Valobashar Golpo Kobita

Valobashar Golpo Kobita বাংলা গল্প, কবিতা, উপন্যাস, বাস্তব জীব?

ভালোবাসার সজ্ঞা নতুন করে কিছুই দেয়ার নেই। নেই ভালোবাসার কোনো প্রতিদান। ভালোবাসা শুধুই ভালোবাসা। ভালোবাসার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। ভালবাসা সবার জন্যে, সবকিছুর জন্যে। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের ভালোবাসার গন্ডিটাকে আরো বিসৃত করি। ভালোবাসার কথা লিখুন আপনার প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে, প্রিয় বন্ধু কে নিয়ে, বাবা-মা কে নিয়ে, আমাদের দেশ কে নিয়ে....অথবা খুব প্রিয় কোনো জায়গা নিয়েও হতে পারে। অর্থাৎ আপনার ভ

ালোলাগা-ভালোবাসার যেকোনো কিছু নিয়েই লিখুন আমাদের এই ব্লগে।

**** আপনার নিজের লিখা কোন গল্প, কবিতা বা জানা কোন সত্যি কাহিনী পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারেন। গল্প ও কবিতার সাথে আপনার নাম, ঠিকানাও প্রকাশ করতে পারবেন। পাঠানোর জন্য মেইল করুন- [email protected]
অথবা - https://www.facebook.com/pages/Valobashar-Golpo-Kobita/801670246575496?

যারা গল্প পাঠাতে চান অবশ্যই বাংলায় লিখে পাঠাবেন।
লেখা পাঠানোর নিয়মঃ

(ক) লেখা কম্পিউটারে বাংলা অক্ষরে টাইপ করে পাঠাতে হবে।

(খ) লেখা পরিচ্ছন্ন হতে হবে ।

(গ) যেকোন প্রয়োজনে গল্পকারের সংগে কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করবেন।

(ঘ) কোন প্রকার অশালীন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।

(ঙ) নকল লেখা হলে তার দায়দায়িত্ব লেখককে বহন করতে হবে।

(চ) শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণে বিচারক পাঠকের রায়ই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

যেকোনো অভিযোগ, পরামর্শের জন্যও মেইল করতে পারেন।
*** ধন্যবাদ ***

❤ 😍💖 "ভালোবাসি পিচ্চি বউ " ❤ 😍 💖 "তোর স্ত্রী তো মেডিকেলে চান্স পেলো। কিছুদিন পর দেখবি ডাক্তারের সাথে প'রকীয়ায় জড়িয়েছে"গ্...
02/08/2023

❤ 😍💖 "ভালোবাসি পিচ্চি বউ " ❤ 😍 💖

"তোর স্ত্রী তো মেডিকেলে চান্স পেলো। কিছুদিন পর দেখবি ডাক্তারের সাথে প'রকীয়ায় জড়িয়েছে"

গ্যারেজ থেকে বাড়ি ফিরতে লোকজনের মুখে এমন কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে বাড়িতে গেলাম। আমার স্ত্রী সেতুকে বললাম

"তুমি মেডিকেলে চান্স পাইছো?"

সেতু আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো "হ্যা। ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাইছি "

সেই রাতে আমাদের আনন্দের বাঁধ রইলো না। সারারাত বাড়িতে দু'জন মিলে নাচগান করে কাটালাম।

আমার বাসা রংপুরে। সেতুকে ঢাকায় রেখে আসতে আমার ভিষণ কষ্ট হতে লাগলো। কিন্তু উপায় নেই! সেতুকে পড়াশোনার জন্য সেখানেই থাকতে হবে। বাড়ি ফিরতেই লোকজন বলাবলি শুরু করলো

"বউকে একা ঢাকা শহরে রেখে এলি? ওই বউয়ের আশা আর নাই। মেয়ে মানুষের উপর বিশ্বাস নাই"

লোকজনের এমন কথায় আমি বিন্দুমাত্র কান দিলাম না। সেতুকে আমি বিশ্বাস করি, ভালোবাসি। ও কখনো আমাকে কষ্ট দিবে না এটা আমি মনপ্রাণে বিশ্বাস করি।

সমস্যাটা হলো কিছুদিন পরে। সেতু আমার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিলো। আমি ফোন করলে বলে ব্যস্ত আছি। আমার মনের ভেতরটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে।

তার তিন-চারদিনের মাথায় সেতু ফোন করে বললো

"এই কয়েকদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম গো। কয়েকটা টিউশনি জোগাড় করেছি। এতে আমাদের সংসার চলে যাবে। আমাদের বিয়ের জন্য তো তুমি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সংসার সামলাতে শুরু করলে। তুমি ঢাকায় চলে আসো। টিউশনি করিয়ে আমি সংসারের টাকা জোগাড় করতে পারবো। তুমি আবার পড়াশোনা শুরু করো। এতোদিন তুমি আমার পড়াশোনা চালিয়েছো এবার আমি তোমার পড়াশোনার খরচ চালাবো"

আমি চোখের জল মুছে বললাম "পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে তোমাকে বিয়ে করাটা ছিলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ এক সিদ্ধান্ত। অনেক ভালোবাসি পিচ্চি বউ"

সেতু মুচকি হেসে বললো
"আমি এখন বড় হয়ে গেছি, হুহ"

***** সমাপ্ত *****

এই রকম সুন্দর সুন্দর গল্প পেতে আমাদের পেইজি ফলো দিয়ে রাখুন এবং লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন।

পাঁচ বছর পরে বিদেশ থেকে ফিরে আসলাম।সবাইকে চমকে দেবো বলে আগে কাউকে কিছু জানাইনি।নিজের ঘরে ঢুকতেই দেখতে পাই বৌ আমার বিছানা...
22/07/2023

পাঁচ বছর পরে বিদেশ থেকে ফিরে আসলাম।সবাইকে চমকে দেবো বলে আগে কাউকে কিছু জানাইনি।নিজের ঘরে ঢুকতেই দেখতে পাই বৌ আমার বিছানায় ওদিক ফিরে বসে আছে।

ধীরে ধীরে ওর দিকে এগিয়ে গেলাম। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম ওকে। আমায় কাছে পেয়ে আমার বৌএর আনন্দে কে দেখে। আমা'য় জড়িয়ে ধরে বিছানার ওপরে শুয়ে পড়লো। আমিও তাকে নিজের সবটা উজাড় করে দিলাম। দীর্ঘ পাঁচটা বছরের দূরত্ব কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ঘুচে গেলো আমাদের।

নিজের ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে বাথরুমের ভেতরে ঢুকলাম।দরজা খুলতেই দেখতে পাই মা বাইরে দাঁড়িয়ে কান্না করছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি

---একি, কি হলো মা। কান্না করছো কেনো তুমি? আমি ফিরে আসাতে তুমি কি খুশি হওনি?

---আমাদের ক্ষমা করে দে বাবা। তুই এতো দূরে ছিলি বলে বৌমার মৃত্যুর খবর জানাইনি তোকে! জানতাম তুই শুনে হয়তো সহ্য করতে পারতি না। আর ঐ দূরে বসে যদি তোর ভালো মন্দ কিছু হয়ে যেতো তখন কি করতাম আমরা।

মায়ের কথা শুনে নিজের ঘরের দিকে ছুটে গেলাম আমি। একটু আগে রিমার বিধ্বস্ত শরীর পড়ে ছিলো বিছানার ওপরে।

পুরো ঘর ফাঁকা। আমি ছাড়া কেউ নেই ঘরে।ভয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগলো আমা'র। একটু পরে কেউ যেনো কানের কাছে ফিস করে উঠে বললো

---এতো বছরে একটুও বদলাও নি তুমি,সেই আগের মতোই দুষ্টু আছো....

***** সমাপ্ত *****

"ভালোবাসার মানুষ"জীবনে আসার চেয়ে,"ভালো রাখার মানুষ"জীবনে আসাটা অত্যন্ত জরুরি। ❤ 😍 💖
20/07/2023

"ভালোবাসার মানুষ"
জীবনে আসার চেয়ে,
"ভালো রাখার মানুষ"
জীবনে আসাটা অত্যন্ত জরুরি। ❤ 😍 💖

আমার মেয়ে 💃আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে, আজ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে ভাইয়ার বাসায় থাকছি। শুধু যে একা আমি তাও না সাথে আ...
20/07/2023

আমার মেয়ে 💃

আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে, আজ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে ভাইয়ার বাসায় থাকছি। শুধু যে একা আমি তাও না সাথে আমার একটা মেয়েও আছে।

কখনো যেন ভাইয়া বা ভাবী কিছু বলতে না পারে সেজন্য আলাদা সতর্কতায় আমি সবসময়ই থাকি। তাও হুটহাট একটু আধটু অসতর্কতা হয়েই যায়। যার জন্য আমি ভাবীর কিছু শক্ত কটু কথা শুনতে প্রস্তুত থাকলেও আমার মেয়েটাকে কখনো এসবে জড়াতে দেই না।

আমার মেয়েটা এখন ভালো বড় হয়েছে, দশম শ্রেণীতে পড়ে। একজন মেয়ের খরচ কী পরিমাণ হয় তা একটা মেয়েই বুঝতে পারে। আনুষাঙ্গিক খরচ বাদ দিয়েও লেখাপড়ার খরচ ধরতে গেলে অনেক টাকা পয়সার বিষয়। যা অনেক সময়ই আমার ভাইয়ার কাছ থেকে চাইতে গেলে ভাবীর মুখ টা দেখার মতো হয়ে উঠে।

আমার স্বামী থাকাকালীন আমার মেয়েকে যে স্কুলে পড়াতাম বা যেভাবে সে চলাফেরা করতো তা চাইলেও আমি বদলাতে পারবো না। হয়তো আমি মানিয়ে নিয়েছি কিন্তু আমার মেয়েটা তার বাবা থাকাকালীন যেরকম পোশাক পড়তে চাইতো বা যেরকম খাবার খেতে চাইতো আজও তার বিপরীত নয়। আর আমি চাইও না আমার মেয়েটা কষ্ট করে জীবন পাড়ি দিবে। লাগলে আমি কষ্ট করতে রাজি আছি।

বাবা-মা মারা যাওয়ার পরে এই বাসাটায় আমি কখনো আমার নিজ বাসা হিসেবে কোনো অনুভূতি পাই নি। মনে হতো এটা অন্য কারো বাসা। যদিও ভাইয়া মাঝে মাঝেই বুঝাতো -

~ তোর ভাবী ওই একটু আধটু বলবেই সেগুলা কানে নিলে চলবে নাকি। তুই তোর বাসায় থাকিস এখানে তোর ছোট হয়ে থাকার কিছুই নেই। আমি যতদিন আছি তুই আর হিয়া নিঃসংকোচে এ বাসায় থাকতে পারবি।

ভাইয়ার এসব কথা যেন আমাকে আরও বেশি দুর্বল করে দেয়। আমি শক্ত হতে যেয়েও শক্ত হয়ে উঠতে পারি না। মাঝে মাঝেই ভাবি কেন আমার সাথেই এমন টা হলো। আমার কষ্ট তখন আরও বেশি যখন আমার মেয়ের সামনে আমার ভাইয়া তার মেয়েকে আদর করে। সেটা দেখে আমার মেয়েটার মনে একটু হলেও কষ্ট জন্মায় তা আমি বুঝতে পারি কিন্তু কিছুই যে করার নাই।

কিছুদিন আগে ভাবী কথায় কথায় বলেই উঠলো -

~ এবার তো বিয়ে করা উচিত তোমার। আমার স্বামী আর কতদিন তোমাকে আর তোমার মেয়েকে টানবে। তার কী নিজ সংসার নাই। তার উপর তোমার মেয়ের যেই খরচ রে বাবা! অন্তত তুমি বিয়েটা করলে তো, তোমার খরচ চালানো থেকে আমার স্বামী টা বাঁচবে!

আমি কী করে বুঝাবো যে আমার মেয়ের সুখের জন্যই আমি অন্য বিয়ে করতে রাজি হচ্ছি না। এখন তো শুধু ওর বাবা নেই পাশে যদি আমিও চলে যাই তাহলে আমার মেয়েটা যে নিঃস্ব হয়ে যাবে। এসব কথা কেউ যেন বুঝতেই চায় না। তবুও অনেক কষ্ট করে আমি দ্বিতীয় বিয়ে থেকে বিরত আছি।

বেশিদিন হয়নি এই কথাগুলো ভাবী আমাকে বলেছে এর মধ্যেই দেখি আমার মেয়ের জন্য পাত্র খোঁজা শুরু করলো। আমি তো অবাক। আমার বিয়ে দিতে পারছে না বলে আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের বাসায় থাকি বলেই এতো কিছু। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আর আমার মেয়ে চলে যাবো। অন্য কোথাও থাকবো ছোট্ট একটা বাসা নিয়ে। আমি সেলাই কাজ বা ক্রাফটের কাজ শুরু করবো।

যেই ভাবলাম অমনি দুই মাসের মাথায় সব রেডি করে ফেললাম। আমার স্বর্নের কিছু গহনা ছিল সেসব বিক্রি করে একটা ছোট বাসা নিলাম এবং সেলাই কাজ করার জন্য মেশিন কিনলাম। এইসব কিছুই ভাইয়া কে বলেছি আমি। উনি আমাকে একবার ও বারণ করে নি যে তোর বাসা থেকে তুই কেন চলে যাবি বা কিছু কী হয়েছে কি না।

আমিও আর কিছুই বলি নি। ভাইয়া কিছু টাকা দিলো ক্রাফটের কাজ শুরু করার জন্য। সেগুলো আমি ফেরত দিতে চেয়েছি কিন্তু ভাইয়া নেয় নি।

ভাবীকে আমি চলে আসার সময় দেখলাম খুব খুশি। খুব সুন্দর করে কথা বলছে। আর হিয়াকে বারবার চুমু খাচ্ছে। যেটা এই প্রথম আমার দেখার সৌভাগ্য হলো। সবাইকে বললাম দোয়া রেখো যেন সামনের পথ এগোতে পারি।

নতুন বাসায় উঠলাম আজ পনেরো দিন হলো। সবকিছুই মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে এখন। আমার মেয়েটা একদমই মানিয়ে নিতে পারছে না। তবুও খুব কষ্ট করে আমি মানিয়ে নেওয়ার ট্রাই করছি। সেলাই মেশিন দিয়ে কাপড় বানানো শুরু ও করেছি। দিনকে দিন কাপড়ের অর্ডার ভালোই আসছে।

হুট করেই মনে পড়লো আমার মেয়েটাও ক্রাফটিং ভালোই পারে আর আমিও মোটামুটি। তো দুইজনে মিলে একটা অনলাইন বিজনেস শুরু করলে কেমন হয়। সেই থেকে অনলাইন বিজনেস শুরু করার জন্য লেগেছিল প্রায় সাড়ে তিন মাস। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি আমার বিজনেস কে ভালোভাবে নিয়ে যেতে পারবো বলে আশা রাখছি।

আমার মেয়েটার কষ্ট এখন একটু কম হয়। ভাবীর কটু কথা, চোখমুখ কালো করে কথা বলা বা হেয়ভাবে দেখা এইসব কোনোটার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। ভাইয়া মাঝে মাঝে দেখে যায় তবুও নিজ ইচ্ছায় না জোর করেই আসে তা বুঝি।

আমি ভাইয়াকে বলেছি, ধীরে ধীরে এতো বছরের সব খরচ শোধ দিয়ে দিবো কিন্তু ভাইয়া রাজি হয় নি। আমি তবুও ভাবীর কাছে প্রায়ই কিছু টাকা দিয়ে দেই।

হয়তো বেশিদিন আমার মেয়ের পাশে থাকতে পারবো না কিন্তু যতদিন পারি থাকবো। দ্বিতীয় বিয়ে তো মুখেও আনবো না। আমার মেয়েও মাঝে মাঝে বলে চলো আম্মু তোমাকে বিয়ে দেই। আমি হাসি আর বলি এখন তো সময় তোমার মামণি।

*****সমাপ্ত*****

17/07/2023

বুকের মধ্যে একটু আধটু দুঃখ পোষা
কিন্তু খুবই ভালো আছি
এইতো বেশ ঘুরছি ফিরছি
লম্ফঝম্পে দিন পেরুচ্ছি
একটু খোঁচা, একটু ব্যথার টনটনানি
তবু বলবো দিব্যি আছি!

____সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

15/07/2023

কষ্টের পরিমাণ যখন
অনেক বেশি হয়ে যায়,
তখন মানুষ আর কাঁদে না
চুপ থাকতে শিখে যায়।

মানুষটা মনের মতো হলে সুখটা সব জায়গায়ই মিলে !এটাকেই ভালোবাসা বলে, টাকা দিয়ে ও এই ভালোবাসা পাওয়া যাবে না, দোয়া করি তাদের...
14/07/2023

মানুষটা মনের মতো হলে সুখটা সব জায়গায়ই মিলে !

এটাকেই ভালোবাসা বলে, টাকা দিয়ে ও এই ভালোবাসা পাওয়া যাবে না, দোয়া করি তাদের সংসার আরো সুখের হোক।
আমিন

14/07/2023

"পুরুষ একমাত্র হতভাগা জাতি,
যারা বউয়ের সাথে রাগ করে কখনও বাপের বাড়ি যেতে পারে না"

13/07/2023

পুরুষ রুপে আটকায়না! পুরুষ আটকায় যেখানে শান্তি মেলে সেখানে 🖤🌼

12/07/2023

নারীর অভিমান….
বুঝলে ভালবাসা বাড়ে,
না বুঝলে দূরত্ব বাড়ে।।।

12/07/2023

~দশ নারীকে না'চিয়ে বেড়ানোটা কখনোই পুরুষত্বের প্রমাণ দেয়না 😔🥀

আসল পুরুষ তো এক নারীতেই সন্তুষ্ট থাকে!❤️🥀

12/07/2023

দীর্ঘ দিন Chat করে-
যে সম্পর্ক 💝 তৈরি হয়,
তাকে কি সম্পর্ক বলে?

গল্পঃ Journey by বাসবাসে বসে ফেসবুকে নিউজ দেখছিলাম । হঠাৎ একজন মধ্যবয়স্ক লোক পাশের সিটে এসে বসলেন। ওনাকে দেখে ফেসবুক থে...
12/07/2023

গল্পঃ Journey by বাস

বাসে বসে ফেসবুকে নিউজ দেখছিলাম । হঠাৎ একজন মধ্যবয়স্ক লোক পাশের সিটে এসে বসলেন। ওনাকে দেখে ফেসবুক থেকে বের হয়ে গেমস খেলতে শুরু করলাম । তখন....

লোকটিঃ তুমি এখনও গেমস খেলো?

আমিঃ জ্বি আঙ্কেল। ভালো লাগে খেলতে।

লোকটিঃ খুব ভালো। যাচ্ছো কোথায়?

আমিঃ ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছি।

লোকটিঃ নাম কি তোমার? কিসে পড়ো? কয় ভাইবোন?

আমিঃ আমার নাম বর্ণা। বিবিএ ফাইনাল ইয়ারে পড়ি আমরা দুইবোন।

লোকটিঃ আজকালকার ছেলেমেয়েরা বাসে উঠেই
ফেসবুক মেসেঞ্জার নিয়ে পড়ে থাকে । তুমি দেখি ওসব থেকে দূরে। খুব ভালো লাগলো।

আমিঃ জ্বি আঙ্কেল। (মনে মনে বলছি আঙ্কেল আমিও ঐ দুনিয়ার বাসিন্দা)

লোকটিঃ পড়াশোনা তো শেষ প্রায়। বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় না?

আমিঃ (খাইছে রে বেডা তো দেখি অন্য দিকে যাচ্ছে।আটকা বর্ণা আটকা) আঙ্কেল আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে। দুইটা বাচ্ছা আছে (ইয়া আল্লাহ মাফ করে দিও। মিথ্যা বলা ঠিক না)

লোকটিঃ দেখে বোঝা যায় না।

আমিঃ হুম সবাই বলে।

লোকটার এসব কথা শুনতে শুনতে মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। বাস থেকে নেমে আধঘন্টা পর বাসায় এসে দেখি টেবিলে নানা রকম খাবার সাজানো হয়েছে। I'm তো অবাক। আমার জন্য এতো সুন্দর আয়োজন ভাবা যায়। আমার সব আশায় পানি ঢেলে দিয়ে আম্মু বলে মেহমান এসেছে। তাড়াতাড়ি আয়। ওনাকে খাবার দিতে হবে।

ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গিয়ে পুরাই টাস্কি খেয়ে গেলামবাসের সেই লোকটা আমাদের বাসায় কিভাবে আসলো। আম্মু বললো উনি নাকি বাবার ছোটো বেলার বন্ধু। মনে মনে আল্লাহকে ডাকছি উনি যদি সব বলে দেন আমি শেষ। খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নিলেন। বিকেলে চলে যাচ্ছিলেন । আমি সালাম দিলাম। ভালো থেকো মা বলে দুই হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিলেন। আমি নিতে চাচ্ছিলাম না। জোর করে দিয়ে গেলেন। যাক বাবা ঈদের সালামি টা পেয়ে গেলাম বলে মহাখুশি। ওনাকে বিদায় দিয়ে সবেমাত্র রুমে ঢুকবো তখন আম্মু বললো,"কিরে তুই একা কেন?আমার নাতি নাতনিরা কই?
আমিঃ🙄🙄🫣

*****সমাপ্ত*****

💝পিচ্চি বউ💘 বাসর ঘরে ঢুকতেই বউ আমাকে সালাম করে জিজ্ঞেস করল, "কেমন আছেন ভাইয়া?"ভাইয়া শব্দটা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না, ই...
09/07/2023

💝পিচ্চি বউ💘

বাসর ঘরে ঢুকতেই বউ আমাকে সালাম করে জিজ্ঞেস করল, "কেমন আছেন ভাইয়া?"
ভাইয়া শব্দটা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না, ইচ্ছে করছিল দেয়ালে মাথা ঠুকে সুইসাইড খাই।

বিয়েটা করেছি পারিবারিকভাবে। বর্তমান যুগে বিয়ে করতে গেলে সবাই অল্পবয়সী মেয়ে খুঁজে, আমার বেলায়ও অন্যটা হয়নি। পারিবারিক মতামতে বিয়ে করলাম ক্লাস নাইনে পড়ুয়া এক সুন্দরী মেয়েকে। বাসর রাতে বউ আমাকে ভাই বলাতে একদম থ হয়ে গেলাম৷ প্রশ্ন করলাম, "আমাকে ভাই বলছো কেন?"
সে স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিল, "আপনার আম্মু আমাকে বলেছে, আজ থেকে উনাকে 'মা' বলে ডাকতে।"

"হ্যাঁ, এটাই তো স্বাভাবিক। মা'ই তো ডাকবে!"
বউ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, "তো আপনার মা যদি আমারও মা হয়, তাহলে তো আমরা ভাই-বোন তাইনা?"

বউয়ের যুক্তি দেখে দু-চোখ থেকে আবেগে আধা ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল৷ অধিক শোকে পাথর হয়ে খাটের এক কোণে বসে রইলাম।

"এই যে ভাইয়া, শোনেন!"
'ভাইয়া' ডাকটা শুনে দুঃখে আমার কলিজা ফেটে কিডনিতে গিয়ে লাগল। জন্ম থেকে এই পর্যন্ত যতটা মেয়ের প্রতি ক্রাশ খেয়েছি, সবগুলো মেয়েই আমাকে 'ভাইয়া' ডেকে আমার প্রপোজ করাতে পানি ঢেলে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমার বউও ভাইয়া ডাকাটা বাদ দিলো না৷ এ জীবন রেখে কী লাভ! ইচ্ছে হচ্ছে মেয়েটাকে বিষ খাইয়ে আমি সুইসাইড করি৷ নিজেকে সামলে সাড়া দিয়ে বললাম, "হ্যাঁ, বলো বইনা৷"
"একটা বিড়াল এনে দিবেন?"

বউয়ের মুখে এমন কথা শুনে অবাক হয়ে ওর দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে বললাম, "বিড়াল দিয়ে কী করবে শুনি?"
"ভাবী বলেছিল বাসর রাতে বিড়াল মারতে যেন ভুল না করি।"

একটা মানুষ কী করে এতোটা গাধীরাম হতে পারে চিন্তা করতে লাগলাম। চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে আমার হাতে একটা ধাক্কা দিয়ে রাইশা বলল, "এনে দিন না একটা বিড়াল৷"
ছলছল নয়নে ওর দিকে তাকালাম৷ মেয়েটার চেহারা বেশ মনোমুগ্ধকর, মায়া-মায়া ভাব আছে৷ কিন্তু মাথায় যে ঘিলু বলতে কিছু নেই সেটা আমার আর বুঝার বাকি রইল না। বললাম, "আচ্ছা ঠিক আছে, কালকে বাজার থেকে একটা বিড়ালের বাচ্চা এনে দিব তোমাকে।"
"কিন্তু ভাবি তো বলল, প্রথম রাতে বিড়াল মারতে৷"
রেগে গিয়ে বললাম, "তো ভাবির বাড়ী থেকে একটা বিড়াল নিয়ে আসলেই পারতা, আমার মতো সাদাসিধে ছেলেটার সাথে কেন এমন করছো?"

বউ চুপচাপ শুয়ে পড়ল বিছানায়৷ বউয়ের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে আজও আমাকে ব্যাচেলারদের মতো রাত কাটাতে হবে। সব ইচ্ছে মনের মধ্যে ধামাচাপা দিয়ে মাঝখানে একটা কোলবালিশ দিয়ে আমিও শুয়ে পড়লাম৷
মাঝরাতে বউ আমাদের মাঝের কোলবালিশটা সরিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, "ভাইয়া, আমার না খুব ভয় লাগছে।"
আমি কথা না বাড়িয়ে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম, "মাঝরাতে এখানে ভূত আসে, আলাদা কাউকে দেখলেই ঝাপটে ধরে৷ ভালো করে জড়িয়ে ধরো আমাকে।"
আহ, কী রোমান্টিক অনুভূতি! মনে হচ্ছে এই বুঝি ব্যাচেলর লাইফটা কেটে গেল আমার।

বউয়ের মুখে ভাইয়া ডাক শুনতে শুনতে কান আমার ঝালাপালা। ছুটি থাকা সত্ত্বেও বেরিয়ে গেলাম অফিসের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পরপর রাইশা আমাকে কল দিচ্ছে। রিসিভ করতেই বলছে, "বাসায় কখন আসবেন ভাইয়া? বাসার ফেরার পথে বিড়াল আনতে ভুলবেন না কিন্তু! আজকে যে করেই হোক বিড়াল মারতে হবে।"
কথায় কথায় ভাইয়া বলাটা বোধহয় রাইশার একটা বদ অভ্যাস৷ কিছু বলার সাহস হচ্ছিলো না কোনো বারই। শুধুমাত্র "হ্যাঁ" বলেই কল কেটে দিচ্ছি প্রতিবার।
বিকেলে যখন ক্যান্টিনে খাওয়াদাওয়া করে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আম্মুর কল। রিসিভ করতেই বললেন, "বাবা, রাইশা আমাকে শুধুশুধু প্রশ্ন করছে, ভাইয়া আসবে কখন? আসার পথে রাইশার ভাইয়াকে কল দিয়ে নিয়ে আসিস তো।"
আবেগে দুচোখ বেয়ে আঁড়াই ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল। "ঠিক আছে৷" বলে কল কেটে দিলাম।

একটা খাঁচাতে বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে বাসার কলিংবেলে হাত চাপলাম৷ দেখলাম রাইশা দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখেই রাইশা জোরে বলতে লাগল, "আম্মু, দেখো ভাইয়া এসেছে৷"
হাত থেকে বিড়ালের খাঁচাটা রেখে ওর মুখ চেপে ধরলাম। সে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে চোখগুলো এদিক-সেদিক ঘুরাছে৷ কিছু বলার চেষ্টাও করছে। মুখ চেপে ধরে টেনেহিঁচড়ে আমার রুমে নিয়ে গেলাম৷ বললাম, "তুমি আম্মুর সামনে আমাকে ভাইয়া ডাকবে না।"
"কেন! কী হয়েছে? আজ সারাদিন তো 'ভাইয়া' বলে আপনার কথাই বললাম৷"
আবারও বললাম, "ঠিক আছে, কারোর সামনে আমাকে ভাইয়া ডাকবে না বুঝেছো?"
"আচ্ছা ঠিক আছে।"
শান্তভাবে আমার পাশে রাইশা বসে বিড়ালটা নিয়ে খেলা করছে। কিছুক্ষণ পর রাইশা বলল, "বিড়ালটা খুব কিউট, এটাকে আমি আর মারবো না। আদর করবো।"
আমি আর কিছু বললাম না।

প্রথমবার যখন শশুরবাড়িতে গেলাম। লক্ষ্য করলাম ভাবির সাথে বসে রাইশা কী যেন গুঁজুর-গুঁজুর করছে। আঁড়ি পেতে শোনার চেষ্টা করলাম। ভাবি বলছে, "কিরে! বিড়াল মারলি?"
রাইশা উত্তর দিলো, "উনি বিড়াল কিনে এনে দিয়েছিলেন, কিন্তু বিড়ালের বাচ্চাটা দেখে খুব মায়া হলো তাই এটাকে বাসাতেই রেখে দিয়েছি।"
দুঃখে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হলো। লক্ষ্য করলাম ভাবি মিটিমিটি হাসছে।

অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছালো৷ কিন্তু রাইশার মুখের ভাইয়া ডাকটা সরাতে পারলাম না আর৷ যাইহোক, ব্যাচেলর লাইফ থেকে তো মুক্তি পেলাম। তবে মেয়েটা আমাকে ছাড়া কিছু বুঝেনা কিন্তু, সবসময় পিঁছু পড়েই থাকে।

বিয়ের পাঁচ মাস যেতেই লক্ষ্য করলাম রাইশা ঘনঘন বমি করছে৷ আম্মুও কেমন জানি দুষ্টূমির নজরে আমার দিকে তাকায়৷ বেশ হাসিখুশি পরিবারের সবাই, কিন্তু কেমন জানি সবাই এড়িয়ে চলছে আমাকে৷ রাত হতে রাইশাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করলাম, "আচ্ছা, সবাই আমাকে এভাবে এড়িয়ে চলছে কেন?"
বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, এরপর যা শুনলাম আমি তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। রাইশা মিটিমিটি হাসলো, আমার বুকে মুখ লোকালো। আস্তে করে বলল, "আপনি মামা হতে চলেছেন।"🤭🧐

=======❤️======
গল্পটি সেয়ার করতে পারেন।
আরও সুন্দর গল্প পেতে পেইজে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন।❤️

♡❤পাশে আছি❤♡অফিসে বের হবার ঠিক আগ মুহূর্তে মা আমায় ডেকে বললো☆তোর বউয়ের তো ৭মাস চলছে। তা বউমাকে কবে বাপের বাড়ি দিয়ে আসবি?...
04/07/2023

♡❤পাশে আছি❤♡

অফিসে বের হবার ঠিক আগ মুহূর্তে মা আমায় ডেকে বললো

☆তোর বউয়ের তো ৭মাস চলছে। তা বউমাকে কবে বাপের বাড়ি দিয়ে আসবি?"

আমি কিছুটা অবাক হয়ে মাকে বললাম,
ঠিক বুঝলাম না মা! এই অবস্থায় শ্রাবণীকে(আমার বউ) বাপের বাড়ি দিয়ে আসবো কেন?

মা তখন বললো,
দেখ আমাদের বংশের একটা নিয়ম হলো বাড়ির বউয়ের প্রথম সন্তান বাপের বাড়ি হয়। প্রথমবার বাচ্চার মা হবে বলা তো যায় না কখন কি হয়। কিছু একটা হলে দেখা যাবে তোর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাদের দায়ী করবে"

আমি মাকে বললাম,
মা, তুমি তো জানোই আমার শ্বশুরবাড়ি গ্রামে তাছাড়া ওদের বাসা থেকে হাসপাতাল ক্লিনিক অনেক দূরে। আল্লাহ না করুক, দেখা গেলো শ্রাবণীর কোন সমস্যা হলে ওরা সময় মত হাসপাতালেই নিয়ে যেতে পারবে না। তারচেয়ে শ্রাবণী এইখানেই থাকুক।তাছাড়া শ্বাশুড়ি বেঁচে থাকলে একটা কথা ছিলো। এই অবস্থায় ও বাপের বাড়ি গেলে ওর দিকে কে খেয়াল রাখবে?

আমার কথা শুনে মা বিরক্ত হয়ে বললো,
জানিস বাচ্চা হলে কত টাকা খরচ হয়? আজকাল মেয়েরা তো নবাবজাদী হয়ে গেছে। একটু ব্যাথা সহ্য করতে পারে না। তাই ব্যাথা উঠার আগেই পেট কেটে বাচ্চা বের করে ফেলে। তাছাড়া এইসব সিজার করতে অনেক টাকা পয়সা লাগে। তাই আমার কথা মত বউমাকে ওর বাপের বাড়ি দিয়ে আয়। ওদের মেয়ে ওরা এইসব ঝামেলা দেখুক

আমি মুচকি হেসে মাকে বললাম,
শ্রাবণী ওদের বাড়ির মেয়ে হলেও সে এখন আমার স্ত্রী আমার অনাগত সন্তানের মা। তাই ওদের থেকে আমার দায়িত্ব আর কর্তব্যটা অনেক বেশি। মা, আমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে আমি গেলাম। আর কয়েকটা টাকা পয়সার জন্য আমি আমার স্ত্রী আর সন্তানকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবো না

এই কথা বলে আমি যখন মা'র রুম থেকে বের হলাম তখন খেয়াল করি শ্রাবণী দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে। আমায় দেখে শ্রাবণী শুকনো হাসি হেসে বললো,
পিয়াস, আল্লাহ রহমতে আমার কিছু হবে না। তুমি আমায় আমার বাপের বাড়ি দিয়ে এসো"

শ্রাবণীর শুকনো হাসির পিছনে কতটা কষ্ট আর অভিমান জমা ছিলো সেটা আমি ঠিক বুঝতে পেরেছিলাম।
আমি তখন ওর হাতটা ধরে বললাম,
তোমার মুখে শুকনো হাসি মানায় না, সতেজ হাসিটা বেশি মানায়। চিন্তা করো না আমি আছি তো তোমার পাশে....

অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে বিকাল ৫টা বেজে গেলো। আমি তড়িঘড়ি করে বাসায় ঢুকে শ্রাবণীকে বললাম,
তুমি তৈরি হয়ে নাও তো ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
শ্রাবণী তখন বললো,
"আমি ঠিক আছি তো। শুধু শুধু ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না"
শ্রাবণীর কথা শুনে আমি কিছুটা রেগে গিয়ে বললাম,
তোমার এত বুঝতে হবে না। ডাক্তার বলেছিলো ২০ দিন পর পর একবার চেকাপ করাতে আর আজ ২২ দিন চলছে। যাও তৈরি হয়ে আসো

শ্রাবণীকে নিয়ে বাসা থেকে বের হবার সময় মা আমাদের দেখে বললো,
তোদের ঢং দেখে আর বাঁচি না। আমিও দুই সন্তানের মা হয়েছি। আমার কখনো দুইদিন পর পর ডাক্তারের কাছে তোদের মত দৌড়াতে হয় নি।

মা'র কথা শুনে আমি হেসে বললাম,
মা, দরজাটা লাগিয়ে দাও। আমাদের আসতে ১ঘন্টার মত দেরি হবে...

ডাক্তারের চেম্বারের সামনে যখন বসে ছিলাম তখন খেয়াল করি শ্রাবণী মাথা নিচু করে নিরবে চোখের জল ফেলছে। আমি তখন ওর হাতটা শক্ত করে ধরে বললাম,
প্লিজ মা'র কথায় কিছু মনে করো না। সেকালের মানুষ তাই এত কিছু বুঝে না। আমি আছি তো তোমার পাশে...

☆অফিসের বস এপ্লিকেশনটা হাতে নিয়ে পড়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
বাচ্চা হবে আপনার স্ত্রীর আর আপনি ছুটি চাইছেন একমাসের। ব্যাপারটা কি?
আমি বসকে বললাম,
স্যার, আমি এখন থেকে পুরোটা সময় আমার স্ত্রীর পাশে থাকতে চাই

বস কিছুটা অবাক হয়ে বললো,
তাই বলে এক মাসের ছুটি আমি আপনাকে কিভাবে দিবো?" আপনি মহিলা হলে আপনাকে না হয় গর্ভকালীন ছুটি দেওয়া যেতো কিন্তু আপনি তো পুরুষ। আপনাকে কিভাবে এত দিনের ছুটি দেই?

আমি বসকে তখন বললাম,
গর্ভকালীন ছুটিটা একজন গর্ভবতী মহিলার পাশাপাশি একজন পুরুষেরও সেটার প্রাপ্য। প্রতিটা পুরুষের দায়িত্ব স্ত্রীর গর্ভকালীন এইসময়ে স্ত্রীর পাশে থাকা। তেমনি প্রতিটা স্ত্রীও চায় এই সময়টাতে তার স্বামী যেন তার পাশে থাকে। ৬ বছর চাকরি করে এই কোম্পানিকে আমি অনেক কিছু দিয়েছি। কোম্পানি কি আমায় এখন ১মাস সময় দিতে পারে না? আমি তো বেশি কিছু চাই নি

বস আমার কথাগুলো চুপচাপ শুনে বললো,
ঠিক আছে, আপনি যান আমি বিষয়টা দেখছি....

☆কয়েকদিন হলো বড় আপা আমাদের বাসায় এসেছে। আমি অদ্ভুতভাবে খেয়াল করছি বড় আপার যে কাজ গুলো নিজের করা উচিত সেই কাজ গুলো শ্রাবণীকে দিয়ে করাচ্ছে। সেদিন খেয়াল করি বড় আপা একমনে টিভিতে সিরিয়াল দেখছে আর শ্রাবণীকে বলছে,
"আমার বাচ্চার দুধটা একটু গরম করে দাও তো"

আরেকদিন শুনি বড় আপা বিছানায় শুয়ে থেকে শ্রাবণীকে ডেকে বললো,
"আমার মাথাটা খুব ব্যাথা করছে। আমায় এককাপ কড়া করে কফি বানিয়ে দাও তো"

আজ সকাল থেকেই শ্রাবণীরর শরীরটা একটু খারাপ। এই অবস্থায় বড় আপা শ্রাবণীকে বললো,
"তোমার হাতের পাটিসাপটা পিঠা তোমার দুলাভাই খেতে খুব পছন্দ করে৷ তুমি আজ আমায় কতগুলো পাটিসাপটা পিঠা বানিয়ে দিও তো"

আমি খুব অবাক হচ্ছিলাম আমার বড় বোনের কথা শুনে। তাই কিছুটা রেগে গিয়ে বললাম,
তোর জামাইকে তুই নিজে পিঠা বানিয়ে খাওয়া তুই আমার বউকে বলছিস কেন?

বড় আপা তখন মুখ বাঁকিয়ে বললো,
" বউয়ের চামচামি করছিস নাকি?"

আমি বললাম,
আমি কোন চামচামি করছি না। শুধু তোর মত একটা শিক্ষিত মেয়ের ভুলগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাইছি। তুই নিজেও একবাচ্চার মা। তুই তো বুঝিস এই সময় একটা মেয়ের কত রকম সমস্যা হয়৷ তুই কি করে এই অবস্থায় আমার বউকে বলিস তোর বাচ্চার দুধ গরম করে দিতে, তোর জন্য কফি বানিয়ে দিতে, আর আজ বলছিস তোর জামাইয়ের জন্য পিঠা বানাতে? মেয়েটা প্রথমবার মা হচ্ছে। মনে কত রকমের ভয় থাকতে পারে। কোথায় তুই শ্রাবণীকে একটু সাহায্য করবি, একটু মনে সাহস দিবি যেন সে ভয় না পায়। তা না করে উল্টো তুই ওকে পিঠা বানাতে বলছিস

এমন সময় মা খুব রেগে গিয়ে বললো,
"আমি এমন ছেলে পেটে ধরেছি যে কিনা নিজের বউয়ের জন্য নিজের বড় বোনকে কথা শোনাচ্ছে। কি এমন তোর বউকে বলেছে যে তুই তোর বোনকে কথা শোনাচ্ছিস? কয়েকটা পিঠা বানিয়ে দিতেই তো বলেছে। অথচ তোরা যখন পেটে ছিলি তখন আমি সংসারের সমস্ত কাজ একা হাতে করতাম"

আমি মা'র দিকে তাকিয়ে হেসে বললাম,
মা আমার বোন যখন প্রেগন্যান্ট ছিলো তখন তুমি ৫ মাস যেতে না যেতেই আপা কে শ্বাশুরবাড়ি থেকে আমাদের বাসায় নিয়ে এসেছিলে যাতে আপার ওখানে সংসারের কোন কাজ করতে না হয়। আমি দেখেছি আপাকে দিয়ে তুমি কাজ করাবে দূরে থাক আপাকে কখনো রান্নাঘরে যেতে দাও নি। সেই তুমিই ছেলের বউয়ের বেলায় এতটা বদলে গেলে...

আমি যখন মা আর আপাকে কথা গুলো বলছিলাম তখন শ্রাবণী আমাকে বারবার থামতে বলছিলো তখন আপা শ্রাবণীকে বললো,
"থাক থাক নিজেকে স্বামীকে মা বোনের উপর খেপিয়ে দিয়ে এখন আমাদের চোখে ভালো সাজতে হবে না"

☆কথাটা শুনে শ্রাবণী মাথা নিচু করে অন্য রুমে চলে গেলো। আমি তখন আপার দিকে তাকিয়ে বললাম,
মূর্খ মানুষ অবুঝ হলে তাকে বুঝানো সহজ। কিন্তু কোন শিক্ষিত মানুষ অবুঝ হলে তাকে বুঝানো সত্যি খুব কঠিন

রুমে ঢুকে দেখি শ্রাবণী জানালার গ্রীল ধরে বাহিরে তাকিয়ে আছে। আমি ওর কাঁধে হাত রেখে বললাম,
চিন্তা করো না আমি আছি তো তোমার পাশে...

শ্রাবণী আমার দিকে ফিরে শুকনো হাসি দিলো আর আমি তখন বললাম,
তোমার মুখে শুকনো হাসি মানায় না, সতেজ হাসিটা বেশি মানায়

পাশে আছি....

(আপনার স্ত্রীকে প্রচুর ভালোবাসুন কেননা সে আপনার ভালোবাশার জন্যই তার বাবা মা পরিবারকে ছেড়ে এসেছেন! )

যাদের গল্প পড়তে ভালো লাগে তারা আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন গল্প পড়তে সুবিধা হবে।

30/06/2023

বিকেল বেলায় গ্রামের মনোরম পরিবেশ।

24/06/2023

গরিব লোক গরুর ব্যবসা করলে হয় গরুর বেপারি, আর বড়লোকে করলে হয় এগ্রো!

17/06/2023

Song : Bondhu Tomar Pother Sathi Ke
Singer : Srikanto Acharya
Originaly Sung by : Hemanta Mukherjee
Lyricist : Mukul Datta

23/04/2023

পরন্ত বিকেলে গ্রামের সৌন্দর্য

18/04/2023

Aj Part 1

Address

Gobindganj
5740

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Valobashar Golpo Kobita posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Valobashar Golpo Kobita:

Videos

Share