেহেনত দ্বারা আল্রাহ তায়ালার নাফরমানী হইতে হেফাজত হবে ।
গ) এলেমের মেহেনত দ্বারা অজ্ঞতা দূর হবে ।
ঘ) জিকিরের মেহেনত দ্বারা গাফলাতি দূর করতে হবে ।
ঙ) একরামের মেহেনত দ্বারা আল্রাহ তায়ালা আখলাককে দুরস্ত করবেন ।
চ) নিয়তের মেহনতের দ্বারা রিয়াকারী দুর হবে ।
ছ) তাবলীগের মেহনত দ্বারা কৃপনতা ও অহংকার দূর হবে ।
জ) সুন্নাতের মেহেনত (আমল) দ্বারা বেদায়াত হইতে হেফাজত হবে ।
আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা আমলের সাথে আছে ,আসবাবের সাথে নাই।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সবাই কে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।আমীন।
‌ ❤️❤️❤️❤️❤️

পুরুষের দায়েমী ফরজ ৩ টি:~১। সব সময় ঈমানী হালতে থাকা।২। সতর ঢেকে রাখা।৩। মা-বোনকে পর্দায় রাখা।একজন মহিলার জন্য দায়েমী ফরজ...
07/12/2023

পুরুষের দায়েমী ফরজ ৩ টি:~

১। সব সময় ঈমানী হালতে থাকা।
২। সতর ঢেকে রাখা।
৩। মা-বোনকে পর্দায় রাখা।

একজন মহিলার জন্য দায়েমী ফরজ ৫ টি:~

১। সব সময় ঈমানী হালতে থাকা।
২। সতর ঢেকে রাখা।
৩। পর্দা করা।
৪। ছোট আওয়াজে কথা বলা।
৫। স্বামীর সম্পদের হেফাজত করা।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সবাই কে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।আমীন।
❤️❤️❤️

25/11/2023

শরীফের সাথে

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার এই দরুদ শরিফ পাঠ করে- ‘...
24/11/2023

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার এই দরুদ শরিফ পাঠ করে- ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিইয়্যিল উম্মিইয়ি ওয়া আলা আলিহি ওয়া আস হাবিহি ওয়াসাল্লিমু তাসলিমা’। তার ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যায় এবং ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়।
’ -আফজালুস সালাওয়াত : ২৬

19/11/2023

সবুজের দেশ বাংলাদেশ।

13/11/2023

মাল স্বয়ং খারাপ জিনিস নয়

অপর এক হাদীসে আছে, এই মাল সবুজ শ্যামল ও মিষ্টি জিনিস, যে ব্যক্তি ইহাকে ন্যায়ভাবে হাসিল করে, তাহার জন্য ইহাতে বরকত দেওয়া হয় । অন্য হাদীসে আছে, দুনিয়া কতই না উত্তম ঘর ঐ ব্যক্তির জন্য, যে উহাকে আখেরাতের পাথেয় বানায় এবং আল্লাহ তায়ালাকে (উহার মাধ্যমে) রাজী করিয়া লয়। আর কতই না মন্দ ঐ ব্যাক্তির জন্য , যাহাকে এই দুনিয়া আখেরাত হইতে ফিরাইয়া দেয় এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে অক্ষমতা সৃষ্টি করিয়া দেয় । (কানয) মোটকথা, অনেক রেওয়াতে এই বিষয় বর্ণিত হইয়াছে যে, সম্পদ প্রকৃতপক্ষে খারাপ জিনিস নয়; বরং ভাল জিনিস ও কাজের জিনিস- দ্বীনি ও দুনিয়বী অনেক ফায়দা উহার সহিত জড়িত রহিয়াছে । এইজন্যই অনেক হাদীসে রুজি কামাই করিবার ও মাল হাসিল করিবার প্রতি উৎওসাহ প্রদান করা হইয়াছে । কিন্তু ইহাতে যেহেতু একটি বিষাক্ত উপাদান রহিয়াছে এবং মানুষের অন্তর সাধারণতঃ রোগাক্রান্ত হইয়া থাকে, এই জন্য অধিক পরিমাণে কুরআন পাকের আয়াত ও হাদীসসমূহে মালের আধিক্য ও প্রাচুর্য হইতে বাঁচিবার উৎসাহ প্রদা করা হইয়াছে, আল্লাহ তায়ালা যে বান্দাকে মহববত করেন , দুনিয়া হাইতে তাহাকে এমন ভাবে হেফাজত করেন ও বিশেষতঃ বাঁচাইয়া রাখেন যেমন তোমরা আপন রোগীকে পানি হইতে বাঁখ। (মিশকাত) অথচ পানি কত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী জিনিস যে, উহার উপরই জীবন নির্ভর করে; উহা ছাড়া বাঁচা যায় না। কিন্তু এই সবকিছু সত্বেও যদি চিকিৎসক কোন রোগী সম্পর্কে পানি ক্ষতিকর হওয়ার কথা বলিয়া দেয়, তবে রোগীকে পানি হইতে ফিরাইয়া রাখিবার জন্য কতই না চেষ্টা ও তদবীর করা হয়। ইহা কেন? এইজন্য যে মালের প্রাচুর্যের দ্বারা সাধারণতঃ ক্ষতি বেশী হইয়া থাকে । আর ইহা এই কারণে যে, আমাদের অন্তর এমন পরিষ্কার নয় যে, সম্পদের নেশার দ্বারা প্রভাবিত হইবে না। এই কারণেই হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র এরশাদ রহিহয়াছে যে, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কি এমন আছে, যে পানির উপর দিয়া চলিবে অথচ তাহার পা পানিতে ভিজিবে না? সাহাবায়ে কেরাম (রাযিঃ) আরজ করিলেন, ইয়া রাসূলল্লাহ! এমন তো কেহই নেই। হুযূও সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিলেন, দুনিয়াদার লোকদেরও এই অবস্থা যে গুনাহ হইতে বাঁচা তাহাদের জন্য মুশকিল। (মিশকা ) আর বাস্তবেও ইহা দেখা যায় যে, কৃপনণতা , হিংসা অহংকার, আতœগর্ব, বিদ্বেষ, রিয়া পরস্পর অহমিকা ইত্যাদি যত করকম আধ্যাতিœক রোগ ও পাপাচার রহিয়াছে, সব সম্পদেও কারণে অতি জলদি ও অধিক পরিমাণে পয়দা হয় । অনুরুপভাবে স্বেচ্ছাচারিতা,মদ্যপান,জুয়া, সুদখোরী ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার প্রবৃত্তিগত পাপাচারও উহার কারণে অনেক বেশী হইয়া থাকে। তদুপরি মালের প্রতি স্বভাবগত মহব্বত ও আকর্ষণ অন্তরসমূহে এমন পর্যায়ে স্থান করিয়া রাখিয়াছে যে, মানুষের কাছে উহা যত বেশী পরিমাণেই হউক না কেন, সর্বদা আরও বেশী পরিমাণের জন্য আগ্যহী থাকে এবং উহার চেষ্টায় মগ্ন থাকে। এইজন্যই বিভিন্ন রেওয়ায়াতে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এরশাদ রহিয়াছে যে মানুষের কাছে যদি স্বর্ণেও দুইটি ময়দানও থাকে, তবু সে তৃতীয়টির আগ্রহী হয় । দুনিয়ার বাস্তব অভিজ্ঞতা যে, কোন ব্যক্তি কোন পরিমাণের উপরই সন্তুষ্ট হয় না । তবে আল্লাহ পাক কাহাকেও হেফাজত করিলে তাহা ভিন্ন কথা। এই কারণেই কুরআন পাক ও হাদিসসমূহে বেশী পরিমাণে কানাআত অর্থাৎ অল্পে দুষ্টির প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হইয়াছে। যাহাত এই গো-ক্ষুধা রোগের কিছুটা উপশম হয় । এই জন্য দুনিয়ার হাকীকত এবং উহার অপবিত্রতা ও ক্ষণস্থায়িত্ব পরিষ্কার করিয়া দেওয়া হইয়াছে, যাহাতে দুনিয়াার প্রতি আকর্ষণ ও মহব্বত কম হয় । কেননা , যে জিনিস সর্বাবস্থায় শীঘ্রই ধ্বংস হইয়া যাইবে, উহার সহিত মানুষ কেন দিল লাগাইবে? দিল লাগাইবার জিনিস একমাত্র উহাই, যাহা সব সময় থাকে এবং সবসময় কাজে আসে। এইজন্যই ছবরের তাকীদ ও উহার জন্য উৎসাহ প্রদান অধিক পরিমাণে বর্ণিত হইয়াছে। যাহাতে মানুষ এই সম্পদেও স্বল্পতাকে কোন রকম মুসীবত মনে না করে। বরং ইহহার মধ্যে অনেক সময় আল্লাহ তায়ালার বড় বড় হেকমত ও রহস্য লুকায়িত থাকে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন ”আল্লাহ তায়াল যদি আপন বান্দাদের রিযিক প্রশস্ত করিয়া দেন তবে তাহারা পৃথিবীতে অবাধ্যতা শুরু করিয়া দিবে। (শূরাঃ ২৭) অভিজ্ঞতাও এই যে, যেখানে সম্পদেও প্রাচুর্য রহিয়াছে, সেখানে মাত্রাতিরিক্ত ফাসাদ ও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আর যেহেতু সম্পদের প্রাচুর্য মূল উদ্দেশ্য নয় তদুপরি মানুষের অন্তওে সম্পদের প্রতি স্বভাবগত আকর্ষণও রহিয়াছে, এই কারণে ছওয়াল করার নিষিদ্ধতা ও উহার নিন্দা অধিক পরিমাণে উল্লেখ করা হইয়াছে। সম্পদেও প্রতি মহব্বত ও আকর্ষণের ফলে মানুষ অক্ষম ও অপারগ না হওয়া সত্বেও ছওয়াল আরম্ভ করিয়া দেয় । কেননা, ইহাতে মেহনত তো কিছু না কিছুই করিতে হয় না; সামান্য একটু জবান নাড়াচাড়া করিলেই কিছু না কিছু পাওয়া যায়; আর এই ভাবে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। এইজন্যই এই তিনটি বিষয়
অর্থাৎ
(১) কানাআত (অল্পে তুষ্টি),
২) মুসীবতের উপর ছবর ও
(৩) ছওয়াল করার নিন্দা সম্পর্কে কিছু আয়াত ও হাদীস এই জায়গায় লেখা হইতেছে

••• নামাজী কুলির কেচ্ছা ~~~     কথিত আছে যে কুফা নগরে একজন জনপ্রিয় বিশ্বাসী কুলি ছিল। বিশ্বস্ততার কারনে ব্যবসায়ীরা তার...
12/11/2023

••• নামাজী কুলির কেচ্ছা ~~~

কথিত আছে যে কুফা নগরে একজন জনপ্রিয় বিশ্বাসী কুলি ছিল। বিশ্বস্ততার কারনে ব্যবসায়ীরা তার দ্বারা এক শহর থেকে আরেক শহরে মালপত্র আনা নেয়া করত। একবার সেই কুলি কোথাও সফরে যাচ্ছিল, পথের মাঝে তার সাথে একজন লোকের দেখা হলো। কথায় কথায় লোকটি কুলির কাছ থেকে তার গন্তব্য কোথায় জেনে বল আমিও সেই শহরে যাব। তবে পায়ে হেটে চলা আমার পক্ষ্যে একটু কষ্টকর, আপনি দয়া করে যদি আমাকে আপনার খচ্চরের উপর আমাকে সওয়ার করে নেন তবে আমি আপনাকে একটি সোনার মুদ্রা দিব ভাড়া হিসাবে। বেচারা কুলি রাজি হয়ে তাকে খচ্চরের উপর তুলে নিল। পথে একটি দ্বিমুখী রাস্তায় এসে লোকটি কুলিকে জিজ্ঞেস করল ভাই কোন পথে যাবেন? কুলি পরিচিত পথের কথা বলল। সে লোক বলল অল্প সময়ে যেতে হলে অন্য পথে চলুন। এবং খচ্চরের জন্য এই রাস্তায় প্রচুর ঘাসও আছে। ফলে কুলি বেচারা সেই অপরিচিত পথে যেতে রাজি হয়ে গেল। কিছুদুর যাওয়ার পর দেখা গেল রাস্তাটি একটি ভয়ঙ্কর জঙ্গলের মাথায় শেষ হয়ে গেছে। কুলি আরো দেখতে পেল সেখানে অনেকগুলি মৃতদেহ পরে রয়েছে। সেখানে পৌছামাত্র ওই লোক খচ্চর থেকে লাফ দিয়ে নামল এবং ছুরি বের করে কুলিকে হত্যা করতে উদ্যত হল। অবস্থা বুঝে কুলি বেচারা লোকটির কাছে জীবন ভিক্ষা চাইল, তার বিনিময়ে খচ্চর ও বাকী ধন সম্পদ নিয়ে নিতে বলল। কিন্তু লোকটি কোন কথাই শুনতে চাইলনা, বলল আমি আগে তোমাকে হত্যা করব পরে তোমার জিনিসপত্র নিয়ে নিব। কুলি নিরুপায় হয়ে সকাতরে বলল, তাহলে আমাকে শেষবারের মত দুই রাকাত নামাজ পড়তে দাও। লোকটি রাজি হয়ে বলল তারাতারি নামাজ পড়ে নাও।কিন্তু মনে রেখ তাতে কোন কাজ হবে না। এসব মৃত লাশ যাদের তারাও শেষ নামাজ পরেছিল, কিন্তু নামাজ তাদেরকে আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। কুলি বেচারা নামাজ শুরু করল। কিন্তু কোন আয়াত তার মনে আসছিলনা। এদিকে সেই লোক তারাতারি নামাজ শেষ করার তাকীদ দিচ্ছিল। এরকম চরম মুহুর্তে হঠাত তার মুখ থেকে এই আয়াত উচ্চারিত হল: "আম্মায়ুজিবুল মুদ্তাররা ইযা দাআ হুয়া ইয়াকশিফুছআ "। কুলি কাদতে কাদতে এই আয়াত পড়তে লাগলো। হঠাত সেখানে উজ্জল লোহার শিরস্ত্রাণ পরা এক লোক উদয় হলেন। লোকটি বল্লমের দ্বারা সেই কুখ্যাত জালিমকে হত্যা করলেন। সেই জালিমের মৃতদেহ যেখানে লুটিয়ে পড়ল সেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো। নামাজরত কুলি তখন সেজদায় পরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল এবং দৌড়ে গিয়ে ওই লোককে জিজ্ঞেস করল, দয়া করে বলুন আপনি কে? এখানে কিভাবে আসলেন? তিনি বললেন আমি "আম্মায়ুজিবুল মুদ্তাররা" এর গোলাম। এখন তুমি যেখানে ইচ্ছা নিরাপদে যেতে পার এই বলে তিনি চলে গেলেন।

প্রকৃতপক্ষে নামায এমনই বড় দৌলত যে, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ছাড়াও দুনিয়ার বহু মুসীবত হইতেও নাজাতের কারণ হয়। আর দিলের শান্তি তো লাভ হইয়া থাকে।
ইবনে সীরীন (রহঃ) বলেন, যদি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করা এবং দুই রাকাত নামায পড়ার মধ্যে অধিকার দেওয়া হয়। তবে আমি দুই রাকাত নামায পড়াকে গ্রহণ করিব। ক্যাননা জান্নাতে প্রবেশ করাত আমার নিজের খুশির জন্য আর দুই রাকাত নামাজ হল আমার মালিকের খুশির জন্য। হুজুর (সাঃ)এর এরশাদ রহিয়াছে, বড়ই ঈর্ষার পাত্র ঐ মুসলমান, যে হালকা পাতলা হয় (অর্থাৎ যাহার পরিবার পরিজনের বোঝা কম হয়) আর যথেষ্ট পরিমাণে তাহার নামায পড়িবার সুযোগ হয়, জীবিকার ব্যাবস্থা কোনরূপে জীবন-যাপনের মত হয়, আর উহারই উপর সবর লরিয়া জীবন পার করিয়া দেয় , আল্লাহর এবাদত ভাল করিয়া করে , মানুশেরনিকট অপরিচিত থাকে শীঘ্র মৃত্যুবরন করে, পরিত্যক্ত সম্পত্তিও বেশি নাই, কান্নাকাটি করার লোকও তেমন কেহ নাই। (জামে সগীর)
এক হাদিসে আসিয়াছে, নিজের ঘরে নামায বেশি করিয়া পড়, ঘরে খায়ের বরকত বৃদ্ধি পাইবে। (জামে সগীর)
( ‌‌ফাজায়েলে আমাল।)

11/11/2023

~~ দ্বীন ব্যাতিত জীবন মূল্যহীন••••

আল্লাহ বলেন -আজ তোমরা চুপ থাক আমি কথা বলব।আজ আমি তোমাদের মুখের উপর তালা লাগিয়ে দেব।আজ তোমার হাত কথা বলবে।নখ কথা বলবে।এক একটি লোম কথা বলবে।এক একটি আঙ্গুল কথা বলবে।এক একটি হাড় কথা বলবে।এক একটি জোড়া কথা বলবে। বলবে - কি কি করছিলে শুক্রবার দিন।কী কী করেছিলে শনিবার দিন।কী কী করেছিলে রবিবার দিন।কী কী করেছিলে রাতে ও দিনে।কী কী করেছিলে বাজারে, ঘরে, দোকানে,প্রকাশ্যে। সেদিন মুখ বন্ধ থাকবে। শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কথা বলবে।এই করেছি,ঐ করেছি।সব বলে দিবে। আল্লাহর কসম! আমাদের এই দেহ আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে।এই দেহ কেয়ামতের দিন সবার আগে আমাদের সঙ্গে গাদ্দারী করবে। আল্লাহ জবানের তালা খুলে দিবেন। তারপর কেউ হবে হতভাগা,কেউ হবে ভাগ্যবান।যারা হবে হতভাগা তাঁরা যাবে জাহান্নামে,ভাগ্যবান যাবে জান্নাতে।স্পষ্ট হয়ে যাবে কে সফল আর কে বিফল।এটাই চুড়ান্ত ফয়সালা। আসুন সময় থাকতে হায়াতের জীবনের মৃল্য দেই।আল্লাহর আনুগত্য করি।

I've received 200 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
07/11/2023

I've received 200 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

লোকমান হাকীম আ. এর ৭৬টি উপদেশ১। বেটা !কর্জ হইতে নিজেকে হেফাজাত রাখিও।কেননা ইহা দিনের বেলায় অপমান এবং রাত্রিতে দুশ্চিন্ত...
06/11/2023

লোকমান হাকীম আ. এর ৭৬টি উপদেশ
১। বেটা !কর্জ হইতে নিজেকে হেফাজাত রাখিও।কেননা ইহা দিনের বেলায় অপমান এবং রাত্রিতে দুশ্চিন্তা।
২। বেটা !তুমি মোরগের চাইতে বেশী অক্ষম হইও না।সে তো শেষ রাত্রিতে জাগিয়া চিৎকার শুরু করিয়া দেয়,আর তুমি নিজের বিছানায় পড়িয়া ঘুমাইতে থাকো।
৩। বেটা ! গুরুত্ব সহকারে জানাযায় শরীক হইও এবং অহেতুক অনুষ্ঠানাদি শরীক
হওয়া হইতে বাঁচিয়া থাকিও।
৪। বৎস আল্লাহর সান্নিধ্ধ অবলম্বন করবে ।
৫। অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে আমল করার চেষ্টা কর ।
৬। নিজের মান মর্যাদা বজায় রেখে কথা বলবে ।
৭। ভাল মানুষ রূপে বিবেচিত হওয়ার চেষ্টা করবে ।
৮। স্বীয় অধিকারের প্রতি সচেতন থাকবে ।
৯। গোপন তথ্য কারো নিকট প্রকাশ করবে না ।
১০। বিপদে বন্ধুর পরীক্ষা নিবে ।
১১। বন্ধুদের ভাল মন্দ উভয়টাই পরীক্ষা করবে ।
১২। বিচক্ষণ এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করবে ।
১৩। ভালকাজে পুণঃপুণঃ অংশগ্রহণ করবে ।
১৪। নিজের কথা প্রমাণ করে দিবে ।
১৫। বন্ধুদের সাধ্যমত ভালবাসবে ।
১৬। শত্রু মিত্র সকলের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করবে ।
১৭। মাতা পিতাকে সর্বাধিক সম্মান করবে ।
১৮। শিষ্যকে সর্বাধিক মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে ।
১৯। আয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্যয় করবে ।
১৯। প্রত্যেক কাজে মধ্যপন্হা অবলম্বন করবে ।
২০। কথা বলার সময় মুখ আয়ত্বের মধ্যে রাখবে ।
২১। বীরত্ব কে নীতি হিসাবে গ্রহণ করবে ।
২২। শরীর এবং পোষাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে ।
২৩। ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবে ।
২৪। প্রচলিত অস্ত্র সস্ত্র ও যানবাহন পরিচালনা শিখে নিবে ।
২৫। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রদান করবে ।
২৬। রাতের বেলায় যদি কথা বলার প্রয়োজন হয় তাহলে আস্তে এবং নরম স্বরে কথা বলবে ।
২৭। দিনের বেলায় কথা বলার সময় চতুর্দিকে লক্ষ্য করে কথা বলবে ।
২৮। কম কথা বলা কম খাওয়া এবং কম ঘুমানোর অভ্যাস করবে ।
২৯। নিজের জন্য যা পচন্দ করো না তা অন্যের জন্য পচন্দ করবে না ।
৩০। বিচক্ষণতা ও কৌশল অবলম্বন করে কাজ করবে ।
৩১। উপযুক্ত শিক্ষিত না হয়ে অন্যকে শিখাতে যেও না ।
৩২। অন্যের ধন সম্পদের প্রতি লক্ষ্য করবে না ।
৩৩। নীতিহীনদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা আশা করবে না ।
৩৪। কোনো কাজেই চিন্তামুক্ত হইও না ।
৩৫। যে কাজ তুমি করনি এরূপ কাজ করেছ বলে মনে করো না ।
৩৬। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখবে না ।
৩৭। বড়দের সাথে হাসি ঠাট্টা করতে যেও না ।
৩৮। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করিও না ।
৩৯। তোমার প্রতি যারা আশা রাখে তাদের নিরাশ করো না ।
৪০। বড়দের সামনে কথা দীর্ঘায়িত করবে না ।
৪১। অতীতের তিক্ততা মনে রেখো না ।
৪২। নিজের ধন সম্পদের কথা অন্যের নিকট প্রকাশ করবে না ।
৪৩। সৎ লোকদের নিন্দা করবে না ।
৪৪। আপনজনদের কাছ থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হইও না ।
৪৫। অহংকার করবে না ।
৪৬। মানুষের সামনে দাঁত খেলাল করবে না ।
৪৭। মানুষের সামনে মুখে বা নাকে অঙ্গুল প্রবেশ করবে না ।
৪৮। শব্দ করে থুতু ফেলবে না ।
৪৯। হাই তোলার সময় মুখে হাত রাখবে ।
৫০। কাউকে জনসম্মুখে লজ্জা দিবে না ।
৫১। চোখ দিয়ে ইঙ্গিত করবে না ।
৫২। এক কথা বারবার বলবে না ।
৫৩। তামাশা মূলক অবাস্তব কথা বলবে না ।
৫৪। ঠাট্টা বিদ্রুপ থেকে বিরত থাকবে ।
৫৫। অন্যের সামনে নিজের প্রশংসা করবে না ।
৫৬। মেয়েদের ন্যায় সাজসজ্জা করবে না ।
৫৭। কথা বলার সময় হাত নাড়াচাড়া করবে না ।
৫৮। আপনজনদের শত্রুর সাথে উঠাবসা করবে না ।
৫৯। কারো মৃত্যুর পর তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবে না ।
৬০। যথাসম্ভব ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকবে ।
৬১। সৎলোকের প্রতি সুধারণা রাখবে ।
৬২। নিজের খানা অন্যের দস্তারখানায় নিয়ে যাবে না ।
৬৩। কোনো কাজেই তাড়াহুড়ো করবে না ।
৬৪। পার্থিব স্বার্থের মোহে নিজেকে দুঃখ কষ্টে ফেল না ।
৬৫। রাগান্বিত অবস্থায়ও ধীর শান্ত ভাবে কথা বলবে ।
৬৬।জামার আস্তিন দ্বারা নাক পরিস্কার করবে না ।
৬৭। সূর্য উদয়ের পূর্বেই শয্যা ত্যাগ করবে ।
৬৮। পথ চলার সময় বড়দের আগে চলবে না ।
৬৯। এদিক সেদিক উকি মেরে দেখবে না ।
৭০। অন্যের কথার মধ্যে বাধা দিয়ে কথা বলবে না ।
৭১। মেহমানের সামনে কারো প্রতি রাগান্বিত হইও না ।
৭২। সন্দেহপ্রবণতা ত্যাগ করতে না পারলে দুনিয়ায় তুমি কোনো বন্ধু খুঁজে পাবে না।
৭৩। বেটা !তুমি এত মিষ্ট হইও না যে,মানুষ তোমাকে গিলিয়া ফেলে।আর
এত তিক্ত হইও না যে মানুষ তোমাকে থুথুর মতো ফেলিয়া দেয়।
৭৪। বেটা !নিজের খানা আল্লাহ্ভীরু লোকদের ব্যতীত কাহাকেও খাওয়াইও না।
আর নিজের কাজে আলেমগনের নিকট হইতে পরার্মশ লইতে থাকিও।
৭৫। বেটা !মূর্খের সহিত বন্ধুত্ব করিও না।এমন না হয় তাহার মূর্খতাসুলভ
কথাবার্তা তোমার ভালো লাগিত আরম্ভ করে।আর জ্ঞানী লোকের সহিত
শত্রুতা করিও না।এমন না হয় যে,সে তোমার দিক হইতে মুখ ফিরাইয়া রাখে।
৭৬। বেটা !তুমি যেদিন হইতে দুনিয়াতে আসিয়াছ,প্রতিদিন আখেরাতের নিকটবর্তী হইতেছে।

∆∆∆ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সবাই কে বুঝার ও আমল করার তাওফীক দান করুন।আমীন।
❤️❤️❤️

I've received 200 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
04/11/2023

I've received 200 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

👍   মুসলিম হয়ে যারা নামাজ না পড়ে কিংবা গাফিলতি করে নামাজ ত্যাগ করেন তাঁদের জন্য নিম্নোক্ত হাদীস টি কমপক্ষে তিন বার পাঠ...
02/11/2023

👍 মুসলিম হয়ে যারা নামাজ না পড়ে কিংবা গাফিলতি করে নামাজ ত্যাগ করেন তাঁদের জন্য নিম্নোক্ত হাদীস টি কমপক্ষে তিন বার পাঠ করা জরুরী বলে আমি মনে করি ।

∆∆∆বে-নামাযীর জন্য ১৪ প্রকার শাস্তি ?

হাদীস শরীফে এসেছেঃ যে ব্যক্তি নামাযের ব্যাপারে অবহেলা প্রদর্শন করে। আল্লাহ তায়া’লা তাকে চৌদ্দ প্রকার শাস্তি প্রদান করেন।
পাঁচ প্রকার শাস্তি দুনিয়াতে -৫
তিন প্রকার মৃত্যুর সময়ে -৩
তিন প্রকার শাস্তি কবরে -৩
তিন প্রকার কিয়ামতের দিন -৩
মোট ১৪ প্রকার শাস্তি

দুনিয়ায় পাঁচ প্রকার শাস্তিঃ
১. তার জীবন ও জীবিকার বরকত কেড়ে নেয়া হবে।
২. তার চেহারা হতে নেক্কার লোকদের নূর মুছে ফেলা হবে।
৩. সে যেকোন নেক আমল করুক আল্লাহ তায়া’লা তাতে কোন ছওয়াব দান করেন না।
৪. তার কোন দো’য়াই কবুল হয়না।
৫. নেককারদের দো’য়ায় তার কোন অংশ থাকে না। অর্থাৎ উক্ত দো’য়ার বরকত হতে বঞ্চিত থাকে।

মৃত্যু কালিন তিন প্রকার শাস্তিঃ
১. অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করবে।
৩. চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে। যদি সমস্ত পৃথিবীর সাগরের পানিও তাকে পান করান হয়, তবুও তার তৃষ্ণা নিবৃত্ত হবেনা।

কবরের তিন প্রকার শাস্তিঃ
১. তার কবর এত সংকীর্ণ করা হবে যে, তার এক পাঁজরের হাড় অন্য পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যায়।
২. তার কবরে আগুন জ্বালানো হয়, সে উহার শিখার উপর দিনরাত উলট-পালট অবস্থায় দগ্ধ হতে থাকে।
৩. তার কবরে একটি ভয়ংকর বিষধর অজগর নিয়োগ করা হবে। যার চোখ দু’টি আগুনের এবং নখরগুলি লোহার তৈরী হবে। অজগরটি বজ্রের ন্যায় আওয়াজ দিবে এবং মৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টা রাতদিন কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে।

কিয়ামতের তিন প্রকার শাস্তিঃ
১. অত্যন্ত কড়াকড়ি ভাবে বে নামাযীর হিসাব নেয়া হবে।
২. তার উপর আল্লাহর কহরের শাস্তি হবে।
৩. অত্যন্ত অপমানের সাথে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

অপর এক বর্ণনায় এসেছেঃ
কিয়ামতের দিন বে-নামাযীর কপালে তিনটি লাইন লিখা অবস্থায় উঠবে।
“হে আল্লাহর হক বিনষ্ট কারী। হে আল্লাহর গজবের পাত্র। দুনিয়াতে তুমি যেভাবে আল্লাহর হক নষ্ট করেছ, সে রূপ আজ তুমি আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত”।
‌[জাওয়াজেরে ইবনে হাজর মককী]।
(ফাজায়েলে আমাল)।

Allah will not look with mercy Hazrat Abu Hurairah Radiyallahu Anhu narrates that Rasulullah sallallahu alaihi wa sallam...
26/10/2023

Allah will not look with mercy Hazrat Abu Hurairah Radiyallahu Anhu narrates that Rasulullah sallallahu alaihi wa sallam said, 'Allah will not look (mercy) on the person on the Day of Resurrection, who arrogantly hangs the Izar (lungi/pajama) or wearable clothes (below the heels). (Bukhari, Muslim, Musnad Ahmad) Hazrat Abu Zar Radiyallahu Anhu narrates that Rasulullah Sallallahu Alaihi Wasallam said, Allah Ta'ala will not speak to three people on the Day of Resurrection, nor will He look back at them. Do not even purify them from their sins. Rather, there is severe punishment for them. Rasulullah sallallahu alayhi wa sallam said this three times. I asked, who are those who have no way of liberation. He said, They are the person who hangs clothes (lungi/pants/pajama) below the ankles. A person who falsely swears/swears to sell business goods. A person who after doing a favor backstabs.' (Muslim, Tirmidhi, Abu Dawud and Ibn Majah)

মুসীবতে ধৈর্যধারণ করার ফযীলত ••••     আমি তোমাদের পরীক্ষা করিব কিঞ্চিত ভয় দ্বারা (যাহা বিরুধীদের পক্ষ হইতে অথবা বিভিন্ন ...
15/10/2023

মুসীবতে ধৈর্যধারণ করার ফযীলত ••••

আমি তোমাদের পরীক্ষা করিব কিঞ্চিত ভয় দ্বারা (যাহা বিরুধীদের পক্ষ হইতে অথবা বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে আসিবে।) এবং কিঞ্চিত দরিদ্রতা ও ক্ষুধা দ্বারা, আর কিঞ্চিত মাল ও জান ও ফল শস্যের কমতি দ্বারা ।
(অতএব, এই ধরনের যে সমস্ত জিনিস তোমাদেও সম্মুখে আসিবে উহার উপর ছবর করিবে।) আপনি ঐ সমস্ত ছবরকারীদেরকে সুসংবাদ শুনাইয়া দিন ( যাহাদের অভ্যাস এই ) যে, যখন তাহাদের উপর কোন মুসীবত আসে , তখন তাহারা ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন পড়ে। ইহারাই ঐ সমস্ত লোক, যাহাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার বিশেষ বিশেষ রহমত এবং সাধারণ রহমতও রহিয়াছে। আর এই সমস্ত লোকই হেদায়াতপ্রাপ্ত।
(বাকারাঃ ১৫৫-১৫৭)
ফায়দঃ মুসীবতের সময় মৌখিক ইন্না লিল্লাহ পড়া উপকারী ও সওয়াবের কাজ । অন্তরেও উহার অর্থ বুঝিয়া পড়া আরো অধিক কার্যকর, সওয়াব ও প্রশান্তির কারণ । ইহার অর্থ এই যে, আমরা সকলেই (নিজেদের জান-মাল সহকারে) আল্লাহ তায়ালারই মালিকানাভুক্ত, (আর মালিকের জন্য নিজের মালিকানায় সর্বপ্রকার অধিকার খাটাইবার হক রহিয়াছে। তিনি যেভাবে চাহেন অধিকার খাটাইতে পারেন) এবং আমরা সকলেই আল্লাহ তায়ালারই দিকে ফিরিয়া যাইব। অর্থাৎ মৃত্যুর পর সকলকেই সেখানে যাইতে হইবে। এই জগতের ক্ষতি ও কষ্টসমূহের বদলা ও সওয়াব অধিক পরিমাণে সেখানে পাওয়া যাইবে। যেমন দুনিয়াতে যদি কোন ব্যক্তির কিছু ক্ষতি হইয়া যায় এবং তাহার পূর্ণ বিশ্বাস থাকে যে, অতি শ্রীঘ্রই এই ক্ষতির বিনিময়ে সে অনেক বেশী পাইয়া যাইবে, তবে উক্ত ক্ষতির কারণে তাহার সামান্য মাত্রও কষ্ট হয় না। এমনিভাবে, যদি আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক হইতে অধিক বদলা পাওয়ার একীন হইয়া যায়, তবে সামান্যতম কষ্টও থাকে না । কিন্তু আমাদেও মধ্যে ঈমান ও একীনের স্বল্পতার কারণে সামান্য দুঃখ, সামান্য কষ্ট, সামান্য ক্ষতিও আমাদের জন্য বড় মুসীবত হইয়া যায়। আল্লাহ তায়ালা কালামে পাকে এই দিকেও সংক্ষিপ্তভাবে ও বিস্তারিতভাবে অনেক জায়গায় সতর্ক করিয়াছেন যে , এই দুনিয়া কঠিন পরীক্ষার জায়গা এবং বিভিন্ন প্রকারের পরীক্ষা হইয়া থাকে – কখনও সম্পদের প্রাচুর্যের দ্বারা যে, কিভাবে কামাই করিয়াছে এবং কিভাবে খরচ করা হইতেছে, আর কখনও দারিদ্র ও ক্ষুধার দ্বারা যে, উহাকে কিভাবে গ্রহণ করা হইতেছে- হা-হুতাশের মাধ্যমে, নাকি ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে। এই জন্যই বারবার ধৈর্য, নামায ও আল্লাহর দিবে রুজু হইবার জন্য উৎসাহিত করা হয় এবং এই ব্যাপারে সতর্ক করা হয় যে, তোমরা বর্তমানে পরীক্ষার মধ্যে রহিয়াছ; এমন যেন না হয় যে, এই পরীক্ষায় ফেল হইয়া যাও।
(ফাযায়েলে সাদাকাত।)👍

15/10/2023

এতো সুন্দর গরু!

বায়তুল্লাহর ঘরে একদিন!
15/10/2023

বায়তুল্লাহর ঘরে একদিন!

যিকির সম্পর্কিয় হাদিসের বর্ননা-   হুজুর (সাঃ) এরশাদ ফরমাইয়াছেন, জান্নাতে প্রবেশ করার পর জান্নাতবাসীদের দুনিয়ার কোন জিনিস...
15/10/2023

যিকির সম্পর্কিয় হাদিসের বর্ননা-
হুজুর (সাঃ) এরশাদ ফরমাইয়াছেন, জান্নাতে প্রবেশ করার পর জান্নাতবাসীদের দুনিয়ার কোন জিনিসের জন্য আফসোস বা অপেক্ষা হইবে না , শুধুমাত্র অই সময়টুকুর জন্য আফসোস হইবে যাহা দুনিয়াতে আল্লাহর জিকির ছাড়া কাটীয়াছে। (দুররে মানসূর, তাবারানী, বায়হাকী)

10/10/2023

প্রিয় একজন মানুষ ❤️

🎙️ মেস‌ওয়াক ব্যবহারের ৪৬ টি ফজিলত!'👇১. আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হন।২. নামাজেরর সওয়াব নিরানব্বই বা চারশ গুন।৩. কথায় সচ্ছলত...
02/10/2023

🎙️ মেস‌ওয়াক ব্যবহারের ৪৬ টি ফজিলত!'👇
১. আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হন।
২. নামাজেরর সওয়াব নিরানব্বই বা চারশ গুন।
৩. কথায় সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়।
৪. জীবিকা নির্বাহ সহজ হয়।
৫. মুখ পরিষ্কার হয়।
৬. দাতের মাড়ি মজবুত হয়।
৭. মাথার রোগ নিরাময় হয়।
৮. কোন স্থীর রগ নড়াচরা করে না এবং নড়াচড়াকারী রগ স্থীর হয় না।
৯. কফ দূর হয়।
১০. দাত শক্ত হয়।
১১. দৃষ্টি শক্তি ঠিক ও তীক্ষ্ণ থাকে।
১২. পাকস্থালী সুস্থ্য থাকে ও পরিষ্কার হয়।
১৩. শরীর শক্তিশালী হয়।
১৪. স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৫. অন্তর পবিত্র হয়।
১৬. নেকী বেড়ে যায়।
১৭. ফেরেস্তাগন খুশি হন।
১৮. ফেরেস্তা তার সাথে মোছাফাহা করেন।
১৯. মসজিদ থেকে বের হলে ফেরেস্তাগন পিছনে পিছনে চলেন।
২০. নবী রাসূলগন তার জন্য ক্ষমার দোয়া করেন।
২১. শয়তান অসন্তুষ্ট হয় ও বিতাড়িত হয়।
২২. খাবার হজমে সহায়তা করে।
২৩. অধিক সন্তান লাভ হয়।
২৪. বার্ধক্য বিলম্বে আসে।
২৫. পীঠ মজবুত হয়।
২৬. উষ্ণতা দূর হয়।
২৭. দাত সাদা হয়।
২৮. মুখে সুঘ্রাণ আনে।
২৯. পেটের রোগ দূর হয়।
৩০. কণ্ঠ সুন্দর হয়।
৩১. জিহ্বা পরিষ্কার হয়।
৩২. বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হয়।
৩৩. আর্দ্রতা বন্ধ হয়।
৩৪. প্রয়োজন পুরা হতে সাহায্য করে।
৩৫. যারা মেসওয়াক করে না তাদের সাওয়াব তার আমল নামায় লেখা হয়।
৩৬. বীর্য ঘন হয়।
৩৭. দুনিয়া হতে পবিত্র হয়ে যায়।
৩৮. ফেরেস্তাগন তাকে নবীদের অনুসারী বলে।
৩৯. কবর প্রশস্ত হয়।
৪০. মৃত্যুর কষ্ট তাড়াতাড়ি শেষ হয়।
৪১. মৃত্যুর সময় কালেমা নসীব হয়।
৪২. মৃত্যুর সময় ফেরেস্তাগন সম্মানের সাথে উপস্থিত হয়।
৪৩. আমল নামা ডান হাতে পাওয়া যায়।
৪৪. পুলসিরাত বিজলীর মতো পার হওয়া যায়।
৪৫. জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।
৪৬. জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়।
❑ আল্লাহ আমাদেরকে মিসওয়াকের আমল করার তৌফিক দান করেন।🥰

এতেকাফকারী যাবতীয় গোনাহ হইতে মুক্ত থাকে!    ====== ‌====== =======    =====  ======নবী করীম সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লা...
26/09/2023

এতেকাফকারী যাবতীয় গোনাহ হইতে মুক্ত থাকে!
====== ‌====== ======= ===== ======

নবী করীম সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, এতেকাফকারী যাবতীয় গোনাহ হইতে মুক্ত থাকে এবং তাহার জন্য ঐ পরিমাণ নেকী লিখা হয় যে পরিমাণ আমলকারীর জন্য লিখা হইয়া থাকে।
(মিশকাতঃ ইবনে মাজাহ)

ফায়দাঃ - এই হাদীসে এতেকাফের দুইটি বিশেষ
‌‌ উপকারিতা বর্ণনা করা হইয়াছে‌-

প্রথমতঃ এতেকাফের কারণে গোনাহ হইতে হেফাজত হয় । কেননা কোন কোন সময় গাফলত ও ভুল-ত্রুটির কারণে এমন কিছু অবস্থার সৃষ্টি হইয়া যায়, যাহাতে মানুষ গোনাহে লিপ্ত হইয়া পড়ে। আর এই মুবারক সময়ে গোনাহ হইয়া যাওয়া কত বড় অন্যায়! এতেকাফের ওসীলায় এইসব গোনাহ হইতে মুক্ত থাকা সম্ভব হয় ।

দ্বিতীয়তঃ এতেকাফে বসিবার কারণে রোগীর সেবা, জানাযায় শরীক হওয়া ইত্যাদি বহু নেক কাজ করা তাহার পক্ষে সম্ভব হয় না। অথচ এতেকাফের ওসীলায় এইসব এবাদত না করিয়াও সে এইগুলর সওয়াবের অধিকারী হয়। আল্লাহু আকবার কত বড় দয়া ! আর কত বড় রহমত! মানুষ এবাদত করে একটি আর সওয়াব পাইতে থাকে দশটির । প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর রহমত শুধু বাহানাই তালাশ করে; সামান্য আগ্রহ ও চাহিদামাত্রই মুষলধারে বর্ষিত হইতে থাকে। অর্থঃ সামান্য বাহানায় অনেক কিছু দিয়া দেন আবার অনেক যোগ্যতার উপরও কিছুই দেন না। কিন্ত আমাদের নিকট উহার কোন কদরই নাই; উহার প্রয়োজনই নাই, কাজেই দয়া কে করিবে? আর কেনই বা করিবে? আমাদের অন্তরে তো দ্বীনের কোন গুরুত্বই নাই। অর্থাৎ, হে শহীদি! আল্লাহর অপার অনুগ্রহ তো সকলের প্রতিই সমান বর্ষিত হয়। যদি তুমি যোগ্য হইতে তবে তোমার প্রতি তো তাহার কোন জিদ ছিল না।

•••••    কোরআনের ফজিলত    •••••                ===============    হযরত আবূ হুরায়রা (রাজিঃ) হইতে বর্নিত, হুজুর (সাঃ) এরশা...
19/09/2023

••••• কোরআনের ফজিলত •••••
===============


হযরত আবূ হুরায়রা (রাজিঃ) হইতে বর্নিত, হুজুর (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন, তোমরা কুরআন শিক্ষা কর অতঃপর উহা তেলয়াওয়াত কর। কেননা, যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করে ও তেলাওয়াত করে এবং তাহাজ্জুদ নামাজে পড়িতে থাকে, তাঁহার দৃষ্টান্ত ঐ থলির যাহা মেশকের দ্বারা ভরপুর; ঊহার খোশবু সর্বত্র ছড়াইয়া পড়ে। আর যে ব্যক্তি কোরআন শিক্ষা করিল এবং রাত্রে ঘুমাইয়া কাটাইয়া দিল তাঁহার দৃষ্টান্ত মেশকের ঐ থলির মত যাহার মুখ বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে।
অর্থাৎ যে ব্যক্তি কুরআনে পাক শিক্ষা করিল এবং উহার যত্ন করিল, রাত্রের নামাজে তেলাওয়াত করিল, তাঁহার দৃষ্টান্ত সেই মেশকের পাত্রের মত যাহার মুখ খোলা রহিয়াছে এবং খোশবুতে সারা ঘর মোহিত হয়। তদ্রুপ হাফেজের তেলাওয়াতের দরুন সমস্ত ঘর নূর ও বরকতে ভরপুর থাকে। আর যদি হাফেজ রাতে ঘুমাইয়া থাকে বা গাফলতির কারনে তেলাওয়াত না করে তবুও তাঁহার অন্তরে যে কালামে পাক রহিয়াছে উহা সর্বাবস্থায় মেশক । এই গাফলতির কারণে তেলাওয়াত না করে, তবুও তাঁহার অন্তরে যে কালামে পাক রহিয়াছে উহা সর্বাবস্থায় মেশ্‌ক। এই গাফলতির কারণে ক্ষতি এই হইল যে, অনযান্য লোকেরা উহার বরকত হইতে মাহরুম রহিল। কিন্তু তাঁহার অন্তর তো এই মেশকের নিজের ভিতরে ধারন করিয়াই রাখিয়াছে।
(তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান)।

আমি কি নিজেই কোন দূর দ্বীপবাসী এক আলাদা মানুষ?  নাকি বাধ্যতামূলক আজ আমার প্রস্থান,  তবে কি বিজয়ী হবে সভ্যতার অশ্লীল স্ল...
16/09/2023

আমি কি নিজেই কোন দূর দ্বীপবাসী এক আলাদা মানুষ?
নাকি বাধ্যতামূলক আজ আমার প্রস্থান,
তবে কি বিজয়ী হবে সভ্যতার অশ্লীল স্লোগান?

আমি তো গিয়েছি জেনে প্রণয়ের দারুণ আকালে
নীল নীল বনভূমি ভেতরে জন্মালে
কেউ কেউ চলে যায়, চলে যেতে হয়
অবলীলাক্রমে কেউ বেছে নেয় পৃথক প্লাবন,
কেউ কেউ এইভাবে চলে যায় বুকে নিয়ে ব্যাকুল আগুন।

•••• জান্নাতে প্রবেশের জন্য নামাজীর যামানত ?••••      হুজুর (সা:) বলেন, আল্লাহপাক বলেছেন, তোমার উম্মতের উপর আমি পাচ ওয়া...
16/09/2023

•••• জান্নাতে প্রবেশের জন্য নামাজীর যামানত ?••••

হুজুর (সা:) বলেন, আল্লাহপাক বলেছেন, তোমার উম্মতের উপর আমি পাচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছি এবং এই ওয়াদা করেছি যে, যে ব্যক্তি এই নামাজ সমূহকে গুরুত্বসহকারে সময়মত আদায় করবে তাকে আপন জিম্মাদারিতে বেহেশতে প্রবেশ করাব। আর যে ব্যক্তি এই নামাজের প্রতি যত্নবান হলনা তার ব্যপারে আমার কোন জিম্মাদারী নেই। -(দুররে মনসুর)
ফায়দা: অন্য হাদিসে পরিষ্কারভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহপাক পাচওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন। যদি কোন ব্যক্তি অবহেলা করে ঐ নামাজে কোন ভুল না করে, বরং শুদ্ধভাবে অজু করে সময়মত পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে নামাজ পড়ে, আল্লাহতায়ালা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এমন ব্যক্তিকে নিশ্চয়ই বেহেশতে প্রবেশ করাবেন। আর যারা এর ব্যপারে উদাসীন, তাদের প্রতি আল্লাহর কোন ওয়াদা নেই। তাকে ক্ষমা করা বা শাস্তি দেয়া সম্পূর্ণ আল্লাহতায়ালার ইচ্ছার উপর নির্ভর। নামাজের কতবড় ফজিলত, যার প্রতি যত্নবান হলে মানুষ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের হেফাজত ও জিম্মাদারীতে চলে যায়। আমরা এই দুনিয়াতেই দেখতে পাই যে, যদি কোন প্রভাবশালী বা ধনী লোক কাউকে কোন প্রকার আশ্বাস দেয় অথবা কোন দাবী পূরণের দায়িত্বভার নেয়, তবে ওই ব্যক্তির আনন্দের আর শেষ থাকেনা বরং প্রভাবশালী ওই লোকের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ হয়ে থাকে। কিন্তু একটি সাধারণ ও সহজসাধ্য এবাদত নামাজের উপর ভিত্তি করে আল্লাহপাক প্রতিজ্ঞা করছেন যে, আমি আমার বান্দাকে নিশ্চয়ই পুরস্কৃত করব, তবুও আমাদের মত হতভাগ্য আর কে হতে পারে, যারা এই ব্যাপারে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে থাকি।

যাকাতের গুরুত্ব -             =============হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যখন কোন ব্যক্তি মালের যা...
12/09/2023

যাকাতের গুরুত্ব -
=============

হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যখন কোন ব্যক্তি মালের যাকাত আদায় করিয়া দেয় , তখন সেই মালের অনিষ্টতা উহা হইতে দূর হইয়া যায়।
(তারগীবঃ তাবারানী আওসাত, ইবনে খুযাইমা, হাকেম)।

ফায়দা ঃ কোন কোন বর্ণনায় এই বিষয়টি এরুপ বর্ণিত হইয়াছে যে, যখন তুমি সম্পদের যাকাত আদায় করিয়া দিয়াছ, তখন তুমি ঐ সম্পদের অনিষ্টতাকে দূর করিয়া দিয়াছ, । ( কানয)
অর্থাৎ, সম্পদ বহুবিধ অনিষ্টের কারণ হয়। কিস্তু যদি উহার যাকাত গুরুত্বসহকারে আদায় হইতে থাকে, তবে উহার অনিষ্ট হইতে হেফাজত হয়। আখেরাতের হিসাবে তো স্পষ্ট যে, ঐ সম্পদের কারণে আযাব হয় না আর দুনিয়ার হিসাবে এইজন্য হেফাজতের কারণ।

09/09/2023

হযরত মাওলানা তারেক জামিল সাহেবের বয়ান। উত্তম আখলাক পরিবারের শান্তির কারন। নিশ্চয়ই শুনলে ভালো লাগবে।

07/09/2023

এতেকাফের বর্ণনা
=============

এতেকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করাকে এতেকাফ বলে। হানাফীগণের নিকট এতেকাফ তিন প্রকার –

প্রথম প্রকার –ওয়াজিব এতেকাফ,যাহা কোন কাজের উপর মান্নাত করার কারণে ওয়াজিব হয়। যেমন কেহ বলিল যে, যদি আমার অমুক কাজটি হইয়া যায়, তবে আমি এতদিন এতেকাফ করিব। অথবা কোন কাজের শর্ত ব্যতীত এমনিতেই এইরূপ মান্নাত করিল যে, আমি আমার উপর এতদিনের এতেকাফ জরুরী করিয়া নিলাম। অর্থাৎ আমি অবশ্যই এতদিন এতেকাফ করিব-এইভাবে বলিলেও এতেকাফ ওয়াজিব হইয়া যায় । এতএব, যতদিনের নিয়ত করিবে ততদিনের এতেকাফ করা জরুরী হইবে।

দ্বিতীয় প্রকার-সুন্নত এতকাফ, যাহা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে করা হয়। হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দিনগুলিতে এতকাফ করিতেন।

তৃতীয় প্রকার-নফল এতেকাফ, ইহার জন্য কোন সময় বা দিনকাল নির্দিষ্ট নাই । যতক্ষণ বা যতদিন ইচ্ছা করা যাইবে এমনকি কেহ সারাজীবন এতকাফের নিয়ত করিলেও জায়েয হইব। তবে কম সময়ের জন্য এতকাফের নিয়তের ব্যাপারে মতভেদ আছে। ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এর মতে একদিনের কম এতকাফ জায়েয নয়। ইমাম মুহাম্মদ (রহঃ) এর মতে সামান্য সময়ের জন্যও এতেকাফ নিয়ত করিয়া নিবে। তাহা হইলে যতক্ষণ সে নামায ইত্যাদি অন্যান্য এবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকিবে, ততক্ষন সে এতেকাফেরও সওয়াব পাইয়া যাইবে। আমি আমার আব্বাজান (রহঃ) কে সর্বদা এই এহতেমাম করিতে দেখিয়াছি যে, তিনি যখন মসজিদে তাশরীফ নিয়া যাইতেন তখন ডান পা মসজিদে রাখার সঙ্গে সঙ্গেই এতকাফের নিয়ত করিয়া নিতেন। খাদেমগণকে তালীম দেওয়ার জন্য কখনও কখনও আওয়াজ করিয়াও নিয়ত করিতেন। এতকাফের সওয়াব অনেক বেশী । এতকাফের ফযীলত ইহার চাইতে বেশী আর কী হইবে যে, স্বয়ং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা ইহার এহতেমাম করিতেন । এতেকাফকারীর দৃষ্টান্ত হইল ঐ ব্যক্তির মত যে কাহরও দরজায় গিয়া পড়িয়া রহিল আর বলিতে থাকিল যে, আমার দরখাস্ত মঞ্জর না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান হইতে যাইব না।

অর্থঃ তোমার পদতলে আমার জীবন শেষ হউক-ইহাই আমার হৃদয়ের আকুতি, ইহাই আমার পরম প্রাপ্তি। প্রকৃতপক্ষেই যদি কাহারও অবস্থা এ-ই হয় তবে চরম নিষ্ঠুর হৃদয়ও না গলিয়া পারে না। আর অসীম দয়াবান আল্লাহ তায়ালা তো দেওয়ার জন্য বাহানা তালাশ করেন। বরং কোন বাহানা ছাড়াই দান করিয়া থাকেন।

অর্থঃ হে দয়াময়! তুমি তো এমন দাতা যে, দেওয়ার জন্য তোমার রহমতের দরজা সর্বদাই উন্মুক্ত থাকে।

অর্থঃ আল্লাহর দানের অবস্থা হযরত মূসা (আঃ) কে জিজ্ঞাসা কর। যিনি আগুন আনিতে যাইয়া পয়গাম্বরী পাইয়া গেলেন। এতএব, কোন ব্যক্তি যখন দুনিয়ার যাবতীয় সংস্রব ছিন্ন করিয়া মহান আল্লার দরবারে আছাড়াইয়া পড়িবে তখন তাহার মনোবাঞ্ছা পূরণের ব্যাপারে কি কোন দ্বিধা থাকিতে পারে! আল্লাহ তায়ালা যখন কাহাকেও দিবেন তখন আল্লাহ তায়ালার ভরপুর খাযানার বর্ণনা করিতে পারে? তবে হাঁ, এরূপ স্থির সিদ্ধান্ত নিয়া নিবে যেমন কবি বলেন-

অর্থঃ যে ফূলকে হৃদয় দিয়াছি, যে ফূলের জন্য আমি কুরবান, সেই ফূল হয়ত হাতে আসিবে; নতুবা জীবন পাখী পিঞ্জর ছিঁড়িয়া উড়িয়া যাইবে। ইবনে কায়্যিম (রহঃ) বলেন, এতকাফের মূল উদ্দেশ্য এবং উহার প্রাণ হইল, অন্তরকে আল্লাহ তায়ালার পাক যাতের সহিত এমনভাবে সম্পর্কযুক্ত করিয়া নেওয়া যে, পার্থিব সকল মোহ ছিন্ন হইয়া আল্লাহ পাকের সহিত মিলিত হইয়া যায়। দুনিয়ার সমস্ত ধ্যান –খেয়ালের পরিবর্তে একমাত্র আল্লাহ পাকের ধ্যান-খেয়ালে নিমগ্ন হইয়া যায়। গায়রুল্লার সকল মায়াজাল ছিন্ন করিয়া এমনভাবে আল্লাহর অনন্ত সান্নিধ্যে ডুবিয়া যাইবে যে, সকল চিন্তা –চেতনা ও কল্পনায় একমাত্র তাঁহারই পাক যিকির এবং তাঁহারই মহব্বত প্রবিষ্ট হইয়া যায়। মাখলুকের ভালবাসা বিদূরিত হইয়া শুধু আল্লাহর সুনির্মল ভালবাসাই হৃদয়-মনে সৃষ্টি হইয়া যাইবে। এই ভালবাসিই নির্জন কবরের ভয়ংকর পরিস্থিতিতে কাজে আসবে। কারণ সেইদিন আল্লাহ তায়ালার পাক যাত ব্যতীত একান্ত বন্ধু ও সান্ত্বনা দানকারী আর কেহ থাকিবে না । পূর্ব হইতেই যদি তাহার সহিত মনের সম্পর্ক কায়েম হইয়া থাকে তবে সেখানে কি আনন্দ –উপভোগেই না সময় কাটিবে।

অর্থঃ আমার মন সেই সুবর্ণ সুযোগ খুঁজতেছে, যাহাতে রাত্রদিন প্রেমাস্পদের ধ্যানে বসিয়া থাকি। ’মারাকিল ফালাহ’এর গ্রন্থকার বলেন, এতেকাফ যদি এখলাসের সহিত হয় তবে উহা সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। উহার বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী বর্ণনাতীত । কারণ, ইহাতে সংসার জগতের সমস্ত মায়াজাল ছিন্ন করিয়া আন্তরকে একমাত্র আল্লাহর ধ্যানেই মগ্ন করা হয়। স্বীয় নফসকে মাওলা পাকের হাতে সোপর্দ করিয়া দিয়া মনিবের দুয়ারে পড়িয়া থাকা হয়।

অর্থঃ আবার মন চায়, দারোয়ানেরে দয়ার বোঝা মাথায় লইয়া কাহারো দুয়ারে পড়িয়া থাকি। তদুপরি উহাতে সবসময় এবাদতে মগ্ন থাকা হয় । কেননা, এতেকাফকারীকে ঘুমন্ত জাগ্রত সর্বাবস্থায় এবাদতকারী হিসাবে গণ্য করা হয়; এইভাবে সর্বদা আল্লাহর নৈকট্য বিদ্যমান থাক। হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত হইয়াছে, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় আমি তাহার দিকে দুই হাত অগ্রসর হই। আর যে ব্যক্তি আমার দিকে ধীরে ধীরে আসে আমি তাহার দিকে দৌড়াইয়া যাই।’ ইহা ছাড়াও এতেকাফে আল্লাহর ঘরে অবস্থান করা হয় এবং দয়ালু মেজাবান সর্বদা নিজ মেহমানের সম্মান করিয়াই থাকেন। সর্বোপরি, এতেকাফকারী আল্লাহর দূর্গে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকে যেখানে শত্রু প্রবেশ করিতে পারে না। এই গুরুত্বপূর্ণ এবাদতের আরও অসংখ্য ফায়ায়েল ও বৈশিষ্ট্য রহিয়াছে।

মাসআলাঃ পুরুষের জন্য এতেকাফের সর্বোত্তম স্থান হইল মক্কার মসজিদ অর্থাৎ মসজিদে হারাম, তারপর মদীনার মসজিদে নববী, তারপর বাইতুল মুকাদ্দাসের মসজিদ। অতঃপর জামে মসজিদ, অতঃপর স্থানীয় মহল্লার মসজিদ। ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এর মতে এতেকাফ সহীহ হওয়ার জন্য মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জামাআত হওয়ার শর্ত । ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহাম্মদ (রহঃ)এর মতে মসজিদ হওয়াই যথেষ্ট। জামাআত না হইলেও এতেকাফের ক্ষতি হইবে না । মহিলাগণ নিজের ঘরে নামাযের জন্য নির্ধারিত স্থান এতেকাফ করিবেন। যদি ঘরে নামাযের জন্য কোন নির্ধারিত স্থান না থাকে তবে এতেকাফের জন্য কোন একটি স্থান নির্দিষ্ট করিয়া লইবেন। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এতেকাফ অধিকতর সহজ । কেননা, তাহারা ঘরে বসিয়া নিজের মেয়ে বা অন্য কাহারও দ্বারা সংসারের কাজকর্মও করাইতে পারেন, আবার অনায়াসে এতেকাফের সওয়াবও হাসিল করিতে পারেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও মহিলাগণ এই সুন্নত হইতে প্রায় বঞ্চিতই থাকিয়া যান।

Address

Sylhet
MANTALA,MHADABPUR,HOBIGONJ- 3331

Telephone

+8801712271889

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মদিনার কামলিওয়ালা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share