04/10/2024
আমাদের WRC
আজ থেকে ঠিক ২০ বছর (৪-১০-২০০৪) আগে এই দিনে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুস্তাহিদুর রহমান উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের Wildlife Rescue Center (WRC), বাংলাদেশে প্রথম এ ধরনের কোন সেন্টার। যদিও এর শুরুটা করেছিলাম আরও বেশ কয়েক বছর আগে।
১৯৯৯ সালে পিএইচডি শেষ করে যখন দেশে ফিরে বিভাগে যোগদান করি তখন বন্ধ হয়ে যাওয়া আমার বন্যপ্রাণী গবেষনাগারটি আবার শুরু করার চেষ্টা করি। ঐ সময়ে বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখায় পাঠদান করতাম শুধুমাত্র আমি আর ড. সাজেদা বেগম নাতাশা (আমার সহধর্মিণী), বিভাগের অন্যান্য কোর্সে পাঠদানের সাথে সাথে বন্যপ্রাণী শাখার সবগুলি কোর্সও নিতে হতো আমাদের আর তার সাথে একটি ছোট রুমকে ল্যাবে পরিনত করে ছাত্রছাত্রী নিয়ে গবেষনা চালিয়ে যাওয়া। ঐ সময়ে বেশ কয়েকটি লিংক প্রোগ্রাম তৈরী করি বিদেশী কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আর ছাত্রদের গবেষনায় সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে চলে যাচ্ছিল সময় গুলি। সময়ের সাথে সাথে গতানুগতিক বন্যপ্রাণী গবেষণার বাহিরে গিয়ে পপুলেশন জেনেটিক্স, জুনোটিক ডিজিস এবং মাঠ পর্যায়ে বন্যপ্রাণীর বংশবিস্তার নিয়ে গবেষণা করার তাগিদও বোধ করতে থাকি। ঐ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশের লোকালয়ে নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী গ্রামবাসীদের হাতে মারা পরতো বা আহত হতো। আহত বন্যপ্রাণী গুলিকে উদ্ধার করা আর ওদের নিয়ে গবেষনার সুযোগ থাকায় তখনই মাথায় আসে রেসকিউ সেন্টার করার আইডিয়াটি।
২০০৩ এর শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি আমার বন্যপ্রাণী গবেষণাগারের জন্য কিছু যায়গা বরাদ্দের। বিশ্ববিদ্যালয় কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে না এ শর্তে বন্যপ্রাণী গবেষনাগারের জন্য আমাকে ৫ একর যায়গা বরাদ্দ দেয়। যায়গাটি দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিনের শেষ প্রান্তে কয়েকটি গাছ সহ ধুধু মাঠ। ছিলো না কোন যাওয়ার রাস্তা বা গিয়ে ঠাঁই নেয়ার কোন ডেরা। জাহাঙ্গীরনগরের প্রধান রাস্তা থেকে তিন হাজার ফুট কাদা মাড়িয়ে যেতে হতো ঐ যায়গায়। কিন্তু তাতেও আমি বেজায় খুশি ছিলাম, বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা গুলি করতে পারবো সে আশায়।
আমি তখন ক্যাম্পাসে থাকি। বিভাগে কাজ শেষ করে পুরোটা সময় আমি আর অধ্যাপক সাজেদা ঘুরে ঘুরে দেখতাম WRC এর পুরো জায়গা, প্ল্যান করতাম এই জায়গাটাতে কিভাবে গবেষণা কেন্দ্র করা যাবে, যদিও পুরোটাই করতে হবে নিজের টাকায়। নিজেদের জন্য বাড়ীঘরের চিন্তা বাদ দিয়ে যা কিছু সঞ্চয় ছিলো তা নিয়ে নেমে পড়লাম মাঠ পর্যায়ে ল্যাব তৈরীতে ।
প্রথমেই ঠিক করলাম পুরো যায়গাটি জাহাঙ্গীরনগরের আদি প্রাকৃতিক পরিবেশ হিসেবে রেখে দিবো। আমি প্রায় সময়েই বলতাম বনের যায়গায় গাছ না লাগিয়ে যদি রেখে দেওয়া যায় তাহলে প্রাকৃতিক ভাবেই বন তৈরী হবে, শুধু মানুষের কোন কর্মকান্ড না থাকলেই হলো। আর এটা প্রমানের সুযোগও পেয়ে গেলাম। তাই প্রায় এক একর যায়গা রেখে দিয়েছিলাম যেখানে কোন ধরনের গাছ লাগাবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরবর্তী ৩ বছর দেশের যেখানেই গিয়েছি সেখান থেকেই দেশজ ফলদ ও বনজ গাছ এনে লাগিয়েছি WRC-র বাকি যায়গাতে। গত দুই দশকে ঐ এক একর যায়গায় প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা গাছগাছালি আমার বিশ্বাসটাকেই প্রমাণ করেছে। এখন গেলে কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না যে এ যায়গাটি এক সময়ে সম্পূর্ণ ধুধু মাঠ ছিলো।
স্থানীয় মানুষের গরু চড়ানো বন্ধ করতে প্রথমেই বেড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ঐ যায়গার একপাশে BPATC এর দেয়াল থাকায় অন্য পাশ গুলিতে কাটাতারের বেড়া দেয়া শুরু করি। বেড়ার পাশে খেজুর, তালের চারা আর ঘন করে বেত লাগিয়ে ছিলাম প্রাকৃতিক বেড়া তৈরীর জন্য।
২০০৪ সালের মে মাসে কনসালটেন্সির একটা চেক পেলাম (এখনকার তুলনায় হয়তো খুবই সামান্য টাকা কিন্তু তখনকার জন্য অনেক টাকা)। বউকে বললাম এ টাকাটা দিয়ে WRC-তে একটা ছোট ল্যাব করতে চাই যেখানে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত মাঠ পর্যায়ের কাজ গুলিতে সুবিধা হবে। শুরু হয়ে গেলো ছোটখাটো কিছু একটা করা। ভিটেমাটি পাকা করে দুই ফুট দেয়াল দিয়ে তার উপরে টিনের বেড়া আর লাল টালির একটি ঘর তৈরীর পরিকল্পনা করে ফেললাম। বিভাগের পিয়ন মামুন আজিজ স্হানিয় ভাবে কাঠের ঘর তৈরী করতো। ও দায়িত্ব নিলো ঘরে টালি লাগানো আর সার্বিক ভাবে দেখভালের। টালি দিয়ে বানাবো শুনে যাদুঘরের এথনোগ্রাফি বিভাগের তৎকালিন কীপার ও হেড ড. জিনাত মাহরুখ বানু (খুশবু ভাবী) জানালেন ধামরাইয়ের কুমার পাড়ায় তৈরী হয় বিশেষ ধরনের টালি। ব্যবস্হা করে ফেললাম টালির। টালির জন্য গিয়ে দেখি মাটি দিয়ে অনেক কিছুই তৈরী করে ওরা। তাই নিজে ডিজাইন করে আট ধরনের বন্যপ্রাণীর মুখ দিয়ে তৈরী করিয়ে নিলাম মাটির টেরাকোটা টাইলস। ল্যাবের দেয়ালে প্লাস্টারের পরিবর্তে লাগানোর জন্য।
সমস্যা দেখা দিলো ইট-বালি সহ সব নির্মান সামগ্রী যায়গা মত নেয়ার। ট্রাক এনে রেখে যেতো মীর মোশাররফ হোসেন হলের পাশে। সেখান থেকে ঠেলা গাড়ীতে তুলে নিয়ে আসতে হতো WRC-তে, সে এক ঝক্কি। তার উপর শুরু হয়ে গেলো বৃষ্টির মৌসুম। একবার সারা রাতে বৃষ্টির পর সকালে গিয়ে বসে আছি রাস্তার পাশে আর ভাবছি কিভাবে ইট গুলি নিয়ে যাবো। আমার ছাত্র হাসান (বর্তমানে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান) এসে বলল স্যার নৌকা দিয়ে নিয়ে গেলে সহজ হবে। হাসান তখন এম.এস-সির থিসিসের কাজ করছিলো আমার সাথে। পাশের জয়পাড়া গ্রাম থেকে একটা ডিংগি নৌকা যোগার করে নিয়ে এলো হাসান। শুরু হলো নৌকা দিয়ে সব কিছু পার করা, নিজেরাই ইট টেনেছি, নৌকা বেয়েছি খরচ কমানোর জন্য, আর হাসান মহা উৎসাহে লেগে থাকলো কাজে। সেই থেকে গত বিশ বছর ড. হাসানই দেখে রেখেছে WRC-কে।
২০০৪এর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে সবুজ বেড়ার লাল টালির ল্যাবটি তৈরী শেষ হলো। এর সাথে পাখির জন্য এভিয়ারি আর ভোঁদড়ের জন্য একটি স্হাপনাও শেষ করেছিলাম। এভিয়ারিটি যখন শুরু করি তখন একদিন আমার পিএইচডি ছাত্রী হোমায়রা তাসনিম খান এসে বলল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে যৎসামান্য স্কলারশিপের টাকা পেয়েছে সেটি তিনি এভিয়ারিতে ব্যয় করতে চান। খুব অভিভূত হয়েছিলাম। একই ভাবে পরবর্তিতে ২০০৭/৮ এ আমার এমফিলের ছাত্র আজিজ ও হাসান (এখন ওরা বিভাগের শিক্ষক-অধ্যাপক ডঃ আব্দুল আজিজ ও অধ্যাপক ডঃ কামরুল হাসান) দুজনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত স্কলারশিপের টাকা দিয়ে ল্যাবের বর্ধিতাংশটি করেছিলো। গত দুই দশকে বহুবার সুযোগ আসলেও কখনো WRC-কে দেখিয়ে কোন প্রকল্প তৈরী করিনি, কারন সবসময়ই মনে হয়েছে নিজেদের প্রচেষ্টায় তৈরি অন্তত একটি ল্যাব থাকুক, একান্তই ছাত্রছাত্রী আর শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি গর্বের যায়গা প্রতিষ্ঠিত হোক যেখানে আমার ছাত্রছাত্রীরা তাদের গবেষনা করে যেতে পারবে নিশ্চিন্তে।
WRC-টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এতটাই প্রত্যন্ত এলাকাতে যে উদ্বোধনের আগে ঐ এলাকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউই যেতো না। এমনকি কারো ধারনাই ছিলনা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একটি যায়গা আছে। সুযোগ হওয়ার পরও আমি কখনো চাইনি যে WRC-তে যাওয়ার রাস্তাটি পাকা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশ অন্তত আদি পরিবেশে থেকে যাক । আর তাই গত বিশ বছরে এ এলাকাটি তৈরি করতে পেরেছি তার আদি রূপে। দিনের বেলাতেও গন্ধগোকুল, বন বিড়াল বা শিয়ালের দল ঘুরে বেড়ায় এখানে। সাপ ব্যাঙতো আছেই। প্রায় একশ প্রজাতির পাখি বছরের বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় এখানে, এদের মধ্যে ২১ প্রজাতির পাখি বাসা করে WRC-তে। শীতে সরালি সহ দেশীয় জলচর পাখির সাথে পরিযায়ী পাখির মিলন মেলায় পরিনত হয় WRC-র লেক বা জলাশয়টি। ধুধু মাঠকে কিভাবে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে তুলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্হলে রূপান্তর করা যায় তার একটি উদাহরন এই WRC।
২০০৫ সালে জাপানের কিওটো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইমেট রিসার্চ ইন্সিটিটিউট আর ২০০৬ সালে University of Washington, USA এর সাথে যৌথ গবেষনার MOU করি। ঐ গবেষনা গুলির একটি অংশে রেখেছিলাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা ও সংরক্ষনে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মাঠ পর্যায়ে টেনিং এর ব্যবস্হা। ঐ সময়ে প্রতিবছরে শীতে Dr. Randall C Kyes এবং Dr. Lisa Jones-Engel ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর Dr. Yoshi Kawamoto আসতেন কিওটো ইউনিভার্সিটি থেকে ছাত্রছাত্রীদের এ ট্রেনিং দিতে। ২০০৬ থেকে ২০১৩ এই আট বছরে ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে এ ট্রেনিং দিতে পেরেছিলাম। আমার ছাত্র ও সহকর্মী এবং পরবর্তীতে USA-এর Delta State University র সহযোগী অধ্যাপক ড. এএইচএম আলী রেজা WRC-র সাথে লিঙ্ক প্রোগ্রাম করে ছাত্রছাত্রীদের ট্রেনিংএরও ব্যবস্থা করেছে একাধিক বার। এসব ট্রেনিং এ অংশ নেয়া অনেকেই আজ দেশে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সুনামের সাথে বন্যপ্রাণী গবেষণার কাজ করে যাচ্ছে। আসলে আমি খুবই ভাগ্যবান যে আমার সব ছাত্রছাত্রীই নিজেদের গবেষনা কাজ নিরলস ভাবে করে গিয়েছে, আমাদের বন্যপ্রাণী গবেষনাকে সমৃদ্ধ করেছে।
বিগত দুই দশকে দেশী বিদেশী মিলিয়ে বহু গবেষক ও বরেন্য ব্যক্তিত্ব সম্পৃক্ত হয়েছে WRC-তে, বেশীর ভাগই গবেষনার জন্য কিন্তু কেউ কেউ শুধু দেখে যাওয়ার জন্যও। নোবেল লরিয়েট স্যার বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল যখন আমাদের দেশে এসেছিলেন তখন তাঁর ঘুরে দেখার লিস্টে WRC-ও ছিলো, আর তিনি এসে লেকের পাড়ে চুপচাপ বসে সরালির কিচিরমিচির উপভোগ করেছিলেন। দেশে যত বিদেশী কুটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ পাখি পর্যবেক্ষন করেন তাঁরা প্রতি শীতে একবার হলেও ঘুরে যাবেন এখানে। দেশের বিভিন্ন যায়গার বার্ড ওয়াচার বা পাখি পর্যবেক্ষকরা তো আসেনই। নাট্যতত্ব বিভাগের অধ্যাপক সেলিম আল দিন স্যার প্রতিদিন বিকালে হাঁটতেন। মাঝে মাঝে চলে আসতেন WRC-তে, তখন মাত্র তৈরী করার পর্যায়ে। সাপ সম্পর্কে স্যারের খুব আগ্রহ ছিলো, WRC-র লেকের ঝোপে রোদ পোহানো সাপ দেখিয়ে অনেক কিছু জানতে চাইতেন। স্যারের সাথে সে সময়কার আলাপ গুলি, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে, ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্যারের দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো কখনোই জানা হতো না যদি WRC-তে স্যারকে না পেতাম।
আসলে ঢাকার এত কাছে এধরনের একটি পরিবেশ কেউ কল্পনাও করতে পারে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা আর আশেপাশের লোকালয়ে বসবাসকারী মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার লোকের দৈনন্দিন চলাচল, প্রায় সাতশ একরের ছোট এই যায়গায় এত মানুষের মাঝেও মাত্র ৫ একর যায়গা এবং একটি লেক নিয়ে WRC এখন এ এলাকার বন্যপ্রাণীর শেষ আশ্রয়স্হল।
তবে আজকের এ পর্যায়ে আসতে অনেক চড়াই উৎরাই পার হতে হয়েছে WRC-কে যা এখানে না বলাই থেকে যাক। আর্থিক সংকট একটি বিষয় কিন্তু তার চাইতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন উটকো ঝামেলাও ছিলো। তারপরও আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি কারন এ দীর্ঘ সময়ে দলমত, বিভাগ, সিনিয়র-জুনিয়র নির্বিশেষে অনেকেরই অকুন্ঠ সহযোগীতা পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক বিশেষ করে অধ্যাপক ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান (তৎকালীন ভিসি), অধ্যাপক এম কবির (পরিসংখ্যান বিভাগ), অধ্যাপক ড. এনামুল হক (ইতিহাস বিভাগ) , অধ্যাপক ড. রফিকুন নবী (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ), অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান (ইতিহাস বিভাগ), অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ), অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ), অধ্যাপক ড. শামছুল আলম ( সরকার ও রাজনীতি বিভাগ), অধ্যাপক ড. সীমা হক (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ) সহ অগণিত সহকর্মীদের সমর্থন ও সহযোগীতা পেয়েছি পুরোটা সময়। আর এ সাথে আমার জীবনসঙ্গিনী অধ্যাপক ড. সাজেদা বেগমের সার্বক্ষণিক নীরব সক্রিয় সহযোগীতায় WRC প্রতিষ্ঠা করেছিলাম যা আজ বিশ বছর পূর্ণ করলো। আশা করি WRC-র ভবিষ্যৎ দেখে রাখবে আমাদেরই ছাত্রছাত্রীরা।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের কাজের বাহিরেও WRC-তে সময় দিয়েছিল, সম্পৃক্ত হয়েছিল বিভিন্ন ভাবে WRCকে আজকের অবস্থায় নিয়ে আসায়। এ মুহূর্তে যাদের নাম মনে পড়ছে - মোঃ কামরুল হাসান দোলন, পদ্ম কুমার তনচংগা, মোঃ হাসিবুর রহমান, সেলিনা কাজী, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিভূতি ভুষণ মিত্র, সুবীর দত্ত, আম্মি, হুমায়ুন কবির, মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, রিপন, মোঃ আতিকুজ্জামান বাবু, অনির্বান সরকার, শেখ মোঃ রবিউল আলম, শারমীন আখতার, সাদিয়া আফরিন সেতু, আশরাফ আহমেদ অনু, সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, সানজিনা আফরিন সুমি, মোঃ মুশফিকুর রহমান, রোলান্ড নাথান মন্ডল, দুররে মাখনুন নবনি, সাকিলা নার্গিস ইভা, মোঃ সারোয়ার আলম দিপু, কামরুন্নাহার আদিয়াত, ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নোমান, শায়লা আক্তার, মোঃ শামীম আহমেদ, মোমিনুল ইসলাম নাহিদ, ফারহানা আক্তার, দিলীপ কুমার দাস, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ সুলতান আহমেদ, সামিয়া ফারহানা সোমা, ঈশরাত জেবিন জাহান , সমীর সাহা, মিজানুর রহমান, জেরিন আজমীরী, বেলায়েত হোসেন বাদল, মোহর আলী, আশীষ কুমার দত্ত, অনিক সাহা, নোমান আল মোক্তাদির, খাদিজা রওশন, সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং মোঃ জাহিদুর রহিম অর্ণব।
- অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ